প্রথম দলকে আপনি রোজ চোখে দেখেন, মুখ চেনেন, কিন্তু প্রায় কারোরই নাম জানেন না। দ্বিতীয় দলকে আপনি প্রায় কখনোই দেখতে পান না, জীবনে কখনো পাবেনও না – কিন্তু তাদের নাম আমি, আপনি সবাই জানি। কারণ, এই এক শতাংশ দেশবাসীর হাতে আছে দেশের মোট সম্পদের ৭০ শতাংশ। আর তার পরের ধাপের কুড়ি শতাংশ ভাগ্যবানের হাতে আছে প্রায় উনিশ শতাংশ সম্পদ। তাহলে হাতে রইল কি? পেনসিল? না দাদা – এগারো শতাংশ। ভাগীদার কজন? দেশের প্রায় আশি শতাংশ মানুষ ... ...
একসময় মনে করা হত একটি উৎস্য থেকেই ধান বর্তমানের সব ঢোমেস্টিকেটেড বা পূর্ণচাষযোগ্য ধানের বিবর্তন ঘটেছে। কিন্তু সেই ধারণা আজ পরিত্যাক্ত। বর্তমানে প্রাপ্ত ধানগুলো ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতি থেকে বিবর্তিত হয়ে আজকের ধানে পরিণত হয়েছে। ... ...
কাকভোরে এক ঝটকায় বলাইয়ের ঘুম ভেঙে গেল। কী যেন একটা স্বপ্ন দেখছিল সে। প্রতি রাতে নিয়মত বলাই স্বপ্ন দেখে। কোনোদিন শিশুর। কোনোদিন মরা মায়ের সঙ্গে ছোটোবেলার স্মৃতির স্বপ্নিল ভার্সান। কখনও সখনও প্রথম প্রেমিকা রুগ্ন কিশোরী লক্ষ্মীর। আজ সে কী দেখছিল মনে করার জন্য প্রথাগতভাবে ফের চোখ বুজে রইল কিছুক্ষণ। বিলীয়মান স্বপ্নের রেশ জোনাকির মতো দপ দপ জ্বলে জ্বলে ধরা দিল ধীরে ধীরে। ... ...
আমি শিক্ষাবিশেষজ্ঞ নই। এবং আমার দৌড় কলকাতা থেকে সিঙ্গুর অবধি। সেটাও নেহাৎই মধ্যবিত্ত বৃত্তে। সেই বৃত্তে আমি কী দেখছি? আমার পরিচিত বন্ধুবান্ধবরা প্রায় কেউ তাঁদের ছেলেমেয়েদের রাজ্য বোর্ডের ইশকুলে পড়াননা। যাঁরা রাজ্য বোর্ডের শিক্ষক, তাঁরাও না। তার নিশ্চয়ই অনেক কারণ আছে। কিন্তু মোদ্দা কথা হল, কলকাতা থেকে সিঙ্গুর অবধি, এই যে তিরিশ কিলোমিটার এলাকা, স্যাম্পল সার্ভে না করেই বলতে পারি, যে, রাজ্য বোর্ডের ইশকুল গুলো মধ্যবিত্তের প্রথম পছন্দ তো নয়ই, বরং অগতির-গতি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে গেছে এবং যাচ্ছে। আমরা যে ইশকুলগুলোয় পড়েছি, যেগুলো নামী ইশকুল বলে জেনেছি, সেগুলো সমেত। দুর্নীতি, ইশকুল-বন্ধ করে দেওয়া, এই ব্যাপারগুলো দিয়ে এই দুচ্ছাইকরণ প্রক্রিয়াটাকে ক্রমশ ত্বরান্বিত করা হচ্ছে। ... ...
সেই ১৮৩২ সাল নাগাদ ফ্যারাডে যখন ইলেক্ট্রোমেকেষ্ট্রির জনক হতে যাচ্ছেন তখন তিনি লণ্ডন রয়েল ইনষ্টীটিউটশনে – নিজের প্রথাগত শিক্ষা না থাকায় আত্মবিশ্বাস কিছু কম। তাই তিনি চিঠি লিখছেন হুইওয়েল-কে এই জানতে যে অথোরিটি এই ব্যাপারে কি মনে করে। ফ্যারাডে পজিটিভ এবং নেগেটিভ দিকের জন্য ঠিক কি নাম ব্যবহার করা ঠিক হবে সেই বিষয়ে পরামর্শ চাইছেন। এই সব চিঠি বাইরে রাখা থাকে না পাবলিক প্রদর্শনীর জন্য। আমাদের প্রোফেসর ট্রিনিটি কলেজের লাইব্রেরীয়ানকে বলে বিশেষ ব্যবস্থা করেছিলেন। লাইব্রেরীয়ান ভল্ট থেকে আসল চিঠি পত্র নিয়ে সে দেখালেন – সে অনেক চিঠি, সুন্দর করে রাখা আছে। বাঁধানো বইয়ের মত করে পাতায় পাতায় চিঠি গুলো আটকানো আছে। প্রথম দিকে ফ্যারাডের চিঠি এবং শেষের দিকে সেই চিঠির প্রেক্ষিতে হুইওয়েল এর উত্তর। এই চিঠি সব ব্যাখা করছিলেন লাইব্রেরীয়ান, কারণ সেই হাতের লেখা পড়া খুব দুঃষ্কর। এই ভাবেই দেখা গেল ১৮৩৪ সাল নাগাদ প্রথম প্রস্তাব করলেন হুইওয়েল ‘ক্যাথোড’ এবং ‘অ্যানোড’ শব্দের ব্যবহার। আরো বেশ কিছু ক্ষণ সময় কাটালাম – ... ...
ব্যক্তি আক্রমণ আর রেটোরিকাল ডিভাইস দুটো ভিন্ন জিনিস। এই দুটোর মধ্যে সম্পর্ক আছে, অনেক সময় রেটোরিকাল ডিভাইস দিয়ে ব্যক্তি আক্রমণ করা হয়। তারপরও বলব এই দুটো বিষয় আলাদা, দুটো ভিন্ন ভিন্ন শাখায় এগুলো নিয়ে স্টাডি করা হয়। ব্যক্তি আক্রমণ আমি এখানে আলোচনা করব লজিক বা যুক্তিবিদ্যার দিক থেকে, যুক্তিবিদ্যাই ব্যক্তি আক্রমণকে যৌক্তিক ফরমেটে সাজিয়ে একে বিশ্লেষণ করেছে। যুক্তি বিদ্যায় যে লজিকাল ফ্যালাসি বা কুযুক্তি বা হেত্বাভাসকে এড হোমিনেম বলা হয় তাকেই আমি বাংলায় ব্যক্তি আক্রমণ বুঝি। কেন আমি ... ...
প্রকাশ্যে আসা মানা। ইটের তলায় চাপা পড়া এই হলুদ ঘাসেদের নিয়ে শুরু #আমি সিরিজ। এরা কেউ কেউ রূপঙ্করের গান শোনে। নচিকেতা প্রিয়। 'নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ' আবৃত্তি করে পাওয়া স্কুলের প্রাইজটা নিয়ে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছে। এক বুক অভিমান নিয়ে মাথায় কাপড় টেনে ঝড়-জলে পড়ে মায়ার সংসারে পড়ে। ঘরের বৌ হয়ে লেখাপড়া-জীবন-জীবিকা কিছুই বোঝা হল না। কেউ আবার পথে নেমে পেল হাজার বঞ্চনা। শেষমেশ ঘর- স্বামী - শাশুড়িও নিজের হল না। শীত-হেমন্ত-যুদ্ধ-শান্তির বাইরে এদের এক ইচ্ছার শরীর আছে। সেন্সেটিভ মন আছে। এক হার মানিয়ে দেওয়া অনুভূতি আছে। শুধু নিজেদের বেঁচে থাকাটাই হল না এই জন্মে। এদের গল্পগুলো বলা হল না। ... ...
প্রতি সন্ধ্যায় শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড় থেকে মাত্র কয়েক ফার্লং দূরে যশোর রোডের ডানদিকে দেড়তলা বাড়িটা অন্ধকারেই থাকে। রাত ন'টা নাগাদ পুট করে গেটের আলোটা জ্বলে ওঠে। কোলাপসিবল গেটে চাবি তালার খুট খুট ধাতব শব্দ। সিঁড়ির আলো জ্বলে। ডাইনিং প্লেস, বেডরুম, বাথরুমে যাবার প্যাসেজ এবং সবশেষে বাথরুমের আলোগুলো পরপর জ্বলে উঠতে থাকে।আরামবাগের ফ্রোজেন চিকেন আরেকবার ডিপ ফ্রিজে ঢোকে। ব্রকোলি গাজর ক্যাপসিকাম স্টাফড্ মাশরুম হিমগর্ভে পরপর সজ্জিত হয়। বাথরুমের দরজার ... ...
এই যে ব্যাঙ্কগুলোর আক্যাউন্টে পয়সা রাখিস, এই টাকাটা তো ব্যাঙ্ক আবার অন্যকে ধার দেয়। সেই ধারের সুদটাই ব্যাঙ্কের মূল আয়। ২০১৯ সালে এই ধারের মোট পরিমাণ কত জানিস, প্রায় ৯৭ লক্ষ কোটি টাকা আর তাঁর মধ্যে প্রায় ৩৯ লক্ষ কোটি টাকাই আসে সেভিংস ব্যাঙ্কের ডিপোজিট থেকে, যাকে বলে CASA ডিপোজিট। ব্যাঙ্কগুলোর কাছে এটা খুব লোভনীয় কারণ এটার জন্য ব্যাঙ্কের সব থেকে কম খরচ হয়। এই মোট ধারের সব থেকে বেশি অংশ, ২২.৫% মানে ২১.৮ লাখ কোটি আসে এসবিআই এর থেকে। এসবিআই এই টাকার ৫০% পায় সেভিংস ডিপোজিট থেকে। অন্য দিকে ইয়েস ব্যাঙ্কের হিসেব টা দেখ, ওদের বাজারে যে টাকা লোন দেওয়া ছিল;সেভিংস ডিপোজিটের পরিমাণ তার মাত্র ১৯%। ... ...
লৌহ স্তম্ভ কেন ক্ষইছে না তা খুঁজতে গেলে কি কি জিনিস টার্গেট করবে গবেষকরা? প্রথম ধারণা করা হবে যে আবহাওয়ার একটা ব্যাপারটা আছে। মানে যেখানে এই স্তম্ভ খাড়া ছিল আগে এবং এখন দিল্লিতে, সেখানে বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা কি স্তম্ভের জন্য ভালো ছিল? অর্থাৎ বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশী নেই – শুকনো বাতাস! যেই কারণে দীঘার হোটেলের বারান্দার গ্রীল কলকাতার হোটেলের গ্রীলের থেকে অনেক বেশী তাড়াতাড়ি ক্ষয়। দ্বিতীয়ত, সেই প্রায় ষোলশো বছর আগে যারা বানিয়েছিল ওই স্তম্ভ তারা কি ধাতুর সাথে অন্য কিছু স্পেশাল মিশিয়েছিল? তৃতীয়ত, ধাতুর সাথে বানাবার সময় কিছু না মেশালেও পরে কি স্তম্ভকে সুরক্ষা দেবার জন্য তাতে কিছু্র প্রলেপ বুলিয়েছিল? ইত্যাদি ইত্যাদি। ... ...
রাজনীতির ক্ষেত্রে লাদাখ আজ বহু আলোচিত। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের জন্য এটি একটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র আর ভৌগোলিক কারণে রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আর্থ-সামাজিক বিচারে কেমন সেখানকার সাধারণ মানুষের জীবনযাপন? বিশ্বসেরা ও বহুমূল্য পশমিনা সৃষ্টিকারী যাযাবর পশুপালক উপজাতি ‘চাংপা’-রা লাদাখের আদি বাসিন্দা। তাদের জীবিকা ও জীবন আজ বহুবিধ সমস্যার সম্মুখীন। অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা, পরিবেশগত ভারসাম্য আর ঐতিহ্যের বহমানতা, সবদিক থেকেই আজ তাদের টিঁকে থাকার লড়াই। আর তাদের অস্তিত্বের ওপরেই নির্ভর করছে বিশ্ববিখ্যাত পশমিনা শিল্পের ভবিষ্যৎ। ... ...
বর্তমান করোনা সংক্রমণের বিষয়টি মানবসমাজের সামনে এক জটিল সমস্যা হিসাবে হাজির হয়েছে! 'লকডাউন' করলে লক্ষ লক্ষ মানুষের রুটি-রুজি, দেশের কৃষি, শিল্প, অর্থনীতি... সবকিছুই ভয়ঙ্কর ক্ষতির সম্মুখীন; আবার লকডাউন না-করলে ১৩০-কোটি নাগরিকের দেশটির সামনে বিপুল সংক্রমণের বিপদ! অভূতপূর্ব সামাজিক অস্থিরতা ও বিপর্যয় যেন অবশ্যম্ভাবী! এই পরিস্থিতিতে, নৃতত্ত্বের হোলিস্টিক সহযোগিতা ছাড়া ভারতবর্ষ নামক রাষ্ট্রটির উদ্ধার পাবার আশা নেহাতই দুরাশা মাত্র। ... ...
করোনা ভাইরাস নিয়ে একটি লেখা। ... ...
এবারের বিষয়বস্তু দুদফা মাস্ক পরা ও আরো কয়েকটি বিষয় নিয়ে এই লেখা ... ...
সম্প্রতি এই বছরের পদার্থ বিদ্যায় নোবেল পুরষ্কার ঘোষণা হয়েছে। কৃষ্ণ গহ্বর নিয়ে কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ বিশ্বশ্রুত গণিতজ্ঞ রজার পেনরজ, অ্যান্ড্রিয়া গেজ এবং রেইনহার্ড গঞ্জাল এই বছরের নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন।....... নোবেল প্রাইজ তিনি পাননি, কিন্তু এই বছরের পদার্থ বিদ্যার নোবেলের সাথে জড়িয়ে গেছে আদ্যপান্ত এক বাঙালি অধ্যাপকের নাম। অমল কুমার রায় চৌধুরি বা ছাত্রদের AKR । কিন্তু কেনও? কি করেছিলেন তিনি? ... ...
কোরোনা নিয়ে নতুন কিছু আমার বলার নেই যেটা এখানে কেউ না কেউ ইতিমধ্যেই বলে ফেলেছে। ডাক্তার ও আমি নোই, সুতরাং কোনো আশ্বাস , সমাধান দিতে পারিনা। কিন্তু যেটা করতে পারি সেটা হচ্ছে মডেল করার চেষ্টা যে কিছুদিন এর মধ্যে আমাদের দেশে কিরকম ভাবে আক্রান্ত এর সংখ্যা বাড়বে (বা কমবে) ... ...
চিঁড়ের টিআরপি হাই! বেচারা সাতেপাঁচে না থাকা চিঁড়ে কস্মিনকালেও ভাবেনি যে তাকে একদিন অনুপ্রবেশকারীর খাবারস্বরূপ চিহ্নিত হতে হবে। যে চিঁড়ে কিনা বাঙালির মধ্যপ্রদেশ ঠান্ডা রাখার জন্য বিখ্যাত তাকে নিয়েই আজ বাজার গরম এক মধ্যপ্রদেশীয় বিজেপি-বর্গীর কৃপায়। বর্গীটির সম্ভবত জানা নাই যে বাঙালির সঙ্গে চিঁড়ের সম্পর্ক আজকের নয়। ... ...
চৈত মাসের সাত-সকালে দোচালা ঘর থেকে বেরিয়ে উঠোনে দাঁড়াতেই গফুরের চোখে পড়ে দিগন্ত বিস্তৃত জলরাশি; খাঁ খাঁ রোদ্দুরে স্বচ্ছ জলরাশি সফেদ বর্ণ ধারণ করেছে। হালকা বাতাসে জলরাশিতে মৃদু ঢেউ গফুরের মনে অতীতের অনেক স্মৃতি দোলা দিয়ে যায়। দশ বছর আগেও এখানে চোখে পড়ত আদিগন্ত সবুজের সমারোহ। সাতক্ষীরা থেকে শ্যামনগরগামী পাকা-সড়ক লাগোয়া ফুলেশ্বরী গ্রামে দুই বিঘে জমিতে গফুরের পৈত্রিক ভিটে ছিল। ... ...
গুগুল কোয়াণ্টাম নিয়ে কী এমন লেখা বার করল যাতে সারা প্রযুক্তি জগতে আলোড়ন লেগে গেল? আই বি এম খামোকা বাগড়া দিল কেন? কোয়াণ্টাম তত্ব কি? কোয়াণ্টাম তত্ত্বের জন্ম কি করে হল? কোয়াণ্টাম আধিপত্য (কোয়াণতাম সুপ্রিম্যসি) কি? কোয়াণ্টাম কম্পিউটার তৈরী করা সম্ভব? এ নিয়ে আমার দু পয়সা (দ্বিতীয় পর্ব) ... ...
ব্যাপারটা কী ভীষণ বিপজ্জনক, আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপের হাত ধরে মেটা, সম্ভবত ৯০% ভারতীয়ের কাছে পৌঁছে গেছে। এবং নিজেদের এরা বাকস্বাধীনতা, এবং সামাজিক ন্যায়ের ধর্মযোদ্ধা হিসেবে চিহ্নিত করে, যে মতাদর্শে বিশ্বজুড়ে বহু মানুষকে প্রভাবিত করতেও সক্ষম হয়েছে। যেমন, ন্যায়বিচারের পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে এরা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সরিয়ে দিয়েছে সামাজিক মাধ্যম থেকে। কিন্তু এখন, এতদিনের সন্দেহের পর, যদি, সত্যিই দেখা যায়, কিছু লোক, স্রেফ রাজনৈতিক কারণে, গোটা সামাজিক মাধ্যম জুড়েই অতিরিক্ত এবং অপার ক্ষমতা পেয়ে চলেছেন, তাহলে প্রায় নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়, সামাজিক মাধ্যম ন্যায়বিচারের পরাকাষ্ঠা নয়, বরং নির্দিষ্ট মতাদর্শের প্রচার ও প্রসারে, এবং বাকিদের কণ্ঠরোধ করতেই ব্যস্ত, আর সমস্ত একনায়কের মতো। ইতিপূর্বের সব একনায়কদের সঙ্গে এদের একটাই তফাত, তা হল, এদের হাতে আছে বিপুল ক্ষমতা, যা রোম থেকে চিলে পর্যন্ত, আজ পর্যন্ত কোনো একনায়ক অর্জন করতে পারেননি। ... ...