একটা তাল নিয়ে যা দুলালী। খালি মুখ থেকে বেরিয়ে গেছিল - আমাদের আর কি জন্মাষ্টমী দিদি? আমাদের ঠাকুর কি সেই ভাগ্য দিয়েছে? দুলালীর একটি পাঁচ বছরের ছেলে আছে - নাম পরিমল। বাবাকে সে দেখে নি। ওর বাবা ওর জন্মের আগেই মরে গেছে। কারখানায় কাজ করত। এক্সিডেন্টে মারা গেছে। শোনা যায় - ভালোবেসে নাকি ওদের বিয়ে হয়েছিল। অর্থের তাড়নায় দুলালী আট বাড়িতে কাজ ধরেছে। বেগোর খালের ধারে একটি বসতিতে মা ছেলে থাকে। সুমনা প্রায় জোর করেই হাতে একটি তাল দুলালীকে দিয়ে বললো - তুই তালের বড়া করে ঠাকুরকে দিবি আর ছেলেকে খাওয়াবি।মা তাল নিয়ে ঘরে এসেছে। মা ওকে শুধু পরি বলে ডাকে। ... ...
সালটা ১৮৯৯। চুরুলিয়া গ্রামের আকাশের মুখ সেদিন গম্ভীর। গতরাত থেকে অবিশ্রান্ত ভাবে কেঁদে চলেছে সে, এমনকি সকালেও সে কান্নার বিরাম নেই। এমনই এক বর্ষণমুখর দিনে চুরুলিয়া গ্রামের শেষ প্রান্তে এক কুঁড়েঘরে জন্ম নিলেন দুখু মিঞা ওরফে কাজী নজরুল ইসলাম। বাবা ছিলেন স্থানীয় মসজিদের ইমাম। জন্মের পর থেকেই সংসার সীমান্তে স্বল্প রোজগেরে বাবা – মায়ের নিত্যদিনের এক অসম লড়াইয়ের স্বাক্ষী ছিলেন একরত্তি নজরুল। যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে, সেই সময় খুব দ্রুত বদল ঘটছিল মানুষের যাপনে। খুব দ্রুত বদলে যাচ্ছিল সমাজ অর্থনীতি এবং বিশ্বরাজনীতির মানচিত্র। সময়ও তার মতো করে গড়েপিটে নিয়েছিল নজরুলকে।১৯১৭ সালে মাত্র আঠেরো বছর বয়সে নজরুল যোগ দিলেন সেনাবাহিনীতে। ... ...
মেঘালয় পর্যটনে গেছিলাম। সেখানে রাজা আলীর সঙ্গে পরিচয় হল। এক ঝাঁক অবিন্যস্ত চুল, নীল শার্ট পাজামা পরিধানে। যেন নদীর জলের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে পরেছে। দেখে ২০-২২ বছরের লাগে।রাজা আলী বাংলাদেশী, ডাউকি নদীর কূলে কুলের আচার বেচে।ডাউকি নদী ভারতে মেঘালয় রাজ্যের শিলং মালভূমির দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল থেকে নদীটি উৎপন্ন হয়েছ। সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং দিয়ে নদীটি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এখানে পাহাড় আর নদীর অপূর্ব সম্মিলন বলে এই এলাকা অন্যতম একটি পর্যটনস্থল হিসেবে পরিচিত। নান্দনিক দৃষ্টিকোণ থেকে ডাউকি নদী ও এর আশপাশের এলাকা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের একটি লীলাভূমি। নদীর জল খুব স্বচ্ছ। একটা নদীর জল ঠিক কতটা স্বচ্ছ হতে পারে? ... ...
বৃষ্টি পড়ছিল। সারা আকাশ মেঘে ঢাকা ঘন অন্ধকার। এই দিনটি কে যেন বলা যায় 'এ কোন সকাল রাতের চেয়ে অন্ধকার'। নগেন কাকা চা খাচ্ছিল। কোল মাইনসে চাকরি করতেন, অনেক দিন হল অবসর নিয়েছেন। এমন বৃষ্টি বাদলা দিনে নগেন কাকার গল্প খুব আমরা উপভোগ করতাম।
তিতিনের মনটা আজ বড্ড খারাপ। কয়েক দিন ধরে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েই যাচ্ছে। কোভিদের জন্য স্কুল অনেক দিন থেকেই বন্ধ। ওর ভালো বন্ধু - আর্য, ঋত্বিক, এষা, যশ দের সঙ্গে কতদিন দেখা হয় নি। অনেক দিন ধরে ঘরে ও বন্দী। তিতিন বাবার কছে পড়াশোনা করে আর ঠাকুমার কাছে দৌড়ে যায়। গল্প শোনে। ওদের বারান্দায় উঠোনে কাঠবিড়ালি সপরিবারে খেলতে আসে, এই কদিন ওরাও আসছে না।ওরা আসবেই বা কি করে? যা একঘেয়ে একটানা বৃষ্টি হচ্ছে। ... ...
মন - ঘুড়ি ঘুড়িটা উড়ছিল পত পত করে অনেক অনেক উঁচুতে, লাটাইয়ের সুতো প্রায় শেষ করে দিয়েছিল। সুতোতে টান মারলো। দূর থেকে চীৎকার ভেসে এলো --ভো --কা--ট্টা । শালিগ্রামের ঘুড়ি ভো-কাট্টা হয়ে ভাসতে ভাসতে অনেক অনেক দূরে যেতে লাগলো। সে অনেকক্ষণ ধরে এই ভেসে যাওয়া দেখতে লাগলো। ওর একটুও দুঃখ নেই ওর ঘুড়িটি কেটে যাওয়াতে। ওর কত আর বয়স, বছর সাতেক হবে। ওরা উড়িষ্যার একটি অজ্ পাড়াগাঁয়ে থাকে। মা পরের বাড়িতে কাজ করে। ওর মা ওকে বলেছে ওর আর একটি ভাই খুব তাড়াতাড়ি আসছে। ওর মার শরীরের জোর কমে গেছে, তবুও করতে হয় কাজ। ওর মামা দিনমজুরী করে। শালিগ্রাম ঘুড়ি লাটাইয়ের বায়না করেছিল। ... ...
সবচেয়ে প্রাচীন ছড়া বলে যেটি লিপিবদ্ধ আছে সেটা পাওয়া যাচ্ছে প্রখ্যাত ভাষাচার্য সুকুমার সেনের "বাংলার ছড়া" গ্রন্থে। এটি আগে ঠাকুমা দিদিমাদের মুখে মুখে শোনা যেতো কিন্তু এখন তেমন আর শোনা যায় না। এটি প্রায় ২০০ বছরের পুরনো। গ্রাম বাংলার মানুষের মুখ থেকে এটি সংগ্রহ করেছিলেন উইলিয়াম কেরী। মাছ আনিলা ছয় গন্ডা, চিলে নিলো দুই গন্ডা, বাকি র'লো ষোলো, তাহা ধুতে আটটা জলে পলাইলো তবে থাকিলো আট, দুইটায় কিনিলাম দুইকাটি কাঠ, তবে থাকিলো ছয়, প্রতিবেশীকে চারিটা দিতে হয়, তবে থাকিলো দুই, তার মধ্যে একটা চাখিয়া দেখলাম মুই। ... ...
১ নিউ ইয়র্ক শহরে রাত তিনটের সময় ঘুম আসে না;তুমি জেগে থাকো, আর টের পাও তোমার অ্যাপার্টমেন্টের কোনো কোনো জায়গায় বাস্তবতা নষ্ট হয়ে গেছে —রাত তিনটের নিউ ইয়র্ক শহর টেলিপ্যাথির মাধ্যমে তোমাকে সংকেত পাঠাচ্ছে। সমস্ত হাইভোল্টেজ করিডর খুলে যাচ্ছে একে একে, সমস্ত গোলকধাঁধা ও জটিল সুড়ঙ্গের নকশা; একজন জ্যাজশিল্পীর মতো, কিংবা একজন নিঃসঙ্গ কনস্টেবলের মতন তুমি হেঁটে যাও নিউ ইয়র্কের শীতার্ত অ্যাভেনিউগুলি ধরে —সূর্য একটা কাল্পনিক তারা এবং গ্রীষ্ম কেবল সর্বনাম।২ তোমার মনে পড়ে শেষবার নভেম্বরের শহরে মিউজিয়মে গিয়ে আমরা যে নগ্ন মেয়েটির পোর্ট্রেট দেখেছিলাম, তার জঙ্ঘা ও মেরুদন্ড; তার সুগোল পাছার খাঁজ — একটা পারস্যের ফুলদানীর মতো — সেরাতে অনেকক্ষণ গল্প করেছিলাম আমরা, আর জানতে পেরেছিলাম তোমার বিয়েটা ভেঙে যাচ্ছে; একটি বালিয়াড়ি ... ...
ছড়াটির ছত্রে ছত্রে চিত্রিত গ্রাম বাংলার সাধারন মানুষের জীবন যাত্রার চিত্র। বাদশাহ বা রাজা কয়েকটি গ্রামেরখাজনা আদায়ের জন্য এর শ্রেণীর তহশিলদার নিযুক্ত করতেন এদের বলা হত "মুজলিমদার"। মজুমদার কথাটি এরই অপভ্রংশ। "ইকির মিকির চাম চিকির" কথাটি সম্ভবত সেই অত্যাচারী শাসক শ্রেণীভুক্ত কর আদায়কারীর চিত্র তুলে ধরেছে। যারা দাঁত কিড়মিড় করে পিঠের ছালচামড়া তুলে নেবার হুমকি দিচ্ছে নিরীহ কৃষককে। ... ...
জাগরীঅখিল রঞ্জন দে নিশীথ রজনী কালে, নক্ষত্ররা জ্বলে,নিভৃতে আল্পনা আঁকি, চিত্রপট মনে।আঁখি-দ্বয় ভারী হয়, নয়ন সজলে,কেহ নাই, কিছু নাই, তিমির গগনে।ক্ষনিকের চলাচল, নক্ষত্র মন্ডলে, কতো বর্ণ, কতো রূপ, বর্ণিব কেমনে! সৃষ্টি-বিনাশ সেথায়, অহরহ চলে,কালের অমোঘে 'মঘা', প্রবীণা যৌবনে,ক্ষয়ে ক্ষয়ে হলি সারা, তবু এতো দম্ভ !মিছে কোন গরিমায়, প্রলম্বিত মন? ঘুরে আয়, দেহ-মন, ক্ষয়িত জীবন।সঞ্চিত সম্পদ ত্যাগী, করো কল্পারম্ভ,মানব কল্যাণে যেন, সপিকায় মন,দাম্ভিক মনন হতে, দূর হয় দম্ভ ।। ... ...
মাথা ভর্তি ঢেউ খেলানো কুচকুচে কালো চুল কাঁধের কাছে নেমে এসেছে। গায়ের রঙও ঘোর কৃষ্ণবর্ণ। চোখ দুটি লালচে, ঢুলুঢুলু, দিনের বেলাতেও। পরণে হলুদ প্যান্ট, লাল শার্ট। নামটা বেশ জমকালো, বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণ। দ্বিতীয় সাইরেন বাজতেই কারখানার গেটে প্রতিদিনই হুড়োহুড়ি লাগে, সময় পেরিয়ে গেলে হাজিরাবাবু আর সুযোগ দেবেন না বলে। বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণ সাত সকালেই মহুয়া সেবন করে টলমল পায়ে গিয়ে পৌঁছল হাজিরাবাবুর কাছে। হাজিরাবাবু – তুমি আজও মদ খেয়েছ এই সকালবেলা? বড় সাহেব বলেছেন মদ খেলে তোমাকে ঢুকতে না দিতে। বাসুদেব শ্রীকৃষ্ণ – ( কাঁদ কাঁদ হয়ে) বাবু, আর করবো না এমন। আজ ভুলে গিয়ে খেয়ে ফেলেছি। হাজিরা কাটবেন না দয়া করে। গতমাসে অনেক মাইনে কাটা গেছে ... ...
বল বল বল সবেঘেউ ঘেউ ঘেউ রবেবনলতা সেনপ্লিজ জানাবেনআবার ফিরছ কবে? যত গালি দিক গুরু ও চাঁড়ালেফিরে এসে শুধু দুহাত বাড়ালেতোমাকে ভীষণ বকব আড়ালেযখন সন্ধ্যা হবে। আবার কখনও কবেতেমনই সন্ধ্যা হবেবনলতা সেনপ্লিজ জানাবেনফিরে আসছেন কবে? ** রাজনৈতিক কারণ ছাড়া আমি প্যারডি করিনা। এটাও করবনা। কিন্তু মাথায় ঘুরঘুর করলে কী করব। লিখে ফেললাম। :-( ... ...
ঝাল মুড়ি আপনারা সবাই খেয়েছেন। পার্কে, রাস্তায়, চিড়িয়াখানা, খেলার মাঠে সকলেই বোধহয় ঝাল মুড়ি খেয়ে থাকবেন। বিকেলবেলার জলখাবারে সুন্দর করে মাখানো এক বাটি ঝালমুড়ি অনেকেরই জিভে জল এনে দেয়। ঝালমুড়ির কথা মনে হলে, মনে পরে যায় স্কুল ও কলেজ জীবনের কথা। স্কুল ও কলেজ জীবনে রাস্তার পাশে দাড়িয়ে বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে ঝালমুড়ি খাওয়ার মজাই আলাদা। ... ...
তালিবান প্রশাসন যারা চালায় তারা যথেষ্ট শিক্ষিত! আর আফগানদের মত ভদ্রলোক পৃথিবীতে খুব কম আছে! তালিবানরা সরকার চালাতে এসেছে লুটপাট করতে নয়।
সম্পর্ক - জন্মের, প্রাণের, সুখের, দুখের সম্পর্ক। আত্মার আত্মীয়, একদিন কচিবেলায় যারা ছিল প্রাণের সখা, বেলপাতার তিনটি পত্রিকা, তারা আজ আপন আপন শিব ঠাকুর নিয়ে তাদের পূজায় ব্যস্ত।
কাবুল থেকে ফিরেছেন এক বাঙালি ভদ্রলোক। ইশকুলে পড়াতেন। ফিরে আসার পর টিভিতে অনেক কিছু বলেছেন। এক কথায় যার মর্মার্থ হল তালিবান জমানা যতটা ভয়াবহ ভাবা হচ্ছে তা নয়। এ নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। হবারই কথা। কারণ আমরা কেউই কদাচ কাবুল যাইনি। আমাদের ভাই-বেরাদর-ছোটোমেসো-বড়পিসি কেউ আফগানিস্তানে থাকেনা। আমরা মূলত পরের মুখে ঝাল খাচ্ছি, আর দূর থেকে লিংক ছোঁড়াছুঁড়ি করে বিপ্লব কিংবা সলিডারিটি দেখাচ্ছি। আমি তো ব্যক্তিগতভাবে মুজতবা আলি বা সুস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এই প্রথম একজন বঙ্গসন্তানের নাম শুনলাম যিনি আফগানিস্তান গেছেন। ফলে উত্তেজনা স্বাভাবিক। সমস্যা হচ্ছে, ভদ্রলোকের যে ভঙ্গীতে সমালোচনা হচ্ছে, সেটা নিয়ে। ওঁর বক্তব্যে কী আছে? উনি বলেছেন, উনি কাবুলে বিশেষ ... ...
সংস্থাটির সঙ্গে আমি ২০০৭-২০০৮ থেকে জড়িত। মূলতঃ শ্রীযুক্তা সুপ্রিয়া রায়চৌধুরীর নেতৃত্বে কয়েকজন মানুষ এই সংস্থার কাজ আরম্ভ করেন। মূলতঃ উত্তর পূর্ব কলকাতায় দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের পড়াশুনা করানো হয় ড্রপ আউট কমানোর লক্ষ্যে। এছাড়া ইঁটভাটা গুলিতে যে পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারগুলি আসেন তাঁদের ছেলেমেয়েদের পড়ানোর কাজ করা হয় সুযোগ পরিস্থিতি অনুমতি অনুযায়ী। এবছর লকডাউনের সময় যথাসাধ্য সাহায্য করা হয়েছে। ... ...
সকাল ৮:৩০ এ ক্লাস শুরু হয়েছে খিলখিলের। নিজের ৯টা থেকে অফিস। যদিও বাস ধরার তাড়া নেই। তাও রেডি তো হতে হবে। প্রায় দেওয়ালের সাথে মিশে গিয়ে অরিন্দম টাওয়ালটা জড়িয়ে বাথরুম থেকে বেরিয়ে কোনোমতে সুরুৎ করে ছোট ঘরটায় ঢুকে গেল। ডাইনিং টেবিলে খিলখিলের স্কুল চলছে, চশমা আঁটা তরুনী দিদিমণি সিভিক সেন্স পড়াচ্ছেন। ... ...
বিশ্বজুড়ে আজকাল যখন তখন কেউ না কেউ বক্তব্য রাখছেন। কাজের হোক, অকাজের হোক। কি আসে যায়! বড়, মেজ, সেজ, ন, ফুল, ছোট, আরোও ছোট, এমনকি কুট্টি সাইজের নেতারা তো বক্তব্য রাখেনই । চিরকাল তাই হয়ে আসছে। আজকাল মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সকলেই মানে রাম, শ্যাম, যদু, মধু , আমার আপনার মতো সকলেই যারপরনাই সামাজিক হয়ে উঠেছেন। সকালে বড়দা বললেন তো তাঁর কথাকে সমর্থন বা প্রতিবাদ করে মধুবাবু বা বিবি একটা আধটা ফ্যাঁস বা ফোঁস করলেন। ব্যস্ হয়ে গেল। ফুলদিদি লাফালাফি করে মিডিয়ার পালে জোরালো হাওয়া ঠেলে দিলেন। ব্যস, মিডিয়াকে দেখে কে তখন? রমরমিয়ে বাড়ছে TRP। সোশ্যাল মিডিয়া সরগরম ওদিকে। ... ...
এই সেই বাড়ি, যেখানে ডায়পার পরে রবীন্দ্রনাথ হামাগুড়ি দিয়ে বেড়িয়েছেন চত্বর থেকে চত্বরে। হাঁটু ছড়ে গেছে, ট্রাইসেপ টনটন করেছে, বেবি ফ্যাট ঝরে গেছে। কিন্তু কালো বলে কেউ তাঁকে কোলে তোলেনি। বড় হয়ে ক্ষোভে, দুঃখে, অভিমানে রবীন্দ্রনাথ বাড়ি ছেড়েছিলেন। খালি পায়ে হেঁটে চলে গিয়েছিলেন শিয়ালদহে, কাটিয়েছেন উদ্বাস্তু জীবন। তখন জায়গাটাকে শিলাইদহ বলা হত। বাংলার ইতিহাসে রবীন্দ্রনাথই প্রথম উদ্বাস্তু। এক নম্বর প্লাটফর্মে বসে মনের সমস্ত ক্ষোভ উজাড় করে রবীন্দ্রনাথ লেখেন তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস গোরা। সেখানে তিনি দেখিয়েছেন, যে, ফরসা হলেই ছহী হিন্দু হওয়া যায়না। যতই পুজো কর, আচারবিচারের ভড়ং কর, শেষমেশ জানতে পারবে তুমি বিধর্মী। এখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা হয় আরেক কালোপুরুষের ... ...