হিন্দি থেকে অনুবাদ তো ! দেখুন যদি পড়া-টড়া যায় ! ... ...
১৯১৯ এর ৩১ আগস্ট অবিভক্ত ভারতের গুজরানওয়ালাতে (হ্যাঁ, এই জায়গাটি ইদানিং বিলেতের অধুনা বিখ্যাত 'ভারতীয়' প্রধানের পূর্বপুরুষের ভিটের জন্য পরিচিত হয়ে উঠেছে) জন্মেছিলেন অমৃতা। চলে গিয়েছিলেন আরেক ৩১ এ, ২০০৫ এ। ঠিক গত পরশু দিনই। ৯৬ বছরের ইমরোজ আজও জীবিত। দিল্লিতে সেই ছোট্ট ফ্ল্যাটের পরিসরে, একান্ত নিজস্ব এক অমৃতাকে ঘিরে বাঁচেন তিনি। কবি -লেখিকা - নারীবাদী আইকন অমৃতা হিসেবে পাঠক-ভক্তের মধ্যে অনির্বাণ রইলেও ইমরোজের সমগ্রতায়, ইমরোজের ফ্ল্যাটের অসংখ্য ছবিতে রয়ে যাওয়া অমৃতা আসলে ছিলেন এক প্রাণবতী ঝর্ণা। যে নির্ঝরের সকল অভিমুখে উপলসম বুক পেতে অনিঃশেষ প্রেম নিয়ে ৭টি দশক ধরে অবিচল হয়ে আছেন ইমরোজ, আজও রোজ…। ... ...
ফিরিয়ে আনলুম 'আবার এসেছি ফিরে' পত্রিকার সম্পাদক মশায়কে যিনি করোনায় মারা গেছেন ... ...
মেঘনাদ সাহা চমৎকৃত বাঘা যতীনের কথা শুনে। এই ফলসার রঙ এবং বাঘের গড়াগড়ি খাওয়া তাঁর পরবর্তী গবেষণা জীবনে অনেক প্রভাব ফেলবে। রঙ এবং তাদের স্পেকট্রাম নিয়ে তাঁর ভলোবাসার শুরু সেই বাঘাদার গল্পের হাত ধরেই বলতে গেলে। এর অনেক পরে নক্ষত্র থেকে বিচ্ছুৎ রশ্মি নিয়ে যে যুগান্তকারী গবেষণা করবেন – কি স্পেকট্রা থেকে কি রঙ জুড়ে আছে সেই সব তিনি ডিকোড করবেন ধীরে ধীরে। এই নিয়ে পরে লিখছি, তবে এটা বলে নিই, সেদিন ফলসার রঙ, ওই যে বেগুনী, বাদামী, হালকা নীল – এই সব মিশে থাকা – এটা তাঁকে এর আকৃষ্ট করেছিল যে রশ্মির মুগ্ধতা থেকে আর বেরুতে পারেন নি। ... ...
সেদিনের অনুষ্ঠানে শচীন দেব গান গাইতে উঠলেন। রবি বাবুর ততক্ষণে চলে যাবার কথা, আর শচীন দেব সরাসরি গ্রীন রুম থেকে এলেন বলে তিনি আর খেয়াল করেন নি শ্রোতাদের মধ্যে রবি ঠাকুর বসে আছেন। গান শুরু হল – শচীন দেব সেদিন গাইলেন ঠুমরি। সেই কি গাইলেন – পুরো অনুষ্ঠান শেষ হলে শচীন দেব পেয়েছিলেন গোল্ড মেডেল। রবি বাবু খুব মন দিয়ে গান শুনছিলেন – মজে গিয়েছিলেন, একসময় জিজ্ঞেস করলেন, " হ্যাঁরে, দিনু, ছেলেটা কে রে? ভারী সুন্দর গাইছে তো।" ... ...
পাড়ায় দোকান NiA’র আর নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য UAPA: এমনটাই দীর্ঘদিন ধরে অলিখিত ভাবে চলতে চলতে আজ স্বাভাবিকে পরিণত হয়েছে যেন; দেশের দারিদ্র্যসীমা ও বেকারত্ব যতোই বেড়েছে ততোই মানুষ জলের মত পরিস্কার দেখেছে শাসকদলের আঞ্চলিক নেতৃত্বের ভালোমুখোষের পেছনে লুকানো দুর্নীতিক শ্রেণীচরিত্র। আর সেই দুর্নীতিকে হাত করে কেন্দ্রীয় সংস্থা গুলির বাড়বাড়ন্ত, বিচারের নামে টালবাহানা; সন্ত্রাস দমনের নামে, প্রতিবাদী শ্রমজীবী মানুষকে হাজত বন্দী করার কৌশলগুলো। যার মধ্যে 'ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি’র বহর অন্য মাত্রায় পৌঁছেছে বর্তমানে দেশের সমস্ত রাজ্যেই। যা খানিক আলাদা ইডি এবং সিবিআই, বাকি দুই কেন্দ্রীয় এজেন্সির তুলনায়। কেন্দ্রের আরএসএস বিজেপি সরকার খোলাখুলি ছেড়ে দিয়েছে গরুর মতন এই সংস্থাকে, ঘাস খেতে। এর মধ্যে ... ...
দম বন্ধ করে, দাঁত চেপে দেখে শেষ করলাম নতুন করে বানানো ক্লাসিক 'অল কোয়ায়েট অন দা ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট'। এরিক মারিয়া রেমার্কের অসাধারণ এই উপন্যাস অবলম্বনে এর আগে আরও দুইবার সিনেমা বানানো হয়েছে। ১৯৩০ সালের সিনেমাটা দুর্দান্ত ছিল। এবারের সিনেমা নেটফ্লিক্স তৈরি করেছে এবং অসাধারণ ভাবেই তৈরি করেছে। এই সিনেমা নেটফ্লিক্স কেন হলে মুক্তি দিল না তা আমার ঠিক বুঝে আসল না। এই বছরের অন্যতম সেরা সিনেমা এইটা। অস্কারের জন্য যোগ্য দাবিদার হতে পারত কোন সন্দেহ ছাড়াই। একাডেমী অ্যাওয়ার্ডের নিয়ম অনুযায়ী মনোনয়ন পেতে হলে সিনেমাকে অবশ্যই হলে মুক্তি দিতে হবে এবং কয়েক সপ্তাহ অন্তত চলতে হবে। সেই সূত্রে অল কোয়ায়েট অন দা ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট অস্কারের জন্য মনোনীত হবে না হয়ত। ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ক্যাটাগরির নিয়ম জানা নাই, আইএমডিবির তথ্য অনুযায়ী এইটা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ক্যাটাগরিতে এবারের জার্মান মনোনয়ন অস্কারের জন্য। অস্কারের ছোট্ট তালিকায় জায়গা পেলে আমি অবাক হব না, বরং খুশিই হব। ... ...
বেশ ক'বছর আগের কথা। স্কুল যাচ্ছি, এমন সময় পথে এক পুরনো ছাত্রের ফোন। সে বেশ ভালো ছাত্র হিসেবেই স্কুলে পরিচিত ছিল। "ম্যাম, প্রাইমারিতে আমার চাকরি হয়ে যাবে। কিন্তু ফোন করে ...এত লক্ষ টাকা চাইছে। ... বাবা বলছে জমি-জিরেত বিক্রি করে হলেও সরকারি চাকরি নিয়ে নিতে। কিন্তু আমার বাবার যে ওইটুকুই আছে..। ম্যাম, একটু বলবেন আমি কি করবো???..." ... ...
আমি তো এসেছি হারিয়ে যাওয়া গল্প খুঁজতে। তার ভেতর কেমন পাশ কাটিয়ে এর ওর ফাঁক গলে এই গল্পটা ঢুকে পড়েছে।তা পড়ুক, ওকে আমার দরকার নেই তেমন, তাই ওকে ফসকান্তি করে সরিয়ে দিলাম। দরকার হলে আবার টেনে আনলেই হবে। পিসির বাড়ির বার দরজায় দাঁড়িয়ে গল্পটার আগের অংশটা ঝালিয়ে নিলাম। সেই যে এক মধুসূদনটাইপ মামা আমার সারাজীবনের ভয় ভাঙালেন, তারপর আমি একেবারে বাঁধা গরু ছাড়া পেলাম যেন। ... ...
জাঁ জেনে পড়ার পর ... ...
পুজো বয়সের সঙ্গে কেন যে হারিয়ে যায় ... ...
শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের প্রেমের কবিতাগুলোর কেন্দ্রে যে যুবতী ... ...
জেমস জয়েসের প্রেমপত্র । কী বলব ? বিখ্যাত না কুখ্যাত ? ... ...
জীবনে কতোরকমের ল্যাঙ খেতে হয় ! ... ...
বাঙালি কবিদের জনপ্রিয়তা ... ...
যাচ্ছি উত্তরাখণ্ডে, আমরা তিনজন। আমি, অমিতাভ দা আর তিতলি। প্ল্যান কিছুটা এইরকম – দিন দশেকের আশ্রমিক জীবন কাটানো। প্রথমে আলমোড়া, তারপর মায়াবতী, আর সবশেষে শ্যমলাতাল। প্রথম ও শেষ জায়গায় আমাদের ঠিকানা হবে রামকৃষ্ণ মিশনের দুটি আশ্রম; আর মায়াবতীতে নিশিযাপনটুকু বাদ দিলে বাকি সময়টা কাটবে অদ্বৈত আশ্রমে। ... ...
আসন্ন ভূত-চতুর্দশী, মাকালীর আরাধনা ও দীপাবলির অগ্রিম প্রীতি, শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা জানাই সকলকে। ভূত-চতুর্দশীতে ভূতেরা সত্যিই কী চতুর হয়ে ওঠে? এবং সেই কারণে তাদের দোষী সাব্যস্ত করে তিথিটাকে ভূত-চতুর্দশী বলাটা ঠিক হয় কি? এই গল্পটি পড়ার পর আপনাদের এ বিষয়ে একটু ভেবে দেখতে অনুরোধ করবো। শব্দহীন হোন। আলোকময় হোন - খুব ভালো থাকবেন, প্লিজ। ... ...