জন্মেজয়বাবুর মনটা আজ বেশ ফুরফুরে আছে। অখিল তাদের সবাইকে বোটানিকাল গার্ডেনে নিয়ে যাবে শিবপুরে। সে নাকি এক প্রকান্ড বাগান। হেঁটে হেঁটে শেষ করা যায় না। ওখানে গিয়ে তারা দেখল ওমা সত্যিই তাই। তাদের কুমিল্লার গ্রামে এরকম গাছগাছালি অনেক আছে। কিন্তু এরকম সাজানো গোছানো নয়। খোলামেলা মাঠ ঘাট, নদী, ধানক্ষেত, পাটক্ষেত, জল মাটি গাছপালা সব অযত্নে ছড়িয়ে ... ...
দ্বিতীয় পর্ব মোহালি থেকে অমৃতসর পরের দিন ১৪ই ফেব্রুয়ারি সকালে হোটেল থেকে অটোতে ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে। সাতটায় ট্রেন। ছেলের বর্তমান ঠিকানা মোহালির IISER-এ আমাদের অন্তবর্তীকালীন বিশ্রামস্থল। সরস্বতী পূজার দিন সন্ধ্যায় ঢুকে পরের দিন শক্তি সঞ্চয় করে ১৬ তারিখে বেরিয়ে পড়লাম অমৃতসরের উদ্দেশে, চণ্ডিগড়-অমৃতসর ইন্টারসিটি ধরে। সাড়ে এগারোটায় অমৃতসরের গোল্ডেন অ্যাভিনিউ-এর একটি হোটেলে ... ...
অক্টোবর ১: গতকাল, ৩০শে সেপ্টেম্বর ১৮৭৬, সকাল এগারোটার কয়েক মিনিট বাদে মস্কো থেকে আগত মারিয়া বরিসভা নামে এক দরজি বিশ নম্বর গালেরনায়া স্ট্রীটের ছয়তলা উঁচু অভ্সিয়ান্নিকভ হাউসের চিলেকোঠার জানলা থেকে নিচে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করে। ... আত্মহত্যার সময়ে বরিসভার দু-হাতে মেরি-মাতার আইকন ধরা ছিল। (জনৈক সংবাদপত্রে প্রকাশিত কলামের অংশবিশেষ) দস্তয়েভস্কির মতে, এটি ‘বিনীত, বিনম্র আত্মহননের এক অভূতপূর্ব ... ...
চিঠঠি আই হ্যায় ————— সুপ্রিয়া চৌধুরী ————— “চিঠঠি আই হ্যায়” বলে “আহিস্তা -আহিস্তা” চলে গেলেন গজলের এক কিংবদন্তী জাদুকর না ফেরার দেশে। রেখে গেলেন এমন সুরের মুর্ছনা
ইঞ্চিজি জিন্দাবাদ সংসদে প্রণাম করেছিলেন। সংসদ ভবন তালাবন্ধ। পেটিএম নোটবন্দির পরদিন তাঁর ছবি দিয়ে। মার্চ থেকে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ক বন্ধ। নোটবন্দির সুফল না পেলে ৫০ দিন পর জ্বালিয়ে দেবেন বলেছিলেন। দেশ জ্বলছে। ক্ষমতায় আসার একমাসের মধ্যে ২৫% করে জিনিসের দাম কমাবেন বলেছিলেন। জিনিসপত্রের দাম ৩০০-৫০০% বেড়েছে। বছরে ২কোটি করে চাকরির কথা বলেছিলেন। ১৪ কোটির চাকরি চলে গেছে। বিএসএনএলে এক লাখ ৯৭ হাজারের চাকরি ... ...
বাঙ্গালের প্রথম বিদেশ ভ্রমণপ্রবীরজিৎ সরকারআমি এবং আমার বাবা কলকাতায় জন্মালেও আমরা বাঙাল। কারণ আমাদের পূর্ব পুরুষ সবাই বাঙাল। বাঙাল কথাটা ওপার বাংলা থেকে কলকাতা আসা লোকজনকে বলা হত বুদ্ধু ভেবে।ইংরেজ রাজত্বে প্রথমে কলকাতাকে ওদের ভারতীয় উপনিবেশের রাজধানী করা হয়েছিল। ওপার বাংলা থেকে পড়াশুনা চাকরি করতে অনেকে আসতো। তারা রাস্তাঘাট চিনত না । এত বড় শহর অবাক বিস্ময়ে ... ...
(এ মাসেই আগ্রা, অমৃতসর ও শিমলা ভ্রমণে বেরিয়েছিলাম। সেই ভ্রমণ-কাহিনি আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া।) (প্রথম পর্ব) মুখবন্ধ সেবার ছিল ২০১৮। ইউরোপ-পর্যটনে গিয়েছিলাম টমাস কুকের ব্যবস্থাপনায়। সময়টা ছিল জুনের শেষ ও জুলাই-এর প্রথম, আরো স্পষ্ট করে বললে, জুনের ২৯ থেকে জুলাই-এর ৯ তারিখ। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের জনা পঁচিশ সহযাত্রীর সঙ্গে বর্ধমান থেকে আমার এক সহকর্মীর পরিবারের চারজনের সঙ্গে আমরা সপুত্র তিন-- সব মিলে ৩২ জন-- আন্তর্জাতিক পর্যটনে। লণ্ডন, প্যারিস, রোম, ভ্যাটিক্যান ও সুইৎজারল্যাণ্ড ছিল গন্তব্য। বেশ ভালো করে ঘুরেছি। আল্পসের সর্বোচ্চ ... ...
এই রাজপথে একটু আগেই চোদ্দটা গাড়ির কনভয়সাইরেন বাজিয়ে ছুটে গিয়েছিল প্রতিটি গাড়ির চাকার নিচে ভেঙে পড়েছিল ইতিহাসপ্রতিটি গাড়ির চাকার নিচে বিলকিস বানুর কান্নাপ্রতিটি গাড়ির চাকার নিচে ভাঙনে তলিয়ে যাওয়াপ্রতিটি গাড়ির চাকার নিচে চেতনা গুলিয়ে দেয়া একটু আগেই চোদ্দটা বেওয়ারিশ লাশের ট্রাককুণ্ডলী পাকিয়ে ছুটে গিয়েছিল প্রতিটি ট্রাকের চাকার তলায গড়ে উঠেছিল নতুন ইতিহাস প্রতিটি ট্রাকের চাকার তলায়গরম ভাতের গন্ধ প্রতিটি ট্রাকের চাকার তলায়প্রতিরোধের আগুন প্রতিটি ট্রাকের চাকার তলায়দগ্ধ হৃদয় জ্বালা প্রতিটি ট্রাকের চাকার তলায় এক পা এগিয়ে চলা। ... ...
<< এই লেখার এই অংশটি/পর্বটি এখন অসমাপ্ত, কিছু পরিমার্জনার পরে এই ট্যাগটি উঠিয়ে দেওয়া হবে >> # পরিচয়পত্র #পরিচয় কী? না কোনো ব্যক্তির প্রাথমিক পরিচয়গত তথ্য, যেমন নাম, বয়স, ছবি এবং হয়তো ঠিকানা, অর্থাৎ সেই তথ্য যা তাকে চিনতে অন্যদের সাহায্য করে। পরিচয়পত্র অবশ্য বেশ সাম্প্রতিক ব্যাপার। সাধারণত কোনো প্রতিষ্ঠানের সদস্য বা গ্রাহক হওয়ার জন্যে নিজের পরিচয় দিতে হয়। যেকোনো প্রামাণ্য বৈধ নথির একটা দিলেই হত। এগুলো ঠিক পরিচয়পত্র নয়, এদের পরিচয়গত তথ্যের শংসাপত্র (certificate) ছিল। এই পরিচয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ প্রয়োজনেই ব্যবহৃত হত।কিছু ক্ষেত্রে যেমন ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা বা ইমেইল অ্যাকাউন্টে লগ ইন করার সময় ব্যক্তিকে নিজের প্রামাণীকরণের (authentication) মধ্যে দিয়ে যেতে ... ...
ভোরের অস্ফুট আলোর মতোএকটা অনাঘ্রাত কুসুমের যতোনির্দোষ গোধূলির প্রশান্তির মতোঅনেক শব্দের ভীড়েও ভূমিষ্ঠ -নবজাতকের সুতীব্র ঘোষণার মতো: অনাবিল,নিটোল একটা শব্দের টুকরো আমায় ভিক্ষা দাও ইসাবেলা।যা শুধু আপোষহীন ভাবে তোমাকেই বোঝায়; তোমার শপথ,তোমার লড়াই মিলিয়েই তোমার অন্তঃকরন!আর কিছু নয়।।
যখন বাবার উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করার জন্য বালখে লড়ছেন যোদ্ধা শাহাজাদা ঔরঙ্গজেব তখন শাহাজাদা এ বুলন্দ ইকবাল - সৌভাগ্যমণ্ডিত শাহাজাদা দারা শুকোহর অন্য এক শাহী ইমেজ তৈরিতে উৎসাহ দিয়েছিলেন শাজাহান। সেটা হল স্বর্গীয় আশীর্বাদপুষ্ট বাদশাহের উপযুক্ত দার্শনিক শাহাজাদার ইমেজ যা দারার পছন্দের সঙ্গে খাপও খায়। ষোলোশো ছেচল্লিশে মুরাদকে মধ্য এশিয়ায় পাঠানোর সময় শাজাহান তাঁকে এগিয়ে দিতে কাবুল পর্যন্ত এলেন। শাহাজাদা দারা শুকোহ আসছিলেন বাবার সঙ্গে। পথে লাহোরের শেখুপুরায় জাহাঙ্গীরের প্রিয় পোষ্য কৃষ্ণসার হরিণ মনসরাজের স্মৃতিতে ... ...
# শুরুর কথা # এক প্রখ্যাত মার্কিন সংস্থার পাঞ্চ কার্ড প্রযুক্তির সহায়তায় নাৎসি জার্মানিতে জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ, জীবিকা প্রভৃতি তথ্য সংগ্রহ করে একটি নাগরিক পঞ্জী (citizens’ register/tabulation) নির্মাণ করা হয়েছিল, অনেকেই জানেন হয়তো। একটি আরও ব্যাপক ব্যবস্থা আজকের ভারতে গড়ে উঠছে, যার বুনিয়াদি (foundational) প্রকল্পটি হল আধার (Aadhaar) আর এটিও চরিত্রে, আমি মনে করি ফ্যাসিস্ট। আমরা এর সম্ভাব্য অপব্যবহার ও বিপদের জায়গাগুলো এখানে আলোচনা করার চেষ্টা করবো। আলোচনাটি সব ধরণের পাঠকের কথা ভেবে সহজ ভাষায় ও বিশদে করার চেষ্টা করলেও, অতিরিক্ত দীর্ঘ করে না ফেলার দিকেও নজর থাকবে।এদেশে আধার নিয়ে ওজর আপত্তি অনেকই হয়েছে, তবে বেশিরভাগই পরিচয় চুরি (identity theft, impersonation), ... ...
সৌরেন্দ্রবাবু সাত্ত্বিক প্রকৃতির লোক। তিনি বিভিন্ন ধর্ম প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত যাতায়াত করেন, বিশেষ করে রামকৃষ্ণ বা বিবেকানন্দ সংযুক্ত নানান সমিতির প্রতি তার প্রবল অনুরক্তি আছে। সৌরেনবাবু প্রত্যেক সপ্তাহে অন্তত একবার দক্ষিণেশ্বরে যান। আর বিশেষ বিশেষ তিথি পার্বণে তো আছেই। পরমহংসদেবের ঘরে বসে অনেকের মতো তিনিও ধ্যানে বসেন। তিনি আয়কর বিভাগে করণিকের ... ...
আকাশে ধ্বস নামলে বৃষ্টি নামে নাপ্রশাসনিক কৌশলে বলা হয় মেঘ নেই লাশের পাহাড় জমে সান্ধ্য বাসরে গণতন্ত্রের নির্যাস নিয়ে কাটাছেঁড়া চলেসোনার বাংলা জুড়ে কান্না ওঠেরাত নামে জোনাকিরা আলো জ্বালাতে ভুলে যায়অন্ধকারে একা ' রাস্তা ' পথ খোঁজে আকাশে ধ্বস নামবে আবারমানুষেরা জড়ো হয়, জুড়ে যায় রাস্তায রাস্তায়।..
ভেবেছিলাম, একটাও দিন... জানি না কিভাবে! পেরেছি তো - দিন, মাস, বছর শেষে এখনও সোফার ব্যাকশিট, কুশন কভার আ-ধোয়া শুধু গায়ের গন্ধ হারিয়ে ফেলার ভয়ে। কাউকে বলিনি, গত শীতে যে সোয়েটারে
শ্রী তপনকর ভট্টাচার্যের গল্পগুলি পড়ে জার্মান এক্সপ্রেশনিজমের কথা মনে হয়েছিল - বাস্তবের প্রতিলিপির বদলে শিল্পীর নিজস্ব অনুভূতি পরিস্ফুট হত ছবিতে - সরল দেহাবয়ব, রং এবং বিশেষ ব্রাশস্ট্রোকে। মনে হয়েছিল হিন্টারল্যান্ড সিনেমার কথাও যেখানে ছবির স্বাভাবিক মাত্রাকে টেনে প্যানোরামিক ওয়াইড স্ক্রীনের মাপে করে দেওয়ায়, তদুপরি ডাচ টিল্টের ব্যবহারে গোটা পটভূমিই তমসাচ্ছন্ন আর অস্বস্তিকর, রাস্তার বাঁকে বাঁকে উঁকি দিচ্ছিল ভয়ংকর হিংস্রতা ... ...
From সুষুপ্ত পাঠকপৃথিবীতে যত সাম্রাজ্যবাদ আছে, ব্রিটিশ, পূর্তগিজ, ফরাসী...সেই উপনিবেশিক শাসনের হত্যা শোষণ নিপীড়ন নিয়ে কথা বলা ইতিহাস চর্চা, খোদ ইউরোপীয়ানরা তাদের উপনিবেশ শাসনের সময়কার অনাচার নিয়ে কথা বলে। একমাত্র ‘ইসলামী সাম্রাজ্যবাদ’ নিয়ে কথা বলাই হারাম! যে এটা নিয়ে কথা বলবে, সে ইহুদী, ইজরাইয়েল, মোসাদ, বিজেপি, র’, হিন্দু জাতীয়তাবাদী...।এই জন্য ভারতে তিনশো বছরের মুসলিম শাসন যে একটা সাম্রাজ্যবাদ সেটার ... ...
আকাশে লালচে আভাযুক্ত সূর্যাস্তের স্বর্ণালী দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছে।পাখিদের বাসায় ফেরার কিচিরমিচির উল্লাসে চারদিকের বাতাস মুখরিত হয়ে উঠেছে।ফুটপাতের লাগোয়া বটগাছটির ক্রোড়দেশে অঘোরে ঘুমিয়ে থাকা বিশ বর্ষীয়া তিয়াসা চোখ কচলে জেগে উঠল। প্রাথমিক ঘোরটা কাটতে না কাটতেই সে তার সর্বনাশটা বুঝতে পারল।জনবহুল ভীড়ের রাস্তার মধ্যে সে "মামি মামি...তুমি কোথায়..." বলে ডুকরে কেঁদে উঠল।সে তো হারিয়ে গেছে।এখন এই অচেনা জায়গাটাতে মামা বা মামি তাকে কেমন করে খুৃঁজে পাবে!তাহলে কি আর তার ঘরে ফেরা হবে না?প্রবল আতঙ্কে তার গলা বুঁজে এল।আস্তে আস্তে করে তার মনে পড়তে লাগল সব।গতকাল সন্ধ্যার পর থেকেই তো হঠাৎ করে তার মামা আর মামি হঠাৎ কেমন ভালো হয়ে গিয়েছিলেন।বাবা মা ... ...
কম মৃত্যু দেখলাম না জীবনে। বেশিরভাগই স্বাভাবিক মৃত্যু। তবে একটা মৃত্যুর কথা জীবনে ভুলব না। চোখের সামনে ঘটতে দেখেছি। সেটা দুর্ঘটনা তো বটেই, সেই সঙ্গে খুন বললেও ভুল বলা হবে না। তবে তার সঙ্গে মানুষের যে নিষ্ঠুরতা আর পলায়নী মনোবৃত্তি দেখেছি, তা আমাকে অনেকটা বিশ্বাসহীন, উদ্ভ্রান্ত আর অস্থির করে তুলেছিল। বুঝতে পেরেছিলাম, মানুষ আসলে সভ্য প্রাণী নয়। এখনকার মানুষ আসলে হৃদয় মরে যাওয়া একটি প্রাণী। যাদের হৃদয় মরে গেছে ... ...
সে অনেক অনেক দিন আগের কথা। হাজার হাজার বছর আগের তো বটেই! অবশ্য হাজার হাজার-ই কিনা হলফ করে বলা মুশকিল, তবে ঘটেছিল যে অনেক দিন আগে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। মোটের ওপর ঘটনাটা পুরনো, তবে পুরাণের গল্প নয়, সে তুলনায় বেশ আধুনিকই! ওই ইতিহাসের খাঁজ-খোঁজে ফসিল হতে থাকার এক বিরামহীন তোড়জোড়ে হঠাৎ-আবিষ্কার আর কী!এক দেশে ছিল দুই ফেরিওয়ালা। দু’জনই পুরনো জিনিসের বিনিময়ে নতুন জিনিস বিক্রি করত। তুল্যমূল্যে — অবশ্যই ফেরিওয়ালার বিচারে, পুরনো জিনিস সংখ্যায় ও দামে কম মনে হলে ক্রেতাকে কিছু নগদও দিতে হতো বৈকি। কিছুদিন আগে অবধিও খুবই দেখা যেত পুরনো জামাকাপড়ের বদলে স্টেইনলেস স্টিল-এর বাসন-কোসন-এর এক অদ্ভুত বার্টার ... ...