মানব সভ্যতার সাথে মাইগ্রেশন শব্দটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বাণিজ্যের কারণে সে এক দেশ থেকে অন্য দেশে গিয়েছে। প্রাকৃতিক কারণে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে বাধ্য হয়েছে। আরও বিভিন্ন কারণে সে এক জায়গা থেকে অন্য কোথাও পালিয়ে গেছে। নিজের চেনা জায়গা, চেনা পরিবেশ ছেড়ে অন্য জায়গায় গিয়ে সে মৃতপ্রায় হয়েছে। মাইগ্রেশন-এর আভিধানিক অর্থ অভিপ্রয়াণ, আবার "অভি" কথার অর্থ "সাদৃশ্য" হয় এবং "সমীপ" হয়। অর্থাৎ মৃত্যু-সদৃশ বা মৃত্যু-সমীপ। সে নিজে মৃতপ্রায় হলেও নতুন জায়গায় সে বয়ে নিয়ে গেছে তার নিজস্ব ভাষা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি। নতুন জায়গার ভাষা, কৃষ্টি, সংস্কৃতির সাথে আগত নতুন ভাষা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি মিলেমিশে একাকার হয়েছে এবং উদ্ভব হয়েছে মিশ্র ভাষা ... ...
বর্তমানকালে প্রথম বিশ্ব, দ্বিতীয় বিশ্ব জাতীয় বিভাজন বা নামকরণ হয়তো প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে কিন্তু উদ্দেশ্য একই রয়ে গেছে এখনও। মানব সভ্যতার আদিকাল থেকেই কি এইরকম বিভাজন ছিল? উত্তর হলো, ছিল। রূপ অন্যরকম ছিল। সে তো হবেই, হওয়ারই কথা। মানুষ যত সভ্য হচ্ছে, ততই ক্রমশঃ যন্ত্রনির্ভর হয়ে পড়ছে, ততই এই বিভাজনের রূপ পাল্টে পাল্টে যাচ্ছে। মানুষ যখন পৃথিবীতে প্রথম আসে তখন থেকেই সে গোষ্ঠীবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে, সংঘবদ্ধ হয়েছে। কারণ প্রকৃতির বিনাশকারী রূপের কাছে তার অসহায়তা। সে গোষ্ঠীবদ্ধ হয়ে সেই বিনাশের হাত থেকে বাঁচতে চেয়েছে। এরপরে গোষ্ঠীবদ্ধ থেকে নিজেদের এলাকা তৈরী করেছে, চাষবাস শুরু করেছে, বিস্তীর্ণ এলাকার দখল নিয়েছে। শুরু হয়েছে মানুষের ... ...
"Dogmatism" এর আভিধানিক অর্থ যা পাওয়া যায় সেইগুলো হলো, গোঁড়ামি, নির্বিচারে আত্মমত প্রচার, প্রশ্নাতীতভাবে কোনো কিছুকে স্বীকার করে নেওয়া, মত সম্পর্কে অন্ধবিশ্বাস। "Dogmatism" শব্দের প্রতিশব্দ হিসেবে অভিধানে যেগুলো পাওয়া যায় সেগুলো হলো:arrogance :-(noun) অহমিকাauthoritarianism :-(noun) কর্তৃত্ববাদ, স্বৈরতন্ত্র, স্বেচ্ছাচারbias :-(verb) প্রবনতাbigotry :-(noun) ধর্মান্ধতা, ... ...
হেথায় আর্য, হেথা অনার্য, হেথায় দ্রাবিড়, চীন--শক-হুন-দল পাঠান মোগল এক দেহে হল লীন।পশ্চিম আজি খুলিয়াছে দ্বার, সেথা হতে সবে আনে উপহার,দিবে আর নিবে, মিলাবে মিলিবে, যাবে না ফিরে,এই ভারতের মহামানবের সাগরতীরে।গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ভারততীর্থ কবিতার কয়েকটি লাইন, কবির নাম নিশ্চয়ই বলার প্রয়োজন নেই। মনে শুধু প্রশ্ন জাগে কবিগুরু কি পাশের পাড়ার ছবি দেখে কবিতার কথাগুলি লিখেছিলেন নাকি ... ...
সমাজতন্ত্র বা কমিউনিজম নিয়ে আমাদের ভালো না লাগা থাকতে পারে, মনের কোণে ঘৃনা থাকতে পারে, পছন্দ না করতে পারি কমিউনিজমকে, কিন্তু কোনো এক জাদুবলে লেনিন আপামর পৃথিবীবাসীর মনে চিরস্থায়ী হয়ে আছেন। যারা লেনিনকে বোঝেন তাদেরও আবার যারা লেনিনকে বোঝেন না তাদেরও। যারা 'লেনিন' বলেন তাদেরও আবার যারা 'লেলিন' বলেন তাদেরও। আজ থেকে একশো বছর আগে তিনি এই পৃথিবী ছেড়ে ... ...
নস্টালজিয়া-র বাংলা অর্থ হলো, স্মৃতিবিধুরতা বা স্মৃতি-রোমন্থন বা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়া বা অতীতে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছে। আবার বিধুরতা বলতে বোঝায় কাতরতা, দুঃখ, বিহ্বলতা ইত্যাদি। আর ব্যুৎপত্তিগত অর্থ বলতে গেলে বলতে হয়, "নস্টালজিয়া" শব্দটি গ্রিক ভাষার "নোস্তোস" (νόστος), যার অর্থ বাড়িতে ফিরে আসা এবং হোমারসৃষ্ট একটি শব্দ "আলগোস" (ἄλγος), যার অর্থ ব্যাথা বা বেদনা–এই দুইয়ের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে। বয়সের কারণেই ... ...
Philosophy of life বা জীবন দর্শন একটি বহুল প্রচলিত শব্দ। বিশেষ করে মহাপুরুষ বা সমাজের প্রতিষ্ঠিত লোকেদের সম্পর্কে কথাটি বহুল পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু - এই বৃত্তটাকেই জীবন বলে আখ্যা দেওয়া হয়। আবার এই পৃথিবীতে প্রাণের সৃষ্টি থেকে আজ অব্দি বিবর্তনের যে বৃত্ত, সেই বৃত্তকেও জীবন বলে আখ্যা দেওয়া যায়। জীবন অর্থে সচল, একটি প্রাণ যেমন মৃত্যুর আগে অব্দি সচল, তেমনি প্রাণীকুলও সচল। প্রাণীকুলেরও জন্ম ... ...
ছোটবেলায় একটা প্রবাদ পড়েছিলাম, "Man proposes, God disposes"। আক্ষরিক অর্থ করলে দাঁড়ায়, মানুষ প্রস্তাব করে আর ঈশ্বর সেই প্রস্তাবের মীমাংসা করেন। যদিও একই শীর্ষকে এডউইন ল্যান্ডসিয়ার-এর ১৮৬৪ সালে আঁকা একটি চিত্রও আছে, তবে আমরা সেই আলোচনায় না গিয়ে শীর্ষকটিকে প্রবাদ হিসেবে ধরে নিয়েই এগিয়ে যাবো। মানুষ প্রস্তাব করে অর্থে মানুষ যা চায়। আমাদের চাওয়া পাওয়া সবটাই কিন্তু আত্মকেন্দ্রিক ... ...
বর্তমানের স্যোশাল মিডিয়ার যুগে যে কোনো দেশের খবর খুব সহজেই সারা পৃথিবীর লোক জানতে পেরে যায়। আর সব দেশেরই লোকেদের এখন অর্থ উপাজর্নের বা সহজে পরিচিতি পাওয়ার মাধ্যম হলো স্যোশাল মিডিয়া। স্যোশাল মিডিয়ার যেমন ভালো দিক আছে বা ভালোভাবে লোকেরা ব্যবহার করছে এই মাধ্যমকে তেমনি বহুলোক আছে যারা এই মাধ্যমকে অত্যন্ত খারাপভাবে ব্যবহার করছে। আবার বহুলোকের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে কিছু বিতর্কিত ... ...
বর্তমান সময়ে একই রাজনৈতিক দল যদি কেন্দ্রে এবং রাজ্যে ক্ষমতায় না থাকে তাহলে নাগরিকদের প্রাণান্তকর অবস্থা। সরকারী সাহায্য বা অনুদান কিছুই পৌঁছয় না জনগণের কাছে। সেই যাকে বলে, রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলুখাগড়ার প্রাণ যায়। আমরা দেশের মূল কাঠামোটাকেই ভুলে গেছি। আমাদের রাষ্ট্রের কাঠামোটা যুক্তরাষ্ট্রীয়। কেন্দ্রে মূল সরকার, তার হাতে অর্থ, বিদেশনীতি, আভ্যন্তরীণনীতি, স্বরাষ্ট্রনীতি। রাজ্যের হাতে নাগরিক সুবিধার কিছু জিনিস ... ...