ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে এসে 'ভীর'রা তাঁদের শেষ সম্বলের আশ্রয় নেন, যার নাম আইটি সেল। গভীর রাতে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে একটি গভীর বীরত্বব্যঞ্জক উদাত্ত আহ্বানঃ "যাদবপুর ৮বি বাস স্ট্যান্ডের পাশে CAA সংক্রান্ত এক জনসভাকে কেন্দ্র করে যাদবপুর ইউনিভার্সিটির কিছু নকশাল পন্থী পড়ুয়া এবং স্থানীয় হার্মাদ বাহিনী সভা বানচাল করার চেষ্টা করে। স্লোগান তোলে এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। সভা শেষে তারা স্টেজ ভাঙচুর করে, স্টেজে লাল ঝান্ডা গেড়ে দেয়, এবং সেই সময় উপস্থিত আমাদের মহিলা ও বরিষ্ঠ কর্মীদের উপর হাত তোলে। এদের এই সাহস ক্রমশই বেড়ে চলেছে।" ... ...
ঈদের চাঁদ দেখা গেলেই বাঙালী মুসলমান প্রথমে ঈদের চাঁদকে চুমু খায় ঠোঁটে আঙুল ঠেকিয়ে। খুশির মাত্রাটা ঠিক এমনই থাকে যে আকৃতিগত ভাবে তো নয়ই পরিস্থিতির বিচারেও চাঁদ তখন ঝলসানো রুটি নেই। চাঁদরাত উপলক্ষে কিছু জায়গায় খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। গোটা পাড়ায় হাঁড়ি বন্ধ। নিজেদের মধ্যেই চাঁদা তুলে বিরিয়ানি, পোলাও খাওয়ার ঘটনাও প্রত্যক্ষ করি। এটা দিয়েই একসাথে ঈদের আগাম সেলিব্রেশন শুরু। সকালে ঘুম থেকে উঠেই মসজিদে ঈদের নামাজের জন্য তৈরী হওয়া। ঈদের নামাজের জামাত সাধারণত সাড়ে আটটা থেকে সাড়ে নটার মধ্যেই হয়ে থাকে। বিভিন্ন এলাকার মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সময় নির্ধারণ হয়। ... ...
ঢং করিয়া একটা বাজিল. পার্ক স্ট্রিট এর একটি নিশিনিলয় হইতে এক সুদীর্ঘ ছায়া বাহির হইল. সেই ছায়া র এক হস্তে একটি সবুজ শিশি ও অন্য হস্তে প্রলয়্নাথ বিশী র সদ্য কর্তিত মুন্ড. কিন্তু দয়াময় ভগবান এর অপূর্ব লীলাখেলায় সেই কর্তিত মুন্ড হইতে উষ্ণ শোনিতের পরিবর্তে "টপ টপ" শব্দে ঝরিতেছে প্রগাড় পীতবর্ণ হিসি. গোয়েন্দা কৃষ্ণকমল একটি সুউচ্চ গৃহের বাতায়ন হইতে সেই চলন্ত ছায়ার উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখিতেছিলেন. তাঁহার সুদৃশ্য মুখমন্ডল টি ঋষি কাপুর এর মুখোশে ঢাকা. চলন্ত ছায়া রাস্তা পার হইয়া একটি পুরাতন কালো রং এর মোটরগাড়ি র দিকে ধাবিত হইল. উত্তেজিত কৃষ্ণকমল পকেট হইতে একটি মিশি র কৌটা বাহির করিলেন. দেখিতে উহা নিরীহ একটি ইস্পাত এর কৌটা হইলে ও উহাতে কৃষ্ণকমল এর স্নাইপার খানি ভাঁজ করিয়া রাখা আছে. কৌটা খানি উপুর করিয়া কৃষ্ণকমল হাত এর উপর ধরিতে স্নাইপার খানি পাতলা রুমাল এর ন্যায় বাহির হইয়া আসিল. তিনি বাম হস্তে উহার অগ্রভাগ ধরিয়া একখানি প্রবল ঝটকা দিলেন...ততক্ষনাত পুরা স্নাইপার খানি কৃষ্ণকমল এর হাতে র উপর খুলিয়া আসিল ... ...
ডেভিড লিভিংস্টোন। আফ্রিকায় বেপাত্তা। কিংবদন্তি মানুষটির খোঁজে আফ্রিকা পৌঁছেছেন মার্কিন সাংবাদিক হেনরি মর্টন স্ট্যানলে। জাঞ্জিবার থেকে শুরু হল আফ্রিকার গভীরে অভিযান। প্রথম লক্ষ্য বাগামোয়ো নামের একটি শহরে পৌঁছোন। ১০ ঘণ্টা ফেরি করে সেখানে পৌঁছে, একটি গির্জায় রাত কাটানোর বিবরণ এই কিস্তিতে। স্ট্যানলের সেই বিখ্যাত সফরনামা ‘হাও আই ফাউন্ড লিভিংস্টোন’। এই প্রথম বাংলায়। তরজমায় স্বাতী রায় ... ...
অন্যান্য শিল্পীর সঙ্গে জাঁ লুক গোদারের পার্থক্য যে তিনি এতে সন্তুষ্ট থাকতে পারেন নি। তারঁ নিজের সঙ্গে সিনেমার সম্পর্ককে, ইমেজের সঙ্গে বাস্তবতার সম্পর্ককে, জীবনের সঙ্গে শিল্পের সম্পর্ককে বরাবর প্রশ্ন করে গিয়েছেন। তারই ফলশ্রুতি এই সিনেমা। গোদার নিজেই বলেছেন "এটা ফিল্ম নয়। ফিল্ম করার এক প্রচেষ্টা এবং সেইভাবেই এটা উপস্থাপিত।" এটা কি কোনো গিমিক? তা নয়, আসলে গোদারের মতে শুধু ফিকশন শিল্পীকে বাঞ্চিত স্পেস এবং তাঁর কণ্ঠস্বর দেয় না। এখানেই ফিকশনের অসম্পূর্ণতা। ... ...
মাথায় কাপড়ের মস্ত গাঁঠরি, তাতে শুধু গোলাপি নয় আছে কতো বান্ডিল বান্ডিল নানা রঙের জামাকাপড় । সে হল আমাদের বিমলা আন্টি । আমি আন্টি বলি, বলতে ভালো লাগে । বিমলা আন্টি আমাদের পাড়ার ধোপানি । ওর একটা খিটকেল বর আছে, রামস্বরূপ। কোন জামাকাপড় তাড়াতাড়ি ইস্ত্রি করতে হলে রামস্বরূপকে ফোন করতে হয় । সে বলে এখখুনি নিয়ে আসছি । আমি বলি বিমলা আন্টি আসবে? তাকেই পাঠাও না কেন? তোমার ওই হাঁড়িচাচার মতো মুখটা কি না দেখলেই নয়? বিমলা আন্টি এসেই তার গুছিয়ে পরা কোটা শাড়ির ঘোমটা একটু টেনে গলা তুলে বলে, কাপড়া । তারপর গাঁঠরি খুলে বলে, গিনলো। আবার নতুন কাপড় দেওয়া শুরু হয়। এবার টাকা দেবার পালা । আমি ফস করে বলে বসি, তুমি কী সুন্দর দেখতে, বিমলা আন্টি । মাথা নিচু করে টাকা গুনছে বিমলা আন্টি । আমার এই কথায় তার নিচু চোখের পাতা,বসা গাল ,টিকলো নাক, গর্বিত চিবুক, কোথাও এতটুকু পরিবর্তন দেখতে পাই না । চোখ দুটো তুলে বলে, সত্তর রুপিয়া, ইয়ে লো তিস রুপিয়া ওয়াপস । ... ...
তোমার প্রতিভা ছিলো, বারবার বলছি জয়ি। প্রতিভা না থাকলে ভূদেবদার মতো অমন খুঁতখুতে লোক তোমার প্রথম ছবিটাই কিনে নিতেন না। আর শুধু ঐটুকু কেনাই তো নয়, কলকাতার লিট্ল্ ম্যাগাজিন ওয়র্ল্ডে আর বিজ্ঞাপন-ইলাস্ট্রেশনের জগতে তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে কতো মানুষের সাথে কথা বলেছেন শক্তিদা আর ভূদেবদা, তা তো তোমার চেয়ে বেশি কেউই জানেনা। শুধু ঐটুকুই নয়, তোমার প্রতিভার স্ফুরণের জন্যে বোধ হয় ঠিক ঐ সময়টায় একজনের প্রয়োজন ছিলো, এমন একজন যে তোমাকে ঠিক ঠিক দিশা দেখাতে পারবে, যে তোমার দক্ষতার পরের ধাপটায় তোমাকে নিয়ে যেতে পারবে হাত ধরে। নিখিলেশদার মাধ্যমে তোমাকে বিকাশ ভট্টাচার্যর কাছে পৌঁছিয়ে দিয়েছিলেন শক্তিদা। বিকাশ ভট্টাচার্যর মতো এ যুগের শ্রেষ্ঠ চিত্র-প্রতিভাদের একজন নিজে তোমার সাথে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন ছবি আঁকার পাঠ দিতে। এ কথা তুমিই আমাকে বলেছো জয়ি যে তোমার তা পছন্দ হয়নি। পালিয়েছিলে তুমি। ... ...
এটি পড়া বই বিভাগের বিশেষ একটি প্রকাশনা। একটি একটি সাক্ষাৎকার, কিন্তু লেখা নয়। দৃশ্য শ্রাব্য। নিয়েছেন ইন্দ্রাণী দত্ত। যাঁরা শুনতে বা দেখতে চান, চালিয়ে দেখে বা শুনে নিন। ... ...
এসবের মধ্যেই পূর্ব ভারতের কেষ্টবিষ্টুদের বাঙালিবিরোধী কর্মপদ্ধতি অটুট। রাজ্যপাল ধনখড় বনহুগলীতে একটি সভায় বলেছেন, 'সংবিধানে বলা হয়েছে হিন্দিই আমাদের ভাষা। তাই ইংরেজির পাশপাশি হিন্দিতেও কথা বলার জন্য নিরন্তন প্রয়াস চালানো উচিত। সংবিধান অনুযায়ী হিন্দি আমাদের ভাষা।' সভাটি ছিল 'রাষ্ট্রীয় গতিশীল দিব্যাঙ্গ জন সংস্থা'র। কোনো বাঙালি যে এর অর্থ বলতে পারবেন না, এ মোটামুটি নিশ্চিত। আসামে মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, রাজ্য ভাষা হিসেবে অসমিয়াকেই স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ভাবছেন অমিত শাহরা। এমনকী অসম বিধানসভার আগামী অধিবেশনে সেই বিষয়টি পাশ করিয়ে অসমের সব স্কুলে বাধ্যতামূলক অসমিয়া ভাষা রাখা হবে। শুধু তাই নয়, আনা হচ্ছে আরও একটি নতুন আইন। নতুন এই আইন অনুযায়ী অসমিয়া ছাড়া আর কেউ রাজ্যে জমি কিনতে পারবেন না। ... ...
মাসীমা একজন ডাকসাইটে অধ্যাপক।বিশ্ব সাহিত্য নিয়ে তাঁর জ্ঞানের গভীরতা আর তাঁর বাজখাঁই গলার দাপট - এই দুই কারনেই উনি কলকেতার বিদ্বত সমাজে এক দারুন সম্ভ্রমের আসন ছিনিয়ে নিয়েছেন। তাবৎ কলা কুশলীরা কানে তুলো গুঁজে তাঁর দুয়ারে ধরনা দ্যান। গুরুচন্ডালীর সম্পাদক (অনরারী) ঈশেন ও মাসীমার কথোপকথন নীচে তুলে দেওয়া হলো। ... ...
ভারতের নাগরিকেরা কি তবে আর ভারতীয় গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উৎসব, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাইছেন না? অন্তত নির্বাচন কমিশনের তথ্য তো তাই বলছে। ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচন এবং তারপরে যে কয়েকটি রাজ্যে নির্বাচন প্রতি ক্ষেত্রেই দেখা গেছে ভোটদানের হার ক্রমশ কমছে। গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের আগে, নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে মৌ চুক্তি অবধি করেছিল, যাতে সেই সব সংস্থাতে কর্মরত মানুষেরা ভোট দিতে অনীহা প্রকাশ না করেন। যে সমস্ত কর্মীরা নির্বাচনে অংশ নেবেন না, তাঁদের নামের একটি তালিকা অবধি প্রকাশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। বিরোধীদের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, এই বন্দোবস্ত তো ‘বাধ্যতামূলক’ ভোটদানের প্রক্রিয়া, কোনও গণতন্ত্রে একজন মানুষ, নানান কারণে ভোট নাও দিতে চাইতে পারেন, তা’বলে কি একজন মানুষকে ভোটদানে অংশ নিতে বাধ্য করা যায়? ... ...
রুমিকে শেখাই। দুজনে খেতে এলে মুখোমুখি বসতে হয়। কার্টেসি। এসেই ধপ করে পাশে বসে পড়ছিলো। যা যা বলি, যে সিকোয়েন্স-এ খেতে বলি, রুমি মন দিয়ে শোনে। আমার ওকে নতুন করে তোলার ইচ্ছেটাকে বুঝেই যেন শুষে নেয়। একটুও যেন বাদ না যায়, এমন অতন্দ্র হয়ে শোনে। ... ...
আর কী-বা সেবা দিতে পারি ফ্রিতে, দুশমনের ঠাণ্ডাতম দিনে... একদিন ছন্দ মেলাতাম, একদিন অন্ত্যমিল দিতাম, একদিন প্রেম ভেঙে যাওয়ার ছমাস যেতে না যেতেই ছটফট করতাম নতুন প্রেমের জন্য, আর এখন হারপিকের ফাঁকা কৌটোর দিকে তাকিয়ে কাটিয়ে দিতে পারি সারাবসন্ত... আগের প্রজন্মের উন্মাদেরা সব কী করছেন এখন? নতুন বইটা তারা কি পড়লেন? কারুর হাতে কি জ্যান্ত হলো? কেঁপে উঠল কি কারও তালুর ওপর? কোথায় প্যাঁচাদের চিয়ার্স? আজ মাপবো হেমিস্ফিয়ারের জ্যামিতি-আকার-আয়তন... তার ব্যাপ্তি... একটা লোক অনর্গল হয়ে গ্যাছে বাংলাভাষার সাথে মিশে... এটা রোগ না নেশা না সিদ্ধি না অভিশাপ না চক্রান্ত না ভ্রান্তি না প্রতিভা না পরিশ্রম না নিউরোপ্রবাহ না প্রলাপ না পলায়ন না প্রারব্ধ না ট্রান্স না মোনোটনি...? ... ...
৮ মার্চ, ১৯৬৭: ক্রিস মার্কে SLON (Service de lancement des oeuvres nouvelles)-এর প্রথম প্রজেক্ট Loin du Vietnam (1967)-এর সম্পাদনা করছেন। Godard, Ivens, William Klein, Claude Lelouch, Alain Resnais এবং Agnès Varda এঁদের সকলের নিজস্ব নির্মাণ দিয়ে ভিয়েতনাম যুদ্ধের প্রতিবাদ রয়েছে এতে। মার্কেরা একে বলছেন cinéma ouvrier। কোনোরকম ব্যক্তিগত নেতৃত্ব ও অথরশিপকে বাদ দিয়েই হবে নতুন সিনেমার নির্মাণ। এমন সময়ে Rhodiaceta থেকে চিঠি হাজির René Berchoud-এর। রেনে-রা তিন হাজার শ্রমিক ওখানে Rhône-Poulenc-এর মালিকানায় থাকা কারখানাটিতে ধর্মঘট করেছেন এবং দখল করে নিয়েছেন সেটা। একমাসের দীর্ঘ্য ধর্মঘট হয়েছে ২৫ শে ফেব্রুয়ারী থেকে। ১৯৩৬ সালের পরে সেই প্রথম কোনো কারখানা মজুররা দখল করে রাখলো। মালিক কোম্পানিটি সে আমলের ফ্রান্সের অন্যতম বড় কোম্পানি। ... ...
"মেয়েরাই উঠে এসেছে এ বইতে কথার পর কথায়, কিন্তু এ বই শুধু মেয়েদের বই নয়। এর মরমিয়া কথন, বিষয়ের ব্যাপ্তি সবাইকে দিয়ে পড়িয়ে নেবে গল্পগুলোকে। উপরি পাওনা মনস্তত্ত্বের নিখুঁত মিশেল আর শ্লেষের নির্দয় চাবুক। ব্যথা নিরোধক যন্ত্র গল্পটি খুব নাড়া দেয়। দত্তক, একটি মেয়েলি দুপুর, গোধূলিসন্ধি, সবগুলোই গতানুগতিকতার বাইরে অন্য গল্প। আর রয়েছে কল্পবিজ্ঞান টিট্টিভ । তাকে সার্থক গল্প করে তোলার কাজটি যশোধরা করেছেন অবলীলায়।" পড়লেন প্রতিভা সরকার ... ...
এক সুফি পীর বলেছিল ছেলেকে "রাত কি রানি” ফুলের কাছে নিয়ে যেও না যেন। তাহলে তাকে আর বেঁধে রাখতে পারবে না। রাত কি রানি, শিউলি ফুল। নিশিরাত জুড়ে সে কান্নার মত ঝরে পড়ে। অজস্র কান্নার ফোঁটা। সেই উদাসী - গন্ধ ওকে ঘর ছাড়া করবে। সেই থেকে মা, রাত কি রানি ফুল থেকে ছেলেকে দূরে রাখে ! আজমেঢ় শরিফে মাথা কুটে এই ছেলের জন্ম। বাবার অকাল মৃত্যুর পরে চিরাগ এ দিল্লির আঙিনায় খেলে বেড়ানো এক খ্যাপা ছেলেকে দেখে মায়ের চিন্তা হয়। পীর বলে, রাজার দুয়ারে মাথা কুটলে রাজার জন্ম হয়, নিদেন পক্ষে মন্ত্রীর । ফকিরের দরগায় মাথা কুটলে ফকির হবে না তো কি শাহেনশা হবে? ... ...
আপেল পাই জিনিসটার সাথে যদি আগে পরিচিত না থাকেন, এবং আমস্টারডামে গিয়ে প্রথমবার ট্রাই করেন, তাহলে হয়তো আপনার মনে এটা হালকা ভাবে ভেসে উঠতে পারে, যে – এটা কি আর এমন ব্যাপার, যার জন্য এত নামডাক? খুব বেশি কারিকুরি তো দেখতে পাচ্ছি না এই আপেল পাই-এ! এই ভাবনাটা মনের মধ্যে এলেই নিজেকে একটু ক্যালিব্রেট করে নেবেন – ভেবে নিন আপনাকে কেউ চ্যালেঞ্জ করছে প্যারামাউন্ট-এর সরবত, নকুড়ের সন্দেশ বা আমিনিয়ার বিরিয়ানি নিয়ে! এইসব খাদ্য এমন সুউচ্চ স্তরে পৌঁছে গেছে, যে পার্থিব তর্ক করে কিছু হবে না – যার হয়, তার হয় টাইপের কেস। ... ...
আইনি মর্যাদার চেয়ে বড় প্রশ্ন সাংবিধানিক মর্যাদার। আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী (বা সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত কোনও ব্যক্তি) কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের পৌরহিত্য করতে পারেন? আমাদের সংবিধানের বিধান স্পষ্ট: সাংবিধানিক কর্মকর্তারা ব্যক্তিগত ভাবে যেমন খুশি ধর্মীয় বিশ্বাস বা অনুশীলনে অংশগ্রহণ করতে পারেন, কিন্তু একজন পদাধিকারী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে তা করতে বাধা দেয়। সংবিধান এও বলে যে সরকারকে সমস্ত প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম থেকে সমান দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, যে কোনও একটি ধর্মের প্রতি ঝোঁক সাংবিধানিক মর্যাদার লঙ্ঘন। ২২ জানুয়ারির আচার-অনুষ্ঠানে রাষ্ট্র ও ধর্মের মধ্যে বিভাজন রেখা ঝাপসা হয়ে গেছে। কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছাড়াই দেশের অন্যান্য ধর্মের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে হিন্দু ধর্মকে। ... ...
... আমার পুরোনো নিমগাছ চুড়োয় দেখেছি তার বাঁধা আছে পুজোর মাইক হেমন্তবাতাসের ঝরা গানে তারা-ঝিকমিক চাঁদের বাড়িতে ফেরা পাখি ... ... ...