গঙ্গার পশ্চিমপাড়ে জগদ্ধাত্রী পুজোকে ঘিরে বেশ একটা সাজো সাজো ব্যাপার স্যাপার বাংলা বছরের শুরু থেকেই থাকে। চন্দননগর মা জগদ্ধাত্রীর মনোপলি একটা সময় পর্যন্ত নিয়ে ধরে রেখেছিল। গঙ্গার পশ্চিমপাড়ে ঠাকুরণ প্রায় আসতেনই না। শ্রীরামকৃষ্ণ ভাবান্দোলনের প্রভাবে বাঁকুড়ার জয়রামবাটী তে প্রায় একশো বছর ধরে জগদ্ধাত্রীর বেশ জনপ্রিয়তা। তবে এই জনপ্রিয়তার সঙ্গে ধর্মের মাত্রাতিরিক্ত প্রলেপ মিশে, যে সামাজিক সঙ্কট মোকাবিলা করতে সারদামণির গর্ভজননী শ্যামাসুন্দরী দেবী, জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজন করেছিলেন, সেই প্রেক্ষিতটি কিন্তু ঢাকা পড়ে গেছে। ... ...
আড্ডা দেবেন ব'লে, কাল সন্ধ্যেবেলা,"পুলু"-কে ডেকে নিলেন "অরুণ"-দা ! কজন ছিলেন মনে, অন্যজন মননে ! বাঙালির হৃদয়াকাশে, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মায়াময় বিভ্রম সততই উপমায় মহান। আমরা আড্ডাবিলাসী .... তর্কপ্রিয় --- ইষ্টবেঙ্গল-মোহনবাগান / কংগ্রেস-সিপিএম এবং অবস্যই উত্তম -সৌমিত্র।
দত্তবাবুর স্ত্রীরোগ হয়েছে। আমরা বন্ধু বান্ধবেরা কিছুদিন ধরেই টের পাচ্ছি। দত্তবাবুর ব্যাবহারিক, শারীরিক ও বাচিক লক্ষণ ক্রমশঃ সুস্পষ্ট হয়ে উঠছিল। যখন তখন এই রোগের যন্ত্রনায় তার কাতরানি আমাদের কাছেও প্রায় অসহ্য । প্রচুর সহানুভূতি, সৎপরামর্শ, যথোপযুক্ত ডাক্তার দেখাতে বলা সবই বৃথা । বেচারী একা একা মনমরা হয়ে আছে মনে করে তাকে সঙ্গ দিলেও তার অসঙ্গ এবং আসঙ্গলিপ্সার বিন্দুমাত্র কমতি হয়েছে বলে মনে হোলো না । কোনভাবেই তাকে সংযত করা যাচ্ছে না। ... ...
ঠিক সকাল ছ'টায় ঘুম ভাঙল দেশপ্রিয় ক গ সাঁইত্রিশ এর। সুন্দর সকাল, লাউডস্পীকারে শোনা যাচ্ছে রক্ষকদের সুন্দর কন্ঠস্বর, কাজে যাবার ডাক। ব্রেকফাস্টের জন্য খাবারের বাক্সটা খুলে দুধে মিলেট ঢালতে লাগল সাঁইত্রিশ। গত মাস থেকেই লাঞ্চ ও ডিনারের দৈনিক হারে দায়িত্ব নিয়েছে দেশ, আগে সাপ্তাহিক রেশন ছিল, নিজে রাঁধো, নিজে খাও, এখন সহজ হিসেব, কাজ করো, খাবার খাও, সুন্দর ব্যাপার। আর চল্লিশ মিনিট পরেই ওর ডাক পড়বে, তৈরী হয়ে গলায় আই কার্ডটা ঝোলাতে ঝোলাতে গর্বে বুকটা ভরে উঠলো সাঁইত্রিশের। ... ...
লীলা মজুমদার বলেছিলেন "পাঁউরুটি হল অনেকগুলো ফুটোকে ময়দা দিয়ে জুড়ে রাখা।" জয়া মিত্র জিজ্ঞাসা করেছেন, "কবিতাও কি নয় অনেকগুলো চুপ করে থাকাকে কয়েকটা মাত্র শব্দ দিয়ে জুড়ে রাখা?" আমাদের মাস্টারমশাই কমলকুমার মজুমদার বলতেন -- "একমুঠো হারিয়ে যাওয়া মানুষকে মিলিয়ে দিয়ে... দুদন্ড জিরিয়ে নিয়ে... দুটো বিড়ি হাতবদল করে নিতে দেবার সরাইখানার নাম হলো গে পথ.."। আর একদিন, কমলকুমার আমাদের craft র ক্লাস নিচ্ছিলেন। হঠাৎ বললেন -- " ' পথ '- কি জানো? পথ হলো পথিকের মাঠের পাশ দিয়ে হেঁটে চলা আর আলপথে সহসা দেখতে পাওয়া আরেকজন পথিক কে ডেকে বলা -- আমি চললাম... তুমিও চলে এসো । " কিছুই না বুঝে বলেছিলাম -- " আর কলকাতা হলে ? ... ...
(ক) এথিস্ট রিপাবলিক নামক পেজ থেকে পৌরাণিক চরিত্রের মধ্যে সমলিঙ্গ ভালোবাসার ছবি শেয়ার করলাম।(খ) শ'খানেক মবলিঞ্চিং-এর হুমকি আমায় দেওয়া হলো।(গ) আইনরক্ষক পুলিশ আমাকে ওয়ার্নিং দিয়ে, আমাকে দিয়ে ক্ষমা চাওয়ালো।
গড়িয়াহাট ওভারব্রিজের তলায় প্রায় ৭০টি পরিবারের সংসার। গত ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ "শহর সাফাই" অভিযানের নাম করে যখন এনাদের বাসনকোসন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছিল কর্পোরেশন ও পুলিস, বেধরক মারতে ছাড়ছিল না বয়স্ক মানুষ থেকে শিশু অব্দি কাউকেই, তখন খবর পেয়ে গেছিলাম আমরা বস্তিবাসী শ্রমজীবী অধিকার রক্ষা কমিটি-র পক্ষ থেকে। মিছিল করে বরো অফিস ও থানায় ডেপুটেশন দিয়ে সে'দফা এই আক্রমণ আটকানো গেছিল। _যে মানুষগুলো শহর সাফাইয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন, শুকনো জঞ্জাল কুড়িয়ে আনেন, যা জঞ্জাল সাফাইয়ের প্রাথমিক ধাপ, তাদেরকেই কেন বারবার শহরের "জঞ্জাল" হিসাবে চিহ্নিত করে অভিযান চালায় সরকার বা প্রশাসন?_ আসলে তলিয়ে দেখলে দেখবো এর পিছনে গভীর ... ...
*।। ছটপরব ।।* দীপাবলির পরের কুন ভোরসকালেই জাইগ্যা ওঠে দীপ্তি। পিপরাটোলির ঘরের বাইরে পাও রাইখ্যা দ্যাখে কাল যে মাটির দিয়াগুলান বারবার অসীম যতনে জ্বালিয়ে তুলিছিল দীপ্তি না বিক্কিরি হওয়া বাঁচাবুঁচা করৌঞ্জ এর তেলে, শীতের শিরশিরিয়ে ওঠা বাতাসের ছোবল বাঁচিয়ে, সেই মাটির প্রদীপ গুলো পইড়্যা আছে তেল শেষ হওয়া পরাজিত সৈনিকের মতো, তেল চুঁইয়া পইড়্যা আছে এইদিক উইদিকে, রঙ্গোলির রং বিখরে আছে চৌদিকি; ঐ বড় বাড়িটোর ফেলি দিওয়া আতসবাজির কাগজগুলান, দীপুটা কুড়িয়ে বাড়িয়ে আনি ওর পটাকা শেষ হওয়ার পর জ্বালিয়ে বারে বারে হাততালি দিয়ে নাচে। বাপটা বলিছে, আওয়াজ ওলা পটাকা না জ্বালাতি, সরকারের মানা, বড়লোকিরা শোনে না কিছুই। ... ...
বাংলায় "শিয়াল মামা"র কদর তার দিমাগের জন্যে। বুদ্ধির দৌলতেই সে বাংলাভাষায় "ধুর্ত শেয়াল" নামক শব্দের সংযোজন ঘটিয়েছে। "বিড়াল" বা "বেড়ালে"র মতোই "শিয়াল" আর "শেয়াল" নিয়ে ঘটি-বাঙালের ঝগড়া বুঝি বা সৃষ্টির আদিযুগ থেকে। কিশোরগঞ্জের উপেন্দ্রকিশোরের দৌলতে শেয়ালের দিমাগের সঙ্গে পরিচয় বাঙালির শৈশবেই হয়। এই সুপার কম্পিউটারের যুগেও শৈশবে উপেন্দ্রকিশোরের শেয়াল আর কুমিরের গল্প পড়ে নি বা শোনে নি এমন বাঙালির সংখ্যা খুব কম আছে। ... ...
আজ একজন ড্রাইভারকে দেখলাম, সময় কাটাতে গঙ্গার ধারে চিংড়ি মাছ ধরছে। সরঞ্জাম খুবই সাধারণ। নাইলনের সুতো, বড়শি ও কেঁচো। ব্যস্।
আধা পৃষ্ঠা টাইপ এর পর ব্রাউজার এড্রেসে x চিন্হে হাত পড়ে সব উধাও লগইন করে লেখা তবে অনেকক্ষণ জমাদিন করা হয় নি ;( এখন abar পাবলিশ স্ট্যাটাস বদলাবার চেষ্টা করতে giye পেজ রিফ্রেশ হলো এমনে চললে সারা দিনেও ব্যাটে bole হবেনানে আমার ইন্টারনেট ও মনে হয় স্লো হতেছে যে স্পীডে চালাই somebody should pay me যে আমার ইন্টারনেট কানেকশান আছে। জ্বালা app e ভালো হচ্ছে , তবে ক্রোম এ খুলেও ট্রান্সলেশন সিস্টেম বুঝি নি l ... ...
কে বলে গো এই দিবসে নেই " তিনি "! হ্যালোউইন তো লাল-কুমড়া, আমাগো ভূত মিঠা। পেত্নিগুলান ডাগর-ডোগর, মেমসি-রা সব সিঠা ।।
হঠাৎ যখন খবরের কাগজে, টিভি চ্যানেলে জানতে পারলুম, লোকাল ট্রেন আবার চালু হচ্ছে, মনটা কেমন যেন অপু-দুর্গার মতো হয়ে উঠেছিল। কেমন একটা অচেনার আনন্দে মনটা মেতে উঠেছিল। অতিমারী, রোগ, যন্ত্রণা, মৃত্যু, হাহাকার - সব যেন কি রকম ছাপিয়ে উঠে, রেল গাড়ি চলার, রেল গাড়ি চড়ার সেই চিরপরিচিত আনন্দে মনটা আমাদের ভরে উঠেছিল। ... ...
তীব্র তাপহাদের ভেতর নাগরিক কোলাহলমুক্ত হিম হিম ঠাণ্ডা একটি ঘর। এক দিকের দেয়াল জুড়ে সার সার টেলিভিশন, সব ক'টিতে এক সঙ্গে শব্দহীন দেশি-বিদেশি সংবাদ প্রচার হচ্ছে। আরেক দিকে খোপে খোপে এইচপি কম্পিউটারে মুহূর্তে টাইপ হচ্ছে দারুন সব তাজা খবর।
কিছু কথা ছিল যা বলা হয় নিএবং বলা হবেও না কোনদিনকারণ তারা কোন বলবার মত কথা নয়তাদের শব্দবন্ধগুলি জোড়হীন ভাবেপরস্পরের আশেপাশে ঘোরাফেরা করে শুধু,শব্দবন্ধ থেকে বাক্যবন্ধ হবার নিয়তিসে তাদের নয়।তবুও তাদের অস্তিত্বের পদধ্বনিতাদের শব্দে শব্দে সুখদুঃখের ছায়াএসবই তাদের কাহিনীকে আখ্যায়িত করে চলেনৈর্ব্যক্তিক, কারণ তাদের শোনার কেউ নেইতবু উচ্চারিত না হয়েও তাদের ঠিকনীরব বলা যায় না।কারণ সব কথা বলতে নেই উচ্চারণেসব শব্দ সশব্দ হবার প্রয়োজন নেইকারণ নিঃশব্দ মানেই নিস্তব্ধ নয়।অন্তহীন শব্দের সাগরে আমিনিঃশব্দ ভেসে থাকি। ... ...