এটা হওয়ার কথা ছিল না । অঙ্কে ফেল মারার মতো , প্রেম যে এত শক্ত সে কথা কে জানত ! জড়বস্তুর মতো পড়ে থাকি ; অচলে যায় সময় । মেঠো রাস্তা পথ হারানো সম্পর্ক খানিকটা এনসাইক্লোপিডিয়া র মতো । কুকুরের বাচ্চা বর্ষার মাঝে স্নান করে , এঁটো বাসন মাঝে গোপালের মা । বর্ষার রাতে স্বামী খুন হয়েছে , কাঁটা দেওয়া ব্যথা কিংবা নামাবলীর রং ! শিশুর কবলে সুরক্ষিত তার বাবার চলে যাওয়া নাম । সম্পর্ক , বাবার সাথে আবার দেখা !মৃত্যুর পর তুমিও থাকবে ওপারে আমি আবারও আজ একা । ... ...
( শেষ পর্ব )পরদিন দুপুরবেলা বড়পুকুরে ডুবুরি নামল । আদালতের নির্দেশ । কলতানের অনুমান এবং গুল্টুর চাক্ষুষ বিবরণ সত্য প্রমাণিত করে পুকুরে ডুব দেওয়া ডুবুরি জলের তলা থেকে আট ইঞ্চি লম্বা একটা ছুরি তুলে নিয়ে এল । জং ধরেনি , কারণ জলের তলায় অক্সিজেনের অভাব । আদালত আর সময় দিল না । অসুস্থতার আর্জি বিচারক গ্রাহ্য করলেন না । হৃদয় এবং বসন্ত শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত দিনে কোর্টে হাজিরা দিল ।সঙ্গে প্রচুর দলবল । তিনটে টাটা সুমোয় করে এসেছে । তারা কোর্টের বাইরে দাঁড়িয়ে প্রচুর হৈ চৈ করছে । দেবমাল্য মৌসুমীকে বলল, ' একদম নার্ভাস হয়ো না ..... ওরা কিচ্ছু করতে ... ...
পেনাল্টি তুমি যতই মারো গোল করা অত সহজ নয়;তোমার সামনে অসহায় যেতাকে টপকাতে করবে ভয়!নিকেশটা একটু গোলমেলে:সে যদিবা গোল খেলে-তাকে কেউ কিছু বলবে না;তুমি যদি গোল না পেলেতোমার কিন্তু চলবে না!গোলটা তুমি পেতেই পারোমনটা যদি ময়দান হয়-দূরত্ব টা ঘুচে গিয়েস্বপ্ন বেড়ে অসীম হয়!হিসেবটা বেশ আপেক্ষিক:অবস্থান টা পাল্টে দিক্-দৃষ্টিকোণ মাত্রা পাবে!হারাবার কিছু না থাকলে-পরে,সফল হওয়া সহজ হবে।ভাবা অভ্যাস করে না মনবাঘ বেরোলে সন্ধ্যা হয়-না সন্ধ্যা হলে বাঘের ভয়!পেনাল্টি টা মিস করলেই-জীবন ভোর আফশোষ করো-হারতে আসলে ভয়ে মরো!! ... ...
শীতল পিছু পা কখন ডাকল জানি না । অসম্ভব সত্যতা য় কেমন অন্ধকার হয়ে গেল , চারিপাশে আর তাকাতে পারি না জীবন নিয়ে খেলা করা মানুষ জীবনে এখন আর আসতে পারে না । প্রেমহীন সংসার বেশ্যা বাড়ির কাঙাল ।
খালি খাতা জমা দেবার কথা শুনে কলতান বলল , ' এ..টাই আমি ভাবছিলাম । গোয়েন্দাগিরি করতে গিয়ে তুই যে রোবট হয়ে যাসনি এটা প্রমাণ হল । সোদপুরে শান্তনীড় আবাসনে ইনভেস্টিগেট করতে গিয়ে আমারও এরকম রেভেলেশান হয়েছিল । ঠিক আছে ... নেভার মাইন্ড ... যা করেছিস বেশ করেছিস ... তুই পারলে কাল সকালের দিকে একবার আয় ... 'মৌসুমী মৃদুস্বরে বলল , ' আ..চ্ছা ' ফোন রেখে দেবমাল্যর দিকে ফিরল কলতান।----- ' মৌসুমী ওভারলোডেড হয়ে গেছে । লোড থেকে রিলিভ করতে হবে এনিহাউ ... বুঝলে ? ----- ' হ্যা ... ঠিক কথা ... ' ----- ' তুমি হিয়ারিং-এর ডেটটা বার করার চেষ্টা কর ... ... ...
'তুমি এবার যখন কলেজের হোস্টেলে যাওয়ার জন্য বেরোলে, তোমার মুখটা খুব শুকনো দেখাচ্ছিলো। প্রত্যেকবার হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেন ধরার জন্য দমদমের বাড়ি থেকে ট্যাক্সি নিয়ে যাও। এবার তোমার মায়ের থেকে ট্যাক্সি ভাড়া নিলে না। জানালে ১১-এ বাসে করে চলে যাবে। ১৪ টাকা ট্যাক্সি ভাড়া বাঁচানোর জন্য বাড়ি থেকে নির্ধারিত বেরোনোর সময়ের এক ঘন্টা আগেই বেরিয়ে গেলে। তুমি কোনো চিন্তা কোরো না। আমাদের ঠিক চলে যাবে। তোমাকে প্রত্যেক মাসে হোস্টেল এবং অন্যান্য খরচ বাবদ ৩০০ টাকা পাঠিয়ে দেব, কোনো অসুবিধা হবে না। সব ঠিক হয়ে যাবে। আমরা যখন কোনো দোষ করিনি, সাসপেনশন অর্ডার খুব শীঘ্র'ই তুলে নেবে। তুমি এই নিয়ে একদম ভাবনা-চিন্তা কোরো ... ...
সকাল আঠটার সময় দেবমাল্যর বাড়িতে চলে এল মৌসুমী । কাল রাত্রেই ফোনে পুরো বৃত্তান্ত জানিয়ে দিয়েছে কলতানকে । সব শুনে কলতান যদিও ফুরফুরে মেজাজে আছে , মনে একটা উৎকন্ঠার কাঁটা বিঁধে আছে যে রেকর্ডটা ঠিকমতো হল তো ? নাহলে এত টানাহ্যাচড়া, ঝকমারি সব মাঠে মারা যাবে । মৌসুমী ঢুকতেই কলতান বলে উঠল, ' ব্রেভো ব্রেভো ... ইয়াং গার্ল ... হ্যাটস অফ ... হোয়াট আ গ্রেট জব ... ' পারলে ওকে জড়িয়ে ধরে কলতান। কোনরকমে নিজেকে সামলে নিল । মৌসুমী বলল, ' আরে দাঁড়ান দাঁড়ান ... ঠিকমতো রেকর্ডেড হল কিনা দেখে নিন আগে । তারপর সেলিব্রেট করবেন ... '----- ' ইয়েস অফ কোর্স ... ...
সকাল নটার সময় মৌসুমীর মোবাইলে কলতানের একটা কল এল ।----- ' হ্যালো স্যার ... বলুন ... '----- ' হ্যা ... ঠিক আছিস তো ? তোকে এরকম একটা আনসেভারি রেসপনসিবিলিটি দিয়ে আমি খুব আনইজি ফিল করছি । দেখ .... তোর তেমন অসুবিধে হলে ... ছেড়ে দে ... আমি অন্য কিছু ট্রাই করছি ... ' ----- ' না না ... স্যার ... আমি কাজটা যখন নিয়েছি ... শেষ করেই ছাড়ব ... আমারও তো গরজ আছে না ? একটা নীরিহ লোক এইভাবে... তাছাড়া মাঠে খেলতে নেমে গেছি ... এখন আমি ছাড়তে চাইলেও বসন্ত ছাড়তে চাইবে কি ? '----- ' এই তো ... ... ...
সকালবেলায় দেবমাল্য বলল, ' কলতানদা পরাণের পরিবারকে একবার দেখে আসবেন নাকি ? ওদের সঙ্গে অনেকদিন যোগাযোগ করা হয়নি । কিছু টাকাও দিয়ে আসতে হবে । গত তিন বছরে কেসটা তুলে নেবার জন্য অনেক হুমকি ফেস করতে হয়েছে । কিন্তু পরাণের স্ত্রী সুজাতা তবু হাল ছাড়েনি। দাঁত কামড়ে পড়ে ছিল পাক্কা তিনবছর আমার ওপর নির্ভর করে।তাছাড়া আর একজন ওদের সাপোর্ট বলুন, শেল্টার বলুন প্রচুর দিয়েছিলেন । তিনি হলেন বীরেন ঘোষ মশাই । নাহলে এদের বেঁচে থাকাই প্রায় অসম্ভব ছিল । ওদের ছেলেগুলো প্রচুর প্রোটেকশান দিয়েছিল ... সুজাতা তার দুই ছেলেমেয়ে নিয়ে এখন পাশের গ্রাম ছামুড়িতে আছে ওর এক বোনের কাছে ... ...
গার্গীর কিছু নরম খেলনা বাড়িতে রেখে দেবার শখ আছে । নরম খেলনা মানে যেটাকে সফ্ট টয় বলে সবাই , ভেতরটা তুলো দিয়ে স্টাফ করা । আমার কাজের টেবিলের ওপর রাখা আছে সেই গোত্রেরই একটা হাতির ছোট পুতুল । পেটের জায়গাটায় একটা সুতো মনে হয় কেটে গেছে কোনভাবে । মাঝে মাঝে ভেতরের তুলো বেরিয়ে আসতে চায় । আমি দেখলে চাপ দিয়ে আবার ঢুকিয়ে দিই যাতে গার্গীর চোখে না পড়ে ।এই সুতো কেটে যাবার ব্যাপারটা হয়েছে মোটামুটি একমাস আগে যখন আমি বিসনেস ট্রিপে যাবার জন্য সুটকেস গুছোতে গিয়ে একটা ওয়েফেয়ারার সানগ্লাস আর লাল সবুজ নকশা কাটা মাফলার পেয়েছিলাম । জিনিসগুলো দেখে অবাক ... ...
(১) হীরা দিয়ে কাটা হবে বৃক্ষ কয়েক লাখ'বাক্সওহা'র গর্ভেতে তিন কোটি ক্যারাট;বুন্দলখন্ড খরাতে মরছেই কিষাণফের বৃক্ষ কর্তনে অস্ত পরিত্রাণ।(২) 'কেন্-বেতোয়া'প্রকল্প,বন্ধ নাহয় যদি'পান্না ব্যাঘ্র অরণ্যের' ভয়ঙ্কর ক্ষতি! টেলিস্কোপে হীরকরাজ! সাবধান বিজ্ঞতেইশ লক্ষ বৃক্ষের নিধন যজ্ঞ!!
সাংবাদিকতা কিংবা সাংবাদ কি বা কাকে বলে এ নিয়ে কোন সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা বা অনুচ্ছেদ এক কথায় প্রকাশ করা মনে হয় সম্ভব না । অল্প কথায় বলতে গেলে দার্শনিক বিল কোভাচ ও টম রোসেন্টিয়েলর 'দ্য এলিমেন্টস অব জার্নালিজম ' গ্রন্থে প্রকাশিত শব্দগুচ্ছ অনুযায়ী - ‘আ প্র্যাকটিক্যাল অ্যান্ড ফাংশনাল ফর্ম অব ট্রুথ’ অর্থাৎ বাস্তব এবং কার্যকর সত্য প্রকাশ কেই সংবাদ আর প্রকাশকারীকেই সাংবাদিক বলা যেতে পারে । ইদানিং সোশ্যাল মিডিয়ার সংবাদ যুগে অনেকে আবার সহজ রূপে সংবাদ পরিবেশনের একটা ফর্মুলা বের করেছেন । ফর্মুলাটা হল ( 5W + 1H ) । যার পূর্ণরূপ 5W মানে- What , Where , Who , Whom, ... ...