এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • অনুকুল চা্ড্ডি শীর্ষেন্দু ও তার ভাব বিগলিত ক্যালানো কথামালা

    বিশ্লেষন করুন
    অন্যান্য | ২৮ আগস্ট ২০১৬ | ১৪৪৯১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Bhagidaar | 34.49.119.28 | ২৮ আগস্ট ২০১৬ ২৩:০২718744
  • বিশেষ পাড়ার মাটি দিয়ে তো ঠাকুর গড়া হয়। সে তো কুমার এর দায়, যে ঠাকুর গড়বেন, নাকি?

    আর একি অনাচার? প্রতিমা পূর্ব বা দক্ষিণ দিকে মুখ করে থাকতে হবে তো!
  • সিকি | ২৮ আগস্ট ২০১৬ ২৩:০৫718755
  • না রঞ্জনদা। প্রবাসের পুজোয় এসব মানা যায় না। আমাদের বিসর্জন হয় হিন্দোন নামের একটা খালে।
  • খোলামেলা | 56.182.106.190 | ২৮ আগস্ট ২০১৬ ২৩:০৬718766
  • উঃ - ছুঁচিবাই দেখে আর পারি না । বেশ্যাপাড়া, বেশ্যাপাড়া । উচ্চারণ করেই দেখুন না জিভ খসে পড়ে কি না ।
  • একক | 53.224.129.47 | ২৮ আগস্ট ২০১৬ ২৩:২০718777
  • এই বেবুশ্যের দাওয়ার মাটি নেওয়ার রেওয়াজ টা এবার তুলে দিন । এটা সিম্পল ছাগলামো । কোত্থেকে কিছু আবাল আবার রটায় এ নাকি মহিলা এমপাওয়ারমেন্ট । বেশ্যাদের সম্মান জানানো হচ্ছে । সম্মান না বাল । বেবুশ্যের দোরের মাটি পবিত্র কারন মনে করা হয় যে পুরুষ বেশ্যাগমন করে সে তার সঞ্চিত পুণ্য ওই মাটিতে ফেলে রেখে বেশ্যার ঘরে ঢোকে । তাই ওই মাটি পুণ্যধারন করে । এটার মানে বেশ্যাদের নরকের কীট ভাবা । কোনো সম্মান ফম্মান না । যত বলিউডি সিনেমার বানানো বালবীচি এমপাওয়ারমেন্ট এর ধারনা দিয়ে ব্যাখ্যা বানিয়েছে লোকে ।
  • Abhyu | 160.129.103.232 | ২৮ আগস্ট ২০১৬ ২৩:২২718788
  • ভাগী বামুন? ব্যাটা কিস্যু জানে না। পুরোহিত বসবে পূর্ব বা দক্ষিণ দিকে মুখ করে। আর যজ্ঞের সময় পূর্বদিকে মুখ করে। সুতরাং প্রতিমা পশ্চিমমুখো থাকলে ঠিকই আছে।

    বেলুড় মঠের মন্দিরগুলো মনে করো। একমাত্র শ্রীশ্রী মায়ের মুখ পূর্বদিকে (আসলে গঙ্গার দিকে, কারণ ওনার "গঙ্গা বাই" ছিল)। সেই জন্যে পুজো করার সময় দেখবে মহারাজরা পাশের দিকে মুখ করে বসেন।
  • Bhagidaar | 34.49.119.28 | ২৮ আগস্ট ২০১৬ ২৩:৩২718799
  • ভাগী কেমন বামুন বোঝাই যাচ্ছে! আসলে পাড়ার পুজোটা মনে করলাম, সেখানে প্রতিমার মুখ থাকতো পুর্বদিকে, আর পুরোহিত বসতেন দক্ষিণ দিকে মুখ করে, সেই ভেবেই বল্লাম।
  • Abhyu | 160.129.103.232 | ২৮ আগস্ট ২০১৬ ২৩:৩৩718810
  • আর বেশ্যাপাড়ার মাটি তো জানতাম পুজোয় লাগে, মূর্তিতে নয়। প্রাণপ্রতিষ্ঠার আগে আর বিসর্জনের পরে মূর্তি তো মাটির পুতুল, তাতে অতো আচার বিচার না থাকারই কথা।
  • Abhyu | 160.129.103.232 | ২৮ আগস্ট ২০১৬ ২৩:৩৬718821
  • আসলে এই প্রতিমা কোন দিকে মুখ করে থাকবে সেই নিয়ে অর্গ্যানাইজারদের হেব্বি বাঁশ দেওয়া যায় - সেইটে মনে করে লিখেছিলাম :)

    দেখা যাচ্ছে ভাগীর পাড়াতেও প্রবলেম ছিল, সেই জন্যে পুরোহিতকে পাশ ফিরে পুজো করতে হত। এমনিতে মূর্তির মুখোমুখি বসে পুজো করার রেওয়াজ।
  • sm | 53.251.89.209 | ২৮ আগস্ট ২০১৬ ২৩:৩৭718844
  • আমি তো জানি, পতিতা গৃহের মাটি লাগে কারণ পুজোয় কেউই অশুচি নয়।মায়ের কাছে সবাই সমান। এর মধ্যে পুরুষদের/কাস্টমারের সঞ্চিত পুণ্যের গপ্পো আসলো কোদ্দিয়ে?
  • Bhagidaar | 34.49.119.28 | ২৮ আগস্ট ২০১৬ ২৩:৩৭718832
  • কিসে লাগে সেটা নিয়ে সন্দেহ আচে আমার ঠিক জানি কিনা, সেটা তো লিখলাম। এই নিয়ম এখন আর মানা হয় কিন সেটা নিয়েও সন্দেহ আচে। দেবদাস সিনেমার পর লোকজন আবর এইসব ভাবতে লেগেছে।
  • Bhagidaar | 34.49.119.28 | ২৮ আগস্ট ২০১৬ ২৩:৪১718855
  • হ্যাঁ পূর্ব দিকে মুখ হলে প্রতিমার মুখ রাস্তার দিকে হয়।
    রামঘাটের প্রতিমার মুখ পশ্চিমদিকে থাকতো।

    উফ্ফ কত বছর কোলকাতার/পশ্চিমবঙ্গের পুজো দেখিনা ঃ(
  • Abhyu | 160.129.103.232 | ২৮ আগস্ট ২০১৬ ২৩:৪২718866
  • আমি কিন্তু জানতাম যে পতিতা গৃহের (আসলে দ্বারের) মাটি লাগে কারণ সেই মাটি খুবই পবিত্র। পুরুষ তার সারা জীবনের পুণ্য ঐ দরজার রেখে বেশ্যাগৃহে প্রবেশ করে। পলি জমার মতো পুণ্য জমে জমে ঐ মাটি খুবই পবিত্র হয়ে যায়।
  • ranjan roy | 192.69.167.171 | ২৮ আগস্ট ২০১৬ ২৩:৫৫718877
  • অভ্যুর ব্যাখ্যাটাই ঠিক।
    হ্যাঁ , দ্বারের মাটি। পূজোর সময়, নইলে পূজো অসম্পূর্ণ!

    এস এম,
    ভেবে দেখুন, মায়ের কাছে সবাই সমান হলে তো যে কোন জায়গার মাটি আনলেই হল। শুধু নগরবধূদের দ্বারের মাটিই চাই-এমন হবে কেন? কাজেই।
  • sm | 53.251.89.209 | ২৯ আগস্ট ২০১৬ ০০:১৪718888
  • দেখুন মায়ের মূর্তি গড়ার পিছনে একাধিক কারণ/ধারণা। আছে। অভ্যু যেটা বললো একটা, আমি যেটা বললাম সেটা আর একটা। কারণ পতিতা নামেই লুকিয়ে আছে এরা সমাজ থেকে নিষিদ্ধ।
    আর একটা কারণ/ধারণা পেলাম। শারদীয়া পূজা হলো অকাল বোধন। এটি করেছিলেন, রাম চন্দ্র যুদ্ধে জেতার জন্য। উনি অম্বিকা নামক একজন পতিতা রমণীর দুয়ারের মাটি নিয়েছিলেন মূর্তি গড়ার জন্য।
    সেই থেকে এই প্র্যাকটিস। যুক্তি গ্রাহ্য। কারণ শারদীয়া দূর্গা পুজো ছাড়া আর কোনো পুজোয় দেব/দেবী গড়তে এই পুন্য মাটি লাগে বলে জানি না।
  • ranjan roy | 192.69.167.171 | ২৯ আগস্ট ২০১৬ ০০:১৮718899
  • এস এম,
    ঠিক।
    এসব লোকাচার। একাধিক কারণ/ব্যাখ্যা থাকতেই পারে।

    এবার এই নগ্ন টইকে রেহাই দিলে হয়, কী বলেন? কারও কোন নতুন কিছু বলার নেই মনে হচ্ছে।
  • ranjan roy | 192.69.167.171 | ২৯ আগস্ট ২০১৬ ০০:১৯718910
  • সরি!
    দ্বিতীয় অংশটি "নগ্ন" টইয়ের জন্যে।
  • sch | 55.251.235.141 | ২৯ আগস্ট ২০১৬ ০৭:০০718921
  • এই বিষয়টা আমার খুব জানার ইচ্ছে। সত্যি করে কোথায় কোথায় শীর্ষেন্দু বর্ণ মিলিয়ে বিয়ে দিতে বলেছেন - বা সো-কলড চাদ্দিপনাগুলো করেছনে।

    ইন্টারভিউ ছেড়ে দিন - বা ব্যক্তিগত লেখা। গল্প উপন্যাসের জায়গাগুলো পেলে ভালো লাগত। পার্থিব বা চক্র অনেক বার পড়েও বুঝতে পারিনি। মানে আমার হয়তো অতটা বুদ্ধি নেই। একটু উদাহরণ পেলে ভালো লাগত।

    ব্যক্তি শীর্ষেন্দু অনুকুল প্রতিকুল দুকুল যার খুশি শিষ্য হোন গিয়ে - আগ্রহী নই - কিন্তু লেখায় ঠিক কোন কোন জায়গায় আছে - জানার খুব ইচ্ছে
  • bip | 183.67.3.44 | ২৯ আগস্ট ২০১৬ ০৮:৫৮718943
  • শীর্ষেন্দুর ধর্ম বিশ্বাস নিয়ে একটা গল্প না বলার লোভ সামলাতে পারছি না।

    সেটা বোধ হয় ১৯৯৮। হিজলীজেলে নিহত শহিদদের জন্য, আই আই টি খরগপুর প্রতি বছর শহিদ দিবস পালন করে। প্রতিবারই কোন না কোন বুদ্ধিজীবি চীফগেস্ট হিসাবে ভাষন দেন। সে বছর নিমন্ত্রন জানানো হয়েছিল শীর্ষেন্দুকে।

    তখন হিজলী জেল মিউজিয়াম কমিটীর হেড ছিলেন প্রফেসার অজয় রায় যিনি এখন শিবপুরের ভিসি। আমি সেই বছর ছাত্র ভল্যুন্টার কমিটির হেড ছিলাম।

    যাইহোক, দুপুর দুটোর লোক্যাল ট্রেনে উনার আসার কথা। আমি নিজে গেছি স্টেশন থেকে উনাকে রিসিভ করে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসার জন্য।

    ট্রেন এল। সবাই নেমে চলে গেল। এইদিকে শীর্ষেন্দুর দেখা নেই। আমি চারিদিকে খুঁজছি। তারপরে দেখি শীর্ষেন্দুর মতন একজন দেখতে, পড়নে একদম সাধারন একটা ফতুয়া আর পাঞ্জাবী । স্টেশনে এদিকে ওদিকে কাউকে খুঁজছে। উনার পোষাক এতই সাধারন ছিল, আসলে অন্যদের ভীরে উনাকে চেনা বেশ কঠিন। আমি দ্রুত এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম উনিই শীর্ষেন্দু কি না-তখন অবশ্য স্টেশন ফাঁকা।

    যাইহোক উনাকে নিয়ে গেস্ট হাউসে যাচ্ছি। বিকেল ছটাতে অনুষ্ঠান শুরু। যাওয়ার পথে, উনি আমাকে বল্লেন উনি সৎসঙ্গের কাজে এতল্লাটে এসে থাকেন।

    এবার গেস্ট হাউসে উনাকে রেখে, আমি বল্লাম, তাহলে এবার আপনার জলখাবার নিয়ে আসি। উনি বল্লেন উনি বাইরের খাবার খান না। আর একদম নিরামিষ খান। মানে একেবারে ঘরে খাবার পেঁয়াজ রসুন ছাড়া বিশুদ্ধ নিরামিশাহারী।

    আমিত গেরোতে ফেঁসেছি। আমার গাইডের স্ত্রীকে ফোন করলাম। শীর্ষেন্দু উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ির লোক-উনার বোনের সাথে এক কলেজে পড়তেন আমার গাইডগিন্নী। উনি বল্লেন সেকি তুমি জান না শীর্ষেন্দু বিশুদ্ধ নিরামিষাহারি এবং আমিশ হেঁসেলের রান্নাও খান না। যাকগে, উনি শীর্ষেন্দুকে ফোন করে নিজের পরিচয় দিয়ে, উনাকে ভরসা দিলেন, একদম ব্রাহ্মনীর হাতের বিশুদ্ধ নিরামিষ।

    যাকগে। দেখলাম এখনো ঘন্টা দুই আছে। উনার সাথে আড্ডা মারা যাক। উনাকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনার লেখায় এই সৎসঙ্গ দর্শনের এত প্রভাব কেন? কি খুঁজে পেলেন অনুকুল ঠাকুরের মধ্যে। আমার দাদুও ছিলেন অনুকুল ঠাকুরের শিষ্য ( সৎসঙ্গ নিয়ে মুক্তমনায় আমার লেখা আছে ঃ https://blog.mukto-mona.com/2014/11/22/43787/ )

    উনি আমাকে বল্লেন জীবনের একটা স্টেজে উনি বাঁচার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলেছিলেন। শুধুই আত্মহত্যা করতে ইচ্ছা করত। ঠাকুরের সংস্পর্ষে এসে উনি বাঁচার ইচ্ছা ফিরে পান। ভগবান আছেন কি নেই সেটা গুরুত্বপূর্ন না-কিন্ত এই যে একটা বিশ্বাসের জন্য উনার বাঁচার ইচ্ছা তীব্রভাবে ফিরে এসেছে-এটাই গুরুত্বপূর্ন। বহুদিন বাদে জেনেছি- এই দর্শন সোরেন কিয়ার্ডগার্ডের অস্তিত্ববাদ। ঈশ্বর না মরিল-কিন্ত তাহলে আমি বাঁচিব কি করিয়া?

    আমি উনাকে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম। উনি বল্লেন ও খুব বেশী লেখে।
  • sch | 132.160.114.140 | ২৯ আগস্ট ২০১৬ ১১:৪৩718955
  • লিঙ্ক এবং লেখা, দুটোই ওনার ব্যক্তিসত্তার রেফারেন্স হিসেবে ঠিক আছে। আমি কিন্তু চাইছি একদম স্পেশিফিক রেফারেন্স ওনার লেখার লাইন তুলে যেখানে উনি বর্ণ মিলিয়ে বিবাহের কথা বলেছেন। খুব আগ্রহী হব পার্থিব উপন্যাসটা থেকে রেফারেন্স পেলে।
  • a | 113.238.192.128 | ২৯ আগস্ট ২০১৬ ১২:৫৪718966
  • শুধু পার্থিক কেন? ঘূণপোকা, যাও পাখি, দূরবীন, মানবজমিন, ফেরিঘাট উপণ্যাস থেকেও তুলে দেখানো হোক লেখক শীর্ষেন্দু কোথায় মত চাপিয়ে দিচ্ছেন?
    বরং ঘূণপোকা তে সুবোধ মিত্রর মতন ধর্মভীরু, ঈশ্বরবিশ্বাসী মানুষ কথার ছলে কীভাবে আহত করছেন নিজেকে তা দেখতে পাই, এই যেমন এক জায়গায় বলেন, যতক্ষণ আমি পবিত্র ও শুদ্ধু থাকতাম ততক্ষণই রবি ঠাকুর থাকত আমার সঙ্গে...
    বাঙালির রবি প্রণামের দিকে ইঙ্গিত করলেন, আবার পরক্ষণেই বললেন, আসলে আমিই ঠিক রবি ঠাকুরকে পেয়েছিলাম কিন্তু রাখতে পারলাম না।

    আবার শ্যামের মধ্যে ধর্মের তীব্রতা আসে, সে নিজেকে হিন্দু বলে পরিচয় দেয়, নিজেকে তিরস্কার করে, "আমি কেমন হিন্দু" দেশভাগের স্মৃতি তাকে তাড়া করে, এবং আত্ম উপলব্ধির মধ্য দিয়ে যেতে যেতে সেই বলে, অবিশ্বাস্য মনে হয় এইসব নাম পরিচয়ের মধ্যে বাঁধা আছি। এইসব নাম পরিচয়ের বাইরে আর তার কোন অস্তিত্ব নেই।
    সে কখনও আত্মহত্যার চেষ্টা করে আবার যে শ্যাম নারীর থেকে দূরে থাকতে চায় সেই আবার একদিন লীলার সন্ধান পেয়ে বলে, অনেকদিন বাদে টের পেলুম, আমি প্রেমে পড়ে যেতে পারি।

    মাঝেমাঝেই শ্যামের জীবনে একরকম অস্থিরতা লক্ষ্য করা যায়, দিশাহীন জীবন, ভবঘুরের মতন।
    পার্থিব অপার্থিব সংঘাত ও জীবন জটিলতা শীর্ষেন্দুর উপন্যাসে বারেবারে ফিরে এসেছে।

    কখনও চরিত্ররা দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে উত্তরণের পথ খুঁজে পেয়েছে কখনও পায়নি, আর এসব আমাদের চারপাশের ঘটনা। চেনা জানা মানুষের কাহিনি, অস্বাভাবিক রকমের স্বাভাবিক চিত্র।

    আর একটা কথা ব্যক্তি শীর্ষেন্দু ভূতে বিশ্বাস করেন, বেশ করেন কিন্তু মজাটা অন্যত্র শীর্ষেন্দুর ভূতেরা ঠিক তথাকথিত অপদেবতা নয় বরং তারা দেবতার ভূমিকা নিয়েছেন বারবার।
    এ যেন অনেকটাই দশচক্রে ভগবানকে ভূত বানানোর খেলা।
    (এখন ভূত প্রেতে যাঁরা বিশ্বাস করেন তারা একরকমভাবে হয়ত পড়বেন আর যারা করেন না, তাদের কাছে বিষয়টি ইতিবাচক ভূমিকা হিসেবে ধরা দেবে)

    শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় একজন গল্পকার(কোনো সাধুবাবা বা গুরুদেব নন)তাঁকে কেন সমাজ কল্যানের পূর্বশর্ত মাথায় রেখে গল্প লিখতে হবে জানিনা!!!
  • | 213.132.214.83 | ২৯ আগস্ট ২০১৬ ১৩:১০718977
  • আমি টই টা পড়ে a মতোন একটা কিছু লিখতে চাইছিলাম। ধন্যবাদ অয়ন আর sch

    নিজে যেটা বিশ্বাস করেন সেই টা কেউ লিখতেই পারেন। কারোর ওপর জোর করে না চাপিয়ে দিলেই হল।

    আমি নিজে শীর্ষেন্ড র ভক্ত। ও ই ঘূণপোকা, মানবজমিন, যাও পাখি। আমাকে ভাবিয়েছে , মুগ্ধ করেছে।

    শীর্ষেন্দু র আগে প্রকাশ হওয়া আনন্দমেলা র উপন্যাস গুলো। "মনোজ দের অদ্ভুত বাড়ি","পাগলা সাহেবের কবার", এবং আরো অনেক কটা।"পটাশ গড়ের জঙ্গলে" বোধহয় শেষ ভালো লেখা। "অঙ্ক টা প্রাণ পেয়ে গেচে" লাইন টা খুব-----ব ভালো লেগেছিল"
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ২৯ আগস্ট ২০১৬ ১৩:১৩718988
  • এই লেখকের কোন গল্প/উপন্যাস পড়িনি। অনুকূল চন্দ্র যদি ঢাকার লোক হন তবে শুনেছি ওঁর কিছু কুকীর্তি ছিল। বিধবা যুবতীদের দীক্ষা দেবার নাম করে এমন কিছু করেছেন যে ভক্তকুল আখড়া তুলে দেয়। তখন কোলকাতায় বা অন্য কোথাও পালিয়ে যান। দীক্ষা দেবার জন্য নাকি নির্জন কক্ষে নিয়ে যেতেন, কোনো কোনো বিধবা গর্ভবতী হয়ে পড়ে। শোনা কথা।
  • sm | 53.251.91.253 | ২৯ আগস্ট ২০১৬ ১৩:৪২718999
  • শোনা কথায় বড্ডো কান দেন।ভক্তরা জানলে কিন্তু বাড়ি এসে ভক্ত বানিয়ে ছাড়বে। এ ব্যাপারে ওদের ভীষণ টেনাসিটি।
    যতই বারণ করুন ওরা গুরু আর নিজেদের গুণ কীর্তন করেই যাবে। অনেকটা এক ঘেঁয়ে খেয়াল গানের মতন।
  • a | 213.219.201.58 | ২৯ আগস্ট ২০১৬ ১৩:৪৪719010
  • অ অয়ন নয়।
  • | 213.132.214.87 | ২৯ আগস্ট ২০১৬ ১৩:৫২719021
  • ওহো সরি। মাই ব্যাড। অয়ন এই নামে এখানে বহুদিন লিখেছেন। ঃ((
  • cb | 208.147.160.75 | ২৯ আগস্ট ২০১৬ ১৩:৫৬719032
  • হতেই পারে স্ল্যান্ডারিং, তবে কুমড়োর কথাটা একেবারে ফেলে দেওয়ার মত না। ভক্তরা অবশ্য প্রেমের ঠাকুর টাকুর বলে থাকেন কিন্তু মহিলা সম্পর্কিত ব্যাপার স্যাপার গুলি কিন্তু বহুল প্রচলিত। তবে যা ইচ্ছে তাই করেছেন, কি ই বা বলার আছে
  • | 213.132.214.85 | ২৯ আগস্ট ২০১৬ ১৪:০১719043
  • আচ্ছা আমার একটা বাংলা প্রশ্ন আছে।

    ধর্মাগুরু রা মানে "যাদের ওপর চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায়" (??!!) তার বেশীর ভাগ ছেলে কেন? মহিলা নয় কেন?

    কয়েক জন হাতে গোণা মহিলা ধর্মগুরু আছেন নিশ্চয় ই কিন্তু তার "কোটি কে গুটিক" র মতো ই ইনসিনিফিকিয়েন্ট।

    কেন??

    মানে আমার সিরিয়াস জানার ইচ্ছা এর আর্থ সামজিক কারণ গুলো ..
  • amit | 213.220.177.120 | ২৯ আগস্ট ২০১৬ ১৪:০৮719054
  • সায়ীদ মুজতবা আলী সাহেবের একটা লেখায় পড়েছি, "ফকির নিজে ওড়েন না, তার ভক্তরাই তাকে ওড়ান"। এটা একটা ইরানি না আফগানী প্রবাদ উনি অনুবাদ লিখেছিলেন, এখন খুঁজে পাচ্ছি না।
    আমার ও এক বন্ধু ছিল অনুকূল ঠাকুর এর ভক্ত। দেখা হলেই কিছুক্ষন পর পর, তার দাদু কি ভাবে অনুকূল ঠাকুর এর অলৌকিক সাহায্য পেয়েছিলেন, সেটা শুরু করতো। গল্প শুনতে প্রথম প্রথম ভালোই লাগে, কিন্তু জানিনা এনারা সবাইকে বারবার এক কথা শুনিয়ে শুনিয়ে দলে টানার চেষ্টা করেন কিনা, নাকি শুধু এই মাল টি এরকম ছিল। বেশ কিছুদিন পর, একটু করা ভাবে তাকে বলতে বাধ্য হলাম, গল্প শুনতে আমাদের ভালো লাগে, কিন্তু আমাদের এসব আশ্রম এ দীক্ষা নেওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই, শুধু এই ঠাকুর কেন, কোনো ঠাকুর এর নেই। তাতে সে প্রচুর মনোকষ্টে ভুগেছিলো অনেক দিন, এই পাপীকে উদ্ধার করতে না পেরে।
  • Ekak | 53.224.129.42 | ২৯ আগস্ট ২০১৬ ১৪:২৫719064
  • মহিলা ধর্মগুরু নেই কারণ খুব বড়ো মহিলা ভক্ত নেই একাধিক সংখ্যায় । ভক্তের পিরামিডের মাথাতেই গুরুর জন্ম । এই গুরু এবং তার দলবল ব্যাপারটা একটা রেফারাল নেটওয়ার্ক মডেলে কাজ করে । "যত পারিস মানুষ ধর " অর্থাৎ রেফারাল বাড়াও । এবার রেফারাল বাড়িয়ে কী হয় ? ডিরেক্ট টাকাপয়সা ? না হয়না ।

    কিন্তু যা হয় তা অনেক বেশি । আমাদের সমাজে পুরুষরা একটা অযাচিত হাইটে ভোগেন । মানে এমনিতে কিছুই না জাস্ট নির্বোধ আবাল ক্যালানে কার্তিক কিন্তু শুধু পুরুষ বলেই ছোটোব্যালয় সে মা -দিদি দেড় রক্ষা করে , দামড়া হলে সবাই তার কথাকে বাইরের জগতে অগ্রাধিকার দেয়।

    এবার একটা বেলুন কে ধরুন ক্রমশ ফোলানো হচ্ছে সে তো ফেটে যাবে । তখন তাকে সিউডো কিছু ভাট দিয়ে বাইরের একটা কাল্পনিক জগৎ তৈরী করে নিজেকে ব্যালান্স রাখতে হয় । সেগুলোই হলো অধ্যাত্মবাদ - দেশহিতৈষণা-আদর্শ - আল বাল ছোলার ডাল । এইসব নিয়ে এই শ্রেণীর পুরুষরা মেতে ওঠে এবং ভাষণ দিয়ে জ্ঞান দিয়ে পাড়া লেভেলে -পাঠবাড়ী লেভেলে -সমিতি লেভেলে গুরু হয়ে বসে । এভাবেই গুরুর গুরু তার গুরু হতে হতে মডেলের মাথায় একটা গুরু প্রমিনেন্ট হয় ।

    অবশ্য তাই বলে সব গুরু এই প্যাটার্নে নয় । আমি সেই শ্রেণীর গুরু-ভক্ত পিরামিড এর কথা বললুম যেটা বাঙালি মধ্য ও নিম্নবিত্ত কে ঘিরে গড়ে উঠেছে । শ্রী শ্রী রবিশঙ্কর ইত্যাদি আধুনিক গুরুর কাছে যারা মাথা থেকে তারা সিরিয়াস লেভেলের ধান্দাবাজ ।

    মেয়েদের মধ্যে এই জিনিস দেখা যাবে যদি মেয়েদের মধ্যেও প্রচুর ইকোনোমিক স্বাধীনতা আসে । যখন কিনা পকেটে অর্থ হাতে সময় -অযাচিত একটা হাইট কিন্তু মাথার ভেতর কিছু নেই । সেটা এখনো আসেনি । তাই তাঁরা এমনিতেই ব্যালান্স আছেন ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন