একজন পশ্চিমা নাগরিক যখন অফিসের পথে হাঁটতে থাকেন, কখনো কি তার মাথায় প্রশ্ন উদ্রেক করে, কী অঢেল পানিসম্পদ ব্যয়িত হয় তার ট্রাউজারটি ধৌত ও রঙ করার কাজে? ইন্টারন্যাশনাল ফাইনান্স কর্পোরেশান এর একটি সমীক্ষা বলছে, প্রতি বছর গার্মেন্টস শিল্পের সুতো ও কাপড় রঙ এবং ধৌত করার কাজে ১৫০০ বিলিয়ন লিটার পানি ব্যবহৃত হয় বাংলাদেশে – এটি সেই পরিমাণ তরল যা দিয়ে ৬,০০,০০০ অলিম্পিক সুইমিংপুলকে ভরে দেয়া যায়, বা, ৮,০০,০০০ মানুষের সারা বছরের পানির কাজ নির্বিঘ্নে চলে যায়! আমরা যে জিন্স প্রতিদিন পাদুটোর উপর চেপে রাখি, তার ওজন প্রায় ১ কেজি, আর এইটুকু পোশাককে ধৌতকরনে খোয়াতে হয় প্রায় ২৫০ লিটার পানি। আর এ হচ্ছে মিষ্টি পানি, ভূগর্ভস্থ চ্যানেল থেকে যা পাম্প করে বের করা হয়। পানির টেবিল কিন্তু অসীম নয়; প্রতিবছর ২.৫% নেমে যাচ্ছে। আমাদের ভূগর্ভস্থ পানির চ্যানেলগুলো এভাবে ক্রমেই রিক্ত হচ্ছে পোশাক দৈত্যের খাবার যোগন দিতে গিয়ে, আর পরবর্তী প্রজন্মের জন্য দেবে যাওয়ার ঝুঁকিসম্পন্ন একটি ভূত্বক অবশিষ্ট রেখে যাচ্ছে! ... ...
উনিশশো একাত্তর সনের ৬ই মে, সেই মানিককিশোর সত্তর বছর বয়সে জীবন্ত বলি হলেন বলিহার বাজারের সেই চালাঘরটিতে, যেখানে টিনের চাল বেয়ে নামত সুরের বৃষ্টি, ফোঁটায় ফোঁটায় ভিজিয়ে দিত চালার তলায় আশ্রয় নেয়া ভাগ্যবান শ্রোতাদের! হয়ত বড় ভালবাসতেন চালাঘরটিকে, সে কারণেই সেই চালাঘরের যূপকাষ্ঠেই অগ্নিস্নান করে সেদিন অমরলোকে পৌঁছে গিয়েছিলেন শহীদ মানিককিশোর, সপ্তাকাশ জুড়ে তখন বেজেই চলছিল কোন ধ্রুপদী রাগ! ... ...
জুল ভার্ণ তাঁর বই “ফ্রম আর্থ টু মুন” এ ১৮৬৫ সালে লিখে ফেললেন, “ ... এই চমকপ্রদ ধাতু রূপোর মত সাদা ভাবের, সোনার মতন অবনিশ্বর, লোহার মতন দৃঢ়, তামার মতন জুড়ে দেওয়া সহজ, আর কাঁচের মতন হালকা। এই ধাতুকে আকার দেওয়া সোজা, পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে এর আকরিক, বেশীর ভাগ পাথরেই কিছু না কিছু থাকে এই ধাতুর আকরিক, লোহার থেকে এক-তৃতীয়াংশ হালকা। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে এই ধাতু যেন আমাদের ‘প্রোজেক্টাইল’-এর জন্য একদম কাষ্টম-মেড”। ... ...
গণিতের সঙ্গে লেখকের প্রেম ও অপ্রেমের এক বর্ণময় ব্যক্তিগত আখ্যান — যার পর্বে পর্বে উন্মোচিত হবে হাজারো জিজ্ঞাসা, ফিরে ফিরে আসবে নানান স্মৃতিভার। সুপাঠ্য ঝরঝরে ভাষায় গণিতের আলো-আঁধারি পথে এ এক নতুন পদচারণার অভিজ্ঞতা। ... ...
রক্তারক্তি ছাড়া রহস্য উপন্যাস ... ...
১৯৯৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম উন্মুক্ত নির্বাচনে নেলসন ম্যানডেলার অধিনায়কত্বে আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস সংখ্যা গরিষ্ঠতা পায় কিন্তু সংবিধান সংশোধনের জন্য জরুরি দুই তৃতীয়াংশ নয় । তাই গঠিত হয়েছিল গভর্নমেন্ট অফ ন্যাশনাল ইউনিটি , যার আফ্রিকানার নেতা দে ক্লেরক এবার সেখান থেকে বেরিয়ে গিয়ে বিরোধী দলে বসার সিদ্ধান্ত নিলেন ইচ্ছের বিরুদ্ধে রাজপাট কালো মানুষদের হাতে তুলে দিয়েছেন কিন্তু বাইরে থেকে কাঠি দেবার সুযোগ ছাড়বেন কেন ?এই মহা অনিশ্চয়তার ভেতরেই আমাদের কাজ - তবে সব সময় আশা করেছি খদ্দেরের কাছ থেকে তার আদেশপত্র পাওয়া আর সেই প্রতিশ্রুত টাকা তাঁকে পৌঁছে দেওয়া অবধি বাজারটা , দুনিয়াটা যেন ঠিকঠাক চলে প্রভু ! আচানক কোথাও যেন লঙ্কাকাণ্ড না হয় , লগ্নিকারক যেন সেই বাহানায় হাত গুটিয়ে না ফেলে ! আমাদের ভয়ঙ্কর দুঃস্বপ্ন হলো ডিল চলাকালীন ওই বাজারি টালমাটাল ( মারকেট আপহিভাল )- যেটা ব্যাঙ্কের বিদেশি মুদ্রার কারবারিদের ( ফরেন এক্সচেঞ্জ ট্রেডার ) কাছে একান্ত কাম্য । তাঁদের দৈনন্দিন প্রার্থনা হলো -এলোমেলো করে দে মা লুটে পুটে খাই । বাজারের স্থিতাবস্থায় নাফা কম, অনিশ্চয়তায় লোকসানের আশঙ্কা থাকে গণ্ডার মারার প্রলোভন বিশাল। আমাদের কি হবে ? পালাবার পথ আছে ? আমাকে একদা এক শুভানুধ্যায়ী বলেছিলেন যদি কখনো দেখো একজন গুলিভরা বন্দুক তার মাথায় ঠেকিয়ে বসে আছে, তাকে সাহায্য করার কোন প্রয়োজন নেই, ট্রিগারটা সে নিজেই টিপতে পারবে। ... ...
কলকাতার কলেজ ষ্ট্রীটে বাংলাদেশ বই মেলা চলছে। আগামীকাল শেষ হবে দশদিন ব্যাপী এই বই মেলা। বাংলাদেশের বই কলকাতায় মেলা করে বিক্রি হচ্ছে এইটা দারুণ একটা ব্যাপার। উদ্বোধনের দিন প্রধান অতিথি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক বলেন, "বইয়ের চাহিদা চিরন্তন। সেই চাহিদা চিরদিন জেগে থাকবে আমাদের হৃদয়ে। আর এই বইতো আমাদের দুদেশের মধ্যে এক নতুন সেতু গড়ে তুলেছে।" কোন সন্দেহ নাই, সেতু তৈরি করে দিচ্ছে। মুশকিল হচ্ছে সব হচ্ছে এক তরফা! বাংলাদেশের বই কলকাতায় মেলা করে, আয়োজন করে বিক্রি করছেন অথচ ভারতীয় বই এখানে আসতে দিচ্ছেন না। একুশে বই মেলায় ভারতীয় বই প্রবেশ নিষেধ। বেশ, ভাল, একুশে বই মেলাকে যদি শুধু মাত্র বাংলাদেশি প্রকাশকদের জন্য নির্ধারিত বই মেলা করে রাখতে চাই আমরা তাতে কোন সমস্যা নাই। তাহলে অন্য সময় ভারতীয় বইয়ের জন্য আলাদা করে বই মেলার আয়োজন করা হোক। এখন যেমন কলকাতায় বাংলাদেশ বই মেলা হচ্ছে তেমন করে, এতে সমস্যাটা কই? ... ...
নোম চমস্কির ৯৫-তম জন্মদিনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানালাম। ... ...
পায়রাও কি হিংস্র হয়ে উঠবে, আমাদের বিজ্ঞানের তেজস্ক্রিয়ায়? ... ...
আমার মতে ভিয়েতনামের যত উত্তর দিকে যাবেন তার সৌন্দর্য্য তত খুলবে। আর সেই সৌন্দর্য্যের ব্যাপারটা চরমে পৌঁছোবে হ্যালং-বে তে গিয়ে। তো সেই ক্ষেত্রে হ্যালং-বে দিয়েই ভিয়েতনাম ভ্রমণ শেষ করা ভালো। কারণ যদি হ্যালং-বে দিয়ে আপনি ট্রিপ শুরু করেন তা হলে আপনার এক্সপেক্টেশন হয়ত এতো বেড়ে যাবে যে বাকি ভিয়েতনামে সেটা আর আপনি ম্যাচ করতে পারবেন না! বিয়ে বাড়িতে মিষ্টি জিনিস শেষ পাতে দেওয়া হয় তার একটা কারণ আছে! ... ...
আমি এতদিন ভাবতাম গরুর রচনা হলো গরুর ওপরে লেখা রচনা। এখন দেখছি, গরুর রচনা মানে হলো গরুর বা গরুদের দ্বারা লিখিত রচনা। ... ...
বছর কয়েক আগে এমনই এক শীতের মরসুমে পুরুলিয়ার গড় পঞ্চকোট থেকে ফিরে এসে উপলব্ধি করেছিলাম, মাইকেল মধুসূদন দত্ত কেন লিখেছিলেন, "মণিহারা ফণি তুমি রয়েছ আঁধারে।" দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এক দশকও হয়নি। টেলিফোন, ইন্টারনেট, স্মার্টফোন, টেলিভিশন, সোশ্যাল মিডিয়ার এই তাৎক্ষণিক দুনিয়ায় বসে কল্পনা করাও কঠিন সে সময়ের পরিস্থিতি। পরিবেশ এবং হেরিটেজ-সংরক্ষণ, জনজাতির জীবিকা ও ঐতিহ্য রক্ষার মতো বিষয়গুলি জনপরিসরের চর্চায় তখন উঠে আসেনি। সংবাদমাধ্যমের এই নজরদারিও তখন ছিল না। সেই কারণেই উত্তরকাশী জেলায় চারধাম মহাসড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে সিলকিয়ারা সুড়ঙ্গ ধস বা তারও আগের বছরগুলিতে উত্তরাখন্ডে ক্রমাগত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে যে আশঙ্কা ও শোরগোল তৈরি হয়েছে তার ছিঁটেফোঁটাও ছিল না যখন এই তথাকথিত উন্নয়নের দাপটেই আমাদের এই বাংলার পুরুলিয়াতেই কার্যত নিশ্চিহ্ণ হয়ে গেল এক প্রাচীন সভ্যতার ঐতিহাসিক সব নিদর্শন। উন্নয়নের অজুহাতে আধুনিক ভারত তার পুরাতাত্ত্বিক ও ধর্মীয় সম্পদ যে ভাবে ধ্বংস করেছে বিশ্বের ইতিহাসে সম্ভবত তেমন নজির নেই। পাঞ্চেত বাঁধ দেখলে তার সীমাহীন মাসুলের কাহিনীও যেন আমাদের মনে পড়ে। পাঞ্চেতের ঘটনা যে দেশের রাজনীতিবিদ ও নীতিনির্ধারকদের মোটেই লজ্জিত করেনি তার প্রমাণ পাওয়া যায় আরও একটি বাঁধ নির্মাণে। দামোদরের পরে সুবর্ণরেখা। পাঞ্চেতের ৫০ বছরের মধ্যেই তৈরি হল চান্ডিল বাঁধ। সেক্ষেত্রে অধুনা ঝাড়খন্ডের পাতকুমেও আরও বহু জনপদ এবং জৈন মন্দির ঠিক একই ভাবে জলের তলায় চলে গেছে। লক্ষণীয় ব্যাপার হল, স্বাধীনতার পর থেকে প্রকৃতির বিরুদ্ধে, পরিবেশের বিরুদ্ধে তথাকথিত উন্নয়নযজ্ঞের এই ধ্বংসলীলা কিন্তু একই ভাবে অব্যাহত রয়েছে। ... ...
সময় গেলে সব সহজ হয়ে যাওয়ার কথা। মন্ত্রীরা অভিজ্ঞ হবে, কাজকর্ম আরও সুচারু হবে, সুন্দর হবে। অথচ বর্তমান সরকারের কাজকাম দেখলে মনে হয় যে নবিস দিয়ে মন্ত্রণালয় চালাচ্ছে সব। দুই একজন বাদে সবাই কী করতেছে কেন করতেছে তা নিজেরাও জানে কি না সন্দেহ। অর্থনীতির বারোটা বেজে তেরোটার ঘণ্টা বাজতে চলছে অথচ আমাদের অর্থ মন্ত্রী কই ঘুমায় আছে কেউ জানে না! কে চালাচ্ছে মন্ত্রণালয় কে জানে। ঘটা করে নতুন এক শিক্ষা নীতি নিয়া আসল। এবং নতুন শিক্ষানীতির জন্য সরকার শিক্ষা খাতের বরাদ্দ কমিয়ে দিল! চলতি অর্থবছরে শিক্ষাখাতে মোট বরাদ্দ হচ্ছে জিডিপির ১ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ২ দশমিক ০৮ শতাংশ। থাকার কথা জিডিপির ৬ শতাংশ! কোন পরামর্শ না, শিক্ষকদের প্রস্তুত করা নাই, দুম করে বলা হল এইটাই সেরা কলা, বিসমিল্লাহ বলে খেয়ে ফেল! সবাই কলা খেতে থাকল, যে প্রশ্ন করল তাঁকে প্রশ্ন করা হল দেশপ্রেম নিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে, উন্নত বিশ্বের শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে! ফলাফল এখন পর্যন্ত এর সমাধান হল না, পক্ষ বিপক্ষ তুমুল বিতর্ক করে যাচ্ছে। শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে, শিক্ষকদের ভাল বেতন দিলে, ভাল যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করতে পারলে আমাদের সময়ের বা তার আগের শিক্ষা পদ্ধতি দিয়েও ভাল কিছু করা সম্ভব। কিন্তু আমাদের মন্ত্রীরা শুধু চমক দেখাতে চায়! তাকালেই যেন ঝকমক করে সব! তা এর মান যেমনই হোক! ... ...
মনে রাখবেন, বুদ্ধিজীবি মানে কিন্তু সিরিয়াস বুদ্ধিজীবি। কথাটার ওজন রয়েছে। এই বাংলাতে দেব অথবা দেবশ্রী রায়কে যতজন চেনেন, তার দুশো ভাগের এক ভাগও দীপেশ চক্রবর্তীর নাম শোনেননি। কিন্তু দীপেশ বুদ্ধিজীবি। কবির সুমন বুদ্ধিজীবি। তো, বুদ্ধিজীবি হতে গেলে নিচের কয়েকটা শর্ত আবশ্যিকভাবে পূরণ করতেই হবে। ১। আপনার একটা বাম অতীত থাকা আবশ্যিক। সে নক্সাল হোক, অথবা সিপিআই(এম) বা তৃতীয় ধারা। মনে রাখবেন, তৃণমূল অথবা বিজেপি চিন্তার রাজ্যে এতই মেরুদণ্ডহীন যে এরা আনঅ্যাপোলজেটিক ভাবে কোনওই দক্ষিণপন্থী ... ...
মানুষের জীবন, সম্মান, বাঁচার অধিকার, কথা বলার অধিকার আদৌ আর ভারতে থাকবে কিনা, আজ আমরা সেই প্রশ্নের সম্মুখীন। ... ...
"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ১১ … আমার চেহারা, পোষাক, হাবভাবে প্রথাগত ভক্তসূলভ ছাপ নেই। হয়তো সে জন্যই মুখ্যবাবা জানতে চান, এভাবে কষ্ট করে আশ্রমে থাকতে চান কেন? সুরয়ায়াতে লাল্লুকে দেখানো বেড়ালটা আবার ঝোলা থেকে বার করি। এমন যাত্রায় সেটাকে অনেকবার বার করতে হয়েছে। তবে বেড়াল দেখেও বাবা লাল্লুর মতো প্রভাবিত হলেন না। বাবার মুখভাব ক্রনিক আমাশা রুগীর মতো অপ্রসন্ন। তবু স্বরে কয়েক আউন্স সেন্টিমেন্ট মাখিয়ে বলি, যদি রাতটা এখানে কাটাতে আসি, মোহনী মহারাজের কৃপা থেকে বঞ্চিত হবো না তো? মূখ্যবাবা হয়তো এমন ছিনে জোঁকের পাল্লায় আগে পড়েন নি। নিস্তার নেই দেখে নিমরাজি ভঙ্গিতে অস্পষ্ট ভাবে মাথা নাড়েন। সেটাই আমি ভিসা অন এ্যারাইভালের প্রতিশ্রুতি ধরে নি। প্ল্যান-এ বস্তির টাইমকলের লাইনে বালতি রাখার মতো আশ্রমের যজ্ঞশালার বুড়ি ছুঁয়ে থাকে। আমি জোড়হস্তে নমস্কার করে বিদায় নিই। হোবো শৈলীতে ঘুরতে হলে গাত্রচর্মটা নাসিকাশৃঙ্গী প্রাণী গোত্রের ভাবলে কোনো সমস্যা হয় না। ... ...
তখন আমাদের খুব পিকনিক করার ঝোঁক ছিল। সেদিনের ত্রিপুরায় বেশ কিছু হালকা বনবিতান ছিল অনতিউচ্চ টিলা ছিল, লেক ছিল। দিনের বেলা বুনো হাতি বা হিংস্র প্রাণীর ভয় নেই এমন জায়গা ছিল। আর ছিলেন আমাদের প্রসন্নহৃদয় অধ্যাপকরা। যাঁরা আমাদের অর্থহীন উপদ্রবকে সস্নেহ প্রশ্রয় দিতেন, সময় দিতেন আমাদের চাহিদা মত,যাঁরা সঙ্গে থাকলে অভিভাবকদের ও দুশ্চিন্তা হতোনা। ... ...
মানুষ যখন সত্যিই মানুষ হয়ে উঠল ... ...
ছয় ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিনে কিছু ব্যক্তিগত কথা। ... ...
হেনরি কিসিঞ্জারের মতো যুদ্ধাপরাধী গণহত্যাকারীকে মার্কিন মিডিয়া "বিতর্কিত এক মহানায়ক" বলে অবিচুয়ারি সাজিয়েছে। ... ...