দুঃস্বপ্নের পর একটা দাড়ি দিচ্ছি, তারপর দীর্ঘশ্বাসএইবার ছোট্ট একটা কমা বসিয়ে ঢুকে পড়ছি সংলাপে, 'এই কি তবে গন্তব্য, সিনর?'না, চিত্রনাট্যে লেখা ছিল, "...আমার আর্তনাদগুলো আটকে যাচ্ছে ঠোঁটে, এবং অস্থিরতায় শুকিয়ে যাচ্ছে নদীগুলো, এবং পাতাল থেকে উঠে আসা অভিশাপগুলো উৎক্ষিপ্ত হচ্ছে উত্তপ্ত লাভার মতো, এবং আস্থার সংকটে ভোগা মানুষগুলো অবাস্তবের কাছে নতজানু হচ্ছে, এবং ক্রন্দনরত মীনগুলো বিহঙ্গের শীর্ণ ডানা আঁকড়ে বৈকুণ্ঠ খুঁজছে..."এখানেই শেষ। চিত্রনাট্যের পরবর্তী পাতাগুলো বিষধর সাপ হয়ে দংশন করেছিল আমাকে, অথবা গভীর ক্ষত হয়ে ঢুকে পড়েছিল বুকের ভেতর, আমার দৃষ্টি ব্যর্থ হয়েছিল তাকে অনুসরণ করতে'...এবং বাক্যটা অসম্পূর্ণ থাকছে সিনর, যেহেতু উপযুক্ত যতিচিহ্ন খুঁজে পাচ্ছি না আপাতত...' ... ...
রামের সাথে মোহন জুড়েরদ করলেন সহমরণ;সেই রামেরই মোহন সরে শুরু হলো সবার মরণ!!
মালভূমি অঞ্চলের উঁচু নীচু মোড় , মাটির দেওয়াল গোবরের স্তূপ । বাড়ির উপর লেপ্টে থাকা চাদর , রাস্তা গুলো বড়ো বেমানান এক এক উন্নয়নের স্তম্ভ । বয়ে যাওয়া নদী , ধূসর প্রকৃতি ।ছুঁয়ে ফেলা আকাশ দূর দিগন্তে নীল অবকাশ ।। মালভূমি অঞ্চলের পথ উঁচু নীচু বেষ্টিত জীবনের চিত্রলেখ ।
আজ ২২মে, রাজা রামমোহন রায়ের সার্ধদ্বিশতবার্ষিক (২৫০তম) জন্মদিন
আমি - হ্যালো ! কে বলছেন ?সে - কে বলছি, গলা শুনে বুঝতে পারছেন না ? আশ্চর্য্য তো !আমি - বুঝতে পারছি না বলেই তো জিজ্ঞেস করছি।সে - আপনি তো আশ্চর্য্য মানুষ দেখছি। সেই থেকে কে বলছেন ? কে বলছেন, বলে যাচ্ছেন।আমি - আপনি কে সেটি জানা থাকলে কি জিজ্ঞেস করতাম যে, কে বলছেন ? প্লিজ বলুন আপনি কে ?সে - আমি একটি মেয়ে। ভুত নই।আমি - আপনি যে মেয়ে সেটুকু বোঝার ক্ষমতা আমার আছে। ওটা না বললেও চলত। আর আপনি যে ভুত নন। সেটাও আমি বেশ বুঝতে পারছি।সে - ও মা ! তাই নাকি ? আমি ভুত নই, কি ... ...
এক বিদেশিনী জংলি ঝুমকো লতানিউটাউনে এক বন্ধুর প্রশস্ত ফ্ল্যাটে সেদিন গিয়েছিলাম। দেখছিলাম কত ধরনের গাছ ও ফুল ঐ ফ্ল্যাটে আছে।আর কি অপূর্ব সতেজ মনোমুগ্ধকর তাদের ভঙ্গি। বোঝাই যায় বন্ধু কি মায়া মমতায় এই গাছপালা গুলোকে যত্ন করেন। দক্ষিণের ব্যালকনিতে গিয়ে চোখে পড়ল এক ধরনের জংলি ঝুমকো ফুল। উজ্জ্বল বেগুনি রঙের। লতা ধরনের এই গাছটির আদি আবাসস্থল দক্ষিণ আমেরিকা যা পরবর্তী কালে উষ্ণমন্ডলীয় এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। এই জংলি ঝুমকো প্রজাতিটির সাধারনত দুই ধরনের ফুলের রঙ হয়। সাদা ও বেগুনি। সাদা ফুল সহজে দেখা যায়না। বেগুনি রঙের ফুলই বেশি দেখা যায়। বন্ধুর ব্যালকনিতেও ঐ বেগুনি রঙেরই ফুল। অবশ্য আরো কিছু রঙের ভ্যারাইটিও ... ...
ভেবে দেখলে বলার অনেক কিছু ছিল । বিলম্বিত সাত সুর কিংবা দরদী চোখের চাহনি । সব ছেড়ে চলে যেতে পারি , এমন আশ্বাসও দিতে পারতাম ৷প্রশ্নটা সময় নিয়ে , কতটুকুই বা নিজেকে ভালবাসা যায় অন্যের বেঁধে দেওয়া সময়ে ? পৃথিবীতে যথেষ্ট সময় নেই আজকাল ৷সিনেমা হল থেকে বেরিয়ে তর্ক করি ৷ আসলে তর্কটা আগে থেকেই ছিল ... ...
আজ সকাল থেকে শরীরটা ভালো ছিলো না। তাই কিছু লিখবো না বলেই ঠিক করেছিলাম কিন্তু সেটা হলো না। আজ রুমে মধ্যে একটি অপ্রত্যাশিত ঝগড়া ঝাটি হয়ে গেলো। পশ্চিম বঙ্গের এবং বাংলাদেশের থেকে আসা দশ জন বাঙালির বসবাস এখানে। তবে এর মধ্যে দুই তিন জন ভেজাল বাঙালি মানে আধা বাঙালি। অথচ অদ্ভুত ভাবে বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের সরকারের অন্ধভক্ত। হিন্দুবাদীর বলবেন। ওরা মুসলিম বলেই ঐ সরকারকে সমর্থন করে। আমি একা হিন্দু তাই এই সরকারের বিরোধিতা করি।" স্বাধীনতা" নেই আজ আমাদের চিন্তাভাবনায় ও।ঝগড়া প্রসঙ্গ ছিলো বাংলার শিল্প বন্ধ । কিন্তু আলোচনা শেষে হলো কেন আজান বন্ধ হয়েছে মসজিদে সেটাতে। আলোচনা বন্ধ করতে বাধ্য হলাম ... ...
আজ সকাল থেকে প্রবল বৃষ্টি। এই বৃষ্টির মধ্যে একটা অদ্ভুত ব্যাপার আছে। মানুষকে খামোকা নস্টালজিক করে তোলে। যে দিনগুলো একেবারেই গেছে, কিছু বাকি নেই, সেগুলো কে ফিরে পাবার জন্যে মন আকুলি বিকুলি করে। কবি বোধহয় একেই বলেছেন "দুঃখবিলাস"। তখন আশুতোষ কলেজের প্রথম বর্ষ। কদিন ক্লাশ করার পরেই বুঝে গেলাম কার কার ক্লাশ করতেই হবে। আর কার কার ক্লাশ কাটা যায়। তখন আমরা সেই উদ্দাম আঠারো ... ...
একচল্লিশে এসে কাঞ্চনের শেষমেষ বিয়েটা হল। পুলিশের চাকরিতে বিয়ে করা সম্ভব নয়। আজ বালি তো কাল বলাগড়ে বদলি। তারপরে দিবারাত্র অপরাধীদের সঙ্গে সহবাস। জীবন যেন হাঁসফাঁস। তিতিবিরক্ত জীবনটাকে আর বিয়ের বাঁধনে বাঁধতে উৎসাহী ছিল না। কিন্তু অমলেশ কাকু ছাড়লেন না। প্রায় ঊনসত্তরটি পাত্রী দেখে কামিনীকে ফাইনাল করেই ফেললেন
খড়ের উপর পড়ে থাকা আস্তরন ; শিশিরের ঘাম । / পাড়া গাঁয়ের ছেলে মেয়ে জানে তার ঘ্রান ।
নীল-দীঘিতে ঝপাং করে শব্দ সন্ধ্যাকালেসঙ্গে সঙ্গে কালবৈশাখী ঝড়;ভেসে উঠলো কবিতা'দির লাশটা সকালেদূরদর্শনে অকাদেমির খবর!!
আত্মহত্যার কথা ভাবছিলাম আমি, জলের রহস্য ক্রমশ ফিকে হয়ে আসছিল, পুকুরের এ মাথা থেকে ও মাথা সন্তরণ, আর ঘোলাটে সবুজ শ্যাওলার ফাঁকফোকরে বিচরণ, আর ডুব, আর ডুব অহেতুক, ভুস করে ভেসে ওঠা মাঝে মাঝে...এই তো...এতো অর্থহীনতা, মনোজাগতিক পরিধির এতো সীমাবদ্ধতা আমাকে বিষণ্ন করেছিলো ক্রমাগত
৬০/৭০ বছর আগে --- / ঘরের জানলা খুললে সূর্য ওঠে / বারান্দাতে অস্ত যায়, / দক্ষিণ হাওয়া পাগল করে / এমন বাড়ী পাবে কোথায় ?
কানানদীর ওপরের বাঁশের পোল পেরিয়ে, সদগোপ পাড়া ডাইনে রেখে, ভাঙা শিবমন্দিরের উল্টোদিকে দত্তবাড়ী। তাদের মাটির দোতলা, কাঠের মেঝে। সেই বাড়ির বড় বৌ সাতসকালে এক গামলা, ধোঁয়া ওঠা ফেনেভাতে ঘি আর মটরডালের বড়া মেখে গ্রাস করে খাইয়ে দিত ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের। সেই ছোটদের দলে আমার মাও ছিল।এই চর্বিত চর্বন বারংবার শুনতে আমার বিরক্ত লাগলেও, প্রতিবার ঐ স্মৃতিটুকু বলতে গিয়ে মা মনে মনে পৌঁছে যেত সেই কাঠবারান্দায় ... ...
( দ্বাদশ ও অন্তিম পর্ব ) দীপ্সিতার ফোনের জন্য সকাল থেকে অপেক্ষা করে বসে আছে কলতান । সে নিশ্চিত ছিল এ ফোনটা আসবেই । দীপ্সিতার কল এল এগারোটা নাগাদ । ------ ' হ্যা বল দীপ্সিতা ..... কিছু এসেছে ? '----- ' হ্যা স্যার ..... রিপ্লাই এসেছে । সাড়ে চারটের সময় লেকের পাশে দেখা করতে রাজি হয়েছে ..... '----- ' ওহ্ .... ফ্যান্টাস্টিক । তুমি তৈরি হয়ে যাও .... '----- ' কিন্তু .... আমার খুব ভয় করছে স্যার ... ...
পাড়ায় ঢুকতে ঢুকতে পাঁচটা বেজে গেল । স্বস্তিক দাঁড়িয়ে ছিল রাস্তার মোড়ে । ঠিক দাঁড়িয়ে ছিল না , ওখানে অস্থির পায়চারি করছিল । রুদ্রা হাঁচোড়পাঁচোড় করে এসে পড়ল সেখানে ।----- ' কি হল ..... কতক্ষণ দাঁড়িয়ে আছ ? ' তাড়াহুড়ো করে আসতে গিয়ে হাঁফিয়ে গেছে রুদ্রা ।----- ' তা ... প্রায় কুড়ি মিনিট হবে ..... '----- ' এত ট্র্যাফিক জ্যাম ... ...
ব্রেকিং নিউজ। দত্তবাবুর অপরাজিত দেখলাম এবার রায়বাবুর অপরাজিতকেও পিছনে ফেলে দিয়েছে। আইএমডিবিতে দত্তবাবুর অপরাজিতর রেটিং এই মুহূর্তে ৯.৬। রায়বাবুর অপরাজিতর রেটিং মোটে ৮.৩। বললে বিশ্বাস করবেন না, পথের পাঁচালিরও তাই। সিনেমা রিলিজের আগে খবরের কাগজে ডেন্টিস্টের অস্ত্রোপচারের বিবরণ পড়ে নিজেরই দাঁত কটকট করছিল। রিলিজের পর "জিতুবাবুই কি আসল রায়বাবু?" এই মর্মের "রিভিউ" দেখে ... ...
অঝরে ঝরে যায় শত পাতা খবর রাখেনা কেউ ।আবগারি দপ্তরে দেয় ঘিরে থাকে জঞ্জাল স্তূপ ।।কংক্রিটের শহরে ওলি-গলি বেঁকে যায়খবর রাখেনা কেউ । ছেঁড়া বই ভেজা গন্ধ ক্যালেন্ডারের প্রতি তারিখ ভারি ঝাপসা খানিক অস্পষ্ট ।
কলতান দীপ্সিতাকে নিয়ে গিয়ে স্থানীয় থানায় একটা জেনারেল ডায়েরি করালো। দেখা গেল ও সি মোহন সিং কলতান গুপ্তর নামের সঙ্গে ভালভাবেই পরিচিত। কলতানকে অবশ্য এই প্রথম চোখে দেখল সে । যথেষ্ট সম্মান দেখাল কলতানকে । ----- ' আপনি চিন্তা করবেন না ..... কয়েক ঘন্টার মধ্যে ট্রেস করে ফেলব ...... ' মোহন সিং-এর স্বর আত্মবিশ্বাসী ... ...