(১) রাতের যেমন দুপুর আছে-দুপুরের কি আছে রাত ?'জাতের নামে বজ্জাতি' আছেবজ্জাতে'র কি আছে জাত!? (২) অন্ধকারে হারিয়ে মুদ্রাপ্রদীপের নিচে খুঁজি; চেঁচিয়ে বলদ ভাঙে নিদ্রা- সহজে বাঘের রুজি!!
মা-বাবার সূত্রে আমি তো পূর্ববঙ্গীয়। যদিও আমরা ভাইবোনেরা জন্মেছি, বড় হয়েছি, সব স্বাধীন ভারতবর্ষে। ছোটবেলা থেকে বাড়িতে মার কাছে ও অন্যান্য বড়দের থেকে অনেক পূর্ববঙ্গীয় প্রবাদ বাক্য ও চলতি কথা শুনে বড় হয়েছি। মনে হয় সব এক জায়গায় লিখে রেখে গেলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আমাদের সময়ে সমাজ কেমন ছিল, সে যুগের রীতিনীতি কেমন ছিল তার একটা ধারণা পাবেন। এখন তো যুগ অনেক এগিয়ে চলেছে। হয়ত যুগের সাথে তাল মিলিয়ে অনেক ... ...
আর এস এসের মুসলিম সংগঠন রাষ্ট্রীয় মুসলিম মঞ্চ নাচাচ্ছে, কিছু ইমাম বিক্রি হয়ে গেছেন বা রাজনৈতিক নেতাদের চেয়েও তারা বেশি ক্ষমতাশালী প্রমাণ করতে জমায়েতের ডাক দিচ্ছেন। তার মধ্যে কয়েকটি জমায়েত থেকে সংঘ পরিবারের লোক টুপি পরে বা কিছু অপরিণত মস্তিষ্ক বা কিছু অতি উৎসাহী বা কিছু টাকা খাওয়া মুসলিম দুষ্কৃতি অশান্তি পাকাচ্ছে। কোথাও অনেকে মিলে অবরোধ করছে ট্রেন, জাতীয় সড়ক। বদনাম হচ্ছে, সমগ্র মুসলমানদের। দল মত নির্বিশেষে ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক নেতৃত্ব সক্রিয় হোন। বাংলাকে আসন্ন প্রলয় থেকে বাঁচতেই হবে।বিজেপি চায় সমাজ হিন্দু মুসলমানে ভাগ হয়ে যাক।কিছু ইমাম বুঝে বা না বুঝে সেই কাজটাই করছেন।বিভিন্ন উপদলে বিভক্ত কিছু অপরিণত মস্তিষ্ক আরো বড় নেতা হওয়ার বাসনায় ... ...
আলী আনোয়ার রাজকীয় নর্শ্ক দূতাবাসের আয়োজনে নর্শ্ক গিয়ে ইবসেন নিয়ে ঘোরাঘুরি-বাতচিত করে এসে এ বইটা লেখেন; বইটা নর্শ্ক দূতাবাসের অর্থানুকূল্যেই বেরিয়েছিল ২০০১ এ। নর্শ্ক জানেন তিনি, তা না; এখানে হয়ত দ্বিতীয় আতশ কাঁচ এসে পড়ার ঝামেলাটা হতে পারে। তবে নর্শ্ক জানলেই ইতনা বৃহৎ কলেবরের বই লিখে ফেলা যাবে, তা তো নিশ্চিতভাবেই না।১৯৬০ সালে প্রকাশিত নাওয়াল আস-সাদাউইর مذکرات طبیبة (মুজ়াককিরাত ত়বিইবাহ—ডাক্তারের দিনপঞ্জি) ইংরেজি ভাষান্তর। শেলফের তিরিশ-চল্লিশেক অন্য লেখকদের মধ্য থেকে তাঁকেই চোখে পড়ল, কারণ তাঁর ওপর নাতিদীর্ঘ উইকিপিডিয়া নিবন্ধটা আমার লেখা: কারণ ফারহানা আজিমের 'শূন্য বিন্দুতে নারী' বইটার মাধ্যমে নাওয়ালের সাথে প্রথম পরিচয়। ওখানে দেখছি, তাঁর A Daughter of Isis-এর বাংলা ... ...
মিডিয়ার হৈচৈমুখে খালি ফোটে খৈতবুও নেপোরা মারছে দইআমরা বোকা জনগণ কেবলি তাকিয়ে রইললাটের দোহাই দিয়ে সবকিছুই সই Dr. A Chowdhury
সামনে রথযাত্রা। মানে রথে দড়ি টানার স্মৃতি। আর জগন্নাথ কথা মনে আসে। আমার অল্পস্বল্প পড়াশুনায় বুঝেছি যে শ্রীচৈতন্যদেবের আবির্ভাবের আগে এই বাংলায় বা ওপার বাংলাতে জগন্নাথ ও রাধাকৃষ্ণের পুজো প্রায় দেখা যেত না। এই পুজো একদমই অপ্রচলিত ছিল। তখন বৌদ্ধ, জৈন প্রভাব মুক্ত হয়ে বঙ্গভূমি শাক্ত সাধনার তীর্থক্ষেত্র পরিণত হচ্ছে, বৌদ্ধ জৈনদের পুজিত দেবতারা হিন্দু দেবতা হিসাবে পুজিত হতে শুরু হয়েছে। এ দিকে ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা ক্ষমতা দখল করায় হিন্দুরা নতুন এক চ্যালেঞ্জের মুখে পরল। এই সময় চৈতন্যদেব নতুন যুগের ... ...
জননী রত্মগর্ভা,আহা কি উৎপাদন!-জ্যেষ্ঠ যে দুর্যোধন পৃষ্ঠে দুঃশাসন;একশত কলস পিন্ড মূর্ত শত দলে -দুঃশলার নূপুর বাজে অশ্বমেধ কালে!!
'বইপ্রেমী’, ‘বইপোকা’ বিশেষণ গুলো ভীষণরকম পরিচিত। উপযুক্ত বিশেষ্য ব্যতীত বিশেষণগুলি অস্তিত্বহীন। পঞ্চ ইন্দ্রিয় খোলা রাখলে খোঁজ পাওয়া যায় এমন অনেক বইপ্রেমীদের যারা বই পড়া এবং সংগ্রহ করাকে একপ্রকার নেশার পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন! আজ থেকে ১২-১৩ বছর আগে একটি সর্বভারতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিষয় ছিল কলকাতার প্রাইভেট লাইব্রেরির সন্ধান। সেখানে মোট তিনজন ব্যক্তির কথা তারা উল্লেখ ছিল। উৎপল দত্ত, সুধীন চট্টোপাধ্যায় ও অঞ্জন চক্রবর্তী। এঁদের মধ্যে সেই সময় শুধুমাত্র অঞ্জন চক্রবর্তীর সংগৃহীত বইয়ের সংখ্যাই ছিল ৩৫ হাজার! এখন তো সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে কবে! অঞ্জন চক্রবর্তীর একজন বন্ধু ছিলেন যিনি জাতীয় গ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক। তিনি অঞ্জনবাবুর বই সংগ্রহের তালিকা দেখে রীতিমতো থ! বাড়িতে ... ...
আমার এক মেসোমশায় বলতেন যে যারা ক্রিয়েটিভ হয় তারা নাকি নিষ্ঠুর হয়। সেই নিষ্ঠুরতা বোঝার ক্ষমতা নাকি শুধু আরেকজন ক্রিয়েটিভ মানুষেরই থাকে। আরো বলতেন যে ক্রিয়েটিভ মানুষদের সত্তর শতাংশই নাকি রোমান্টিক আর বদমেজাজী হয়। এরা দেখতে যদিও খারাপ হন (অবশ্য হওয়াটা আবশ্যিক নয়) তবুও এদের চোখে নাকি একটা জ্যোতি থাকে।সেই জ্যোতির বিচ্ছুরনে জগতসংসার তাঁর সামনে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে। তো আমি প্রশ্ন করলাম যে একজন মানুষ একাধারে রোমান্টিক আর নিষ্ঠুর কিভাবে হতে পারে? তিনি হেসে গাট্টা মেরে বললেন যে রোমান্টিক মানে কি আর জড়িয়ে ধরে আদিখ্যেতা রে পাগলা!! রোমান্টিক তাদেরি বলে যারা সবকিছু একটু অন্যদৃষ্টিতে দেখে আর নান্দনিক ভাবে উপভোগ করে। এর সাথে ... ...
শুধুমাত্র একটি কথায় বাংলা জ্বলছে। জ্বলছে দেশের বিভিন্ন জায়গা। নিন্দার ঝড় বিশ্বজুড়ে। কথাটি হল হজরত মহম্মদকে নিয়ে। কুকথা। কে বলেছেন? নুপূর শর্মা। তাঁর পরিচয়? বিজেপি নেত্রী। আগুনে ঘি এখানেই। যে দলটি হিন্দুত্বের নামে, জাতীয়তাবাদের দোহাই দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্নভাবে সম্প্রদায়িক কথা বলে থাকে, সেই দলের দুই-এক নেতা সরাসরি ইসলামের পয়গম্বরকে নিয়ে বিতর্কিত কথা বলেছেন। একে বিজেপি, দোসর পয়গম্বরের সমালোচনা! আর তাতেই গোটা আকাশ ভেঙে পড়েছে ভূ-ভারতে। নুপূর শর্মা কেন এ কথা বললেন? এটা কি শুধুই বিচ্ছিন্ন ঘটনা? কেন বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়? কেন বাংলা জ্বলছে? সন্ধেয় বেলায় একবার ন্যাশনাল টিভি চ্যানেলগুলির দিকে চোখ বোলান। তাহলেই প্রথম ও দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর অনেকটা পরিষ্কার হয়ে ... ...
আজ বাসে একটা মেয়ে উঠেছিল । আমার পাশের সিটে বসেছিল । খুব রোগা । অপুষ্ট কঙ্কালসার চেহারা । কোলে একটা বাচ্চা । বাসটা এয়ারপোর্টের, এ সি । হাওড়া থেকে ভাড়া পঞ্চাশ । মেয়েটা ২৫ বা ৩০ টাকা বের করে দিচ্ছিল । সম্ভবত সেটা নন্-এসি বাসের ভাড়া, মেয়েটাকে বাড়ির কেউ বলে দিয়েছিল । মাঝবয়েসী ভুড়িওয়ালা সৌখিন চেহারার কন্ডাক্টর ভাড়াটা দেখে প্রথমে খুব তাচ্ছিল্যের একটা ভাব আনলেন, তারপর বললেও হয় না বললেও হয় এরকম একটা দার্শনিকতার সুরে বললেন, " কি ? ভাড়া আছে না নেই ? না থাকলে ছেড়ে দাও দিতে হবে না !...বাচ্চাটার মুখটা তুলে মোছাও .. কি নোংরা লাগছে .. ... ...
সেই গোড়ের মালা'ই জড়ালে যদি,অদৃষ্ট আতরে ভাসবে !কাল যুগলবন্দী ছন্দ হারালেসেতারে রেওয়াজ কমবে!ইজেলে স্বপ্ন থাকবে?গোধুলি লগ্নে বিসমিল্লা'যদিদং...মেনে সারবে!আর ভ্রান্ত-চরিতে রূপের জেল্লানোনা জলে রোজ তুলবে!তবু জতুগৃহই চাইবে?প্রান্তর পেয়ে যমুনাকে পেয়েতমাল গাছও খুঁজবে!শেষে কৃষ্ণ খুঁজে হয়রান হয়েরাখালকে মনে পড়বে!বাঁশী কি তখন বাজবে?বলি,সওদাগরের অভিযানে গিয়ে সাগর জরিপ করবে?নাকি তোলপাড় ঝড়ে কাঁধেকাঁধ দিয়েবন্দরে তরী ভিড়বে!বুঝি শান্তিলতাও ফিরবে!! ... ...
That one at the bottom left corner is a novel; novel by a British novelist who had spent her childhood in the suburb of Narayanganj under British India with her sister Jon Godden. Together they composed the memory in 'Two Under the Indian Sun'.And look finally a Bond comes home. Ruskin Bond with 90's illustration by Trevor Stubley. I didn't think the later edition will still keep Stubley's pen and ink, and in real it does not. India have been economically advanced, they have now cutting-edge technology, their artistic senses have altered—why would they even adhere to that decade! But ... ...
শ্রী অমর মিত্র,সাহিত্যিক,পশ্চিমবঙ্গ,ভারত।শ্রদ্ধাস্পদেষু,লেফাফায় আপনার ঠিকানা লিখতে গিয়ে থমকালাম- কলকাতা লিখব? না কি শুধু পশ্চিমবঙ্গ লিখলেই হবে? আচ্ছা, পশ্চিমবঙ্গের কোথায়? শহর না গ্রাম?আয়তাকার সবুজ মলাটের বইটি আবার উল্টে দেখলাম; আপনি লিখেছেন, " আমি মূলত নগরের মানুষ। এই কলকাতা শহরে সাত বছর বয়স থেকে আছি। এই শহর আমার নিদ্রায় জাগরণে জড়িয়ে থাকে সর্বসময়। ... এই নগরে আমি চোখ মেলতে শিখেছি, এই নগর আমার পা দুটিকে সবল করেছে। দুর্গম গ্রামাঞ্চলে নিঃসঙ্গ বসবাস, এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে বারংবার পরিভ্রমণ আমাকে দেশ চিনিয়েছে, আমার দেখায় একটি আদল দিয়েছে... ফলে আমার লেখায় নগর এবং নগরের বাইরে পড়ে থাকা জীবন দুই-ই ঘুরে ঘুরে আসে।"এইবার, কলকাতা লিখেও ... ...
যে ধ্বনি তুলেছিল “উলগুলান”যে শিখিয়েছিল ওঁদের লড়াই করতে“অরন্যের অধিকার” যার বানী ছিলসেই শিখিয়েছিল মাতৃভূমির জন্য মরতে। ডোমড়ি পাহাড়ের টপ্ট বুরুবুক কাঁপিয়েছিল যাদের,মুক্তির পথ সেই তো এসেদেখিয়েছিল তাঁদের। ওঁরা “ধরতী আবা” বলে তাঁকে,ওঁরা আজও তাঁর নীতি মেনে চলে,ওঁরা আজও আঁকরে থাকে জঙ্গলওঁরা আজও পেষে মুক্তির যাঁতাকলে।মৃত্যুদিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি
পৃথিবীতে যেভাবে অনেক বড় বড় সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছে সেই একই ভাবে আবার সেগুলো সময়ের সাথে সাথে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।.একসময় আলেকজান্ডার বিশ্ব জয় করেছিল আজ তার মেসিডােনিয়া বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশ হিসেবে পরিচিত।.চেঙ্গিস খান পুরাে এশিয়াতে তার সাম্রাজ্য বিস্তার করেছিল , তার সাম্রাজ্যের দাপটে তখনকার শক্তিশালী সাম্রাজ্য গুলোও ভয়ে কাপতো। বর্তমানে এশিয়ার মানুষরা তার দেশ মঙ্গোলিয়া সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানেই না।.৬২৪ বছর পৃথিবীর তিনটি মহাদেশ শাসন করা অটোমান সাম্রাজ্যেও এক সময় তার পতন হয়েছে। পাঁচশো বছর ভারতবর্ষ শাসন করা মোগল সাম্রাজ্যের কোন রাজনৈতিক অস্তিত্বই নেই।.পারস্য , রোমান , গ্রীস , বাইজেন্টাইন , ব্রিটিশ , সোভিয়েত প্রতিটি সাম্রাজ্যের উত্থানের সাথে পতনও ঘটেছে। হয়তো ... ...
আবার যদি যদি ফিরে আসি ঘরেসমস্ত ভুল ফেলে রেখে পদ্মপাতার প রে ছায়াতরু আর মায়াতরু দের সাথে আড়ি করে দেব।
রোদ্দুরে গায়ে ফোস্কা পড়ে দাও ব্যাটাকে ভেতরে পুরে। বাইরে সবাই থাকবে ঠান্ডা-'দো ফুল এক মালী'র ঝান্ডা।।
ক্রিস্টোফার বলতো, ও রোদের কথা শুনতে পায়।আমরা হাসতাম। ক্রিস্টোফার পেরেইরা, আমাদের স্কুল ফ্রেন্ড, ব্যাপটিস্ট ক্রিশ্চিয়ান, সিল্কি লাইট ব্রাউনিশ হেয়ার, কাঁধ অবধি গড়ানো, মুখের হালকা দাড়িতে ওকে অনেকটা জর্জ হ্যারিসন যেমন অল্প বয়সে ছিলেন দেখতে, তেমনটা লাগতো।ও না পারতো গান গাইতে, না পারতো গিটার বাজাতে। তবে নিমগ্নতা ছিলো ওর, আত্মনিমগ্নতা।অন্যদিকে আমরা ছিলাম ছটফটে, অস্থির। আমাদের তাড়া ছিলো অকারণ ছুটোছুটির। আমরা যখন হুল্লোরে ব্যস্ত, তখনও ক্রিস্টোফার একা, চুপচাপ ওর পায়ের কাছে আদুরে বিড়ালের মতো গুটিশুটি শুয়ে থাকা রোদের দিকে তাকিয়ে সময় কাটাতো।আমরা জানতাম না রোদ কথা বলতে পারে কিনা, জানতাম না রোদের কোনো ভাষা আছে কিনা আদৌ, কিন্তু ক্রিস্টোফার বলতো মৌনতার নিজস্ব ... ...