কিন্তু একমাত্র পায়ে চলার পথে বরফের প্রলেপ সুখকর নয় মোটেই। পা পিছলে যায়, পথের কাদায় জুতো ভিজে যায়। তার উপরে অসভ্য ইয়াকের যাওয়া আসার ফলে রাস্তাটা সভ্য মানুষের উপযুক্ত নেই। আমরা কাদা বাঁচিয়ে, আছাড় খাওয়া সামলে, হাঁপাতে হাঁপাতে উপর-পানে গুটি গুটি চলেছি। সেই ক্লেশের পথে মনোহরণ বিরাম হিসাবে পথের দু'ধারে লাল হয়ে যাওয়া রডোডেন্ড্রনের সারি না থাকলে হিমালয়ের অন্দরমহলে পাগল পানা লোকজন আধপেটা খেয়ে ঘুরে মরত না। ... ...
প্রয়োজন নিজেদের শ্রেনী অবস্থান স্পষ্ট করা। এক্ষেত্রে কেরালার উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে। নির্বাচনের কয়েক মাস আগে সবরিমালা রায়ে যখন গোটা দেশ উত্তাল, এমনকি শিক্ষা ও কৃষ্টির গরিমায় গর্বিত মালয়ালিদের মধ্যে পর্যন্ত যখন আরএসএস সাম্প্রদায়িক বিভেদের বিষ প্রথমবারের মত ঢোকাতে আংশিকভাবে সফল হয়েছে, এমন ঝড়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়েও পিনারাই বিজয়নের নেতৃত্বে কেরালার পার্টি সুপ্রিম কোর্টের রায়কে দৃঢ়তার সাথে পালন করেছে। ইতিহাস কম্যুনিস্ট পার্টির এই গৌরবময় ভূমিকা মনে রাখবে। একথা ঠিক যে এবারের নির্বাচনে এলডিএফের ফলাফল খারাপ হয়েছে। কংগ্রেসের নরম হিন্দুত্ব অন্তত আপাতভাবে জয়ী। কিন্তু যদি তলিয়ে ভাবা যায়, এ ক্ষেত্রে নীতিগতভাবে আপস না করার ফলে বামপন্থীদের যে উজ্জ্বল ভাবমূর্তি তৈরি হলো, এমনকি সংসদীয় রাজনীতিতেও তা দীর্ঘমেয়াদি সুফল দেবে। ... ...
সৌমেন বৈরাগীর গলায় উত্তেজনা। অসিত মাইতির কথার মাঝেই বলতে শুরু করে দিয়েছে। আমি ছিলাম দিদি। আমি… আমি… একদম ওই স্পটে গেছিলাম। আমি শুধু একলা না, এই সুন্দরবনের প্রায় একশ দেড়শ লোক তখন ওই বাগানের রাস্তায়। আমাদের আগেই ক’জন বেড় দিয়েছিল ওদের। আমি ছিলাম কয়েকজনের পিছনে। একজনে দেখতে পেয়ে গেছিল জঙ্গলের মধ্যে কি একটা বড় বস্তার মতো টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছে ক্রেনের ড্রাইভার আর মালিকের লোক। দেখেই সেই লোকের সন্দেহ হয়। তাইতো চিৎকার দিয়ে ডাকে। আমরাও সেই ছুট মারি। ওখানে জমা হয়ে আমরাও বেড় দিয়ে দাঁড়াই। বের হতে দেইনি তক্ষুণি ওইখান থেকে। দেখি জানেন বস্তার মধ্যে একটা লাশ! জানেন সেইটা আমাদের এই বালিরই লোক। এই বিরাজনগরেরই। এই পাশের পাড়ারই মানুষ। অভিলাশা মণ্ডল। ওই মালিকের লোক ড্রাইভার অভিলাষার লাশ বস্তায় পুড়ে জঙ্গল দিয়ে গায়েব করে দিচ্ছিল। ... ...
কবিতা কি সত্যি কখনো অস্ত্র হয় বা হয়েছে? মানে ঠিক যেভাবে দেখাতে চায় মেরুকরণের রাজনীতি, কবিকে নিজেদের দিকে টেনে নিয়ে? নাকি তার জায়গাটা একটু আলাদা যা চিনতে না পেরে আমরা কবিতার প্রাসঙ্গিকতাকে ওই একই খোপে ঢোকাতে চাই ও বারংবার ব্যর্থ হয়ে নিরাশায় ভুগি। আদতে, সমালোচকদের মধ্যে একটা মাপকাঠি কাজ করেছে চিরকাল, যে, যথেষ্ট দেকার্তিয়ান না হলে, সেইটে আধুনিক রাজনীতির অংশ হয় না। ... ...
'আজ থেকে সাড়ে তিনশো বছর আগে ইউরোপের শিক্ষিত মানুষেরা সভ্যতার আলো নিয়ে উত্তর আমেরিকায় পৌঁছেছিল। ওখানকার আদি বাসিন্দা অসভ্য রেড ইন্ডিয়ানদের যখন কিছুতেই বশ করতে পারছিল না, তখন কি করেছিল জানেন? হত দরিদ্র রেড ইন্ডিয়ানদের মধ্যে শয়ে শয়ে কম্বল বিতরণ করেছিল।' 'সেতো অত্যন্ত ভালো কাজ। সভ্য মানুষদের মত কাজ।' আমি হাসলাম। বললাম, 'কম্বলগুলো ছিল হাসপাতালে স্মল পক্সে আক্রান্ত মৃত রোগীদের। উত্তর আমেরিকা স্মল পক্স মুক্ত অঞ্চল ছিল। তাই এই রোগের বিরুদ্ধে রেড ইন্ডিয়ানদের কোনরকম গোষ্ঠী ইমিউনিটিও ছিল না। ফলে কয়েক বছরের মধ্যে কয়েক লাখ রেড ইন্ডিয়ান স্মল পক্সের মহামারীতে মারা গেল। আমেরিকা শেষমেশ সত্যিকারের সভ্য দেশ হয়ে উঠল।' ... ...
তাদের মাঝখান থেকে তাপ্তী, তরুণকে এক হ্যাঁচকা টানে তুলে ফেলে টানতে টানতে আমাদের দিকে নিয়ে আসতে লাগল। এমন সময় দুই ডাইনোসরের যুদ্ধে একটা গোটা গাছ আমাদের চারজনের মাঝখানে এসে পড়ল। তরুণকে যখন এদিকে আনার চেষ্টা হচ্ছে তখন আমি হঠাৎ আমার পকেটে একটা দড়ি আবিষ্কার করলাম। একটা পাথর ঐ দড়ির মাথায় বেঁধে আমি তরুণদের দিকে ছুড়ে দিলাম। সেটা পড়ে যাওয়া গাছের ওদিকের একটা ডালে আটকাল। তরুণ দড়ি বেয়ে সহজেই এদিকে চলে এল। কিন্তু তাপ্তী যখন দড়ির কাছে যেতে যাবে, তখন ভয়ংকর এক চিৎকারে আমরা সবাই চমকে গেলাম। দেখা গেল যে, টি-রেক্স অ্যালোসরাসকে ঘোরতর যুদ্ধে পরাজিত করেছে। তাপ্তী ততক্ষণে দড়ি বেয়ে উঠতে আরম্ভ করেছে। ডাইনোসরটা এবার তাপ্তীর দিকে এগোতে শুরু করল। তাপ্তী গাছ থেকে লাফিয়ে নেমে এক হ্যাঁচকা টানে দড়িটা ছাড়িয়ে ছুট দিল। ... ...
এনভিরনমেন্টাল রিফিউজি বা জলবায়ু শরণার্থী শব্দ দুটি আজকাল খুব চালু। পরিবেশের বিপন্নতার কারণে ঘর-বাড়ি, বসত এলাকা ছাড়তে হচ্ছে লাখ লাখ মানুষকে। সুন্দরবনের এমন কত মানুষ দেশের নানাপ্রান্তে জীবন-জীবিকার লড়াই চালাচ্ছেন কেউ খোঁজ রাখেন না। আবার পরিবেশ রক্ষার আয়োজনেও জীবন-জীবিকা বিপন্ন বহু মানুষের। দূষণ ছড়ায় বলেই কলকাতার পূর্বতম প্রান্তে গড়ে উঠেছিল ট্যানারি শিল্প। ক্রমে শহরটা পূর্ব দিকে বাড়ল। বর্ধিত শহরের মানচিত্রে ট্যানারি পড়ল শহরের প্রায় মাঝখানে। ফতোয়া জারি হল, দূর হটো। বানতলায় সরে গেল চামড়ার শতাব্দী প্রাচীন কারবার। নতুন জায়গায় কাজ জুটল না দুই-তৃতীয়াংশেরই। কর্মহীন এই শ্রমিকেরা কেন পরিবেশ-শরণার্থী বলে গন্য হবেন না? পরিবেশ রক্ষা ঘিরে উদীয়মান এই শ্রেণি সংঘাত নিয়ে আমরা কী ভাবছি? ... ...
হলুদ ফুল ছিলো চোখের পাতা ছুঁয়ে শহরও আলোময় পাপে ও উত্তাপে সে ছিলো মধুমাস, মেলাতে কত লোক কেনো যে স্মৃতিরতি, কেনো যে নীরবতা কেনো যে মনে পড়ে, পাথুরে অবকাশে ... ...
তিনদিন হাঁটবার পর, এমনস্থানে পৌঁছনোর কথা, যেখানে খচ্চরের পক্ষেও রাত্রিবাস সম্ভব নয়। অতএব, ওই প্রচন্ড শীতকে মোকাবিলা করবার মতন শীতবস্ত্র আমাদের সঙ্গে রাখতেই হবে। মোটের ওপর এইসমস্ত বিষয়, এবং, এর সাথে সাথে, কিছু হাঁটবার, বিশ্রাম নেওয়ার, ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়ার ব্যাপারে অবগত হওয়ার পওকে উনিশে অক্টোবর দশমীর সকালে, আরম্ভ হলো, আমাদের রুপিন পাস্ ট্রেক। এবং, ওই তখন থেকেই, সভ্যতার সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক শেষ! ... ...
পৃথিবীর সমস্ত রবিবারেরাই খুব বুদ্ধিমান। কেননা একমাত্র তারাই মানুষকে অনেকটা সময় ধরে দেখে। একটা কন্টিনিউয়াস প্রসেস। ঘুম ভাঙার মধ্যে দিয়ে দেখা শুরু হল। তারপর,মানুষটার সমস্ত একাত্মতায়,নিজস্বতায়,ভাবালুতা এবং আবেগ বর্জিত বাস্তবতা ও কাজের মধ্যে দিয়ে এই দেখাটা চলতেই থাকল। এভাবেই মানুষদের সবচেয়ে বেশি করে চিনে নিল রবিবার। সমস্ত দুর্বলতা ও খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ করে জেনে নিল আমরা কে কেমন,আমাদের বেঁচে থাকা,একাকিত্ম, ও নিজস্ব অভিনয়গুলো ভাল না খারাপ। আমরা এত কিছু বুঝলাম না। শান্তি ও আনন্দ ভেবে নিতে রবিবারই সবচেয়ে প্রিয় হল আমাদের। আর,সপ্তাহের অন্য দিনগুলোর থেকে ভাললাগা,খারাপ লাগা ধার নিয়ে ক্রমশ তরল,অজৈব এবং জলীয় হয়ে উঠল সে। ফেসবুক তোলপাড় করছে একটা ছবি। মালালা ইউসুফজাই। তার শরীরে ঢাকা দেয়া চাদরটা রক্তে ছোপানো। মাথায় পট্টি। শুয়ে রয়েছে চোদ্দ বছরের বিদ্রোহী বাচ্চা মেয়ে। এক বন্ধু ছবি দেখে বলল,এই পরিস্থিতিতে আমরা এই রকম হতে পারতাম না। সাহসে কুলাতো না। আমরা এ'রকম হতে পারিনা। সবাই সবকিছু পারেনা। তবে আজকাল জানতে ইচ্ছে করে যে আমরা কী পারি। ধর্ষণে ধর্ষণে ক্লান্ত পশ্চিমবঙ্গ! মেয়েদের ওপর অত্যাচারে,বধূহত্যায়,ভ্রূণহত্যায় -সবখানেই আমাদের পা। বছর দুই আগে সল্টলেকে এক আইটি ইঞ্জিনিয়ার দুর্ঘটনায় মারা গেলেন -অফিস থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে - অনেক মানুষ ঘিরে দাঁড়িয়েছিল,কেউ জলটুকুও দেয়নি। ক'দিন আগে পুলিশের ডাকাতি করার গল্প পড়লাম। কই,আমাদের তো মেরুদন্ডে কোথাও কোন শিরশিরানি নেই। এই কলকাতাই আমার কলকাতা নাকি ! চিনতে পারিনা কেন তবে! চিনবার চেষ্টাটা আসলে একটা আশ্রয়ের খোঁজ - বয়স হচ্ছে তো। বয়স হচ্ছে ভেবে নিলে একটা সুবিধাও আছে - পরের প্রজন্মের ওপর ভর দিয়ে দাঁড়ানো যায়। ... ...
উৎসব টুৎসব মিটল, এবার কথাটা বলা যাক। প্রতি বছর পুজো এলেই দুমদাম করে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। শুরু হয়ে যায় মহালয়া থেকে। হরেক রকম বিষয়ে। যেমন ধরুন, পিতৃপুরুষের তর্পণের দিনকে শুভ মহালয়া বলা উচিত কি উচিত না। ঐতিহ্যগতভাবে কেউ শুভ মহালয়া বলেননি কখনও, কিন্তু হতেও পারে, ধর্মীয় চিহ্নগুলিকে বাদ দিয়ে উৎসব স্রেফ ফুর্তিতে পরিণত হচ্ছে। তার পরই আসে কুমারী পুজো। বাচ্চা একটি মেয়েকে সাজিয়ে গুছিয়ে পুজো করার মধ্যে অনেকে পুতুল খেলা ছাড়া আর কিছু দেখতে পাননা। উল্টোদিকে এর তীব্র বিরোধীরা ধর্মীয় কুপ্রথার পুনর্নবীকরণ দেখতে পান। পুজো গড়ায়, বিতর্কও গড়ায়, এবং দশমীতে এসে চরমে পৌঁছয়। দশমীর পেট টপিক সিঁদুর খেলা। সিঁদুর খেলা কি স্রেফ নান্দনিক ফূর্তি, নাকি নারীর বশ্যতার প্রতীক? এইসব নানা ব্যাপার... মতামত দিয়েছেন - শুচিস্মিতা, সুমন মান্না, সৃজিতা সান্যাল শূর এবং সম্রাট আমীন। ... ...
মেঘমল্লার বাড়ির ওই ফ্ল্যাটটিতে, যে কোনো অজুহাতে, যাওয়া আমার চিরকালের মত ঘুচে গেল। মুছে গেল, সেখানে পৌঁছে তিরস্কার ও স্নেহসমেত, খাদ্য ও পানীয় সহকারে নানাবিধ গল্প শোনার সম্ভাবনাটুকুও। স্মৃতি রয়ে গেল। ... ...
গোকারাকন্ডা নাগা সাইবাবা, একজন শিক্ষক, গবেষক, মানবাধিকার কর্মী, দলিত ও আদিবাসীদের অধিকার আন্দোলনে যুক্ত একজন সমাজকর্মী। জীবনসঙ্গিনী বসন্ত কুমারির জন্মদিনে একটি চিঠিতে তিনি তাঁর বিস্ময় ব্যক্ত করেন। বলেন, আমরা তো সামান্য কর্মী, সামান্য উপায়ে সামান্য মানুষদের জন্য কাজ করি! তাহলে এই পরাক্রমশালী রাষ্ট্র কেন আমাদের আশা, আমাদের ভালোবাসা, আমাদের স্বপ্নকে ভয় পায়? আমরা কি কাউকে কোনও ভাবে কষ্ট দিয়েছি? কারো ক্ষতি করেছি? কেন আমাদের জীবনের ওপর এই আক্রমণ? কেন আমাদের স্বপ্নগুলোকে অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হয়? কেন আমাদের আশা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়? ... ...
উদয়পুরে কানহাইয়া লাল খুনের ঘটনায় হতবাক গোটা দেশ। হওয়ার কথাই। যে-কোনো হত্যাকাণ্ডই ভয়ংকর, কিন্তু এই ঘটনা শুধু একটা হত্যা নয়। যে পরিকল্পিত ও নৃশংস পদ্ধতিতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে তা বর্বরতার নমুনা। শুধু তাই নয়, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল না। এই হত্যাকাণ্ড ছিল নিখাদ গোঁড়ামির ফল। কানহাইয়া লালের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নূপুর শর্মাকে (যিনি নবী মোহাম্মদকে অপমান করেছিলেন) সমর্থন করে কথা বলা হয়েছে বলে রিয়াজ আখতারি এবং গৌস মোহাম্মদের রাগ ছিল। ... ...
যদি তাঁর চরিত্রের ধর্মীয় দিকটি বিবেচনা না করি, ডাঃ লিভিংস্টোনকে জানা সম্পূর্ণ হবে না। তাঁর ধর্ম তাত্ত্বিক ধর্ম নয়, বরং এ এক ধ্রুব, অকপট, আন্তরিক অনুশীলন। কাউকে দেখানোর জন্যও না, উচ্চকিতও না, শান্ত, ব্যবহারিক জীবনে এই সদাজাগ্রত বোধের প্রকাশ। একেবারেই আক্রমণাত্মক নয়। এই বিষয়টা কখনও কখনও বিরক্তিকরও বটে, যদি অপ্রাসঙ্গিক না হয়। তাঁর মধ্যে ধর্মের মাধুর্য বিরাজমান; কেবল ভৃত্যদের সঙ্গে তাঁর ব্যবহারই না, স্থানীয় গোঁড়া মুসলমান বাসিন্দাদের প্রতি, তাঁর সংসর্গে আসা সকল মানুষের প্রতি আচরণেই তাঁর ধর্মভাবের প্রকাশ। তীব্র মেজাজ, উদ্যম, প্রাণবন্ত স্বভাব আর সাহসের অধিকারী লিভিংস্টোন এটা ছাড়া অবশ্যই নিঃসঙ্গ, কঠোর প্রভু হয়ে উঠতেন। ধর্ম তাঁকে পোষ মানিয়েছে, তাঁকে একজন খ্রিস্টান ভদ্রলোক বানিয়েছে: অমার্জিত, একগুঁয়েমিকে পরিমার্জিত, অবদমিত করেছে; ধর্মের প্রভাবেই তিনি হয়ে উঠেছেন একজন অতি কাম্য সঙ্গী ও অতি-প্রশ্রয়দাতা প্রভু - এমন একজন মানুষ হয়েছে যাঁর সঙ্গ বেশ ভাল মাত্রায় উপভোগ্য। ... ...