কার্টিস রজার্স নামে এক অবসরপ্রাপ্ত ব্যবসায়ী ও জন ওলসন নামে এক ট্রান্সপোর্ট ইঞ্জিনিয়ার লেক ওয়ার্থ, ফ্লোরিডায় 2010 সালে জেডম্যাচ (ZedMatch) নামে একটা ডিএনএ প্রোফাইলিং কোম্পানি খোলেন। তাদের প্রাথমিক উদ্দেশ্য ছিল নতুন গবেষকদের জেনেটিক গবেষণায় সাহায্য করা এবং এতিম, দত্তক বা পরিত্যক্ত শিশুদের বাবা-মা অথবা আত্মীয়-স্বজনদের খুঁজে বের করতে সাহায্য করা। ... ...
রাজনীতি অনেক সময়ই ধর্মকে প্রভাবিত করে। তাই কিছুদিন আগেই আমরা দেখেছি বাঙালি এবং অবাঙালি হিন্দুদের মধ্যে সাংস্কৃতিক পার্থক্যের চিত্রটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তখন চিন্তা হল সত্যি কি দেবদেবীদের মধ্যেও "ওদের-আমাদের" হতে পারে। আমি বারবার বলতে চেষ্টা করি ধর্ম একটা সমাজ বিজ্ঞান। তাই বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতির পার্থক্য যেমন থাকবে, তেমন পূজিত দেবদেবীর চরিত্রের পার্থক্য হতে পারে। যেমন, বাঙালি মাত্রই মাতৃশক্তির আরাধনাতে বিশ্বাসী। বাঙালির লৌকিক দেবদেবীর প্রতি বিশ্বাস বেশি। তবে বাঙালির দেবদেবীরা পরে ব্রাহ্মণ্যবাদীদের দ্বারা স্বীকৃতি পেয়ে গেছে। ... ...
"গ" শব্দের ক্রিয়াভিত্তিক অর্থ গমন। স্বর যেখানে গতিশীল তাই গীত। স্বর ও ধ্বনির সমন্বয়ে জন্ম নিল "গীত" - গান। মানুষ ছাড়া আর কোনো প্রাণী যে স্বাদ পেলই না। মানুষের বেঁচে থাকার পথে খানাখন্দগুলো একটু বুজিয়ে দিল, যাত্রাপথের কাঁটা বেছে পথটা একটু মসৃণ করে দিল গান। একঘেয়ে রোজনামচাতে সুরের প্রলেপ জুড়ে দিল এক মখমলি গালিচা। যে গালিচায় হরিপদ কেরানি আর আকবর বাদশার সমান অধিকার। গালিচায় আলাপ করছেন উস্তাদ - রাত্রি প্রথম প্রহর অতিক্রান্ত হয়ে দ্বিতীয় প্রহরে প্রবেশ করছে। ... ...
বাণী ব্যাপারটা গোলমেলে। সে খালি গুরুদের একচেটিয়া। মানে যারা নিজেদের গুরু মনে করে, আর বাকি পৃথিবীকে চন্ডালতুল্য, তাদের একচেটিয়া। কাজ অবশ্য খুব কঠিন না, কারণ একবার গুরু বনে গেলেই বেরিয়ে আসতে থাকে অমৃতভাষণ, যার বেশিরভাগই আসলে অনৃতভাষণ। সচেতনভাবে যদি ঢপ না-ও দিয়ে থাকে, তবুও। সেই কোন প্রাচীনকালে ভারতচন্দ্র বলে গেছেন "সে কহে বিস্তর মিছা, যে কহে বিস্তর"।কোন ভারতচন্দ্র? মানে? কেশনগরের ভারতচন্দ্র হে। রায়গুণাকর। বিদ্যাসুন্দরের ভারতচন্দ্র।বিদ্যাসুন্দর বললেই মনটা কেমন সিক্ত হয়ে উঠলো, না? আফটার অল বাঙালি তো। মানে, বলছি যে ভারতচন্দ্র আফটার অল বাঙালি। ফলে বাকি ভারত আগামিকাল ভেবে ফেলার আগে তিনি আজই চরম সত্যিটা লিখে রাখলেন। উত্তরকালের জন্য।তো কথা হচ্ছিলো ... ...
এক: হাফ্ প্যান্ট পরে ঘর্মসিক্ত মুখে বাজারের ব্যাগ হাতে কন্যাশ্রীর পিতা এলেন দু কিলো চাল, দু কিলো আলু, আড়াইশো চিনি, একটা সাবান নিতে। মেয়ে পড়ে ক্লাস সেভেনে। ফোন নেই। স্মার্ট ফোন। জিজ্ঞেস করলাম পড়াশোনা করে কি করে? জানাল, দিদি, পড়াশোনা করছে না। একবার একটা বন্ধুর থেকে প্রশ্ন নিয়েছিল তারপর করেছিল। বললাম আজকে যাবার সময় প্রশ্ন নিয়ে যাবেন, ওখানে দিদিমণির কাছ থেকে চাইবেন। ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানাল। কিন্তু যাওয়ার সময় দেখলাম সোজা চলে গেল।দুই: অভিভাবকদের সই করে মিড ডে মিলের সামগ্ৰী নিতে হচ্ছে। কিন্তু পাশে ইঙ্ক প্যাড রাখা, যদি কারোর প্রয়োজন হয়। যাই হোক। দুরকম ব্যবস্হাতেই বিলি বন্টন চলছে। একজন অভিভাবক ... ...
স্বার্থসর্বস্ব রাজনীতির যুগে একটা ইয়াং ছেলে যাকে সবাই দলছুট ভাবে, এমনকি ঘোর অ-সিপিআইকেও দেখেছি তার নাম উচ্চারণের সময় স্বর পাল্টে যায়, সে হঠাৎ করে একটা হাক্কা চাউমিন মার্কা দলে ঢুকে গেলো, তা মেনে নেওয়া উনিশশো ষাট থেকে আশি যাদের জন্ম, তাদের পক্ষে মনে হয় একটু কঠিনই।কিন্তু এটাও ঠিক যে আমাদের ছোটবেলা থেকে ভারতীয় রাজনীতিতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে একটা প্যাটার্নের মতো দেখতে পাচ্ছি। হিমন্ত বিশ্বশর্মা বা লালুপ্রসাদ যাদব, বা আমাদের ঘরের ছেলে ঋতব্রত, এরা ঐ প্যাটার্নের খুব ভালো উদাহরণ। ছাত্র রাজনীতি দিয়ে শুরু। তারপরে ছাত্র রাজনীতি থেকে একটু মাঝবয়সের দিকে কিছুদিন ট্রেড ইউনিয়নটাও দুটো বা তিনটে টার্ম করে এলে আরো ভালো। রাজ্য সরকারের অফিসারদের যেমন ... ...
আমার ক্যাবলা কাটিং হাসি পুরোনো গান। এর আগে লাইভ একটা ভার্সান ছিল। ভালো রেকর্ডিং ছিলনা। এবার নতুন করে করা হল। অ্যারেঞ্জ ট্যারেঞ্জ করে। মন্তব্যে কেউ কেউ বলেছেন, আগেরটাই ভালো ছিল। সে আর কী করা যাবে। পাপের ফল, হয়েছে যখন, থাক।
এই নিউ নর্মাল আর নেওয়া যাচ্ছেনা। কিন্তু কথা হল, দুঃখের মধ্যে লোকে কী করবে? গান-টান গাইবে। নইলে তো মরে যাবে। জেলখানায় বসে জেলখানার গান গাইবে। অন্ধকারে বসে অন্ধকারের গান গাইবে। এ সব অন্ধকারের গান। তার মানে এই নয়, যে, হেবি সিরিয়াস, গম্ভীর গলায় বসে দরবারী কানাড়া সাধা হচ্ছে। বরং উল্টো। হাল্কা করে টাইম-পাস। অল্প ফুর্তি। সময়টাই তো এরকম। কে জানে আর কদ্দিন। ... ...
চাঁদ জানে, মরে যেতে হয় ফজরের আজানে।
সারপ্রাইজ মৌসুমী ঘোষ দাস তাতুনকে চকাস করে একটা চুমু খেয়ে ভ্যানে তুলে দিল কুহেলী। তাতুন গিয়ে নিজের সিটে বসে মায়ের দিকে তাকিয়ে রইলো। তবে এখন আর আগের মতো কান্নাকাটি করে না এই যা শান্তি। ভেতরে তখন আট-নয়-দশ বয়সীদের কলকাকলি। ভ্যানের দরজা বন্ধ করে ভ্যান রওনা দিতেই তাতুন হাত তুলল, কুহেলীও হাত নেড়ে বাই জানালো। ... ...
আমার বাপ আমাকে একজোড়া ঘুড়ি আর একলাটাই ভর্তি সুতো কিনে দিয়েছিল ছেলেবেলায়। সেই যখন আমাদের মফঃস্বলী পাড়াগাঁ টাইপের বারাসাত, লোকের ভীড়ে উপচে পড়ে নি। রাস্তায় চলতে গেলে লোকের কাঁধে কাঁধ লেগে যেত না, আর ছাদে উঠে দূরে তাকালে, ছেলেবেলায় আঁকা গোল্লা গোল্লা ঝোপের পিছনে তালগাছের সারির পেছনে আকাশ শুরু হয়ে গেছে, দেখা যেত। এ সেই তখনকার কথা। বাপে ঘুড়ি তো কিনে দিল, কিন্তু উড্ডয়ণসূত্রটা জানা না থাকায় ঘুড়ি দশফুটের উপরে কিছুতেই আর উড়ল না। ঐ আমার প্রথম আর শেষ ঘুড়ি কেনা। ধুলোমাখা লাটাইখানা মাঝে মাঝে খাটের তলা, বাঙ্কের কোণা এরকম অদ্ভুত যায়গায় আবিষ্কার হয়ে আমাদের চমকে দিত। তারপরে ম্যালা চন্দ্রভূক অমাবস্যা কেটে ... ...
ঐঐ
মুখ্যু সুখ্যু মানুষ। বেশি কিছু বুঝি না। জটিল জিনিস তো একবারই না। এর মাঝে আবার ইস্কুল মাস্টার, দেদার ছুটি। হিজিবিজি কাজ গুলোকে এত জটিল মনে হয় যে সরল কাজগুলো এমন করে হিজিবিজি হয়ে যায় বুঝতে পারি না। এদিকে ভুলভাল লোকের সঙ্গে মিশে আজকাল বড্ড খিস্তি বেরোচ্ছে মুখ দিয়ে। শুনেছি ইনসিকিওরিটি থেকে নাকি মুখে খিস্তি বেরোয়। কে জানে। ভেবে দেখি নি। ... ...
শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ বলতে অনেকে শীতকালে কম করে আতপ চাল খাবার কথা বলা হচ্ছে মনে করেন। আসলে কিন্তু কার্ব কম খেয়ে ওজন কমানোর সঙ্গে শীতাতপের কোনো সম্পর্ক নেই। উহা বাংলা এসি র সংস্কৃত নাম। সেই যন্ত্রের ওজন প্রচুর। ঘাড়ে তুলে নিয়ে গেলে পেশির বৃদ্ধি হতে পারে, ওজন কমা সম্ভব না। অনেকে ভাবেন, এসি চালালে পরিবেশ ঠান্ডা হয়। সেটাও ভুল ধারণা। এসি চালালে ক্লোরোফ্লুরোকার্বন নামের খুব খারাপ গ্যাস বার হয়ে ওজন স্তরে ছ্যাঁদা করে দেয়। সেখান দিয়ে অতিবেগুনি রশ্মি গায়ে পড়লে মাথা এবং শরীর গরম হয়ে যায়। একে গ্লোবাল ওয়ার্মিং বলা হয়। গ্লোবাল ওয়ার্মিং এ মাথা গরম করে পৃথিবীতে অনেক খারাপ কাজ হয়েছে। ভাইয়ে ... ...
সূর্যের প্রথম আলো সর্বাঙ্গে মেখেতোমাকে কেমন দেখায়আজও তা বলা হয় নি! বলা হয় নি কখনওঅস্তরাগের আবীর মেখে তোমার লাজুক মৃদু হাসি কেমন লাগে! দেখেছি নববরষার কালো মেঘের সঞ্চারে তোমার কৃষ্ণকলি রূপ ,ছাইরঙা মেঘের বুকে সাদা বকের দলকে।আরোও দেখেছি নীল আকাশের বুকে সাদা মেঘের ভেলায়, নদীর পাড়ের কাশফুলের মেলায় --- বলা হয় নি কখনও আমার মনের কথা। দুটি সতৃষ্ণ নয়ন খুঁজেছে তোমাকেই ,কোজাগরীর রেশমী জ্যোৎস্নায়,কুয়াশার চাদর জড়ান শীতের শেষবেলায় বা ভোরেরবেলায়---হেমন্তের বাদামী রঙ ঝরাপাতারা জেনেছিল সেকথা।ফাগুনের উত্তাল দখিনা বাতাসেপলাশ, কৃষ্ণচূড়ার লালরঙের নেশায় মত্ত তোমার আগুনঝরা রূপও --- শুধু চেয়ে দেখেছি। তবু বলা হয় নি কখনও সে কথা---তুমি সুন্দর, তুমি অনুপম--- ওগো সুন্দর! ভালোবাসি তোমায়। ... ...
একফালি রোদে আর কতদিন চলে / প্রলয় কি সূর্যকে ছেড়ে কথা বলে?
[সিঙ্গাপুরে ২০০৫ সালে 'মিলন' সাহিত্য পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত ]এটাতে ফনট সমস্যা হয়েছে, তাই নতুন করে লিখতে হবে।
জাতিসংঘ প্রকাশিত এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, U.N. employees দের ৩ জন কর্মীর মধ্যে একজন গত দুই বছরে যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। United Nations এর জরিপটি ডিসেম্বরে UNAIDS এ একটি প্রতিবেদনের সূত্রপাত করেছে, যা নিশ্চিত করেছে যে তার নেতৃত্ব bullying বর্বরতা ও যৌন হয়রানির ব্যাপক অভিযোগ মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়েছে। ... ...
বীরসিংহের সিংহপুরুষ জন্মেছিলেন "এঁড়ে বাছুর" পরিচয়ে। জন্মলগ্নে পিতামহ রামজয় তর্কভুষণ কর্তৃক প্রদত্ত এমন বদ-খেতাব যতই হাস্যোচ্ছলের হোক, বিদ্যাসাগর পিতামহের সে আখ্যার বরখেলাপ করেননি কখনও। এঁড়ে বাছুরের জিদ আর একগুঁয়েমি তাঁর মধ্যে ছিল। "বাঙালির বিষ সাপের বিষ না" এবং ওঝার আজ্ঞা যে ম্যাজিস্ট্রেটের আজ্ঞা নয় যে হুকুম মাত্র নেমে যাবে বলে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় যে কটাক্ষ করেছেন তাঁর প্রতিবাদ বুঝি বিদ্যাসাগরের ব্যক্তিত্ব দিয়ে করা যায়। সেজন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, বিশ্বকর্মা চার কোটি বাঙালি তৈরি করতে করতে মাঝে মাঝে দুই একজন মানুষ তৈরি করে ফেলেছেন। বিদ্যাসাগরই তার একজন। কেননা, তিনি বেসিক পার্সোনালিটি নিয়ে জন্মাননি। মনোবিজ্ঞানীদের ধারণা সমাজের মানুষ সমাজের সবকিছু মেনে নিতে শেখে। ... ...
ক্লান্ত লাগে। ভিডিওটা খুলেছিলাম অনবধানে। আর পাঁচটা যেমন খুলি। খুলে দেখলাম পুলিশ কাদের যেন গুলি করতে করতে তেড়ে যাচ্ছে। একটা লোক হাত তুলে দৌড়ে এল। মারধোর করতে নয়, আত্মসমর্পণের ভঙ্গীতে। পুলিশ তার দিকেও তেড়ে গেল। পুলিশের যা স্বভাব। তারপর লাঠি দিয়ে ধড়াদ্ধম পিটুনি। সঙ্গে কয়েকটা গুলির শব্দ। গুলিটা কোথায় লাগল ঠিক বুঝতে পারিনি। পয়েন্ট ব্ল্যাংকে ওইভাবে কাউকে গুলি করে নাকি? লোকটা পড়ে আছে দেখা গেল। ভাবলাম, এমন করে মারল, যে অজ্ঞান হয়ে গেল? তারপর দেখলাম, ক্যামেরা হাতে একজন, পুলিশের ফটোগ্রাফারই হবে, দৌড়ে গেল পড়ে থাকা শরীরের দিকে। তারপর শরীরের উপরে উঠে জান্তব উল্লাসে নাচ। দেখে আঁতকে উঠে ভাবলাম, মরে যাবে ... ...