এই পরিস্থিতির সাথে আমি আগেও পরিচিত। আমাদের আর একজন গৃহ সহায়িকা অঞ্জুদিকে পাশের পাড়ার এক বাড়িতে বলেছিল, 'তুমি ডাক্তারবাবুর বাড়িতে কাজ করো। ডাক্তারবাবু রোজ জ্বরের রোগী দেখছেন। ওই বাড়িতে কাজ না ছাড়লে আমাদের বাড়ি আর কাজ করতে পারবে না।' অঞ্জুদি আমাকে হেসে বলেছিলেন, 'বললুম, আপনাদের কাজটাই তাহলে ছেড়ে দিই। তবে আপনারা জ্বর হলে কোথায় যাবেন? ডাক্তার কি দেখাবেন না?’ ... ...
রিপোর্ট অনুযায়ী ৬৫টি পেমেন্টের ক্ষেত্রে রোগীদের ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা দিতে হয়েছিল। অডিট করার পরে ৩৮ লাখ টাকা কমে যায়। আরেকটি ক্ষেত্রে ৩১টি ক্ষেত্রে ৫১ লাখ ৮৪ হাজার টাকার থেকে অডিটের পরে ১২ লাখ ৬ হাজার টাকা কম দিতে হয়। দুটো মিলে ৫০ লাখ টাকা। ব্যাঙ্গালোরের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় জানা যায় ৭ দিন হাসপাতালে থাকার বিল হয়েছিল ৯৩ লাখ টাকা। বিদেশে, একমাত্র আমেরিকা ছাড়া, ইউরোপের দেশগুলোতে এরকম বিলের কথা ভাবা যায়না। নিউজিল্যান্ড সহ অধিকাংশ দেশেই স্বাস্থ্যব্যবস্থা সরকারের পরিচালনায়। ফলে এ্ররকম ঘটনা ঘটেনা বললেই চলে। পুণেতে তাও সরকারি একটা অডিট হয়েছে, বিলের পরিমাণ কিছুটা কমেছে। পশ্চিমবঙ্গে ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের মতো সংগঠনের তরফে বারংবার চিঠি দেওয়া এবং হস্তক্ষেপের পরেও অবস্থার খুব কিছু ইতরবিশেষ হয়নি। ... ...
আমরা যেন মাথায় রাখি, বঙ্গভাগের পর বছরের পর বছর ভূমিভাগের ব্যথা সহ্য করে বাংলার নানান অঞ্চল উদ্বাস্তুদের আত্মীকরণের লড়াই চালাচ্ছিল, সে সময় বিপুল সংখ্যক প্রায় সব হারিয়ে আসা মানুষ পথকে বেছে নিয়েছিলেন জীবিকার পাথেয় হিসেবে। কলকাতা, অন্যান্য অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল শহুরে নিম্নবিত্তদের জন্যে বিপুল স্বাভাবিক বাজার এবং ক্রমশ কলকাতার কপালে উঠেছিল শস্তাতম শহরের তকমা। ... ...
বরং বলি সেই অমাবস্যার আগের এক গোধুলির কথা যার সঙ্গে এ জীবন সংপৃক্ত হয়ে আছে। সেদিন ছিল চতুর্দশী কিংবা অমাবস্যা। কখন যে এক তিথি শেষ হয়ে অন্য তিথির আবির্ভাব হয়, তা পঞ্জিকাকাররা বলতে পারেন। বলতে পারেন মহাকাশের গ্রহ নক্ষত্র চেনা মানুষজন। জ্যোতির্বিদরা। সেদিন ছিল পিতৃপক্ষের শেষের আগের দিন। পরের দিন অমাবস্যা, কৃষ্ণপক্ষ শেষ হবে। তার পরের দিন থেকে আশ্বিনের শুক্লপক্ষ, দেবীপক্ষ আরম্ভ। আমার বাবা ভাদ্রমাসের পূর্ণিমার পর কৃষ্ণপক্ষ শুরু হলে পিতৃতর্পণ আরম্ভ করতেন। অমাবস্যার দিনে, মহালয়ার দিনে গঙ্গার ঘাটে গিয়ে সেই তর্পণ শেষ হতো। মহালয়ার সঙ্গে আমাদের পরিবারের একটি সম্পর্ক রয়েছে। দেশভাগের পর এপারে এসে আমাদের পরিবার যে প্রথম মৃত্যুকে দ্যাখে, তা এই অমাবস্যা কিংবা চতুর্দশী ও অমাবস্যার সন্ধিক্ষণে। ... ...
অনেকেই প্রশ্ন করে, “তাহলে বৌদ্ধধর্মে সরস্বতীর নাম কি?” বৌদ্ধধর্মে অনেক বৈদিক দেবদেবীর নাম পরিবর্তন করা হলেও, কোন কারণে সরস্বতীর নাম পরিবর্তন করা হয়নি। যদিও বৌদ্ধধর্ম ভারতের গণ্ডী ছেড়ে যখন এশিয়ার বিভিন্ন দেশে প্রসারিত হয়, তখন স্থান ভেদে দেবীর নাম পরিবর্তন হতে থাকে। তিব্বতে তাঁর নাম হয় ‘ইয়াং চেন মো’, সঙ্গীতের দেবী হিসাবে প্রাধান্য হলে নাম হয় ‘পিওয়া কার্পো’। মঙ্গোলিয়ায় তিনি হলেন ‘কেলেয়িন উকিন তেগ্রি’। চীন দেশে নাম হল ‘মিয়াওয়িন মু’। জাপানে তাঁকে মিলিয়ে দেওয়া হল দেবী ‘বেঞ্জাইতেন’ বা ‘বেন্তেন’-এর সাথে। যদিও বৌদ্ধ সরস্বতীর সব মন্ত্রে- তা সে যে ভাষাতেই হোক- উচ্চারণ ‘সরস্বতী’ই করা হয়। ... ...
অজিত কৌর। আধুনিক পাঞ্জাবি সাহিত্যের উজ্জ্বলতম নক্ষত্রদের একজন। সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার সহ বহু সম্মানে ভূষিত। ভারতীয় উপমহাদেশের নারীলেখক বিশ্বে ঘরহীন নারীর আত্মকথার পরিপুষ্ট ধারায় আরও একটি খরস্রোতা ধারা যুক্ত করেছেন দুটি গ্রন্থে বিস্তৃত তাঁর আত্মকথা—‘খানা বাদোশ’ ও ‘কড়া-কাবাড়া’, জয়া মিত্র ও পুষ্পা মিশ্র-র করা বাংলা তরজমায়—‘জিপসি নদীর ধারা’ এবং ‘আবর্জনা’। পড়লেন লেখক তৃষ্ণা বসাক। ... ...
২০১৯ ছিল কবি ও গদ্যকার সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের জন্মশতবর্ষ। সেই উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ— দুই বাংলা থেকে প্রকাশিত হয় দুটি স্মারক-গ্রন্থ। এবারের প্রথমপাঠ বিভাগে আলোচিত হল দুটি গ্রন্থই। ... ...
অ্যালবার্ট আইনস্টাইন। মহাবিজ্ঞানী। কিন্তু মানুষটি কেমন ছিলেন? ১৯২২-২৩ সালে এশিয়া-আফ্রিকায় ভ্রমণকালে তিনি যে ডায়েরি লিখেছিলেন তার পাতায় পাতায় মেলে অশ্বেতাঙ্গদের প্রতি কুরুচিকর মন্তব্য। ২০১৮ সালে এ ডায়েরি প্রকাশিত হয়েছে বই হয়ে। পড়লেন চিকিৎসক সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়। ... ...
সবে দোকানের ঝাঁপ খুলেছি। ঝিলমিল ঝিলমিল প্রজাপতি রোদ্দুর মিছিল করে দোকানে ঢুকে পড়ল আমার কফির দোকানে। আমিই মালিক আমিই বারিস্তা। আমার তো পুঁজি খুব কম। ছোট্ট দোকান। তবে জায়গাটা এক্কেবারে মোড়ের মাথায়। মোড়ের মাথা মানে চারদিক থেকে ঢালু পাথর বাঁধানো রাস্তা উঠে এসে এখানে মিলেছে। একটা দামাল ঝামড়া বেদানা গাছ। তার ঠিক পাশটায়। সেদিক থেকে মোটামুটি জমজমাট। এখন সবে ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে। আমি কফির মেশিন গুছিয়ে রাখছি। ক্যাকটাসগুলো জানালার কাছে রেখে দিচ্ছি। বোগেনভিলিয়া লালে লাল হয়ে আছে আমার দোকানের কাচের দরজার ওপর। আমি হাট করে দরজা খুলে রেখেছি। রোদ মেখে ফুলের একটা লালচে রং আমার লালসাদা চেক চেক কফিটেবিলের নকশা বুনছে। আন্দালুসিয়ার সেভিয়াতে বরাত জোরে একটু দোকানের ব্যবস্থা হয়ে গেল কোনোমতে। সে আর-এক গপ্প। পরে বলবখন। ... ...
শূন্যতা আসলে নিষ্ক্রিয়তার উপলব্ধি। সক্রিয় জীবনযাপনে নির্দিষ্ট একটা লক্ষ্য লাগে। ধরা যাক, যে লোকটা মাউন্ট এভারেস্টে উঠছে, খাড়া বরফের উল্লম্ব দেওয়ালে চেপে গেঁথে নিচ্ছে স্নো বুট, সে জানে এখানে তার অক্সিজেন সীমিত, মেপে পা ফেলতে হয়, বেঁচে থাকার সম্ভাবনাই মাত্র পঞ্চাশ শতাংশ। এখানে তাকে উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে একটা তুমুল এভালান্স, এখানে এমনকী তার মৃত্যুর পরে তাকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এই এতসব ঝুঁকি তাকে এমন একটা জিগীষা দিয়েছে, যা তাকে পৃথিবীর উচ্চতমে নিয়ে যেতে পারে। হ্যাঁ, তার মৃত্যু আশঙ্কা বেশী, কিন্তু ওই ঝুঁকি আছে বলে তার জীবন সুন্দর। এমনকী, এই আরোহীর মৃত্যুও, আহা, কত দুঃসাহসিক-লিরিক্যাল। ... ...
পবিত্র পরিচয় করিয়ে দিলো, এই আমিনুলদা, বিপ্লবের ভার বহন করতে করতে চিঁড়ে-চ্যাপ্টা হওয়ার যোগাড়; আর উজ্জয়িনী, উজ্জয়িনী ভৌমিক, এত বড় নামটা এখনো বয়ে বেড়াচ্ছে, সাবজেক্টিভ আর অবজেক্টিভ কণ্ডিশন মিলে গেলেই ওজনদার নামটা ত্যাগ করে বিপ্লবকে নিয়ে নেবে মাথায়। আমিনুলদা, আমাদের নতুন কমরেড সোমেশ্বর, সোম বলে ডাকতে পারো, ফাটাফাটি কবিতা লেখে। লাল-টালের ছিটে আছে, রক্তপাতও ঘটাচ্ছে একটু একটু, আর এই ওর বন্ধু স্বরাজ। একে একে বিভিন্ন কলেজের কিছু কিছু ছেলেমেয়ে আসতে শুরু করলো, আড্ডা শুরু হলো, একটু-আধটু কবিতা, গান, আর তার পরেই জোর তর্ক। এ তর্কে যোগ দিতে পারলো না সোমেশ্বর, বিষয়টা প্রায় অজানাই ওর। তেনালী নামের কোন একটা জায়গায় কম্যুনিস্ট পার্টির লোকজনরা কিছু একটা মীটিং করেছে, সেই মীটিং নিয়েই তর্ক। ... ...
আসামের তিনসুকিয়াতে বাঘজান তৈলকূপের কথাই মনে এল সবার আগে। কারণ খবরের কাগজে একেবারে ভেতরের পাতায় এ খবর কতোজনের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে নিশ্চিত নই। অথচ ক্ষতি যা হল তা মারাত্মক। এই তৈলকূপ ঘিরে রয়েছে ডিব্রু-শইখোয়া ন্যাশনাল পার্ক। পার্কের গাছপালা, পশুপাখি ঝলসে গেছে। লাগোয়া বিলে ভেসে উঠছে অসংখ্য জলজ প্রাণীর পচাগলা মৃতদেহ। বিলেই পাওয়া গেছে দুজন দমকল কর্মীর লাশ। আগুন আর গ্যাস তাদের এমনভাবে ঘিরে ফেলেছিল যে পালাবার অবকাশ ছিল না। ডিব্রু নদী বিখ্যাত ছিল নানা বিরল প্রজাতির মাছ ও গাঙ্গেয় ডলফিনের জন্য। লাগোয়া বন বিখ্যাত ছিল বুনো ঘোড়ার জন্য। ৩৬ টি স্তন্যপায়ী প্রজাতি যার মধ্যে বাঘ একটি, এবং ৩৮২টি প্রজাতির পাখি এই ৩৪০ কিলোমিটার ব্যাপ্তির বনে বাস করত। তাদেরই বা কী হল ! শোনা যাচ্ছে ৪ সপ্তাহের আগে এ আগুন নেভানো সম্ভব হবে না। ... ...
করোনা অতিমারির সময়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যব্যবস্থার অসামান্য গুরুত্ব আমাদের সবার দৃষ্টিপথ, শ্রুতি এবং ভাবনার ক্ষেত্রপথের একেবারে বাইরে চলে যাচ্ছে। অতি উচ্চ মুল্যের আইসিইউ পরিষেবা, উচ্চচাপের অক্সিজেনের ব্যবস্থা, ECMO ইত্যাদি জন মানসিকতায় ক্রমশ গ্রাহ্য হয়ে উঠছে, মান্যতা পাচ্ছে। মনে ক্ষোভ পুষে রেখেও সাধারণভাবে মানুষ চাইছে বেশি দামের রেমডেসিভিরের চিকিৎসা – নিতান্ত কমদামের এবং একমাত্র “improved survival” ঘটাতে পারে ডেক্সোমেথাসোনের চিকিৎসা নয়। চিকিৎসকেরাও এই সোশ্যাল সাইকি বা গণমানসিকতার বশে থাকছেন বেশিরভাগ সময়েই। বাজারের, মিডিয়ার এবং বিজ্ঞাপনের দুর্মর শক্তি উভয়কেই নিয়ন্ত্রিত এবং প্রভাবিত করছে। ফলে চিকিৎসা আরও বেশি করে হাই-টেক হয়ে উঠছে, ভার্টিকাল প্রোগ্রামের দিকে ঝুঁকছে। এবং ক্রমাগত ঝুঁকবে। ... ...
কৃষ্ণাঙ্গ বিক্ষোভে আমেরিকা উত্তাল। রাজনৈতিক ভাবে, আমেরিকার বর্ণবাদের বিরুদ্ধে কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের সম্মান অর্জন প্রচেষ্টা আজ এক নতুন বিস্ফোরক বাঁকে। রাজনৈতিক আলোচনা চলবে। এই প্রবন্ধটি তিন প্রজন্মের কৃষ্ণাঙ্গ লেখকদের লেখা প্রসংগে। নবারুণ ভট্টাচার্য্য প্রতিষ্ঠিত 'ভাষাবন্ধন' পত্রিকায় ২০১৭ র উৎসব সংখ্যায় ইতোমধ্যে প্রকাশিত। ... ...
ক্রিসমাসের এবারের ছুটিতে আমেরিকা তথা বিশ্বে সবথেকে আলোচিত টাইটানিকের পরিচালক জেমস ক্যামেরুনের "অভতার' (বাংলা অবতার)। শুধু অত্যাধুনিক স্টিরিওগ্রাফিক ক্যামেরা বা থ্রি ডাইমেনশনার কম্পুটার গ্রাফিক্সের জন্যেই অবতার নিয়ে এত শোরগোল হচ্ছে তা ঠিক না। হলে গিয়ে মনে হল আমেরিকান বস্তুবাদী সভ্যতায় বিধ্বস্ত অনেকেই ফিরে যেতে চাইছে, ফিরিয়ে দাও সে অরণ্যের যুগে যেখানে প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করেই বেঁচে থেকেছে মানুষ। ... ...
আমি এমন "গায়ক'এর গানও শুনেছি যিনি আমার নিজের বানানো গানের তাল পালটে সেটিকে আত্মস্থ করে গেয়েছেন। শ্রোতারা খেয়ালও করে নি যে গানটার রিদমটাই পালটে গেছে। এইভাবেই আমার একটা ৫ মাত্রার গান নির্দ্বিধায় ৬ মাত্রা, কখনও কখনও ৮-মাত্রাও হয়ে দাঁড়িয়েছে, এবং একজন শ্রোতার একটা ভুরুও বাঁকে নি, বরং গানশেষে সেই গায়ক অজস্র তারিফ এবং তারিফ পেয়েছেন। এইসব বিখ্যাত আর জনপ্রিয় শিল্পীরা গানের মাত্রা বদল কেবল শস্তা জনপ্রিয়তা পাবার জন্যেই করেন নি, তাঁরা এটা করেছেন কারণ ৫-মাত্রার গান হ্যান্ড্ল করা তাঁদের কাছে কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। তাই একজন সেটাকে ৬ মাত্রায় বদলে নিলেন, আরেকজন, ৮ মাত্রায়। পরিশেষে, শ্রোতাদের তৃপ্ত মুখগুলি আর শিল্পীর খুশি-খুশি মুখ দেখে আমি চুপ করে দাঁড়িয়ে ভাবলাম, একদিন আমার কিছু শুভানুধ্যায়ী আমাকে এই দেশে ফিরে এসে গানকে জীবিকা হিসেবে নেবার বিরুদ্ধে সাবধান করেছিলেন, তাঁদের কথা সেদিন শুনলে আজ আমাকে এই জিনিস দেখতে হত না। আমি কিছুই করতে পারি নি, নিজের ক্ষোভ, রাগ, হতাশা, কিছুই ব্যক্ত করতে পারি নি সেই দিন। আজ, তেষট্টি বছর বয়েসে, জীবনে অনেক কিছু দেখবার পরে, আজ হয় তো সময় হয়েছে, আমি গলা ছেড়ে বলতে পারি এই বং সোসাইটি (ঞ্ছবাঙালিঞ্জ নয়) আর এই বং জীবনযাত্রার প্রতি আমার অপছন্দ, আমার ঘেন্নার কথা। "বাংলা' বলে আর কিছু বেঁচে নেই। অনেকদিন আগে মরে গেছে। অনেকদিন আগে শোনা এক বাউল-গান মনে পড়ে যাচ্ছে - "বাউল বাউল করো তোমরা / বাউল কে আছে / বড় দু:খ পাইয়া বাংলার বাউল মইরাছে।' ... ...
দিল্লীর গদিতে বসে যাঁরা পলিসি বানান তাঁদের হয়তো মনে হয়েছিলো এই ১৯৬৪ সালটা জাতীয় ঐক্যের খাতায় দারুণ কিছু একটা নজির তৈরী করবে, কিন্তু সত্যি বলতে কি ঐ সময় থেকেই কাশ্মীরি সাধারণ মানুষ ভারতকে একেবারে "পর' বলে ভাবতে শুরু করলো।' ... ...
অতুলনীয় মেধা,অতি উজ্জ্বল ছাত্রজীবন ও তীক্ষ্ণ ধীশক্তির অধিকারী হিসাবে সুপরিচিত অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারীর কালাজ্বরের প্রতিষেধক বিষয়ক গবেষণা আরম্ভ হয়। ক্যাম্পবেল কলেজে (বর্ত্তমানে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে) শুরু হয় ভীষণ মারণব্যধি কালাজ্বরের বিরুদ্ধে তাঁর ঐতিহাসিক সংগ্রাম। গবেষণার জন্য তিনি পেলেন ছোট একটি ঘর, যেখানে জলের কল, গ্যাস পয়েন্ট বা বিদ্যুত সংযোগ কিছুই নেই। কিন্তু এইসব অসুবিধা নিয়ে বিন্দুমাত্র বিচলিত না হয়ে একটি পুরনো কেরোসিন ল্যাম্প সম্বল করে প্রকৃত বিজ্ঞানতপস্বী উপেন্দ্রনাথ শুরু করেন তাঁর গবেষণা। ধাতুঘটিত যৌগকে রোগনিরাময়ের জন্য ব্যবহার করার পদ্ধতি তখন খুব বেশি প্রচলিত হয়নি। এই প্রসঙ্গে, মিশরের রাণীরা রূপটান হিসেবে ঘন নীল রঙের একধরণের অ্যান্টিমনি পেষ্ট ব্যবহার করতেন, অর্থাত অ্যান্টিমনির ভেষজ গুণের কথা তখনও জানা ছিল। বিংশ শতাব্দীর প্রথমে Paul Ehrlich ও তাঁর সহযোগীরা আর্সেনিক, অ্যান্টিমনি ইত্যাদির যৌগকে সিফিলিস, আফ্রিকান স্লীপিং সিকনেস ইত্যাদি অসুখের প্রতিষেধক হিসাবে ব্যবহার করা শুরু করেন। ... ...
নাম: শাহরুখ খান। ইনি বলিউডের বাদশা। বলিউড অর্থাৎ রামরাজ্য ও শ্যামরাজ্যের মাঝামাঝি যে গোবেচারা যদুরাজ্যকে আমরা ভারতবর্ষ বলি তার প্রধান শহরের প্রধানতম ইন্ডাস্ট্রি। শাহরুখ খান, ইন শর্ট SRK , এই শহরের এবং এই ইন্ডাস্ট্রির সবেধন বৈদূর্যমণি। গ্লোবাল আইকন। ... ...
কেন হল, কেন হয়, এরকম? বিপর্যয় রাজনৈতিক হউক বা একডেমিক, পহেলা টোটকা- 'আত্মসমীক্ষা'। ভেবে দেখুন, যে আপনি চিরকাল স্টেজে মারনে ওয়ালা পার্টি, যার কাছে অধ্যবসায় ও সেল্ফ-ডিসিপ্লিনের আদর্শ মিড-নাইন্টিজ ইন্ডিয়ান ক্রিকেট টিম ... ...