ঋষভ গম্ভীর হল - “শুধু কাগজের পাতায় লিখে, ফেসবুকে হাজারটা লাইক, কমেন্ট পেয়ে আল্টিমেট কি লাভ বলুন তো? এতো বিজ্ঞান মঞ্চের মানুষেরাও করে। চতুর্দিকে প্রচার করে ‘গাছ লাগান, গাছ লাগান’, কিন্তু আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি তাঁরা নিজেরা একটাও গাছ লাগায় না। আরে বাবা, অনেক তো জনগণকে জাগানো হল! আর তাঁদের জাগাবার দরকার নেই। তাঁরা জাগবার হলে অনেক আগেই জাগতো। ছাড়ুন ওসব তত্ত্বকথা। এবারে ইমপ্লিমেন্টেশন দরকার!” ... ...
আস্তে আস্তে সমস্ত পোশাক খুলে রাখবো একদিন। সব আবরণ একে একে ছেড়ে বেরিয়ে আসবো। এই পরিচয়ের ঢ্যারা বয়ে বেড়ানো অসম্ভব ক্লান্তিকর। যা কিছু দিয়ে দাগিয়ে নিচ্ছি নিজেকে, বা আশেপাশের মানুষ চিনে নিচ্ছে আমায়, আমি আসলে তা নই মোটেই। হলেও, শুধু সেটুকুই নই। এই যে পড়ি, পড়াই, লিখি, এর কোনোকিছুতেই নিজেকে পুরো খুঁজে পাই না। আমি যে আছি, নিজের কাছে এগুলো তার প্রমাণমাত্র। আমি নই। এর বাইরে, একে ছাড়িয়ে আমার মাথার উপর প্রবহমান আকাশ, তার মেঘ আমার পরিচয়ের একাংশ। সেই অংশের ভিতরে আবার গ্রীষ্ম-বর্ষা-শরৎ এমনভাবে আরও পরিচয়, তারও মধ্যে শুধু বর্ষাতেই হাজারখানেক পরিচয় আমার জড়িয়ে আছে মেঘের অবস্থানে, উপস্থিতিতে। একইভাবে, সূর্য, চাঁদ, ... ...
শুধু ভালবাসায় ভর করে হাঁটা যায় যোজনপথ আমাদের সমস্ত শিল্পপ্রকাশই কোনও না কোনওভাবে প্রেম-ভালবাসার কাঙালপনা, আকুতি, চাওয়া পাওয়া, হারানো এই সমস্তকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। ভালবাসা এই চতুর্বর্ণে বর্ণমালা শেষ হয়ে যায়। শুধু ভালবাসায় ভর করে হাঁটা যায় যোজনপথ। প্রতিটি নারী অথবা পুরুষ নিজের মতো করে এক চিরন্তন রাধিকা বা বনমালী। ভালবাসা ক্ষমাপ্রবণ করে তোলে, শান্ত করে অস্থিরতা। বেঁচে থাকা রমণীয় করে তোলে দু’দণ্ড। প্রেমিক-প্রেমিকা, বন্ধু, মা-বাবা, স্বামী স্ত্রী, ভাই-বোন বা নামহীন অজস্র সম্পর্কের সুতোয় টান পড়ে কতবার। অথচ ‘ভালবাসি’ কথাটি সে ভাবে বলে ওঠা হয় না অনেকেরই। ভালবাসার কথা সেভাবে বলে ওঠা হয় না। বলে ওঠা হয় না ভালবাসি, সত্যিই ভালবাসি, ... ...
কবি ও চিন্তক শঙ্খ ঘোষের প্রয়াণের এক মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেল। আর সব কিছুর মতোই, আমরা এই শূন্যতার সঙ্গেও অভ্যস্ত হয়ে যাব। কিন্তু ২১শে এপ্রিল ভাবার চেষ্টা করছিলাম, এই মানুষটি নিজের সঙ্গে বাঙালির আর কী কী নিয়ে গেলেন! সেই সূত্রে আমার একটি ছোট্ট লেখা প্রকাশিত হয়েছিল আনন্দবাজার পত্রিকার সম্পাদকের পাতায়। গুরুদের সঙ্গেও ভাগ করে নিলাম এখানে। মতামত পেলে ভালো লাগবে। ... ...
রেললাইনে ছড়িয়ে থাকা হালকা পোড়াদাগওয়ালা কটি হাতরুটি, তাতে রক্তের ছিটে, এই ছবি আমাদের অনেককেই তাড়া করে ফিরেছে গত বছরের বেশ কিছুদিন। ‘পরিযায়ী শ্রমিক’, ওই যারা শতেকে হাজারে হেঁটে চলে মাইলের পর মাইল হাতে পিঠে বোঁচকা আর ঘাড়ের উপর বাচ্চাকে বসিয়ে। এমনিতে এ রাজ্যে আন্য রাজ্য থেকে আসা শ্রমিক আমরা দেখে আসছি বরাবরই, কিন্তু লকডাউন বোধহয় আমাদের প্রথম দেখায় এঁদের সংখ্যার ব্যপ্তি, দুর্দশার বিস্তার। পশ্চিমবঙ্গ থেকে এঁরা অন্যত্র যাচ্ছেন বহুদিন। মালদা থেকে দিল্লিগামী ট্রেন ফরাক্কা এক্সপ্রেস, যাকে মালদার লোক বলেন ‘লেবার ট্রেন’, লোকবোঝাই হয়ে চলে যায় দিল্লিতে শ্রমিকের যোগান দিতে। ওইরকম আরো ট্রেন চলে যায় মুম্বাই, চেন্নাই, ব্যাঙ্গালোর, কেরালা মায় উত্তরাখন্ড ... ...
মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের এক অন্যতম উপাদান লোকসাহিত্য যা সমৃদ্ধ হয়েছে জানা অজানা রচয়িতাদের রচিত অনেক মৌখিক কেচ্ছা, ধাঁধা ও কাহিনিতে। পদ্যের ছন্দে রচিত এইসব কাহিনি কিংবা গীতিকায় যেমন বিধৃত হয়েছে প্রেম ও ব্যার্থতার উপখ্যান, তেমনি উঠে এসেছে পারিবারিক দ্বন্ধ, রাজনীতি ও সামাজিক বৈষম্যের কথাও। গীতিকার প্রসঙ্গ উঠলেই, বহুল প্রচারিত ও জনপ্রিয় “ময়মনসিংহ গীতিকার” এর কথাই আগে আসে কিন্তু বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের গীতিকাগুলো রয়ে গেছে আলোচনার কিছুটা বাইরে। সিলেট গীতিকার ক্ষেত্রেও তেমনি ঘটেছে। সিলেটের আঞ্চলিক ভাষার দুর্বোধ্যতাও তার বড় কারন হতে পারে। ... ...
বেচারা ঈশ্বর! সর্বশক্তিমান অথচ একা, একাকিত্বের উত্তম ও একমাত্র উদাহরণ। ঘর নেই, বাড়ি নেই, আত্মীয় নেই, পরিজন নেই- আছে কেবল দায়িত্ব, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের দায়িত্ব। জীব-অনুজীব-জড় পদার্থের হিসেব-নিকেশ; পাপ-পুণ্যের। নেই কোন বিশ্রাম। ঐশী ক্ষমতার বলে নিজের শ্রান্তিকে দূরীভূত করার এক অনন্য গুণ আছে বলেই তিনি ঈশ্বর, আর ঠিক তাই তিনি সদা জাগরুক বিশ্রামহীন ক্লান্ত পথিক। যার কোন গন্তব্য নেই, নেই কোন শুরু। কেমন অদ্ভুত ব্যাপার! বৃত্তাকারে বৃত্তবন্দি! সর্বত্র তার জয়জয়কার অথচ নিজের সৃষ্ট স্বর্গ-নরকের সুখ কিংবা যন্ত্রণা ভোগ করার নেই কোনো অধিকার। এ যেন বিশাল অট্টালিকার নির্মাণ শ্রমিক; নিজের সৃষ্ট কর্মের সৌন্দর্য ভোগ করার অধিকার রয়েছে, ফল ভোগের নয়! হায় ঈশ্বর যদিও গীতায় তিনি ... ...
নমস্কার সবিনয় আবারো আপনাদের সকলের কাছে একটি আপতকালীন আর্জি! আমরা অর্থাৎ 'বিসর্গ' বিগত ২০০৭ সাল থেকে চোদ্দো বছর ধরে কেবলমাত্র নাটক করে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করি।এবং নাটকের পর মাধুকরী করে থাকি।তা থেকে যা উপার্জন হয় সেটাই আমাদের একমাত্র উপার্জন।এমতাবস্থায় আমাদের সকল প্রয়াস স্থগিত করা হয়েছে দেশের সুস্থতা কামনায়।সঙ্গে বন্ধ হয়েছে দিন আনি এর কর্মসম্পাদন।ভাড়ার শূণ্য!অগত্যা হাত পাতচ্ছি আপনাদের কাছে;আপনাদের আন্তরিক প্রশ্রয় বেঁচে থাকার রসদ সংগ্রহ করার জন্য আপনারা যদি আমাদের সহযোগিতা করেন এই আশায় একটি খোলা চিঠি। আমাদের সহযোগিতা করতে পারেন ঘরে বসেই,আপনার নির্ধারিত অর্থ সহযোগিতা পাঠাতে পারেন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এ! ACCT HOLDER- BARRACKPORE BISARGOPanjab National BankAccount - 0677010708579BRANCH- SBDO DUM DUM (PNB)IFSC- PUNB0067720 গুগল ... ...
সেদিনও ছিল ৭ আগস্ট, বাইশে শ্রাবণ। সালটা ছিল ১৯৪১ খ্রিঃ (১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) বৃহস্পতিবার। কবিকে ততদিনে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে আনা হয়েছে। ঠাকুরবাড়িতে আগের রাতে (রাখী পূর্ণিমার রাতে) কেউ ঘুমোয় নি। ভোর থেকেই বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজনের আনাগোনা বেড়েছে। একটা আশঙ্কা চারদিকে কেমন একটা চঞ্চলতা তৈরী করেছে। ততক্ষণে ঈশ্বরের উপাসনা ও ব্রহ্মসংগীত শুরু হয়েছে। কবি গুরুর খাটের পাশে মাথার কাছে দাঁড়িয়ে রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় উপাসনা করলেন আর তাঁর পায়ের কাছে পণ্ডিত বিধুশেখর শাস্ত্রী এসে মাটিতে বসে ঔপনিষদিক মন্ত্র উচ্চারণ করলেন ... ...
রাজ্যে চিত্রটা আজ ভয়াবহ। অনেকেই এখানে প্রকৃত দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিতে পোস্ট করছে। এক ধরনের প্রতিক্রিয়াশীল চক্র এটা। সম্পূর্ণ প্রশাসনিক ও সরকারি ব্যর্থতা এটা মেনে নিতে হবে। কারণ কত হাজার কোটি টাকা কবে বরাদ্দ হয়েছিল সুন্দরবনের নদীবাঁধ নির্মানের জন্য। এখনও ১২ বছর পরেও কেন সেই কাজ সম্পূর্ণ হল না এই প্রশ্নই সমীচিন এখন। আয়লা থেকে ইয়াস এর মত ঝড়ের কাছে অসহায় ভাবে দাঁড়িয়ে থাকবে। আর তোমাদের ত্রান নিয়ে ভিক্ষারির মতো বেঁচে থাকবে? ... ...
এটা কতটা পরীক্ষিত? 6 ঘন্টাই করোনা আসবে না কেন? প্রতি স্প্রেতে ছ’ঘণ্টা দূরে থাকবে করোনা, অভিনব আয়ুর্বেদিক মাউথ স্যানিটাইজার আনল হিন্দুস্তান অ্যান্টিবায়োটিকস লিমিটেড বিশ্বজিৎ দাস, কলকাতা: হলুদ, অ্যালোভেরা, গ্রিন টি’র নির্যাস সহ বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ওষধি দিয়ে তৈরি মাউথ স্যানিটাইজার আনল দেশের নামকরা কেন্দ্রীয় সরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যান্টিবায়োটিকস লিমিটেড (হ্যাল)। সংস্থার দাবি, এই স্যানিটাইজার মুখের ভিতর স্প্রে করতে হবে। প্রত্যেকবার চার থেকে পাঁচটি স্প্রে করলেই অন্তত ছ’ঘণ্টা করোনাও থাকবে দূরে! এভাবে ছ’ঘণ্টা অন্তর পুরোটা পড়ুন ... ...
প্রতিপদ পেরিয়ে গেল, তবু বহু জায়গায় এখনও জল নামেনি সামান্যও। ঘরের ভিতরে অব্দি জোয়ার-ভাটা খেলছে। সুন্দরবনে যাঁদের পাকা বাড়ি, তাঁরা রীতিমতো privileged দের পর্যায় পড়ছেন এই মুহূর্তে, কারণ সে-সব বাড়ি আংশিকভাবে বিপন্ন হচ্ছে শুধু। মাটির বাড়ি গলে, ভেসে যাচ্ছে।যাঁরা ব্যক্তিগত উদ্যোগে ত্রাণকার্যে যাচ্ছেন, একটিই পরামর্শ --- survey করে ত্রাণে নামুন। সাহায্য যাঁদের প্রয়োজন, তাঁদের হিসেবে আমাদেরই সাধ্য সীমিত। কাজেই, সেই প্রতিবন্ধকতা মেনে নিয়েই যা করার করতে হবে। গতবার আমফানের পর রায়দিঘি সংলগ্ন একটি গ্রামে ত্রাণকার্যে গিয়েছিলাম, সে সময় আমাদের কিছু প্রাক্তন ছাত্ররা দু' দিন আগে থেকে survey করে একটা নীল-নকশা বানিয়েছিল ত্রাণের। যে জায়গায় যাচ্ছেন, সেখানে পরিচিত কেউ থাকলে ভালো, ... ...
নির্জনতা কাটিয়ে ফের মেতে উঠুক শিক্ষাঙ্গনভাইরাসের আতঙ্কে আর কতদিন গৃহবন্দী থাকবে ছাত্রসমাজ?করোনা ভাইরাস এক বছরেরও কিছু সময়কাল প্রায় গোটা বিশ্বকে ভীত-সন্ত্রস্ত করে রেখেছে। গত বছর যখন যাব যাব করছে শীত, ঋতুর হিসেবে বসন্ত ছিল সমাগত, গাছে গাছে এসেছিল নতুন কুঁড়ি, নতুন পাতা। উদাসী হাওয়া বইছিল উত্তরের মাঠঘাট-বনজঙ্গল-পাহাড় জুড়ে, ঠিক তখন থেকেই এই ভাইরাসের আতঙ্কে একপ্রকার গৃহবন্দি মানবসমাজ তথা ছাত্রসমাজ। একটাই বার্তা ছিল এই ভাইরাস মোকাবিলা করতে আমাদের সর্বদা সচেতন থাকতে হবে এবং মানসিকভাবে জোটবদ্ধ হয়ে যথাসম্ভব পৃথক থাকতে হবে। না হলে একে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারগুলো একযোগে জোরকদমে এই ভাইরাস প্রতিরোধে প্রচার চালিয়ে গেছে ... ...
সদিচ্ছা থাকলে এড়ানো যায় যে কোনো অকল্যাণগৌতম চক্রবর্তী (তুলে আনলাম আত্মনির্ভশীল ভারতের কোলাজ যেগুলো ঠাঁই পেয়েছিল সংবাদপত্রের এককোণে বছরখানেক আগে। ভারতীয় অর্থনীতি এবং বর্তমান শ্রমনীতি নিয়ে দ্বিতীয় দফা এবং আগত তৃতীয় দফার করোণা সংক্রমনের প্রাক্কালে তাই ফিরে দেখা এই সময়কাল গুরুচন্ডালীর খেরোর খাতায়। প্রথম পর্ব ) বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে গত বছরের ঘটনা। টুকরো খবরের কোলাজগুলো বেড়িয়েছিল বিভিন্ন সংবাদপত্রের স্বল্প পরিসরে চোখে না পড়ার মত খবর হয়ে। আসলে খবরগুলো কোন কেষ্টবিষ্টুদের খবর নয় যে খুশী হয়ে বিজ্ঞাপনের অর্থে এক শ্রেণীর সংবাদপত্রের তবিল স্ফীত হবে অথবা পেইড নিউজের অর্থে খবরের স্থানবিশেষ জায়গা পরিবর্তিত হবে সংবাদপত্রের পাতায়। তাই ছোট আকারের খবর জায়গা পেয়েছিল সংবাদপত্রের ... ...
এইসব সময়ে রাজ কাপুরের কথা মনে পড়ে। বা রাজেশ খান্না। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় মারা যাবার পর বাংলায় টানা শোকজ্ঞাপন চলছে। পশ্চিমবঙ্গ নয়, বাংলায়, এপার এবং ওপারে। সামাজিক মাধ্যমে, গণমাধ্যমে। কিন্তু তথাকথিত সর্বভারতীয় মাধ্যমে তার কণামাত্র নেই। কোনো খবর নেই, বলা যাবেনা হয়তো, এক-আধ লাইন কোথাও বলা হয়ে থাকতেই পারে, কে আর টানা টিভি দেখে, বা সমস্ত চ্যীনেল দেখে। কিন্তু মোটের উপর অভ্রংলিহ নীরবতা। যেন কোথাও কিচ্ছু হয়নি। কোনো মহীরূহ পতন? বালাই ষাট। এইসব সময়েই রাজকাপুরের কথা মনে পড়ে। বা রাজেশ খান্না। সর্বভারতীয় মাধ্যমের অশ্রুজল ইত্যাদি। সেই আশির দশক থেকে ২০১২। কিছু বদলায়নি। সর্বভারতীয় টিভি দেখে মনে হয়েছে, এঁরা ছিলেন 'ভারতীয়' সিনেমার রূপকার। ... ...
স্টেশনের নাম খন্যান। শেয়ালদা-ডানকুনি কর্ড লাইন। নেহাৎই ছোট স্টেশন। এখান দিয়ে শুধু মাত্র লোকাল ট্রেন নিয়মিত ভাবে যাতায়াত করে। সেদিন এই স্টেশনে সিগন্যাল না পেয়ে আচমকাই দাঁড়িয়ে গেল দিল্লিগামী ভেসটিভিউল ট্রেন।এখন যাকে আমরা রাজধানী এক্সপ্রেস বলে ডাকি। ওই ট্রেনেই জাতীয় পুরস্কার আনতে দিল্লি যাচ্ছেন মহানায়ক। ট্রেন হঠাৎ বেশ কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে যেতে স্রেফ কৌতুহলবশত তিনি নিজের আসন ছেড়ে, কামরার দরজা খুলে, বাইরে উঁকি দিয়ে ব্যাপারটা আন্দাজ করার চেষ্টা করলেন। তখন স্টেশনের নাম খন্যান চোখে পড়ল। স্টেশনের সঙ্গে চায়ের সম্পর্ক চিরকালই বেশ নিবিড়। ... ...
শাহরুখ খান একটা ডাইলোগ মনে পরেছে হালকা হালকা। ঠিক মনে নেই, তবে বোধহয় কথাটা এরকম ছিলো হারকে ভি যো জিতা হে ওহি বাজিগর। মাফ করবেন আমার হিন্দি টা পিসিমার চেয়েও বাজে। আমার শুভ চিন্তকরা বলেছেন পিসিমার বিরুদ্ধে কথা বললে আমাকে সোসিয়াল মিডিয়া থেকে একঘরে করে দেবে। তবুও আমি হাজার বার বলবো।হেরেও জিতে গেল বিজেপি। না তিন থেকে ৮২ টা, প্রধান বিরোধী দল হয়েছে বলে বলছিলাম না তাঁরা সফল । এর পিছনে অন্য গল্প ও আছে। বেশীর ভাগ বাঙালি যখন আনন্দ উল্লাসে ব্যাস্ত বিজেপির মত একটা সাম্প্রদায়িক দলকে হারিয়ে। ... ...
সকালে আজকালে প্রকাশিত (১৯শে মে ২০২১) লেখায় শোকোচ্ছ্বাসকে আপনি যতই কুশলী আমলার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় আবেগহীনতার শক্ত খোলসে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করুন না কেন, ডাবের ভেতরে যে নরম শাঁস থাকে আমরা সবাই সেটা জানি। মনে হচ্ছিল আপনি যেন তিন কন্যার এক কন্যা অপর্ণা সেনের মতো ছেলেমানুষী করছেন। কোঁচড়ে লুকিয়ে রেখেছেন কাঠবিড়ালি। সেটা যে বেরিয়ে পড়বে সে খেয়াল নেই। শেষ অনুচ্ছেদের শেষ কতিপয় লাইন পাঠ করার সময় আমার চোখ সহসা ভিজে গেল। ... ...
ভোট মিটে গিয়েছে। মোদী-শাহের আর দেখা নেই। গত দুই-তিন মাস যেভাবে মোদী-শাহ নিয়মকরে বাংলায় ঘুরে গিয়েছেন, মনে হয়েছিল তাঁদের মতো বঙ্গপ্রেমী আর দুটি নাই। ভোট শেষ, তাঁরাও ডুমুরের ফুল। আসলে, এই মুহূর্তে বঙ্গে বড় কিছু হেতু নেই। আপনি বলবেন, ক্রমহ্রাসমান করোনা পরিস্থিতি কি সেই হেতুর মধ্যে পড়ে না। ভোটের থেকে বড় কিছু নয়। ভোট হল এমন মোহ, সেখানে সব কিছুর মাফ আছে। ভালবাসা আর যুদ্ধে এত দিন সব ভুল মাফ ছিল। বাংলার নির্বাচনের পর মনে হয়েছে, ভোটেও যা কিছু করা যায়, তার জন্য সব মাফ হয়ে যায়। ভোট প্রচারে এই লাখো লাখো লোকের সমাহারে করোনা পরিস্থিতি কি আরও ভয়ঙ্কর হবে ... ...
পাঁচ পাঁচজনকে পিটিয়ে মেরেছে ওরা। গাছের ডালে ঝুলিয়ে আগুনে জ্বালিয়ে মেরেছে। পুরো গ্রামের চোখের সামনে মেরেছে । উফ্ কি বর্বরতা! পুলিশ প্রশাসন ! ঘুমিয়ে ছিল নাকি ওরা? না বাবা, তা নয়। এদের নয়; ওদেরকে মেরেছে। বুঝুক ওরা যে জনতা জেগেছে। ওঃ তাই বল। বাবা শান্ত হলেন। চায়ের কাপে দুধ পড়ল বেশী। বাবা কিন্তূ মাইন্ড করলেন না। মাকে কিছু বললেন না। নিজেই চাএর পট টা টেনে নিয়ে আরো খানিকটা লিকার ঢেলে নিলেন। তারপর আমাদের কে খেয়াল করে বললেন,এটা অন্যায়। পুলিশের হাতে দেওয়া তুলে দেওয়া উচিত ছিল। এই ভাবে নিজের হাতে আইন তুলে নেওয়া, এটা ঠিক নয়। বিকেলে শম্ভু কাকু, দিলীপ জ্যাঠা ওদের হোয়াটস অ্যাপ দলের আরো ... ...