ইদানিং এমনকি জগদ্ধাত্রী পুজোর প্যান্ডেলেও ‘মায়ের পায়ে জবা হয়ে ওঠ না ফুটে মন’ বেজে চলতে দেখেছি --- একেবারে কালী প্রতিমা কেন্দ্রিক গান দিব্যি চালানো হচ্ছে জগদ্ধাত্রী পুজোয়, আসলে যিনি নাকি মা দুর্গারই একটা রূপ ! কী চূড়ান্ত গুরুচণ্ডালী ব্যাপারস্যাপার বলুন দেখি? ... ...
১৯২৩ সালে বোম্বে ফিরে গিয়ে মেয়েটি, একটা প্রাইভেট ডেন্টাল ক্লিনিক খুলে ফেলল। কোলবাদেবীর আবদুল রহমান স্ট্রিটে। অবশ্যই দাদার আর্থিক সাহায্যে। স্বপ্ন, পর্দার আড়ালে থাকা মুসলিম মেয়েদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। বেশ বড় ক্লিনিক, তিনটে ডেন্টাল চেয়ার ওলা। চেম্বারের নিজস্ব কর্মীও ছিল। বোধহয় ইনিই এশিয়ার প্রথম মহিলা প্র্যাকটিসিং ডেন্টিস্ট। আর সেই সঙ্গে ধোবি তালাও এর মিউনিসিপ্যাল ক্লিনিকে স্কুলের মেয়েদের দাঁতের চিকিৎসাও চলল স্বেচ্ছাশ্রম হিসেবে। ... ...
ওনাকে ভারতের Commercial Art এর জনক বলে গিয়েছেন সত্যজিৎ রায়। মানুষটি ছিলেন স্বদেশীয়ানার "ফ্লেভারে" ভরপুর। Lipton Co. র কাজ হাতে নিয়েছিলেন এই শর্তে -- " আমি কিন্তু স্বদেশী চা বাগানের মালিকের বিজ্ঞাপনও বানাবো সাহেব ! ইচ্ছে হয় আমায় রাখো, নয়ত চল্লুম। " দেশের মানুষের জন্য বিজ্ঞাপন করতেন বিনা পারিশ্রমিকে। ... ...
মনুষ্যচরিত্র ... ...
রবীন্দ্রনাথের কথায় আমরা কান দিই নি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কি ঠিকঠাক আমরা মনে রাখতে পারলাম শহিদদেরও? ... ...
১৯৩৪ থেকে জয়যাত্রা শুরু হয় সুলেখা কালির যা স্বাধীনতার এতগুলো বছর পরেও অব্যাহত। এতদিনে ব্যবসা বৃদ্ধি পেয়েছে "সুলেখা ওয়ার্কস লিমিটেড"-এর। পশ্চিমবঙ্গ সহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন রাজ্যে সুলেখা এখন একটি পরিচিত ব্র্যান্ড। যা আমাদের সবার অজান্তে ইতিহাসের পাতায় নথিভুক্ত করে ফেলেছে যাদবপুরের সুলেখা মোড়ের নামও। ... ...
নামিবিয়ার নোমাডদের আশ্চর্য মনঃসংযোগ ... ...
পাড়ার নিজস্ব পেপারওয়ালা, সব্জিওয়ালা, ঠাকুরমশাই ও নাপিত কাকু থাকত। পাড়ার এক ঘরের মাস্টারমশাই, বেশ ক ঘরের হয়ে যেতেও সময় নিত না। তখন মোবাইল নেই, এক বাড়িতে ফোন বাজলে অন্য বাড়িতে ছুটে যেতে হত। শোনাতে হত তাদেরকেও হাল সমাচার। ছাদের অ্যান্টেনাগুলো নিজেদের মধ্যে চুপিচুপি গল্প সেরে নিত। দড়িতে দড়িতে শুকোত লাল-নীল ছাপা শাড়ি... কাঁটা ঘুড়ি অনেকদিন ঝুলে থাকত ইলেক্ট্রিকের তারে...আর সার বেঁধে পাখিরা কখনও ওতে বসে তাদের মিটিং সারত... ... ...
অতি-বৈষম্যই কি ধ্বংস ডেকে আনবে? ... ...
রবীন্দ্রনাথের নিজের গলায় রেকর্ডিং হওয়া 'তবু মনে রেখো' গানটির ইতিহাস। যেখানে পাওয়া যায় আবেগস্পৃষ্ট এক কবির উচ্চারণ। ... ...
তখন আমাদের খুব পিকনিক করার ঝোঁক ছিল। সেদিনের ত্রিপুরায় বেশ কিছু হালকা বনবিতান ছিল অনতিউচ্চ টিলা ছিল, লেক ছিল। দিনের বেলা বুনো হাতি বা হিংস্র প্রাণীর ভয় নেই এমন জায়গা ছিল। আর ছিলেন আমাদের প্রসন্নহৃদয় অধ্যাপকরা। যাঁরা আমাদের অর্থহীন উপদ্রবকে সস্নেহ প্রশ্রয় দিতেন, সময় দিতেন আমাদের চাহিদা মত,যাঁরা সঙ্গে থাকলে অভিভাবকদের ও দুশ্চিন্তা হতোনা। ... ...
দক্ষিণপন্থী ও ধর্মান্ধ ফ্যানাটিকদের মগজধোলাই মেশিনের প্যাটার্ণ। হিন্দু, মুসলমান, বা খৃষ্টান। দেশে দেশে তার চেহারা একই। ... ...
আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। মধ্য কলকাতার এক ব্যস্ত রাস্তা। অবশ্য শুধু এটুকু বললে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট সম্পর্কে প্রায় কিছুই বলা হয় না। আলিমুদ্দিন স্ট্রিটকে পশ্চিমবঙ্গ চিনেছে অন্যভাবে। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন এই ৩১ নং আলিমুদ্দিন স্ট্রিটেই রয়েছে রাজ্য বামফ্রন্টের সদর দপ্তর।যেখানে বসে বিগত চৌত্রিশ বছর রাজ্য-রাজনীতির ভাগ্য নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করেছেন বামফ্রন্ট নেতৃবর্গ। এ তো গেল আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের প্রাথমিক পরিচয়। কিন্তু কে এই আলিমুদ্দিন? ... ...
পশ্চিমবাংলার বিশ্রুত কমিউনিস্ট নেতা জ্যোতি বসু ও তাঁর রাজনৈতিক জীবন ... ...
জামাত বিএনপি বা উগ্র ধর্মান্ধ মুসলমানদের সঙ্গে আরএসএস বিজেপি বিশ্ব হিন্দুদের আমি প্রচুর মিল খুঁজে পাই। যা তেমন কেউ জানেনা, কারণ তেমন কেউ আরএসএসকে আমার মতো এতো কাছ থেকে দেখেনি। এই মিলগুলো সংক্ষেপে বলা খুব দরকার। ... ...
সবচেয়ে বড় উৎসব আর অতিমারি। এই নিয়ে দ্বিতীয় বছর আমরা চিন্তিত। চিন্তা স্বাভাবিক, কিন্তু অবস্থা আগের থেকে যথেষ্ট ভাল। কিন্তু ... আসুন, কিছু তথ্য চট করে দেখে নিন। ... ...
অন্যান্য আর পাঁচটা সাধারণ খুনের সঙ্গে খুব একটা পার্থক্য ছিল না পঞ্চম শুক্লা মার্ডার কেসের। কিন্তু অতি সাধারণ হয়েও এই হত্যা রহস্যের জট খুলেছিল অভাবিতভাবে। বস্তুতপক্ষে এই কেসের সূত্র ধরেই মৃতদেহের সঠিক পরিচয় পেতে ভারতের বুকে প্রথম ব্যবহার করা হল সুপার ইম্পজিশন পদ্ধতি। যা তৎকালীন সময়ে ছিল বর্তমানের ডিএনএ পরীক্ষার সমতুল্য। ... ...
গল্প হলো রেলের চাকরির। যে সব চাকরি আমাদের এই সদাশয় মোদী সরকারের দাক্ষিণ্যে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যেতে চলেছে। ... ...
আমি এবারে ভেঙে পড়লাম। সেই কেজি ওয়ান থেকে অপেক্ষা করছি। ভেবেছিলাম ইন্দিরা গান্ধী চিঠি দেবে ওভারটাইমের জন্য। সে হেরে গেছে। আমি তাহলে দেশের দরকারে লাগব কী করে? চোখে জল চলে এল আমার। মা একটু সময় নিয়ে ব্যাপারটা বুঝল, আমার সমস্যাটা কী? তারপরে বলল, - তুমি ভুল বুঝে কষ্ট পাচ্ছ। দেশ ঐভাবে চিঠি দেয়না। দেশ কি চায়, সেটা বইতে লেখা থাকে। আর খেলতে গেলে হারজিত হবেই। কখনো মোহনবাগান জিতবে, কখনো ইস্টবেঙ্গল। এতে দুঃখের কিছু নেই। আমি কান্না ভেজা গলায় বললাম, - তা সে কোন বইতে দেশের দরকার লেখা থাকে, সেটা কি তোমার কাছে আছে? আমি পড়তাম তবে। ... ...