বিখ্যাত আইরিশ নাট্যকার জর্জ বার্নার্ড শ'র পিগম্যালিয়ন নামে একটা নাটক আছে । সেখানে এক গ্রীক ভাস্কর নারীদের নানা ছলনা দেখে বিরূপ হয়ে চিরকুমার থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু নিজ মনের গহীন কোণে লুকিয়ে থাকা কাঙ্ক্ষিত নারীটির অবয়ব সে একটা মূর্তিতে ফুটিয়ে তোলে। কাজটি এতই সুন্দর হয়
কুলচা রাত সাড়ে আটটার সময় এল হন্তদন্ত হয়ে । ----- ' আরে ..... এ ক'দিন এত প্রিঅকুপায়েড ছিলাম যে তোমার সঙ্গে একদম কানেক্ট করার সময় পাইনি ..... প্রোজেক্টের কাজ চলছে । তারপর ..... দীপ্সিতার ম্যাটারটার আউটকাম কি হল ? ' ---- ' এখন পর্যন্ত যা মনে হচ্ছে ..... আউটকাম ইজ কোয়াইট প্রমিসিং ... ...
কত দেখি জল কোথায় মাঝি ! / একুল ও দুকুল নদীয়ায় কাজি । / বিদ্রোহী অমর প্রেমিক প্রেমের কোলাহল শুনি ।
শুনিয়াছি লুচি শব্দটি নাকি চৈনিক। অবগত নই, বেঁটে খাটো চক্ষু পিট পিট করা মানব সম্প্রদায় লুচির মর্ম কি বুঝিয়াছিল ! আমি যাহা বুঝি লুচি হইল আদ্যোপান্ত ভারতীয় খাদ্য বস্তু। হিন্দিতে পুরি। বাঙ্গালাতে লুচি। দেশী ঘৃত অথবা বনস্পতি কিংবা তৈল সহযোগে ভাজিয়া উষ্ণ পরিবেশিত দ্রব্যের কি যে মহিমা, তাহা সে জানেনা যে না ভক্ষণ করিয়াছে। লুচির সহিত আলুরদম ব্যঞ্জন ... ...
(ইদের রিপোর্টিং যখন একঘেয়ে হয়ে ওঠে, ঠিক তখনই রিপোর্টংয়ে বৈচিত্র আনতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে ওঠে কোনো কোনো রিপোর্টার, একনিষ্ঠ তিনি, শক্ত চোয়াল, হাতে উদ্যত মাইক্রোফোন, তাঁর পেছনে ক্যামকর্ডার, চোখ ঈগলের মতো, মগজে তাঁর ফুটন্ত লাভার মতো প্রতিভার টগবগে প্রবাহ, খবরের ফসিল থেকে কার্বন ডেটিং করে হলেও খবর খুঁড়ে আনতে বদ্ধপরিকর যিনি ... ...
মনে আছে? / তুমি ভুলে ও কখনো স্পর্শ করোনি। / আমি ও যদি ভুল করে তোমাকে মুছে দেই?
কথা নেই-শুধু টেপাটেপি কলমের চাইতে কী-বোর্ডে স্বচ্ছন্দ আজ সমগ্ৰ পৃথিবীবাসী
দীপ্সিতা দু কাপ চা করে নিয়ে এল । সঙ্গে নোনতা বিস্কুট । ----- ' তোমাকে বড্ড কষ্ট দিলাম ..... '----- ' কি যে বলেন ...... আমি কি বা করলাম.... পরে আর একদিন আসলে ঠিকমতো আপ্যায়ন করার চেষ্টা করব ..... '------ ' আরে ..... সে হবেখন ..... 'কলতান বিস্কুটে কামড় দিয়ে চায়ের কাপে চুমুক দিল ।----- ' আ..... আ : ..... দারুণ হয়েছে .... ... ...
আগে এত রকমের রেসিপি টেসিপি দেখে কিন্তু মাংস হতনা। সেই এক ধরাধ্ধম আদা রসুন বাটা হল, নাকের চোখের জল ঝরিয়ে পেঁয়াজ কেটে, হলুদ লঙ্কা তেজপাতা, কেউ সামান্য জিরে গুঁড়ো ছড়িয়ে কষিয়ে জল মেরে ঢাকা দিয়ে দিলেই বেসিক মাংসটা রেডি। তারপর ঢাকা খুলে ঘি, গরমমশলা ঢেলে দিলেই... আঃ, তোফা। তো, তারপর সে জামানার জামানত জব্দ হয়েছে বহুদিন ... ...
দহন-দাঙ্গা হচ্ছে রান্না,সংকেত অশনিনীরব নদীর পিরহানেরা অর্থ সন্ধানী;অসীম মুদ্রাদোষফুরোচ্ছে রাজকোষঅর্থাকাশে নীরবে সরবে যৌথ মাস্তানি! বিশ্বাস তো বহুদিনই গেছে টলেএখন কংস ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলে; ঊর্বশীদের নৃত্য দেবগণ পানে মত্তদুই গল্পেই ক্ষিধে থাকা যায় ভুলে!!
ফেসবুকে একটি লেখা দেখছিলাম যে আমাদের দৈনন্দিন অনেক কিছুই রবীন্দ্রনাথ তার গান ,কবিতা ও অন্যান্য অনেক লেখার মধ্যে লিখে রেখে গেছেন। খালি খুঁজে নেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। যেমন উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় ,আয়না: দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে।আঠা: ছাড়ালে না ছাড়ে,কি করিব তারে ?টেলিপ্যাথি: তোমার অজানা নাহি গো, কী আছে আমার মনে। এইসব দেখে আমিও বেশ উৎসাহিত হলাম ও এই তালিকায় যতটা পারি সংযোজিত করে দিলাম। যেমন ধরুনফ্ল্যাট বাড়ির বাসিন্দা: খাচার পাখি ।উঠতি ছেলে: আমরা , নতুন যৌবনের ই দূত।তোলাবাজ: ভগবান তুমি যুগে যুগে দূত পাঠায়েছ বারে বারে দয়া হীন সংসারে।খেলা হবে ভোটের পর বিরোধী দল: তোমার সাথে বারে বারে হার মেনেছি ... ...
অন্য পৃথিবীর কবিতা / চিরশ্রী দেবনাথ / "মানুষ তাড়াবে তুমি? তাড়াও তাড়াও!/ সে তো চির ছিন্নমূল/ হৃদয়ের খোঁজে খোঁজে চিরদিন বেপথু বেভুল! "/ এই কবিতা পংক্তি ছিন্নমূল মানুষের কথা ভেবে লেখা হয়েছে, আর আমি ভাবছি ছিন্নমূল বিষয়টির শুরু থাকলেও শেষ নেই, কতভাবে যে একজন মানুষ আস্তে আস্তে ছিন্নমূল হয়ে যান তার নির্দিষ্ট কোনো মাধ্যম নেই। মাঝে মাঝে মনে হয়, সাহিত্যপ্রাণ মানুষেরাও ছিন্নমূল ... ...
"সিন্ধু নদীর বালুচরে বসে দুপুর রোদে আটজন পাঠান ঘামছে। উট ভাড়া দিয়ে তারা ছিয়ানব্বুই টাকা পেয়েছে, কিন্তু কিছুতেই সমানে সমান ভাগ বাঁটোয়ারা করতে পারছে না।.কখনো কারো হিস্যায় কম পড়ে যায় কখনো কিছু টাকা উপরি থেকে যায়। ক্রমাগত নূতন করে ভাগ হচ্ছে , হিসেব মিলছে না , ঘাম ঝরছে আর মেজাজ তিরিক্ষি ... ...
রাতের স্বপ্নে উড়ে যায় কালো শাড়ি / শহরে তখন ধর্মের মারামারি / কাব্য শেখায় রাতপাখিদের ইস্কুলে / ঘুমিয়েছে সাদা বোকাবাক্স খুলে
রাত আটটা বাজতে চলল । কুলচা বলল, ' আর এক কাপ কফি খাবে নাকি ? ' কলতান সোফায় হেলান দিয়ে চোখ বুজে বসে ছিল । বলল, ' হ্যা, তা চলতে পারে ..... ওতে আমার কোন অরুচি নেই , শীতেই হোক আর গ্রীষ্মেই হোক ..... 'কুলচা আজ আর বাড়ি ফিরবে না । বাড়িতে জানিয়ে দিয়েছে ... ...
মুখে লেখায় খুব মুসলিম প্রীতি দেখালেও অনেকেই ভাবেন, মুসলমানরা একটি এঁদোডোবা এবং তাঁরা আসলেই মুসলমান। বাঙালি নন। রবীন্দ্রনাথ বা বাঙালিয়ানা তাঁদের কাছে অস্পৃশ্য। এক আধজন অতি ব্যতিক্রমী। কোনো লেখায় এই উপাদান খুঁজে পেলে একদল গদগদ হয়ে যান
আজ সোমবার । বেলা দেড়টা বাজতে চলল । কলতান ব্যাঙ্কশাল কোর্টের উকিল সুদীপ্ত নিয়োগীকে ডায়াল করল । সুদীপ্ত তার ছোটবেলার বন্ধু । বেশির ভাগ সময়েই সে এত ব্যস্ত থাকে যে ফোন ধরতে পারে না । পরে কল ব্যাক করে । ভাগ্য ভাল, সুদীপ্ত এখন সঙ্গে সঙ্গেই ফোন ধরল । ------ ' হ্যালো বস্ .... বল ..... কি খবর ? অধমকে কি মনে করে হঠাৎ ..... অনেক দিন দেখা হয় না তোর সঙ্গে ..... '----- ' আরে কি বলব ..... সময় পাইনা একদম .... আর তোরও তো একই অবস্থা .... তাই ..... '----- ' যাক ..... কেমন আছিস বল .... তুই ... ...