নিজের কাজকর্ম ফেলে নিজের পকেটের পয়সা খরচ করে থেকে খেয়ে রাতদিন বইমেলাকে ভালোবেসে বইমেলায় পড়েছিলেন অতি অল্প কজন মানুষ।বাকিদের তো নিজস্ব হিসেব আছে, কারও লক্ষ্য বিপণন, কারও বইয়ের প্রচার, কারও লেখক পরিচিতি, আর কারও মুর্গি লেখক কবি পাকড়াও করা ইত্যাদি।দিল্লি থেকে চলে এমনি এমনি আসা মানুষটির নাম সুবিনয়।আক্ষরিক অর্থে ১৪ দিন নিজের কাজকর্ম ফেলে ... ...
এটি অতিকথন।রবীন্দ্রনাথের ছবি শত শত মুসলিম পরিবারে ছিল।নিজের পরিবারকে বড় করতে সমগ্র মুসলিম সমাজকে ছোট করার ইচ্ছে খ্যাতির লোভে একটা অতি-কথন।'মুসলিমরা গোঁড়া' -- এটা একটা মনস্তত্ত্ব, শুনতে ভালোবাসেন একদল গোঁড়া। নিজেদের পোগোতিশীল বলেন এবং মনে মনে ভাবেন।এঁরা আসলেই সূক্ষ্ম সুপ্ত সাম্প্রদায়িক।এঁরা যে সাম্প্রদায়িক নিজেরাও বোধহয়
রাজারা হাতি পুষতেন, আর এই যুবরাজ জামনগরে একটা আস্ত হাতির হাসপাতাল বানিয়েছেন। হাসপাতালের নাম ভ্যান্তারা। হাতি ছাড়াও, সেখানে লেপার্ড, কুমীর, সব মিলিয়ে খান চল্লিশ প্রজাতির চিকিৎসা হয়। তাদের জন্য বিশেষ অক্সিজেন থেরাপির ব্যবস্থা আছে। অত্যাধুনিক এমআরআই-টেমআরআই হয়। হাসপাতালটা খুব বড়ো নয়, মাত্র তিন হাজার একর। কত বড় যদি বুঝতে না পারেন, তো বলে ... ...
তোতাপাখি কথা বলে, ঠোঁট নড়ে পটপট, অশান্তির পাহাড়, শান্তির মা।
আমি আতঙ্কে কাটাই একটানা অনিশ্চিত আতঙ্কে মাথা ভোঁতা লাগেযেন কিছু ভাবতে চাই না আরসামাজিক মদ খাচ্ছি না অনেকদিনসিগারেটও খুব ইতস্ততভালো ছেলেও হতে চাইছি না কিন্তুএই ভোঁতা মাথা এই অনিশ্চিত আতঙ্ক একা একা ঘাড়গুঁজে কাজ লক্ষ্যহীন এই লিখে চলা আরও কিছু আশা করে কেবলই ব্লিঙ্ক
“যা কিছু অসাধারণ, তাকে ঘিরেই কিংবদন্তী গড়ে তোলার স্বভাব আমাদের। তা সে ঘটনাই হোক, কি কীর্তি। কখনও সেই কিংবদন্তী এমনই উচ্ছ্বসিত, যার প্রতাপে অসাধারণ হয়ে ওঠে অলৌকিক; কখনও আবার তা উৎসারিত এমনই ঈর্ষা-কুৎসা থেকে, যার প্রকোপে অসাধারণের প্রকৃত মহিমারও ঘটে যায় খর্বতা। রবীন্দ্রনাথের ক্ষেত্রেও বারবার এমন ঘটনা ঘটেছে।” সৌরীন্দ্র মিত্রের লেখা ‘খ্যাতি অখ্যাতির নেপথ্যে’-র ব্লার্বের শুরুই হচ্ছে ... ...
আছে কৌশলআছে চাঁদমারিআছে নিয়ত ক্রোধের চর্চাআছে শান্তির নামেসরকারি দামেঅবাধে মানুষ খরচাআছে কাঁটাতারআছে প্রহসনআছে যূগ যূগান্ত পারাপারআছে লুন্ঠনঅবগুণ্ঠন ছিঁড়েদেহ-তল্লাসি অধিকারআছে ঊর্দিরনীচে সিংহের ছাতিতারও ক' ত নীচে ঘেন্না ?আছে পদকের সারিআদমশুমারিবড় বেড়ে গেছে,.... আর নাআছে রাষ্ট্রআছে 'দ্রোহীতা'আছে শহুরে পেলব প্রতিবাদনেই ধর্মনেই সাম্যনেই জিগীষা শেষের অবসাদ ।
১৯.১১.২০২৩রাত ঘনিয়ে এসেছে।আমি জানি কালকের মতো তুমি স্বপ্নে দেখা দিয়েই আমায় ফেলে আর কোনো অজানার দুনিয়ায় উধাও হয়ে যাবে না।কথা তুমি রাখবে।আমি জানি আমার আশেপাশেই আছ তুমি।আমার পার্থিব অনুভবের বাইরে তোমার বিচরণ।তোমার সাথে আমি চাইলেও আমার হৃদয়ে পঞ্চাশটি বছর ধরে জমে থাকা হাজারো শব্দ কথা সুর কান্নাগুলো তোমার সামনে এনে ফেলে ক্ষমাভিক্ষার ঝুলিখানি মেলে ধরে ... ...
বাইরের ঝড়বৃষ্টির থেকেও সহস্রগুণ দামাল এই হঠাৎ সুনামি। অস্ফুটে গলা থেকে কোনোমতে স্বর বার করতে পারল তিয়াসা। রা... রা... তুল... ততক্ষণে কাকভিজে হয়ে কোনোমতে ঘরের বাইরে অবস্হিত এই গুদামঘরটির জানলার স্ক্রুগলো তার সাথে আনা যন্ত্রের সাহায্যে সন্তর্পণে খোলার কাজটা অর্ধেকেরও বেশি শেষ করে এনেছে। অবশেষে জানলার পাল্লাটা খুলে সে উন্মাদের ... ...
পর্ব ৪ আগের থেকে এখন রাতুলের খাটুনি যাচ্ছে প্রায় দ্বিগুণ। তা সত্ত্বেও তার মধ্যে কোনো ক্লান্তির উফ্ টুকুও নেই। উলটে তার মনে হচ্ছে, মামনের মামা মামীর খোঁজ আজ নয়, কাল করা যাবে'খন। ধীরে ধীরে তার এই চিন্তাতেও বদল এল। সে ঠিক করে নিল, তার আদরের মামনের মামার বাড়ির খোঁজ করার চিন্তা সে পুরোপুরি বাদ দিয়ে এবার সে এমন ব্যবস্হা করবে যাতে কোনোদিন তাকে মামনের কাছ থেকে ... ...
পর্ব ৪ তাতান এখন একসমুদ্র প্রশ্নের মাঝে সঠিক দিশা খুঁজে পাবার জন্য মরিয়া হয়ে উঠল। সে এবার কোনো একটা সূত্র পাবার জন্য দাদুর ব্যবহার্য টেবিলে রাখা খাতাপত্র আর টুকরো কিছু কাগজ নিয়ে টেবিল ল্যাম্পটা জ্বেলে নিয়ে জোরালো গবেষণা করতে বসে গেল। সামনে রাখা চেয়ারখানি টেনে নিয়ে তাতে বসে সেগুলো নিয়ে কিঞ্চিৎ নাড়াচাড়া করতে লাগল। দাদুর প্রতিদিন ডায়েরী লেখার অভ্যাসের কথা বাড়ির সবাই ... ...
তৃতীয় পর্বশিমলার দিকেএবার আসি শিমলা-ভ্রমণের কথায়। অমৃতসর থেকে আবার মোহালি ফিরে একদিন রেস্ট। পরের দিন সকালে উঠে আইজারের পুরো কাম্পাসটি প্রদক্ষিণ, মর্নিং ওয়াকের ছলে। এত বড় ক্যাম্পাস, এক বিল্ডিং থেকে অন্য বিল্ডিং-এ যেতে পায়ে ব্যথা হয়ে যাবে। আমরা ছিলাম ভিজিটরস হোস্টেলে। আমরা যাকে গেস্ট হাউস বলি তাই এখানে এই নামে পরিচিত। এই গেস্ট হাউসের ব্যবস্থাপনা দারুণ। কি নেই! দুটি বড় ... ...
আমার একটা গল্প ছিল তোমার সাথে গাছ গাছালি রোদের ছায়ায় পলাশ ফুলের ডানদিকে যেই মোড় নিয়েছে একটা মানুষ কুড়াল কাঁধে জঙ্গলেতে বউটি উয়ার ' পলাশ ফুলের মালা গাঁথে ওদের মেয়ে স্কুলে নয় ভর দুপুরে টুরিস্ট মেলায় পান্তা পেটে মালা বেচে আমরা এলাম শহর থেকে এসি গাড়ি হাজার টাকার নেশা জিনে রামের পেগে দশ হাজারী সুইট নিয়েছি সেই ভাড়াতে নাচছে সবাই তাল মিলিয়ে ছ' এর লাফে ... ...
পর্ব ৩ সারাবাড়ি এখন লোকে লোকারণ্য। সারাদিন বিভিন্ন মানুষের শোকপ্রকাশ আর কান্নাকাটির পর্ব শেষ হওয়ার পর দাদুর দেহ সৎকার সেরে তাতান বিমর্ষ মুখ নিয়ে বিছানায় তার পরিশ্রান্ত দেহ এলিয়ে দিল। হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকের মতো একটা কথা মনে আসতেই সে হঠাৎ শোয়া থেকে এক ঝটকায় লাফিয়ে উঠে দাঁড়াল। তারপর দাদুর শুন্য ঘরখানার দিকে দ্রুতবেগে ধাবমান হল। দাদু বেঁচে থাকতে তো সে ঘরখানায় ... ...
সে তার ব্যাগপত্র কোনোভাবে নিজের ঘরে রেখে দিয়েই তড়িঘড়ি করে দাদুর ঘরে চলে এসেছিল। ধীর পায়ে ঢুকেছিল সে দাদুর ঘরে। আস্তে করে দাদুর বিছানার পাশে রাখা চেয়ারখানি নিয়ে বসেছিল। তারপর সে নিষ্পলক তাকিয়েছিল দাদুর চোখের দিকে আর দাদুর যন্ত্রনাক্লিষ্ট চোখ দুখানি স্হিরভাবে নিবদ্ধ ছিল তাতানের চোখের দিকে। বেশ কিছুক্ষণের এই নিস্তব্ধতাতেই নিঃশব্দে হয়ে গেল অনেক কথার মূক ... ...
পর্ব ১ ঘোষপুকুর লেনের গা ঘেঁষে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে যে সুবিশাল তিনতলা বাড়িখানা, সেটি একটি যৌথ পরিবার। পারিবারিক ব্যবসা নিয়ে দিনরাত ব্যস্ত থাকে পরিবারের পুরুষ সদস্যরা, আর বাড়ির গিন্নিরা প্রায় ভোর থেকেই কোমরে আঁচল কষে গুঁজে নিয়ে লেগে যায় গৃহকর্ম সম্পাদনার কাজে আর সন্ধ্যার পর নিজের নিজের স্বামীকে আরও বেশি টাকা ইনকাম করার জন্য তাগাদা দেওয়ার রোজনামচায় ... ...
তায় ঘরটিকে অচেনা আগন্তুকের পক্ষে একটু বাসযোগ্য করতে গিয়েই দিনের এই বাকি সময়টুকু যেন এক লহমাতেই ফুরিয়ে গেল।এখন এই পরিশ্রান্ত শরীর নিয়ে রান্না করা তো দূর,ভাত বসাতে গিয়েও যেন মনে হচ্ছে,হাঁটুতে যেন কেউ ভারী পাথর বেঁধে দিয়েছে।সে মুড়ির টিন থেকে বাটিতে কিছুটা মুড়ি ঢেলে নিয়ে তাতে কিছুটা চানাচুর ঢেলে নিল।ক্ষুধার্ত পেটে সেটাই এক নিমেষে শেষ করে রান্নাঘরের আলো বন্ধ করে সে শোবার ঘরে এল।ঘরে ঢুকে সে দেখল,মশারির ভিতরে সারা শরীরখানিকে গুটুলি পাকিয়ে নিয়ে পরম নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে কাদা হয়ে রয়েছে মেয়েটা।জামাকাপড় কেমন করে পরতে হয় এটাই বোধহয় মেয়েটা আজ পর্যন্ত শিখে উঠতে পারেনি।একমুখ মায়া ঢালা গভীর ঘুমে অবচেতন শরীরটির আনাচে কানাচে ... ...