৫০৫৫ সাল। পৃথিবী ভয়াবহ বিপদে পড়লো। অন্য গ্যালাক্সির প্রাণীরা আক্রমণ করলো পৃথিবীকে।মানুষ দিশেহারা। বৈজ্ঞানিকরা ব্যতিব্যস্ত। কী উদ্দেশ্যে এই আচমকা আক্রমণ! ইন্টার-গ্যালাক্সি পিস ট্রিটি লঙ্ঘন করে এমন আক্রমণ নজিরবিহীন! কী চায় দূর গ্যালাক্সির অধিবাসীরা?চায় একজন কবি, আর একজন শিক্ষক। তাঁরা কয়েকবার দূত মারফত সবিনয়ে এই দাবী পেশ করেছে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান দপ্তরে। কিন্তু কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান দপ্তর তাদের অপারগতা প্রকাশ করেছে দূর গ্যালাক্সির অধিবাসীদের কাছে, কারণ, পৃথিবীতে কবি আর শিক্ষক আপাতত নেই।পৃথিবীর সর্বশেষ কবি চাটুকারে পরিণত হয়েছেন দীর্ঘদিন আর সর্বশেষ শিক্ষক অনেকদিন আগেই চাকুরি নিয়েছেন জুতার দোকানে। ... ...
অদ্বৈতবাদ দর্শন বলে: ব্রহ্ম সত্য জগৎ মিথ্যা! যীশুখ্রীষ্ট ফিরে এলেও, সংঘটিত হবে একই হত্যা - জুডাসের দল তৈরীই থাকে! কৃষ্ণবানী কি বৃথা যায়? - হচ্ছে যা তা বিকিকিনি হাট; হবেও যা সে জঙ্গল প্রায়!
~সত্যি বলতে ভীষণ সাংসারিক টাইপের সিনেমাটা, সংসার : ভালো না খারাপ? দেখ, এসব আমি বলছি না যে সংসার করা খারাপ, না না ভালোই, হ্যাঁ ভালোই তো, কিন্তু কী বলতো সিনেমাটা আমার পছন্দ হয়নি...গতকাল এক বন্ধুর সাথে কথা বলতে বলতে হঠাৎ সংসার প্রসঙ্গ উঠে আসে। আমি বুঝতে পারি হঠাৎ বলে ওঠা "সাংসারিক টাইপের" কথাটা কীভাবে আমি নেবো তা আমার বন্ধু বুঝে উঠতে পারেনি। সে চেনে আট বছর আগের এক মেয়েকে, সেজন্য অনায়াসে আমার সামনে বন্ধু বলে ফেলে, "সাংসারিক টাইপের...."। তারপর তার খেয়াল হয়, আট বছর পেরিয়ে গেছে মাঝে। আট বছরে সে কি জয়শ্রী ম্যাডাম এর তাৎক্ষণিক লেখা ক্লাসে "সংসার" বিষয়ে যে বিশ্ব ... ...
"এতদূরে সরে গেছো/ নিভৃত সৃজন ফেলে/ অন্য নির্মাণে―" কথা নয়, আমি রূপকথা হতে চাই। এ জন্মে যা কিছু দেখতে পেলাম তার সবই প্রতিফলিত। বিপরীতে থেকে গেল প্রথা অনুসারে। নিয়ম মেনে, নিষ্ঠা ভরে শিউলিগুলো মাটিতে ঝরে পড়েছে। অবিন্যস্ত। কিন্তু ওদের গন্তব্য একক। এরপর ধুলো বালির পরতে সেই শ্বেতশুভ্র স্নিগ্ধতা ম্লান হয়ে আসে। তাদের ফিরে যাওয়ায় একক এর অনুভূতি থাকে। তাকে আমি ডাকলাম অদ্বিতীয়া বলে। ওদের আসা যাওয়ায় পরিবর্তন শুধু সহনের, অপেক্ষার। যে অপেক্ষায় চোখের নীচে সন্ধ্যে নামে। এমন দুই অপেক্ষার মধ্যে তবে এত দূরত্ব, এত অসমাপ্য দ্বন্দ্ব, এত বিরোধ, এত প্রভেদ। এ জন্মে কোনও এক অপেক্ষা অদ্বিতীয়া হয়ে উঠতে পারলনা। অস্বচ্ছ দৃষ্টি ... ...
অভিসার মানে ঠিক ততটা যাওয়া নয়, যতটা যেতে চাওয়া ~সুনেত্রা ঘটকআজ থেকে প্রায় বছর পাঁচেক আগের কথা। "শ্রীকৃষ্ণকীর্তন" পড়তে পড়তে বছর সতেরোর যে মেয়েটা ভাবে, 'এসব আবার কী?, ভীষণ বোকা বোকা তো!', যুক্তি-তর্কের যূপকাষ্ঠে 'অভিসার' শব্দ বলিপ্রদত্ত হয় যার নিষ্ঠুর হাতে; সেই হাত আজ কাঁপছে। তীব্র অনুকম্পন। প্রতিটা আঘাত, নিজের প্রতি ধিক্কার ছারখার করে দিচ্ছে এক ঘৃণিত বাইশকে। যন্ত্রণার দায় প্রতিবারের মত এবারেও মাথা পেতে নিয়েছে কালো ফ্রেমের আড়ালে ... ...
জিভে প্রেম করে যেই জন, সেই জন মরিবে সত্বর।
।। তোতাকাহিনী - ২ ।। কলমে - পরীক্ষিৎ মান্না রাজামশাই গত হয়েছেন বহুদিন হয়ে গেল। তৎকালীন পরামর্শদাতারাও ব্রাত্য হয়েছেন। রানি এখন রাজ্য চালানোর পাঠ অনলাইনেই নেন। দিনকাল মোটেই ভাল নয়। বিশ্বাস করা যায় না কাউকে। বিশ্বাস নেই প্রায় নিজের ছায়ার প্রতিও। নিন্দুকের সংখ্যাও বেড়েছে। তার সাথে পাল্লা দিয়ে প্রচারকের সংখ্যা। পোষ্যের সংখ্যাও দিন দিন আকাশ ছুঁচ্ছে। সকলকে নিয়েই চলতে হয়। গণতন্ত্র বলে কথা! আগেকার দিন তো আর নেই। রাজার কথাই শেষ কথা ছিল সেই সময়। তবু, মাঝেমধ্যে কিছু সিদ্ধান্ত নিতেই হয় একান্ত নিরুপায় হয়ে। এই যেমন, তোষামুদে নির্বাচন, প্রশাসনিক পরিবর্তন, উপঢৌকন বাছাই ইত্যাদি ইত্যাদি। এর মধ্যে আবার উড়ে এসে জুড়ে বসেছে তোতার ... ...
পাড়ের মাঝে জোড়াতালিছিন্নভিন্ন টুকরো কথাজুড়তে গেলে নকশি কাঁথাআলগা সুতো জমকালো বেশগাঁথতে পারা, ছিঁড়তে পারা,সূক্ষ্মসূচীর পত্রমালাপাথরকুচিবিস্মৃত প্রায়গতজন্মের দ্বিপাক্ষিকসারি বাধা, জড়িয়ে বাঁধাকঙ্কালসার ভুল;বাধন খুলে বাঁধতে থাকা অনিয়মিত অন্যনামেনামমাত্র মাত্রনামেপৌষালী এক আরোপ দোষেএক ফসলি উক্তি স্বীকারঋতম্ভরা, কঙ্কাবতীনীলকণ্ঠ ভ্রান্তিসমজন্মায় না পুনঃপুনঃ।ফাঁসিকাঠে মৃতদেহনয়ানজুলিগা ডুবিয়েরূপনারাণী রূপের খোঁজেমোহনমাঝিনৌকাডুবিতুর্কিনাচন-মরণবাঁচন,ক্ষণিক মাঝে ধনেখালিনীরাগ সজলপদ্মনয়ন,রক্ত ওঠে ফিনকি দিয়েবিন্নি ধানের খই।খানিক হৃদয়, হৃদয় ক্ষণিকভাষা-ভাঙা-পাড়ভাঙা-পাড় ভাসেআশমানি স্বরঅমলতাসে,নোঙর তোলাপ্রলাপ-গোলাপ,বকুল ঝরে কই?নোনতা স্বাদেগল্প ভুলেভুল গল্পের মাশুল গোনেমাত্রাবহু!সপ্তপর্ণীতিনসত্যি তিনসত্যিমন্দভালো তাসের বাসাযাযাবরী চালেআশাবরী গানসব সত্যি। তিন সত্যি।কল্পতরু, মৃদঙ্গ তাইশুনতে হবে তাও সত্যি।আলফানি গান শুনতে পেয়েউলগুলানের ভয় পেল যেকৌরবী নদীপ্লাবনী বেগে,উরু-মেরু খন্ড বেচে,মহুয়ার নামে দিব্যি ক'রে,জলের দরেআচম্বিতেহৃদয় কিনে;নকশি কাঁথায়,ভিজতে থাকাআলগা সুতোয়,ইস্কাবনে;ওরা সব পালিয়ে বাঁচেওরা সব পালিয়ে বাঁচে। ... ...
সেযেন একবুক বিষাদের মতো। সেই বিষটুকু হোক আমার। ...........……...............………….............................................যতটুকু শোক, যতটুকু ক্ষোভ, যতটুকু পরিচয়তবু যেন কারও অসম নিরীক্ষণ। বিলাপী আলাপ, গোলাপি সুতো, প্রত্যাশী কেউ উড়তে থাকে, অন্য পাতায় ঝরতে থাকে, অন্য ফুলের নাম।সে। যেন আমার চেনা মানুষের ছায়ার মতো। সেই ছায়াটুকু হোক আমার।…...................................................................................যতটা ক্ষত, যতটা অশ্রু, যতটা সমর্পণতবুও তো তার অস্বচ্ছ অনুমান। আলাপী বিলাপ, মরচে শিকল, বিপরীতে কেউ ঝরতে থাকে, শালুক জলে ডুবতে থাকে, মৃত গতকাল।এমন ক'রে, বিষের পাত্র নিয়ে আমি ফিরে যাই। একজন্ম পারাপার..... আমি ফিরে যাব। ................................................................................. ... ...
তুমি সেদিনও ভাবতে চাইতে সন্ধ্যে হওয়ার আগে দূর থেকে কেউ তিস্তা নামে ডাকে, শুধু কোনও অভিঘাতে এটুকু জানতে পারনি বধিরত্ব তোমার জন্মগত অধিকার। তার সাথে সাথে অনুরণন আসে, এমন ভাবে, যেন, নামান্তর বহুরূপীর সমার্থ বয়ে বেড়াবে। চিরকাল। Compassionate fallacy, সেজন্য নির্নিমেষে দাহ শেষ করে আবারও তুমি বলবে, '' আমি মানুষ হতে চাই, আমায় মানুষ জন্ম দাও। ''অথচ সব বিস্মৃতি সমান্তরাল হলে, কত অনায়াস, অধিকার ছেড়ে আসা। তাহলে হয়তো তুমি শুনতে পেতে বিনি সুতোর হার ভেসে যেতে যেতে তোমায় তিস্তা বলে ডেকেছিল। ... ...
‘উবাস্তে ইয়ামা’ জাপানি শব্দটির ‘উবা’ হল বৃদ্ধা, ‘স্তুতে’ মানে ফেলে দেয়া আর ‘ইয়ামা’ শব্দের অর্থ পর্বত। জাপানি এই শব্দ দুটির অর্থ — যে পর্বতে ময়লা ফেলা হয়। প্রাচীন জাপানের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বৃদ্ধ পিতা-মাতাকে লালন-পালন করার সামর্থ্য সব সময় থাকতো না।.একটা পর্যায়ে তারা পিঠে করে বাবা-মাকে নিয়ে পর্বতের খাদে ফেলে দিয়ে আসত। তখন সবার কাছে এটাই ছিল স্বাভাবিক। পিঠে চড়া বৃদ্ধ পিতা-মাতার হাতে গাছের একটি ডাল থাকত।.এই ডাল দিয়ে তারা পুত্রের গায়ে আস্তে আস্তে বাড়ি দিত এবং পাতাগুলো পথে ফেলে ফেলে যেত। এই কাজটা তারা কেন করত , তা পরিষ্কার নয়। বলা হয়ে থাকে, এই কাজটি তারা করত , যেন পুত্র ... ...
- এত উঁচুতে আমরা কি করে এলাম?- তোর মনে নেই? ওই লোকটা মেলার দোকান থেকে কিনে নিয়ে এলো যে আমাদের । এটাই ওর বাড়ি । বৌ ছেলেকে নিয়ে থাকে ।- না, ঘুমিয়ে পড়েছিলাম আমি তখন । কিন্তু মেলার দোকানে কি করে এলাম আমরা?- সে তো আমারও মনে নেইরে । শুধু মনে আছে আমার চোখ ফোটার আগে চারিদিকে অন্ধকার ছিল । ঘুটঘুটে অন্ধকার । চোখ খোলার পর দেখলাম তুই তৈরি হচ্ছিস পাশের হাপরের আগুনে ।- কে বানালো আমাদের?- আমি মুখ দেখতে পাইনি । শুধু হাতদুটো দেখতে পেয়েছিলাম । ওখানে আরো সব আমাদের মত মানুষের মূর্তি, জীবজন্তু, থালা, বাসন কত্ত কিছু তৈরি ... ...
বিশ্বাস্য স্পন্দন (১)আমি এখনো যেখানে পা রেখে দাঁড়িয়ে আছি। সেখানে পা রেখে আর কেউ দাড়িয়ে নেই।আমার পায়ের নিচে জীবনের শুরুর সভ্যতার মাটি।আমার মাথার ওপর বুদ্ধের আকাশ। অতীত স্পর্শের মধ্যে... ভবিষ্যত আকাশ ছোঁয়া!(২)মহাকাশ স্টেশন থেকে তোলা পৃথিবীর ছবিটা দেখলে দুঃখ হয়। দুঃখ হয় পৃথিবীর ভাগকাটা পুঁজিবাদ আর দালাল দেখলে। যখন কিছু দেখি না ঘুমিয়ে থাকি।তখনো 'বিপ্লব' হয় ঘুমের মধ্যে। আদিখ্যেতার নয়তো সম্ভাবনার। ~। শুভঙ্কর বৃক্ষ। ... ...
(১) সম্প্রীতির কাঁথাটা সেলাই হোক! -তারপরে নয় নক্সার কারুকাজ;শীতার্তের দালালি করে যে লোক-কাঁথা সেলাইয়ে তারই মাথায় বাজ! (২) নিঃসন্দেহে উৎকৃষ্ট বাঁশ-মতি চাল ! -কাঁকড় গুলো চালের মত পালিশ করা; চাষী চেনে কোনটা চাল,কোনটা ফাল-ঘুরপথে তাই চাষীর পেটে লাথি মারাl
অগ্নিপথ অগ্নিপথ- এর শেষে / বেঁচে ফিরলে দেশে / মিলবে মোট বাইশ লাখ। / জঙ্গিদের গুলি খেলে / না ঘরে ফিরলে ছেলে / হিসাবের কড়ি বাঘে খাক।
'এমন চাঁদের আলোমরি যদি সেও ভালো...' স্বর্গেই পৌঁছে দিল শতচক্রযানরুটি শুধু বেঁচে গেলোস্বপ্নরা পিষ্ট হলোমাটি না আগুনে দেবে বুঝতেই হয়রান !সে তো ছিল পন্য গাড়ীআমরা কি রুখতে পারিমরিয়া তারা ফিরতে ঘরে তুচ্ছ করলো প্রান!একে তো মহামারীচারিদিকে নিষেধ জারিতারই মাঝে হাঁটছে দেশের নিরন্ন মুখ ম্লান!হয়তো কোনো চাঁদনী রাতেঘড়িগুলোও একইসাথেবিস্ময়ে জোড়হাত করে লগ্ন হয়ে যাবে!বলতে পারে মাফ করোআমরাও ক্লান্ত বড়োচিরতরের নিদ্রা মোদের দাসত্ব ঘোচাবে !সময় তবু বয়েই যাবেমানবিকতা মর্গে রবেময়না তদন্তে কি আর হবে বাজিমাত?আমরা কি'বা করতে পারিযখন তখন সমন জারিদু'হাতের বাইরে আছেই মস্ত অজুহাত!তবু এই গহন বনেবাঁশী ধরে আন্তিগোনেকৃষিকাজে ব্যস্ত কিছু মনের কল্লোলে!গুন গুন আগুন হবেদাবানল ছড়িয়ে যাবেমন্থনে অমৃত বিষ যা থাকে ... ...
বালের ছড়া- বীরবাল বাল ছিঁড়্ছ বালের মতো বাল দেখিয়ে, বাল! বালের জোরে বাল ক'রেছোহয়না কোনো বাল।বালের মতো আছি সবাই বাল শুখিয়ে খাল।বাল দিয়েছ বালের হাতেবাল'কে বলে ছাল।বাল লিখেছো বাল পেয়েছোবাল নিয়েই থাকো।বাল এঁকেছো ছাল এঁকেছোবাল-ছালই আঁকো! বালের মতো বালের কথা বলোনা আর বাল।বালের মতো হারিয়ে যাবেথাকবেনা আর বাল।।
পুরানো দিনের ল্যান্ড লাইন টেলিফোনের ও তারপরের যুগের গল্প! হ্যালো বন্ধুরা। টেলিফোন বা দূরভাষ যন্ত্র আবিষ্কার করেছিলেন গ্রাহাম বেল সাহেব। সম্ভবত ১৮৭৬ সাল নাগাদ।ছোটবেলায় আমাদের বাড়িতে এই সঙ্গে দেওয়া ছবির মতো একটি ল্যান্ড লাইন টেলিফোন সংযোগ ছিল। কি বলব সারা পাড়াতে তখন ঐ একটিই। আমাদের কোলাহল মুখর বিশাল বাড়িতে ঐ ফোন ছিল আর এক কোলাহলের বস্তু। অনেকেই খুব জোরে জোরে ঐ ফোনে কথা বলতেন। ফোন ধরে এত জোরে হ্যালো বলতেন যে অপর দিকের লোকও বোধহয় একটু হেলে যেতেন! তারপর কারোর ফোন এলে তিনি ধারেকাছে না থাকলে তার নাম ধরে ডাকতে হতো। সেই ডাক প্রায় রাস্তা দিয়ে শোনা যেত। রাস্তার লোকও জানত ... ...