আমি সবসময় বাসের পেছনের সিটে বসি, আজকেও তাই বসেছিলাম। কানে হেডফোন থাকেই, আজও ছিল। কালীঘাট পেরোতেই শুনতে পেলাম, কন্ডাক্টর সামনে বসে থাকা একজন ভদ্রলোককে কিছু একটা বলছেন। বলা বাহুল্য, চিৎকার করছেন কন্ডাক্টর ভায়া। এইসব জিনিসে একটু কৌতূহল বেশি আমার , উঠে দাঁড়িয়ে তাকালাম সামনে। দেখলাম, এক ভদ্রলোক একটি তিন চার বছরের বাচ্চাকে কোলে নিয়ে সিট ছেড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন, বাচ্চাটার নিম্নভাগে কোন পোষাক নেই আর সিটে একজন ভদ্রমহিলা কিছু একটা পরিস্কার করছেন। পাশে ওমরেশ পুরীর মত ভান করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কন্ডাক্টর মশাই।সামনে এগিয়ে গিয়ে ব্যাপারটা বুঝলাম, বাচ্চাটি পায়খানা করে ফেলেছে। তাই কন্ডাক্টর মশাইয়ের এত রাগ। বাচ্চাটিকে ডাইপার কেন পরানো হয়নি। সেই ... ...
কম্বোডিয়া দেশটি ছিল খমের জাতির আঙ্কর সাম্রাজ্যের কেন্দ্র। আঙ্কর সাম্রাজ্য ৬০০ বছর ধরে সমগ্র দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া জুড়ে বিস্তৃত ছিল। ১৮৬৩ থেকে ১৯৫৩ পর্যন্ত এটি একটি ফরাসি প্রটেক্টরট ছিল। ফরাসিরা রাজতন্ত্রের প্রবর্তন করে ও নরোদম পরিবারকে সিংহাসনে বসায়।.এই পরিবার কিছুটা দমনমূলক নীতি অবলম্বন করায় তাদের বিরুদ্ধে কমিউনিস্ট আন্দোলন দানা বেধে ওঠে। ১৯৭৫ সালে ভিয়েতনামী কমিউনিস্টদের সমর্থনে ও পলপটের নেতৃত্বে খেমাররুজ গেরিলারা রাজধানী নমপেন দখল করে নিলে নরোদম সিহানুক চীনে আশ্রয় নেন এবং সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন।.শুরুতে নমপেনবাসিরা নেচেগেয়ে পলপটকে মুক্তিদাতা হিসেবে বরণ করে নিলেও শিগগিরই তাদের ভাগ্যে নেমে আসে এক ভয়ংকর অত্যাচারের খড়গ। ছাত্রজীবনে পলপট ফ্রান্সে গিয়েছিলেন লেখাপড়া করতে। সেখানেই তিনি ... ...
শুভ জন্মদিন নজরুল একটি তৃতীয়া তিথির চৈতী চাঁদের দুল চাই কানে পরবচুলে থাক জড়িয়ে পূর্বভাদ্রপদ, উত্তরভাদ্রপদ, কখনো কখনো রোহিণী অথবা শতভিষার রৌপ্য ঝলকবিদ্যুৎ এর জরি দিয়ে রেশমের ফিতা, পুড়ছে নাতো চর চর করে এই চরাচরঅথবা গ্রীবা ছুঁয়ে নেমে যাচ্ছে হংস সারির দুলানো মালিকা, অযাচিত লুকানো বকবকমহে ' বহুজাতিক ' ট্রাই করেছো কি কখনো জোছনার সাথে চন্দন ! জানো কি মৃত্তিকার বাটিতে কি করে তুলে নিতে হয় জ্যোৎস্নার যাবতীয় শুল্কহীন স্তবগান, মরে যেতে যেতে যে চন্দনগাছ ছেড়ে গেছে বল্কল, তাকে পিষে নিতে হয় কেবল নীরবে নীরবে ফর্মুলাটি রেখে গেছেন কবি,ময়শ্চারাইজার তৈরির দায়িত্ব নিক না L 'Oreal কিংবা Aveeno, ট্রাই ইথানোলেমিন বা সান ফ্লাওয়ার ওয়াক্স এর ... ...
অনেক সকালে ঘুম ভাঙল নীলিমার। শুভ সকাল। নিজেই নিজেকে মিষ্টি করে বলল সে, মনে মনে। বিছানা থেকে নেমে হেঁটে গেল জানালার সামনে। পর্দা সরাল। সুদীর্ঘকাল অপেক্ষমাণ প্রকৃতির প্রশান্ত মুখ যেন ভেসে উঠল চোখের সামনে। দূরে পিচঢালা পথ অনেকদূর পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে। ধুলোবালিগুলো এখনো উড়ে বেড়ানোর শক্তিরহিত অবস্থায় পড়ে আছে মাটিতে। ইলেকট্রিকের পোলে একটা দোয়েল বসে আছে চুপচাপ। নিঃশব্দ প্রকৃতিতে মগ্ন হয়ে আছে পাখিটা।বেলা বাড়ল। আজ ভীষণ পড়তে ইচ্ছে করছে নীলিমার। বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে লেখা কয়েকটি নিবন্ধ পড়ে আছে টেবিলের ওপর বেশ কয়েকদিন হলো! পড়ে ফেলবে নাকি আজ? খুব গুরুগম্ভীরভাবে না পড়ার পক্ষে নীলিমা। এলোমেলোভাবে পড়া শুরু করল সে। হাতে একটা পেন্সিল। কোনো লেখার কোনো অংশ বিশেষভাবে মনে দাগ ... ...
'অঞ্জলি লহ মোর...**************ঘুমাও 'কামাল পাশা'বাঁশি ধরবে তান -মুখর হবে জলসা'গাহি সাম্যের গান...
বড্ড বড় বড় কথা বলে। যেন সবজান্তা। আসলে ভিতরটা ফাঁপা হলে আওয়াজ বেশী হয়। ইত্যাদি ইত্যাদি। এরকম কথাতো একজনকে আর একজনের সম্বন্ধে বলতে শুনি। নিজেও হয়তো কখনো বলেছি। এখন যত বয়স বাড়ছে ততই সবকিছু যাচাই করার অভ্যেস বাড়ছে। সবসময় ঠিকঠাক পারছি না যদিও। ওই সবেতেই মধ্যবিত্ত আর কি। তা এমন একজন বড় বড় কথা বলা (আমার মনে হয়েছে) মানুষের সাথে আলাপ হল। দেখলাম ভদ্রলোকের সব ব্যাপারে কথা বলার আগ্ৰহ। আমি আবার মাঝে মধ্যে ভালো শ্রোতা হয়ে উঠি। তো ভদ্রলোকের কথা শুনতে শুনতে বুঝলাম সব বিষয়টা যে খুব ভাল জানেন তা নয় কিন্তু যে কোনো বিষয় বেশ সুন্দর কথা বলে যেতে পারেন। তার মানে গল্প করতে ভালো বাসেন। কিন্তু ব্যাপার ... ...
রামমোহন মাঠের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকে। স্তব্ধ দিন খোলা মাঠ, হাওয়া তাকে গ্রাস করে। বিকেল এলে ছেলের দল মাঠে নামে বলের ছন্দ শোনাতে। ধীরে ধীরে সন্ধ্যা নামে আয়নাতে না তাকিয়ে ও চশমাটা মানান সই য়ে চোখে পড়ে। - কিভাবে কাটাও রামমোহন সময় গুলোকে ! রাতগুলো এসে ডেকে তোলে জলের চোখে চশমার কাঁচে ঝাপসা আঁধার নামে। - রামমোহন ! রামমোহন ! রামমোহন ! কপালে টিপ বদলে যায় একলা বাউল মুচকি হেঁসে মাঠ পার হয়। ... ...
গতকালের কালবৈশাখীতে ছাদে এসে জমা হয়েছিল পাশের বাগানের গাছের ডালপালা। সকালে সেগুলো দেখে ঝাঁটা হাতে ছাদে গেলাম। বাবা অবাক চোখে তাকিয়ে রইলেন। মনে হল আবেগে এবার কেঁদেই ফেলবেন বুঝি।ছাদ পরিস্কার করে মিনিট কুড়ি পর নিচে নেমে এলাম। বাবা তাকিয়ে হাসলেন আমার দিকে। তারপর বললেন "ছাদটা ফুটো হয়ে গেল না তো?" ভ্রু কুঁচকে বাবার দিকে তাকিয়ে উত্তর দিলাম, "গিয়ে একবার দেখে এস, ছাদে মুখ দেখতে পাবে নিজের।" বাবা বললেন, "অতগুলো সিঁড়ি বেয়ে উঠে মুখ দেখব? আমার ঘরে আয়না আছে।" অপমানে মুখ ঘুরিয়ে চলে যাচ্ছি, এমন সময় দেখলাম মেয়ে ছাদে উঠছে। ভাবলাম, চিলেকোঠার ঘর থেকে নিজের খেলনা আনতে যাচ্ছে হয়ত। কিন্তু অবাক হলাম তখন, যখন ... ...
আমার পূর্ব দিকের দেয়ালটা আগন্তুক, শহরে নতুন এসেছে, পশ্চিম দিকের দেয়ালটার নাম নিখিল, ও শৈশবে পিতৃ-মাতৃহীন, কে যে ওর নাম রেখেছিল, সেটা ও নিজেও জানে নাআর, উত্তর এবং দক্ষিণের দেয়াল দুটোর নাম যথাক্রমে অনন্ত আর অবিনাশ, ওরা কুলীন, তবে কূল হারানো, শহরের সকলেই জানে, ওদের বাবা-মা দুজনেই ছিলেন ভূতপূর্ব নবাবের খাসকামরার দেয়াল, দুর্ভাগ্যবশত অবস্থার আমূল পরিবর্তন হওয়ায় এখন এই পরিত্যক্ত ভুতুড়ে বাড়িতে ঠাঁই নিয়েছেআর, আমার পরিচয় যেহেতু না দিলেই নয়, তাই বলতেই হয়, আমি হচ্ছি দেয়ালের মধ্যস্থ একটা অর্ধনির্মিত অথবা অসমাপ্ত দেয়াল, এখনো যার শেকড় গজায়নিআর, এ পর্যায়ে আমি এটাও নিশ্চিত করছি যে, এটা একটা দেয়ালের শহর, গোটাকয়েক অকর্মণ্য অথর্ব ... ...
বৃদ্ধার বয়েস কত হবে জানিনা। শীর্ণ অশক্ত নুব্জ দেহ। কখনও দাঁড়িয়ে থাকলে হাতে অথবা বসে থাকলে পাশে একটা লাঠি থাকে। ফুটপাতের ধারে রোজ দেখি বসে কিংবা দাঁড়িয়ে ভিক্ষে করেন। বৃদ্ধা ভদ্রমহিলাকে দেখলেই বোঝা যায় বেশ ভাল পরিবারেরই সদস্য...। আমার বড় জানতে ইচ্ছে করে, কোন পরিবার এমন নৃশংস ! এই বয়েসের একজন বৃদ্ধাকে রাস্তায় ভিক্ষে করে খেতে হয় ! রঞ্জুকে অফিস থেকে ফেরার পথে ওঁর কথাই বলছিলাম। রঞ্জু আর আমি প্রায় প্রত্যেকদিনই একসঙ্গে অফিস থেকে ফিরি। ও এখন নামী একটা মাল্টিন্যাশনাল ইলেকট্রনিক্স কোম্পানীতে রয়েছে। ভাল বেতন। ওর বৌও নামী একটা প্রাইভেট স্কুলের টিচার । স্কুলের বেতন ছাড়াও আছে বৃহৎ এক কোচিং ... ...
বাঙাল-ই ও কাঙাল-ই বদলে যাচ্ছে নাকি বদলে ফেলা হচ্ছে, কলকাতার রাস্তাঘাটের বাণিজ্যিক মানচিত্র। আশির দশকে নতুন দোকান বলতে মনোহারি নয় ভিডিও পার্লার, ক্যাসেট বা জুতোর দোকান। নয়ের দশকে বাড়ল কম্পিউটার দোকান। অল্প। আর চলল টেলিফোন বুথ। একুশের প্রথম দশকে সোনার দোকানের বিজ্ঞাপন বাড়ল। বাড়ল একটু একটু করে মোমো ও বিরিয়ানি দোকান। এখন পাড়ায় নতুন দোকান মানে বিরিয়ানি মোমো সোনা মিষ্টি বা কেকের দোকান।বাঙালি খাবারের দোকানও বেড়েছে। তবে পাড়ার মোড়ে নয় শহরের নানা জায়গায়।এছাড়া বাড়ছে চা ও সিগারেটের দোকান।বাঙালি তাতে নেই। সিকঞ্জি মেলে মেলে ঠান্ডা ও উষ্ণ পানীয়।নগরে উষ্ণতা বাড়ছে। বাড়ছে ম্যাসাজ পার্লার। বাঙালিনী ম্যাসেজকারিণী। খদ্দের বেশি ভিন্নভাষী।নগরে বাঙালি কমছে। সল্ট লেক ... ...
রোববার সকাল বেলা ফেসবুকটা খুলেই মাথাটা গরম হয়ে গেল উজ্জয়িণীর। ’মা’-পোস্টে একেবারে ছেয়ে গেছে। ক্যানোরে বাবা! মা মা করে এত আদিখ্যেতা না করলেই নয়? মাদারস ডে বলে কি একেবারে মাথা কিনে নিয়েছে? বছরে আর ৩৬৪ দিন এত মাতৃভক্তি থাকে কোথায়? যত্তোসব! বিরক্তির সঙ্গে মোবাইলটা বন্ধ করে সোফায় ছুঁড়ে রাখতে যাবে এমন সময় নীচ থেকে ভেসে আসে শাশুড়ির উচ্ছ্বসিত কন্ঠস্বর –”কি ভালো মাছটা পেয়েছিস রে সমর, একেবারে টাটকা আর পরিস্কার!” উজ্জয়িণী বুঝতে পারে যে তার ভাসুর সমর বাজার নিয়ে ফিরেছে। আর মা সংক্রান্ত কিছু হলেই এবাড়িতে বাঁধা মেনু – কুচো মাছের বাটিচচ্চড়ি! সে শাশুড়ির জন্মদিনই হোক বা বিবাহবার্ষিকী! বাটিচচ্চড়ি হবেই হবে। কখনো ... ...
অনেকদিন আগে কলোম্বিয়া ইউনিভার্সিটির সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞানী মার্গারেট মীড’কে তার এক ছাত্র জিজ্ঞেস করেছিল -- একটা সংস্কৃতিতে সভ্যতার প্রথম চিহ্ন কি হতে পারে?.ছাত্র ভেবেছিল মীড পাথর ঘষে তৈরি শিকারের অস্ত্র , মাছ ধরার বড়শি , মাটির হাড়ি পাতিল কিম্বা রিলিজিয়াস আর্টিফ্যাক্ট আবিষ্কারের কথা বলবেন।.কিন্তু না। তাকে আশ্চর্য করে দিয়ে মীড বলেছিলেন, একটা প্রাচীন সংস্কৃতিতে সভ্যতার প্রথম চিহ্ন হচ্ছে মানুষের উরুর একটা ভাঙা হাড় যেটা আবার জোড়া লেগেছে।.উরুর হাড় হচ্ছে মানুষের সবচেয়ে লম্বা ভারবাহি হাড়। জটিল ভাবে ভেঙে না থাকলে এটা ছয় সপ্তাহের মধ্যে ধীরে ধীরে সেরে ওঠে।.তবে এই সময়ে তাকে একটা নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে হবে যাতে বন্যপ্রাণী হামলা না করতে পারে। ... ...
কথা,মাত্র দুটো অক্ষরের শব্দ কিন্তু এর ব্যাপ্তি অনেক দূর।মুখের কথা,কথা বলার ধরন ঠিক করে দেয় আগামী কোন পথে এগোবে?না কি থেমে যাবে! কিন্তু এই আমি টা বছর আড়াই থেকে ঠিকঠাক কথা বলতে পারছি না।যদিও এখন অনেক পরিষ্কার,প্রথম দিকে তো যখন জানতো না বন্ধুরা ইয়ারকি মেরে পরেশ রায়ালের ওই সিনেমা টা বাবু ভাই স্টাইলে কথা বলতো। ... ...
কংগ্রেস মানেই তখন নিন্দার বিষয়। সিপিএমের চোখে। আমাদের চোখেও। রাজীব তো আরো সর্বনাশা! মডেল স্কুল, কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি, গ্যাট চুক্তি, প্ল্যাস্টিক আমদানি, স্যাম পিত্রোদা-- রাতদিন মুন্ডপাত। এরপর গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো এল বোফর্স চুক্তি। চোর চোর ধ্বনিতে মেদিনী কম্পিত।১৯৯১ এর ৭ মে আসানসোল পোলো গ্রাউন্ডে প্রথম দেখলাম সাংবাদিক হিসেবে। বেশ কাছ থেকে। দেখে মনে হল, ইনি আর যাই হোন চোর নন। স্বপ্ন দেখা চোখ। জনতা উন্মাদ তাঁকে ছুঁতে চেয়ে। তিনি ছুঁতে দিচ্ছেন। জনতার সঙ্গে মিশে এগোচ্ছেন। মনে হল, এতো ভয়ঙ্কর ভয়ের বিষয়। যে কেউ মেরে দিতে পারে। এভাবে নিরাপত্তার তোয়াক্কা না করে জনতার মাঝে।ঠিক দু সপ্তাহ পর ২১মে কাগজের অফিসে বসে ... ...
অর্ণব কোক স্টুডিও বাংলার এই সিজনে কাজ করতেছে। তাই আমি কোন দ্বিধা রাখি নাই কোক স্টুডিও বাংলা নিয়ে। আমি অন্ধ ভক্ত অর্ণবের। আমার কাছে বরাবরই মনে হয় অর্ণব যা তার সিকি ভাগও দিতে পারছে না। শুধু আমি না মনে হয়, আমাদের, আমাদের আসাপাসের কয়েকটা প্রজন্ম অর্ণবে বুঁদ হয়ে গিয়েছিল এক সময়ে। গান এমন হতে পারে? সঙ্গীত এমন ধারায় হয়? আমরা জানতাম না, সম্পূর্ণ নতুন এক ধারায় নিয়ে গেল আমাদের। সম্ভবত বাংলা গানই নতুন দিশা পাইল তখন। গানের কথা, সঙ্গীত সবই অন্য রকম! অর্ণব নিজে লাইন চুত্য হয়ে যাওয়ায় আমরা অর্ণবকে মাঝখানে হারিয়ে ফেলি। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অর্ণব একই ধারায় ... ...
দুঃস্বপ্নের পর একটা দাড়ি দিচ্ছি, তারপর দীর্ঘশ্বাসএইবার ছোট্ট একটা কমা বসিয়ে ঢুকে পড়ছি সংলাপে, 'এই কি তবে গন্তব্য, সিনর?'না, চিত্রনাট্যে লেখা ছিল, "...আমার আর্তনাদগুলো আটকে যাচ্ছে ঠোঁটে, এবং অস্থিরতায় শুকিয়ে যাচ্ছে নদীগুলো, এবং পাতাল থেকে উঠে আসা অভিশাপগুলো উৎক্ষিপ্ত হচ্ছে উত্তপ্ত লাভার মতো, এবং আস্থার সংকটে ভোগা মানুষগুলো অবাস্তবের কাছে নতজানু হচ্ছে, এবং ক্রন্দনরত মীনগুলো বিহঙ্গের শীর্ণ ডানা আঁকড়ে বৈকুণ্ঠ খুঁজছে..."এখানেই শেষ। চিত্রনাট্যের পরবর্তী পাতাগুলো বিষধর সাপ হয়ে দংশন করেছিল আমাকে, অথবা গভীর ক্ষত হয়ে ঢুকে পড়েছিল বুকের ভেতর, আমার দৃষ্টি ব্যর্থ হয়েছিল তাকে অনুসরণ করতে'...এবং বাক্যটা অসম্পূর্ণ থাকছে সিনর, যেহেতু উপযুক্ত যতিচিহ্ন খুঁজে পাচ্ছি না আপাতত...' ... ...
রামের সাথে মোহন জুড়েরদ করলেন সহমরণ;সেই রামেরই মোহন সরে শুরু হলো সবার মরণ!!
মালভূমি অঞ্চলের উঁচু নীচু মোড় , মাটির দেওয়াল গোবরের স্তূপ । বাড়ির উপর লেপ্টে থাকা চাদর , রাস্তা গুলো বড়ো বেমানান এক এক উন্নয়নের স্তম্ভ । বয়ে যাওয়া নদী , ধূসর প্রকৃতি ।ছুঁয়ে ফেলা আকাশ দূর দিগন্তে নীল অবকাশ ।। মালভূমি অঞ্চলের পথ উঁচু নীচু বেষ্টিত জীবনের চিত্রলেখ ।
আজ ২২মে, রাজা রামমোহন রায়ের সার্ধদ্বিশতবার্ষিক (২৫০তম) জন্মদিন