অনেক বুড়ো হয়ে গিয়ে যখন নিজের অতীত নিয়ে স্মৃতিচারণ করবো তখন সবচে বেশি মনে পড়বে বোধহয় এই জায়গাটার কথা। জীবনের অনেকটুকু অংশজুড়ে মিশে আছে এই স্থানটুকু। যখন কেউ বাংলাদেশের সবচে সুন্দর জায়গাটির কথা জানতে চাইবে, প্রথমেই আমার এই জায়গাটি আমার চোখের সামনে ভেসে উঠবে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই যখন ইমতিয়াজ ফোন দেয়, চল বের হই। তখন আর বুঝতে দেরি হয়না কোথায় যেতে হবে। এটা নিয়ে অনেকবার কিছুটা বাকবিতন্ডা হয়েছিলো। ওকে বললাম নতুন একটা জায়গা খুঁজ না, এখানে আর কতো। ওর উত্তর ছিলো, 'নেই,কোনো পরিচ্ছন্ন-কোলাহলমুক্ত জায়গা আর নাই,এটাই শেষ। গত আঠারো বছর ধরে খুজে এই একটাই মনমতো জায়গা পেয়েছি।আগে ফখরুদ্দিন রোড ... ...
অনেক বিশ্বাসের ভিড় যখন শ্বাসরোধ করেগ্ৰামছাড়া করে, দেশছাড়া করে, আগুন জ্বালায়তখন বৃক্ষের দল অসীম ধৈর্যের সাথে হাল ধরেআশ্রয় দিয়ে, ছায়া দিয়ে, অগাধ বিশ্বাসে বাঁচায়। গড়ে তোলে চিরন্তন ভালোবাসার বনানীসেথায় অসহায়, ছিন্নমূল নিশ্চিন্তে ঘুমায়;অতন্দ্র প্রহরায় থাকে রাতের সেনানী আলোর করুণা ধারা তারায় তারায়! এদেশের সিসিলি দ্বীপ প্রান্তিক সুটিয়াপুরনো গল্প: দোষ তোর বাবার, নয় তোর!টাকা টাকা টাকা, মাটি আর মাফিয়াসন্ত্রাস চলে দিনভর; ধর্ষন চলে রাতভোর! এই অমানিশায় উদিত হলো আর এক সূর্যআর এক আলোর দিশারী, আর এক প্রত্যয়।মানুষের এক হওয়া এসময়ে অপরিহার্যবহু বিশ্বাসের ভীড়ে বরুণ বিশ্বাস, অকুতোভয়! বৃক্ষের মত নাড়িয়ে ছিল পাপের ভিত শিকড়ের জোরে -মানুষের জোরে, বিশ্বাসের জোরে; পিছু হটে ছিল তারাযদিও কুড়ুল গাছ কেটে ফেলে যখনই ঘা ... ...
পাতা ৬২ : প্রতিদিন বিছানায় শরীরটা রাখলেই, অনিলবাবুকে গান শোনাতে মরিয়া হয়ে ওঠে সে। বার বার দেয় চুম্বন হাতে, গলায়, কপালে, এমনকি পায়েও। ছাড়ে না দেহের কোনো অংশ। দেহের যে অংশ উন্মুক্ত, সেখানেই চুম্বন। মাঝে মাঝে রক্ত বের করে দেয়। প্রতিরাতে খাওয়ার পর অনিলবাবুর নেশা একটু টিভি দেখার। টিভি দেখতে দেখতে যতই হাত দিয়ে তাকে সরাবার চেষ্টা করেন, ঠিক সময় সুযোগ বুঝে আবার বসায় তার ভালোবাসার দংশন। শান্তিদেবী এই এলেন বলে। বাইরের চোকরি’তে এঁটো বাসনপত্রের নামানোর আওয়াজ পেয়েছেন। নার্ভের ওষুধটা খেয়ে এবার ঘরে ঢুকবেন। শান্তিদেবীর আসার আগেই যা করার করতে হবে অনিলবাবুকে। ওনার কানে গানের গুনগুন আওয়াজ গেলেই তাকাবেন অনিলবাবুর ... ...
“কলম্বাস আমেরিকা আবিষ্কার করেছিলেন” এটা বলার চেয়ে কলম্বাস আমেরিকাকে পশ্চিম ইউরোপের সাথে পরিচিত করিয়ে দিয়েছিলেন” বলাটাই আরও বেশি যুক্তিযুক্ত।.কারণ ১৪৯২ থেকে ১৫০২ সাল পর্যন্ত তার বিখ্যাত চারটি অভিযানের পথ ধরেই কানাডার উত্তর প্রান্ত থেকে চিলির দক্ষিণ প্রান্ত পর্যন্ত সব জায়গাতেই নিজেদের উপনিবেশ স্থাপন করেছে স্প্যানিশ-পর্তুগিজ-ডাচ-ব্রিটিশ-ফ্রেঞ্চরা।.জেনোয়ার এই অনুসন্ধানকারীর অনেক আগেই যে মানুষ আমেরিকায় পা রেখেছিল তা এখন সর্বজনবিদিত। কিন্তু মূল প্রশ্নটি থেকেই যায়, “আমেরিকার প্রথম আবিষ্কারক কে বা কারা” ? এব্যপারে বেশ কয়েকটি ঐতিহাসিক দাবী রয়েছে।.পলিনেশিয়ান --পলিনেশিয়ানরা আমেরিকায় সত্যিই পা দিয়েছিল কিনা তার একেবারে নিখুঁত প্রমাণ না মিললেও আমেরিকায় যে তাদের নিয়ে আসা অনেক কিছুর প্রমাণ মিলেছে তা বলাই বাহুল্য। যেমন ... ...
ঘোড়া বেচবে ঘোড়া? তাগড়া, বেতো, খোঁড়া? যেমনই হোক, কম হচ্ছে, মাত্র কয়েক জোড়া। চিঁহিঁ ডাকে কিস্তি দিয়ে করবে রাজা কাত - আস্থা-বলে ফিরবে বলে কিনছে দিনরাত।
অনেক উঁচু রাজপ্রাসাদের জানালা পাহারা দিচ্ছে দৈত্যাকৃতির মেঘের দল। রাজকন্যা বন্দিনী কঠিন নিয়মের নিগড়ে।রাজ্যের বাতাস নীরব নিশ্চল।বহুপথ পার হয়ে হতদরিদ্র রাজপুত্র এসে দাঁড়াল প্রাসাদের নিচে। রাজকন্যাকে দেবার জন্য নিজের হৃদয় নিয়ে এসেছে সে।কিন্তু রাজকন্যার কুচবরণ দীঘল কেশ সিন্দুকে তুলে রেখে দিয়েছেন অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ রাজা। কেশের জাদুকরী কৌশলে যাতে রাজকন্যার কাছে পৌঁছাতে না পারে হতদরিদ্র রাজপুত্র।রাজপুত্রের কাছে ছিল অচিন বৃক্ষের বীজ। দ্রুত সে বৃক্ষবীজ রোপন করল মাটিতে। কিন্তু জল চাই যে বৃক্ষবীজের অঙ্কুরোদ্গমের জন্য, বেড়ে ওঠার জন্য চাই আকাশস্পর্শী স্পর্ধা।বৃক্ষ বাড়তে বাড়তে প্রাসাদের উঁচু জানালা স্পর্শ করলে তবেই রাজকন্যা খুঁজে পাবে মুক্তির পথ! কিন্তু এ কেমন রাজ্য!কাছাকছি জল নেই যে! নদী নেই, নেই কোনো সরোবর, সমুদ্র!জল ছাড়া ... ...
ফ্রান্স ১৮৩০ সালে কিছু ভুয়া ঔপনিবেশিক কারণ দেখিয়ে আলজেরিয়া আক্রমণ করে আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে বড় দেশটি দখল করে নেয়।.এভাবে আলজেরিয়াতে ফ্রান্সের প্রায় শতাব্দীকাল ব্যাপী শোষণ শুরু হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আলজেরিয়াতে স্বাধীনতা আন্দোলন দানা বেঁধে ওঠে এবং প্রায় 10 বছর ব্যাপী গেরিলাযুদ্ধ ও 10 লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে 1962 সালে আলজেরিয়া স্বাধীন হয়।.এই স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী অনেক গেরিলা যোদ্ধার মরদেহ পরে খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনেকের মরদেহ ফ্রান্স চালাকি করে আলজিরিয়া থেকে নিজেদের দেশে ট্রফি হিসেবে নিয়ে যায়।.এইরকম নিখোঁজ হওয়া প্রায় চব্বিশটি মরদেহের খুলি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট শেষ পর্যন্ত আলজেরিয়ায় ফেরত পাঠাচ্ছেন।.এই উদাহরণ থেকে অনুমান করা যায় আলজেরিয়ার স্বাধীনতাকামীদের প্রতি ফ্রান্সের আচরণ কেমন ... ...
কথায় বলে ভগবান যখন সৃষ্টি করছিলেন তখন সব কিছু জোড়ায় জোড়ায় তৈরী করেন। এমনকি আত্মাও। কাজেই প্রতিটি মানুষ অসম্পূর্ণ। এবং এ ওকে খুঁজে বেড়ায়। অর্থাৎ কিনা সোল্মেটকে। তারপর রানাঘাটের বল্টু যেই মছলন্দপুরের শাল্মলীর দেখা পায়, অমনি একটা ছোট্ট লাফ মারে, আর বলে এই তো পেইচি, আমার হৃদয়ভাঙা টুকরোখানি। এ তো ছিল গোড়ার কথা, তাপ্পর ভগবান বোর হয়ে গেলেন। আর কে না জানে ভগবান বোর হলে কি কি না হয়। তাই বন্ধুর মধ্যে, সন্তানের মধ্যে, বাপমায়ের মধ্যে আত্মার টুকরো ছড়াতে থাকেন। ফলত প্রত্যেকের ভাগে নিজের আত্মার ওজন কমে যায়। আর তার সাথে কনফিউশন তৈরী হয়। আমি খারাপ কাজ করলে দোষটা কার? ... ...
মিঠাই সুন্দরী – ঝর্না বিশ্বাসপাড়ার মিষ্টির দোকানে সেদিন এক আজব কান্ড ...মিষ্টিগুলো নিজেদের মধ্যে হাই হ্যালো করছে...শুরুটা জিলিপি দিয়েই...হ্যোয়াটস্ আপ দোস্তো...গুড মর্নিং...অবাঙালি হাতে ঘুরতে ঘুরতে ওর আস্কারাটা প্রচন্ড...তাই হিন্দি - ইংরেজি এক জগাখিচুড়ি ভাষা ওর বলনে ও চলনেও...এতে রসগোল্লা অল্প হাই তুলে ডোবা রসের মধ্যে থেকে মাথা বের করে... কিছুটা রাগে পাশে শোয়া ওর ছোটভাইটা কনুইয়ের ধাক্কা দেয়। বলে,দিদি শুয়ে পড়...বেলা এখনও হয়নি...ওদের পাশের ট্রে-তে কালোজাম...স্কিন কালারের জন্য নিজেই একপ্রকার সকলের থেকে গুটিয়ে...তাও জিলিপির হ্যালোকে তুচ্ছ করতে পারেনা...তাই রাশভারী গলায় বলে ওঠেশুভ সকাল বন্ধু...জিলিপি এতে হাত নাড়ালে রাবরীর মুখ ভার হয়...ও ভীষণ পজেজিভ, জিলিপিকে নিয়ে...ওর মনে হয়, জিলিপি শুধু ওর ... ...
আমি কে? কি আমার নাম ?কি হবে তা জেনে? আমি নিজেই ভুলে গেছিআমার পুরোনো পরিচয়পরিচয় এখন ওই একটাইযা লেপটে আছে বিছানায়বারবার কাপড় খুলতে খুলতেলজ্জাই ভয়ে সেঁদিয়ে গেছেশুতে হয়েছে তোমাদের মত বহু ক্রেতা পুরুষের সঙ্গেঅভ্যাসের দাসী হয়ে শুইতোমাদের সুখ দেওয়ার জন্যেইকাজ সেরে যাবার বেলায়আমার পারিশ্রমিক যা পাইতা গুঁজে দাও আমার বুকেদলা মাংসপিণ্ডের বাড়তি সুখ পেতেওটা তোমার প্রাপ্যই যেন ফাউযার বিনিময়ে দুমুঠো পেটে দিয়েবাকীটা সাজাতে হয় নিজেকে আমায় পরের খরিদ্দারের আকর্ষণের জন্যদাঁড়িয়ে থাকি মেনকা উর্বশী হয়েআমার শরীর অনেকটাই উন্মোচিত করেযা খুঁজতে থাকো তোমারা চোখ দিয়েআমি থাকি তোমাদের কাজ শেষের অপেক্ষায়!আমার পরিচয় বর্তমান আমিইপ্রদীপ দে ~ ... ...
গরম দুধে জিভ পুড়েছিলো ফুঁ দিয়ে খাও দই, পাতা নড়লে গাছ কেটে ফেলো মুখেতে ফুটছে খই। 'যে কহে অধিক সে কহে মিছে ' নিত্য পাই প্রমাণ, দংশনে বুঝি বিষাক্ত বিছে ওষ্ঠাগত যে প্রাণ!
"সাক্ষাৎ"
বিচিত্র সংবাদ : পড়ছি বরুন মজুমদার বেশ অনেক বছর আগে আকাশবাণী কলকাতায় পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত বিখ্যাত সাংবাদিক বরুন মজুমদার মহাশয় প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় সংবাদের আগে বিচিত্র সংবাদ পরিবেশন করতেন। অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল এই অনুষ্ঠান। বেশ লাগত সংবাদগুলি, বিশেষ করে বরুনবাবুর খবর পরিবেশনের গুণে। তারপর তো অনেক দিন হলো আকাশবাণীর অনুষ্ঠান আর শোনা হয় না। বরুনবাবুও আকাশবাণী থেকে অবসরের পর প্রয়াত হন ২০১১ সালে। সম্ভবত ঐ বিচিত্র সংবাদ আজকের এই ইন্টারনেট যুগে আর পরিবেশন করার প্রয়োজন হয় না। চারিদিকে কিছু ঘটলেই একেবারে বিদ্যুৎ গতিতে খবর হয়ে যায়। আর ব্যতিক্রমী কিছু হলে তো কথাই নেই। 'ভাইরাল' হওয়া নিমেষের ব্যাপার। সে বাদামকাকুর কাচাবাদাম গানই হোক অথবা পুষ্পা সিনেমার লেংচে লেংচে নাচই হোক। ... ...
পুলু কাকিমা দুপুরে ভাত খেয়ে সবে গোপাল জর্দা দেওয়া পানটা মুখে পুরেছে, ওমনি মেনি কোত্থেকে এসে বসল নিঃশব্দে। হাওয়ার সাথে মিশে আসে ও। মুখটা বেঁকিয়ে বলল ম্যাগো, কি জোলো দুধ, ছ্যা ছ্যা, মুখটা তেতো হয়ে গেল। দত্ত গিন্নীর গলায় দেখে এলাম একটা মটর হার, নিজের গলায় মটর হার আর এদিকে আধবাটি দুধ দেয় অর্ধেক জল মিশিয়ে। এই কথাটাই পুলু কাকিমার কানে লাগল খট্ করে। আফসোসের গলায় বলল তোকে কত বার বারণ ... ...
ডেমি মুর (স্ত্রী) , উডি হারেলসন (স্বামী) ও রবার্ট রেডফোর্ড (কোটিপতি) অভিনীত একটা বিখ্যাত হলিউডি মুভি ছিল "ইনডিসেন্ট প্রপোজাল" (১৯৯৩) নামে। ডেমি ও উডি পরস্পরকে হাই স্কুল থেকে গভীর ভাবে ভালবাসে। পড়াশোনা শেষে তাদের গভীর ভালোবাসাকে সামাজিক বন্ধনে বেঁধে নেয়।.উডি পেশায় আর্কিটেক্ট। আর দশটা শহরের মতো নবদম্পতির জীবন শুরু হয় আর্থিক সংকটের ভেতর দিয়ে। স্বামীকে সাহায্য করার জন্য ডেমি রিয়েল এস্টেট ব্রোকারের কাজ শুরু করে। এই কাজ করতে গিয়ে ডেমি প্যাসিফিক কোষ্টের সান্তা মনিকা বিচে নিজেদের স্বপ্নের বাড়ি তৈরি করার একটা চমৎকার প্লট খুঁজে পায়।.তাদের যৌথ স্বপ্নকে প্রতিষ্ঠিত করতে দুজনেই উদয়াস্ত পরিশ্রম করতে থাকে। এমন সময় অর্থনৈতিক মন্দা এসে এই ... ...
রথযাত্রা লোকারণ্য মহা ধুমধাম ভক্তেরা লুটায়ে পথে করিছে প্রণাম, পথ ভাবে আমি দেব, রথ ভাবে আমি, মূর্তি ভাবে আমি দেব, হাসেন অন্তর্যামী।।---রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।। এই যে আমাদের উপলক্ষ্যকে জাপটে ধরে লক্ষ্যভ্রষ্ট হবার স্বভাব, এ নতুন কিছু নয়। আমরা ধর্মকে আঁকড়ে ধরি অন্ধের মতো, কিন্তু একটু যদি চক্ষুষ্মানের মতো ধরতে পারতাম তাহলে হয়তো অনেক মুক্ত চিন্তা দিয়ে বুঝতে পারতাম প্রতিটি লৌকিক উৎসব বা আচরণের প্রকৃত ও অন্তর্নিহিত উদ্ভব জনিত ব্যাখ্যা ... ...
কিছু একটা লিখবো ভেবেছিলাম। কিন্তু কী লিখবো সেটা ঠিক করিনি আগে থেকে। কলমটা ছিলো আহত, ক্ষত বিক্ষত, রক্তাক্ত, বাইরে থেকে দেখে বোঝার কোনো উপায় ছিলো না, কলমের অভ্যন্তরে উড়ছিলো একটা "চোখ গেলো'' পাখি, তীব্র বিষাদ ছিলো তার বিহ্বল ঠোঁটে, পালকের ভাঁজে ছিলো নিরব বেদনা। তবু ভেবেছিলাম কিছু একটা লিখবো। কী লিখবো! পৃথিবীর যাবতীয় লেখা অক্ষরাবদ্ধ হয়ে গেছে আগেই, হয়ে গেছে সমস্ত অনুভূতি-সূক্ষ্মানুভূতির তর্জমা, অনুদিত হয়ে গেছে সকল প্রকার মানবিক-অতিমানবিক বোধের আদ্যোপ্রান্ত, অপ্রকাশ্য বলতে কিছুই আর অবশিষ্ট নেই কোথাও।তবু ভেবেছিলাম কিছু একটা লিখবো, লিখবো প্রেম, যে প্রেম মানুষের বিশুদ্ধতম অনুভূতিসমূহের অন্যতম, যে প্রেম পুনরাবর্তনে বিশ্বাসী, যে প্রেম সর্বোত্কৃষ্ট হিসেবে বিবেচিত সংসারে, যে প্রেমের ... ...