সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের কবি শহীদ কাদরী' (দীর্ঘ রোগে ভুগে ২০১৬ সালে নিউ ইয়র্কে প্রয়াত) লেখা কবিতা "তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা" একটি অসামান্য রচনা। বেশ আগে কবির সুমন এই কবিতাটিকে সুর দিয়ে গান করেছেন, সেটিও অনবদ্য:"তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা! ভয় নেই এমন দিন এনে দেবদেখ সেনাবাহিনীর বন্দুক নয়,শুধু গোলাপের তোড়া হাতে কুচকাওয়াজ করবে তোমার সামনে,শুধু তোমাকেই তোমাকেই স্যালুট করবে তারা দিনরাত।ভয় নেই এমন দিন এনে দেব..."২কবি শহীদ কাদরীর প্রথম প্রেমিকা, প্রথম স্ত্রী নাজমুন নেসা পিয়ারী নয়ের দশকের শেষের দিকে এসেছিলেন ঢাকায়। বার্লিন প্রবাসী প্রায় ৬০ বছর বয়সী পিয়ারী তখনো দারুন সুন্দর, উজ্জল। ঢাকা ক্লাবের এক পার্টিতে কোনো এক সাংবাদিক বন্ধু পরিচয় করিয়ে দেন তার ... ...
দ্য এজ অফ সারভিলিয়েন্স ক্যাপিটালিসমআগে বলা হতো সক্কলে কবি নয় কেউ কেউ কবি, তেমনি আগে এও ধারণা করা হতো সক্কলে ইন্টারনেট ব্যবহার করে না, করে একটা বিশেষ শিক্ষিত শ্রেণীর মানুষজন। কিন্তু জিয়ো মার্কেটে আসার মধ্যে দিয়ে ইন্টারনেট পরিষেবা সত্যিকারের অর্থেই জনসাধারণের হয়েছে বা হতে পেরেছে, আমরা একটা দেশ হিসেবে আরো বেশী ডিজিটাল হয়েছি। এখন তো অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে অফিস হচ্ছে সারাবছর ধরে কেনাকাটা হচ্ছে, থ্যাঙ্কস টু ধীরুভাই ন্ড হোল টীম; ইন্টারনেটের স্পীড এত ভালো আর দাম নাগালের ভেতর রাখার জন্য, অনেকটা জলের দরে ফলের রস খাচ্ছি বলে মনে হয় আর মনে হওয়াটা নিছক মিথ্যে নয়। ... ...
প্রতারিত নারীকুল আপনারা আর শিশুদের জন্য মোটের উপর উপযুক্ত নন বলা যায় নগদে আর সস্তায় লাভ খুঁজতে গিয়ে বহু কিছুর মতো এ সদগুনটিও কেন জানি খোয়া গেছে মেকিয়াভেলি মার্কা ডন জুয়ান নায়কের সঙ্গিনী ভার্যাদের, তবে সেকুলাস সেক্স আর যুগ প্রভার কারনে যৌন কসরতে আগের যে কোন সময়কে সকলেই প্রায় ছাড়িয়ে গেছেন, তাই না? ... ...
জিলিপি রসিক জলিদা মজমজে গরম জিলিপি খেতে খেতে জিলিপির দিকে তাকিয়ে মুখে জল টেনে মোহিত হয়ে বলতে শুরু করলো - যেমন তোর গড়ন, তেমনি তোর স্বাদ। রসের প্যাঁচে টইটুম্বুর, নেইকো কোন খাদ।
বিছানায় এসে শুয়েছি তা প্রায় ঘণ্টাখানেক হল। কিছুতেই ঘুম আসছে না। বাইরে নিস্তব্ধ নিঝুম শীতের রাত। ঘরের নাইট ল্যাম্পটা নিভিয়ে দিয়েছি ইচ্ছে করেই। একটুও আলো সহ্য হচ্ছে না আর। যদিও এই মুহূর্তে কেবলি মনে হচ্ছে কেউ যেন একটা কালো রঙ ধেবড়ে দিয়েছে আমার শরীর জুড়ে। আমি কিছুতেই তা ঘষে মুছে তুলে ফেলতে পারছি না। মনের যে গোপন কুঠুরির মুখ সযত্নে এতদিন বন্ধ করে রেখেছিলাম। আজ সেই বন্ধ মুখের ঢাকনাটা সরে গিয়ে কত স্মৃতি গলগল করে বেরিয়ে আসছে। ... ...
তখনও বাঙালী অ্যাপার্টমেন্টবাসী হয় নি। বাঙালী তখন সবেমাত্র 'ছোট পরিবার সুখী পরিবার' থিমে অভ্যস্ত হতে শুরু করেছে। পরিবারে তখনও ঠাকুমা, দাদু, পিসি, জেঠু, কাকুরা জেঠিমা, কাকিমারা আর সেইসঙ্গে কুচোকাচার দল শোভা পেত। বাঙালির বাঙালিয়ানা রসনার পরিতৃপ্তিতে। বাড়ির হেঁশেলে মাছ, মাংস, শাক সব্জি র মধ্যে অন্যতম স্থান পেত পোস্তর নানা পদ – আলু পোস্ত, ঝিঙে পোস্ত, পোস্তর বড়া ইত্যাদির রূপে। নিরামিষ দিনে ডাল, বিশেষতঃ বিউলির ডালের সঙ্গে আলু বা ঝিঙে পোস্ত বাঙালির অতি পছন্দের পদরূপে সম্মান পেত। তখনও পোস্তর দাম আকাশছোঁয়া হয়ে না গেলেও পোস্ত একটু দামীই ছিল। সামান্য একটু পোস্ত শিলে মিহি চন্দনের মতো করে বেটে পুরো সংসারের জন্য একটি ... ...
একটি কাঁচের গ্লাস, যার তলদেশেধরা আছে পৃথিবীর সবক'টা সূর্যাস্তের আলোকবিন্দু, মাটিতে পড়ে টুকরো-টুকরো হয়ে গেল। ঘন্টার পর ঘন্টা মাইক্রোস্কোপে চোখ রেখে যেসব বায়োলজিস্টদের ঘাড় টনটন করছে, তারা মুখ তুলে দেখল মরচে পড়া করোগেটেড টিনে নেমে আসছে হাজার বছরের জমানো বৃষ্টি।
আমার বড় ভাই মেসবাহ রহমান, মানব চার বছর আগে এইদিনে (৯ সেপ্টেম্বর) সাভার সিআরপিতে (পক্ষাঘাতগ্রস্থদের পুনর্বাসন কেন্দ্র বা সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অফ দ্য প্যারালাইজ্ড) ভোর বেলা দেহ রেখেছিলেন, ঘুমের ভেতরেই হার্ট এটাক। সেদিন মর্নিং ডিউটি ছিল, সকাল ৭টার টেলিভিশন নিউজ বুলেটিন অন এয়ার হয়েছে মাত্র। এমন সময় ভাইয়ার নার্সের হাউমাউ কান্না। আমি তাকে স্থির বুদ্ধিতে একজন ডাক্তার ডেকে মৃত্যু নিশ্চিত করতে বলি। অফিসে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে ছুটি নিয়ে সাভারের পক্ষাঘাত পুনর্বাসন কেন্দ্রে ছুটে যাই। পাগলের মত একেতাকে টেলিফোন করি, আমার একমাত্র ভাই! আগের দিনই ডে অফের বিকালে দুঘন্টার বাস জার্নি করে সাভার সিআরপিতে গিয়ে ভাইয়ার সংগে অনেক সময় কাটিয়েছি। তার শরীর স্পঞ্জ ... ...
পুরানো কিন্তু ভরানো সে সকাল, / হেলান দিয়ে বসে / হতুম খুন হেসে - / গড়িয়ে গড়িয়ে ঘুরত কত বিকাল।
প্রতিষ্ঠানবিরোধী রাজনীতিতে কিশোর অতিনিবেদিত কাসাব্লাংকা বা সুকান্ত ঘরানার বামপন্থী হিসেবে সংস্কৃতির জগতে বৌদ্ধিক চর্চার জগতে খানিকটা সরলীকৃত যাতায়াতের অভ্যেস ছিল। যেসব বন্ধুরা দেশ পত্রিকায় কবিতা ছাপানোর জন্য আকুলি বিকুলি করত, বা আনন্দ পাবলিশার্স এর আপিসে একদিন সিকিউরিটির বেড়া পেরোতে পারত তাদেরকে ঠিক সিআইএর চর মনে না করলেও আমরা তাদের কলকেতে স্খলন নিয়ে একটু দুশ্চিন্তায় থাকতাম। তরুণ বন্ধুসহ সব লেখকলেখিকাদের মধ্যে আত্মপ্রকাশের আর্তির ওজন, সমাজ সচেতন রাজনীতির থেকে পাল্লায় ভারী হল কিনা খেয়াল রাখতে গিয়ে নিজেদের লেখালিখি বা তার নিরীক্ষার চর্চা থমকে থাকত। ... ...
লৌকিক দেবদেবী নিয়ে গবেষণায় তিনিই পথিকৃৎ। ১৯৬৯ সালে "বাংলার লৌকিক দেবতা" বইয়ের লেখক গোপেন্দ্রকৃষ্ণ বসু রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কারে পুরস্কৃত হয়েছিলেন এই বইয়ের জন্য।তাঁর লোকদেবতা, আঞ্চলিক ইতিহাস বিষয়ক লেখাপত্র এককালে বসুমতী, যুগান্তর, পুষ্পপত্র, অমৃত, অমৃতবাজার, আনন্দবাজার ইত্যাদি পত্রিকায় প্রকাশিত হত। এছাড়াও বহু আঞ্চলিক পত্রিকা, সংবাদপত্র কিংবা বিশেষ স্মরণিকা-সুভেনিয়রে নিয়মিত লিখেছেন। সেসব ছড়ানো ছেটানো লেখা একত্র করে আর তার সাথে গোপেনবাবুকে নিয়ে সমসাময়িক ও বর্তমানের বিশিষ্ট লোকসংস্কৃতিবিদদের কলমে মূল্যবান লেখা যুক্ত করে "গোপেন্দ্রকৃষ্ণ বসু বিশেষ সংখ্যা" প্রকাশ করা হচ্ছে প্যারালাল পত্রিকার তরফে। ... ...
কলিয়ারির কালো ইয়ারি ওয়ার্ধা নদীর ধারে ওয়ার্ধা ভ্যালি কোলফিল্ড প্রধানত ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের বিদর্ভ অঞ্চলের চন্দ্রপুর জেলায় অবস্থিত। এখানে অনেকগুলি ওপেন কাষ্ট কোল মাইনস (খুলি খাদান) গড়ে উঠেছে। এমন একটি খুলি খাদানে পরিচয় হয়েছিল কালু কাওয়ালের সঙ্গে এক রৌদ্রোজ্জ্বল সকালে। ও মাইনসে তখন লোডিং মেসিন ওপারেটরের কাজ করত।প্রায় ছয় ফুট উচ্চতার এবং কৃষ্ণবর্ণ। হেভি ওয়েট। শৌখিন। পোষাক জিনসের প্যান্ট, লাল টি সার্ট। মাথায় ঝাঁকড়া চুল। পিছনে চুল বাঁধা। হেলমেটের তলা দিয়ে চুল চার পাশে বেরিয়ে এসেছিল। হাতে স্টিলের বালা। চোখে সান গ্লাস। ... ...
পলাশ কয়েকদিন ধরে ভাবছে এবার কী লেখা যায়। এতদিন ধরে যা লিখলো, প্রায় অধিকাংশই নিজের স্মৃতির ভান্ডার উজাড় করে লেখা। পলাশ কিন্তু কোনো লেখক নয়, লেখে নিজের খুশিতে - আনন্দে - বিলিয়ে দিতে সবার মধ্যে। পলাশের স্মৃতি জুড়ে বসে আছে তার শৈশবের অমূল্য সম্পদ, যতই খরচা করে আবার যেন ভরে ওঠে। ভাবুলতা যখন আঁকড়ে ধরে পলাশকে - বারাসাতের বাগান বাড়ি, পুকুর, মণ্ডপ, গাছ-গাছালি আষ্টে-পিষ্টে জাপটিয়ে ধরে তাকে, কী করবে সে ! চোখ বুজলেই নিজেকে দেখতে পায় - মণ্ডপের সামনের প্রাঙ্গণে ক্রিকেট খেলছে শৈশবের পাড়ার বন্ধুদের সাথে, লিচু-জামরুল-টগর-ঝোপ-জঙ্গলের পিছনে খেলছে চোর-পুলিশ মশার কামড় সহ্য করে, ... ...
"হুজুর কখনো পানশির গিয়েছেন" 'সে আবার কোথায়?' .উত্তর আফগানিস্থান - আমার দেশ। সে কি জায়গা। একটা আস্ত দুম্বা খেয়ে এক ঢোক পানি খান , আবার খিদে পাবে। আকাশের দিকে মুখ করে একটা লম্বা দম নিন, মনে হবে তাজি ঘোড়ার সাথে বাজি রেখে ছুটতে পারি। পানশিরের মানুষ তো পায়ে হেঁটে চলে না, বাতাসের উপর ভর করে যেন উড়ে চলে যায়।.শীতকালে সেকি বরফ পড়ে। মাঠ পথ পাহাড় নদী গাছপালা সব ঢাকা পড়ে যায়, ক্ষেত-খামারের কাজ বন্ধ, বরফের তলায় রাস্তা চাপা পড়ে গেছে। কোন কাজকর্ম নেই, বাড়ি থেকে বেরোনোর কথাই উঠে না। আহা সে কি আরাম। ... ...
ভাব অলঙ্কার থেকে দূরে সীমাহীনটাকে অতিক্রম করে লভ্য – অলভ্য পরম জাগতিক যাবতীয় প্রলুব্ধকর অবতারণা আর প্রতারণাপূর্ণ চাহনি কথা
আকাশের দিকে তাকালে মিটমিটে তারারা কি বলে? কথা বলে? গল্প করে? কি নাম তাদের? মা বলে ওই যে তোমার দাদামণি, তোমার পিসেমশাই,দাদু। সেই ছোটোবেলার মত। আমি কিন্তু জানি ওই ওই তারাদের ভীড়ে আছে আমার মেয়েবেলার আর কিশোরীবেলার দুই বন্ধু। বড় আদরের। হঠাৎ করে না বলে কয়ে হারিয়ে ওই অত্তদূরে চলে গেল। ... ...
বেনেগাল লিখেছেন, "বোম্বের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সবসময়েই ভেবেছে, সত্যজিৎ রায় ভারতের জন্য ঠিক কাজ করছেননা। রাজকাপুরের সঙ্গে তাঁর একবার বিরাট ঝামেলা হয়েছিল। রাজ কাপুরের সিনেমা 'জাগতে রহো' পরিচালনা করেছিলেন বাংলার বিখ্যাত নাট্যপরিচালক শম্ভূ মিত্র। সিনেমায় সত্যজিৎ রায়ের যা উচ্চতা, নাটকে তিনি তার সমানই ছিলেন। শম্ভূ সিনেমাটা বানিয়েছিলেন, এবং ১৯৬৪তে কারলভি ভেরি উৎসবে সেটা রাজকাপুরকে সেটা একটা পুরষ্কারও জিতিয়ে দেয়। ওই একই বছর ভেনিসে অপরাজিত জেতে স্বর্ণ সিংহ। তারপর রাজকাপুর এবং সত্যজিৎ রায়ের কোনো একটা অনুষ্ঠানে দেখা হয়। সত্যজিৎ বলেন, বাংলা সিনেমার জন্য এটা একটা বিরাট সম্মান। রাজ কাপুর বলেন, 'বাংলা কেন, আপনি ভারতীয় না? আপনি কেন বলেন, আপনি একজন বাঙালি চিত্রপরিচালক?' সত্যজিৎ বলেন, ... ...
বাংলা এবার নদীকে চায় অখিল রঞ্জন দে এক-শত বিশ মাইল জুড়েদিচ্ছি সেবা দু-পার জুড়ে ।লক্ষ জেলে মাছ ধরে খায়লক্ষ চারেক চাষ করে খায়আরো আছে লক্ষ খানেক জলজ প্রাজাতি ভাই।চিনতে পারো ?আমি যে তোমার জলঙ্গী নদী ভাই।বর্তমানে স্বজন-হারা,ছিন্ন-নাড়িগতি-হারা মৃতপ্রায় ভাই । রক্তে মোর দূষণ ঘটেফি-বছর আষাঢ় মাসে।মড়ক লাগে ঘরের ভেতরআছে যতো জলজ জীবনবাসর কালে হারায় জীবনরুই-কাতলা সিঙি-মাগুর ,মিলন কালে মরন পায় 'কই'!কেমন করে সয়বো আমিবলতে পারো সই ? অনেক তো হলো তোমার বিচার সভাপেলাম কী মোরা কোন ভরসা ?তাইতো মোরা গড়বো এবারনদী সমাজ ভাই ।মোদের সামাজে স্থান পেয়েছেমানুষ বাদে সকল প্রাণী ভাই ।সদস্য পদে নাম লিখিয়েছেএই জলঙ্গী-নদী ও ভাই । যুগ যুগ ধরে নিচ্ছো কেবলদিচ্ছো মোদের বিষের ... ...
এক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী একবার বলেছিলেন বেতন কম দেখে তিনি বাড়িতে সাহায্যকারী বেতন দিয়ে রাখতে পারেন না। গৃহের সব কাজকর্ম নিজেদেরই করতে হয়।.এক মার্কিন কংগ্রেস সদস্য বলেছিলেন বাসা ভাড়া করার আলাদা অর্থ না থাকায় সংসদ চলাকালে তিনি অফিসে ঘুমাতে বাধ্য হন।.ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় কাজ করার সময় এক আত্মীয় ব্যক্তিগত আলাপ করতে এলে তাড়াতাড়ি রাষ্ট্রীয় অর্থে কেনা মোমবাতিটি নিভিয়ে দিয়ে নিজের অর্থে কেনা মোমবাতি জ্বালিয়ে ছিলেন। ... ...
ফুল ঝরে কিন্তু শহীদ হয়ে ওঠে না, শহীদ বেদীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে-অর্থহীন ভাবে;