ফলটা যদি মাথা টপকে একটু দূরে পড়ে- আবিশ্বে প্রেমের টানটা সেই তিমিরেই রয়;এত প্রেম নিয়েও বসুধা পুড়ে যাচ্ছে জ্বরেপুরুত-পাদ্রী,ভিক্ষু আর মৌলবী কথা কয়। সর্বাঙ্গে হাড়পিস নিয়ে দিব্যি পৃথা ঘোরে মরছে পৃথা,হেলদোল নেই, নিষ্ঠুর নির্দয়!কর্তাদের জন্ম কি আর গাছের কোটরে?-বিষবৃক্ষের আঁচলে ঢাকা ছিল মহাশয়!!
আমাদের মতো অনেকের আশা আকাঙ্খাকে বলি চড়িয়ে রাহুল গান্ধী তাঁর বিশ্বাসভাজন ও দলের নীতি নির্ধারক অধীর চৌধুরী, জয়রাম রমেশের কথায় প্রভাবিত হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (মুখে ভালো ভালো কথা বলে) কার্যত উত্যক্ত ও উপেক্ষা করে বঙ্গে জোটের শেষ আশাটুকুও খতম করলেন। দেখা যাচ্ছে আশ্চর্যজনকভাবে কংগ্রেসের বাকি নেতৃত্বের কোন সাড়া শব্দ নেই। সবাই জানে, যে কোন সময় নির্বাচন ঘোষিত হতে পরে। অথচ রাহুল ব্যস্ত ন্যায় যাত্রায় আর বাকিদের ভূমিকা বোঝা মুশকিল। এখন প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক যে, কংগ্রেস কি মোদীকে হারাতে সত্যিই আন্তরিক? মনে হয় না। কারণ, তাহলে সময় নষ্ট না করে দ্রুত ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক ডেকে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামতেন। কিন্তু সেরকম কোন ... ...
৩৫ পিসেমশাই বললেন, আমার জীবনের গল্প না বললে আমার পরিবেশ ও বড় হয়ে ওঠার কাহিনী জানতে পারবি না। আমি আজ তান্ত্রিক হলেও সাধারণ ঘরের ছেলে। সংস্কৃত নিয়ে পড়াশুনা করেছি। আমাদের পূর্বপুরুষ বংশ অনুক্রমে কালীসাধক। সাধনায় আমাদের মদ, মাংস, নারী সবই প্রয়োজন। বায়ুরূপ যোনীতে প্রকৃতিরূপ লিঙ্গ স্থাপিত করে স্তম্ভন প্রক্রিয়ায় বির্যধারণ করতে হয়।কিছুলোগ পাকামি মারতা হ্যায় লেকিন পারতা নেহি। খুব কঠিন ব্যাপার হ্যায়। রতন বললো, বেশ ওসব বুঝি না। আপনার ছোটবেলার গল্প বলুন। পিসেমশাই বললেন, এমনি এমনি নেহি হবে কিছু খাওয়াতে হবে। আমি তিনজনের জন্য ছটা সিঙারা নিয়ে এলাম বাজার থেকে। পিসেমশাই এলে এমনিতেই মা চা করে আনেন। আমার ঘর আলাদা। এঘরে ভিড়ভাট্টার ... ...
৩২ পিসেমশাই বললেন, আরে বাবা ভূত পেত্নীর একটু ভালোবাসাবাসি করার জায়গাটুকু পর্যন্ত নেই। একটু নিরালা একটু আড়াল নেই। শুধু বসন্তকাল জুড়ে হরিনাম সংকীর্তনের পালা। আর এই বসন্ত কালেই তো একটু পেত্নীর মাথায় সোহাগের হাত দিয়ে উকুন বাছতে ইচ্ছে হয়। তারও জো নেই। মানুষগুলোর হরিভক্তি যেন উছলে উঠেছে। পিসেমশাই এর তিরানব্বই বছরের ভূত বিশেষজ্ঞ জিতেন দাদু এই বসন্তকালেই ভূতপেত্নী নিয়ে গবেষণায় মাততেন। কারণ এই বসন্তে গত বছর লাইনে বুক পেতে দিলো রমা সুন্দরী চলন্ত ট্রেনের সামনে। দেহের একভাগ এপারে আর এক ভাগ ওপারে পড়লো। রমার আত্মা ভাবলো মুন্ডু থাকা অংশেই প্রবেশ করে শয়তান মানুষকে ভয় দেখাবো। সঙ্গে সঙ্গে জিতেন দাদুর সামনেই রমার মৃত মুন্ডুযুক্ত ... ...
পিসেমশাই বললেন, লম্বা চুল হলে হিন্দু সমাজের একাংশে বিধান রয়েছে, সমস্ত শ্মশানযাত্রীকে মস্তক মুণ্ডন করতে হবে। যুক্তি হিসাবে বলা হয়, চুলের শিকড় পথেই আত্মা প্রবেশ করে শরীরে (হিন্দু ধর্ম মতে)। এদিকে প্রচলিত ধারণা, শ্মশানে ঘুরে বেড়ায় অনেক আত্মাই! তার মধ্যে কোন দুষ্ট আত্মা যদি শরীরে প্রবেশের চেষ্টা করে, তা রোধ করার জন্যই মস্তক মুণ্ডন! এই কুসংস্কার বাদ দিয়ে ব্যাপারটাকে দেখা যায় অন্য ভাবেও। মস্তক মুণ্ডনকে যদি মৃত ব্যক্তির প্রতি শেষ সম্মানজ্ঞাপন বলে ধরা হয়, তাহলেও সমস্যা রয়েছে। কেন না, যে সময় থেকে এই নিয়মের উদ্ভব, তখন নারী সন্ন্যাসিনী না হলে তার মস্তক মুণ্ডনের প্রশ্নই উঠত না। তাই নারীর শ্মশানে যাওয়ার ... ...
মন থেকে থেকে যদি বিচিত্র আওয়াজ শোনেন ফাঁকা বাড়িতে, তবে নিশ্চিত হন, সেটা ছুঁচোর কীর্তি বা বিড়ালের ডাক কি না। তাতে যদি সন্দেহ না-মেটে, তবে সাবধান। আর একটা ব্যাপারেও তিনি খেয়াল রাখতে বলেছেন, যদি হঠাৎ হঠাৎ বাড়ির ভিতরে শীত বোধ হয় গরমকালে, তা হলে সমস্যা রয়েছে। তবে এটাও ঠিক, সামান্য ঠান্ডা অনুভব করা মানেই তেনারা এসে গিয়েছেন, তা একেবারেই ঠি নয়।হঠাৎ কোনও বিশেষ গন্ধ পাওয়া। গন্ধপিশাচ হতে পারে। মতে। বিশেষত, আপনার কোনও অনুপস্থিত প্রিয়জনের সুবাস যদি ঘ্রাণেন্দ্রিয়ে ধাক্কা মারে, তা হলে সাবধান। গন্ধটা খুবই সন্দেহজনক বলে জানবেন। তান্ত্রিক এবার বললেন একটি নতুন গল্প। এক নরখাদকের কাহিনী। সারা পৃথিবী জুড়েই ... ...
চন্ডীদাসের মত ছিপ ফেলে বিপিন মাছ ধরা দেখছে ফাতনার কথা ভুলে। বাউরি বৌ গুগুলি আর ঝিনুক ধরছ জলের তলা থেকে। তার সুডৌল স্তন ঝুঁকে পরেছে জল ছুঁয়ে। জল কখনও সখনও রসে ডুবিয়ে দিচ্ছে যুবতী হৃদয়। বিপিন দেখছে ভিজে নিতম্ব ফুটে উঠেছে খাজুরাহের ছবির মত। বিপিন ভাবছে ঝিনুক, গুগুলির জীবন বাউরি বৌকে স্বামী সোহাগী করে তুলেছে কোমল দেহসৌষ্ঠবের মাধ্যমে। পুকুরের পাড়ে গাছ গাছালির স্নেহচ্ছায়া। এই দুপুর হয়ে উঠেছে বসন্তমায়া। কোন এক অদৃশ্য মায়ায় বৌ মাঝে মাঝে তাকায় বিপিনের দিকে। কেউ কোথাও নেই। দুপুরের অবসর বাউরি বৌ ধরে শামুক, ঝিনুক। অলস স্বামীর খপ্পরে পরে জীবনে তার লড়াই প্রকট হয়ে উঠেছে। বিপিন বেকার ... ...
৫ পিসেমশাই আজ নতুন একটা গল্প শুরু করলেন। সেদিন ছিল ভীষণ কুয়াশা। শীতকালের পৌষ মাসের সকাল। যথারীতি ভোর পাঁচটার ট্রেন ধরে হাওড়া যাবে বলে লাইন পার হচ্ছিল মনোজ। আর ঠিক সেই সময়ে ঊর্ধ্বশ্বাসে ছুটে আসছিল গ্যালোপিং ট্রেন। তাকে পিষে দিয়ে চলে গেল নিমেষে।একটু পরেই মনোজের শরীর বেশ হালকা লাগছে। সে আস্তে আস্তে উপরে উঠতে শুরু করলো। কিন্তু দেখলো সে হাওয়ায় ভাসছে কেন? আর তার শরীরটা পড়ে আছে লাইনের উপর।শরীর ছাড়া হয়ে মনোজ বেশ উপরে উঠে উড়ে উড়ে বেড়াতে লাগল। তারপর দুপুর গড়িয়ে রাত নামলো রাতে আরো অনেকে শরীর ছাড়া। শরীর ছাড়া আত্মা উড়ে উড়ে বেড়াতে বেড়াতে তার কাছে এলো। সকলের সাথে ... ...
রতনেদের পাড়ার তান্ত্রিক পিসেমশায়কে দেখলে আমাদের খুব ভয় লাগে। সবসময় লাল চোখ, বাঁজখাই গলা আর কন্ঠস্বরের তীব্রতায় বুক ধরফর করে। সহজে কেউ তান্ত্রিককে ঘাঁটাতে চায় না। তবু রতন সাহস করে বলে, পিসেমশায় ভূত,পিশাচ এসব কি? পিসেমশায় ভাঙ্গা ভাঙ্গা হিন্দীতে মজা করে কথা বলেন। তিনি বললেন, ক্যা হুয়া, তোমার এসব দরকার কিউ পরতা,হ্যায়? তুমি বাচ্চালোগকা মাফিক থাক।রতন বলে, বলুন না। শুনতে ভালোলাগে। পিসেমশায় এবার সিরিয়াস হয়ে বলেন, শরীর মন্ত্র দ্বারা সুরক্ষিত করে তান্ত্রিকরা অপরের উপকার করতে যান। ক্ষমতালাভের জন্য তন্ত্রে শবসাধন, পাদুকাসাধন, কর্ণপিশাচী সাধন, মধুমতী সাধন ইত্যাদি অনেক সাধনের কথা আছে। তাছাড়াও আছে ভূতপ্রেত পিশাচসাধনও। রতন বলে, পিশাচদেরও ভাগ আছে।পিসেমশায় বলেন, চোখপিশাচী, নাকপিশাচী, ... ...
পোষা ভূত ও ভয়াল তান্ত্রিক সুদীপ ঘোষাল আমার বন্ধু মিলু আজ কলকাতা থেকে ফিরেছে। ফিরে প্রথমেই আমার সঙ্গে দেখা। আমি বললাম, মিলু কেমন আছিসমিলু বললো, ভালো আছি তুই কেমন আছিস আমি বললাম ভালো আছি তবে... কথাটা বলতে না দিয়ে মিলু আমাকে বলল জানিস আশীষের সঙ্গে দেখা। গল্প করতে করতে এলাম।আমার শোনার আগ্রহ বেড়ে গেল প্রথমে আমি বললাম আশীষ কি বলল -সকলের খবর নিল বাদাম খেলাম তুই খেয়েছিস কিন্তু আশীষ খেয়েছে কি না? আশীষ না খেয়ে পকেটে রাখল, বললো পরে খাবো। আর কি বলল আশীষমিলি বলল, সে বলল ভেলোরে গেছিলাম আমার হার্টের অবস্থা ভালো নয়, বড়জোর আর কয়েকদিনের অতিথি আমি এই পৃথবীর। আমি বললাম, কদিন বলেছিল না কয়েকঘন্টা বলেছিলো, ... ...
সম্প্রতি, একটি জনপ্রিয় দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি কলাম নিয়ে হুলুস্থুল বেঁধে গেছে। সঙ্গে এই কলামের স্বপক্ষে এবং বিপক্ষে বহু মানুষ কথা লিখে চলেছেন। ততোধিক মানুষ সেই লেখা কথাগুলোকে নিয়ে বাকবিতণ্ডা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে লেখক, প্রকাশক এবং পাঠক --- তিনপক্ষই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জুড়ে গেছেন। আমি লেখিকা নই, পাঠিকা। সাহিত্যের আঙ্গিনায় দর্শক হলেও কিছু কথা বলার প্রয়োজন বোধ করছি এ প্রসঙ্গে, সাহিত্যেরই খাতিরে। বইমেলার কয়েকদিন আগে থেকেই, নব্যলেখকদেরকে নিয়ে, বিশেষত, যাদের একটা অংশ ফেসবুক প্ল্যাটফর্ম থেকে উঠে এসেছেন, রীতিমতো ব্যঙ্গ চলছে, মিম চলছে। এই নব্য লেখকেরা তাদের যাবতীয় সৃষ্টির বিজ্ঞাপন ফেসবুকেই করছেন। কিম্বা, অনেক ... ...
বিভূতিবাবু খবরটা পেলেন সকাল দশটা নাগাদ । তিনি শশধরবাবুর বাড়ির দিকেই যাচ্ছিলেন । পঞ্চমীর মা হন্তদন্ত হয়ে এদিকে আসছিল । বোধহয় গজেন বোসের বাড়ি কাজে যাচ্ছে । বেশ খানিকটা দেরি হয়ে গেছে । পা চালিয়ে আসছিল কি চিন্তা করতে করতে । রাস্তায় বিভূতিবাবুর মুখোমুখি হয়ে গেল ।বলল, ' খবর শুনেছেন তো দাদাবাবু ? '---- ' কি ? '---- ' আওনবাড়িতে ওই বুড়ো মানুষটা মারা গেছে আজ ভোরবেলায় ... এখনও নিয়ে যায়নি ... অনেক লোকজন ওখানে ... 'কথাটা ভিতরে ঢুকতে সময় লাগল বিভূতিবাবুর । তিনি হাঁ করে তাকিয়ে রইলেন পদ্মার মুখের দিকে । প্রায় পঞ্চাশ বছরের নানা স্মৃতি আচমকা তালগোল ... ...
আমার এখন খুব ভয় করেচিরকালই আমি একটু ভীতু প্রকৃতিরতবু ইদানিং ওই ব্যাপারটা বড্ড বেড়ে গেছে!এমনিতে ঘটনাটা তেমন কিছু নয়একটা লোক প্রায় প্রতিদিনই আমার ফ্ল্যাটের নিচেসকালে, বিকেলে,কখনও গভীর রাতেচাঁদকে জাগিয়ে ফুল ফোটানো বন্ধ করেআমার জানালায় হানা দেয়! এই তো সেদিন আমি একটা কবিতা লিখছিলামঅথবা প্রবন্ধ সম্ভবতকিম্বা গল্পও হতে পারেওই রাজনীতির পাগলামো নিয়েনা, ঠিক মনে নেইহয়তো মিশেল ফুকোর ম্যাডনেস অ্যান্ড সিভিলাইজেশন,হঠাৎ সেই লোকটাকী ভাবছেন? ফ্যাসিজিম?খুব, খুব চমকে উঠলাম!কী করে বুঝল?তাহলে কী এখন আমরা দু হাজার সত্তর সালে পৌঁছেছি?!এমনটা শুনতে পাচ্ছিলাম বটেএকটা কানাঘুষো! ঔই বাতাসের কাছ থেকেও!ভ্যাট, কে বলল ?ঘোর কাটিয়ে মাথা তুলতেই দেখি লোকটা নেই!না, ভুল বলছিমাথা তো তুলতেই পারি না আমিসেই কবে থেকেই!হ্যাঁ ... ...
সান্তা মারিয়া ডেল ফিওরে তার বিশালাকৃতির গম্বুজ সহ স্বমহিমায় আসীনফ্রান্সের ক্যাথিড্রাল নটরডেম দি রিমস এ ফ্লাইং বাট্রেসের মাধ্যমে বাইরে থেকে সাপোর্ট স্থান - ফ্লোরেন্স শহরকাল - ১৯ শে অগাস্ট ১৪১৮ খ্রীষ্টাব্দ।ইতালির ফ্লোরেন্স শহর ও তার চারপাশে যত স্থপতি ছিলেন তাঁরা নড়েচড়ে বসলেন একটি প্রতিযোগিতার আমন্ত্রণে। ফ্লোরেন্সে সবচেয়ে বড় ক্যাথিড্রাল তৈরি হচ্ছে প্রায় এক শতাব্দী ধরে। নাম তার সান্টা মারিয়া ডেল ফিওরে। সেই ক্যাথিড্রালের প্রধান গম্বুজটি কিভাবে তৈরি হবে তার কূলকিনারা পাচ্ছেন না কেউ। তাই এই প্রতিযোগিতার আহবান। শুধুমাত্র গম্বুজ তৈরির নকশা দিলেই হবে না, তার সাথে বলতে হবে গম্বুজ তৈরির ভারী বেলেপাথর ও মার্বেল কিভাবে অত উঁচুতে তোলা যায়। এবং সেই সাথে ... ...
আগামীকাল ১০ই ফেব্রুয়ারি বের্টল্ট ব্রেখট স্মরণে এক সন্ধ্যা নিয়ে হাজির হচ্ছি #শামিয়ানা তে, আড্ডা গান নাটক বই সম্ভার নিয়ে সন্ধ্যা ৬টা থেকে।চলে আসুন গড়িয়াহাট থানার পাশে ডোভার গেস্ট হাউস এর ছাদ প্রাঙ্গণে...প্রবেশ অবাধ, সহযোগিতা ঐচ্ছিক গুরুচন্ডা৯ এর নানান বই থাকছে সংগ্রহ করতে চলে আসুন।.. যোগাযোগ ৭০০৩৩১৫৭৩৯গুর
চুপ করে থাকিযত চাই সরে সরে যেতেযত ভাবি, এসবের কিছু'তেই আমি আর নেই টুপ করে নামে রাতআলো নেভে সব কলোনিতেফিরে আসে কালকের ফ্রীজে রাখা ভাবনার খেই অবয়ব একইতবু কোথা যেন গোত্রে অমিলওদের চিতার ধোঁয়া নাগাল পায় না পাঠাগারে রোদ-কাঁচে ঢাকিপ্রতিবাদী মঞ্চে সামিলসমতা আদায় চেয়ে ফেরো ক্ষমতার দ্বারে দ্বারে হে সাম্যবাদী,শ্লাঘার মুখোশ খুলে রেখেতত্ত্ব-মিনার থেকে ঝুঁকে দেখো বার্ড'স আই-ভিউ কাঁধে কি মিলবে কাঁধবাঁধবে কি হাতে হাত রেখেসত্যিই কি হতে চাও এ সমুহ শোষিতের কেউ ? ... ...
আমার আর আজকাল মাথা কাজ করে নাবলদের মত এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকি! এইতো সেদিনসামনে এগোব ভেবে মিছিলে পা বাড়াবো- পিছন থেকে ধর্ম এসে টেনে বলল,এক জায়গায় বস। ধ্যান কর। নিজেকে খোঁজ।তো আমি বললাম, আজ্ঞে ওই খোঁজের জন্যই তো সামনের দিকে-মাঝপথে কথা থামিয়ে বলল,তুমি কে হে, সামনে এগোবার সমর্পণ কর নিজেকে! আমার আর এগোনো হল নাসেই থেকে আমি বলদের মতএক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি!আমার আর আজকাল মাথা কাজ করে নাএখন আমি শান্তিপূর্ন সহাবস্থানে বিশ্বাস করি!! ... ...
-- লক্ষ্য করলাম শাহাজাদা সবচেয়ে নির্মম ছিলেন কাদের প্রতি। -- কাদের প্রতি ? -- শিয়া – নতুন ইসলামি সহস্রাব্দে মসিহার আবির্ভাব প্রত্যাশী অন্য মুসলিমদের প্রতি। -- হিন্দুদের প্রতি, জৈন দের প্রতি নয় ? -- না, তারা ধিম্মি, যাদের রক্ষা করা ইন্দো- মুসলিম শাসকের কাম। তারই মুল্য চোকাতে জিজিয়ার বাধ্যতা চাপানো হচ্ছে পরে কিন্তু অমুসলিমরা নয় ঔরঙ্গজেবের টার্গেট গুজরাটি বেয়াড়া শিয়ারা বা প্রতিবাদী মাহদাভিরা ... ...
শশধরবাবু বললেন, ' তা তোমার পরিবার ভাল আছে তো ? 'বিভূতিবাবু বললেন, ' আপনাদের আশীর্বাদে টেনে নিয়ে যাচ্ছি আর কি জ্যাঠামশাই... '----- ' আর কি ... টেনে নিয়ে যেতে পারলেই হল ... দেশের অবস্থা কিরকম বুঝছ ? চালাতে পারছে এরা ? '------ ' কি আর বলব জ্যাঠামশাই ... আমরা তখনও ভাল ছিলাম না , আপনারা তো কত ফাইট করেছেন , অনেকে প্রাণ দিয়েছেন , আর এখনও ভাল নেই ... এখন আর কার সঙ্গে আমরা ফাইট করব বলুন ... এখন নিজেরাই নিজেদের মারছি ...'----- ' তাই তো ... এখন তো আর ব্রিটিশরা নেই... কমিউনাল রায়টও নেই, ... ...
একটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মাধ্যম খুলতেই আজ দেখি একটি বাচ্চাদের ওয়ার্কশপের বিজ্ঞাপন। গাছ পোঁতা শেখানো হবে ছোট ছোট বাচ্চাদের। ভাল কথা। কিন্তু মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এই শিক্ষাও কিন্তু মূল্য ধরে দেওয়া হচ্ছে। খুব কম নয়, সাতশো টাকা এক ঘন্টার শিক্ষাদানের বিনিময়ে। আমার মনে হয় গাছ পোঁতা শেখানো ভীষণ দরকারী ভীষণ জরুরি। মানুষের যদি প্রকৃতিকে কিছু ফেরত দেওয়ার থাকে তবে এটিই প্রকৃষ্টতম উপায়। কিন্তু সে উপায়ও কি দাম দিয়ে কিনতে হবে? বাজারি মানসিকতা কোথায় গিয়ে পৌঁছালে এই দিনও দেখতে হয় তাই ভাবছি। প্রকৃতিকে বাঁচাতে গিয়ে যখন একটি প্রাথমিক শিক্ষাও ব্যবসার উপকরণ হয়ে যায় তখন বলতেই হয় বেচে দিয়েছি, নিজেদের আত্মাকেও আমরা ... ...