আমি গত ১৭ জানুয়ারি ‘গুরুচণ্ডাঌ’ ব্লগ সাইটে একটি লেখা লিখেছিলাম কোভিড-অস্বীকারপন্থী এবং ভ্যাকসিন-বিরোধী ভুয়ো গুজব ও হিড়িকের বিরুদ্ধে, কিঞ্চিৎ বিরক্ত হয়েই। ‘চারনম্বরপ্ল্যাটফর্ম’-এ যে এর বিরুদ্ধে জ্বালাময়ী ভাষায় একটি লেখা বেরিয়েছে, আমি তা মোটেই টের পাইনি, কয়েকদিন আগে আমার বন্ধুরা সে দিকে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করার আগে পর্যন্ত। লেখাটি লিখেছেন জনৈক চিকিৎসক, আমার অপরিচিত। লেখাটির মধ্যে ‘সাত জার্মান, জগাই একা, তবুও জগাই লড়ে’ গোত্রের বেশ এক রকমের একটা বীরত্বব্যঞ্জক ভঙ্গি আছে। তাবৎ বিশ্বের বিলিয়নেয়ার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তা, বড় বড় ওষুধ কোম্পানির মালিক আর পৃথিবীর সমস্ত দেশের সরকারি স্বাস্থ্য-কর্তারা সব একযোগে ভ্যাকসিনের সিরিঞ্জ উঁচিয়ে তেড়ে আসছে, আর তিনি ষড়যন্ত্র-তত্ত্বের ছাতার বাঁট বাগিয়ে একা লড়ে যাচ্ছেন, এই রকম আর কি! সে লেখার প্রেক্ষিতেই, আমার এই জবাব। ... ...
নিছক আবেগ না। তখন প্রশ্নটা ছিল পেটে লাথি খাওয়ার। জীবন জীবিকার প্রশ্ন। রাষ্ট্র ভাষা উর্দু হলে কি হবে তা দেশ ভাগের অল্প দিনেই বুঝে গিয়েছিল বাঙালী। তাই আবেগের প্রশ্ন ছিল না, ছিল জীবনের প্রশ্ন। তৎকালীন বিচার বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ সবাই বুঝে গিয়েছিল উর্দু রাষ্ট্র ভাষা হলে এই জীবনে আর পাকিস্তানের সাথে পেরে উঠা যাবে না। দেশ ভাগের পরেই যখন মানি অর্ডার ফরম, ডাক স্ট্যাম্প, চিঠির খাম সব উর্দু ভাষায় এসে হাজির হল তখনই বুঝা হয়ে গিয়েছিল উর্দু রাষ্ট্র ভাষা হলে আসলে কত বড় সর্বনাশ হবে। তাই ভাষা আন্দোলন ছাত্রদের আন্দোলন ছিল না। ছিল জনগণের আন্দোলন, যার নেতৃত্ব দিয়েছিল ছাত্ররা। তাই শহিদের তালিকায় এক বরকত ছাড়া আর কাওকে ছাত্র খুঁজে পাই না, সবাই কর্মজীবী, খেটে খাওয়া মানুষ। ... ...
মাতৃভাষা দিবস এবং তার উৎসব, পুজো এখন একটা নেশা। জীবনের সঙ্গে, জীবনের গল্পের সঙ্গে, বাস্তব জগতের সঙ্গে সম্পর্কবিহীন। ... ...
ঘনাদা থুড়ি বেণুদা তখন বলছেন রিঙ্কুর সাথে তাঁর প্রেমের গল্প। ‘বুzলেন আমি তো মুসলমান আর ও হিন্দু, তা রেজেস্ট্রি করেসি, হিন্দুমতে আর মুসলমান মতেও বিয়ে করেসি। তিনবার বিয়ে করেসি। তা হিন্দু বিয়ায় জিগ্যাস করে গোত্র কী? আমি বলে দিসি হিমু গোত্র। পুরুতেও বিয়া পড়ায় দিসে।‘ ... ...
কৈশোর থেকে যৌবনের উড়াল। বদলে যায় পরিবেশ। বদলে যায় স্বজন-বান্ধব-পরিচিতি। বদলে যায় সময়। বদলে যায় জীবন, পুর্ব-লালিত ধ্যান ধারণা। সবার নয়, কারোর কারোর। এ বদলের ছাপ আবার সবসময় বাইরে পড়ে না। তাই আশেপাশের অজান্তেই ঘটে যায় অদল-বদল। আর কখনো কখনো এই বদলের কেন্দ্রে থাকে একটি জড়বস্তু। একটি শিক্ষাস্থান। খিড়কী থেকে সিংহদুয়ারের জীবনে খোলা হাওয়া। বদলের ক্যাটালিস্টও। জীবনে বদলই ধ্রুব। জ্ঞানীরা তাই বলেন। তবু কতটা সহজ হয় এই অন্তর-যাত্রা? কতটা মূল্য দিতে হয়? ... ...
টুরিস্ট-ম্যাপের বাইরে অজানা এক জায়গায় হানা দেওয়ার কাহিনী... ... ...
বইয়ের রিভিউ ফেসবুকে কীভাবে লিখবেন (অথবা লিখবেন না)। ... ...
কেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় বাঙালির এতো প্রিয়? ... ...
কৈশোর থেকে যৌবনের উড়াল। বদলে যায় পরিবেশ। বদলে যায় স্বজন-বান্ধব-পরিচিতি। বদলে যায় সময়। বদলে যায় জীবন, পুর্ব-লালিত ধ্যান ধারণা। সবার নয়, কারোর কারোর। এ বদলের ছাপ আবার সবসময় বাইরে পড়ে না। তাই আশেপাশের অজান্তেই ঘটে যায় অদল-বদল। আর কখনো কখনো এই বদলের কেন্দ্রে থাকে একটি জড়বস্তু। একটি শিক্ষাস্থান। খিড়কী থেকে সিংহদুয়ারের জীবনে খোলা হাওয়া। বদলের ক্যাটালিস্টও। জীবনে বদলই ধ্রুব। জ্ঞানীরা তাই বলেন। তবু কতটা সহজ হয় এই অন্তর-যাত্রা? কতটা মূল্য দিতে হয়? ... ...
মজুমদার মশাই সেদিন নাস্তানাবুদ হয়ে গিয়েছিলেন দুই সুন্দরী শিল্পীকে বোঝাতে 'হেথা শুধু বাণী... দরশ নাহি জানি'। তবে ওই এক অনুষ্ঠানে ওনার নিশ্চয়ই পদোন্নতি নিশ্চিত হয়েছিল ... ...
চাইলেই গেরুয়া পরা যায় না। রামকৃষ্ণ মিশনে পড়ার সুবাদে দেখেছি প্রথম স্তরে ব্রহ্মচারীরা সাদা পরতেন। সেখান থেকে গেরুয়ায় উত্তরণের জন্য পরিশ্রম করতে হত। ঐতিহাসিকভাবে গেরুয়া বসনের উৎস যেটুকু শুনেছি তা হল- সংসারত্যাগী সন্ন্যাসী বা ভিক্ষুরা কোনো মূল্যবান বস্তু এমনকি সাধারণ বস্ত্রও উপহার নিতে পারতেন না গৃহীদের কাছ থেকে। পরিত্যক্ত বস্ত্র সংগ্রহ করে মাটি দিয়ে রঙ করে পরতে হত। সেখান থেকেই গৈরিক রঙের জন্ম। গিরিমাটির রঙকে গৈরিক বলা হত। ... ...
ফচকেমির গল্প ... ...
ফচকেমির গল্প ... ...
ফচকেমির গল্প... ... ...
আর সে কারণেই এই পরিবারটি থাকেন ছায়াবৎ। কলকাতার হু'জ হুদের দরবারে তাঁদের তেমন ছায়া পড়ে না। হুগলি জেলার ইতিহাসেও ঠাঁই মেলে না এই প্রবাসী পরিবারের। উত্তরাখন্ডের কলোনিয়ান মেমরিতে এক সামান্য স্কুল মাস্টারের বা তাদের মেয়ের কথা ধরা পড়ার কোন কারণ নেই। আবার উত্তরাখন্ডের ক্রিশ্চিয়ান ইতিহাস যখন লেখা হয় তখনও সেখানে স্থানীয়দের ঠেলায় মিশনের কর্মী বাঙ্গালী পরিবারটি জায়গা পান না। সময়ের ঘুর্ণিতে হারিয়ে যাওয়াই তাঁদের ভবিতব্য। ... ...
আবাসনের গেট দিয়ে গাড়ি করে বেরোনর সময় সুবীর দেখতে পেলেন লোকটাকে। গেটের ঠিক বাইরে। জিন্স আর রঙচটা জামা পরা, মুখে দাড়ি, চোখে একটা হিংস্র ভাব। কালকেও ছিল। কে লোকটা? কী চায়? সুবীর ড্রাইভারকে গাড়ি থামাতে বললেন। গাড়ির কাচ নামিয়ে হাত দিয়ে সিকিউরিটির ছেলেটাকে ডাকলেন। বাইরের গরম হাওয়া ঢুকে পড়ল খানিকটা। ছেলেটি কাছে আসতে সুবীর একটু চাপা গলায় জিজ্ঞেস করলেন, “এই লোকটাকে দেখছি রোজ ঘুরঘুর করছে। কে লোকটা জানো? এখানে কী করছে?” সিকিউরিটির ছেলেটি একটু এদিক ওদিক তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে, “কোন লোকটা স্যার?” সুবীর গেটের দিকে তাকিয়ে দেখেন সেখানে কেউ নেই। বোধহয় সুবীরকে সিকিউরিটি ডাকতে দেখে সরে পড়েছে। ব্যাপারটা আরো সন্দেহজনক। ... ...
এই বোরখা হিজাব নিয়ে নতুন তাণ্ডব ঠিক এখনই কেন? ... ...
লতা মঙ্গেশকর -- বিশাল মাপের এক শিল্পী চলে গেলেন। তাঁকে শেষ বিদায় ও শ্রদ্ধা জানালাম। এবং তার পরে কয়েকটা "শাস্তিযোগ্য" কথা লিখলাম। ... ...
দুপুরে কলকাতার এক সিনেমা হলের বাইরে খবরের কাগজ নিয়ে গিয়ে দাঁড়িয়ে রইল শিবরাম। কোন চেঁচানো না, কোন তোষামোদ না। কেবল দাঁড়িয়ে এদিক ওদিক তাকাতে থাকল সে। তাকে দেখে মনে হচ্ছে সে কারোর অপেক্ষা করছে গভীর আগ্রহে। ... ...