এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পর্বে পর্বে কবিতা - ২

    pharida
    অন্যান্য | ২১ নভেম্বর ২০০৯ | ৩১১৯৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • tkn | 122.173.186.215 | ০৬ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৩:১৪429338
  • ফাটল থাকুক একলা পড়ে মাঝ উঠোনে
    তাসের পাতায় বন্দী থাকুক বাদশা বেগম
    খামখেয়ালের অলিন্দতে শেকল তুলে
    হচ্ছে লেখা সর্বনাশের নতুন নিয়ম

    সে নিয়মে হরেক ফাঁকি এদিক ওদিক
    ঝাপসা চোখের আতসকাঁচে বিষন্নদাগ
    মেঘের গায়ে সিঁদূর আঁকা বিকেলগুলো
    ধূলোর মাঝে রাস্তা ছিঁড়ে করছে দুভাগ
  • pharida | 122.163.95.90 | ০৬ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৯:২৩429339
  • আয়না থেকে ঠিকরে আসে যেটা
    লাগছে চেনা, হাবভাব কেউটে টা
    চেনা কথাই শুরু করলাম যেই
    চেরা জিভেই বলছে সে শখ মেটা।

    শখ বলতে মাটির কাছাকাছি
    বাড়ি বলতে গর্ত খুঁড়ে বাঁচি
    রোজগারে সব উষ্ণ রক্ত পেলে
    রোদ্দুরে আজ খেলছি কানামাছি।

    হিসহিসিয়ে চলছি এঁকেবেঁকে
    পোকামাকড় আসছে লালায় মেখে
    সব পদ্যের গন্ধের মৌতাত
    বরফ ঠান্ডা কপাল দিচ্ছে সেঁকে।

    পাপবোধ আর মাতলামি মিলমিশ
    নিজের মধ্যে চমকানো ফিসফিস
    চোখ পালালে কান দিয়ে সব দেখি
    ঠিকগুলো সব ভুল করে হিস হিস।

  • pharida | 122.163.95.90 | ০৬ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৯:২৭429340
  • বইগুলো ধুলো মেখে বহুদিন, যেন বৃষ্টি নেই কোত্থাও
    যাওয়া নেই বলে ফিরে আসা হয় না কখনো
    না বলা কথারা হলদে হয়ে যায়।

    এমন বিপন্ন করো, মাঝে মাঝে রাত গাঢ হয়ে আসে
    টলমল নৌকাতে লন্ঠনে দপদপ প্রাণ
    যখন কথারা শব্দের কাছে যায়।

  • pharida | 122.163.95.90 | ০৬ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৯:২৮429341
  • শব্দ পাঠাই বন্ধুকে যার
    ধার ছিল স্রেফ একটা ছাতার
    অবুশ্রান্ত বৃষ্টি যেবার
    অকালবোধন আশ্বিনে

    বেবাক শান্তি জল ছিটিয়ে
    শিতলপাটি দিই বিছিয়ে
    দেউলেপনা যায় হারিয়ে
    আসবে আবার পথ চিনে?

  • ranjan roy | 115.184.105.85 | ০৬ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৯:৫২429342
  • লোকটা যে খাবি খাচ্ছে, মুখে ওর একটু জল দাও।
    জল নেই? এক আঁজলা? এক আধ চুমুক?
    নাহয় চোখের থেকে বিন্দু-বিন্দু একটু ঝরুক
    তাতেও লেগেছে খরা?
    তবে যাও , দৌড়ে যাও
    সোনাঝুরি নদীটির ধারে।
    প্রাণপণে খোঁড়ো বালি,
    হয়তো এক কুলুকুলু উঠে আসতে পারে।
    আঁচল ভিজিয়ে নাও,
    নিংড়ে দাও ওর শুকনো ঠোঁটে,
    সুজাতার ছোঁয়া পেয়ে কোন বুদ্ধ যদি জেগে ওঠে।।
  • Nina | 68.45.145.174 | ০৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৬:২৭429343
  • মুগ্‌ধ!

  • aranya | 173.54.108.10 | ০৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৬:৪০429344
  • বা:, ফরিদা, টিম, তেকোনা - বহত খুব। রঞ্জনদা , আপনারটাও বেশ, বিশেষত শেষ লাইনটা।
  • sIm | 219.64.11.35 | ০৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ২০:৩৩429345
  • সত্যি! রঞ্জন এর কবিতাটা মনকে স্পর্শ করে গেলো।।
    লিখতে থাকো... বেশ ভালো।
  • tuli | 131.95.30.233 | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৯ ২১:১৭429346
  • রহস্যের পর্দারা কাঁপে খুব কাছেই, রহস্যভেদের তীব্র আনন্দ
    দুর্বল হৃৎপিন্ডে সইবে না বলে পর্দা তুলি না,
    উঁকি দিই না সেই ভিতরমহলে-
    থাক, সে নিজের মতন থাক।

    অচিন গাছটা দোতলার ঘরের জানলা দিয়ে
    মাথা ঢুকিয়ে ঝুঁকে পড়ে আমার বন্ধ চোখের উপরে।
    আমি ঘুমের ভান করে পড়ে থাকি, চোখ মেলি না-
    ভয়ে বুক দুরদুর করে যদি রহস্যভেদ হয়ে যায়!

    নদীটা ফিসফিস করে কথা বলে-
    বসন্তের ভোরে স্নানের সময় সে কানের কাছে
    বলছিলো কোন এক ডুবে যাওয়া চন্দ্রলেখার কথা।
    আমিও এক চন্দ্রলেখাকে চিনতাম,
    সেও নদীর মতন ছিলো....
    কান বন্ধ করে স্নান সেরে উঠে আসি।
    কী দরকার নদীর কথা শোনার?

    মাঝরাতে জেগে উঠে বাইরে গিয়ে
    আকাশ দেখলে তারাগুলোকে কেমন যেন লাগে-
    মনে হয় কথা বলার আগে ঠোঁটে যেমন কাঁপন ওঠে
    ওদের আলোয় তেমনি কিসের কাঁপন!
    ওরা বলে দেবে নাকি সব গোপণ কথা?
    ভয়ে শিউরে উঠে চোখ বুজে ঘরে দৌড়ে আসি।
    উপুড় হয়ে শুয়ে বালিশে মুখ গুঁজে ঘুমিয়ে যাই।

    রহস্যভেদ হয়ে যাবার ভয়ে শিরশিরে প্রাণকণা নিয়ে
    বসে থাকি, সেইটুকু হয়ে গেলেই তো সব শেষ!
    সেইটুকু কখনো না হোক-
    অচেনা নীলপাখি সে গভীর আকাশে অশেষ হয়ে থাক,
    আমি শান্তিতে চোখ বুজি।
  • tuli | 131.95.30.233 | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৯ ২২:৫৪429348
  • নীল শাড়ীটা আসতো যেত সকাল বিকেল
    আঁচলে তার রাজহাঁসেরা ভাসতো দুধেল-
    সুতোর জালে বন্দী হয়ে সেই পাখিরা
    নীল শাড়ীটার মতই তারা আকাশহারা।

    ওরা সবাই উড়বে বলে ভোরের বেলা
    রোদ্দুরচুল সেই মেয়েটার আগুনখেলা-
    শেষরাতে সে দু'হাত ছড়ায় আলোরপাখি
    জানলা দিয়ে দেখেছিলো ভুল জোনাকি।
  • tuli | 131.95.30.233 | ১৬ ডিসেম্বর ২০০৯ ২২:৫৯429349
  • খেলতে খেলতে ফুরায় খেলা মাঠের শেষে
    মির্চি হাওয়ায় শীতফসলের ঘ্রাণের দেশে,
    হাল্কা পায়ের পলকা মেয়ে সাঁঝউনানে
    সেঁকছে রুটি, আগুনআলোয় আলতো হেসে।

    হাতরুটিরা ফুলকো ফুলকো গোলচে হয়ে
    উঠছে ফুলে, ঘ্রাণ ঠোকা দেয় খিদের নাকে-
    তাপের কুসুম, তপের কুসুম অমনি ফোটে
    দু'এক কুচি জলের কুঁড়ি জপমালাতে আটকে থাকে।

    ডুবজলে নয়, হাতআঁজলার আয়নাজলে
    সেই জলে তোর মুখের ছায়া, চোখের বোলে-
    একনিমেষে সব ভুলেছি, ঘাট-আঘাটা ঘর ও বাহির
    দিন ভুলেছি রাত ভুলেছি গেরস্থালীর হাজার ফিকির
    সব সরিয়ে একলাবেলার দুপুরছাদে চুল শুকানো,
    শীত আকাশের চিলের ডানায় মন ভাসিয়ে গুণ্‌গুণানো-
    তবুও তো সেই ঘুম ভেঙে যায়, জাগনবেলার রোদের ফলা
    মুচকি হেসে কানের কাছে যায় বুঝিয়ে দিনের চলা।
  • tuli | 131.95.30.233 | ১৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ০১:৩৭429350
  • পথগুলো নেই, পথগুলো সব হারিয়েছে জঙ্গলে-
    চিত্রাহরিণ চাদরগুলো উড়ে গেছে মঙ্গলে,
    নেই-কথারা মেঘ বুনেছে হিজল বকুল মেখে
    ঝম্‌জ্‌হমিয়ে নামুক এবার বৃষ্টিরা দঙ্গলে।
  • Manish | 117.241.229.13 | ১৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ১২:১০429351
  • একসাথে এত কবিতা আগে কখনো পড়িনি । সময়ের টানটানি আবার ছাড়তেও পারছিনা। মনিমুক্তের ছড়াছড়ি।
    খুব ভালো প্রয়াস, অজান্তে সাহিত্য পড়ার অভ্যাস গড়ে উঠছে।
  • Nina | 68.45.145.174 | ২১ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৮:৩১429352
  • কবিতার মধ্যে হারিয়ে যায় সময়---বড় ভাল লাগে।
    তেকোনার কবিতা দেখচিনা বহুদিন---
  • Tirthang | 128.103.187.128 | ২১ ডিসেম্বর ২০০৯ ১০:০৯429353
  • তুলির হাত ধ'রে প্রত্যুষাও ফিরে আসুক। এই টই তো সেই-ই শুরু করেছিল।
  • Sayantan | 125.22.97.34 | ২১ ডিসেম্বর ২০০৯ ১১:২৮429354
  • হ্যাঁ হ্যাঁ, প্রত্যুষাও ফিরুক তার কবিতার ঝুলি নিয়ে।
  • Ziko | 117.241.228.175 | ২২ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৮:৩৬429355
  • রাজপথে ঘোরে আজ
    পেট্‌কাটি আর চাদিয়াল
    ব্র্যান্ড কালারের কাটতিতে
    স্ববাক পিছের চাড্ডি স্টাইল
  • pinaki | 67.43.241.179 | ২২ ডিসেম্বর ২০০৯ ২২:৪৫429356
  • রবীন্দ্রনাথ বিষয়ক
    ----------------

    দাদুর পুচ্ছ গুচ্ছ গুচ্ছ
                            উচ্চে এবং নীচে
    পশ্চাতে রেখেছো যারে
                            সে তোমার পশ্চাত মারিছে।
  • sIm | 219.64.11.35 | ২২ ডিসেম্বর ২০০৯ ২২:৪৭429357
  • চোখেতে চোখ পড়লেই লজ্জা;যৌনতার পেশা,
    বিকেল আলোয় সাজার তাড়া অদ্ভুত এক নেশা।
    হিসেব নিকেশ টাকা পয়সার ঘাম চটচটে হাত;
    ঠোঁট রেঙেছে পানের বোঁটায়- এইতো সুপ্রভাত।
    বোকার মতো দাঁড়ানোর ঢং চোখ জ্বালানো দৃষ্টি;
    মনের মাঝে মেঘ জমলেই - রং ধুয়ে দেয় বৃষ্টি।
    মাসীর হাতে হাতেখড়ি দ্বিপ্রহরের আজ যৌবন,
    মাসের মাঝে অশুভ কদিন-ওটাই শান্তি জীবন।
    দোদুল্যোমান সাপের ফনায় অকেজো হয় শরীর
    চেরা জিভের রসে লালায় চঞ্চল সর্বাঙ্গ অস্থির।
    দেবীশক্তির অম্বুবাচী নদীর জোয়ারে ভাসে রক্ত;
    এতে কোনো লজ্জা নেই! পুন্যস্নান ভিড়ে ভক্ত।
    পেটের নিচের ক্ষতবিক্ষত রক্তে- নতুন প্রাণ দান,
    অভাগী নারী হঠাৎ হয়তো পেয়ে যাবে মা' সম্মান।।

  • ranjan roy | 115.184.12.97 | ২৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:৫৯429359
  • তুমি যে বলেছিলে-অমলতাস,
    নিতল নীল জল, চিকনঘাস।
    মন-কেমন-করা বাঁশীর সুর,
    হটাৎ জড়িয়ে ধরা সর্বনাশ।

    তুমি যে বলেছিলে- সহজ হও,
    চারিয়ে যাও, মূলে চারিয়ে যাও।
    নৌকো যদি হয় টালমাটাল,
    ভাটার দিনে যেন উজান বাও।

    হটাৎ কি যে কর-অকস্মাৎ
    দিব্যি গাল দিয়ে মাথায় হাত,
    বাতাসে ফিস্‌ফিস্‌- কী মন্তর!
    মাঝদুপুরে নামে আঁধাররাত।

    চমকে জেগে উঠি, কোথায় যাও?
    আমাকে নাও, তুমি আমাকে নাও।
    আমাকে দেখা তোর দখিন মুখ,
    খাঁচায় ঝটপট করছে শুক।

    এভাবে কেটে গেল কতপ্রহর,
    কত খরার দিন,বৃষ্টি-ঝড়,
    আঁখিকোটরে ঘর শূণ্যতার
    বুকেতে বাসা বাঁধে অজানা ডর।

    আজকে কোথা তুমি -আর্তত্রাণ,
    হাওয়াতে নেই তোর-- শরীরী ঘ্রাণ।
    তবুও ধরে রাখি সে বিশ্বাস,
    কখনো মজা খালে আসবে বান।

    স্বপ্নে আজও দেখি-অমলতাস,
    যদিও মন জানে-এ পরবাস।।
  • Soutam Mitra | 219.64.11.35 | ২৩ ডিসেম্বর ২০০৯ ২২:৫০429360
  • আসবে! কে? কেন? কোথায়?
    এ প্রশ্ন একবারের জন্যেও আসেনি মাথায়,
    কোনো এক অচেনা তৃপ্ততা- না জানি কোন
    উষ্ণতার পরশে অথবা তীব্র শীতলতায়
    ভরিয়ে দিয়ে যাবে সারা শরীর; এই
    ভাবনাতেই আছে শান্তি আর সান্তনা-দুটো ই।

    কিভাবে আসবে? সে কথা যে ভাবিনি তা নয়,
    কিন্তু ভেবে কোনো কুল পাইনি - নষ্ট করেছি
    বর্তমানের ছোটো ছোটো কিছু মুহুর্ত- যা এখন
    আর বর্তমান বলা চলে না; পেলে যদি
    হারাতে হয় এই ভয়ে ভয়ে অতীত হয়ে গেছে
    ভালোবাসা ও ভালোবাসার মানুষ - দুটো ই।

    কে ভাবতে শিখিয়েছিলো জানো? ভাবতে
    শেখাতে হয় না? না শেখানো ভাবনায়
    ফল হয় - যেমন করে কাকের ঠোঁটের বীজ
    অযত্নেও অবহেলায় বটবৃক্ষ হয়ে
    চিরে দেয় গুহার প্রাচীর; অন্ধকারের কারায়
    পৌঁছে দেয় মলিন আলো-বাতাস; দুটো ই।

    ভাবতে ভাবতে কখন কাটলো ঘোর?
    যখন জোয়ার ভাটায় ভেঙে চুরমার সবই-
    ঘর পরিবার ভরা সংসার ছেঁড়া বস্ত্রের মতো
    নগ্ন রূপে ছিন্ন বিছিন্ন; হিংস্র জানোয়ার হয়ে
    চেনা মানুষেরা মুখোশ খুললো-ঠিক তখন;
    জলের থেকেও পরিষ্কার স্বপ্নবাস্তব - দুটো ই।

    যদি হেরে যাই! এটাই ভেবেছি বারবার,
    বহুবার হারার পরে নতুন সূর্য পিঠের দেয়ালে
    জিতেছি এইবার;তবুও মনে হয় হেরে গেছি,
    হেরে গেছি ছায়ার সাথে ছুটতে ছুটতে - ছবি
    হয়ে যাওয়া জীবনের মূল্যবোধে;বিশ্বাস করো-
    প্রতিপদে সমান মূল্যবান হার জিত - দুটো ই।।

  • tuli | 131.95.30.233 | ২৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৮:৩৩429361
  • পালিয়ে যাচ্ছে, সব বৃষ্টি লুকিয়ে নিয়ে মেঘেরা পালিয়ে যাচ্ছে-
    পালিয়ে যাচ্ছে শ্রাবণ-আকাশ,
    সজল প্রেম ও শিশিরগন্ধী অমরতা-
    চিত্রনীলা ঘাসের বুক থেকে
    স্নিগ্‌ধ মৌরীগন্ধ পালিয়ে যাচ্ছে-
    পড়ে থাকছে শুকনো খড়, কুটোকাটা, পোড়ো জমিন আর ঊষর অপ্রেম।

    তবু জানি হে রহস্যময় অগ্নিপুরুষ-
    ঝড়ের সঙ্গে ছুটে যেতে যেতে,
    আকাশের দরজা ভাঙতে ভাঙতে,
    অমৃতের নদী লুঠ করে আনতে আনতে,
    মৃত্যুর সঙ্গে মুষ্ঠিযুদ্ধ করতে করতে-
    তুমি প্রেমে ও অপ্রেমে কেবল আমাকেই চাও।

    গভীর বিশ্রামে যেতে যেতে তাই বারে বারে ফিরে আসা
    ফসলবিলাসী হাওয়ায় নুয়ে পড়ে বারে বারে অশেষ চুম্বন।
    শরণার্থীর মতন দাঁড়িয়ে থাকে নিমেষগুলি
    পথের দু'ধারে উদ্বেল সবুজের গন্ধ-
    আমাকে ঘিরে রাখে মায়াবী সুরের বৃত্ত, বিশ্রামে যাওয়া হয় না।
  • Sayan | 117.192.168.18 | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:০৫429362
  • এই হাত
         এর কোনও স্পর্শ নেই
    আগুন মাঝে আগুনের মত কায়াহীন এই আলিঙ্গন
    শূণ্য হয়ে মিশে যাচ্ছে মহাশূণ্যে
    শব্দহীন তোলপাড়ে আকাশ কেঁপে উঠছে
         নক্ষত্রে, আঘাতে, স্রোতে,
              নি:শেষে ভাসিয়ে দিল
                   পরিত্যক্ত ছিন্ন ছদ্মবেশ...
    যে ভালোবাসা মৃত্যুকে ডাকে
      এই তার মৃত্যুহীন শেষ
  • sayan | 117.192.168.18 | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:৩৭429363
  • শুরু না সমাপ্তি ভালো অথবা খারাপ
    প্রতিটি প্রহর পল অনুপল মৃত্যু না জীবন
    পৃথিবী প্রেম তৃষ্ণা না হেমলক
    ভালোবাসা শেষ হলে স্বস্তি না বিষাদ
    কে আগে লক্ষ্যের কাছে ছুটে যায়
        কেমন যেন আঁচড় কাটা দাগ দেখা যায়
        গোপনে, অতি সন্তর্পণে
        এক বিন্দু রক্ত ফুটে ওঠে
        নীলাভ শিরার উপরে লম্বা আঁচড়
        ক্ষতচিহ্নের পথ উৎসে মুক্ত, স্বচ্ছ্ব
        নির্ণয়হীন অবিরত ক্ষরণ --
        দু'কূল ছাপানো কলধ্বনি ছুটলো যেদিকে
        সেখানে তোল্পাড় মাথাধরা ....
    তুমি কি এখনও প্রচন্ড বিদ্যুৎশব্দে চমকে ওঠো? ভয় পাও?
  • kd | 59.93.199.223 | ৩১ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:১১429364
  • একটা কেলাস টেনের ছোকরার এ'সব কবিতা না-মুম্‌কিন।

    কোথায় 'জল পড়ে পাতা নড়ে' লিখবে না 'কায়াহীন আলিঙ্গন', 'অনুপল মৃত্যু'! ছ্যা!
    বখা ছেলে!
  • ranjan roy | 115.184.119.92 | ৩১ ডিসেম্বর ২০০৯ ০০:৪৫429365
  • সে এক পাহাড়ি নদী,
    আমাকে যে ""আয়-আয়'' ডাকে।
    -- দিবি ঝাঁপ? দে না ঝাঁপ আমার এ ক্ষীণকটি বাঁকে।
    যদিও জমেছে বালু তবু আছে ঘুর্ণি চোরাটান।
    অনেক হিসেবি তুই, মেলে কই
    বাঁয়া আর ডান!
    বোকাছেলে! একবার ছিঁড়ে ফ্যাল হিসেবের খাতা,
    একেবারে বেপরোয়া , গোলি মার যত রিস্তে নাতা।
    একবার আয় বুকে, বুঝে নিবি
    নদী আর নারী।
    এসব আমি কি শুধু শব্দ দিয়ে গড়ে তুলতে পারি!

    সে এক পাগলা ঝোরা, খল্‌খল হেসে নেচে চলে,
    নামিয়ে নিয়েছি চোখ, তবু তার ধক্‌ধক্‌ জ্বলে।
    অসংখ্য জলের বিন্দু ছিটকে পড়ে, রামধনু ওঠে,
    একটি তরল হাসি খেলা করে তার চোখে ঠোঁটে।
    সন্তর্পণে কাছে যাই, অতি ধীরে ছোঁয়াই আঙুল,
    দম আটকে ভাবি আজ আদম করুক একটু ভুল।।
  • sayan | 117.192.168.18 | ৩১ ডিসেম্বর ২০০৯ ০১:৪৯429366
  • অনেক আগে যেমন ছিল,
    সামনের অন্ধকার আজও তেমনই,
    শুধু তোমার দৃষ্টিশক্তি বাড়ে। মনে হয় -
    সব অজানা, তবু তুমি চেয়ে থাকো সামনে
    প্রাণ তোমার ঝরা শিশিরের মত কেঁপে ওঠে,
    পিপাসু আমাকে এবার গ্রহণ করো
    অবশেষে পথের ভাগ্যের সাথে মিশে যাচ্ছি -
    যার তৃষ্ণা নিবারণের জন্য তুমি বয়ে চলেছ -
    কোনও চিহ্ন না রেখেই সে ফিরে যায়
    নিজের অন্ধকার পৃথিবীতে

  • tuli | 131.95.30.233 | ৩১ ডিসেম্বর ২০০৯ ০২:১৭429367
  • জন্মান্তরী নক্ষত্রের কক্ষপথে জেগে থাকে অঙ্গুরীদুর্বা
    জন্মপথের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে জলবতী নদী-
    জলে সারাদিন ভাসে পরণকথার রাজহাঁস
    এমনি করে যুগান্তর আসে গিরিব্রজে-

  • tuli | 131.95.30.233 | ৩১ ডিসেম্বর ২০০৯ ০২:৩০429368
  • শাঁখের আওয়াজ ভেসে আসে-
    পুবের ঝাউডালের পাশ দিয়ে উঁকি দেয় মস্ত গোল চাঁদ
    ঘরে ফেরার গান গায় রাখালেরা,
    মেলা থেকে ফিরে আসে দু'হাত ভরা
    কাঁচের চুড়ির ঝনরঝনর, মুখর পায়েল-
    আলো দিয়ে ছবি লিখে খাতায় তুলে রাখি।

    জ্যোৎস্নাবনে চন্দনছায়ায় হারিয়ে যায় আমাদের
    নিটোল কৈশোর, আমরা পান করি প্রথম হলাহল-
    প্রথম সুধা, প্রথম অমরত্ব, প্রথম মত্যু-
    প্রথম স্পর্শ করি অমেয় সময়----

  • tuli | 131.95.30.233 | ১৩ জানুয়ারি ২০১০ ০৬:১৩429370
  • বৃষ্টির মন্দিরের দিকে ভেসে গেছে মেঘবতী-
    আমি কুশিনারার ঘাটে চুপ করে বসে থাকি,
    হাত রাখি তার চুল থেকে ঝরে পড়া স্নানশেষ জলবিন্দুতে,
    বৃষ্টির মন্দিরের দিকে ভেসে গেছে মেঘবতী---

    এলেমেলো আঙুলে জল নিয়ে আঁকি আল্পনা
    আমার মন্দিরে যাওয়া মানা, কিন্তু আল্পনা দিতে তো মানা নেই-
    জলের আল্পনা, হাওয়াতে হারিয়ে যায়।
    বৃষ্টির মন্দিরের দিকে ভেসে গেছে মেঘবতী....

    মনসুন্দর,মেঘবতী কখন ফিরবে?
    মেঘবতীরা কি কখনো ফেরে?
    কোনো আশ্চর্য কমলা সন্ধ্যায়,
    কোনো যাদুপাহাড়ের শিখরের কাছে?
    বৃষ্টির মন্দিরের দিকে ভেসে গেছে মেঘবতী....
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন