বর্তমানকালে বিজ্ঞানকে বোধহয় এযাবৎকালের সবচেয়ে বেশি বিরোধিতার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। আমরা আদিকালের ইতিহাস জানি যখন পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরছে বলার জন্য গ্যালিলিওকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছিল। আজ হয়তো সেই পর্যায়ের বিরোধিতা হচ্ছে না কিন্তু এত উন্নতির পরেও যে পরিমাণ বিরোধিতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানীদের তা যথেষ্ট আশ্চর্য্যের। বিজ্ঞানের উন্নতি ছাড়া মানব সভ্যতা এগিয়ে যেতে পারবে না, এই আপ্তবাক্যটি বোধহয় ... ...
আমাদের ইতিহাসের পাতায় পাতায় লেখা রয়েছে উপনিবেশ কথাটি। কথাটির ইংরেজি শব্দ কলোনি। অত্যন্ত সহজ, সরল, সাদাসিধে কথাটি। কিন্তু এর মধ্যে মানুষের যে হাহাকার লুকিয়ে আছে, চোখের জল লুকিয়ে আছে, লাঞ্ছনা লুকিয়ে আছে তার হিসেব ইতিহাস রাখেনি। আজও দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনেক কিছুই রয়ে গিয়েছে সেই উপনিবেশের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে। আমাদের কাছে সেসব নিতান্তই এক জড় পদার্থ, সেইসব সৌধ বা স্থানের মধ্যে লুকিয়ে থাকা মানুষের লাঞ্ছনার ... ...
বিশ্বের সমস্ত দেশকে চমক দিয়ে, পেছনে ফেলে মহাকাশ বিজ্ঞানে প্রথম দেশ হিসেবে ভারত চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান (প্রজ্ঞান) অবতরণ করাতে সক্ষম হলো শেষ অব্দি। চন্দ্রায়ন -১ এবং চন্দ্রায়ন -২ সফল না হলেও চন্দ্রায়ন -৩ সাফল্যের মুখ দেখলো। আমরা ভারতবাসী হিসেবে বিজ্ঞানের আঙিনায় আরও একবার গর্বিত হওয়ার সুযোগ পেলাম। এই সাফল্যের গায়েও রাজনীতির রং লাগানোর চেষ্টা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে লক্ষ করছি। আবার বিভিন্ন রকমের মন্তব্যের ঢেউও নজর এড়িয়ে যাচ্ছে না। আসলে এই ধরনের বিশ্লেষণ বা মন্তব্য আমাদের সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে দীর্ঘকাল ধরেই। ফলে এইসব নিয়ে আর এখন মাথা ঘামাই না। আমার মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হলে আমার এক আত্মীয় মন্তব্য করেছিলেন, সেকেন্ড ... ...
সেই বাল্যকাল থেকে নেতাজী আমার কাছে একজন আদর্শ পুরুষ। শুধু আমার বলি কেনো, সমগ্র পৃথিবীবাসীর কাছেই। কেউ তাঁর পায়ে মাথা নত করেন তো কেউ তাঁর ভয়ে কাঁপে। কেউ এখনও পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করেননি যিনি নেতাজীকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতে পারেন। সেই নেতাজী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের সাহায্য নিয়েছিলেন। জাপানের সেনার সাথে একজোট হয়ে আজাদ হিন্দ ফৌজের সেনানীরা যুদ্ধ করেছিল। ফলে সেই জাপান সম্পর্কেও ছোটবেলা থেকেই ... ...
ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধের মধ্যে বড় হয়েছি। আসলে সবটাই যে আমার বাবা - মায়ের জন্য তাও বলা যাবে না, কারণ সেই সময়টাও অন্য রকমের ছিল। সভ্যতা, ভদ্রতা, শালীনতা, রুচিশীলতা ইত্যাদি অনেকগুলো শব্দের আধিপত্য ছিল সেই সময়ে। আমার গুরুজনেরা হয়তো বলবেন আমাদের সময়ে এই আধিপত্যের মাত্রা কমতে কমতে শূন্যের কাছাকাছি চলে এসেছিল, তবুও আমরা বলব আজকের সময়ের তুলনায় সেই আধিপত্যের উপস্থিতি যথেষ্ট পরিমাণেই ছিল। ফলে আজকের ছেলেমেয়েরা যে পরিমাণ স্বাধীনতার স্বাদ ছোটবেলা থেকেই পায় তার এক কণাও আমরা ... ...
হিন্দু ধর্মের উৎসস্থল হিসেবে ভারতবর্ষকে জানে সবাই। সিন্ধু নদের তীরবর্তী এলাকায় যারা বাস করতো তাদেরকে হিন্দু বলে আখ্যায়িত করা হয় সেই প্রাচীনকাল থেকে। সেই হিন্দুদের আচরিত ধর্মকেই হিন্দু ধর্ম বলা হয়। আবার অন্যমতে হিন্দু ধর্ম বলে কোনো ধর্ম হয় না বা নেই, আমরা যাকে হিন্দু ধর্ম বলে বলি সেটা আসলে সনাতন ধর্ম। কিন্তু হিন্দু ধর্ম বা সনাতন ধর্ম, যাই হোক না কেনো, তা যে পৃথিবীর আদিতম ধর্ম এতে কোনো সন্দেহ নেই। আবার ভারতীয় সভ্যতা যে পৃথিবীর আদিতম সভ্যতাগুলোর মধ্যে একটি তাতেও কোনো সন্দেহ নেই। ভারতীয় সভ্যতা যেমন শুধু সিন্ধু নদের পাড়ে সীমাবদ্ধ ছিল না, বিশেষ করে দ্রাবিড়ীয় সভ্যতা এবং পরবর্তীতে ... ...
কে ডাকে কাতর প্রাণে, মধুর তানেআয় চলে আয় --ওরে আয় চলে আয়, আমার পাশেমহা সিন্ধুর ওপার থেকেকি সঙ্গীত ভেসে আসে।ঐ মহাসিন্ধুর ওপার থেকে কি সঙ্গীত ভেসে আসে। আজকাল সত্যিই ভেসে আসে সেই সুর। মধুর তানে কেউ যেনো কানের কাছে এসে বলে, হেথা নাইকো মৃত্যু, নাইকো জরা। হেথা বাতাস গীতি গন্ধভরা, চির স্নিগ্ধ মধুমাসে। হেথা চির শ্যামল বসুন্ধরা, চির জ্যোৎস্না নীল আকাশে। মনটা উচাটন হয়ে ওঠে, এই পৃথিবী যে বড়ই রুক্ষ, বড়ই নিষ্ঠুর, একাকীত্বে ভরা এই পৃথিবী। কবিগুরু কেনো যে বলেছিলেন, "মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে"। যৌবনে কবিগুরুর কথা মনে দাগ টানলেও এখন সেই দাগ আর খুঁজে পাওয়া যায় না। অস্পষ্ট হয়ে ... ...
বুটকা কদিন ধরেই মনমরা, কিছুই ভালো লাগে না তার। দাদু ছিল তার প্রাণের বন্ধু, ভালোবাসা। আসলে বুটকা জন্মের পর থেকেই মামাবাড়ীতে। বাবার চেহারা সে দেখেনি কোনোদিন। বাবা নেই বলেই হয়তো, দাদুর অত্যন্ত প্রিয় সে। ছোটবেলা থেকেই দাদু, দিদা, মামা, মাসী নিয়েই তার জগৎ। দাদুর মুখে ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছে, এই পৃথিবীতে মৃত্যুই একমাত্র সত্য, নিত্য। বাকী সবকিছুই মোহ, মায়া, অনিত্য। তবুও মৃত্যু যে মানুষকে এত বিচলিত করতে পারে, মননে এত বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে, তার প্রমাণ ... ...
শুধু গান দিয়ে বিচার করলে খুব ভুল হবে, মাননীয়া কল্যাণী কাজী ছিলেন বঙ্গ সংস্কৃতির এক উজ্জ্বল প্রতিভূ। শ্বশুরমশাই ছিলেন বাঙালির সাংস্কৃতিক আকাশের এক উজ্জ্বল ধ্রুবতারা, রবি ঠাকুরের তীব্র আলোর পাশাপাশি সম্পূর্ণরূপে রবি প্রভাবমুক্ত নিজস্ব আলোয় আলোকিত এক ধ্রুবতারা, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। কাজী নজরুল ইসলামকে আমরা বাঙালিরা সেইভাবে পায়নি কারণ ইংরেজদের অত্যাচার। তিনি জীবনের একটি বিরাট অংশে নিশ্চল হয়েছিলেন ... ...
তৃতীয় পর্বের পরে ....এই ইংরাজ-লেখক অধুনা প্রকাশিত সমস্ত কাগজপত্রের সহায়তায় যেরূপ নিপুণতার সঙ্গে বিষয়টির আলোচনা করিয়াছেন, তাহা মুক্তকন্ঠে প্রশংসিত হইবার যোগ্য। হলওয়েলের করুণ কাহিনিকেই প্রধান অবলম্বন করিয়া, এই লেখক প্রচুর সমালোচনা কৌশলে দেখাইয়া দিয়াছেন,- সে কাহিনি লৌকিক কাহিনি হইতে পারে না, তাহা যে নিতান্ত রচা কথা, কাহিনির মধ্যেই তাহার অনেক প্রমাণ প্রচ্ছন্ন হইয়া রহিয়াছে। হলওয়েলের রচনাভঙ্গি ভুক্তভোগীর ... ...