দ্যা ওল্ড ম্যান এন্ড দ্যা সি প্রখ্যাত মার্কিন লেখক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে কর্তৃক ১৯৫১ সালে কিউবায় অবস্থাকালীন সময়ে লিখিত এবং ১৯৫২ সালে প্রকাশিত উপন্যাস। এটা তার সেরা লেখাগুলোর একটি। উপন্যাসের প্রধান কাহিনী বর্ণিত হয়েছে উপসাগরীয় স্রোতে বিশাল এক মারলিন মাছের সাথে সান্তিয়াগোর এক বৃদ্ধ জেলের সংগ্রামের কাহিনী।.১৯৫৩ সালে দ্যা ওল্ড ম্যান এন্ড দ্যা সি সাহিত্যে পুলিৎজার পুরস্কার এবং ১৯৫৪ সালে নোবেল লাভ করে। অনেকে বলেছেন বুড়ো জেলে সান্তিয়াগো এই গল্পের নায়ক। অনেকে বলেছেন সমুদ্রই এই গল্পের নায়ক। এই সমুদ্র সম্ভবত সকল প্রাণীর শিক্ষক। বুড়ো সান্তিয়াগো তার ছাত্র। সে সমুদ্রকে বলে দয়ালু। যেমন স্পেনের লোকেরা ভালোবেসে বলে।.যারা সমুদ্রকে ভালবাসে তারাই আবার গালমন্দ ... ...
(১) - ও মা দ্যাখো, এই ছেলেটার চোখ দুটো কি সুন্দর! - তাই নাকি রে, ওমা দেখি, কেমন পছন্দ? তখন বছর ষোলো - চক্ষু চড়ক হলো - 'সমাপ্তি' বা প্রারম্ভ হোক, সাহস তো নয় মন্দ!
প্রিয় কলমসাথী বন্ধুরা ~ পড়ুন যুদ্ধবিরোধী এই গল্প। প্রতিবাদের প্রতিবেদন~--------------------------------------------------------------------ছোটগল্পঃ" মারণ যুদ্ধে জীবন্ত প্রেম "প্রদীপ দে ~সাময়িক যুদ্ধ বিরতির আজই শেষ রাত। উদিগ্ন নাগরিক। রাত শেষ হলেই ধ্বংসলীলা শুরু হবে। চালু হবে মারণাস্ত্রে মানুষ মারার খেলা। ধ্বংসস্তূপে চলবে মৃত্যুর মিছিল। নিদ্রাহীন সর্বদা জাগরিত ইউক্রেনের নাগরিক। তারই মধ্যে জ্যান্ত হয়ে ওঠে মানুষের মনের কোণে লুকিয়ে থাকা ভালোবাসা। আকুল আবেদন জাগে এই জীবন্ত প্রেমকে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়াস -চিরন্তন প্রেমের পরিণতিতে …ভয়ার্ত প্রেমিক প্রেমিকার কন্ঠে ধ্বনিত হয় …-- আজ আমাদের কাছে সময় বড় অল্প। যতটুকু সময় পাওয়া যাবে তা বড় বেশি মূল্যবান আমাদের দুজনের এই প্রেমের জীবনে। হয়তো আমরা কেউ বাঁচবো না। তাই ... ...
অণুগল্পঃ " টোপ "প্রদীপ দে ~আজ সকালে ভেড়ীতে গেছিলাম মাছ ধরা দেখতে। বেশ ভালো লাগছিল প্রকৃতির কোলে জলাশয়ে মাছেদের লাফালাফি দেখতে। অনেক জাল ফেলা হয়েছিল আগেই, তাতে টান পড়ছে। ঝুড়ি ভর্তি কিছু মাছ লাফাচ্ছে সংলগ্ন মাঠে। আবার কিছু জল হাড়িভর্তি চানা পোনা। অবাক চোখে বিহ্বল আমি। আমার পরিচিত একজন ছিপ দিয়ে মাছ ধরছিল। আমি এগিয়ে গিয়ে পাশে বসলাম। ও হেসে পাশে বসিয়ে জিজ্ঞাসা করলো,-- কেমন লাগছে?-- ফাইন! তবে জাল ছেড়ে ছিপে কেন?-- আরে এর মজাই আলাদা। খেলিয়ে তোলা যায়?-- আমাকে একটু শেখাবি?-- নিশ্চয়ই, তবে এখানে নয়। অন্য জায়গায়। এখন শুধু দেখ...সত্যি অবাক হয়ে দেখলাম। মাছগুলোকে খেলানোর কায়দা! কি অসম্ভব! তারপর মাছেদের ... ...
অণুগল্পঃ " টোপ "প্রদীপ দে ~আজ সকালে ভেড়ীতে গেছিলাম মাছ ধরা দেখতে। বেশ ভালো লাগছিল প্রকৃতির কোলে জলাশয়ে মাছেদের লাফালাফি দেখতে। অনেক জাল ফেলা হয়েছিল আগেই, তাতে টান পড়ছে। ঝুড়ি ভর্তি কিছু মাছ লাফাচ্ছে সংলগ্ন মাঠে। আবার কিছু জল হাড়িভর্তি চানা পোনা। অবাক চোখে বিহ্বল আমি। আমার পরিচিত একজন ছিপ দিয়ে মাছ ধরছিল। আমি এগিয়ে গিয়ে পাশে বসলাম। ও হেসে পাশে বসিয়ে জিজ্ঞাসা করলো,-- কেমন লাগছে?-- ফাইন! তবে জাল ছেড়ে ছিপে কেন?-- আরে এর মজাই আলাদা। খেলিয়ে তোলা যায়?-- আমাকে একটু শেখাবি?-- নিশ্চয়ই, তবে এখানে নয়। অন্য জায়গায়। এখন শুধু দেখ...সত্যি অবাক হয়ে দেখলাম। মাছগুলোকে খেলানোর কায়দা! কি অসম্ভব! তারপর মাছেদের ... ...
১৪৯২ সালের কথা। একদল অস্ত্রধারীকে সঙ্গে নিয়ে তিনটি জাহাজে করে ১২ অক্টোবর আমেরিকার বাহামাস দ্বীপে পৌঁছান ক্রিস্টোফার কলম্বাস। সরলমনা স্থানীয় আদিবাসীরা তাদেরকে অতিথি হিসেবে স্বাগত জানান। কলম্বাসের একটি ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ মেরামতও করে দেন তারা।.অভ্যর্থনা জানাতে আসা আদিবাসীদের দেহে স্বর্ণের অলঙ্কার দেখে কলম্বাস অনুমান করেন আশেপাশের কোথাও স্বর্ণের খনি রয়েছে। আদিবাসীদের সরলতা কলম্বাসকে মুগ্ধ করে এ জন্য যে, তিনি খুবই কম পরিশ্রমে ওই ভূখণ্ডের সব কিছু নিজের দখলে নিতে পারবেন।.তিনি আমেরিকার মূল মালিক আদিবাসীদের নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা পাকাপোক্ত করেন এবং স্পেনে গিয়ে আরও এক হাজার দুইশ’ ইউরোপীয়কে সঙ্গে নিয়ে আসেন। শুরু হয় নির্মমতা, চলে গণহত্যা। কলম্বাস বাহিনী হিস্পানিওলা দ্বীপের একটি প্রদেশে ... ...
আগুন দিয়ে তো ফাগুন আনা যায় নাপেটের আগুন, মনের আগুন এক না বুঝেও তুমি না বোঝার মতো ভান করসব কিছুতেই আজকাল অভিযোগ বড়! রাগের আগুন সুরকে দেয় যে মূর্ছনা তোমার মাঝে অনায়াসে সেই ভাবনা জেনেও করো নিজের সাথে বঞ্চনা এ খামখেয়ালি তোমাকে মানায় না। তুলি ক্যানভাস রেখেছো তুলে কতদিন রঙ গুলো তবু নাছোড়বান্দা ... ...
সবাই সবই জানেন, তবু এই বাজারে একটু ভাবাবেগে আঘাত না দিয়ে পারা গেলনা।
তখনও চেননি অনমনীয়তার স্বর। তুমি, খোঁজনি তখনও দৃঢ়তার স্পর্শ। খুঁজতে গেলে যেদিন, মনে হয়েছিল পৃথিবীর সব সেতু একসাথে ভেঙে পড়েছে, তারপর তুমি তিস্তার জলে ভেসে, পাথরের স্পর্শে, তার প্রত্যেক চুম্বনে ক্ষতবিক্ষত হয়েও বেঁচে যাবে। ভুলে যাবে সেতু ভাঙায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে, একদিন কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে চিৎকার ক'রে বলেছিলে, "আমি ভাঙিনি, আমি ভাঙিনি..."। তোমাকে তখনও শেখানো যায়নি কঠিনের অর্থ। এরপর একদিন তিস্তার কাছে দাঁড়িয়ে তুমি তাকে প্রশ্ন করবে। সে বলে,"দেখো দেখো রে চিত্তকমলে চরণপদ্ম রাজে-- হায়!"সেদিন ওপরে তাকাতে তুমি দেখতে পেয়েছিলে, তিস্তার দুপাড় জুড়ে সেতুবন্ধন। অক্ষত। তুমি জানতে পেরেছিলে, সেতু নয়। মানুষ ভেঙেছিল সেদিন। এমন করে তুমিই ভেঙেছিলে। প্রতিদিন। একটু একটু ক'রে... আজ তার ওপর ... ...
ধারণা ভাঙলে শব্দ হয়? তার কি যন্ত্রণা হয়? কাঁদে সে ব্যথা পেলে? হয়তো হয়, হয়তো কাঁদে। সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়ে, কার্নিশে তখন জমতে থাকা শ্যাওলায় চোখের জল পিছলে নীচে পড়তে থাকে। তিনতলার ঝুলবারান্দা, দোতলার লাইব্রেরী, একতলার সিঁড়ির ঘর কেউ তাকে ডাকেনা, কেউ বলেনি, "দাঁড়া, কি হয়েছে?""বিপরীত মুখে চলে যাওয়া রাজপথ কতোটা সময় রেখে যায়---আয়ুহীন মাপকাঠি?"অল্পেতে কষ্ট পায়, অল্পেতে হাসে। আর কষ্ট পেলে? হাসে। ধুলো উড়িয়ে, পাথর কুড়িয়ে নিয়ে হেসে ওঠে। পাথর জমানো যে তার শখ। সেই ছোট্টবেলার শখ। পরশপাথর? ধারণা ভেঙে পড়েছে। টুকরো টুকরো পাথর হয়ে। মাটির সোঁদা গন্ধে, বকুল কুড়াতে এসে কেউ পাথর তুলতে থাকে, বিন্দু বিন্দু শিশিরে তার ... ...
আমাদের ভারসাম্যহীনতার দায় সরে গেছে স্থবিরতার দিকে। এই গতিহীন বিবর্তনকে যদি বলা যেত ধ্রুবক, তবে হয়তো এত ক্লান্তি নিয়ে, অপরিবর্তনীয় গ্লানি নিয়ে কাউকে ফিরে যেতে হতো না। শুধু একটাই প্রশ্ন থেকে যায় কেউ কি সত্যিই পারে ঝরে পড়া বকুলের দীর্ঘশ্বাস হয়ে উঠতে? যেখানে শুধু অগ্রন্থিত শিকড়ের মত বিস্মৃতির বিস্তার ঘটে যায়। এভাবে একটা কথাকে বারবার কেউ ফিরিয়ে দিয়েছে আমার কাছে : এমন করেও বিনির্মাণ সম্ভব?It was the corpses that the fire could burn.যে দ্বান্দ্বিকতায় দুচোখ বুজে আসে, দৃষ্টিশক্তি সংকুচিত হয় ক্রমাগত, সে আমায় অন্ধ করে।~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~"সূর্যাস্ত দেখে মুগ্ধ হলে কোনোদিন, কাঁধে হাত রেখেছি নিজের, ‘সত্যি তো, নাকি বই পড়ে শিখেছ?’ জানতে চেয়েছি, ... ...
ধেড়ে খোকা / সাজছে ন্যাকা / শিক্ষাসচিব / দায়ী একা / ভাবছে বুঝি / সবাই বোকা।
ধেড়ে খোকা / সাজছে ন্যাকা / শিক্ষাসচিব / দায়ী একা / ভাবছে বুঝি / সবাই বোকা।
৫০৫৫ সাল। পৃথিবী ভয়াবহ বিপদে পড়লো। অন্য গ্যালাক্সির প্রাণীরা আক্রমণ করলো পৃথিবীকে।মানুষ দিশেহারা। বৈজ্ঞানিকরা ব্যতিব্যস্ত। কী উদ্দেশ্যে এই আচমকা আক্রমণ! ইন্টার-গ্যালাক্সি পিস ট্রিটি লঙ্ঘন করে এমন আক্রমণ নজিরবিহীন! কী চায় দূর গ্যালাক্সির অধিবাসীরা?চায় একজন কবি, আর একজন শিক্ষক। তাঁরা কয়েকবার দূত মারফত সবিনয়ে এই দাবী পেশ করেছে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান দপ্তরে। কিন্তু কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান দপ্তর তাদের অপারগতা প্রকাশ করেছে দূর গ্যালাক্সির অধিবাসীদের কাছে, কারণ, পৃথিবীতে কবি আর শিক্ষক আপাতত নেই।পৃথিবীর সর্বশেষ কবি চাটুকারে পরিণত হয়েছেন দীর্ঘদিন আর সর্বশেষ শিক্ষক অনেকদিন আগেই চাকুরি নিয়েছেন জুতার দোকানে। ... ...
অদ্বৈতবাদ দর্শন বলে: ব্রহ্ম সত্য জগৎ মিথ্যা! যীশুখ্রীষ্ট ফিরে এলেও, সংঘটিত হবে একই হত্যা - জুডাসের দল তৈরীই থাকে! কৃষ্ণবানী কি বৃথা যায়? - হচ্ছে যা তা বিকিকিনি হাট; হবেও যা সে জঙ্গল প্রায়!
~সত্যি বলতে ভীষণ সাংসারিক টাইপের সিনেমাটা, সংসার : ভালো না খারাপ? দেখ, এসব আমি বলছি না যে সংসার করা খারাপ, না না ভালোই, হ্যাঁ ভালোই তো, কিন্তু কী বলতো সিনেমাটা আমার পছন্দ হয়নি...গতকাল এক বন্ধুর সাথে কথা বলতে বলতে হঠাৎ সংসার প্রসঙ্গ উঠে আসে। আমি বুঝতে পারি হঠাৎ বলে ওঠা "সাংসারিক টাইপের" কথাটা কীভাবে আমি নেবো তা আমার বন্ধু বুঝে উঠতে পারেনি। সে চেনে আট বছর আগের এক মেয়েকে, সেজন্য অনায়াসে আমার সামনে বন্ধু বলে ফেলে, "সাংসারিক টাইপের...."। তারপর তার খেয়াল হয়, আট বছর পেরিয়ে গেছে মাঝে। আট বছরে সে কি জয়শ্রী ম্যাডাম এর তাৎক্ষণিক লেখা ক্লাসে "সংসার" বিষয়ে যে বিশ্ব ... ...
"এতদূরে সরে গেছো/ নিভৃত সৃজন ফেলে/ অন্য নির্মাণে―" কথা নয়, আমি রূপকথা হতে চাই। এ জন্মে যা কিছু দেখতে পেলাম তার সবই প্রতিফলিত। বিপরীতে থেকে গেল প্রথা অনুসারে। নিয়ম মেনে, নিষ্ঠা ভরে শিউলিগুলো মাটিতে ঝরে পড়েছে। অবিন্যস্ত। কিন্তু ওদের গন্তব্য একক। এরপর ধুলো বালির পরতে সেই শ্বেতশুভ্র স্নিগ্ধতা ম্লান হয়ে আসে। তাদের ফিরে যাওয়ায় একক এর অনুভূতি থাকে। তাকে আমি ডাকলাম অদ্বিতীয়া বলে। ওদের আসা যাওয়ায় পরিবর্তন শুধু সহনের, অপেক্ষার। যে অপেক্ষায় চোখের নীচে সন্ধ্যে নামে। এমন দুই অপেক্ষার মধ্যে তবে এত দূরত্ব, এত অসমাপ্য দ্বন্দ্ব, এত বিরোধ, এত প্রভেদ। এ জন্মে কোনও এক অপেক্ষা অদ্বিতীয়া হয়ে উঠতে পারলনা। অস্বচ্ছ দৃষ্টি ... ...
অভিসার মানে ঠিক ততটা যাওয়া নয়, যতটা যেতে চাওয়া ~সুনেত্রা ঘটকআজ থেকে প্রায় বছর পাঁচেক আগের কথা। "শ্রীকৃষ্ণকীর্তন" পড়তে পড়তে বছর সতেরোর যে মেয়েটা ভাবে, 'এসব আবার কী?, ভীষণ বোকা বোকা তো!', যুক্তি-তর্কের যূপকাষ্ঠে 'অভিসার' শব্দ বলিপ্রদত্ত হয় যার নিষ্ঠুর হাতে; সেই হাত আজ কাঁপছে। তীব্র অনুকম্পন। প্রতিটা আঘাত, নিজের প্রতি ধিক্কার ছারখার করে দিচ্ছে এক ঘৃণিত বাইশকে। যন্ত্রণার দায় প্রতিবারের মত এবারেও মাথা পেতে নিয়েছে কালো ফ্রেমের আড়ালে ... ...
জিভে প্রেম করে যেই জন, সেই জন মরিবে সত্বর।