ফেসবুকে বাংলা বইয়ের গ্রুপগুলো হয়েছে এক অদ্ভুত জায়গা। কদিন আগে সুবোধ সরকার আনন্দবাজারে একটা লেখা লিখেছিলেন। তাতে এরকম একটা লাইন ছিল, যে, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সা বলতে জানতেন, তারপর কোনো বাঙালি লেখক আর পারেননি। পেরেছেন কি পারেননি, সে নিয়ে মতভেদ থাকাই স্বাভাবিক, তর্কাতর্কিও। কিন্তু ও মা, কোথায় কী। একখানা বইয়ের গ্রুপ খুলে দেখি, গাদা গাদা লোকে প্রশ্ন করছেন, এই সা বলাটা কী জিনিস। এত অ-আ-ক-খ থাকতে খামোখা লোকে সা বলবে কেন। তারও হাজারে হাজারে উত্তর। এবং সেসব আরও চমকপ্রদ। কেউ বলছেন সা মানে স্বাগতম। কেউ বলছেন সা মানে সাধারণজ্ঞান। দু-একজন মিনমিন করে সা মানে ষড়জ, সেটা বলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সেসবে কে ... ...
বিকল্প মিডিয়া নিয়ে কিছু কথা লিখেছিলাম আগের দিন। আমাদের কথা, অর্থাৎ গুরুচণ্ডা৯ নিয়ে কিছু লিখিনি। সেটাও বলা দরকার। আগামী বছর গুরুচণ্ডা৯র কুড়ি বছর হবে। ২০০৪ সালে ওয়েবসাইট খোলা থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত গুরুচণ্ডা৯ সম্পূর্ণ অলাভজনক একটি প্রতিষ্ঠান। অর্থাৎ, আমরা বই ছাপি, বিক্রিও করি, কিন্তু যদি তা থেকে লাভ-টাভ কখনও হবার সম্ভাবনা হয়, তাহলে সেটা পকেটে পুরে কেউ বাড়ি নিয়ে যায়না। বইয়ের ক্ষেত্রে লাভ করার বিশেষ চেষ্টাও অবশ্য আমরা করিনা, কম দামে সুলভে বই দেওয়াটাই আমাদের লক্ষ্য। লেখালিখির ক্ষেত্রে লক্ষ্য, 'অন্যরকম' ঘরানাকে উৎসাহ দেওয়া, তৈরি করা। আর ইন্টারনেটে লক্ষ্য একটা আলোচনার পরিসর তৈরি করা। বাণিজ্যিক, রাজনৈতিক অ্যাফিলিয়েশন আমাদের কোত্থাও নেই। ... ...
এই নিউজক্লিক কান্ডের পর অন্য একটা কথাও মনে হচ্ছে। সেটা বিকল্প মিডিয়া প্রসঙ্গে। গত কুড়ি বছরে, বাংলা এবং গোটা ভারতেই বিকল্প লেখালিখির জায়গাটা দুমাদ্দুম স্টার্টআপ সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। এই স্টার্টআপ জিনিসটা কী? না আপনি নিজের উদ্যোগে বা খরচায় কিছু একটা ছোট্টো করে বানালেন। তারপর তার মুনাফা-বানানোর সম্ভাবনা আছে দেখিয়ে বড় কোনো শিল্পগোষ্ঠীর কাছে বেচে দিলেন। অথবা সরাসরি বেচলেননা, কিন্তু বেশিরভাগ শেয়ারই বেচে দিয়ে বিনিয়োগ আনলেন। জিনিসটা নতুন কিছু না, কিন্তু ... ...
ফেবুর বিখ্যাত তাত্ত্বিক যাদবদা হঠাৎই কাল বললেন কথা বলবেন। আমি তো অবাক, কারণ এর আগে উনি আমার মুখদর্শন করবেননা বলেছিলেন। সঙ্গত কারণেই। আমি উনিজিকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিপদ ঠাউরে সেই নিয়ে অনেক বাকতাল্লা দিয়েছিলাম। পরে ভুল বুঝতে পারি, সরি চাইবার চেষ্টাও করি, কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। তারপর থেকে যাদবদার শিক্ষা একলব্যের মতো মুখস্থ করেছি, কিন্তু পরীক্ষা দেবার সুযোগ পাইনি। আজ আবার সুযোগ এসেছে বলে পুরোটা ... ...
আজ, এই বিশ্ব স্বীকারোক্তি দিবসে, আমার মনে পড়ছে কুড়ি বছর আগে, আমার (বা গুরুচণ্ডালির) প্রথম করা পাপের কথা। গুরু প্রথম পয়সা খায় মিঃ পাল নামক (পুরো নাম বললাম না, অকারণে নাম নিয়ে কী হবে) এক অনাবাসী বাঙালি ব্যবসায়ীর কাছে। ক্যাশে নয়, কাইন্ডসে। তাঁর সার্ভারের ব্যবসা ছিল, দাতব্য করে একটা সার্ভার গুরুর সাইটের জন্য ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন। এইটা আমি প্রায় চেপে দিতে পেরেছিলাম। কিন্তু পুরো থ্রিলারের মতো হঠাৎ করে আমার একটা মেলের অংশবিশেষ ফাঁস হয়ে ... ...
উত্তরপ্রদেশের একটা ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। কোনো এক 'পাবলিক স্কুল'। জনৈকা শিক্ষিকা চেয়ারে বসে আছেন। সামনে কতকগুলি ছেলেমেয়ে মাটিতে। ইউনিফর্ম পরে। একটি মুসলমান ছেলে শিক্ষিকার সামনে দাঁড়িয়ে। পড়া-টড়া করেনি হবে। শিক্ষিকা গম্ভীরভাবে বলছেন, আমি তো বলে দিয়েছি, যত মুসলমান বাচ্চা আছে, মেরে তাড়াও। ওপাশ থেকে কোনো এক পুরুষ বলছেন, ঠিক ঠিক। মহিলা তারপর এক এক করে সহপাঠী ছেলেদের ... ...
"চাঁদ থেকে সরাসরি" দেখব বলে খুলেই দেখি, চাঁদ থেকে সরাসরি উনিজি। চাঁদে গেলে সবাই ভালো-ভালো কথা বলে। আর্মস্ট্রং বলেছিলেন, এ হল মানবজাতির জন্য এক বিরাট লাফ। হুপ বলতে ভুলে গিয়েছিলেন। ভেবেছিলাম উনিজি সেটা বলে দেবেন। কিন্তু না, উনিজি লম্বা বক্তৃতা দিতে শুরু করলেন। কীকরে পারেন কে জানে। এতটা লম্বা রাস্তা, অত ধকল, ওইটুকু একটা স্পেসশিপে বসে থাকা। তার মধ্যে মাধ্যাকর্ষণ কমে বাড়ে। এইমাত্র ছাতি ছিল ছাপ্পান্ন, পরক্ষণে চাঁদে যেতেই ছভাগের একভাগ। তার উপর দেখলাম কোনো স্পেসসুটও দেয়নি, পতাকা নিয়ে যেতে গিয়ে জায়গা হয়নি বোধহয়। আর পতাকা কি একটা? আর্মস্ট্রং তো একটা পতাকা কোনোরকমে নিয়ে গিয়েছিল, উনিজি দেখলাম পতাকা দিয়ে চাঁদ ... ...
সময়টাই খারাপ যাচ্ছে। পরশু একটা হাল্কা করে অ্যাক্সিডেন্ট হল, আর কাল দেখলাম বার্বি। দেখে যা বোঝা গেল, ম্যাটেল, সেই একচেটিয়া বহুজাতিক কর্পোরেশন যারা বার্বিডল বানায়, নিজেদের একটা ঘন্টাদেড়েকের অতি অখাদ্য বিজ্ঞাপন বানিয়েছে। নিজেরা বানায়নি, অন্য আর এক কর্পোরেশনকে বানাতে দিয়েছে। তারা বিপননের আদর্শ কৌশল হিসেবে ভাড়া করেছে কয়েকজন মহিলাকে। গপ্পো লিখতে আর নির্দেশনা করতে। তারপর "নারীবাদী" ট্যাগ লাগিয়ে বেচে দিয়েছে। এবার দুনিয়া-জুড়ে যা হয়, ট্যাগ লাগতেই মিডিয়া- সোশাল-মিডিয়া উত্তাল। একদিকে রক্ষণশীলরা বার্বি পোড়াচ্ছে, তাদের মাথায় গোবর এই নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। অন্যদিকে "সহজে নারীবাদ শিখুন" বলে লেফট এবং লিবারালরা হইচই লাগিয়ে দিয়েছে। হট্টগোলে পাড়া মাথায়, কিন্তু বস্তু যা নেমেছে, ভালো-মন্দ ... ...
দৃশ্য ১।- ফার্স্ট ইয়ার? জামাকাপড় খোল, তারপর কথা।- দেখুন, র্যাগিং ইজ নট অ্যালাউড।- বিলকুল অ্যালাউড। কে বলেছে তোকে অ্যালাউড না?এরপর ছেলেটির জামাকাপড় খোলানো হয়। আরও একদল ছেলের সঙ্গে নাচতে বাধ্য করা হয় প্রকাশ্যে। জামাকাপড় পরা সিনিয়াররা মজা দেখতে থাকে সামনে এবং উপর থেকে। দৃশ্যটা আমার বানানো না। "মুন্নাভাই এমবিবিএস" এর। ২০০৩ সালের সুপারহিট সিনেমা। একটা মেডিকাল ... ...
দেশভাগের গান। ১৫ ই আগস্টের গান। পুরোনো গান। প্রতি বছর নিয়ম করে দিই। দিয়েও চলব। না দিয়ে উপায় নেই। কারণ এই পাপের কোনো প্রায়শ্চিত্ত হয়নি। হনুমানরূপী 'বীর'রা এখনও লাফিয়ে বেড়াচ্ছে। আমাদের বয়োজ্যেষ্ঠরা অনেকেই স্বাধীনতা বলতেননা। পার্টিশন বলতেন। পার্টিশন মানে দাগ। পার্টিশন মানে ক্ষত। এই ক্ষতকে মনে রাখার প্রয়োজন আছে।আমরা ১৫ তারিখ আরও কিছু জিনিস করতে চলেছি। ১। আমার নিজের একটা উপন্যাসিকা প্রকাশিত হচ্ছে এই ১৫ তারিখ। অনলাইনেই। "নুনু যখন শনাক্তকরণের চিহ্ন"। যখন লিখতে শুরু করেছিলাম, যাদবপুর-র্যাগিং-লিঙ্গ এইসব ... ...