"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ১৬ … বিলুর সাথে ঘুরতে ঘুরতে যা দেখেছিলাম চিটপ্যাডে শর্টে রানিং নোট নিয়েছিলাম। অনেক জায়গাতেই কিছু লেখা নেই, দিক নির্দেশও নেই। ও না থাকলে বাঁশবনে ডোম কানা হয়ে ঘুরে মরতাম। সন্ধ্যায় লজে এসে শর্টহ্যান্ড নোট থেকে একটু গুছিয়ে লিখে বুঝলাম ও আমায় গোটা তিরিশেক দ্রষ্টব্যস্থানে নিয়ে গেছিল। বিলু না থাকলে বেশ চকমা খেতাম। বিরাট এলাকা, কত কী রয়েছে, ভুলভুলাইয়া টাইপের ব্যাপার। ওর বদান্যতায় মোটামুটি দেখা হোলো। শেষ দ্রষ্টব্য ছিপ মহলে এসে ওকে বলেছিলাম, এবার তুমি গেটে গিয়ে বসতে পারো, এখান থেকে আমি ঠিক চলে যাবো। ওকে কিছু বখশিশ দিই। ও নমস্কার করে চলে যায়। কিছুক্ষণ বসে থাকি বৃষ্টিভেজা নির্জন কেল্লায়। পাঁচটা নাগাদ নামতে শুরু করি নীচে। ... ...
নতুন বছরের শুরুতে মানুষের শুভচেতনার প্রতি উৎসর্গিত ... ...
বর্ষশেষে গুরুর সবাইকে নতুন বছরের অগ্ৰিম শুভেচ্ছার সাথে রইলো ৩৮ বছর আগের কিছু স্মৃতিকণা ... ...
এই লেখাটি অধমের নয়। স্বর্গত চিত্রপরিচালক শ্রী মৃণাল সেনের স্মৃতিচারণের অংশ - অধম কর্তৃক একটু সংক্ষেপিত ও সামান্য সম্পাদিত। শিরোনামটিও অধম প্রদত্ত। ... ...
"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ১৪ …দুপুরে বাস থেকে নেমে আশ্রয়ের সন্ধানে প্রাচীন নগরীর সরু রাস্তা ধরে এসেছিলাম। এখন শহরের বাইরে দিয়ে চওড়া কংক্রিটের বাইপাস ধরে হাঁটতে থাকি। বাঁদিকে শহরের সীমানায় পাঁচশো ফুট পাহাড়ের মাথায় উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত বিশাল কেল্লা। রীতিমতো সমীহ জাগানো সাইজ। লোকবিশ্বাসে অতীতে নরোয়র ছিল মহাভারতে বর্ণিত নিষধরাজ নলের রাজ্য। তখন তা নলপুরা নামে পরিচিত ছিল। আর এক মতে নরোয়র কেল্লা ও জনপদের প্রতিষ্ঠাতা কুশওয়াহা রাজপুত বংশ। সে গড়ের অতীত গৌরব বর্তমানে ম্রিয়মাণ। কিছু অংশ ভগ্নপ্রায়। অনেকাংশেই জঙ্গলাকীর্ণ। তবু মূলতঃ সেই কেল্লার আকর্ষণেই আমার সেখানে যাওয়া। আয়তনে এ কেল্লা গোয়ালিয়র কেল্লার পরে মধ্যপ্রদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম। কিন্তু প্রচারের অভাবে পর্যটকদের কাছে ব্রাত্য। তাতে অবশ্য ভালোই হয়েছে। নির্জনে মনের আনন্দে ঘুরেছি। ... ...
যৌবনে নারীর শীতল প্রত্যাখানে অপমানিত পৌরুষ হয়ে যেতে পারে কর্কশ, বিপথগামী। সবল পুরুষের হবে সংযমী হৃদয়, তাতে অযথা উঠবে না ভাবাবেগের তরঙ্গ, উঠলেও তার পাথরপ্রথিম মুখচ্ছবিতে ফুটবে না অন্তর্লীন বেদনার সামান্য আঁকিবুঁকি, একান্তে ক্ষণিক ক্রন্দনও সর্বৈব নৈব নৈব চ। এই হচ্ছে সমাজে পুরুষের প্রচলিত ম্যানলি ইমেজ। অজান্তেই এই ইমেজ অনুশীলনে রত অধিকাংশ মেল শভিনিস্ট। যারা এ ছকে পড়ে না, নারীর মধুর আন্তরিক সঙ্গ তাদের মননকে করতে পারে গভীর সংবেদনশীলতায় সমৃদ্ধ। সুমনের কাছে কেতকীর সাহচর্য ছিল সেরকম। গন্তব্য নয়, যতদিন সম্ভব সখ্যতার সহযাত্রাই ছিল সুমনের কাছে অতীব আনন্দময়। ... ...
পরচর্চার আনন্দ, উত্তেজনা অনস্বীকার্য। তবু চতুর্দিকে ধর্ম, রাজনীতি, দূর্নীতি, হিংসা, যুদ্ধের কলুষতায় আতুর মনের টুকুন মোলায়েম পরিচর্যা হয় - আমার ক্ষেত্রে - মেদুর পরীচর্চায়। তেমন কিছু এনিগম্যাটিক পরী, দক্ষ সাহিত্যিকদের কলম বেয়ে এসেছে আমার মনের আঙিনায় - দিয়েছে সবিশেষ আনন্দ। অণিমা (যাও পাখি), মণিদীপা (মানবজমিন), মনীষা (স্বপ্ন লজ্জাহীন), মার্গারিট (ছবির দেশে কবিতার দেশে), মারিয়ানা (কোয়েলের কাছে), ছুটি (একটু উষ্ণতার জন্য), কিশা (বাংরিপোসির দু’রাত্তির), ঋতা (সবিনয় নিবেদন), সুজান (পুত্র পিতাকে), রেণু (এই, আমি রেণু) … এমন আরো অ-নে-কে। তবে শুধু শব্দের ডানায় ভর করা পরী নয়। অতীতে কিছু বাস্তব পরীর সাহচর্যেও পেয়েছি অমল আনন্দ। এখন আর পরীসান্নিধ্যের সম্ভাবনা নেই। তাই নানা মিষ্টি স্মৃতির জাবর কাটি অবসরে। দুঃসময়ে অনেকে পথে নেমে প্রতিবাদ করেন। অনেকে কোনো ফোরামে করেন পরিস্থিতির সুচিন্তিত বিশ্লেষণ। দেন সম্ভাব্য সমাধান। আমি পড়ে সমৃদ্ধ হই। আত্মকেন্দ্রিক, ভীতু, ক্ষীণ বোধবুদ্ধির মানুষ আমি। তাই পৃথিবীর দুর্দশায় মন ভারাক্রান্ত হলে মাঝেমধ্যে গৃহকোনে একান্তে বসে YTতে ভর করে ভার্চুয়ালি চলে যাই দুর দেশ ভ্রমণে প্রকৃতির মাঝে। বা পড়ি পছন্দের কোনো বই বা দেখি কোনো সিনেমা। তখন বইয়ের বা সিনেমার কোনো পরী তাদের নারীত্বের সুষমায় আমার বিক্ষুব্ধ চিত্তে শান্তির চামর বোলায়। সাময়িক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাই বাস্তব থেকে। তাই আমি পরীদের কাছে কৃতজ্ঞ। পরীহীন পৃথিবী পলায়নবাদীর কাছে অকল্পনীয় অভিশাপ। ... ...
উপরোক্ত লেখাটির ওপর kk, জিজ্ঞাসু, dc, যোষিতা, ফরিদা, দীমু, পলিটিশিয়ান, রঞ্জনদা ও কিশোরদা কিছু মন্তব্য করেছেন। প্রথম পর্বটি অনেকের ভালো লেগেছে। দ্বিতীয় পর্বটি কারুরই পছন্দ হয়নি। তবে ভালো বা মন্দ যাই লাগুক তার প্রকাশ উপরোক্ত পাঠকগণ করেছেন মার্জিত আঙ্গিকে। এটাই বাঞ্ছিত। তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। তাদের মন্তব্যই এই পুনশ্চঃটি লিখতে উৎসাহিত করেছে ... ...
"একা বেড়ানোর আনন্দে" - এই সিরিজে আসবে ভারতের কিছু জায়গায় একাকী ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। এটি পর্ব - ১৩ … আমার মুখ ফসকে বেরিয়ে যায়, তাহলে তো খুব অনিশ্চিত ব্যাপার! উনি নির্মল হেসে দুটো হাত মুখের সামনে তুলে বলেন, বাবুজী, লেনে কে লিয়ে তো হ্যায় স্রিফ দো হাত - লেকিন দেনে কে লিয়ে হ্যায় হাজারো হাত। কুছ না কুছ মিল হি যাতা। কথাটা যে বিরাট ভাবগম্ভীর, তা নয়। তবে কিছু কথা কেতাবে পড়ে অলস ভাবনায় নাড়াচাড়া করা আর কাউকে সেটা গভীর বিশ্বাসে আঁকড়ে জীবন কাটাতে দেখার অভিঘাত আলাদা। দু হাত পেতে আশায় থাকা মানুষের সংখ্যাও তো কম নয়। তাই নিত্য অনিশ্চিয়তা এহেন জীবনযাত্রার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তাও এতো বিনদাস ভাব! বলার ভঙ্গিতে এমন সহজ কথাও অন্তরাত্মা অবধি নাড়িয়ে দিল। তাই একযুগ বাদেও ভিন্ন জায়গার এই ভ্রমণবৃত্তান্ত লিখতে বসে তাঁর সেই অমল হাস্যময় মুখ মনশ্চক্ষে পরিস্কার ভেসে উঠলো। ... ...
প্রাচীনত্বের বিষন্ন সাহচর্যে অনেকেরই হাঁফ ধরতে পারে। বর্তমানের উত্তেজনা উপভোগে আসক্ত মানুষ শান্ত ঝিম ধরা অতীতের পরিমণ্ডলে অস্বস্তি বোধ করে। তবে সৌমেনের বেশ লাগে। তাই ও একাকী ভ্রমণে অনেকবার নানা পর্যটকবিরল, নির্জন, ভগ্নপ্রায়, পরিত্যক্ত কেল্লা, প্রাসাদের আনাচে কানাচে বহুক্ষণ ঘুরে বেড়িয়েছে নিজের মনে। এমন জায়গা ওকে নিশির ডাকের মতো টানে। বরং তাজমহলের মতো পরিবেশে ওর দমবন্ধ লাগে ... ...