পরদিন সকালে বাইসনের পাল এড়িয়ে ঘাসের ওপর হাঁটি, কয়েক মাইল যাবার পরে একটা বড় হ্রদ পড়ল, তার পাড় ধরে দক্ষিণদিকে আরো মাইল দশেক হাঁটলাম। অবশেষে একটা বড় খামার দেখা গেল। অন্তত তিন শ একরের খামার, সয়াবিন চাষ হচ্ছে। চাষ-জমির শেষে কিছু সারি দিয়ে দেবদারু গাছ। সেটা পার হয়ে খামার বাড়ির শস্য রাখার উঁচু সাইলো ঘর, গোলাঘর, শস্য নিয়ে কাজ করার কয়েকটা ট্র্যাক্টর ও কম্বাইন। পাশে একটা দোতলা কাঠের বাড়ি। সেই বাড়ির সামনে যখন আমরা দাঁড়িয়ে তখন সূর্য হেলে পড়েছে পশ্চিমে, আমাদের লম্বা ছায়া পড়ে বাড়ির দরজায়। আমরা ইতস্তত করি, এখানে জীবিত কি কেউ আছে? পৃথিবী নিস্তব্ধ হয়ে গেছে। এই বাড়ির ভেতর রয়েছে হয়ত মৃতদেহ। যে রোগে তারা মরেছে সেই রোগ কি ছোঁয়াচে নয়? আমরা একটা কাপড় মুখে বেঁধে নিই। হঠাৎ দুটো কুকুর দৌড়ে আসে, শেপার্ড, কিন্তু তারা ঘেউ ঘেউ করে না, দাঁত খিঁচায় না, লেজ নাড়ায়, এমন যেন এই খামার বাড়ির প্রতি তাদের কোনো দায়িত্ব নেই। ... ...
যাঁরা নানা কারণে লিখতে পারলেন না নবারুণারী তে, ফেসবুক ও গুরুচন্ডা৯ সাইটে তাদের নতুন-পুরোনো পোস্ট থেকে কিছু মতামত, কিছু আলাপ-আলোচনার নির্যাস রাখা রইল এই অংশে। এর অনেকগুলোই ভাটিয়া৯ অংশে অনেকের সাথে আলোচনার অংশ হিসেবে লেখা বলে এখানে একত্রে একটি লেখা হিসেবে পড়তে খানিক অদ্ভুত লাগতে পারে। সামান্য কিছু এডিটও করতে হল কথোপকথন থেকে বক্তব্য ও সময়কালের সাযুজ্য বজায় রেখে লেখাগুলো আলাদা করতে, তবু, যাঁরা লিখেছেন, তাঁদের মনোভাব আর বক্তব্যের সারবত্তা ধরে রাখা জরুরি মনে হাওয়ায় এবং অন্য কোন উপায় না থাকায় এগুলি এভাবেই রইল। আশা রাখি পরবর্তীতে এঁরা অন্যত্র কখনো নিজের দৃষ্টিভঙ্গি বিস্তারিত লিখবেন। যাঁরা লিখলেন না আত্রেয়ী মিঠু সায়নী সিনহা রায় সঙ্গীতা দাশগুপ্ত রায় সুচেতা মিশ্র শুচিস্মিতা সরকার মীনাক্ষী মন্ডল পারমিতা দাস ... ...
বয়ঃসন্ধির সকালে যখন মাথা ভরতি ভ্যাপসা গন্ধ নিয়ে ম্যামের খোলা পিঠ থেকে অন্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণে এসে থামত তখন তারা ডেকে উঠত। হয়তো পুরুষ চড়ুইটা। সঙ্গমহীনতার বিষাদে৷ ঘরবন্দি ভালোবাসা ছুঁয়ে দেখতে চাইত। পুরুষত্বকে বলিয়ান করতে চাইত। হিমালয়ে শীর্ষে তার পুরুষত্বকে রাখতে চাইত। যেখানে তার কামনার সবকটা রং ছুঁয়া যাবে। রঙধনুতে হেঁটে যাবে সংস্কারে আটকে পড়া সঙ্গিনীর নিশ্বাস পুঁজি করে। পরস্পরের রঙের আদানপ্রদান হবে তারাদের মাজারে। খসে পড়া তারা বয়সি মফস্বলে স্পর্শ এঁকে যাবে কামনার উৎকৃষ্ট সময়ে। যে সময় এখনও বার বার ফিরে আসে। ফিরে যায় কাঙ্ক্ষিত শৈশবের আটকে থাকা ভূগোলে। রাত নেমে আসে, বাড়ি ফিরে একটি নিঃসঙ্গ চড়ুই। ... ...
এই অসুখের পোশাকি নাম মানডে ব্লুজ। কাজে যাবার অনীহা। বিশেষ করে রবিবার সন্ধ্যায় এই মহামারীর প্রকোপ বাড়ে। আর লোকে ভিড় জমায় এই ক্যাফেতে। বিয়ার আর বাংলা খেয়ে নিজেদের চাঙ্গা করার জন্য। টেবিলে-টেবিলে ধোঁয়া ওঠে। গজল্লায় গমগম করে চারদিক। ফুর্তির ফোয়ারা ছোটে। মেয়েরা প্রেমিকের কোলে উঠে বসে। ছেলেরা হেঁড়ে গলায় গান গায়। ... ...
"সে এক সময় ছিলো, যখন কানেক্ট করতে হত। বারবার কেটে যাওয়া যোগাযোগ ফিরে ফিরে ধরে, কথোপকথন। এখন ডিসকানেক্টের যুগ। জুড়ে যাওয়া যোগাযোগ কেটে কেটে কথোপকথন। মেশিনগানের গুলির মত ছিটকে আসছে শব্দমালা, গতানুগতিক। ক্লান্তিকর ঐক্যের মধ্যে বৈচিত্র আনার চেষ্টায় তাই শুরু হচ্ছে এই নতুন বিভাগ। রাজনীতি থেকে খেলা, বিজ্ঞান থেকে কবিতা, দাঁতের মাজন থেকে শিবের গাজন, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স থেকে লোডশেডিং এই সব এবং আর যা কিছু ---সমস্তই এর আওতায়। দুঃসময়ের দোসর দোতলার এগজিট, দরকারমত যা পোল থেকে পলায়ন সবেতেই কাজে লেগে যাবে।" ... ...
অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বলতেন 'দেবশিল্পী'। সলিল চৌধুরী বলতেন, 'হেমন্তদা বা লতা যখন আমার গানের শিল্পী, তখন কল্পনা আমার দিগন্ত ছাড়িয়ে যায়। Sky is my limit.' আকাশই তাঁর সীমা হতে পারে। আকাশ পেরিয়ে ঐ পারেও রয়েছে তাঁর রাজপাট। বাঙালি হয়ে জন্মাবার সুবাদে যেসব ওয়রিশন ফাঁকতালে পেয়ে গেছি, হেমন্ত মুখোপাধ্যায় তাঁদের মধ্যে একটি সেরা অহংকার। নীল ধ্রুবতারা। সব প্রশ্ন থেমে যায় সেদিকে তাকিয়ে। তাকিয়ে থাকাটাই আমাদের প্রাপ্তি । অমলিন উজ্জ্বল উদ্ধার। ... ...
পৃথিবীর ইতিহাসে এখনো পর্যন্ত এই একটিমাত্র অসুখকে আমরা চিরদিনের মত পৃথিবী থেকে বিদায় করতে পেরেছি। কোভিদ-১৯ এর মতো গুটিবসন্ত ছিল একটি ভাইরাসঘটিত অসুখ। আরেকটি রোগকেও আমরা পৃথিবী থেকে প্রায় দূর করে দিয়েছি, পোলিও। সেটাও ভাইরাসজনিত। অথচ পোলিও বা গুটিবসন্তর ভাইরাস মারার মতো কোনো কার্যকর ওষুধ নেই।কীভাবে গুটিবসন্ত দূর করা গেল? তা থেকে আজকে করোনা ভাইরাস দূর করার ব্যাপারে কোনো শিক্ষা নেওয়া যায় কি? কোয়ারান্টিন, লকডাউন আর আজ ক্লোরোকুইন, কাল এজিথ্রোমাইসিন, পরশু ফ্যামোটিডিন, তারপরের দিন হোমিওপ্যাথি বটিকা - এরকমভাবে কি কোনো মহৌষধ আবিষ্কার আর রোগ নির্মূল কোথাও কোনোদিন হয়েছে? বিজ্ঞান এগনোর সাথে সাথে ওষুধ ও টিকা আগের চাইতে ঢের তাড়াতাড়ি আবিষ্কার করা যাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু তার সীমা কোথায়? আর পরাধীন দেশে সাহেবদের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যব্যবস্থা - এর বাইরে দেশীয় কোনো উদ্যোগ কাজে লেগেছিল কি?গুটিবসন্ত নির্মূল করার ইতিহাস থেকে হয়তো কিছু শিক্ষা পাওয়া যেতে পারে। তবে কিনা, ইতিহাসের প্রথম শিক্ষা হল, অতীতের ঘটনা হুবহু একভাবে আরেকবার ঘটে না। ... ...
কলিম খান যে কাহিনি আমাদের সামনে ন্যারেট করলেন, তা পাঠককে আবিষ্ট করে রাখল ঘটনাজালে। এখানে আরও একটা সূত্র এসে যায়, কলিম খান মার্ক্সিস্ট। বলতে গেলে ধ্রুপদী মার্ক্সিস্ট, যিনি ভারত-ইতিহাস লিখতে গেলেও সামন্ততন্ত্র শব্দটা লিখে ফেলেন। ফলে তিনি দেখালেন ইতিহাস আসলে অর্থনীতিও। আর, মহাভারত-রামায়ণ-পুরাণ ধরে তাঁর নির্মিত ইতিহাসব্যাখ্যা দেখাতে থাকল পুঁজি আর শ্রমসম্পর্কের বিবর্তনের একটি সম্ভাব্য ধারা। যা সচরাচর আমাদের পাঠে আসে না। যিনি কলিম খান পাঠ করেছেন, তিনি ‘সচরাচর’ শব্দটি লেখার পর ভাবতে বসবেন আসলে তিনি কী লিখেছেন। শব্দের স্মৃতিতে যে ইতিহাস, তা ব্যবহারিক অর্থেই বক্তাকে সেই ইতিহাসের অংশ করে দেয়। যেমন ধরুন যে মানুষটা বলেন যে তিনি চাষবাস করে খান, তিনি আসলে এও বলে ফেলেন যে তিনি খাওয়ার জন্যে শুধু চাষ করেন না, বাসও করেন। কৃষি না করলে বনচারী যাযাবর উপজাতির লোক গৃহস্থ হত না। তার গৃহে স্থিত হওয়ার দরকারই ছিল না। শব্দের আলো এইভাবে লোকসমাজের স্মৃতির মধ্যে জ্বলে, সূর্যের মতই অজান্তেই আলো দিয়ে যায়। ... ...
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাঝারি মাপের কারখানার মালিক জানান, 'ভারতের সরকার যে শুধু তার শ্রমিকদের দেখভাল করে তা নয়, বিদেশী শ্রমিকদের প্রতিও দয়ালু। সে কারণেই আমরা ভারতপন্থী'। তিনি আরও জানান, যে, চিনা সরকার স্থানীয় শিল্পকে রক্ষা করতে উদ্যোগী না হলেও ভারত থেকেই এসেছে এক কোটি ফেস্টুনের অর্ডার। যুদ্ধকালীন প্রস্তুতিতে ছাপা হচ্ছে। কলকারখানা আবার জেগে উঠেছে। শ্রমিকরা পাচ্ছেন ওভারটাইম। এখনকার মতো সংকট মিটল বলেই আশা করা যাচ্ছে। ... ...
' উচ্চবর্ণে জন্ম নেওয়া শিশুর মনেও শৈশব থেকেই ঢুকিয়ে দেওয়া হয় এই ধারণা যে দলিত মানেই 'নির্বোধ', 'বোধবুদ্ধি হীন', 'অযোগ্য', 'অকর্মণ্য'! 'আমাদের জেনারেলদের সব চাকরি ওরাই খেয়ে নিলো'! আর, মুসলমান মানেই 'নোংরা', 'নৃশংস', 'হিংস্র', 'মীরজাফরের জাত', 'পাকিস্তানী', 'দেশদ্রোহী', ' সন্ত্রাসবাদী'...! 'মুসলমান মানেই চারটে বিয়ে আর গন্ডা গন্ডা বাচ্চা!' দলিত এবং মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ সম্পর্কে এইসব ধারণাও ওই সাদা চামড়ার মানুষদের মতোই আমাদের 'উচ্চবর্ণের' বড় অংশের মানুষের মধ্যে বংশপরম্পরায় প্রবাহিত! এইসব ধারণা থেকে মুক্ত নন তথাকথিত 'শিক্ষিত' কিংবা 'বাম-মনস্ক' বহু মানুষও! ... ...
বিভিন্ন প্রকল্পে কতটুকু পাওয়া যাবে, তাকেই বলা হয় অনুদান। ১৯৯০ দশক পর্যন্ত বাম সরকারের মন্ত্রীরা, বিশেষ করে অশোক মিত্র যে অভিযোগগুলি করেছেন, তার মর্মার্থ একটিই, যে, এই রাজ্যের নিজস্ব উপার্জনের সমমূল্যের এই টাকা রাজ্যে ফিরে আসেনা। একে তাঁরা বঞ্চনা বলেছেন। অভিযোগ সত্যি হলে ৫০ বছরের লুণ্ঠন বললেও অত্যুক্তি হয়না।নতুন শতাব্দীতে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ২০০০ সাল থেকে অর্থ কমিশন কেন্দ্রের আয়ের একটি অংশকে সরাসরি রাজ্যের হাতে অনুদান হিসেবে ফেরত দেবার কথা জানায়। কতটুকু দেওয়া হবে, সেই ভগ্নাংশটি সময়ের সঙ্গে বদলেছে। ... ...
মনে রাখা দরকার, কোভিড কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, এগুলো কিন্তু আসলে দুনিয়াব্যাপী বাজার-অর্থনীতির পন্থায় পালটে যাওয়া জলবায়ুর ফলাফল। অর্থাৎ, রোগের সিম্পটম্স্ মাত্র। লকডাউন হোক, অতিমারির কারণের বিরুদ্ধে, সিম্পটম্স্ বা ফলাফলের বিরুদ্ধে নয়। পৃথিবীতে মানবজাতির অস্তিত্বরক্ষার জন্য মানবজাতিকেই আবার ভাবা প্রাকটিস করতে হবে। সুতরাং, তিনমাসের থমকে থাকা সভ্যতার গতির মধ্যে যখন দীর্ঘ প্রত্যাশিত প্রাপ্তির ভাঁড়ার পূর্ণ হতে শুরু করেছে, তখন ক্ষমতাবানদের সঙ্গে এঁটে ওঠার লড়াইয়ে কে বিজয়ী হয় সেটাই দেখার—সবুজ-নীল বাসযোগ্য পৃথিবী নাকি তমসাচ্ছন্ন বাজার-অর্থনীতি নিয়ন্ত্রিত দুনিয়াদারি। ... ...
যারা জেলাশহর বা সদরে পরিবারের সঙ্গে বাস করে তাদের রোজ দীর্ঘ জার্ণি, এমনিতেওকাজের লম্বা সময়, ওষুধ পত্রের অপ্রতুলতা ছাড়াও অন্যন্য হাঙ্গামাও পোহাতে হয়। যেমন নিবিড় গ্রামে রোগী দেখতে যাবার সময় হাতির পথ জুড়ে দাঁড়ানো বা পাহাড়ি ঝোড়ায় হঠাত হরপা বান আসা। এ ছাড়া অশিক্ষা ও নানা কুসংস্কারের সঙ্গে লড়াই। এই সবটা এরা করে বর্তমান সময়ের নিরিখে অতি অল্প টাকার বিনিময়ে। যেমন আশাকর্মীরা প্রতিমাসে ফিক্সড স্যালারি পায় ৩৫০০ টাকা। তারপর কিছু ইন্সেন্টিভ আছে, যেমন গর্ভিণীকে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে কেস প্রতি ৩০০ টাকা পায়। এ এন এম রা আরো কিছু বেশি পেলেও পরিশ্রমের তুলনায় কিছুই না। ... ...
ক্যাম্প থেকে ১৫ দিনের ওষুধ দিয়ে দেওয়া হল। তারপর কী হবে জানা নেই। লকডাউন হবার আগে এই রোগীদের কথা কি একবারও ভেবেছিলেন কেউ? কলকাতা মেডিকেল কলেজকে করোনা হাসপাতাল করার আগে প্রত্যেক দিন যে হাজার হাজার রোগী শুধুমাত্র আউটডোরে দেখানোর জন্য আসেন তাদের কী হবে ভেবেছিলেন কেউ? যাদের কেমো চলে, থ্যালাসেমিয়ায় রক্ত নিতে হয় নিয়মিত, যারা ওই বিনামূল্যের ওষুধগুলো পেয়েই বেঁচে থাকেন তাঁরা কী করবেন? বাস বন্ধ, গাড়ি বন্ধ, ট্রেন বন্ধ—আসতে পারছেন না। একদিক থেকে ভালো। খবরও হবে না… জানতেও পারবেন না। ওনারা বোধহয় মারা যেতেই পারেন—কিছু যায় আসে না। যেমন যায় আসে না পরিযায়ী শ্রমিকদের বেলা। ... ...
হনুমান বিভীষণের চোখে চোখ রাখে- কাগুমামা। আপনের মতো ভাই খেদায়া নিজে রাজা হইবার শখ তারো আছে। ধর্মশপথ করা বামুনগো কথা অবিশ্বাস কইরা অভিশাপের ভাগ নিতে চাইব না সে। বামুনগো অভিশাপ নিয়া বাড়ি ফিরলে বশিষ্ঠরে দিয়া সীমান্তেই তারে ঠেকাবে ভরত। …তবে পরীক্ষা শুরুর আগেই আপনের বামুনগো বড়ো বড়ো ঘরানা আর অভিশাপ টভিশাপের কাহিনী তারে একটু শোনায়া দিয়েন… ... ...
আপনাদের যদি মনে হয় লক ডাউন উঠে এসেছে সব কিছু আবার আগের মতন স্বাভাবিক হয়ে যাবে, খুব ভুল ভাবছেন, আমার উদাহরণ বাদ দিলাম কিন্তু মানুষের হাতে আর একদম পয়সা নেই, এদিকে সরকারের রান্নাঘর গুলিও সব বন্ধ হয়ে গেছে, একটা অদ্ভুত বিচ্ছিরি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আপনাদের মনে হবে বাড়িয়ে বলছি কিন্তু বিশ্বাস করুন লক ডাউন এর সময় তাও বা যারা খেতে পাচ্ছিল এখন তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ... ...
গত দুমাসেরও বেশি লকডাউন আমাদের জীবনের গতিতে একটু লাগাম টেনে ধরেছে। একদিকে এতদিনের বাধ্যতামুলক ঘর-বন্দীজীবন, থেমে-থাকা অর্থনীতির নীচের দিকে ছুট আর অন্য দিকে তুমুলভাবে উপর দিকে উঠতে থাকা করোনা-আক্রান্তের গ্রাফ – দুয়ের চাপে পড়ে জুন মাসের লকডাউন থেকে আনলক পর্ব নিয়ে কেমন একটা গুলিয়ে-যাওয়া অনুভূতি হচ্ছে অনেকেরই। কেমন হবে আগামী দিনগুলো? এদিকে খবর আসছে যে জাপানের হক্কাইডোতে প্রথম দফার লকডাউন তোলার এক মাসের মধ্যে আবার লকডাঊন জারী করতে হয়েছে। সব মিলিয়ে অবস্থাটা তেমন সুবিধার না। সামনেটা বড্ড অস্বচ্ছ, ঘোলাটে দেখাচ্ছে। ... ...
চাঁদরাত কথাটা খুব মিষ্টি। মায়ের ভালোবাসার মতন মিষ্টি। আলতো করে চোখ বুজলাম। আমি আমাদের বর্ধমানের গোলাপি বাড়িটার ঠিক সামনে দাঁড়িয়ে। পুরো পাড়াটা সবুজ নীল টুনি বাল্বে মায়াময়। ক্লাবের সামনে প্যান্ডেল... সুভানসাহেবের বাড়ি সামনেও প্যান্ডেল। ছোটো ছোটো বাচ্চারা নতুন জামা পরে সেজে গুজে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের কাছে ছোট্ট টাকার ব্যাগ। তাতে আছে জমানো টাকা। কাল অনেকে ঈদ সালামি পাবে। ... ...
মূল প্রবন্ধ থেকে বাংলায় ভাষান্তরঃ স্বর্ণেন্দু শীল শস্যের সাবেকি জাতগুলো সুস্থায়ী কৃষির গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, কারণ তাদের ফলনের দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতা বেশিরভাগ আধুনিক জাতের চাইতে বেশি। পর্যাপ্ত পরিমাণ সাক্ষ্যপ্রমাণ এটাই দেখায় যে যখনই সেচের জলের বা সারের স্বল্পতা দেখা যায় - খরা, সামাজিক সমস্যা কিম্বা সরবরাহ ব্যবস্থার সাময়িক গোলযোগে, আধুনিক জাতগুলোর ফলন ঘাটতি অনেক বেশি হয় ও অনেক বেশি অঞ্চল জুড়ে এই ঘাটতি দেখা যায়১০ [Cleveland et al. 1994]। চাষের আদর্শ পরিস্থিতিতে, কিছু সাবেকি জাতের গড় ফলন উচ্চফলনশীল জাতদের থেকে কম হতে পারে, কিন্তু যে প্রান্তিক পরিবেশের জন্য ঐ দেশি জাতটা বিশেষভাবে অভিযোজিত, সেখানে তাদের ফলন উচ্চফলনশীল জাতের থেকে অনেকটাই বেশি। ... ...
- খুব তো কেরল কেরল করো, দেখলে তো পনের বছরের প্রেগন্যান্ট হাতিটার কী হাল করল কেরালার লোক গুলো? - হ্যাঁ, খারাপ লাগলো খুব। কারা যে করলো? কেন যে করলো? - কারা আবার? মানেকা গান্ধীর স্টেটমেন্ট পড়নি। মাল্লাপুরে! মাইনরিটি এলাকা! কেরালায় বছরে ৬০০ হাতি মারা পড়ে বলেছেন। - হ্যাঁ দেখলাম, টুইট করেছেন ৩রা জুন। কিন্তু বুঝলাম না কী বলছেন! ভারত সরকার সংসদে ২০১৯ সালে একটা প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন ভারতে গড়ে বছরে ৫৬.৬ টা হাতি মারা যায়। ২০১৯ এর ফেব্রুয়ারি মাসের কোনো একটা তারিখে দ্য হিন্দু পত্রিকায় বেড়িয়েছিল যে ২০১৮ সালে ৭৫টা হাতি মারা গেছে এলিফেন্ট সেন্সাস অনুযায়ী। ৬০০ র অঙ্কটা ঠিক কোথায় পাওয়া গেল? ... ...