জ্বর হলেই বুঝতে পারতাম ও আছে।প্রথমে ছিলো তীব্র আতঙ্ক, তারপর আধিভৌতিক আশা-নিরাশার ঘোর, তারপর আশাভঙ্গের বেদনাজাত অসাড়তা, তারপর একটা ভীতি, যেমন প্রকট শীতের সন্ধ্যায় পৃথিবীর আশপাশ সঘন বাহুতে আঁকড়ে ধরে সফেদ কুয়াশা, তেমন, তারপর হতাশা, জোরালো থেকে ক্রমান্বয়ে ক্ষীণ, তারপর মলিন বিষাদ, মানিয়ে না নিয়ে উপায় নেই বলে মানিয়ে নেয়া তারপর, তারপর একত্রবাসের অভ্যস্ততা।আমি এখন অভ্যস্ত ওর সাথে বসবাসে।ওকে ধারন করি, ও আছে। ওকে অনুভব করি, ও আছে। ওকে লালন করি, ও আছে। ওকে এখন ভালোই হয়তো বাসি, ও আছে।পর পর কয়েকদিন জ্বর না হলে এখন বরং ওকে নিয়ে দুশ্চিন্তা বোধ করি, ওর উপস্থিতি-অনুপস্থিতির মধ্যবর্তী দোদুল্যমানতায় কাতর বোধ করি, অনুভূতির ... ...
চীন আর ব্রিটেনের মধ্যে ১৮৩৯ থেকে ১৮৪২ সাল পর্যন্ত সংঘটিত হয়েছিল প্রথম আফিম যুদ্ধ বা ফার্স্ট ওপিয়াম ওয়ার। সপ্তদশ-অষ্টাদশ শতাব্দীতে চীন ছিল কৃষিপ্রধান স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। ফলে আমদানিতে তাদের ছিল প্রবল অনাগ্রহ।.তারা শুধু সোনা, রুপা আর আফিম আমদানি করত। সে সময় আফিম যে মাদক হিসেবে ব্যবহার করা যায়, তা জানত না চীনারা। তারা আফিম ব্যবহার করত ছোটখাটো রোগের চিকিৎসার ওষুধ হিসেব। এই আফিম আসত মূলত মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে।.এদিকে ব্রিটিশ বণিকদের কাছে চীনের চা, সিল্ক এবং চিনামাটির বাসন অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা ছিল। কিন্তু চীনারা কেবল রৌপ্যের বিনিময়ে তাদের পণ্য বিক্রি করত। ফলে ব্রিটেনের প্রচুর রুপা চীনের কাছে চলে যায়।.এটা বন্ধ করার ... ...
আমার শহরের শেষ দেবদূত মানুষটি চলে গেলেন। শহরটি একেবারে নি:শ্ব হয়ে গেল। মনে রাখার মতো আর কেউ থাকল না। তিনি ময়েনউদ্দিন স্যার। আমার হাই স্কুলের বিজ্ঞান শিক্ষক। ক্লাশে ঢুকেই বলতেন, এক চাইতে ১০ নম্বর অংকগুলো করো। অথবা চোখের সঙ্গে ক্যামেরার ছবিসহযোগে তুলনা করো। তারপর তিনি বসতেন চেয়ারে। সামনে টেবিল। বসে বসে নিমিশে তিনি ডুব দিতেন অন্য কোনো জগতে। কখনো তিনি মিটি মিটি হাসছেন। কখনো গম্ভীর হচ্ছেন। কখনোবা গভীর বিষাদ তার মুখে ছড়িয়ে পড়ছে। আমরা ১ চাইতে ১০ নম্বর অঙ্ক করতে করতে, চোখের সঙ্গে ক্যামেরার তুলনা আঁকতে আঁকতে সেই মুখের নানা ভঙ্গিমায় এসে থেমে যেতাম। আমার পাশ থেকে আলী কদর খান কনক বলে উঠত, ... ...
পরম আকাঙ্খিত।ছুঁতে চাও তাকে?শীতল হও,শীতল হও।আগুন ছুঁতে হলে।ধরো, তোমার শরীর জুড়ে ডুবে যায়আপতিক সংরাগে রামধনুর অনুকম্পা;হয়তো প্রস্তরীভূত তোমার দুহাতেঅবনমিত ক্ষয়,মসৃণ আবেশে সিক্ত।যদি কিছু স্বীকারোক্তির দায়নেমে আসে তোমার দু'চোখ ধরে ?যার তুলির টানেউঠে এসেছিল প্রত্যেক পেশীতন্তু ;এক এক করে,তার প্রত্যেক অস্থি-র বঙ্কিমতায়তোমার স্তিমিত অক্ষর সাধনা;আজন্মলালিত।শীতঘুম থেকে কবি উঠে আসে।শূন্য চিত্রপটে বিতাড়িত রক্তাভ অনুভব,তমোময় রক্তের আস্বাদ।অমৃতসমা।শিল্পীর আয়ুধে ইতিহাস লেখেনিসূক্ষ্মতর বিভাজন।কল্পিত শ্রাবণ।কোন জলে ধুয়ে যায় নিঃশব্দ অধিকার?সেই জলে নামো তুমি, প্রিয়তমা।অক্ষত আকল্প জুড়ে জুড়েএক শরীর জন্ম নিক।যে চিত্রকল্প জুড়ে প্রেয়সীর নগ্নতা,তাই হোক তবে আজ : উদ্বায়ী।আগুন ছুঁতে চাও?দগ্ধ হও,দগ্ধ হও।শীতলস্পর্শী হলে।প্রেয়সীর পরিবর্তিত অভিমুখেরস্থানান্তরিত প্রেক্ষাপট, দাঁড়িয়েছিলে কি তুমি?তোমার আরব্ধ দু'চোখ, ভেসে আসেপ্রেয়সীর বাহুডোর।শ্রাবণের শেষ ... ...
তিরিশের দশকে স্টালিন সোভিয়েত ইউনিয়নকে আমূল বদলে দিয়েছিলেন, তেমনই একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখতেন কম্যুনিস্ট পার্টির চেয়ারম্যান মাও। তারই সূত্র ধরে চীনে শুরু হয় ‘গ্রেট লিপ ফরোয়ার্ড’ নামের এক বিরাট আন্দোলন। যার শুরু মাওয়ের পরিকল্পনা মাফিক হলেও পরিণতি ছিল তার নাগালের বাইরে।.মাও বিশ্বাস করতেন চীনের বিপুল জনশক্তিকে ঢেলে সাজিয়ে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে এবং যৌথ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করানো গেলে দেশের অর্থনৈতিক মুক্তি সম্ভব। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পর বাড়তি ফসল থেকে যে বিপুল আয় হবে, তা থেকেই শুরু হবে দেশের শিল্প বিপ্লব।.যার ফলাফল হিসেবে চীনজুড়ে স্থাপিত হবে প্রচুর কলকারখানা এবং লৌহ প্রস্তুত শিল্প। দেং জিয়াও পিং, ঝৌ এন লাই থেকে শুরু করে পার্টির ... ...
একটা ছবি দেখেই আপনি মহাকাশকে ভালোবেসে ফেললেন, অথচ আপনার একটা পৃথিবী ছিলোএকটা গৃহকোণ ছিলোএকটা বিড়ালএকটা ফিসবৌলে একটা হিরণ্ময় গোল্ডফিসএকটা শেফালি গাছ, হেমন্তরাতে যে গাছটা আপনার জন্য ফুল ফোটাতো এবং ভোরে শিশিরসিক্ত ফুলগুলো সব ঝরিয়ে দিতো অগুন্তি তারার মতো আপনার পায়ের কাছে। প্রিয় মানুষ, আপনি মাথা ঝুঁকিয়ে মাটিতে তাকালেই দেখতে পেতেন মহাকাশে ছড়িয়ে থাকা তারার চেয়ে সুন্দর এবং সুগন্ধমাখা অপরূপ সৌন্দর্যের নান্দনিক পশরাপ্রিয় মানুষ, নিঃশব্দে নীরবে আপনাকে ভালোবাসতো একজন নারী, আপনি সেটা জানলেন না, তার চোখে চোখ রাখলেন না, পড়ে দেখলেন না তার অব্যক্ত অনুভূতিতে লুকিয়ে থাকা অক্ষরগুলো, অথচ একটা ছবি দেখেই আপনি মহাকাশকে ভালোবেসে ফেললেনএ-ই হয় বুঝলেন, আপন হতে পারার ... ...
ঘুম আসছে না …ঝিমুনি এসে ফিরে গেল,স্বপ্নের ভাড়ারে টান পড়েছে।কেন এত অভাব?সব্বাই যে লুঠে নিচ্ছে। -- না না, ভাগ বাটোয়ারা হবে না। আমি একাই স্বপ্ন দেখবো।আমি ওকে কিনে নিয়েছি যে…পিছনে কাটি দিতে কেউ ছাড়ে না,-- স্বপ্ন কে কি কেনা যায়?আমিও কম যাই না। একগাল শুনিয়ে দিয়েছি, পাশের বাড়ির হনুকর্তাকে,-- আপনি আপনার মতন কথা বলেন। স্বপ্ন কে যদি নাই বা কেনা যায় তাহলে জমি কি করে কেনেন? বউ কি করে পোষেন?-- আগের দুটো কি এক হল? আর বউ পুষি মানে?-- কেন নয়? বউ তো আপনার একার? তাই না ? আর বাকী পড়ে রইল স্বপ্ন আর বাড়ি? ওই দুটি আসলে একটা মাটি ... ...
যে রাতের কাছে তুমি দৃষ্টি রেখে এলেসে অতল চেনে দূর থেকে দূরতর, তারও বেশী দূর।বিলম্বিতসুদূর অতীত থেকে প্রতিপদে আশাফিরে যায় অতন্দ্র প্রহরীর হাত ধরে।আরও কিছুদিন, বাকী আছে, বাকী আছেআমার কাছে ; একসাথে জড়ো করি,হৃদয়ের পাদদেশে।করতলব্যাপী হয়ে শূন্যতা বিস্তারী।অনর্গল পূর্ণতায় গতি রুদ্ধ করেআমার দুহাত জুড়ে তোমার মুখচ্ছবি।শুধু তোমায় সাথে নিয়ে এ উজানি দেহ বাওয়া,মুখোমুখি হতে হবে জেনেছিন্ন মূল হয়ে,দীঘল বাতাসে ভেসে আসাবালুময় মুঠো থেকে তিতিক্ষা সয়ে যায়।শুধু যে সময় ঝরে গেলধুসূর বালি।ধু-ধু করা গহীন আঘাতএক পশলা বৃষ্টি দিনেআজ হঠাৎ জীবন নামে ঝরে। As high as the nightfar from your eyeslatelike an ancient guard of hopeI gather the days remaining to meand I ... ...
সুরেন্দ্রনাথ কলেজের সামনে রাস্তা পার করে যখন ট্যাক্সিতে উঠলাম, তখন সন্ধে ৮টা ১০-১৫ হবে। শহুরে, গৃহমুখী, নিত্যযাত্রীর তুল্য তিক্ত ব্যক্তিত্ব অন্যত্র, অন্য সময় দুর্লভ। গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকার সময় সামনেই দুজনের মধ্যে তীব্র তক্কাতক্কি, অল্প ধাক্কাধাক্কি - এসব হয়ে গেল। আজকাল কলকাতায় গাড়ি বুক করাও স্ট্রেসফুল - কেউ ডেস্টিনেশন শুনে 'আসছি' বলে ক্যান্সেল করে, তো কেউ মিষ্টি করে 'কোথায় যাবেন' জিজ্ঞেস করেই বলে 'অফলাইন' করে দেওয়ার কথা। পা খোঁড়া, অতএব গাড়ি বিনে গতিও নেই আপাতত। সব মিলিয়ে, মেজাজের পারা সামান্য গম্ভীরের দিকেই ঢলে ছিল। ফোন এল এক পোস্টডক-রত জুনিয়র বন্ধুর। কথা সেরে কিন্ডল খুলেছি সবে, সামনের সিট থেকে ড্রাইভারের প্রশ্ন, "আপনি কি ... ...
‘আমার সারা জীবনে এভাবে পুরো দেশকে একজন ব্যর্থ নেতাকে হটানোর একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এক হতে দেখিনি। সরকারি বাসভবনের করুণ পরিণতিই আপনার ভবিষ্যৎ বলে দিচ্ছে। শান্তিপূর্ণ পথে বিদায় হোন। গোতা আজই চলে যান।’‘আমি সব সময় শ্রীলঙ্কার মানুষের সঙ্গে আছি। তাদের এ বিজয় উৎযাপন করব শিগগিরই। কোনো নিয়ম লঙ্ঘন না করে এই বিক্ষোভ অব্যাহত থাকুক। অবরোধ শেষ হয়েছে। দুর্গের পতন হয়েছে। মানুষের ক্ষমতার জয় হয়েছে। এখনই পদত্যাগ করে সম্মানজনকভাবে বিদায় নিন।’ -শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সনৎ জয়সুরিয়া।কলম্বোতে গণ অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি রাজাপাকসে আগামী ১৪ জুলাই আনুষ্ঠানিক ভাবে পদত্যাগ করবে। হাজার হাজার পুরুষ, মহিলা এবং শিশু প্রভাবশালী রাষ্ট্রীয় ... ...
২২ জুনের ঘটনাটি যখন ঘটছে। ভিডিওতে দেখুন। সুধী, অসম ভাষা আইনে পরিষ্কার এই কথা লেখা আছে... ‘Without prejudice to the provisions of article 346 and 347 of the constitution of India and subject as here in after provided. Assamese shall be used for all or any of the official purpose of the state of Assam’ ১৯৬১ তে ভাষা আইনের সংশোধনীতে কাছাড় জেলাতে বাংলাকে সরকারি ভাষা হিসেবে মেনে নেওয়া হয়েছে। অসমিয়া যারা জানেন না, তারা ইংরাজি ব্যবহার করতে পারবেন—সেই অনুমতিও রয়েছে আইনে। সংবিধানের ৩৪৬ নং অনুচ্ছেদেই ইংরাজিকে আবশ্যিকভাবে রাখার কথা রয়েছে। আরও কিছু কিছু ছাড় দেওয়া রয়েছে। এর মধ্যে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকাতেও ... ...
ভূবনদা, সিস্টেম থেকে নোটিফিকেশন এসেছে, তুমি একটি লুজার আমিও বড় বেশি তোমার মতআমার আশু সতর্ক হওয়া দরকার ।আমি কেটে উড়িয়ে দিতে পারিনিবসে বসে ভেবেছি, ভেবে ভেবে মন খারাপ করেছিলাভ কিছু হয়নি ;আবার নোটিফিকেশন এসে চলেছে ।একটা সময়ের পর আমিও তুমি হয়ে যাব তোমার মত ব্যর্থ হয়ে যাব.. এইসব ঠারেঠোরে লেখা | তবু দেখ , আমার করার কিছু নেই,একেবারেই কিছু .. নেই ।তবু দেখ ভূবনদা ,তোমাকে এইসব জানানোর উপায় নেই । ... ...
শুনলে মন খারাপ করবেতাই বলিনি।ভেবেছি বুঝে নিবেচেয়েওছিলাম তেমনই। নিজেও বুঝিনিকবে যে নিঃশেষ হয়ে গেলাম একটুখানি ছায়া বাকিএই সরলো বলে।
ভারতীয় ক্রিকেটের প্রবাদপুরুষ। আমার সারা জীবনের হিরো।নিজের সময়ের সমস্ত বোলার কে ওয়েস্ট ইন্ডিজ :-ম্যালকম মার্শাল, আন্ডি রবার্টস, মাইকেল হোল্ডিং,জোয়েল গার্ণার,হোল্ডার,ইংল্যান্ড : স্যার ইয়ান বথাম, জন স্নো, ডেরেক আন্ডারউড নিউজিল্যান্ড:- স্যার রিচার্ড হ্যাডলিপাকিস্তান:- ইমরান খান, সফররাজনওয়াজ, আবদুল কাদিরঅষ্ট্রেলিয়া থমসম, ম্যাসিঅপরিসীম উদ্ধত্যের সাথে খেলেছেন ( লিলি কে বাদ দিয়ে). যাকে দেখে মনে হত ফার্স্ট বোলিং খেলা কত সহজ। আর সেটা বছরের পর বছর করে দেখিয়েছেন অনায়াসে আর হেলমেট ছাড়া। একদম শেষের দিকে স্ক্যাল ক্যাপ ব্যবহার করেছিলেন।একবার সাংবাদিক রা ওনাকে জিজ্ঞেস করেছিল "হেলমেট ছাড়া খেলতে ভয় লাগে না?" উত্তরে উনি বলেছিলেন " প্রথমেই যদি ধরে নি বোলার আমার মাথায় বল লাগাতে পারবে। আমি তো সেখানেই ... ...
গুনে গুনে আমার একটি হাতের সমস্ত আংগুলেরকুড়িটি রেখা নিঃশেষ হয়ে এলো।একুশ গুনতে এবার দ্বিতীয় হাতের দিকে তাকাই,দ্বিতীয় হাতের সব রেখা শেষ হলে,আমাদের বিচ্ছেদের বছর গুনে রাখবো কোথায়?আমার তো তৃতীয় হাত নেই,আরেকটি হাত কোথায় পাই?