শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ বলতে অনেকে শীতকালে কম করে আতপ চাল খাবার কথা বলা হচ্ছে মনে করেন। আসলে কিন্তু কার্ব কম খেয়ে ওজন কমানোর সঙ্গে শীতাতপের কোনো সম্পর্ক নেই। উহা বাংলা এসি র সংস্কৃত নাম। সেই যন্ত্রের ওজন প্রচুর। ঘাড়ে তুলে নিয়ে গেলে পেশির বৃদ্ধি হতে পারে, ওজন কমা সম্ভব না। অনেকে ভাবেন, এসি চালালে পরিবেশ ঠান্ডা হয়। সেটাও ভুল ধারণা। এসি চালালে ক্লোরোফ্লুরোকার্বন নামের খুব খারাপ গ্যাস বার হয়ে ওজন স্তরে ছ্যাঁদা করে দেয়। সেখান দিয়ে অতিবেগুনি রশ্মি গায়ে পড়লে মাথা এবং শরীর গরম হয়ে যায়। একে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বলা হয়। গ্লোবাল ওয়ার্মিং এ মাথা গরম করে পৃথিবীতে অনেক খারাপ কাজ হয়েছে। ভাইয়ে ... ...
সূর্যের প্রথম আলো সর্বাঙ্গে মেখেতোমাকে কেমন দেখায়আজও তা বলা হয় নি! বলা হয় নি কখনওঅস্তরাগের আবীর মেখে তোমার লাজুক মৃদু হাসি কেমন লাগে! দেখেছি নববরষার কালো মেঘের সঞ্চারে তোমার কৃষ্ণকলি রূপ ,ছাইরঙা মেঘের বুকে সাদা বকের দলকে।আরোও দেখেছি নীল আকাশের বুকে সাদা মেঘের ভেলায়, নদীর পাড়ের কাশফুলের মেলায় --- বলা হয় নি কখনও আমার মনের কথা। দুটি সতৃষ্ণ নয়ন খুঁজেছে তোমাকেই ,কোজাগরীর রেশমী জ্যোৎস্নায়,কুয়াশার চাদর জড়ান শীতের শেষবেলায় বা ভোরেরবেলায়---হেমন্তের বাদামী রঙ ঝরাপাতারা জেনেছিল সেকথা।ফাগুনের উত্তাল দখিনা বাতাসেপলাশ, কৃষ্ণচূড়ার লালরঙের নেশায় মত্ত তোমার আগুনঝরা রূপও --- শুধু চেয়ে দেখেছি। তবু বলা হয় নি কখনও সে কথা---তুমি সুন্দর, তুমি অনুপম--- ওগো সুন্দর! ভালোবাসি তোমায়। ... ...
একফালি রোদে আর কতদিন চলে / প্রলয় কি সূর্যকে ছেড়ে কথা বলে?
[সিঙ্গাপুরে ২০০৫ সালে 'মিলন' সাহিত্য পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত ]এটাতে ফনট সমস্যা হয়েছে, তাই নতুন করে লিখতে হবে।
জাতিসংঘ প্রকাশিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, U.N. employees দের ৩ জন কর্মীর মধ্যে একজন গত দুই বছরে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। United Nations এর জরিপটি ডিসেম্বরে UNAIDS এ একটি প্রতিবেদনের সূত্রপাত করেছে, যা নিশ্চিত করেছে যে তার নেতৃত্ব bullying বর্বরতা ও যৌন হয়রানির ব্যাপক অভিযোগ মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়েছে। ... ...
বীরসিংহের সিংহপুরুষ জন্মেছিলেন "এঁড়ে বাছুর" পরিচয়ে। জন্মলগ্নে পিতামহ রামজয় তর্কভুষণ কর্তৃক প্রদত্ত এমন বদ-খেতাব যতই হাস্যোচ্ছলের হোক, বিদ্যাসাগর পিতামহের সে আখ্যার বরখেলাপ করেননি কখনও। এঁড়ে বাছুরের জিদ আর একগুঁয়েমি তাঁর মধ্যে ছিল। "বাঙালির বিষ সাপের বিষ না" এবং ওঝার আজ্ঞা যে ম্যাজিস্ট্রেটের আজ্ঞা নয় যে হুকুম মাত্র নেমে যাবে বলে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় যে কটাক্ষ করেছেন তাঁর প্রতিবাদ বুঝি বিদ্যাসাগরের ব্যক্তিত্ব দিয়ে করা যায়। সেজন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, বিশ্বকর্মা চার কোটি বাঙালি তৈরি করতে করতে মাঝে মাঝে দুই একজন মানুষ তৈরি করে ফেলেছেন। বিদ্যাসাগরই তার একজন। কেননা, তিনি বেসিক পার্সোনালিটি নিয়ে জন্মাননি। মনোবিজ্ঞানীদের ধারণা সমাজের মানুষ সমাজের সবকিছু মেনে নিতে শেখে। ... ...
ক্লান্ত লাগে। ভিডিওটা খুলেছিলাম অনবধানে। আর পাঁচটা যেমন খুলি। খুলে দেখলাম পুলিশ কাদের যেন গুলি করতে করতে তেড়ে যাচ্ছে। একটা লোক হাত তুলে দৌড়ে এল। মারধোর করতে নয়, আত্মসমর্পণের ভঙ্গীতে। পুলিশ তার দিকেও তেড়ে গেল। পুলিশের যা স্বভাব। তারপর লাঠি দিয়ে ধড়াদ্ধম পিটুনি। সঙ্গে কয়েকটা গুলির শব্দ। গুলিটা কোথায় লাগল ঠিক বুঝতে পারিনি। পয়েন্ট ব্ল্যাংকে ওইভাবে কাউকে গুলি করে নাকি? লোকটা পড়ে আছে দেখা গেল। ভাবলাম, এমন করে মারল, যে অজ্ঞান হয়ে গেল? তারপর দেখলাম, ক্যামেরা হাতে একজন, পুলিশের ফটোগ্রাফারই হবে, দৌড়ে গেল পড়ে থাকা শরীরের দিকে। তারপর শরীরের উপরে উঠে জান্তব উল্লাসে নাচ। দেখে আঁতকে উঠে ভাবলাম, মরে যাবে ... ...
এক শহরের গপ্পো
জানি তো ফিরবেনাকুলে তো ভিড়বেনাভেঙেছে মাস্তুল, ডুবেছে শিপ। তবুও সন্ধ্যায়বন্ধ জানালায়হঠাৎ ছায়া, বুক কী ঢিপঢিপ। এখনও পড়ে মনেরামনবমী দিনেতোমার জামা আর সিঁদুরে টিপ। তোমার বাণী যত কীভাবে অবিরতছড়িয়ে দিত ওই দুইটি লিপ। সত্যি ফিরবেনা?শিকে কি ছিঁড়বেনা?কখনও কোনোদিন, আর দিলীপ? পু: জীবনানন্দের পরে এমন মরমী কবিতা আর হয়নি। কেউ যদি বুঝতে না পারেন, তো মানেবইএর অংশ হিসেবে বলে দিলাম। ... ...
পাহাড়চূড়ার সেই রাতটি আজও মনে পড়ে। / দিনের শেষে পাখিরা ফিরেছিল কুলায়। / কিছু পরেই, সূর্য গেল অস্তাচলে।
গত বছর লিখেছিলাম চাষাদের নিয়ে। অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের চাষা রা নয়। পশ্চিমবঙ্গে কৃষকরা হয় খুব রাজনীতি বোঝে, না হয় রাজনীতি চাষাদের খুব বোঝায়।বিশ্বাস করুন কৃষকদের নিয়ে লেখার ইচ্ছে একদম নেই। এই শ্রেণীর মানুষরা খুব স্বার্থপর বুঝলেন। শুধু নিজের কথা ভাবে। শুনুন ..এরা নেশা করে না। মদ খেয়ে বাওয়াল করে আন্দোলন করে না। চক্রবর্তীদের মেয়ে বা রাজপুতদের ছেলে নিয়ে এদের মাথাব্যথা নেই। এরা তৈমুর এর হাগুর গন্ধ জানতে চায় না কিম্বা কাশ্মীরের RDX নিয়ে মাথা ঘামায় না। দুধ থেকে সোনা বেরোনো নিয়ে এদের মাথাব্যথা নেই। হাইড্রক্সি ক্লোরোমুনন্ন আর জামাতি নিয়ে এরা নিস্পৃহ। এমনকি মন্দির মসজিদ কোথায় হবে সেটা নিয়েও রক্ত গরম করে ... ...
১৬ই ডিসেম্বর বা ২৬শে জুলাই জানেন কি? কেনই বা জানবেন। আসলে প্রসঙ্গগুলো ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর আপামর ভারতবাসী সেটা গিলছেও। আসলে অশিক্ষা নয় রীতিমত কুশিক্ষায় দেশটা ভরে গেছে। তাই আত্মদানের এই মহান স্বাধীনতা দিবস আজ আমাজন আর ফিল্পকার্টের সেলেই সীমাবদ্ধ। আর বাঙালি? বাঙালি নিজ স্বত্তা ভুলে হুবাহু এই কুশিক্ষাকে নিজ অন্তরে মজ্জাগত করে চলছে। পথের পাঁচালি খ্যাত বাঙালি আজকাল বাংলা সিনেমাকে ন্যাস্টি কালচার বলে। কথায় কথায় ফাক ইউ আর WTF বলা বাঙালি আজ সারাদিন সেট ম্যাক্স নয় তো জি সিনেমা বা স্টার মুভিস নিয়ে বসবে। ... ...
গ্রামে দুটো মাত্র প্যান্ডেল হত। ছোটখাটো। দুটোরই মঞ্চে যারা থাকতেন তাদের জন্যই আপনি গালি খেতেন। সিক্সে জানতাম আপনি ঠাকুর। দাঁড়িবালা ঠাকুর। হেব্বি লাগতো স্টাইলটা। চাচা নাখুস ছিল। বলতো সালা কুজাতের লোক, মুসলমানদের মত দাঁড়ি রাখে। ঈমান নাই। তখন থেকেই মনে হয় ধর্মে খড়ি। তখন থেকেই কাফের মনে হয়। আপনিই দায়ী। এইটে যখন পামেলা এন্ডারসন হিট। তখন শুনলাম আপনি বৌদিবাজ। হেব্বি কেচ্ছা নাকি কিসব চিঠিপত্র নিয়ে। সদ্য তখন টেস্টোস্টেরন থেকে প্রজেস্টরনের শুরু। আপনি তখন থেকেই গুরু, দেব নন। দেব মানে মূর্তি মনে হয়। ... ...
"সূচনায় সাবর্ণ পরিবার" বাংলায় ইংরেজ পদার্পণের সাথেই শুরু হয় বর্তমান কলকাতার নগরায়ন, ভেসে আসে সাবর্ণ রায়চৌধুরীর নাম যার থেকে কলিকাতা সুতানুটি ও গোবিন্দপুর তিনটি গ্রাম ইজারা নিয়ে কলিকাতা নগরের পত্তন করেন জোব চার্ণক । যদিও কোলকাতায় জোব চার্ণক এর পদার্পণের অনেক আগেই কলকাতার দুর্গাপুজোর সূত্রপাত এই রায়চৌধুীরি পরিবারের হাত ধরে। সময়টা আজ থেকে প্রায় ৪৩০ বছর আগে, বাংলার রাজনীতিতে তখন বারো ভু্ঁইয়ার রাজত্ব। কলিকাতা ও তৎসংলগ্ন অঞ্চল তখন ছিল যশোর অধীনস্ত বারো ভুঁইয়ার অন্যতম রাজা বসন্ত রায়ের অধীনে। ... ...
এবার নাকি রুনু গুহনিয়োগির 'সাদা আমি কালো আমি' অবলম্বনে হিন্দিতে রাজনৈতিক ওয়েবসিরিজ। চারু মজুমদার চরিত্রে নওয়াজ সিদ্দিকি। জ্যোতি বসু চরিত্রে, পরেশ রাওয়াল কিংবা বোমান ইরানি। একটা বাংলা ভারসানও নাকি হবে। নির্ঘাত ডাব-টাব। সত্যি-মিথ্যে জানিনা, ডিজিটাল আনন্দবাজারে পড়লাম। প্রথম রিঅ্যাকশনে আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে হয়েছিল। কিন্তু হিন্দি সিনেমার উপর রাগ করে আত্মহত্যা করতে হলে অনেক আগেই করা উচিত ছিল। তা যখন করিনি, এবারও ক্ষান্ত দিলাম। পরের চিন্তাই মাথায় এল, এবার একখানা ফিলিম বানিয়ে ফেলি। কত আর খারাপ হবে। খারাপ হলেই বা কী। যত খিস্তি, তত ভিউ। একদম ইংরিজিতে বানাব। ভারতের ইংলিস মিডিয়াম বিপ্লবী থেকে আমেরিকান আঁতেল, সব্বাই দেখবে। ... ...
সময়ের সিন্দুকে বন্দি রেখেছি আমার / দূরন্ত শৈশব কে / আমার যৌবন আমার বার্ধক্য দিয়েছি / দায়িত্ব ও কর্তব্য কে
যাচ্ছেতাই ...আরবে কেউ নাই আমার। ঘরের লোক বেছে বেছে ইয়া বড় মুসলমান নাম কিকরে রাখলো তা আজ অবধি বুঝিনি। নামের আগে আবার শেখ আছে আমার। আধার, রেশন, ভোটার সব ভুলের বাধা টপকে যখন সরকারি খাতায় ঠিক নাম দেখি তখন একটু জিরান আসে মনে। তাও শান্তি নাই। ইদিকের পঞ্চায়েত মেম্বার হেব্বি খাতির করে বলে কিনা আপনে মুরুব্বি মানুষ। জীবনে কিচ্ছু গোছাতে পারিনি। তাই কয়েক বছর ধরে নিজের ইমেজ গোছাচ্ছি। পলিটিক্যাল ইমেজ। নন পলিটিক্যাল নাকি আ পলিটিক্যাল জানি না। তবে দুটোই গোছাচ্ছি। ... ...
#redvolunteershaltu হালতু শ্রমজীবী ক্যান্টিন গত ৭০ দিনের উপর চলছে। ২০/- টাকা মূল্যে দুপুরের খাবার দেওয়া হয়। মূলতঃ স্বল্প আয়ের মানুষজন আসেন খাবার নিতে। কলকাতা বা কলকাতার কাছে যারা থাকেন, হালতু শ্রমজীবী ক্যান্টিনের সাহায্যার্থে যদি কেউ চাল, ডাল, তেল, সোয়াবিন, মসলা, নুন, তাজা তরকারি, ডিম, চিকেন, মাছ খাদ্য সামগ্রী হিসেবেই সরাসরি দিতে চান, আমাকে দয়া করে জানাবেন। ... ...
তোমাকে প্রথম যেদিন আমি দেখেছিলাম, সেদিন তুমি মাক্স পড়ে ছিলে। আর সময়ই বা কতক্ষণ ছিল, খুব হলেও দশ থেকে পনেরো সেকেন্ড। তোমরা আসলে আর চলে গেলে। আমি তোমার নামে কিছু কথা আগেই শুনেছিলাম, তাই একটু হলেও কৌতুহল ছিল তোমাকে দেখার জন্য। যখন তোমরা ঘরে ঢুকলে ব্যাগপত্র রাখার জন্য, তখন আমি একবার শুধু তোমার দিকে তাকিয়েই চোখ নামিয়ে নিই এই ভেবে যে, কেও যেন দেখে না ফেলে। কিন্তু, আজ যতটুকু তোমার সাথে কথা বলে তোমায় জানতে পারলাম, তাতে তোমার প্রতি আমার আগ্রহ বাড়তে থাকে। আমি যখন জেঠিমার সাথে কথা বলতে বলতে তোমার সাথে কথা বলার চেষ্টা করি, দেখি তোমার কোনো ইচ্ছাই ... ...
নিশাপুর গ্রামে এক দুপুর বেলায় সবার সামনে শামসুকে ন্যাংটা করা হলো, এবং তারে পুরা নিশাপুর গ্রাম ঘুরানো হল। উলঙ্গ অবস্থায় মাথা নিচু করে শামসু হেঁটে গেল। তার পেছনে পেছনে উৎসুক গ্রাম জনতা, তাদের নেতৃত্বে বিচারকবৃন্দ, তবারক আলি, করিম মিয়া, মুতাহার হুসেন ও আফতাব শেখ। শামসুর শাস্তি কী হবে এ নিয়ে মতবিরোধ হয়েছিল। গতকাল রাতে, টিনের বাড়ির সামনের বিস্তৃত উঠানের এক জায়গায় গর্ত খুঁড়ে, এতে পোড়া কাঠ, বাঁশপাতা ইত্যাদি দিয়ে আগুন ধরিয়ে বসেছিলেন বিচারকেরা। শীত পড়া শুরু হয়েছে, এমন আবহাওয়ায়, এমন ঠান্ডা ঠান্ডা রাতের বাতাসে আগুনের সামনে বসে গল্প করতে ভাল লাগে গ্রামবাসীদের। চা আর মুড়ি খেতে খেতে করিম মিয়া প্রসঙ্গটা তুলেন। ... ...