এ বছরের ইকোনমিক সার্ভে-তে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে মহিলাদের জন্য কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করা, বেতন ও উন্নতির রাস্তা সুষম করা, কাজে যোগদানে উৎসাহ দেওয়া এবং সর্বোপরি সামাজিক সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। সরকারের উদ্দেশ্য মহিলাদের পরিষেবামূলক কাজে আরো এগিয়ে নিয়ে আসা, শিশু প্রতিপালনের সুযোগসুবিধা বাড়ানো, পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের দেখাশোনার উপযুক্ত কাঠামো কাজের সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়া, বেতন-সহ পিতৃত্ব-ছুটি দেওয়া ইত্যাদি। এক কথায়, মহিলাদের কাজের ক্ষেত্রে একটি পরিবার-বান্ধব পরিবেশ তৈরি করার দিকে মনোযোগ দেওয়া হবে। দেখা যাক, সরকার এই সোনার পাথরবাটিটি কী ভাবে গড়তে চাইছে। ... ...
ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগের নানান প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে দেশী, বিদেশী সংবাদ মাধ্যমে। সম্প্রতি বিবিসি একটি তথ্য সম্বলিত প্রতিবেদন বের করেছে, যেখানে প্রতিবেদকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে আমেরিকা, ব্রাজিল এর পরে করোনার পরবর্তী হটস্পট হয়ত ভারত। আমরা বিভিন্ন তথ্যের আলোতে এই প্রশ্নটারই উত্তর খুঁজব, একই পরিসংখ্যানে আলো ফেলব বিভিন্ন কোন থেকে। আগেই বলে রাখি, এই লেখা পড়ে আপনি যদি ভারতে পরিস্থিতি খুব ভালো বা খুব খারাপ, এই জাতীয় সিদ্ধান্তে আসার আশা রাখেন, তাহলে হতাশ হবেন। আমি শুধুমাত্র ভাবার চেষ্টা করছি, আপনাদেরও ভাবানোর চেষ্টা করছি। আজ প্রথম কিস্তি। ... ...
ভারতীয় এবং পাশ্চাত্য মতে, শুদ্ধ সুর সাতটি। কোমল ধরলে বারোটি। সুর এই বারোটিই কেন, এ নিয়ে ফেসবুকের একটি গ্রুপে একটি প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলাম। সেখানে সংক্ষেপে লিখেছি। পুরো জিনিসটি এখানে লিখে রাখলাম, যদি কারো আগ্রহ থাকে তো পড়বেন। আঁক-টাক কষা আছে। অঙ্ক অপছন্দ হলে এর পরে আর এগোবেননা। আরও একটি কথা এখানে বলে রাখা দরকার। এই পুরো জিনিসটিই মূলত পাশ্চাত্য সঙ্গীততত্ত্বের নানা জায়গায় টুকরো-টাকরা করে পড়েছি। কিন্তু সেখানে অঙ্ক ছিলনা। হয়তো উচ্চতর শাস্ত্রে আছে। কিন্তু আমার বিদ্যে ততদূর গড়ায়নি। এছাড়া সঙ্গীত প্রযুক্তিতেও থাকা উচিত, কিন্তু তার তত্ত্বও আমার খুব কিছু পড়া আছে এমন না। ফলে এখানে যে অঙ্ক কষা হয়েছে, সবটাই আমার নিজের কষা। নিশ্চয়ই এর আগে কেউ কষে ফেলেছেন, কিন্তু জানা না থাকায় কৃতিত্ব দেওয়া গেলনা। আর যদি বাইচান্স না কষে থাকেন, তো আমি নিউটন। ... ...
ছোট বেলায় বিজ্ঞানের পোস্টার বয় হিসাবে নিউটনের পরেই আসত আইনস্টাইনের নাম। তার মানে কি মাঝে আর কেউ নেই? অবশ্যই আছে কিন্তু তবুও এক নিঃশ্বাসে ওই দুটি নামই আসত। এখানেও ঠিক তাই কান্টের সময় বিষয়ক আলোচনার পর ম্যাকট্যাগার্টের নামটা এসে গেলো, যদিও মাঝে অনেকেই পরে রইল। থাক, তাদের নিয়ে নাহয় আলাদা একটি পর্ব হবেছোট বেলায় বিজ্ঞানের পোস্টার বয় হিসাবে নিউটনের পরেই আসত আইনস্টাইনের নাম। তার মানে কি মাঝে আর কেউ নেই? অবশ্যই আছে কিন্তু তবুও এক নিঃশ্বাসে ওই দুটি নামই আসত। এখানেও ঠিক তাই কান্টের সময় বিষয়ক আলোচনার পর ম্যাকট্যাগার্টের নামটা এসে গেলো, যদিও মাঝে অনেকেই পরে রইল। থাক, তাদের নিয়ে নাহয় আলাদা একটি । ... ...
স্তালিনের মৃত্যুর পরেরদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত নেহরু ভারতীয় সংসদে স্মৃতিচারণ করে লম্বা বক্তৃতা দিয়েছিলেন। তাতে তিনি বলেন, যে, স্তালিনের গুরুতর অসুস্থতার কথা যখন কানে আসে, তখন তিনি মস্কোর ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের পাঠানো একটা প্রতিবেদন পড়ছিলেন। সেই শেষ সাক্ষাৎকারে স্তালিন কথা বলেছিলেন ভারতের নানা ভাষা নিয়ে। তাদের শতকরা বিন্যাস, প্রভাব, সম্পর্ক, এইসব নিয়ে। এতটাই বিশদে, যে, নেহরু স্তালিনের জ্ঞানে কিঞ্চিৎ বিস্মিতও হন। ... ...
কোভিড করোনা আক্রান্ত পৃথিবীতে জন্ম নিচ্ছে সৃষ্টির নতুন ধারা । ... ...
সে এক অদ্ভুত জিনিস। ছোট। গোল। কমলা। চকচকে। আর তার গায়ে আলো পড়লেই চারদিক কমলা হয়ে যায়। হাওয়ার সংস্পর্শে এলে সে জিনিস সবার গলা থেকে বেরোতে শুরু করে সাপের বাঁশির মতো সুর। কানের পাশ দিয়ে হাওয়া বয়ে গেলে তখন হিসহিসে শব্দ হয়। ক এইবার জিনিসটা হাতে নিয়ে দেখতে পারলো। ... ...
এই লেখায় থাকবে বেশীর ভাগ অপ্রয়োজনীয় এবং কিঞ্চিত প্রয়োজনীয় চিঠি সকল নিয়ে হ্যাজ। কৈশোর বেলায় আমাদের মত কিছু পাবলিকের কাছে পাচু রায় ছিল এক লেজেন্ডের নাম। বিদেশের সাহেব সুবাদের ব্যাপার বলতে পারব না, কিন্তু বাংলা ভাষায় কাগজে ‘সম্পাদক সমীপেষু’ শীর্ষক চিঠি লিখে পাচু বাবুর থেকে বেশী নাম কেউ করেছিলেন বলে আমার জানা নেই। আনন্দবাজার খুললেই চারের পাতায় তেনার চিঠি একদিন অন্তর। আর হেন কোন বিষয় নেই যে তিনি চিঠি লেখেন নি – দ্বিতীয় হুগলি সেতু গঙ্গার দুই দিকের দুই পাড় থেকে বানিয়ে নদীর মাঝ বরাবর মেলাবার ক্ষমতা ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারদের নেই থেকে শুরু করে জার্সি গরুর দুধের উপকারিতা বেশী, ইডেনের থার্ডম্যান বাউন্ডারিতে উৎপল চ্যাটার্জীর লাঞ্চের পর ঝিমানো, সুন্দরবনের আসল মধু যৌবন ফিরিয়ে আনে, পানিফলের উপকারিতা আপেলের থেকে বেশী, জ্যোতিবাবু বিগত কুড়ি বছর ধরে নাকি ক্যালকুলেটেড রিক্স নিচ্ছেন – ইত্যাদি ইত্যাদি। গ্যাট চুক্তি এবং কলকাতা বইমেলার ব্যাপারটা আর ঢোকালাম না – এই দুই জিনিস নিয়ে নিলে, গান্ধীর চিঠির রচনাবলীর ভ্যলউমের থেকেও বেশী হবে পাচু রচনাবলী। ... ...
সরকারের প্রত্যক্ষ সাহায্য ও আনুকুল্য নিয়ে ডিজিটাল ক্লাসের উপাদান সমৃদ্ধ ওয়েবসাইট তৈরি করার দরকার আছে বোর্ড ও কাউন্সিলের পক্ষ থেকে। এমন একটি ওয়েবসাইট যা ব্যবহার করতে খুব শক্তিশালী ইন্টারনেট কানেকশান লাগবে না বা ব্রাউজিং এর জন্য খুব বেশি ডেটা খরচ হবে না। এই ওয়েবসাইটটিতে প্রতিটি ক্লাসের বিষয়ভিত্তিক ও টপিক ভিত্তিক অডিও ভিসুয়াল আলোচনা থাকতে হবে। এ তাবৎ প্রস্তুত করা মাস্টারমশাইদের টিচিং এইডগুলি থেকে বেছে নিয়ে, আরো নতুন অনেক কিছু যুক্ত করে এই কাজটি শুরু করে দেওয়া দরকার। বাইজুস বা আন একাডেমির মতো বেসরকারী সংস্থা বেশ কিছু টিচিং এইড তৈরি করেছেন, যা বেশ আকর্ষণীয়। সেগুলি সবই হয় ইংরাজী বা হিন্দি ভাষায়। সরকারী স্কুলের লক্ষ লক্ষ ছেলেমেয়ের জন্য দরকার সহজ আকর্ষণীয় বাংলা ভাষার অডিও ভিসুয়াল টিচিং এইড। সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযান হিসেবে এই কাজে সমস্ত শিক্ষক সমাজ ও প্রযুক্তি বিশারদদের নিয়ে নামলে পনেরো দিনের মধ্যেই অন্তত ৮০ শতাংশ কাজ করে ফেলা সম্ভব। ভিডিওগুলির মান উন্নয়নের জন্য এডিটিং সহ টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞদের একটি বাহিনীকে এই কাজে সমন্বিত করতে হবে। ... ...
দাগ কাটতে গেলে ঝকমক করার দরকার নেই। একথা বিশ্বাস করি বলে আমরা ওসবের কারবারে নেই। ফলে জগৎ জোড়া জালে যখন গিজগিজ করছে জাল-সিরিজ, তখন আমরা, আমরা, গুরুচণ্ডা৯ সদলবলে ও সগর্বে হাঁটছি উল্টো-পাল্টা দিকে। উল্টো দিকে নয়, উল্টোপাল্টা দিকে। দৃশ্যশ্রাব্য আমাদের ভালই লাগে। ঝিম মেরে সিনেমা টিনেমা দেখি, পারলে দু-একটা বানিয়েও ফেলি। কিন্তু আমরা ঋত্বিক ঘটকও নই, যে, পুরোনো জিনিসকে লাথি মেরে "উন্নততর" মাধ্যমে চলে যাবার তাড়া আছে। আমরা উন্নততর বা ওটিটি প্লাটফর্ম কিসুই নই, নিজেদের তালে চলি। আমরা তাই সিরিজ বা সিরিয়াল নয়, নিয়ে এসেছি চিত্ররূপ ও অক্ষরে বাঙ্ময় কিছু ধারাবাহিককে। স্রেফ অক্ষরে। প্রকাশিত হচ্ছে প্রতি শনিবার। আমাদের ওয়েবসাইটে। ... ...
গতকাল শুক্রবার ৮ই জুন, ২০১৮ তারিখে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের বাংলা নিউজ পোর্টাল আই ই বাংলায় আমার একটা লেখা প্রকাশিত হয়। সেই সংক্রান্ত ফেবুতে নিজের দেওয়ালে ও গুরুর ফেবু গ্রুপে কিছু আলোচনাও শুরু হয়েছে ও চলছে। খানিক সেইগুলো এক জাযগায় রাখার জন্যে আর খানিকটা এখানেও আলোচনা শুরু করার জন্য ও বিশেষত আলোচনার বাইরে কাজ করার ব্যাপারেও যদি সবাই মিলে কিছু একটা সলতে পাকানো যায় সেসবের জন্যে এখানে রাখলাম সেগুলো। ... ...
এই লেখাটি Age of Big Cats নামে একটি ডকুমেন্টারি সিরিজ এর ধারাবাহিক অনুবাদ। এখানে বিগ ক্যাটদের বা প্যান্থেরাদের, মানে বাঘ, সিংহ, জাগুয়ার, চিতা, স্নো লেপার্ড - এদের বিবর্তনীয় ইতিহাস বা উৎপত্তি, টিকে থাকার রহস্য, স্থলভাগকে ডোমিনেট করার রহস্য, আর আজকে এদের অবস্থা সম্পর্কিত তথ্য রয়েছে। ইভোল্যুশনারি বায়োলজি, নেচার, ওয়াইল্ড লাইফ, ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন নিয়ে যাদের ইন্টারেস্ট আছে, কিন্তু ডকুমেন্টারিটি এখনও দেখেননি, বা কখনও দেখা হবে না বলে মনে করছেন তারা পড়তে পারেন। ... ...
জ্ঞানউপুড় পোস্ট ঢালি আমরা।রাষ্ট্রব্যবস্থা সমাজব্যবস্থা সব নিয়েই কী অগাধ পাণ্ডিত্য! আদালতের ভারডিক্ট, তার ঠিক ইন্টারপ্রিটেশন ভুল ইন্টারপ্রিটেশন...সমীহ জাগে আর তখনই জেগে ওঠে শাঁখা সিঁদুরজনিত অন্য অন্ধকার। হ্যাঁ। আমাদের আলো-পাওয়া চোখ, ইন্টেলেকচুয়াল বিভা,বন্ধনমুক্তির জন্য কোমরের জোর, শাঁখা সিঁদুর ইত্যাদি বিবাহচিহ্ন মুছে ফেলার জোর যোগায় বই কী! ... ...
এক গলা জলে দাঁড়িয়ে দুটি ছেলেমেয়ে দেখছে, এক কোমর জলে দাঁড়ানো স্কুলশিক্ষক জাতীয় পতাকা ওড়াচ্ছেন - আমার কাছে ওই বাচ্চাদুটি আমার দেশ - আর মাথার ওপরে পতপত করা ওই পতাকাটা রাষ্ট্র। মাটির থেকে দূরে, নিজ গর্বে উড্ডীয়মান, নীচের দেশটিই তাকে তুলে ধরেছে কিন্তু তার সঙ্গে সম্পর্ক বিরহিত। তাকে "ভালবেসে" কিছু করা যায় না কারণ তাকে ভালবাসা যায় না। ... ...
এইটা একটা পাঁচ পর্বের গল্পের প্রথমটা। ... ...
পশ্চিমবঙ্গের সাম্প্রতিক নির্বাচনী ফলাফলের ভিত্তিতে বাম রাজনীতির ভবিষৎ। ... ...
আজ শুরুতেই একটু ইতিহাস নিয়ে চর্চা হোক। গুমনামির গুল গল্পে পরে আসছি। কেউ একটা বই লিখে দিলেই সেটা ইতিহাস হয়ে যায় না। অযোধ্যায় রাস্তায় অনেক চটি বই পাওয়া যায়, সেখানে অমুক সন্ত তমুক মহারাজ রাম ঠিক কোন জায়গায়, কবে কোন মুহূর্তে জন্ম নিয়েছিল,তার বিবরণ আছে। অবশ্যি নানান বই তে নানান বিবরণ। তাতে কি? তাদের সবাই দাবী করেন যে ঘোড়ার মুখ থেকে বার করা তথ্য, এসব বলে গেছেন অমুক মহারাজ, তমুক মহারাজ। এদের আবার নিজেদের মধ্যেও রোজকার ক্যাঁচাল। যেমন ঝগড়া গুমনামির ফলোয়ারদের মধ্যেও। একদল বলে ... ...
গুরুচণ্ডালীতে একজন লিখেছিলেন হুমায়ুন আহমেদ মৃদু মানুষের ঈশ্বর। উপযুক্ত বিশেষণ। নারায়ণ সান্যালের অবশ্য সেরকম কোনো বিশেষণ নেই। ইনি হুমায়ুনের তুলনায় বেশ খানিকটা কম জনপ্রিয়। সম্ভবতঃ একটি বিশেষ প্রকাশনা গোষ্ঠীর কাছে মাথা নত না করতে পারায় তাঁর লেখার প্রাপ্য প্রচারে অনেকটা খামতি থেকে গেছে। ‘বিশ্বাসঘাতক’ এখনও প্রচুর বিক্রি হয়। কিন্তু ‘আনন্দে’ না থাকতে পারলে ‘টপ টেনে’ টিকে থাকা বড়োই মুশকিল। নারায়ণ সান্যালের অনেকগুলো স্টাইলের মধ্যে একটি অনবদ্য স্টাইল ছিল - যেটা কিছুটা ইতিহাস, কিছুটা কল্পনা। এই স্টাইলটাকে সঠিকভাবে ভাষায় বর্ণনা করা মুশকিল। চেষ্টা করছি। এককথায় বলতে পারেন ইতিহাসের শূন্যস্থান পূরণ। ইতিহাসের বিকৃতি বলবেন না, প্রেম আর যুদ্ধের থেকেও সাহিত্যে গণ্ডি বেঁধে দেয়া আরো বেশি কষ্টকর। এবারের লেখা নারায়ণ সান্যালের সেই স্টাইলে। স্টাইলের নাম? – ওই যে বললাম 'ইতিহাসের শূন্যস্থান পূরণ'। ... ...
মর্মে সার-জল পড়েনি বহুদিনই... ... ...