করোনাকালীন ধারাবাহিক - সাদাটে একটা আলো ঘুরছিল। গোল করে ঘুরতে ঘুরতে মিলিয়ে যাচ্ছে।কোথা থেকে শুরু কোথা থেকে শেষ, কিছুই বোঝা যায় না। তীব্রতা মাঝেমাঝেই বেড়ে যাচ্ছে ।আবার খুব কমে যাচ্ছে।একটা ঝিঁঝির ডাকের মত যেন।সামনে কী ঠিক বোঝা যাচ্ছে না।মাঝেমাঝে বিদ্যুতের চমক যেন।চিড়িক দিচ্ছে মাথার ভিতর। সঙ্গে সঙ্গে চোখে যন্ত্রণা ।হাত পায়ে জোর নেই কোনো। পাশ ফেরার ক্ষমতাহীন। ... ...
আগে যাঁরা ভাগাড়পাড়া স্কুলের গল্প পড়েছেন তাঁদের অনেক জায়গাই রিপীটেশান মনে হবে। বস্তুত ঐটা আর এদিক ওদিক লেখা আরো কিছু কুড়িয়ে বাড়িয়েই এটা চলবে। আরেকবার ফিরেদেখা। কেউ যদি পড়ে মন্তব্য করেন সম্ভবতঃ উত্তর দেব না, কারণ এটা আমার নিজের জন্যই নিজের সাথে কথা বলা। আগাম মাপ চেয়ে রাখলাম। ... ...
আমাদের যেতে হবে আরও দু’কোশ পথ। এর মধ্যে যত গাঁয়ের পাশ দিয়ে যাচ্ছি সেখান থেকে ভিড় এসে মিছিলে পা মেলাচ্ছে। কেউ কেউ চালির উপরে ফুল ছড়িয়ে দিচ্ছে। কাল রাত্তিরে বৃষ্টি হয়ে রাস্তায় একটু কাদা। এখন মেঘলা আকাশের ফাঁক দিয়ে কড়া রোদ্দূর । আমাদের পিঠে কপালে চিট চিট করছে ঘাম। কিন্তু আমরা তোয়াক্কা করছি না । এখনও অনেক পথ বাকি। আমার চোখে জল নেই। আমি জানি যে রমেনের আর কিছু চাওয়ার ছিল না । ... ...
করোনার আম্ফান পরবর্তী দিন ... ...
আমষ্টারডামে ট্যুরিজিমের সমীক্ষায় দেখা গেছে এই শহরে বাইরের দেশ থেকে যে সব পর্যটকেরা আসেন তাঁদের থাকার মেয়াদ গড়ে মোটামুটি ৩ থেকে ৪ রাত। তো এত কম সময়ের মধ্যে রেড লাইট ডিষ্ট্রিক্ট সম্পর্কে বিশাল কিছু জ্ঞান সঞ্চয় করা সম্ভব নয় যদি না আগে থেকে এই বিষয়ে ইন্টারেষ্ট নিয়ে পড়াশুনা করে থাকেন। হাতে খুব বেশী ঘুরে ফিরে দেখার সময় নেই, কিন্তু এদিকে ইচ্ছে আছে আমষ্টারডামের এই বিখ্যাত এলাকার সম্পর্কে কিছু জানতে এবং ঘুরে দেখতে। তাহলে কি করবেন? বেশীর ভাগ পর্যটক যেটা করে সেটাই – একটা রেড লাইট ডিষ্ট্রিক্ট হেঁটে দেখার গাইডেড ট্যুর নিয়ে নেবেন! ... ...
জ্বরজারি, পেটখারাপ ও ডাক্তারবাবুরা; ক্যাপসুল বিপ্লব ও স্লাইস ব্রেড দাদুর দস্তানায় রায় পরিবারের এত জন সদস্য, কিন্তু সে হিসেবে অসুখ বিসুখ হত কম। সময়ে হামাদেওয়া শিশু এবং টলটল করে হাঁটা বাচ্চা প্রথমে দুই, পরে তিন হল। কয়েক বছর পরে আরো এক এবং দুই। কিন্তু ততদিনে পৃথিবী বিশেষ বদলায় নি। বাচ্চাদের হত জ্বর ও পেট খারাপ। বড়দের জ্বর; সম্ভবতঃ ওঁরা পৈটিক সমস্যা হলে নিজেরাই সমাধান খুঁজে নিতেন। ... ...
তিব্বতে বৌদ্ধ ধর্মের প্রসার শুরু হয় সপ্তম শতাব্দীতে রাজা স্রোংচান গামপোর পৃষ্ঠপোষকতায়। তারপর রাজা ত্রিসোং দেচেনের রাজত্ব কালে আচার্য শান্তরক্ষিত এবং গুরু পদ্মসম্ভবের সাহায্যে স্থাপিত হয় প্রথম মঠ - সাময়ে। তিব্বতের ইতিহাস তার আগে রহস্যাবৃত, উপকথায় ভরপুর। তিব্বতের সেই ধূসর ইতিহাস নিয়েই এই লেখা। ... ...
সপ্তম শতাব্দীর প্রথমভাগ। পরিব্রাজক হিউএন সাং বা জুয়্যাং জ্যাং পা রাখলেন ভারতের মাটিতে। এদিকে নালন্দার নাম যশ সারা পৃথিবী জুড়ে। বাংলায় রাজা শশাঙ্ক। কামরূপে ভাস্করবর্মন। ওদিকে কান্যকুব্জে শিলাদিত্য হর্ষবর্ধন। আর দক্ষিণে নর্মদার নীচে চালুক্যরাজ দ্বিতীয় পুলকেশী। সবাই নিজের নিজের রাজ্য বিস্তারে ব্যস্ত। আর মাথার ওপরের হিমালয় পার হলেই তিব্বত। সেখানেও আর এক প্রবল পরাক্রমশালী রাজা স্রোংচান গামপো। বিস্তার করে চলেছেন তিব্বত সাম্রাজ্যের। শুধু তো সাম্রাজ্য বিস্তার নয় - শিক্ষা এবং জ্ঞানের আলো নিয়ে আসছেন নিরক্ষর তিব্বতি মানুষদের মাঝে... ... ...
দুদিন পরে শংকর এসে হাজির হল আমার অস্থায়ী ডেরায়। আমার হাতের তৈরি কালো চা খেয়ে মুখ ভেটকে বলল -- সামান্য চা টাও ঠিক করে বানাতে পারিস না। তোকে নন্দিতাবৌদি আশকারা দিয়ে মাথায় তুলেছিল। পরে বুঝেছে যে এমন অপদার্থ লোককে মাথায় রাখলে বোঝা বাড়ে, তাই নামিয়ে দিয়েছে। আমি মুচকি হাসি। কিন্তু কোথায় যেন খচ্ করে লাগে ... ...
হিন্দি গদ্যরচনার একটি শ্রেষ্ঠ সাহিত্য কর্ম। ব্যঙ্গাত্মক শৈলীতে লেখা। আজও গোবলয়ের সামাজিক রাজনৈতিক মূল্যবোধে কতটু্কু পরিবর্তন হয়েছে সে বিচারের ভার পাঠকের উপরে। ... ...
ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় পার্কসার্কাসের ধাঙড় বাজারের সার্কাস হোটেল। সামনের ফুটপাথে একটা হাইড্রেন, তার থেকে মুখ খুলে হোসপাইপ লাগিয়ে কর্পোরেশনের লোক রোজ ভোরে রাস্তা ধুয়ে দেয়। সময়টা যে পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি। তোড়ে যে জল বেরিয়ে আসে তা কিন্তু গঙ্গার ঘোলা জল, আর ফুটপাথে থেকে তিন ধাপ সিঁড়ি ভেঙে বারান্দায় উঠলেই খোলা উনুন বসানো। সেখানে ঝকঝকে শিকে গেঁথে পোড়ানো হচ্ছে মশলা মাখা লালচে হলুদ রঙের মাংসের টুকরো। তৈরি হচ্ছে শিককাবাব। তার পাশেই দু'জন ময়দা মেখে লেচি বানিয়ে সেঁকছে রুমালি রুটি আর ভেজে তুলছে পরোটা। ... ...
ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুর শহরের পেনসনবাড়া এলাকায় সরকারি কোয়ার্টারের সারি। এফ ব্লকে শুধু কলেজের প্রফেসারদের দুই বেডরুমের আবাসন, সঙ্গে একটু বাগানের জায়গা। একটির গেটে লেখা - এফ/৪, শৈবলিনী চট্টোপাধ্যায়, সংস্কৃত বিভাগ। ভেতর থেকে টিভির আওয়াজ আসছে। ... ...
পিওর মালবেরী সিল্ক ছাড়াও আজকালকার গরদ শাড়ির আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল ভেলভেট পাড় - সামনের দিকে জেল্লাদার, উল্টোদিকে সামান্য ম্যাট ফিনিশ। এইরকম পাড় বুনতে গেলে ব্যবহার করতে হয় ৪*১ ট্যুইল টেকনিক। মজার কথা হল কোভিড পূর্ব সময়ে যা আমার এবং আরও অনেক মেয়ের প্রায় জাতীয় পোশাক ছিল অর্থাৎ ডেনিম জিন্স- তা বোনা হয় এই ট্যুইল পদ্ধতিতে; আবার পুজোর সময় যখন হাজার আলসেমি অনায়াসে কাটিয়ে আলমারিতে মা-জেঠিমার গরদের দিকে চোখ যায়- সেখানেও এই একই বয়নপদ্ধতির ছোঁয়া! ... ...
আম্ফান পরবর্তী করোনাকালীন -- স্কুটি গ্যারাজ করে অদিতি দোতলার দিকে তাকালো। গোল বারান্দা ঘেরা বাবার বেডরুমে এখনো আলো জ্বলছে। অচ্যুত শিবরামণ অনেক রাত পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। আবার উঠেও পড়েন ভোরে। সামনে বাগানে জল দেন। তারপর প্রাণায়াম ইত্যাদি । জগিং সেরে এসে তিনি স্টাডিতে ঢুকে যান ।সেখানেই তাঁর ব্রেকফাস্ট পৌঁছে যায় ।কিন্তু কোভিডকালে তাঁর জগিং বন্ধ। বাগানের পরিচর্যায় অনেকটা সময় কাটান তিনি।কোনো মালি নেই। ... ...