বিশ্বের উন্নততম দেশে নির্বাচনের সার্কাস শুরু হয়ে গেল। আজ ছিল প্রথম রাষ্ট্রপতি বিতর্ক। এক মঞ্চে ট্রাম্প-বাইডেন। নির্বাচনের বাজারে প্রথমবার। কী হল? সংক্ষেপে, সে এক কান্ড বটে। উন্নততম দেশের সার্কাসও উন্নততম। খাজনার চেয়ে বাজনা সবসময়েই বেশি। হোয়াইট হাউস, আমেরিকা, সিএনএন, সব গামা-গামা ব্যাপার। তার উপর, টিভিতে প্রাইম-টাইমে দেখায় বিজ্ঞাপন-টন ছাড়া। আমরা হুজুগে পাবলিক, তাই দেখতেই হয়, নইলে সত্যি বলতে কি, এর জায়গায় হনুমান-চালিশা-পাঠের প্রতিযোগিতা করলেও খারাপ কিছু হতনা। ইসু-টিসু, প্রশ্নোত্তরের বালাই নেই, যা হল, তা পাতি ঝগড়া। তাও ভালো কিছু না। সোশাল মিডিয়ার ঝগড়া এর চেয়ে নিঃসন্দেহে অনেক বেশি চিত্তাকর্ষক। তৃতীয় বিশ্বের ট্রেনে 'তুই-আমার-পা-মাড়িয়ে-দিলি-কেন-রে-ট্রেন-কি-তোর-বাবার' চুলোচুলি অনেক বেশি কুশলী। পাড়ার মোড়ে কলের লাইনের ... ...
বীর সাভারকার যে কালি ব্যবহার করতেন। সৌজন্যঃ অয়ন চক্কোতি ( সে কোথা থেকে পেয়েছে, তাকে জিগান)
পুজো এসে যাচ্ছে। এসে যাচ্ছে আমেরিকার ভোট। আর পুজোসংখ্যা। আর নতুন জামা। হিলেলিদের অ্যাজেন্ডা অনেক। এরই মাঝে জেস্যুইট পাদ্রি, রাঁচিতে কর্মরত ৮৩ বছরের স্ট্যান স্বামী গ্রেফতার হয়েছেন। এন আই এ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। ভীমা কোরেগাঁও মামলায়। স্ট্যান স্বামীর কাজকর্ম সামান্য গুগল করলেই জানা যাবে। এও জানা যাবে যে তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য প্রথম থেকেই ষড়যন্ত্র চলছিল। অশীতিপর মানুষগুলো কেমন ভয়াবহ, রাষ্ট্রের কাছে, ভাবলে বেশ চমৎকৃত লাগে। মিলেনিয়াল আর বুমারদেরকে একমাত্র লক্ষ্য রেখে ঘুঁটি সাজান যাঁরা, তাঁরা এদিকটা ভাবতে পারেন কিন্তু। ... ...
ধ্যার মশয়, ও সব কৃষিবিল-টিল নিয়ে আর হ্যাজাতে পারছি না। এদিকে বলে লকডাউনের জ্বালায় প্রাণ ছটফটাচ্ছে… তালে আছি, টুক করে কীভাবে একটা 'ছোটো বাইরে' মেরে আসব... কৃষি বিল নিয়ে বলারই বা কী আছে? আরে ভাই, বাজারকেও তো স্মার্ট হতে হবে, নাকি? চিরকালই কি সরকারী বাজারে মাল বিক্রি হবে?হতভাগাগুলোর দাবী, আরও মন্ডি বানাও, এমএসপি বাড়াও, এমএসপি লিগালাইজ করো, কেবল সাতাশ'টা ফসল নয়, এসেনশিয়াল প্রোডাক্টসের সংখ্যা বাড়াও...বায়নার কি আর শেষ আছে? তাদের ভালোর জন্য সরকার কত ভালো ভালো আইন করলো, সেসব নাকি তাদের চাই না। চিরকাল যেন তারা এপিএমসি'র কোলের উপর বসে নিশ্চিন্ত জীবন যাপন করতে চাইলেই পেয়ে যাবে। এমএসপি দিয়ে দাম সিকিওরড্ রাখবে। ... ...
ওয়েবসাইটে জ্যামিতির বনিয়াদ নিয়ে আমার এই লেখাটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে...এখানে লেখাটা একই ভাবেই দিলাম... আমার ব্যক্তিগত অনুরোধ, আমার লেখাটা না পোষালেও ওয়েবসাইট টায় ঘুরে আসতে ভুলবেন না...আজ দ্বিতীয় পর্ব, যা ২৮শে জানুয়ারী, ২০১৫ ( ইংরাজি সন) এ প্রকাশিত হয়েছিল...জ্যামিতির গোড়ার কথা : ইউক্লিড থেকে রীমান ( দ্বিতীয় পর্ব ) -- লিখেছেন Swarnendu Sil(পুনঃপ্রকাশ) ... ...
মার্কন্ডেয় কাটজু বাঙালীদের অপমান করে বেশ ভালো ফুটেজ পাচ্ছে কয়েকদিন ধরে। লোকটা রসিকতার ছলে আরামসে এবেলা ওবেলা গা জ্বালানি পোস্ট দিচ্ছে। কিছু মুষ্টিমেয় লোকজন প্রতিবাদ করছে, পেজ রিপোর্ট করছে। কিন্তু বাঙালী জনমানসে যতটা আলোড়ন ওঠা উচিত, তার সিকিভাগও দেখলাম না। অথচ আমাদের পূর্বপুরুষরাই নাকি ভাষা আন্দোলন করেছিলেন?ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে কত কত মানুষ! ভাবা যায়! ... ...
কৃষ্ণগহ্বর (black hole) শব্দটা সংবাদমাধ্যমের কল্যানে আমজনতার কাছে একেবারেই অপরিচিত নয়৷ একশো বছরেরও বেশী সময় ধরে জিনিসটার রহস্য বিজ্ঞানী, কল্পবিজ্ঞান লেখক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষকে রোমাঞ্চিত করেছে৷ কিন্তু নোবেল পুরস্কারের তালিকায় উঠতে কৃষ্ণগহ্বরের লেগে গেল ২০২০ সাল৷ এবারে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারের অর্ধেক পাচ্ছেন রবার্ট পেনরোজ৷ তিনি দেখিয়েছেন, কৃষ্ণগহ্বর হল সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদ তত্ত্বের অমোঘ ভবিষ্যৎবাণী৷ বাকি অর্ধেক ভাগ করে নিচ্ছেন রেনার্ড গেঞ্জেল এবং আন্দ্রে গেজ৷ তাঁরা আকাশগঙ্গা ছায়াপথের কেন্দ্রে একটি অতি ভারী ঘনবস্তু আবিষ্কার করেছেন৷ বলা বাহুল্য ঐ বস্তুটি কৃষ্ণগহ্বর ছাড়া অন্য কিছু হতে পারে না৷ ব্ল্যাকহোল নামটা তুলনামূলকভাবে নতুন হলেও ব্ল্যাকহোলের মত কিছু একটা বস্তুর অস্তিত্ত্ব কল্পনা করা হয়েছিল উনবিংশ ... ...
ভারতবর্ষ কি অখণ্ড একটা অস্তিত্ব? টিভিতে যেমন দেখায়? এই নিয়ে আগেই কথা হচ্ছিল, কিছুতে ছবিতে গল্পও থাকুক। পুং ও নারীর সংখ্যানুপাতঃ লেখাপড়ায় লিঙ্গবৈষম্যঃ সাক্ষরতাঃ জন্মহারঃ তফশিলি জাতির উপর অপরাধঃ অস্পৃশ্যতার মাপজোকঃ এ ছাড়া আরও অনুরূপ তথ্যাবলী আছে। আপাতত এই কটাই থাক। সবকটাতেই দেখবেন সমস্যাজনক এলাকা বলে চিহ্নিত একটিই এলাকা। গোবলয়। তা, পয়েন্ট একটাই। টিভি যখন দেখায়, 'ভারতে অস্পৃশ্যতার অভিশাপ' বা অনুরূপ কিছু, তখন, সেটি মূলত একটি এলাকার অভিশাপ। বাকি এলাকা সমস্যামুক্ত এমন না, কিন্তু অভিশাপটি একটি এলাকারই। টিভি এবং ভারতীয় রাষ্ট্রযন্ত্র অবশ্য তেমন বলেনা। কারণ, এখন ইন্ডিয়া দ্যাট ইজ ভারত, দ্যাট ইজ হিন্দুস্তান। হিন্দি-হিন্দু-হিন্দিস্তান। এবার ভারতবর্ষকে সমতল, সমসত্ত্ব -- এই থিয়োরি আপনি বিশ্বাস করবেন কিনা আপনার ব্যাপার। গোবলয়ের সংস্কৃতি এখন ভারত রাষ্ট্র শাসন করে। ... ...
মোহরের অনলাইন ক্লাস হচ্ছে সোম-বুধ-শুক্র। সকাল আটটা থেকে বারোটা অবধি লম্বা ক্লাস রুটিন। আমি আর মোহর মিউট করে ক্লাসে ঘাপটি মেরে বসে থাকি প্রায়ই। সরাসরি আমাদেরকে কিছু জিগ্যেস করলে উত্তর দিই আর কি। বাবা-মায়েরা বাচ্চাদের দিয়ে 'গুড মর্ণিং' উইশ করে কান ঝালাপালা করে দেয় টিচারের। সেসব শুনে মোহর ফিকফিক করে হাসতে হাসতে আমাকে বলে, "গুড মর্ণিং, মাম্মাম"। আমি ওর কাঁধে ঠোনা মেরে বলি," গুড মর্ণিং, গিণুবাবা"। ... ...
বাঙালিদের জন্য রুশ ভাষা শিক্ষার ক্লাসПредисловие - (প্রাককথন)রুশ ভাষার হরফগুলো যেহেতু রোমান হরফের থেকে অনেকটাই অন্যরকম দেখতে তাই অনেকেরই এরকম একটা ধারণা থাকতে পারে যে ভাষাটা শেখা খুবই শক্ত ও খটোমটো।আদতে কিন্তু সেরকম নয়। যে পদ্ধতিতে আমি এই ভাষাটাকে শেখানোর চেষ্টা করছি, সেখানে প্রথমেই কয়েকটা জিনিস জানিয়ে দিতে চাই।১। ভাষাটিকে আমি শেখাবো খানিকটা ডিরেক্ট মেথডে, খানিকটা বাংলা (দরকার পড়লে কিছুটা ইংরিজি) ভাষার সাহায্যে।২। শেখানোর সময়ে প্রথমদিকে মনে হতে পারে যে ব্যাপারটা খাপছাড়া হচ্ছে। কারণ এমনিতে অন্যান্য ভাষা শেখার ক্ষেত্রে প্রথমেই বর্ণমালাটুকু শিখিয়ে নেবার যে নিয়ম আছে, সেটি এখানে হবে না। এর পেছনে কিছু কারণ অবশ্যই আছে। এভাবে শিখলে ডিরেক্ট মেথডের ... ...
আমরা একটা নতুন কিছু করছি
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজিটাল দক্ষিণ এশীয় পাঠাগার এর অধিভুক্ত দক্ষিণ এশীয় ডিজিটাল অভিধানরাজি। এর খবর আমি পেয়েছিলাম শ্টাইনগাসের এক ফারসি-ইংরেজি অভিধানের অ্যাপের মাধ্যমে; আর ইয়োজ়েফ শ্টাইনগাসের (Joseph Steingass) নামোচ্চারণ লভেছিলাম সৈয়দ মুজতবা আলীর দেশে বিদেশে -তে। উক্ত ডিজিটাল পাঠাগারে স্টাইনগাস বাদেও সংসদের অভিধানেও রয়েছে। গ্রন্থাগারটি অভ্যুপপন্ন তো বটেই—তবে সংসদের লেখস্বত্বের ব্যাপারে সমস্যা আছে কি না? এবার আসি গুরুচণ্ডা৯ প্রসঙ্গে। প্রথম কথা: অ্যাপটায় বারংবার গুগল কি ফেসবুক দিয়ে প্রবেশ করতে তথা ক্রোম দিয়ে ঢুকতে ভালো লাগে না; এটা ফেসবুকের মতন একবারে পৃথক অ্যাপ হলেই ভালো হয়। মেজো কথা: কিছু কারিগরি উন্নয়ন নিয়ে। যেমন এই খেরোর খাতা আর ব্লগের মধ্যকার স্বাতন্ত্র্য কী? তারপর একটু আগে যে ... ...
ছড়ায় ছবিই কথার সাঁকো
লকডাউনের পুণ্য প্রভাতে ঘুন ভাঙতেই হোয়াটস অ্যাপে একটি সুপ্রভাত বার্তা পেলাম – বেসিনের পাশে স্তুপাকৃত তৈজসপত্র মার্জনারত এক স্বল্পবসন ম্যাচো ম্যান । নীচে ক্যাপশন “ হাতে স্কচ থেকে স্কচ ব্রাইট – ভারতীয় পুরুষের বিবর্তন!” তারপর তো তাই নিয়ে সারাদিন ধরে হাসি ঠাট্টা কৌতুকের বন্যা । কত রকম মিম, কতরকম ভিডিও, কতরকম রম্যরচনা! রান্না, ঘরমোছা, বাসন মাজা ইত্যাদি ঘরের কাজ করতে তারা যে কত অপটু, কত আনাড়ি সে কথা জেনে আর জানিয়ে হেসে গড়িয়ে পড়ছে ঘরবন্দী রসিকপুরুষের দল। ঘরের কাজে হাত লাগাতে বলে অসহায় পুরুষজাতিকে কি প্রচণ্ড অত্যাচার করে চলেছে পাষন্ড নারীজাতি তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা – কি করুণ আবেদন - ... ...
প্রথম দুদিন ঠিক খেয়াল করেনি, তিন নং দিনে দীপ্ত লক্ষ্য করল, হ্যাঁ, মেয়েটা এদিকেই তাকিয়ে আছে। একটু দূরে বলে ঠিক চোখে চোখ পড়ছে না, কিন্তু তাকিয়ে আছে এটা নিশ্চিত। দীপ্তর উনচল্লিশ বছরের মনে বেশ একটা পুলক জাগে।পুলক জিনিসটা অকারনেই জাগে, বেশ একটা খুশি খুশি মন, অকারন।কোল থেকে নেমে জিমো রেলিং এর উপর তুলোর বলের মত গড়াতে থাকে। রেলিং খুব ঘন তবু একটু খেয়াল রাখতেই হয়। বলতে গেলে জিমোর জন্যই এই ব্যালকনিতে আসা শুরু হয়েছিল। সারাদিন ঘরে থেকে হাঁপিয়ে ওঠে জিমোটা। রনিতা থাকতে রনিতার সঙ্গেই সারাক্ষন থাকত। কিন্তু পুনে গিয়ে রনিতা আটকে গেছে। ভাগ্যিস ওখানে দিতিরা আছে, ননদের বাড়িই এখন কতদিন ... ...
১)রোদ প্রায় পড়ে এসেছে। সেপ্টেম্বর, ১৯০৯; এক ভ্যাপসা ক্লান্তিকর মরা বিকেলে বুড়ি মিস রোজা কোল্ডফিল্ড বসে আছেন সেই ঘরটাতে যেটাকে তাঁর বাবা 'অফিস' বলতেন। ঘরটায় বেশি আলো ঢোকেনা, হাওয়া চলাচল করে না; তেতাল্লিশটি গ্রীষ্ম ধরে জানলার পর্দাগুলো টানা রয়েছে, কেননা যখন তিনি ছোট ছিলেন, কেউ, আমরা জানিনা কে, তাঁকে বলেছিল আলো আর বাতাস ঘরকে আরো গরম করে তোলে, এবং ছায়া সবসময় শীতলতর হয়। অন্ধকার শীতল ছায়া, অতীতের ছায়া এই সাদার্ন গথিকে বারবার ফিরে আসবে, কারণ যেখানে মিস কোল্ডফিল্ড বসে আছেন, সেই জায়গাটা আসলে একটা ধ্বংসস্তূপ — জেফারসন, মিসিসিপি; সিভিল ওয়ার-পরবর্তী সাউথ। তাঁর সামনে বসে রয়েছে একটি বছর আঠেরোর ছেলে, কোয়েন্টিন। তাকে মিস ... ...
বিজ্ঞানে বাঙালির জয়জয়কার ভাটনাগর পুরস্কারে ১৪ জনের মধ্যে ছ’জনই রাজ্যের --- নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা এবং নয়াদিল্লি: ‘শান্তিস্বরূপ ভাটনাগর পুরস্কার’-এর মঞ্চে ফের উড়ল বাঙালির জয়পতাকা! বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এবছর দেশের ১৪ জন কৃতীকে বেছে নেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ছ’জনই বাঙালি। এছাড়া কলকাতায় গবেষণা করা আরও এক বিজ্ঞানী এবার এই পুরস্কার পাচ্ছেন ... ...
বিদ্যাসাগরপুজোর হিড়িকে আমরা যেন ভুলে না যাই তাঁর প্রায় একশ বছর আগে রামপ্রসাদ সেন বাংলাভাষায় যে পদগুলি রচনা করেছিলেন, তার সঙ্গে আজকের লিখিত বাংলার ফারাক সামান্যই। এবং তাঁর বহু পদ বরিশালের মাঝিমাল্লার কাছ থেকে উদ্ধার করে ঈশ্বরগুপ্ত কবিকাহিনিতে ছাপিয়েছিলেন। তবে রামপ্রসাদী বাংলা যাকে বলে যবনীমিশেলযুক্ত, যে বাংলাকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিদূরিত করার ইচ্ছে অনেকে আজ প্রকাশ করছেন।আরও ইন্টারেস্টিং দীনেশচন্দ্র সেন বঙ্গভাষা ও সাহিত্য গ্রন্থে চৈতন্যসাহিত্য থেকে কিছু বাংলা গদ্যের নমুনা দিয়েছেন, যেগুলি প্রায় পাঁচশ বছর আগে রচিত। পাঠক পড়লে দেখবেন, সেই অর্বাচীন বাংলায় কত প্রাঞ্জল গদ্যরচনা হত।বাংলাভাষার আগের অর্জনগুলি ভুলে/ না জেনে জপেনদার মতন শুধু বিদ্যাসাগরচর্চা করলে আমরা একটা বড় প্রশ্নের ... ...
প্রতিটি মেয়ের এক গোপন নিজস্ব যুদ্ধ আছে, যা তাকে রোজ নিয়ম করে সকলের চোখের আড়ালে লড়তে হয়। সেই যুদ্ধের সব ক্ষত সব রক্তপাত যত্নে লুকিয়ে হাসিমুখে পৃথিবীর মুখোমুখি হতে হয় রোজ। প্রতিটি মেয়ে জানে রোজ কত অপমান, অবিচার, তাচ্ছিল্য উপেক্ষা করে তাকে রেসের শেষ ফিতেটা আঙুলে ছুতে হয় – দৌড়টা কিন্তু তাকেই প্রাণপণে ছুটতে হয়, কেউ তার হয়ে ছুটে দেয় না। ... ...