এলগিন মোড়ে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছি। হাঁটার পথটা পেরিয়ে এসে আমার প্রিয় বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। এদিক ওদিক দিয়ে নানারকম যানবাহনের আপন গতিতে ছুটে চলা দেখতে বেশ ভালোই লাগে এই সময়টা। পাশে নানা লোকজনের নানা রকম মুখের ভাজ দেখতে আরও ভালো লাগে। মুখের ভাঁজ গুলো অনেক রকমের হয়। যেমন বাস দেরি করে আসার একরকম ভাঁজ আবার বাস মিস হয়ে যাবার আর এক রকম ভাঁজ। নানা-রকম ভাঁজের মাঝে নিজেকেও গুলিয়ে ফেলি মাঝে মাঝেই। কারণ আমারও বিরক্ত লাগে বাসের জন্য দশ মিনিটের বেশি দাঁড়াতে। আজ সেই বিরক্তিই হচ্ছিল। প্রায় পনের মিনিট দাড়িয়েও বাসের দেখা পাচ্ছি না। মনে মনে রাগও ধরছে। ... ...
শুভেন্দু অধিকারী আজ একটি ইন্টারেস্টিং কথা বলেছেন- তিনি আগে যে দল করতেন সেইটা নিষ্ঠার সঙ্গে করতেন বলে তখন বিজেপি হঠাও স্লোগান দিয়েছিলেন। আজ থেকে যে দল করবেন, সেটিও নিষ্ঠার সঙ্গে করবেন বলে তোলাবাজ ভাইপো হঠাও স্লোগান দিলেন। অর্থাৎ, দলের প্রয়োজনে যা দরকার, দল যে কাজ দেবে সেটা পেশাদারি দক্ষতায় করবেন। নিষ্ঠা, দক্ষতা দিয়ে দলের কাজ করা আসল। কিন্তু, কী কাজ করছেন সেইটি কি নয়? একবছর আগে সি এ এ বাতিল করো, এন আর সি বাতিল করো বলতেন, নিষ্ঠার সঙ্গে বলতেন, এমনভাবে বলতেন যে তাঁর স্লোগান শুনে নিজেদের কর্মীরা উদবুদ্ধ হবে, পথচলতি মানুষ নিজের অবস্থান পালটে ফেলবেন। আজ তিনি সেইভাবেই এন ... ...
সুহৃদ,গুরু-ভাইবোন, বন্ধুরা, এককালীনও মাসিক সাবস্ক্রাইব করতে পাঠকদের নগদে নিবন্ধন করে গুরু’র বইপত্র তো আছেই এছাড়া নানান পরিসেবা গ্রহণের উদ্যোগটির জন্য আপনাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা, অভিনন্দন। বিশেষ করে গুরু’র পরিকল্পনা ও পরিচালনা সদস্যদের দীর্ঘদিনের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং সবচেয়ে বড় কথা, বাংলার পুস্তক প্রকাশনা, বিপণনে ব্যবসাটি দীর্ঘদিন থেকেই বড় পুঁজি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে "বাজারে আনন্দ" লাভের মধূ খেয়ে যাচ্ছে। এদের মতো আরো অনেক সংস্থার পুঁজির দাপটে প্রকাশনা নিয়ন্ত্রণ করে। আর বিজ্ঞাপন হতে তো এদের লাভের ভান্ডারকে স্ফীত করছে । কিন্তু আজকের দুনিয়ায় তথ্য প্রযুক্তির অভাবনীয় উন্নতি ও তথ্যের অবাধ আদান-প্রদান বিস্তার, ক্রমশ এই নব প্রযুক্তিকে দৈনন্দিন জীবনে অপরিহার্য উপাদান হিসেবে ব্যবহারের ফলে ,পত্র-পত্রিকা ও পুস্তক প্রকাশনার মোড়লদের একচেটিয়া মূনাফার বাজার আজ ... ...
#সকালের_লড়াই_আর_চায়ের_কাপ _________________ আমার প্রতিটা সকালই প্রানোজ্জল থাকে। সকালে উঠে চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে মেয়ের মুখটা দেখার পর মনে হয় পৃথিবীর সব থেকে সুন্দর জিনিসটা দেখালাম বোধহয়।আর যদি আমার থাকাকালীন মেয়ে ঘুম থেকে উঠে যায় তো কথাই নেই।যতক্ষন থাকি আমার কোলে ঘুম জড়ানো চোখে মাথাটা গুঁজে থাকে। এই পাওয়াটা অনেক বড় আমার কাছে। ঠিক অমরত্ব পাওয়ার মতই। যাক এবার আসল কথায় আসি।আজকেও যথারীতি সকালে উঠে চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে মেয়ের ঘরে গিয়ে ওর মুখটা দেখে এসে চেয়ারে বসে চায়ে চুমুক দিলাম।দেখলাম “মন” একবার নক করল হাসিমুখে ।সকালের এই ঘুম থেকে ওঠা আর অফিসের জন্য বাড়ি থেকে বেরোনোর মধ্যেকার সময়টা বড় অদ্ভুদ আমার কাছে। প্রতিদিন ... ...
সকালে উঠে একটা আরশোলার সাথে দেখা -গুন্ গুন্ করে গান ভাঁজছে - মনে খুব স্ফূর্তি - হঠাৎ একটু থমকে দাঁড়ালো - সকালের আধো ঘুমে, আধো জাগরণের আমেজ - একটু আড়মোড়া ভাঙলো - চোখ দুটো দেখে মনে হলো পুরোটা খুলতে পারে না - অনেকটা টোসিস্ - রোগগ্রস্ত - এর মতো আমাকে গলা খাকারি দিয়ে উইশ করলো খাঁটি হিন্দি তে : शुभ प्रभातভব্যতা'র স্বার্থে বললুম সুপ্রভাত - আরশোলা মুখ ভেংচে উঠলো , বললো : ধ্যাৎ ! থামুন তো মশাই, আপনাদের এই মুশকিল বাংলায় কথা বলেন, বাংলায় সব ভাবেন, বাংলায় সব করেন - আবার মাঝেই মাঝেই ইংরিজিতে বুকনি মারেন, নিজেদের ভাবেন ইন্টেলেকচুয়াল - ইন্টেলেক্ট তো ... ...
ম্যাট্রিকুলেশন পাশের পর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় কলকাতার সিটি কলেজে ভর্তি হন। প্রথম দু'বছর সায়েন্স নিয়ে পড়লেও আগাগোড়া সাহিত্যের প্রতি অগাধ টান থাকায় আইএসসি থেকে বাংলা অনার্সে বিএ পাশ করেন। বাবা যদিও চেয়েছিলেন বটানি নিয়ে ছেলে পড়াশোনা করুক। ফরেস্ট অফিসার হোক। কিন্তু তা আর হওয়া হলো না। হলেন বিখ্যাত সাহিত্যিক, সম্পাদক এবং অভিনেতা। তিনি নিজেই এনসিসি করার কারণে মিলিটারির দিকে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর বাবার নিষেধের কারণে সেটা হওয়া হলো না। তাঁর বাবা বললেন, "ওই লাইফ তোমার পক্ষে ঠিক হবে না"। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এর কারণ জিজ্ঞাসা করতে, তাঁর বাবা উত্তর দেন- "আর্মিতে প্রতিটি বিষয়ে তোমার ঊর্ধ্বতনকে স্যালুট ঠুকতে হবে। সেটা তুমি ... ...
রাজার সঙ্গে আমার পরিচয়, ২০০৬ সালে। সে পরিচয়ে রাজনীতি একেবারেই ছিল না, ছিল পেশা সংযোগ। ২০১২ অবধিই বোধহয় আমরা একসঙ্গে একই অফিসে চাকরি করি। রাজার সঙ্গে আমার শেষ দেখা হয়েছিল বেলেঘাটার সুকান্ত মঞ্চে। সে ছিল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। মাঝেও দুয়েকবার দেখা হয়েছে, পথ চলতি মিছিলে। শেষ দেখা হবার পর, আমরা দুজন এক সিগারেটে টান দিয়েছিলাম। রাজা বলছিল, বইমেলার পুলিশ পেটাইয়ের কথা। পুলিশ পেটাইয়ের গল্প অনেক শুনেছি, নিজের অভিজ্ঞতাও একেবারে নেই, তা নয়। রাজার কাছ থেকে শোনা গল্পটা অন্যরকম লেগেছিল, তার কারণ, বইমেলায় রাজাকে যখন পুলিশ টানতে টানতে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন আমি অন্যদিকে, ছবি তুলছিলাম। সে ঘটনার নৃশংসতা আমার প্রত্যক্ষ। আর রাজা ... ...
অঙ্কা বঙ্কা শঙ্কাভক্ষক বসে বসে গেলে কাঁচালঙ্কা তক্ষক ও রক্ষক কাজে লবডঙ্কা অঙ্কা টা ছুরি মারে বঙ্কা যে ভোট কাড়ে দুহাজার একুশেতে মনে বড় শঙ্কা ! ... ...
শেষ রাতের দিকে আঁধি উঠেছিল। ক্ষুব্দ হাওয়ার বদ্ধ জানালা সার্সিগুলির উপর ধমাদ্ধম আঘাত। তারপর ফাঁক ফোঁকর ছিদ্র খুঁজে ধুলো হাওয়া ঢুকে আনন্দকুঞ্জ এপার্টমেন্টের শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরগুলির মধ্যে নিদ্রিত লোকগুলিকে জাগিয়ে তুলে দিল দিল্লীর আঁধি। নিদ্রা চোখে মানুষগুলি ছোটাছুটি করলো কিছুক্ষন এ ঘর থেকে ও ঘরে, রান্না ঘরে, বাথরুমে, এখানে ওখানে, খোলা আধখোলা জানালাগুলি বন্ধ করতে।৫নম্বর গেটের গায়ে গুলমোহর গাছগুলির ডালপালা ভেঙ্গে পড়ার সশব্দ আওয়াজ শুনেছে অনেকে। তারপরেই তো বিজলী চলে গেল। ধক ধক শব্দে বন্ধ হয়েছে এসি। ইনভারটারের জোরে কিছু সিলিং ফ্যান ঘুরে যাচ্ছে আপন মনে। বাইরে আরো কয়েক মিনিট মাতামাতি করার পর হাওয়ার শান্ত হয়েছে। মৃদু মৃদু মেঘের আওয়াজ ভেসে আসছে দূর থেকে। ... ...
দিল্লিতে বিশাল কৃষক আন্দোলনের পুরোভাগে রয়েছে পাঞ্জাবীরা, বাঙলার কৃষকদের দেখা নেই। তাহলে এবার বলতে দ্বিধা কোথায়পথ দেখাচ্ছে পাঞ্জাব।
এটা আসলেই মজার বিষয় এখনো কনফিউজড হওয়া যায়! কেন যেন তবু খুশি লাগছে না। খুশি লাগছে না। একটা জিনিস অন্য জিনিসগুলোকে ছুঁয়ে ফেলে, যেন কোন কম্পুটার ভাইরাস। কনফিউশান ভাইরাস। একটা ডাকাত বাজার করতে যাবার সময় টের পেতে পারে বাজারের কোনো দোকানে হয়তো এবার ডাকাতি হবে, যে ভালো মানুষ সে টের পাবে না। পাঁকা গোয়েন্দাও হয়তো টের পাবে কিন্তু তেমনটা কেবল হয়তো গল্পেই হয়।তাহলে জেনে লাভ কি? বুঝে লাভ কি? যখন যে অনুভব করে সেই অপরাধী। তাহলে নাম্ব হয়ে যাওয়াই ভালো। চুপচাপ টুপটাপ তব্দা - থামিয়ে দাও সব কিছু, স্টপ! ফিরে যাই একেবারে ছোটবেলায়। ... ...
কদিন হল অফিস বাসেই যাচ্ছি। অর্থে কুলাচ্ছে না। কত যোগান দেব ক্যাবের টাকা। যাক সেসব দুঃখ শুনিয়ে আর লাভ নেই। আজকে বাসে উঠে দেখলাম বেশ ফাঁকা। যদিও প্রতিদিন সকালে ফাঁকাই থাকে। কারণ, সিটের জন্য সকাল বেলা ভাইকে দৌড় করাই বাসস্ট্যান্ডে।
কর্ট ভোনেগাটের কিছু কন্সপিরেসি থিওরি উনি যে একটা কথা বলেছে নিজে নিজে একটা কবিতা লিখে ছিড়ে ফেলা - যেটা ভালো হয়েছে কিন্তু কেউ পড়েনি - নিজে নিজে জানা ভালো হয়েছে। ইমেজ রিসাইজ করতে হয় কিভাবে ? ইমেজ তো সব স্পেস নিয়ে নিলো। স্কুলে থাকতে এমন কাজ করেছিলাম - বেশির ভাগই কয়েকজনকে পড়িয়ে ছিড়েছি, কয়েকটা একদম যে পাশে ছিলো তাকে শুধু একটু দেখতে দিয়ে - ছিড়ে ফেলেছিলাম - ও বেশ হতভম্ব হয়েছিলো - তার অন্যতম কারণ যেটুক সে পড়তে পেরেছিলো সেটুক বেশ চিৎকার ছিলো - মানুষ চিৎকার দেখলেই রিয়েল মনে করে, এগুলো আসলে সত্তর আর আশির টেকনিক - সত্তর থেকে পৃথিবী কোথাও একটা বোকাবোকা গা-জোয়ারি মোনোপলি ... ...
এই গ্রীষ্মে, ইলন মাস্ক আলেপেতে ছিলো ন্যাশনাল গভর্নরস এসোসিয়েশন এর সাথে, আর তাদেরকে বলেছে যে, “এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) মানবসভ্যতার অস্তিত্বের জন্য একটা মৌলিক / গুরুত্বপূর্ণ ঝুঁকি”। কেয়ামত-এসে-পড়লো / সব-শেষ-হয়ে-গেলো নিয়ে হইচইকারীরা এধরনের সতর্কবানী দিয়ে আসছে বেশ কিছুকাল যাবত, কিন্তু অতীতে তারা কখনো এত বেশি দৃশ্যপটের দখল নিতে পারে নি। ইলন মাস্ক ঠিক বদমাইশ কম্পিউটার যেমন দ্যটার্মিনেটর সিনেমার স্কাইনেট টাইপের বদ কম্পিউটারের উত্থান নিয়ে চিন্তিত না। ... ...
ছোট বেলায় বিজয়া দশমীর আগে মা-কাকিমাদের নাড়কেলের নাড়ু, মুড়ির মোয়া, গজা ও নিমকি বানানোর তৎপরতা শুরু হয়ে যেত। পরিচিতরা ও পাড়ার ছোটরা বিজয়া দশমীর পরে এলে তাদেরকে মিস্টি মুখ করাতে হবে না? আর বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টকার্ড মা-মাসিদের জীবনের প্রায় শেষ সময় অব্দি পাঠাতে ও পেতে দেখেছি।
হেমন্তের সন্ধ্যায় টুপ করে আধার ঘনালো / মনে পরে সেইদিনগুলি
ওয়ার্ক ফ্রম হোম চলছে এখনও। সকাল বিকেল অফিসের অনলাইন মিটিং করছি। অফিস মানে মিটিং তো ছিলই, ইদানিং মিটিং মানেই অনলাইন হয়েছে। মিটিং-এর আলোচ্য বিষয়বস্তু অবশ্য কোনোদিনই আমার মাথায় ঢোকে না। অফিসে বসে মিটিং করলে মাথার ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। আর অনলাইনে ইয়ার প্লাগ বেয়ে এ কানে ঢুকে ও কান দিয়ে বেরিয়ে সার্কিট কমপ্লিট করে। একটু কান কটকট করলেও মাথাটা বেশ হালকা থাকে সারাদিন। ব্যান্ডউইড্থ না কি একটা কারণে ক্যামেরা বন্ধ থাকায় মিটিংগুলো খুব আরামের হয়। সে যাইহোক, কয়েকদিন আগে নতুন করে লকডাউন ঘোষণা হল এখানে। পরদিনের মিটিং-এ অফিসের এক গুরুজন সঠিক পরিকল্পনা, সময় আর সম্পদের সদ্ব্যবহার, খরচ কমানো, দক্ষতা বৃদ্ধি, 'ওয়ার ফুটিং'-এ ... ...
তখন সদ্য চাকরি করতে শুরু করেছি। পার্কস্ট্রিটে অফিস।অফিসের কাজে একবার বিলাসপুর যেতে হল। প্ল্যান ছকে নিলাম। সন্ধ্যে সাড়ে আটটায় ট্রেন। অফিস থেকে বেরিয়ে কোনো একটা রেষ্টুরেন্ট থেকে বিরিয়ানি প্যাক করে নেব। তারপর ট্যাক্সি ধরে সোজা হাওড়া স্টেশন। ট্রেন ছাড়লে আরামসে খেয়ে দেয়ে কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুম দেব। তখনও সংসারী হই নি, ভাড়ার বাসায় নিজেই ভাত ফুটিয়ে খেতাম। বিছানার চাদর মাসে একবার কাচা হত কিনা সন্দেহ। তাই অফিসের কাজে এদিক ওদিক যাওয়া মানে আমার কাছে রাজার হালে থাকা। সুতরাং রাজকীয় প্ল্যান এ কোনো ফাঁক রাখিনি।কিন্তু ওপরওয়ালা জল ঢেলে দিলেন আমার নিখুঁত প্ল্যানে, আক্ষরিক অর্থেই। বিকেল হতেই শুরু হল ঝড়বৃষ্টি। ... ...