এখানে মাঝে মাঝে গান পোস্ট করবো। যেকোনো রকম। এমনিই।কাল রাতে কয়েকটা গানের কথা মনে পড়লো বলে ইউটুবে শুনে নিলাম । Mission Impossible সিনেমার সাউন্ডট্রাকের অডিও ক্যাসেট কিনেছিলাম। এই সময়ে মাগাদের অ্যানথেম হতে পারতো No Government। কিন্তু ওরা বোঝে :)।আমার মনে পড়ছিলো পাল্পের আই স্পাই গানটা whicch has not aged well at all. টেলিগ্রাফ আর ল্যান্ডলাইন ফোনের মত। যেহেতু বিশ্লেষণ সব এআই করবে। you me world war 3 গানটাও শুনলাম lets talk deep and meaningful things বলে :D । আরো মনে পড়লো white town এর ইওর ওম্যান। কিন্তু তখন শোনা হয়নি , নাম শিল্পী কিছুই মনে পড়ছিলো না। শুধু হয়তো ভুল শোনা ... ...
শিয়ালদা বা পার্কস্ট্রিটে ওলা বুক করলে কোন মুসলিম ক্যাপ্টেনের নাম দেখলে ক্যানসেল করে দেবেনঃ বললেন অপর ওলা বাইক চালক। বিদ্বেষ কিভাবে জন্মায়? জাত- ধর্মের চেনা ন্যারেটিভ পারকরে বিদ্বেষের চারণ কতটা হতে পারে? তাত্বিক কথা নয়, প্রতিদিনকার যাপনে টের পাই। সকাল সাড়ে নটা নাগাদ বিআর সিং হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম।
পরের মুখে ঝাল খাওয়ার বদ অভ্যেস অল্পস্বল্প থাকলেও লংকার ঝাল আমায় বড় ঝামেলায় ফেলে। পশ্চিম ভারতের একটা গঞ্জ মতো জায়গায় অফিসের কাজে গিয়ে আমি এক জব্বর লংকাকাণ্ডের মধ্যে মুখ পুড়িয়ে ফিরেছিলাম কোন পুণ্যবলে কে জানে। সাল দু’হাজার তিন, অক্টোবরের এক ভোরবেলায় বাস থেকে নামলাম প্রায় জনমানবহীন বাসস্ট্যান্ডে। শুনেছিলাম, শহরের মধ্যে একটা ‘লজ’ আছে। দাঁড়িয়ে থাকা একমাত্র অটোতে চড়ে কপাল ঠুকে রওয়ানা দিলাম সেই দিকে। পৌঁছলাম একটা তিনতলা বাড়ির সামনে। ... ...
রোদ ছিটিয়ে আলো ছরায়। / আগুনকে ভয় পায় সবাই।
কবিগুরুর পুরাতন ভৃত্য কবিতাটি প্রায় সকলেই পড়েছেন। তার অনুকরণেই এই বিনম্র প্রয়াস । বর্তমান কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সাথে মিল খুঁজে পেলে তা অনভিপ্রেত .................................................................................পুরাতন কেষ্টরমিত চট্টোপাধ্যায় পাহাড়প্রমান চেহারা যেমন তেমনি গলার জোরদেখলেই ওকে বিরোধীরা সব আঁটেন ঘরের দোরগেরুয়া-লালেরা যতই চেঁচাক, শুনেও শোনে না কানেকালীঘাট থেকে বকুনি দিলেও, তবু না বারণ মানেদরকার হলে, ফোন করে শুধু একবার বলি ,'কেষ্টা!'বান্দা হাজির, দলবল নিয়ে, নিমেষেই সলভ কেসটা কোন বিরোধীকে কোথায় সরায়, কেউ তাহা নাহি জানেগেরুয়া কাপড়ে চোখের পলকে নীল সাদা ছেপে আনেসব গুণ তার , একটাই খালি ভীষন রকম দোষঅক্সিজেনটা ঠিকঠাক তার পায়না মাথার কোষগুড় জল দিয়ে বশ করে রাখে গোটা বীরভূম জেলাভোটের আগেই বাজে জয়ঢাক, ... ...
শুভ জন্মদিন ...জয় গোস্বামী জয় গোস্বামীর কবিতা আমার খুব প্রিয়। কয়েকজন প্রিয় কবিদের কবিতা পড়লে, কিছু আবছা মতো ছায়াঘোর ঘনায়। যেন খরের ঘর হলো। এবার হালকা কুয়াশা পড়া শুরু হবে। ধানগাছের শুকনো শরীরে পা দিয়ে দিয়ে অনুভব করতে হবে শীতঋতুর ঘাম, তাতে কেটে যাবে গোড়ালির ত্বক। ঘরে ফিরে আমিও লিখতে পারব তখন হেমন্তকাল নিয়ে দু চারটি ঝরা পাতার চিঠি। আমার চোখ বিষাদ নিয়ে নেমে আসুক আশ্চর্য সব প্রেমের কবিতায়। তাই সমস্ত শব্দহীনতা এবং লেখাশূন্য দিনে আমি জয় গোস্বামীর কবিতা পড়ি। তারপর কবিতাগুলো কোথাও একটা ছেড়ে দেয় আমাকে, এই ছেড়ে দেওয়াটা ব্যাপক মুশকিলের, পোকার মত অসহ্য, চোখে মুখে অস্থিরতা, যেন কিছু একটা ... ...
আমার স্কুল লাইফে দু-একজন বন্ধু ছাড়া তেমন কোন বন্ধু ছিল না। একটু একগুঁয়ে টাইপের ছেলে আমি চিরকাল। যদিও নিজেকে পরিবর্তন করেছি এখন। অবশ্যই যতটা প্রয়োজন। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বাড়াবাড়ি করাটা আমার আগাগোড়াই পছন্দ নয়। ঠিক যতটুকুনি আমার মনে হয় করা উচিৎ ততটাই করতে ভালোবাসি। তারজন্য ওই একগুঁয়ে, মিশুকে নয়, মুখচোরা তকমাগুলো আমার নামের সাথে জুড়ে গেছে সেই কবে থেকেই। ... ...
নো ভোট ফর বিজেপি একটি জরুরী ক্যাম্পেইন। কেন্দ্রে দুটি টার্ম ক্ষমতায় থেকে বিজেপি কী করতে পারে তা দেশের মানুষ দেখেছেন - তাদের ভোট দিতে না বলাটা কোন নেগেটিভ প্রচার নয়। কিন্তু অসম্পূর্ণ প্রচার অবশ্যই। বিজেপিকে ভোট দেব না, আমিও দেব না, আপনিও দেবেন না, বেশ কথা - কিন্তু কাকে দেব, সেটা স্পষ্ট করে বলাটাও এই মুহুর্তে খুব জরুরী। "বিজেপির বিরুদ্ধে যে আছে, তাকেই দিন" বা "আপনার পছন্দ অনুযায়ী ভোট দিন শুধু বিজেপিকে নয়" - এই ধরণের প্রচারে কখনোই কোন বক্তব্যের বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হয়না। আমাকে স্পষ্ট করে বলতে হবে, কাকে ভোট দিতে বলছি, তবেই আমার বক্তব্য বিশ্বাসযোগ্য হবে।আপনি যদি মনে করেন ... ...
প্রেম তো ভাই সোনার পাথরবাটি। এ এক তীব্র অনুভব। যা কখনও উদ্দামতায় ভাসায় আবার কখনও বুকের মাঝে এক ফোঁটা আশ্রয়। নিন্দুকেরা বলে আজও তো আমি কল্পনায় বাঁচি, চিরকালই তাই চোখবুজে থাকি, সত্যিটা বোঝার বোধ আমার নেই, তাই সত্যি প্রেম ধরা দিল না আজও।
আজ কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। এই পুজো সাধারণ লক্ষ্মী পুজোর থেকে বিলক্ষণ আলাদা। কোজাগরী অর্থে 'কো জাগর্তি' বা 'কো জাগো রে?' বলা হয় স্বয়ং মা লক্ষ্মী আসেন মর্ত্যলোকে। ঘরে ঘরে গিয়ে দেখেন তাঁর আরাধনায় কোন কোন গৃহস্থ সারারাত জেগে আছে। যার কিছু নেই সে কিছু লাভের আশায় জেগে থাকেন আর যার অনেক কিছু সম্পত্তির মালিক, সে সব আগলে জেগে থাকেন। এই বার মা লক্ষী নজরদারি করতে এসেছেন হুতুম পাড়ায়। এই 'কে জাগো?' - এই মামনি তুমি তো বেশ মিষ্টি। তা পাশা খেলছ না? - হোয়াট ইস পাশা? অ্যান্ড হু আর ইউ উইথ অল দিস জাঙ্ক জ্যুয়েলরি? ... ...
পদ্ম পাপড়ি দু একটি স্খলিত । প্রস্তরকলসের গাত্রে মহাকালের দংশনচিহ্ন । এইপ্রকার ভগ্ন অর্ধভগ্ন কলসগুলি সারিবদ্ধভাবে ভূমিতে দন্ডায়মান । পরস্পর শুধু নিম্নস্বরে আলোচনা করে একদা মন্দিরশীর্ষে শোভিত হবার প্রাচীন গৌরবস্মৃতি । অযত্ন লালিত ধুলিধুসরিত অগণিত প্রস্তর আমলক । মন্দিরদ্বারের ঊর্ধ্বস্তরের নির্মাণে প্রয়োজন হত । যতদূর দৃষ্টি প্রসারিত হয় ধু ধু প্রান্তর । কে বলবে ইতিহাস ? ক্ষুদ্র দুচারটি শিশু শুধু সংরক্ষণাগারের দ্বার খুলতে সক্ষম । সত্যি ইতিহাস কে বা জানে ! কত নিগন্থ কত আজীবকের প্রয়াস ব্যর্থ হল । কতবার সভা বসল --পাটলিপুত্রে , গুজরাতের বল্লভীতে । কত 'অঙ্গ' রচনা হল । বার বার হারিয়ে গেল । কতবার নিহ্বান --বিভাজন । ... ...
কাল রাতে বহু বার দেখা সিনেমা "গল্প হলেও সত্যি" আবার দেখছিলাম। আমাদের বিশেষ করে বাঙালিদের ইন্টালেকচুয়াল হবার মধ্যে একটা প্রছন্ন গর্ব থাকে। তাই কোন সাধারণ মানুষের সাধারণ কাজকে তথাকথিত ইন্টালেকচুয়ালরা তাচ্ছিল্য করেন। সিনেমাতেও দেখি ভানু বন্দোপাধ্যায়-এর ইন্টালেকচুয়াল ভাইপো তাচ্ছিল্য করে বলত নন্ ইন্টালেকচুয়ালদের মতো কাজ! এই ব্যাপারটি কে ভানুবাবু অসাধারণ ভাবে ব্যঙ্গ করেছেন। যখন তার ইন্টালেকচুয়াল ভাইপো জিগ্যেস করছেন ছোটকাকা তুুমি কি করছ? ভানু অবলীলায় উত্তর দেন : নন্ ইন্টালেকচুয়ালদের মতো বিড়ি টানছি!সত্যি তথাকথিত ইন্টালেকচুয়ালরা তাদের উন্নাসিক মনোভাবের জন্য কখন যে সাধারণ মানুষের জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান তা তারা নিজেরাই বোঝেন না। সব ব্যাপারে নিজেরাই শেষ কথা বলবেন তা কি ... ...
আমি শুধু অভিনয়ই করছি না, আমি একজন অভিনেতার চরিত্রে অভিনয় করছি। মঞ্চের মাঝখানে দাঁড়িয়ে ধরা যাক যদি বলি, "নমস্কার, আমি একজন অভিনেতা" তাহলে সেটাও তো অভিনয় করাই হলো। যদি আবারও বলি, "অভিনয় করছি না রে বাবা, সত্যি বলছি, আমি একজন অভিনেতাই;" সেটাও কি আমার অভিনয়ই নয়? অথবা হয়তো সত্যিই বলছি, কিন্তু পর্দা নামার পর এই সমস্তটাই আমার অভিনয় হিসেবেই জাজড হবে। কেউ বলবে, "আহা! কী সাবলীল," তো কেউ বলবে, "তেমন জমলো না।" অথচ আমি হয়তো শুধুমাত্র একটা সত্যি কথাই বলতে চেয়েছিলাম যে, আমি একজন অভিনেতা। আপনার চারিপাশে দেখবেন এমন কিছু হিপোক্রিট আছে যারা উঠতে বসতে সর্বক্ষণ নিজেরাই নিজেদেরকে হিপোক্রিট ব'লে যাচ্ছে। ... ...
এলগিন মোড়ে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছি। হাঁটার পথটা পেরিয়ে এসে আমার প্রিয় বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। এদিক ওদিক দিয়ে নানারকম যানবাহনের আপন গতিতে ছুটে চলা দেখতে বেশ ভালোই লাগে এই সময়টা। পাশে নানা লোকজনের নানা রকম মুখের ভাজ দেখতে আরও ভালো লাগে। মুখের ভাঁজ গুলো অনেক রকমের হয়। যেমন বাস দেরি করে আসার একরকম ভাঁজ আবার বাস মিস হয়ে যাবার আর এক রকম ভাঁজ। নানা-রকম ভাঁজের মাঝে নিজেকেও গুলিয়ে ফেলি মাঝে মাঝেই। কারণ আমারও বিরক্ত লাগে বাসের জন্য দশ মিনিটের বেশি দাঁড়াতে। আজ সেই বিরক্তিই হচ্ছিল। প্রায় পনের মিনিট দাড়িয়েও বাসের দেখা পাচ্ছি না। মনে মনে রাগও ধরছে। ... ...
শুভেন্দু অধিকারী আজ একটি ইন্টারেস্টিং কথা বলেছেন- তিনি আগে যে দল করতেন সেইটা নিষ্ঠার সঙ্গে করতেন বলে তখন বিজেপি হঠাও স্লোগান দিয়েছিলেন। আজ থেকে যে দল করবেন, সেটিও নিষ্ঠার সঙ্গে করবেন বলে তোলাবাজ ভাইপো হঠাও স্লোগান দিলেন। অর্থাৎ, দলের প্রয়োজনে যা দরকার, দল যে কাজ দেবে সেটা পেশাদারি দক্ষতায় করবেন। নিষ্ঠা, দক্ষতা দিয়ে দলের কাজ করা আসল। কিন্তু, কী কাজ করছেন সেইটি কি নয়? একবছর আগে সি এ এ বাতিল করো, এন আর সি বাতিল করো বলতেন, নিষ্ঠার সঙ্গে বলতেন, এমনভাবে বলতেন যে তাঁর স্লোগান শুনে নিজেদের কর্মীরা উদবুদ্ধ হবে, পথচলতি মানুষ নিজের অবস্থান পালটে ফেলবেন। আজ তিনি সেইভাবেই এন ... ...
সুহৃদ,গুরু-ভাইবোন, বন্ধুরা, এককালীনও মাসিক সাবস্ক্রাইব করতে পাঠকদের নগদে নিবন্ধন করে গুরু’র বইপত্র তো আছেই এছাড়া নানান পরিসেবা গ্রহণের উদ্যোগটির জন্য আপনাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা, অভিনন্দন। বিশেষ করে গুরু’র পরিকল্পনা ও পরিচালনা সদস্যদের দীর্ঘদিনের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং সবচেয়ে বড় কথা, বাংলার পুস্তক প্রকাশনা, বিপণনে ব্যবসাটি দীর্ঘদিন থেকেই বড় পুঁজি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে "বাজারে আনন্দ" লাভের মধূ খেয়ে যাচ্ছে। এদের মতো আরো অনেক সংস্থার পুঁজির দাপটে প্রকাশনা নিয়ন্ত্রণ করে। আর বিজ্ঞাপন হতে তো এদের লাভের ভান্ডারকে স্ফীত করছে । কিন্তু আজকের দুনিয়ায় তথ্য প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতি ও তথ্যের অবাধ আদান-প্রদান বিস্তার, ক্রমশ এই নব প্রযুক্তিকে দৈনন্দিন জীবনে অপরিহার্য উপাদান হিসেবে ব্যবহারের ফলে ,পত্র-পত্রিকা ও পুস্তক প্রকাশনার মোড়লদের একচেটিয়া মূনাফার বাজার আজ ... ...
#সকালের_লড়াই_আর_চায়ের_কাপ _________________ আমার প্রতিটা সকালই প্রানোজ্জল থাকে। সকালে উঠে চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে মেয়ের মুখটা দেখার পর মনে হয় পৃথিবীর সব থেকে সুন্দর জিনিসটা দেখালাম বোধহয়।আর যদি আমার থাকাকালীন মেয়ে ঘুম থেকে উঠে যায় তো কথাই নেই।যতক্ষন থাকি আমার কোলে ঘুম জড়ানো চোখে মাথাটা গুঁজে থাকে। এই পাওয়াটা অনেক বড় আমার কাছে। ঠিক অমরত্ব পাওয়ার মতই। যাক এবার আসল কথায় আসি।আজকেও যথারীতি সকালে উঠে চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে মেয়ের ঘরে গিয়ে ওর মুখটা দেখে এসে চেয়ারে বসে চায়ে চুমুক দিলাম।দেখলাম “মন” একবার নক করল হাসিমুখে ।সকালের এই ঘুম থেকে ওঠা আর অফিসের জন্য বাড়ি থেকে বেরোনোর মধ্যেকার সময়টা বড় অদ্ভুদ আমার কাছে। প্রতিদিন ... ...
সকালে উঠে একটা আরশোলার সাথে দেখা -গুন্ গুন্ করে গান ভাঁজছে - মনে খুব স্ফূর্তি - হঠাৎ একটু থমকে দাঁড়ালো - সকালের আধো ঘুমে, আধো জাগরণের আমেজ - একটু আড়মোড়া ভাঙলো - চোখ দুটো দেখে মনে হলো পুরোটা খুলতে পারে না - অনেকটা টোসিস্ - রোগগ্রস্ত - এর মতো আমাকে গলা খাকারি দিয়ে উইশ করলো খাঁটি হিন্দি তে : शुभ प्रभातভব্যতা'র স্বার্থে বললুম সুপ্রভাত - আরশোলা মুখ ভেংচে উঠলো , বললো : ধ্যাৎ ! থামুন তো মশাই, আপনাদের এই মুশকিল বাংলায় কথা বলেন, বাংলায় সব ভাবেন, বাংলায় সব করেন - আবার মাঝেই মাঝেই ইংরিজিতে বুকনি মারেন, নিজেদের ভাবেন ইন্টেলেকচুয়াল - ইন্টেলেক্ট তো ... ...
ম্যাট্রিকুলেশন পাশের পর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় কলকাতার সিটি কলেজে ভর্তি হন। প্রথম দু'বছর সায়েন্স নিয়ে পড়লেও আগাগোড়া সাহিত্যের প্রতি অগাধ টান থাকায় আইএসসি থেকে বাংলা অনার্সে বিএ পাশ করেন। বাবা যদিও চেয়েছিলেন বটানি নিয়ে ছেলে পড়াশোনা করুক। ফরেস্ট অফিসার হোক। কিন্তু তা আর হওয়া হলো না। হলেন বিখ্যাত সাহিত্যিক, সম্পাদক এবং অভিনেতা। তিনি নিজেই এনসিসি করার কারণে মিলিটারির দিকে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর বাবার নিষেধের কারণে সেটা হওয়া হলো না। তাঁর বাবা বললেন, "ওই লাইফ তোমার পক্ষে ঠিক হবে না"। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এর কারণ জিজ্ঞাসা করতে, তাঁর বাবা উত্তর দেন- "আর্মিতে প্রতিটি বিষয়ে তোমার ঊর্ধ্বতনকে স্যালুট ঠুকতে হবে। সেটা তুমি ... ...
রাজার সঙ্গে আমার পরিচয়, ২০০৬ সালে। সে পরিচয়ে রাজনীতি একেবারেই ছিল না, ছিল পেশা সংযোগ। ২০১২ অবধিই বোধহয় আমরা একসঙ্গে একই অফিসে চাকরি করি। রাজার সঙ্গে আমার শেষ দেখা হয়েছিল বেলেঘাটার সুকান্ত মঞ্চে। সে ছিল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। মাঝেও দুয়েকবার দেখা হয়েছে, পথ চলতি মিছিলে। শেষ দেখা হবার পর, আমরা দুজন এক সিগারেটে টান দিয়েছিলাম। রাজা বলছিল, বইমেলার পুলিশ পেটাইয়ের কথা। পুলিশ পেটাইয়ের গল্প অনেক শুনেছি, নিজের অভিজ্ঞতাও একেবারে নেই, তা নয়। রাজার কাছ থেকে শোনা গল্পটা অন্যরকম লেগেছিল, তার কারণ, বইমেলায় রাজাকে যখন পুলিশ টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন আমি অন্যদিকে, ছবি তুলছিলাম। সে ঘটনার নৃশংসতা আমার প্রত্যক্ষ। আর রাজা ... ...