গুগুল কোয়াণ্টাম নিয়ে কি এমন লেখা বার করল যাতে সারা প্রযুক্তি জগতে আলোড়ন লেগে গেল? আই বি এম খামোকা বাগড়া দিল কেন? কোয়াণ্টাম তত্ত্ব কি? কোয়াণ্টাম তত্ত্বের জন্ম কি করে হল? কোয়াণ্টাম আধিপত্য (কোয়ান্টাম সুপ্রিমেসি) কি? কোয়াণ্টাম কম্পিউটার তৈরী করা সম্ভব? এ নিয়ে আমার দু পয়সা। ( প্রথম পর্ব) ... ...
শুন শুন ভক্তজন, শুন দিয়া মন। দেবী প্রশমনী কথা করিনু বর্ণন।। শুনিতে বসিবে কথা ক্ষারজল হাতে । রাখিবে দূরত্ব একে অপরের সাথে।। ... ...
[৭] অপরাবিদ্যাশেষ করার আগে জরুরি কথাগুলো আর একবার সারসংক্ষেপ করে বলি। ধর্মীয় আধ্যাত্মিক ধারণাগুলো কেন বিজ্ঞানের খাতায় পাওয়া যাবে না—বুঝে নেবার জন্য। ধর্ম এবং অধ্যাত্মবাদের তুলনায় বিজ্ঞান খুবই দুর্বল এবং ভিরু প্রকৃতির। ঈশ্বর আত্মা পরমাত্মা পুনর্জন্ম ব্রহ্ম জাতীয় অত্যন্ত গুরুগম্ভীর জটিল জিনিসগুলি প্রমাণ করার মতো মালমশলা বা সাহস কোনোটাই এর নেই। এটা তার নিতান্তই সীমাবদ্ধতা, বা অক্ষমতাও বলা যায়!ধর্ম ও আধ্যাত্মিক সাধনায় জ্ঞানলাভ করা এক দিক থেকে কত সহজ। এক একজন মুনি ঋষি সাধু সন্ত পি ... ...
পাকিস্তানীরা যাওয়ার আগে আক্ষরিক অর্থেই সমস্ত কিছু ধ্বংস করে দিয়ে গেছিল। একটা জাতি স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্ণ করছে, এটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ, কত বড় অর্জন তা আমাদের বুঝা উচিত। কত শঙ্কা, কত বাধাবিপত্তি পারি দিতে হয়েছে। ধ্বংস হয়ে যাবে, হারিয়ে যাবে, ভারত নিয়ে নিবে, পাকিস্তানের হাত থেকে ভরতের খপ্পরে পড়ল বাঙালি, এদের দিয়ে কিচ্ছু হবে না, ঋণের তলেই অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে যাবে, এরা খেলাধুলা পারে না, দুর্বল জাতি, অপুষ্টিতেই বেশি ভুগে এরা, বন্যায় শেষ করে দিবে এদের, এত জনসংখ্যা এদের যে এর চাপেই শেষ হয়ে যাবে এমন হাজারো কথা বলা হয়েছে আমাদের নিয়ে। পঞ্চাশ বছর, কী অপূর্ব একটা মুহূর্ত! আমরা আমাদের পরিচয় দিতে পারি এখন। কত কমতি আছে তার হিসাব না হয় আজকে আর নাই নিলাম। কোথা থেকে কোথায় আসছি তার দিকে কি নজর দিব না আমরা? ধ্বংসস্তূপ থেকে ফিনিক্স পাখির মত উত্থান না আমাদের? যুদ্ধ পরবর্তীতে আমাদের কী ছিল? কিচ্ছু না, একেবারে খাটি বাংলায় বললে বলতে হবে যে আমাদের কিচ্ছু ছিল না, সোজা কিচ্ছু ছিল না। অর্থনীতি বলতে কিছু ছিল না। আজকে আমরা কই? আমাদের অর্জন গুলা আমরা আজকে গর্ব করে বলব না? হানাহানি, দলাদলি তো করছিই প্রতিনিয়ত, আজকেও কেন আমরা তাই করব? আজকে তো গর্বের দিন। বেঁচে থাকলে আবার হীরক জয়ন্তী করবেন, প্লাটিনাম জয়ন্তী করবেন। আজকে সুবর্ণ জয়ন্তী পেয়েছি আমরা আমাদের মাঝে, তা আমরা উদযাপন করব না? ... ...
গুগল কোয়াণ্টাম নিয়ে কী এমন লেখা বার করল যাতে প্রযুক্তি জগতে আলোড়ন লেগে গেল? আই বি এম খামোকা বাগড়া দিল কেন? কোয়াণ্টাম তত্ত্ব কি? কোয়াণ্টাম তত্ত্বের জন্ম কি করে হল? কোয়াণ্টাম আধিপত্য (কোয়াণ্টাম সুপ্রিম্যসি) কি? কোয়াণ্টাম কম্পিউটার তৈরী করা সম্ভব? এ নিয়ে আমার দু পয়সা ( শেষ পর্ব) ... ...
গপ্পো - ক্রমে ক্রমে ঘ্যাঁঘাবাবু আড়াই বছরের হইল। ডারউইনের থিয়োরি অনুসরণ করিয়া কথাও বলিতে শিখল। তাহা শুনিয়া বাড়ির লোকেরা ধন্য মানিল। এমন নহে যে, এতাবৎকাল সে কথা বলিত না। তবে তৎকালে সে ঘ্যাঁঘাভাষায় কথা বলিত। সে কথা কেবল ঘ্যাঁঘা ঘেঁঘীরাই বুঝিতে পারিত। ... ...
আমার আগের ব্লগ "কয়েক দশকে সঙ্ঘ ভেঙ্গে যায়?" এর সূতোয় পাঠক রমিত প্রশ্ন করেছিলেন আজকাল সেভাবে তারকা আর দেখা যায় না কেন? ওনাকে জানিয়েছিলাম এ বিষয়ে আমার কিছু চিন্তাভাবনা আছে যা নিয়ে পরবর্তী ব্লগে লিখব। সেই বিষয় নিয়েই আমার ভাবনা চিন্তাকে সংহত করার প্রয়াস রাখলাম এই কিস্তিতে। রমিতকে ধন্যবাদ বিষয়টি উস্কে দেওয়ার জন্য। ... ...
এই যে বৈদিক সাহিত্যর কথা আমরা বলি, কি কি তার উপাদান? কবে রচিত হয়েছিল বিভিন্ন সংহিতা, ব্রাহ্মণ, আরণ্যক, উপনিষদ, বেদাঙ্গ, পুরাণ, তন্ত্রসাহিত্য ? মহাকাব্যগুলি কোন সময়ের রচনা আর ধ্রুপদী সংস্কৃত সাহিত্যের সূচনাই বা কবে ? ... ...
ডিপ্রেশন মানেই জীবন শেষ করে দেওয়া নয়। বিশ্বাস করুন, পৃথিবীতে এমন কেউ আছেন যিনি আপনার কথা শুনতে যান, কথা বলতে চান। তাই হয়তো নতুন এক শব্দের কয়েনেজ “4 a.m friend”… হ্যাঁ, এমন একজনকেই চাই যাকে রাত বিরেতে উঠিয়ে বলতে পারি, হ্যালো, আমি আজ ভালো নেই। কথা বলতে পারি… হয়তো তাহলে ডিপ্রেশন কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারব। সুশান্তের পাশে কাল কেউ ছিলনা…তাই হয়তো ওকে এভাবেই চলে যেতে হলো… ... ...
গল্প কথা ... ...
আমি মরে গেলে, আপনি মরে গেলে এভাবেই নিঃশব্দে নিঃসঙ্গতম অন্ধকারে হারিয়ে যাব। কিন্তু যদি কোনোক্রমে বেঁচে যাই, মহামারি থেকে শিক্ষা নেব তো? ভেবে দেখা যাক। ... ...
রাজধানীতে প্রতিবাদী কৃষক ও সরকারের মধ্যে অষ্টম দফার বৈঠকও ( শুক্রবার ৮,জানুরারি,২০২১) ব্যর্থ। এই আইন নিয়ে কেন্দ্রকে তুলোধোনা করে সরব হয়েছে নেটিজেনদের একাংশ। চলছে তর্ক-বিতর্ক। এসবের মধ্যেই কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে এবার পথে নামছে শ্রীরামপুরের নাগরিক সমাজ। আগামী ১৩ জানুয়ারি শ্রীরামপুর শহরে বিভিন্ন বাজারে প্রচারপত্র বিলি করা হবে। ২০ জানুয়ারি পথে নামবে সাধারণ মানুষ। ... ...
খ্রীষ্টপূর্ব দেড় হাজার বছর আগে থেকে খ্রীষ্টের জন্মের পরে প্রায় আরো এক হাজার বছর পর্যন্ত ভারতের লোহা এবং তার বানানোর জ্ঞান-জন্মি একদম স্টেট অব্ দ্যা আর্ট ছিল। অনেক বিষয়ে ভারতে সেই সব পৃথিবীতে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল। মিশরের পাবলিক যে সব মন্দির, পিরামিড এই সব বানিয়ে তাতে হেয়ারোগ্লিফিক্স নাকি কি সব দিয়ে ঢেকে দিয়েছিল, সেই সব বানাতে যে যন্ত্রপাতি ইত্যাদি লেগেছিল তা বানাতে নাকি ব্যবহার করা হয়েছিল ভারতীয় ইস্পাত। বলা হয়ে থাকে যে সেই সময়ে ভারত ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোন সভ্যতায় এমন লিখিত প্রমাণ পাওয়া যায় নি যে তারা ভারতের মতন এত উন্নত মানের ইস্পাত তৈরী করতে পারত। সেই সময়কার গ্রীক এবং ল্যাটিন লেখা লিখি পড়লে এটা বোঝা যায় যে এই লোহা-ইস্পাত ইত্যাদির ডিটেলস্ সম্পর্কে তারা বেশ অজ্ঞই ছিল। অবশ্যই তারা জানত কি ভাবে লোহা-ইস্পাত ব্যবহার করতে হয়, কিন্তু কি ভাবে লৌহ আকরিক থেকে লোহা নিষ্কাষণ করে তার থেকে ইস্পাত ইত্যাদি বানাতে হয় সেই সম্পর্কে তারা তেমন কিছু জানত না। ... ...
বিজ্ঞান গবেষণার অন্তর্লীন সুরটাই হল ক্রমাগত আত্মসংশোধন। বিজ্ঞান নিজের ভুল নিজেই শুধরে চলে। তাতে তার মহত্ব খর্ব হয় না, বরং আরও বাড়ে। আমরা যারা এই প্রসেসটার বাইরে তারা মধ্যে মধ্যে বিরক্ত হই। এ কি রে বাবা, আজ বলে ডিম খেও না, কাল বলে খাও। আজ বলে মানুষ থেকে মানুষে করোনা ছড়ায় না, কাল বলে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখো।এরা বৈজ্ঞানিক না পাগল! আসলে এই ক্রমসংশোধনের নামই বিজ্ঞান। যদি পরিবর্তিত, সংশোধিত না হত, তবে সে আর স্বচ্ছতোয়া স্রোতস্বিণী থাকত না, সংস্কারের বদ্ধ জলায় পরিণত হত। ... ...
"যে দেশে এক্কেবারে চলতি ভাষাতেই টুরিস্টকে বলা হয় ‘মুসাফির’ তার রোদ্দুর তো আলাদা হবেই।" - আর যে বইয়ের শুরু এমন আশ্চর্য বাক্য দিয়ে, তার কাছে পাঠকের প্রত্যাশা ভিন্ন হতে বাধ্য। এই বাক্য অতিক্রম করে, ফয়েজ-এর অসামান্য কটি পংক্তি পার হয়ে আমরা পৌঁছোই এক তরুণী কবির মৃত্যুতে - দুর্ঘটনায় মৃত্যু - যে কবির কবিতা লেখক আবিষ্কার করেন খাস ওয়াশিংটন ডিসি-তে বসে - মার্কিন দেশ ও ইরান!!! ... ...
ছবিতে আর কতটুকু বোঝা যায়। সাউন্ডস্কেপ হাজির করা গেলে হয়তো ভাল হত। জনতা কারফিউয়ের সকালকার কলকাতার যে রূপ দেখলাম, কোনও দিনই তা দেখি নি। আমার বাবারা কোল্ড ওয়ার, নকশালবাড়ি প্রজন্ম– মানুষী সভ্যতার একেবারে তুঙ্গ ক্লাইম্যাক্স। মৃদু হেসে বলা যায়, ওঁরাও ওঁদের যৌবনে দেখেন নি। ... ...
সময়টা ২০০২। তখন কলেজের বেশ কয়েকজন বন্ধুবান্ধবের মতো আমিও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পর এম.বি.এ. করার কথা ভাবছি। চাঁদা তুলে পোস্টাল কোচিং-এ এনরোলমেন্ট, জেরক্স করে স্টাডি মেটিরিয়াল ভাগ করা, দল বেঁধে পেপার সলভ্, গ্রুপ-ডিসকাসন চলছে। ... ...
সেই জানার ভিত্তিতে আজ বোধ হয় বলতে পারি, স্বাধীনতা উত্তরকালে সমস্ত দেশ জুড়ে এত বৃহদাকার ঐক্যবদ্ধ গণ আন্দোলন আর হয়নি। ১৯৭৪ সালের ২২ দিনের রেল ধর্মঘট মাথায় রেখেও বলছি। দেশ ব্যাপী রেল সংযোগের কারণেই সেই সংযোগ হারিয়ে সারা দেশ উত্তাল হয়েছিল। রেল কলোনিগুলিতে এক দিকে চলেছিল জিআরপি সিআরপিএফ প্যারামিলিটারি পুলিশের দাপাদাপি, রেলের কর্মচারীদের ঘর থেকে টেনে তুলে নিয়ে গাড়ি চালানোর চেষ্টা। অপরদিকে ঘর ছাড়া পলাতক রেল কর্মীদের সঙ্গে আমাদের রাতের অন্ধকারে সাইকেলে বা পায়ে হেঁটে গোপন ডেরায় গিয়ে গিয়ে যোগাযোগ স্থাপন, খবরের লেনদেন, অভুক্তদের খাদ্য পানীয় বিতরণ। সেই সব দিনের সেই গরম রক্তের চাষ উঠতি যৌবনে আমাদের অনেককেই স-মগজ মেরুদণ্ডী করে তুলেছিল। ... ...