পৃথিবীতে যেভাবে অনেক বড় বড় সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছে সেই একই ভাবে আবার সেগুলো সময়ের সাথে সাথে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।.একসময় আলেকজান্ডার বিশ্ব জয় করেছিল আজ তার মেসিডােনিয়া বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশ হিসেবে পরিচিত।.চেঙ্গিস খান পুরাে এশিয়াতে তার সাম্রাজ্য বিস্তার করেছিল , তার সাম্রাজ্যের দাপটে তখনকার শক্তিশালী সাম্রাজ্য গুলোও ভয়ে কাপতো। বর্তমানে এশিয়ার মানুষরা তার দেশ মঙ্গোলিয়া সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানেই না।.৬২৪ বছর পৃথিবীর তিনটি মহাদেশ শাসন করা অটোমান সাম্রাজ্যেও এক সময় তার পতন হয়েছে। পাঁচশো বছর ভারতবর্ষ শাসন করা মোগল সাম্রাজ্যের কোন রাজনৈতিক অস্তিত্বই নেই।.পারস্য , রোমান , গ্রীস , বাইজেন্টাইন , ব্রিটিশ , সোভিয়েত প্রতিটি সাম্রাজ্যের উত্থানের সাথে পতনও ঘটেছে। হয়তো ... ...
আবার যদি যদি ফিরে আসি ঘরেসমস্ত ভুল ফেলে রেখে পদ্মপাতার প রে ছায়াতরু আর মায়াতরু দের সাথে আড়ি করে দেব।
রোদ্দুরে গায়ে ফোস্কা পড়ে দাও ব্যাটাকে ভেতরে পুরে। বাইরে সবাই থাকবে ঠান্ডা-'দো ফুল এক মালী'র ঝান্ডা।।
ক্রিস্টোফার বলতো, ও রোদের কথা শুনতে পায়।আমরা হাসতাম। ক্রিস্টোফার পেরেইরা, আমাদের স্কুল ফ্রেন্ড, ব্যাপটিস্ট ক্রিশ্চিয়ান, সিল্কি লাইট ব্রাউনিশ হেয়ার, কাঁধ অবধি গড়ানো, মুখের হালকা দাড়িতে ওকে অনেকটা জর্জ হ্যারিসন যেমন অল্প বয়সে ছিলেন দেখতে, তেমনটা লাগতো।ও না পারতো গান গাইতে, না পারতো গিটার বাজাতে। তবে নিমগ্নতা ছিলো ওর, আত্মনিমগ্নতা।অন্যদিকে আমরা ছিলাম ছটফটে, অস্থির। আমাদের তাড়া ছিলো অকারণ ছুটোছুটির। আমরা যখন হুল্লোরে ব্যস্ত, তখনও ক্রিস্টোফার একা, চুপচাপ ওর পায়ের কাছে আদুরে বিড়ালের মতো গুটিশুটি শুয়ে থাকা রোদের দিকে তাকিয়ে সময় কাটাতো।আমরা জানতাম না রোদ কথা বলতে পারে কিনা, জানতাম না রোদের কোনো ভাষা আছে কিনা আদৌ, কিন্তু ক্রিস্টোফার বলতো মৌনতার নিজস্ব ... ...
একটা লোক দিনান্তে শুয়ে থাকে । হাতে তার কালো রক্ত জমে থাকে , সাদা চাদর তার ইতিহাসের কথা বলে। শান্তি ওমঃ !
মান্যবর ও অমৃতা ঘোষের বর তুহিন ঘোষের অশেষ গুঁতাগুঁতিতে অবশেষে গুরুচণ্ডা৯-র একজন হরিদাস পাল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করিয়াছি। বঙ্কিমের বাঙ্গালা নামে আমার প্রথম লেখাটি পড়িবেন। মোক্ষলাভ যদি নাও ঘটে, পাইবেন ভাবনার উপাদান।
সাবভার্সানকে অনেকেই সন্দেহ করেন। আমিও। কারণ, সাবভার্সান সন্দেহজনকই। মঞ্চের কোন কোটপ্যান্টশোভিত কেষ্টবিষ্টুর দিকে হঠাৎ ধেয়ে আসবে পচা ডিম, কখন স্টেজের বক্তার পশ্চাদ্দেশে চিমটি কেটে পালিয়ে যাবে কোন ফচকে ছোঁড়া, কেউ জানেনা।সাবভার্সানে অনেকেই ফুর্তি পান। আমিও। কারণ সাবভার্সান ভবিষ্যৎবাণীর ঊর্ধ্বে। কারণ কখন কোন রোদ্দুর রায়ের মৌখিক খাঁড়া কখন কার উপর নেমে আসবে, কার মোক্ষপ্রাপ্তি হবে আজকের শুভপ্রভাতে, কেউ জানেনা। আমরা যারা ন্যালাভোলা কেরানিযাপন করি, তাদের ওইটুকুতেই ফুর্তি। কারণ ওর বেশি আমাদের মুরোদ নেই।সাবভার্সানে অনেকেরই অস্বস্তি হয়। আমারও। কারণ সাবভার্সান অস্বস্তিকরই। আমরা যে দাদ-হাজা-চুলকুনিকে পোশাকের নিচে চেপেচুপে রাখি, শত প্ররোচনাতেও চুলকে ফেলিনা, সাবভার্সান, সেই দাদ-হাজারই উদযাপন করে। রোদ্দুর রায়ের কার্নিভ্যাল ফুর্তির বসন্তোৎসব ... ...
৫ই জুন , ১৯৮৯।অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের অফিশিয়াল ফটোগ্রাফার জেফ ওয়াইডেনার তিয়েনআনমেন স্কয়ারে ছবি তুলছিলেন। ওই সময় চিনে রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় গণতান্ত্রিক সংস্কারের দাবিতে ছাত্ররা বিক্ষোভ করছিল।,হঠাৎ তার ক্যামেরার ফোকাসে সাদা শার্ট গাঢ় রংয়ের ট্রাউজার পরা শপিং ব্যাগ হাতে এক তরুণ এসে যায়। ছবির কম্পোজিশন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ভেবে জেফ প্রথমে কিছুটা বিরক্ত হয়েছিলেন। তখনো তিনি ভাবতে পারেননি যে এই ছবি এক সময় ইতিহাস সৃষ্টি করবে।,অকুতোভয় ওই তরুণ ট্যাংক কলামের সামনে হাত উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে পড়লে পুরো ট্যাংক বহর থেমে যায়। ফোকাসে চোখ রেখে তাকে ট্যাংকের ক্রুদের সাথে কথা বলতে দেখেন জেফ।,লিড ট্যাংক দুইবার পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও ওই তরুণ প্রতিবারই স্থান ... ...
অফিসে বিশাল চাপ। রীতিমতো বিষফোঁড়াতে খোঁচা দেওয়ার মত ব্যাবস্থা। সবকিছু সামলে সবেমাত্র লাঞ্চ বক্সটা খুলেছে সন্দীপ। মোবাইলটা হঠাৎ বেজে উঠলো।মিনা'র ফোন। মিনা সন্দিপের স্ত্রী। ফোনটা রিসিভ করল সন্দীপ।মিনা : (ঝাঁঝালো স্বরে) তুমি কি আমায় বিয়ে করেছ নিজের মায়ের দাসী ভেবে? সারাদিন কাজ আর কাজ, আমি আর থাকতে পারছি না তোমার মায়ের সঙ্গে। এক্ষুনি এসো তুমি, আজ কিছু একটা হেস্তনেস্ত করতেই হবে।সন্দীপ : মাথাটা ঠাণ্ডা করো মিনা,আমি রাতে গেলে কথা হবে, অফিসে বিশাল চাপ, বেরোতে পারব না।মিনা : ঠিক আছে,কাজ নিয়ে থাকো আমি চললাম বাপের বাড়ি ( পাশ থেকে মায়ের চিৎকার যাও যাও বাপের বাড়ি, আমি আর আমার ছেলেটা শান্তি পাই)।সন্দীপ ... ...
সঙ্ঘ পরিবার সবচেয়ে বেশি ভারত ও ভারতীয়ত্ব বিরোধী। ভারত মানে বহুত্ববাদ, ভারত মানে বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য, ভারত মানে মিলেমিশে থাকা। সঙ্ঘ পরিবার ভারত তো বটেই হিন্দু ধর্মেরও কলঙ্ক। এক সম্প্রদায় ( নাগপুরি ব্রাহ্মণ), এক ভাষা, এক খাদ্যাভ্যাস ভারতীয় ধারণার বিরোধী।ভারতের হিন্দুদের খাদ্যাভ্যাস বিচিত্র।এমনকী বেদ উপনিষদে বর্ণিত খাদ্যাভ্যাসের বিরোধী সঙ্ঘ পরিবার ও তার শাখা সংগঠন ভাজপা। রামায়ণ একটি সুলিখিত মহাকাব্য। তার বর্ণনা অনুযায়ী রামচন্দ্র এবং সীতা তো নিরামিষ খেতেন না। রীতিমতো বহু ধরনের মাংস খেতেন। এবং সঙ্ঘ পরিবারের বেছে বেছে আপত্তি করা একটি বিশেষ মাংসের রুচি ছিল বলেই তো রামায়ণ বলছে।মহাভারত। আরেকটি বহু পঠিত বহু শ্রুত মহাকাব্য।তাতে 'অনুশাসন' অংশ পড়লে কী পাবেন।পিতৃআত্মা তো ... ...
গায়ে মাছি ভনভন করছে, নোংরা শতচ্ছিন্ন শাড়ির আদতে কি রঙ ছিলো ভগবান জানে, বুড়ি কাউকে থুতু ছেটায় কাউকে বিচ্ছিরি গালি দেয় তবুও শনিবার সকালবেলা হলেই মতিলাল রোডের দত্ত বাড়ির নিচে বড়লোক বাবু বিবির ভীড়। কারোর হাতে মিষ্টির প্যাকেট,কেউ বা শাড়ি এনেছে, কেউ আবার কুকিজারের কেক। বলা তো যায় না বুড়ি কার বইতে হাত দেবে। বই বলতে আবার পড়াশোনা ভেবে বসবেন না, রেসের বই। ঘোড়ার নাম, একজনকেই কানেকানে বলবে। ব্যাস তার জ্যাকপট। ব্যাপারটা কী করে বোঝা গেল বলি, যে বাড়ির নিচে বুড়ি আস্থানা গেড়েছে, সে বাড়ির মালিক দত্তবাবু রেসের মাঠের নিয়মিত যাত্রী।অমন চমৎকার বাড়ির নিচে এমন বিচ্ছিরি পাগলি, গায়ে গন্ধ, হতকুচ্ছিত ... ...
বোর্ডের পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে মানুষ হওয়া না হওয়ার কোন সম্পর্ক নেই। পিরিয়ড। একথা সবাই জানেন। শুধু গুটি কয়েক মা বাবা ছাড়া। ওই ইচ্ছে সিনেমাটার মা র মতন যারা। তবে এইপ্রসঙ্গে আমার কেমন একটু সমস্যা মনে হয়। প্রথমত, মানুষ হওয়া কাকে বলে? সমাজের সকল স্তরে কি "মানুষ হওয়ার " ডেফিনিশন এক? এবং সেই স্ট্যান্ডার্ডও কি সময়ের সঙ্গে এক থাকে? আমি যে ভ্যালু সিস্টেমএ বড় হয়েছি সেখানে মদ্য পান করা আর অমানুষ কথাটা সমার্থক। আজকে সে কথাটা বললে ঘুড়াতেও হাসবো কর্তা। আবার সেই সমাজে মাতৃআজ্ঞা শিরোধার্য করে বউকে পাত্তা না দেওয়াও খুবই চলে। শেখাব আজকে ছেলেকে সে কথা ? আবার আমার কাছে বাবা-মাকে ... ...
আজ দেখাবো মহেঞ্জোদারো আবিষ্কারের এক উল্লেখযোগ্য বিষয়। আজ থেকে প্রায় 100 বছর আগে 1922 সালে রাখালদাস বন্দোপাধ্যায় মহেঞ্জোদারো খনন করেন আর বিশ্বকে এই প্রাচীন সভ্যতা সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল করেন। মহেঞ্জোদারোর ঠিক আগেই হরপ্পা আবিষ্কার হয়ে গেছে কিন্তু সিন্ধু সভ্যতার মতো একটা বিশাল সভ্যতার ইঙ্গিত তখনও পাওয়া যায় নি। আসলে হরপ্পা যে একটা আলাদা সভ্যতা তাও পরিপূর্ন ভাবে বোঝা যায়নি তখনও। এমন সময়ে রাখাল দাসকে পাঠানো হল মহেঞ্জোদারোতে কাজ করতে। আপনাদের যাদের মহেঞ্জোদারো সম্বন্ধে একটু ধারণা আছে তাঁরা জানেন যে মহেঞ্জোদারো ধ্বংসাবশেষের ওপরে একটা কুষাণ যুগের বৌদ্ধ স্তুপ আছে। তখন ওই স্তুপটাই লক্ষ করা যেত আর তার ফলে এটা ধরে নেওয়া হয়েছিল ... ...
শ্রডিঙ্গারের বিড়ালের মতোশিরদাঁড়া শত শতধার্মিক বিষেবন্দী বাক্সেজীবন্ত নাকি মৃত!?
[লেখক ইরফানুর রহমান রাফিন তাঁর সময়রেখা বইটি উৎসর্গ করেছেন তরুণ জৈবপ্রযুক্তিবিদ খোরোশকোভা লিলিয়াকে। ২০২০ সালের ৩ জুন চলে যান লিলি। দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।] লিলিয়া কলেজে আমার এক বছরের জুনিয়র ছিল। সামান্য পরিচয় ছিল। ওকে দূর থেকে দেখে একটু অবাক হতাম। মুখের ধাঁচ গায়ের রঙ কিছুই বাঙালিসুলভ নয়। নামটাও কেমন জানি। বিদেশি বিদেশি লাগে। অথচ আমার জানা ছিল সে মানিকগঞ্জের মেয়ে। এসব ক্ষেত্রে যা হয়, এক জুনিয়রকে ধরলাম। সে আমাকে জানাল মেয়েটা পুরোপুরি বাঙালি নয়। মায়ের দিক থেকে শরীরে রুশ রক্ত আছে। ছোটবেলা থেকেই রুশ সাহিত্যের সাথে পরিচয় ছিল। আলেকজান্দার পুশকিনের ক্যাপ্টেনের মেয়ে খুব প্রিয় ছিল। পুশকিনের উপন্যাসের কেন্দ্রীয় নারী চরিত্র ছিল ... ...
আলোকচিত্র। খুররম পারভেজ মাতৃগর্ভে ফিরে যাওয়ার স্রেফ একটা রাস্তাই মানবিক।জীবনভর পরিব্রাজনের পর ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়া।কোন এক নদীর তীরে, ঘাসের বিছানার নিচে।অথচ ছোট্ট জেয়ান জীবনের কিছুই দেখল না।— ছয় বছরের জীবনে কতটুকুই বা দেখা যায়?সে জানল না ছেলে থেকে ব্যাটাছেলে হতেএকটা লোককে কয়টা শৈশব ফেলে আসতে হয়!সে জানল না প্রথমবার প্রেমে পড়ার পরপাশের বাসার মেয়েটিকে কেন হেলেন মনে হয়!সে জানল না অক্ষরে হারিয়ে যেতে যেতেনিজেকে কেন পামুকের কোনো চরিত্র মনে হয়!সে জানল না খেলায় হেরে যেতে যেতেএকদিন হঠাৎ জিতে গেলে কেমন লাগে মানুষের!— ছয় বছরের জীবনে কতটুকুই বা জানা যায়?সে শুনল না তার তুষারে ছাওয়া দেশেরশ্বাস রুদ্ধ কান্না, যা আতশ-ই-চিনার হয়ে ... ...
কুবের তো নই, তাই উবের চড়তে ভয়। ওলা? আছে টাকার ঝোলা? নেই। তাই রাপিড। সে তো খাপিড। টাকার অঙ্ক বাড়াইয়া দিলে তবে যাইব। বাড়াইয়া দিব! তো খাইব কি? বাজার আক্রা। কে কথা বলবে? তখনো কে কে পর্ব আসে নি। মৌন মুখর হয়ে উঠবে মুখবদন-- কে জানতো। ফেসবুকে সাড়া পাইনে, কে কে সাইনে বুঝিলাম -- উহারা সব লক্ষ্য করিয়া থাকেন, 'উপর্যুক্ত' নরম সরম লক্ষ্যবস্তু পাননি বলিয়া চরম অসন্তোষে ছিলেন। এইবার মিলিয়াছে। ইউরেকা ইউরেকা। সহি 'ভারতিয়' হইবার পেরমাণ দিবার নাগপুরিয়া বা এম্নিপুরিয়া অনুপ্রেরণা জুটিয়াছে-- খাপ আর খাপ খাইয়ে নিতে পারলেই লাইক লাইক লাইক।আমি তো চৈতন্য অনুপ্রেরণার মানুষ। মাথা ঝোঁকানো হাত তোলা লোক। উবেরে ... ...
স্বৈরতন্ত্রের সাথে সময় নিয়ন্ত্রণ করার সম্পর্ক আছে। যে-কোনো কাজে সরকারি অফিসে গেলে টের পাবেন। কোনো প্রয়োজন ছাড়াই আপনাকে দাঁড় করিয়ে রাখবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অকাজে। মূল উদ্দেশ্য হল আপনাকে একটা বার্তা দেয়া। যে তোমার শুধু শরীর না, মন না, খোদ সময়টুকুও আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। চাইলে এটাকে অপেক্ষা করানোর রাজনীতি বলা যায়। ... ...
Ketil Bjørnstad এর Nåde। নদে মানে দয়া। আনিস পারভেজের মতে, এ হলো য়ুরোপে বাংলাদেশের ওপর লিখিত প্রথম উপন্যাস (১৯৯৮)। ক্লুৎ হামসুন (Knut Hamsun) আর হেনরিক আবেলের দেশের মানুষ বাংলাদেশ নিয়ে লিখেছেন বলে 'উরি বাবা এ কী' বলে চিত্তর হয়ে পড়তে হবে তা না, তবে দূর-থেকে-দেখার একটা সুযোগ তো পাওয়াই যায়।স্থান থেকে স্থানান্তরে ছুটে চলা উদবাস্তুকুল, সংখ্যালঘুতার কষ্ট, রাজনৈতিক অস্থিরতা, ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ পুলিশ দ্বারা ইয়াসমিন আক্তারকে গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা, নর্শ্ক যাজকের এসে ত্রাতার ভূমিকা নেওয়া—এ সবই উপন্যাসের আধেয়র অন্তর্গত, ফ্ল্যাপ পর্যন্ত এই মন্তব্য। সহজেই প্রভাবিত হওয়ার প্রবণতার দরুন (but again, thus I can remain wide open to dissents) হয়তো ... ...
ক্যোরামিত্র আনিসুর রশিদ দিপু ভাই কাল বুকার পাবেন কি না বা মধ্য পঞ্চাশে গিয়ে লিজিয়ঁ দ্যনর পাবেন কি না তার ভবিষ্যদবাণী করতে পারব না। কিন্তু কেউ লিজিয়ঁ দ্যনর না পেলেও তাঁদের লেখাপত্র-হাস্যরস আর মোড়-ঘোরানো চিন্তাভাবনা আমাদের প্রাতিস্বিক জীবনটা আরেকটু সহনীয় করে তুলতেই পারেই, আমাদের আজন্মবাহিত চিন্তাকে চ্যালেঞ্জ করতেই পারে। স্টেজলাইট তাঁর ওপর এসে না পড়লেও ওয়াইজঘাটে বসে ঠান্ডি সর্দ হাওয়া খেতে খেতে তাঁর ভাষণ আমরা শুনতে পারি। সেই ভাষণে এমন কিছু থাকতে পারে, যা কোনো বুকারজয়ীই কখনো বলতে পারেন নাই। তাই মঞ্চ-নাকাঁপানো এক অসফল অখ্যাতনামা ব্যক্তি—তাঁর ভাষায়—যাঁর পড়ালেখার পথ আর কাজের ক্ষেত্র দুদিকে চলে গেছে, তাঁর স্বলেখন-অটোগ্রাফ। বইটা লা মার্খে শ্জুন—দ্য ইয়েলো ... ...