নারী দিবসে ———— সুপ্রিয়া চৌধুরী ———— দিকে দিকে আজ নারী দিবসের মহা আয়োজন- নারীদের জয়গান- ঘুরে ফিরে দেখো তার প্রতি আজ ও কত অন্যায় কতই অসম্মান ! হায় ! হায় ! এ কেমন প্রতিদান !! সর্বংসহা আখ্যা দিয়েছো
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রাজনীতিতে আসা কি নীতিগত সিদ্ধান্ত? কেন রাজনীতিতে এলেন এই প্রশ্নে তিনি অত্যন্ত হেঁয়ালিপূর্ণ এক উত্তর দিয়েছেন, তৃনমূল তাকে মাঠে নামার ডাক দিয়েছে তাই তিনি মাঠে নামছেন। আরেকটা উত্তর তিনি দিয়েছেন, কোর্টে অন্যায়গুলো একটা পিটিশন আকারে এলে তবেই তার বিচার করা হয়। এমন অনেক অন্যায় হয় যেগুলো পিটিশন আকারে আসে না, কোর্ট তার বিচার করতে পারে না। এখানে প্রশ্ন থেকে যায় পিটিশন আকারে ... ...
তিন সপ্তাহ কেটে গেল এরপর। পুজো এসে পড়েছে দোরগোড়ায়। বারোয়ারি পুজোর প্যান্ডেল বাঁধার কাজ চলছে জোর কদমে। বিভূতিবাবু টুকটুক করে কাছাকাছি পাড়ার প্যান্ডেল বাঁধার কাজ দেখে বেড়াচ্ছেন সকালে কিংবা বিকেলে। একদিন বিকেলে জন্মেজয়বাবুর সঙ্গে দেখা হল রামদুলালের মোড়ে। বিভূতিবাবু বললেন, ' বিবেকানন্দ স্পোর্টিং-এর প্যান্ডেল বাঁধা দেখতে যাচ্ছি ... হয়ে এল প্রায় .... চলুন ... ...
আজ বাজারে ভীড় খুব। বাজারের সরস্বতী প্যান্ডেল এখনো জ্যান্ত, এখনো ভাসায়নি ঠাকুর পরীক্ষা বলে। চারিদিকে কিচিরমিচির আর সাথে লাউডস্পিকারে গান এ আর রহমানের - চল ছেইয়া ছেইয়া ... আমি ভীতু মানুষ। বাজারহাট বুঝি কম। সকাল বেলায় বাজারটা
এখন জানালায় আর রোদ পড়ে না বিজ্ঞাপনের আড়ালে মানুষেরা মহাশূন্যের দিকে ঝিনুক কুড়িয়ে নেয়া সময়ের খোঁজ রাখে না কেউ বরং রূপচর্চায় গোলাপজল মিশিয়ে সে সময়ে স্পা করিয়ে নেয়া
ইনস্টাগ্রাম খুলতেই একটা খবরে চোখ আটকে গেল। গাজায় ছোট ছোট বাচ্চাদের ক্ষুধার্ত মুখগুলি এখনো আমাকে ভয়ার্ত করে তুলছে। কংকালসার চেহারায় তারা হাসপাতালে মৃত্যুর দিন গুনছে। গাজায় এখনো অবধি মৃতের অফিসিয়াল সংখ্যা ৩০,৭০০ ছুঁইছুঁই। মনে প্রশ্ন জাগে ইজরায়েলের এই ইহুদিরা কি সেই হলোকাস্ট পার করা মুষ্টিমেয় সারভাইভারদেরই বংশধর? নিজেদের পূর্বপুরুষদের সাথে হওয়া বর্বরতা ... ...
---এসো--- মনের কপাট রুদ্ধ আজি পূর্ণিমার আকাশে, চাঁদের আরশি প্রত্যাখ্যাত ব্যর্থ সব প্রয়াসে। সরিয়ে নিলেম আঁখিদুটি মোর জোনাকির মায়া হতে, ভ্রমরেরা ছুঁতে হবে অপারগ ফিরে যাবে
বিগত কয়েক বছরে একটা ব্যপার খুব লক্ষনীয় যে, বুদ্ধদেব ভাট্টাচার্য কে নিয়ে তখনই কথা হয় যখন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর কারনটা কি? এমনকি আমাদের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীও সেই নিয়ে বলেন, ওনার মতো নীতিবান মানুষ আর হয়না। বাবুল সুপ্রিয় যাদবপুরে গিয়ে বলেন, বুদ্ধবাবুকে দেখে কিছু শিখুন। এখন ওনার একটা 'ব্যক্তিগত আলোকপ্রাপ্ত' প্রকারের একটা ছবি তৈরি হয়েছে। উপরোক্ত দুই ব্যক্তি ... ...
আপনে আপ মে মস্ত দারা শুকোহ, শাহেনশাহের পছন্দের। অতীন্দ্রিয় মহিমায়, পবিত্র স্বর্গীয় আশীর্বাদপুষ্ট সার্বভৌমত্বের - সেক্রেড সভরিনিটির ইমেজে আবদ্ধ বুদ্ধিজীবী, ফলে তাঁর নাকও একটু বেশি রকমের উঁচু হয়ে আকাশে ছুঁইছুঁই। তিনি নিজের পছন্দের কথা গোপনও করেন না ফলে অপছন্দের লোকেরা সংখ্যায় বেড়েই চলে। কিন্তু যুদ্ধ হয় মাঠে, স্বর্গ থেকে বড্ড জোর আশীর্বাদ আসতে পারে। সে যুদ্ধের, সেই মাঠের ... ...
সাগর মাথা নেড়ে বলল, ' বাজারে একবার যেতে হবে ... বাজারে নিশ্চয়ই একবার যেতে হবে। দেখা দরকার কি কারবার চলছে। কিন্তু আপনার সঙ্গে যে কথা ছিল ... সেটা এখানেই বলে নিলে হত না ? ' ---- ' না না ... বাড়িতে কোন কথা বলতে পারব না ... কথা যা হবার মনোরমায় হবে ... ' ----- ' মনোরমা কি দাদা ? ' ----- ' আরে ... মনোরমা ভান্ডার. ... ...
ফুটবল লিগ শুরু হবার আগে দলবদলের মরশুম। এই সময়টায় উনিজি খুব চিন্তায় থাকেন। বন্ডের কল্যাণে উনিজিবাগানের স্পনসরের অভাব নেই। কিন্তু পোড়া দেশে খেলোয়াড় কই। খুব নামী স্ট্রাইকার ছিল দিলীপ, এমনই খেলল, তাকে তো দলের বাইরেই বার করে দিতে হল। এখন যে কটা আছে, তারা একেকটি রত্ন। 'দলে থেকে গোল করতে পারছিনা' বলে কান্নাকাটি করায় সই করানো হয়েছিল, কিন্তু কোথায় কী, এরা কোনো দলে থেকেই গোল ... ...
একটা ট্রাক্টর, দুটো লোক এলো, ওরা খুঁড়তে লাগলো, খুঁড়লো। একটা বাগদী শহর দেখা গেলো, পঁচিশতলা ফ্ল্যাটের ব্যালকনিতে বনসাই পলাশ মিললো, তিনটে ভূম পড়ে ছিল খাঁ খাঁ, ধল, তুঙ্গ আর সামন্তর বাসা। বাঁকড়ি ভাষা দদ্যাড়ে উড়ে গেলো
হাতিবাগান বাজারে মনোরমা ভান্ডার আদতে মনিহারি দোকান। ছোটখাট ইলেকট্রিকের সরঞ্জামও রাখে। বেলা দশটায় দোকান খুলে গেছে। দোকানের মালিক জগন্নাথ পাল দোকান খুলে ভিতরটায় খুচখুচ করে ঝাড়ন মারছে। দুটো কাঠের টুল বার করে দোকানের বাইরে রাখল।তারপর হাত ঝেড়েঝুড়ে খবরের কাগজ খুলে বসে হেডলাইনগুলোয় চোখ বোলাতে লাগল। উল্টোদিকে একটা মশলাপাতির
১. তোমার শহরে বিকেল হচ্ছে বুঝি? এমন করেই আলো-মেঘে তোলপাড়? নিছক তোমায় ভাবতে চাইছি বলে, তোমার শহরে বিকেলটা
আসলে কী বাকি থাকে? থাকার কী কথা? চলে গেলে? হঠাৎ | খামখেয়ালে | অথবা, ক্রমশ | এক-একটা মেঘ | দু চার পা হাঁটা | তলানির চা | এইসব
চাঁপাফুলের গন্ধে এস এস অরুন্ধতী গুরুচন্ডা৯ প্রকাশনা দামঃ ১৫০ টাকা নিতান্ত শৈশবে মা বাবার সঙ্গে একটি বাড়িতে গিয়েছিলাম- মা র কোনো বন্ধুর পৈতৃক বাড়ি সম্ভবত। বড় বাড়ি, উঠোন, প্রশস্ত ঘরগুলিতে আরো কয়েকটি শিশুর সঙ্গে আমিও লুকোচুরি খেলছিলাম, খাটের তলায় লুকোতে গিয়ে মাথায় গুঁতো লাগছিল, প্রাচীন পালঙ্কের মশারি টাঙানোর একটি দন্ড বারে বারে হেলে পড়ছিল সেহেতু- এই সব মনে আছে। খেলা শেষে চেয়ারে বসে লুচি খেতে খেতে দেওয়ালের ছবি ... ...
কিশোরগঞ্জ তুমি কোথায়? কত দূরে? তুমি কি এসেছিলে আমার স্বপ্নে? নাকি ছিলে কল্পনায়? নাকি ছিলে গত জন্মে, কে জানে কোথায় ? তোমার কি মনে
দুপুর সাড়ে বারোটা বাজে। মনোরমা আকাশ আজ খেলছে বেশ উদাসি তুলো মেঘ আর রোদ্দুরের সঙ্গে। বসন্ত কেবিনের একপাশে ফুটপাথের ওপর ডুগডুগি বাজিয়ে একটা লোক বাঁদর খেলা দেখাচ্ছে। কেউ ডেকেছে হয়ত। গোল হয়ে কিছু লোক দাঁড়িয়ে গেছে। কিছু লোক উঁকি মেরে চলে যাচ্ছে। সাগরও দাঁড়িয়ে ভিড়ের মধ্যে দিয়ে উঁকি দিল একবার। আঠারো দিন পর সে আজ বাড়ি থেকে বেরিয়েছে। অনেকদিন পর পটলের ... ...
আগরতলা বইমেলায় গুরুচণ্ডাঌ 'র বই পাবেন উবুদশ-এর স্টলে। স্টল নম্বর - এম ৪৫।মেলা চলবে ৫ মার্চ, ২০২৪ পর্যন্ত।