দু লাইন লেখা সহজ নয়তো, ত্রাস! / এই দু লাইনে কাটা পড়ে কত লাশ!
গিটার শিখার আগেই মামু / রেখে ছিলেন চুল, / কুল ট্যাটুটা আঁকিয়ে নিলেন / চলছিলো নির্ভুল।
আশির দশকের বুড়ুদের মফস্বলি ছেলেবেলা, সত্তরের স্বর্ণযুগ আর নব্বইয়ের আধুনিকতার মাঝে "মাতাল হাওয়ারই মত হয়ে, যেতে যেতে পায়ে পায়ে" গেছে জড়িয়ে। উত্তম-সুচিত্রার "ঘুম ঘুম চাঁদ, ঝিকিমিকি তারা, এই মাধবী রাতে"র সাদা-কালো পর্দা ছেড়ে সবে রঙিন পর্দার জগতে উঁকি মারছে। সাদা-কালো পোর্টেবল টিভি আসছে ঘরে ঘরে। একটাই চ্যানেল। বেশীরভাগ সময় সাদা-কালো পোকা ওড়ে শোঁ শোঁ শব্দ করে। "রুকাবট কে লিয়ে খেদ হ্যায়।" তবুও তখন ছুটির দিনের দুপুরের ভাতঘুম কামাই করে বালিশের নীচে 'শ্রীকান্ত'। ... ...
যাক্, অবশেষে জানা গেল। এ বার রাত্তিরে একটু ঘুম হবে। এতদিন নুসরতের সন্তানের বাবা কে ভাবতে ভাবতে চোখের তলায় কালি পড়ে গিয়েছিল। সিগারেটের পর সিগারেট। হাউজ ফিজিসিয়ানকে বলে কয়ে ঘুমের ওষুধও খাওয়া শুরু করেছিলাম। শুভশ্রীর সন্তান হওয়ার সময় এমনটা হয়নি। করিনার প্রথম সন্তান তৈমূরের নাম শুনে ভীষণ উদ্দীপনা ছিল, এতটাই উদ্দীপনা যে পানের পিক ফেলে ফেলে ফেসবুকের দেওয়াল রঙিন করে দিয়েছিলাম। সে এক দিন ছিল! কিন্তু নুসরতের বেলায় এতটাই টেনশন হচ্ছিল বলে বোঝানো যাবে না। নিজের সন্তানের বাবা হওয়ার সময় এত টেনশন ছিল না। আজ বিন্দাস, নুসরতের সন্তানের বাবার নাম জানলাম। বাবার নাম হিন্দু জেনে আরও খুশি হলাম। ... ...
"বেলা!! আসবে কি তুমি এবার ? সময় কি হল তোমার?" "সাগর, আবার! আবার !! কেন বারবার এমনভাবে হাতছানি দিয়ে যাও? অবুঝ তুমি বড়। কবে বুঝবে?" "বেলা, তুমি কি অবুঝ নও? আর কতদিন? আরোও কতদিন সাগর ফিরে ফিরে যাবে?" "তুমি বড় অস্থির ,সাগর! দিন নেই, রাত নেই – এত চঞ্চল কেন তুমি? একটু শান্ত কি হতে পার না কখনও? " ... ...
একটু ব্যক্তিগত কথা দিয়ে শুরু করি। বাংলা কথাভুবনে যে নারী সত্যান্বেষীর সঙ্গে আমার প্রথম আলাপ হয় তাঁর নাম বিন্দী পিসি। ১৯৮১ সালের কথা। ১৯৬০-এ প্রকাশিত দেব সাহিত্য কুটীরের পূজাবার্ষিকী ‘অপরূপা’ পুনর্মুদ্রিত হল, আর সেখানেই পড়লাম সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায়ের গোয়েন্দা গল্প – ‘বিন্দী পিসির গোয়েন্দাগিরি’।দিন কেটে গেল। বড়ো হলাম। আলাপ হল আগাথা ক্রিস্টির সঙ্গে। তারপরই শকট্ হলাম। ‘দ্য স্টোরিটেলার’ পত্রিকায়, ১৯৩০-এর ফেব্রুয়ারিতে, ক্রিস্টি একটা গল্প লেখেন। নাম ‘দ্য রেসারেকশন অফ এমি ডুরান্ট’। পরে এর নাম হয়, ‘দ্য কমপ্যানিয়ন’। এটা ইংরেজ নারী সত্যান্বেষী মিস জেন মার্পল-এর প্রথম দিকের রহস্যভেদ কাহিনিগুলির একটা।দেখলাম, ১৯৬০-এ লেখা ‘বিন্দী পিসির গোয়েন্দাগিরি’ তার তিরিশ বছর আগে লেখা ‘দ্য রেসারেকশন ... ...
Ki vabe kono bishesh lekha khunje pabo guru te.
স্টাফরুমে শ্মশানের স্তব্ধতা। সকলের মাথায় হাত। শুধু সেকেন্ড মাস্টারের মুখে বিজয়ীর হাসি। হেডমাস্টারকে উদ্দেশ্য করে বললেন - আমি আপনাকে সাবধান করেছিলুম। এসব অনার্স, ফার্স্ট ক্লাস এই ভুরশুটপুর হাই স্কুলে চলে না। শুনলেন না। আমার মেজ ভায়রার সেজ ছেলে রেডিই ছিল। এখন সামলান। সাহেব ইনসপেক্টর। এইড তো গেলই। স্কুলই না তুলে দেয়! হেডমাস্টার আমার দিকে এমনভাবে তাকালেন যেন আমি ওঁর আরাধ্য দেবতা বঙ্কিমবাবুকে গালমন্দ করেছি; নয়তো ওঁর সাধের কলাবাগান তছনছ করে দিয়েছি। চোখ ছলছল করছে। ধরা গলা। - এটা কী করলে দেবমাল্য? ইনসপেকশনের সময় ইংরিজিতে কথা বলতে ওই অলম্বুষকে বারণ করোনি? দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। হেডস্যারর বাগানের কোণার ঘরটায় থাকি। ওঁর গৃহেই আহারাদি। ... ...
বাবার দেওয়া নামটাকে প্রকাণ্ড এক ঠাট্টা ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না রণবিজয়ের। জীবনের রণক্ষেত্রে পরাজয় ছাড়া আর কিছুই দেখতে পান না তিনি। হ্যাঁ, তিনি ইতিহাসের পণ্ডিত, বিদেশের জার্নালে তাঁর লেখা ছাপা হয়, কলেজের অধ্যাপক, বাবার রেখে যাওয়া বসতবাড়ি আর সম্পত্তিও আছে। তবু, তিনি একেবারে একা। মা চলে যাওয়ার পর তো আরও বেশি। ছেলের বিয়ে দিয়ে যেতে পারেননি বাবা, মা কেউই। রণবিজয় সহপাঠিনী রত্নাকে ভালোবেসেছিলেন। কিন্তু, মনের কথা বলবেন কী করে ঠিক করে উঠতে উঠতেই রত্নার ছেলের অন্নপ্রাশনের কার্ড এসে পৌঁছলো। এই একটি কারণের জন্যই রণবিজয় মনে করেন তাঁর নাম পরাজয় বা পরাস্তকুমার রাখলে ভালো করতেন বাবা। তিনি অসম্ভব লাজুক ... ...
হাসি-রাগ-আলো: পরশুরাম ও কিছু ভাবনা To laugh at fate through life’s short spanIs the prerogative of Man…ষোড়শ শতকে হাসির এই ভূমিকার কথা বলেছিলেন ফ্রান্সের রাবলে। আর, এখন পাশ্চাত্যের তত্ত্ববিদরা হাসিকে বলেন, ‘ইভেন্ট’। যে হাসাচ্ছে, আর যে হাসছে, তাদের সম্পর্কের মধ্যে খুঁজে পান বহু মাত্রা ও স্তর।তাঁদের বিচারে,হাসি কখনও নিরাপদতম ব্যক্তির আত্মপ্রকাশের চিহ্ন, কখনও বা আত্মগরিমা (যাকে নিজের লেভায়াথান বইতে ইংরেজ দার্শনিক টমাস হবস, গ্লোরি নাম দিয়ে, বিবাদের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন)-র উদযাপন, আবার কখনও হাসির মধ্যে তাঁরা খুঁজে পান, এমন কিছু উপাদানের সংজ্ঞাতীত অবশেষ যা আমাদের অস্থির করে। ... ...
শুধু শেখর লিখতুম কলেজে ওঠার পর থেকে। বঙ্গসাহিত্য-শিল্পের বাজারের খবর রাখিনি অনেকদিন। এতদিন পর বাজারে ঢুকেই আবিষ্কার করলুম, আমার নাম-সেক, জনৈক শেখর মুখোপাধ্যায় এখন বিখ্যাত ব্যক্তি। সেই ভদ্রলোকের লেখা পড়ে আমাকে কনগ্র্যাচুলেট করলেন দুয়েকজন। অতএব, বাধ্য হয়েই পিতৃদত্ত শেখরনাথে প্রত্যাবর্তন। এই নামেই ইদানিং বোর করছি পাচ জনকে। অতএব, আমি শেখর মুখোপাধ্যায় নই, শেখরনাথ মুখোপাধ্যায়। ... ...
হেডফোন কানে দিয়ে আর ভাঙা সাইকেলটা সাথে নিয়ে তারপর নিরুদ্দেশ। নিরুদ্দেশ বলে আলাদা করে কিছু হয় না, এই যে সাইকেলের সিটে চেপে বসলাম তারপর নিরুদ্দেশ সিনেমা চালু। আমার এই ফোরথ ডাইমেনশনাল সিনেমার ভেতর হাওয়া লাগে জল লাগে পোঁদে ব্যথা লাগে, মাথায় রোঁদ লাগে, নিজের ইচ্ছায় স্পীড কমে বাড়ে, সে একটা দারুন মজা। ... ...
আমেরিকায় প্রায়ই দেখা যায় ইরাক বা আফগান ফেরত সৈন্য এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে অনেককে আহত-নিহত করে পরে নিজেই আত্মহত্যা করেছেন বা পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। পরবর্তীতে তদন্তে জানা যায় উক্ত যুদ্ধ ফেরত সৈন্য পিটিএসডিতে ভুগছিলেন। পিটিএসডি এমন একটি মানসিক অবস্থা যা সেই সমস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা যায় যারা নিজের জীবনে কোন গভীর দুশ্চিন্তা বা উদ্বেগজনক ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন। এই সমস্ত ঘটনাবলি পরবর্তীতে তার জীবনে এমন গভীর প্রভাব ফেলে যে তার দৈনন্দিন জীবন বিঘ্নিত হয়। ... ...
আগের যুগে জমিদার বা লর্ডরা শিকারে বের হত এক পাল পোষা কুত্তা নিয়ে। বাবুদের শিকারকর্মে এই পোষা কুত্তার ভূমিকা ছিল অপরিসীম। শিকার চিহ্নিত করার সাথে সাথে প্রথমেই পোষা কুত্তাগুলিকে লেলিয়ে দেওয়া হত। ট্রেনিংপ্রাপ্ত কুত্তাগুলি শিকারকে ধাওয়া করতে করতে ক্লান্তির শেষ সীমায় নিয়ে যেত।
সত্তর দশকের ঢাকা যারা দেখেছেন তারা ভালই জানেন পরিত্যক্ত বর্জ্য প্লাস্টিক ও পলিথিন আমাদের কত বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিত্যক্ত পলিথিনের কারণে আমাদের ওয়াটার ড্রেনেজ সিস্টেম বন্ধ হয়ে যায়। বুড়িগঙ্গার তলে পলিথিন জমে জলজ প্রাণীর স্বাভাবিক পরিবেশ বহু আগেই নষ্ট হয়ে গেছে।
মিডিয়ার এই আদিখ্যেতা বন্ধ হোক। এগুলো কি হচ্ছে? বাচ্চারা ঘরে বসে অনলাইন ক্লাস করবে না নুসরতের ঘরের খবর জানবে?একলা মা হতে কী কী করণীয়, টিকা নিতে এসে পুরসভায় খোঁজ নিয়ে গেলেন যশরত ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৯:৫৬ একলা মা হতে কী কী করণীয়? টিকা নিতে এসে কলকাতা পুরসভায় খোঁজ নিয়ে গেলেন নুসরত জাহান ও তাঁর বন্ধু যশ দাশগুপ্ত। শনিবার দুপুরে আচমকাই কলকাতা পুরসভার দফতরে আসেন তাঁরা। সোজা চলে যান কলকাতা পুরসভা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায় চৌধুরীর ঘরে। সেখানে দু’জনেই কোভিড টিকা নেন। সূত্রের খবর, তারপরেই তাঁরা পুরোটা পড়ুন ... ...
হাইট চার ফুট বললেন তো......... তাই টুকটুক করে মাথা দিয়ে গোত্তা মেরে, বগলের তলা দিয়ে ঠেলে ঠুলে সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ি।.....
আপনারা কেউ যদি কারুবাসনা নাটকটা দেখে থাকেন বা উপন্যাসটা পড়ে থাকেন দেখবেন সেখানে নায়কের একটা অশান্তি আছে, সেই অশান্তিটা আসলে সে কাউকে বুঝিয়ে বলতেই পারে না, কবির ভাষায় সেই অশান্তি হৃদয়ে লালন করি। অর্থ খ্যাতি যশ এসব নয়, রক্তের ভেতর মগজের ভেতর অন্য এক বোধ কাজ করে। এই নায়কের জীবনে অর্থ খ্যাতি প্রেম সাফল্য স্টেবিলিটী এইসবগুলো থাকা এবং না থাকার সাথে আরো একটা জিনিস কন্স্যান্ট আছে একটা অতৃপ্তির অনুভূতি। ... ...
পাকিস্তান ঘাস খেয়ে এটম বোমা বানানোর স্বপ্ন দেখেছিল। ১৯৭২ সালে দেখা সেই স্বপ্নটা তারা এসে পূরণ করেছে ১৯৯৮ সালে। এটম বোম বানিয়েই ছেড়েছে। তারা শিক্ষার্থীদের নিউক্লিয়ার সাইন্সে উন্নত করছে। উন্নত করেছে গবেষণায়। চীনের সাথে মিলে তৈরি করছে ফাইটার জেট।
ইতিহাসের দিকে তাকালে সভ্যতা, যৌনতা ও অবক্ষয়ের সম্পর্কের একটা প্যাটার্ন দেখা যায়। বারবার বিভিন্ন সভ্যতায় এই প্যাটার্নের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। প্যাটার্নটা কী? সোশ্যাল অ্যানথ্রোপলোজিস্ট জন ড্যানিয়েল আনউইন ৫,০০০ বছরের ইতিহাস ঘেঁটে ৮৬টি আদিম গোত্র এবং ৬টি সভ্যতার ওপর এক পর্যালোচনা করেন।আনউইন এ গবেষণা শুরু করেন সভ্যতাকে অবদমিত কামনা-বাসনার ফসল হিসেবে দাবি করা ফ্রয়েডিয় থিওরি যাচাই করার জন্যে। কিন্তু ফলাফল দেখে হকচকিয়ে যান আনউইন নিজেই।১৯৩৪ সালে প্রকাশিত Sex & Culture বইতে দীর্ঘ এ গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন তিনি। বিভিন্ন সভ্যতা ও সেগুলোর পতনে আনউইন দেখতে পান একটা স্পষ্ট প্যাটার্ন.....কোনো সভ্যতার বিকাশ সেই সভ্যতার যৌনসংযমের সাথে সম্পর্কিত। যৌনতার ব্যাপারে কোনো সমাজ যত বেশি সংযমী ... ...