বিহার নির্বাচনের একদম শেষ পর্বে এসে লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, বস্তুত তৃণমূলের সঙ্গে বাম জোটের খোলাখুলি প্রস্তাব দিয়ে ফেললেন। বামরা বিহারে অসাধারণ ফলাফল করে ফেলেছে এমন নয়, তবে নিঃসন্দেহে কংগ্রেসের চেয়ে ভালো। সবচেয়ে এগিয়ে আছে সিপিআইএমএল লিবারেশন। এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের সাইটের খবর অনুযায়ী তারা ৯ টি আসনে জিতেছে এবং আরও ৩ টিতে এগিয়ে আছে। এই প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে দীপঙ্কর স্পষ্ট করেই বলে দিলেন, যে, সর্বভারতীয় রাজনীতির প্রেক্ষিতে এবার পশ্চিমবঙ্গের বামদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তাদের অগ্রাধিকার কী? তৃণমূলের বিপক্ষে গিয়ে বিজেপির সুবিধে করা? নাকি বিজেপির বিরুদ্ধে গিয়ে তৃণমূলের হাত ধরা? শত্রুর বিচারে কংগ্রেস এবং তৃণমূল, দীপঙ্করের বিচারে বিজেপির কাছাকাছিও আসেনা, এই হল দীপঙ্করের মোদ্দা ... ...
এ এখন কারও অজানা নয়, যে, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আজ পর্যন্ত প্রাপ্ত ভোটের ইতিহাসে পয়লা নম্বরে আছেন জো বাইডেন। অর্থাৎ, এর আগে এত ভোট কেউ পাননি। কিন্তু যেটা নিয়ে তেমন কথা হচ্ছেনা, সেটা হল দুই নম্বরে কে। বিস্ময়কর হলেও সত্যি, যে, প্রাপ্ত ভোটের হিসেবে দুই নম্বর আলো করে আছেন শ্রীযুক্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প। বাইডেনকে বাদ দিলে এত ভোট আর কেউ কখনও পাননি। এইটা কেন বলা হচ্ছে? কারণ একটাই। এইটুকু খালি বলা, যে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের জনসমর্থন কিন্তু কিচ্ছু কমেনি। বরং আগের থেকে বেড়েছে। এবং ২০২০ ছাড়া অন্য যেকোনো নির্বাচনে এইরকম সমর্থন পেলে ট্রাম্প হইহই করে জিততেন। সেটা এবার হয়নি, দেখাই যাচ্ছে, ... ...
এ কোনো ইয়ার্কি নয়। আমি সাক্ষাৎ ঈশ্বরকে দেখেছি। একদম জলজ্যান্ত, যেমত কম্পিউটারে জিফ, যেমত টিভির পর্দায় টুইন-টাওয়ার। একদম সেইরকমই প্রত্যক্ষ জ্ঞানে। ব্যাপারটা বোঝানোর জন্য একটু ইতিহাস বলা দরকার। ব্যাপারটা গুরু সংক্রান্ত। গুরু শুরু হয়েছিল একদম এলোমেলোভাবে। ২০০৩-৪ এরকম সাল নাগাদ। সাইটে কিছু লেখাপত্র ছিল টুকরো-টাকরা। আর ছিল ভাটিয়ালি বলে একটা বস্তু। যেখানে লোকজন যা খুশি পরপর লিখে যেতেন। এখনও যান। জিনিসটা পড়তে হয় নিচ থেকে উপরে। অনেক সময় খেই থাকে, অনেক সময় থাকেনা। কিন্তু তালে-গোলে জিনিসটা চলতেই থাকে। এর জন্য কোনো ঈশ্বরদর্শন হয়নি। দরকারও পড়েনি। এর পর এল, টইপত্তর বলে এক বিভাগ। ভাটিয়ালি নামক এলোমেলোপনাকে একটু ছিপ দিয়ে গেঁথে ফেলা আর কি। ... ...
বীর সাভারকার যে কালি ব্যবহার করতেন। সৌজন্যঃ অয়ন চক্কোতি ( সে কোথা থেকে পেয়েছে, তাকে জিগান) ... ...
ভারতবর্ষ কি অখণ্ড একটা অস্তিত্ব? টিভিতে যেমন দেখায়? এই নিয়ে আগেই কথা হচ্ছিল, কিছুতে ছবিতে গল্পও থাকুক। পুং ও নারীর সংখ্যানুপাতঃ লেখাপড়ায় লিঙ্গবৈষম্যঃ সাক্ষরতাঃ জন্মহারঃ তফশিলি জাতির উপর অপরাধঃ অস্পৃশ্যতার মাপজোকঃ এ ছাড়া আরও অনুরূপ তথ্যাবলী আছে। আপাতত এই কটাই থাক। সবকটাতেই দেখবেন সমস্যাজনক এলাকা বলে চিহ্নিত একটিই এলাকা। গোবলয়। তা, পয়েন্ট একটাই। টিভি যখন দেখায়, 'ভারতে অস্পৃশ্যতার অভিশাপ' বা অনুরূপ কিছু, তখন, সেটি মূলত একটি এলাকার অভিশাপ। বাকি এলাকা সমস্যামুক্ত এমন না, কিন্তু অভিশাপটি একটি এলাকারই। টিভি এবং ভারতীয় রাষ্ট্রযন্ত্র অবশ্য তেমন বলেনা। কারণ, এখন ইন্ডিয়া দ্যাট ইজ ভারত, দ্যাট ইজ হিন্দুস্তান। হিন্দি-হিন্দু-হিন্দিস্তান। এবার ভারতবর্ষকে সমতল, সমসত্ত্ব -- এই থিয়োরি আপনি বিশ্বাস করবেন কিনা আপনার ব্যাপার। গোবলয়ের সংস্কৃতি এখন ভারত রাষ্ট্র শাসন করে। ... ...
বিশ্বের উন্নততম দেশে নির্বাচনের সার্কাস শুরু হয়ে গেল। আজ ছিল প্রথম রাষ্ট্রপতি বিতর্ক। এক মঞ্চে ট্রাম্প-বাইডেন। নির্বাচনের বাজারে প্রথমবার। কী হল? সংক্ষেপে, সে এক কান্ড বটে। উন্নততম দেশের সার্কাসও উন্নততম। খাজনার চেয়ে বাজনা সবসময়েই বেশি। হোয়াইট হাউস, আমেরিকা, সিএনএন, সব গামা-গামা ব্যাপার। তার উপর, টিভিতে প্রাইম-টাইমে দেখায় বিজ্ঞাপন-টন ছাড়া। আমরা হুজুগে পাবলিক, তাই দেখতেই হয়, নইলে সত্যি বলতে কি, এর জায়গায় হনুমান-চালিশা-পাঠের প্রতিযোগিতা করলেও খারাপ কিছু হতনা। ইসু-টিসু, প্রশ্নোত্তরের বালাই নেই, যা হল, তা পাতি ঝগড়া। তাও ভালো কিছু না। সোশাল মিডিয়ার ঝগড়া এর চেয়ে নিঃসন্দেহে অনেক বেশি চিত্তাকর্ষক। তৃতীয় বিশ্বের ট্রেনে 'তুই-আমার-পা-মাড়িয়ে-দিলি-কেন-রে-ট্রেন-কি-তোর-বাবার' চুলোচুলি অনেক বেশি কুশলী। পাড়ার মোড়ে কলের লাইনের ... ...
হিন্দু সংহতি নতুন বায়না ধরেছে। এরা আজ পর্যন্ত বাংলা ভাষার জন্য কিচ্ছু করেনি। কিচ্ছু না। এরা না, কংগ্রেস না। কোনো কেন্দ্রীয় শক্তি না। এই যে বাংলায় আজ লিখতে পারছি, তার একটা বড়ো কৃতিত্ব বাংলাদেশী বাঙালিদের। আমরা এপারে কিছুই করিনি তা নয়, এই বাংলা লেখার কল, বাংলা সাইট, এসব আমাদের অনেকেই বানিয়েছেন। কিন্তু ফন্ট, বাংলাদেশ না থাকলে হতনা। যবে মাইক্রোসফট একটা বার করবে, তবে লিখব, এরকম একটা হাফ-সন্ন্যাসী মুডে উদাস হয়ে ঘুরে বেড়াতে হত। এবং অবশেষে হিন্দির দশ বছর পরে বাংলা লেখা শুরু করতে হত। তাও কোনো অখাদ্য ফন্টে। এই কেন্দ্রীয় হিন্দু বা সেকুলার সংগঠনগুলো ভাষা নিয়ে কিচ্ছু করেনি কিন্তু তা নয়। দিব্যি ... ...