এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পর্বে পর্বে কবিতা - ২

    pharida
    অন্যান্য | ২১ নভেম্বর ২০০৯ | ৩০৭৮৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Tim | 71.62.121.158 | ০৫ জুন ২০১০ ১২:১৯428870
  • তীক্ষ্ণতাকে বিসর্জনে সঙ্গে থাকি।
    লালসাজারিত হাত, চটপটে আঙুলের
    কারসাজি। লোভ হয়, নিষেধাক্কা যেন
    নেশার মত পেয়ে বসে, মগজ ফুঁড়ে।
    জিভ কথা বলে - মিথ্যে শরীর পাকসাট
    মেরে নানান কিস্‌সা ফাঁদে। দৃষ্টি ধোঁয়াটে,
    ঘোর অমানিশা দেখে, বধির শ্রবণে।
    আসলে সবই ভ্রান্ত, অসুখ বা বদভ্যাস,
    পরাজয়ে বেঁচে থাকা, অনৃতভাষণ।

  • Tim | 71.62.121.158 | ০৫ জুন ২০১০ ১২:৪৩428871
  • রোজ বিকেলে বৃষ্টি নামে। কাঁটায় কাঁটায়- ছটা
    বাজলেই একরাশ নীলকালো মিছে কারুকাজ।
    ক্যানভাস ভেসে যায়, গাঢ় রঙে দুকূল প্লাবিত -
    অনেক অনেক রং, রং বড়ো সুদূরপ্রসারী।
    কারুকাজ জেগে থাকে, জেগেই থাকে, চাঁদোয়ায়
    ব্যর্থ, নকল কাচের টুকরোর মত। চোখ যায়,
    ধুলো ওড়ে, কারুকার্য ঢেকে দেবে এমন ধুলো।
    অন্যতর আশা নেই, সন্ত্রস্ত প্রাণ, স্বপ্নপ্রতিম।
  • Shuchismita | 71.201.25.54 | ০৫ জুন ২০১০ ১৭:২৯428872
  • বাহ!
  • kahiptaashaa | 203.99.212.53 | ০৮ জুন ২০১০ ১৫:১৪428873
  • সময় ফুরিয়ে এলো, এক বাঁও দুই বাঁও মিলে, গড়েছে অতল
    বাঁধাছাঁদা রুকস্যাক, ওয়েস্টপাউচ আর মীণাকারি জলের বোতল

    লালচোখে ডিজিটাল ঘড়ি, এইসব হিসাবনিকাশে খুব দড়
    ডেকে তোলে, বলে দেয় এইবারে সময়ের শেষ, এইবার রাত হলো শুরু।
    এইবার স্বপ্নে দেখা ঘুম আর সবুজ শীতল জলঝাঁজি
    এইবার, দায় নেই নিখুঁত কামানো দাড়ি গোঁফ দাঁতমাজা
    এইবার, ঘড়ি দেখে জলকে চলেছি, পিঠে নিয়ে
    আজীবন জেগে থাকা
    যত্নে গোছানো রুকস্যাক।
  • Souva | 125.18.104.1 | ২৮ জুন ২০১০ ১৬:৩০428874
  • পর্বে পর্বে কবিতা-র পুরোনো সুতোখান কই গ্যালো? কেউ সন্ধান দিলে বাধিত হব।
  • tuli | 131.95.30.135 | ২৮ জুন ২০১০ ২০:১৮428875
  • এই তো সেই সুতো!!!!!
  • Somnath | 188.135.2.212 | ২৮ জুন ২০১০ ২২:০২428876
  • উপরে search এ ক্লিক করে টইপত্তরের খোঁজখবর এ ক্লিক করে "পর্বে পর্বে কবিতা" লিখে সার্চ করতে দিলে কিছু দেখাচ্ছে না? ঐ টইটায় তো সর্বোচ্চ পোস্টের সীমা ছাড়িয়েছে।
  • Omega | 202.54.54.240 | ৩০ জুন ২০১০ ১৬:৪৯428877
  • বর্ষা এখন অন্যরকম, ভীষণ রাগী,
    আমিও তাই লুকিয়ে পড়ি পর্ণোগ্রাফি
    খোলা বাজার মাথায় চাপে, আশঙ্কা নেই,
    মুচকি হেসে লাই দিয়ে যাই দারুণভাবেই
    মেঘ গিয়েছে অন্যকোথাও, বিশ্বায়নে
    কাকেরবাসা ধার করেছে অন্যজনে,
    ধুসর কোষের বাসায় যত টেকনো-রোগ
    গোল্লায় যাক আজ বিকেলে বৃষ্টি হোক!
  • Souva | 125.18.104.1 | ০২ জুলাই ২০১০ ১৬:০২428878
  • -------------------------------
    আমার সুসমাচার ৯: স্বীকারোক্তি
    -------------------------------

    সংশ্লিষ্ট সারল্য আর দ্রবণীয় সকালের গুণ
    তোমাকে কীভাবে বলি!

    অথচ এই সম্মোহন, এই বাষ্পের ঘোর
    আজ অল্পাধিক,
    টান পরিলক্ষিত হয়।

    ফলত:, আমার লেখা বেঁকে যেতে থাকে
    ও শব্দগুলি পাল্টে যায়,
    নিজেকে চোর বলেও মনে হয় কখনো কখনো
  • kahiptaashaa | 203.99.212.53 | ১২ জুলাই ২০১০ ১৭:২০428880
  • চাঁদের আলো আসেতো বেশ ঘরে?
    হাওয়া খেলে তো? শিশুটি দেখে তো বেশ,
    আলো আর ছায়া খেলা করে?

    তরজার বেড়া দেওয়া আমাদের এ বাঙাল দেশ
    লাকড়ি শুকায় নদীতীরে নামগান রাতের পহরে
    আমরা একটু গেঁয়ো লোক, সে তোমরা যা বলো তা বলো

    রেললাইন বসে, ঝিকিমিকি দোকান বাজার।

    পিতৃপুরুষ ভেবেছিলো,
    সীমানা টীমানা মিছে কথা, একদিন ঐ পারে যাবে
    যেমন বিহঙ্গ যায়, অথবা চাঁদের আলো
    পরিপাটি, টাটকা, স্বাধীন।
  • d | 219.64.177.125 | ১৩ জুলাই ২০১০ ১২:০১428881
  • অসা!
  • ranjan roy | 122.168.222.176 | ১৩ জুলাই ২০১০ ২১:৩৮428882
  • ফাটাফাটি!
  • kahiptaashaa | 203.99.212.54 | ১৫ জুলাই ২০১০ ১৯:১৩428883
  • ঘোর কলরব ফেলে এইভাবে চলে গেলে হয়?
    কেউ কিছু বলেনি যদিও।
    চায়ের দোকানে, আড্ডাপ্রিয় নেড়িদের
    আহ্লাদ ছিল, জানালার সিট ছিল
    সাইন্স সিটি পেরুতে পেরুতে
    এছাড়া চিত্রহার, বারবার ইনবক্স ছেনে
    কি বলে আপনজনে, ছেড়েছে কি ছাড়েনি এখনো
    লুকোছাপা গোপন প্রেমিকা
    সুখী গৃহকোণ, সামাজিক সঘন সফেন।

    এইসব ফেলে, চলে গেলে হয়? এইসব কলরব ফেলে?

  • kahiptaashaa | 203.99.212.54 | ১৫ জুলাই ২০১০ ১৯:৩২428884
  • আসলে, আমার দুটো কথা আছে।
    বসন্তের গানে লিখতে লিখতে একটু সাহস বেড়ে যাওয়াতে এখানেও পদ্য করতে শুরু করেছি। তো, আমার কাব্য করার অভ্যেস, চর্চা, যথেষ্ট পড়াশুনো কিছুই নেই- আর আমি জানি না এরা এই পাতার অন্যান্য অনায়াস মণিমুক্তোর পাশে কেৎরে শোওয়ার যোগ্য কিনা। এদিকে, যথারীতি, কখনো মনে হয়, হ্যা:, এটার জন্যে তো আমাকে নোবেল দেওয়াই যায়, আবার কখনো মনে হয়, হায় রে কালা, একি জ্বালা, এইসব নামানোর থেকে ধরনী দ্বিধা হলে অশান্তি কম হতো। যা লেখা হচ্ছে, তার সম্পর্কে কিছু টেকনিক্যাল জ্ঞান না থাকলে যা হয় আরকি। কিন্তু জলপুলিশ যখন বকিয়া উঠে নাই এখনো, তাই পানসিও চলেছে বেলঘরিয়া।

    এতো কথা বলে আরো রসভঙ্গ করার একটাই কারন, একটা ভালো টইতে ঢপের লেখা কেউ লিখলে আমার নিজের যথেষ্ট পিত্ত যায় জ্বলিয়া। তাই এই দীর্ঘ ডিসক্লেমার।
    তবে তাই বলে আমার কাব্যোৎসাহ কমে গেল ভাববেননা যেন। দেওয়ালে হিসি, সিঁড়িতে পানের পিক, আর টইপত্তরে ভাটকি লেখা, এই সব আমার অধিকার অধিকার অধিকার, যতক্ষন না কর্তৃপক্ষ ঘাড় ধরে বের করে দেয়।

    জয় হো জওয়ান জয় হো জওয়ান
    পানসি চলে বেলঘরিয়ান
    উল্টো গাধায় ঘোল ঢেলে দাও
    ভয় কি জওয়ান ভয় কি জওয়ান
  • Shuchismita | 12.34.246.72 | ১৫ জুলাই ২০১০ ১৯:৪৭428885
  • এ আবার কি কথা!! প্রতিটাতে আলাদা করে বাহ বলা হয় না। কিন্তু এইসব টই আড়ালে চলে গেলেও খুঁজে পড়ি তো!
  • Nikhilesh | 59.93.204.89 | ১৫ জুলাই ২০১০ ২১:০৪428886
  • কাচের দেয়ালের এই পলকা মায়াবী আড়াল
    ওপারে চিত্রবিচিত্র দুপুরের শহর
    এলিয়ে পড়ে ক্লান্তি আর শূন্যতায় মন্থর,
    বৈশাখের ক্ষমাহীন রোদ, তপ্ত বাতাসে
    ছায়ার আকুতিভরা পিপাসার্ত দীর্ঘশ্বাস,
    ঘামের বিন্দু বিন্দুতে মিশে কাতর স্বর
    যন্ত্রণা আর শ্রমের দহনজাত ছাই
    ক্লেশে গাঢ় রক্তের ছাপ,
    এপারে পাখির চোখে মাটির ঢেলার মত
    খেলনা ঘরবাড়ি দূরে দূরে বিছিয়ে
    সীমানাহীন সচল মানচিত্রে,
    প্রাচী প্রতীচী ধোঁয়াশায় বিলীন অস্পষ্ট আভাসে
    সুতোর রেখায় আদিগন্ত হাইওয়ে
    হারিয়ে গেছে খোঁজহীন কোন্‌ দূরদেশে
    এখানে পথ হাতছানি দেয় অশেষ ছুটে চলা
    কলরব আর অবান্তর কথার বাহুল্য
    ঢেকে দেয় ব্যাপ্তি আর আবছায়ায়,
    নীচে পড়ে থাকে স্বপ্নহীন বাস্তবতা
    ঝিমোতে থাকা অবসন্ন স্নায়ু নিয়ে
    দাবদগ্‌ধ প্রাত্যহিকতায় ক্লিষ্ট শহর,
    কচের দেয়ালঘেরা বাতানুকূল এই
    অট্টালিকা ঘরে আভিজাত্যে বিহ্বল সুখে
    ঘুম আনে স্নিগ্‌ধ ছবি ভ্রমে অবশ চোখে,
    সত্যটুকু লুপ্ত কখন দূরত্বে আর আবছায়ায়।
  • Nikhilesh | 59.93.204.89 | ১৫ জুলাই ২০১০ ২১:০৬428887
  • *শেষ থেকে ৪র্থ লাইনে

    কাচের দেয়ালঘেরা
  • Tim | 173.163.204.9 | ১৬ জুলাই ২০১০ ০৮:০৫428888
  • ঠায় বসে থাকা এক দিন
    ঘড়িটার স্প্রিং ছেঁড়া, জংধরা তারে
    শুকনো শাড়ির ভাঁজ, কালো দাগ,
    সবজেটে পাতার বাহার।

    খেই হারা লুপ্ত এলাকা।
    চলার উপায় নেই, প্রয়োজন
    হাত পেতে বসে। চারিপাশে হাত,
    ভিক্ষাপাত্র ভরা হারানো নোটিসে।

    শ্রান্তির অবকাশে, দিন যায়।
    ঠায় বসে থাকা সেই দিন,
    পাতাঝরা মেঘলা বিকেলে,
    অবসরে মুখ দেখে মৃত্যুবাসনা।
  • Tim | 173.163.204.9 | ১৬ জুলাই ২০১০ ০৮:১৬428889
  • মোমঢালা পথ, চাকার শরীর ছেয়ে থাকে
    দিনরাত আশনাই, প্রহরে প্রহরে খোঁজ
    মন উচাটন হয় বিপন্ন ডাকে

    গোল পথে ঘোরে ঐ চাকা
    পথের সম্মোহণ, পথ মায়াময়
    বিপণনে পথ বড়ো পাকা

    নিয়ন আলোর ঢেউ লাগে
    চাকার খোলস ভাঙে, চাকা সাবালক
    তবু চাকা অভ্যাসে জাগে
  • de | 59.163.30.3 | ১৬ জুলাই ২০১০ ১১:৪৪428892
  • কি অনায়াসের মণিমুক্তো ছড়ানো এই টইটায়! মাঝে মাঝেই খুঁজে যাই।
  • kahiptaashaa | 203.99.212.53 | ১৬ জুলাই ২০১০ ১২:৩১428893
  • শুচিস্মিতা,
    না না, আমার কিন্তু পাঠকের কাছে কোন অনুযোগ বা দাবি নেই, ওটা এমনি একটু আপন মনে প্যাচাল আরকি।
    (আত্মজীবনী লেখার হত মক্সোও বলা যায় :P )
    ওকে ওকে, ঠিক আছে, আর গদ্যপ্যাচাল নয়, এই চুপ করলাম :)
  • Shuchismita | 71.201.25.54 | ১৬ জুলাই ২০১০ ১৭:১০428894
  • হ্যাঁ হ্যাঁ। নো গদ্য। ওনলি পদ্য।
  • pharida | 220.227.148.193 | ১৬ জুলাই ২০১০ ১৮:০২428895
  • ঘর বার করে গেছি সরাক্ষণ
    শব্দেরা সবাই ফিরে আসে
    সন্ধে হলে, নিজের নিজের খাতার ভাঁজে
    নয়তো অহেতুক খেয়ালে
    বাজারের দেওয়ালে টাঙানো
    খবরের কাগজ জুড়ে।

    ঠিক সেই শব্দটা-
    যা পিঁপোড়ের মতো
    অবাঞ্ছিত হয়ে হাতে পায়ে
    উঠে যেতে থাকে,
    পিছু নেয় কারণ ছাড়াই
    আর ফিরে তাকালে দেমাক দেখিয়ে উল্টোমুখে বিড়ি ধরায়-

    পাচ্ছি না, ওকে কিছুতেই পাচ্ছি না।
  • Nikhilesh | 59.93.217.186 | ১৬ জুলাই ২০১০ ২১:২০428896
  • পুরনো সিন্দুকে চাবি দেওয়া আছে পড়ে
    তামাদি হয়ে যাওয়া সময়ের আঁকিবুকি,
    বাসি কাগজ জমেছে কত বেহিসেবী
    ফিরে না দেখা বেমালুম অন্ধসমর্পণে,
    জলের অমোঘ ধারায় বছর ধুয়েছে কখন
    দরকারের কারণ ছিল যত, দিশাহীন বালুচরে
    খুঁজতে বসি সাগর ঢেউয়ের বিন্দু কবে
    ঝিনুকলেখা এঁকেছিল খসড়া পাতায়,
    বিদায়ীবেলার চেয়েও কাগজের ভার বেশী -
    ফেলে দেব, ফেলে যাব আজ?
    শীকরকণিকার মত চলে যাচ্ছে যে অণুলহমা
    ভাসিয়ে দেব তার হাতে এ প্রদীপমালা
    এই সায়াহ্নে দ্বন্দ্বহীন স্বত্বত্যাগে?
    নি:শব্দে লতিয়ে ওঠা পরাশ্রয়ী মায়া
    ছুটে আসে যদি হঠাৎ প্রশ্ন হয়ে,
    কি জানি প্রয়োজন আছে হয়ত আজও
    কুয়াশাজড়ানো জলছাপমাখা দিনের
    অপ্রয়োজনীয় খড়কুটো আর পাণ্ডুলিপি।
  • Nikhilesh | 59.93.247.215 | ১৭ জুলাই ২০১০ ১১:১১428897
  • দুটো তো লিখলাম সাহস করে, কেউ তো রা কাটল না। তাহলে কি খারাপ বলেই ধরে নিতে হবে? নীরবতার অর্থসূচক অলিখিত নিয়মটা কি?
  • Shuchismita | 71.201.25.54 | ১৭ জুলাই ২০১০ ২০:০৭428898
  • তা কেন? আপনি লিখুন না! আগের পোস্টগুলো দেখুন। এখানে কেউ ধরে ধরে প্রতিটা পোস্টে কমেন্ট দেয় না। আপনি লিখতে থাকুন। কোন কবিতা কাকে কিভাবে ছোঁয় তা কি বলা যায়! গুরুর নীরব পাঠকের সংখ্যাও কিছু কম নয়।
  • Bimalaa | 122.162.75.121 | ১৭ জুলাই ২০১০ ২৩:৫৪428899
  • হ্যাঁগো, বেশ লিখেছো।

    বিমলা
  • Shibanshu | 59.97.224.117 | ১৯ জুলাই ২০১০ ১২:০১428900
  • নিখিলেশ,
    শুচিস্মিতা ঠিক বলেছেন। এখানে টিভির মতো কোনও ক্যানড ক্ল্যাপিং শোনা যায়না। কবিতার নীরব পাঠকরা সনিষ্ঠ সমঝদার হন। তাঁদের উপর ভরসা রাখুন।
  • Nikhilesh | 59.93.212.25 | ১৯ জুলাই ২০১০ ২১:০৮428901
  • রাখলুম ভরসা, খারাপ হলে বলবে নিশ্চয়ই কেউ। তবে বিমলা মানে আমার 'বিমু' ছাড়া আর কেউ কিন্তু ভালোর দিকেও বলেননি স্বত:স্ফূর্তভাবে। না 'ক্যানড ক্ল্যাপ' শুনতে যারা চায় আমি সেই জাতের লোক নই। তবে একটু ভালো/মন্দ ফিডব্যাক পেলে কারো চক্ষুশূল বা বিরক্তির কারণ হচ্ছি কিনা এইটা বোঝা যায় এবং পাততাড়ি গোটাতে সুবিধে হয়। এই টইয়ের হীরে-চুনী-জহরতের পাশে ঝুটো পাথর ছড়িয়ে হাস্যাস্পদ হতে চাই না।

    সাহস করে আর একটা দিয়ে যাই।
  • Nikhilesh | 59.93.212.25 | ১৯ জুলাই ২০১০ ২১:১৪428903
  • সন্ধ্যের সীমারেখা মিশে যায় প্রতিদিন
    রাত্রির কালো শাড়ির চওড়া পাড়ের নীচে,
    পূরবীর তানে প্রকট হয় দরবারি কানাড়া
    অকূল নৈ:শব্দ্যের গহীনে গভীর অচঞ্চল,
    দীর্ঘ গলিপথের ঐপারে নির্বাক প্রহরী
    ভাঙাচোরা পুরনো ল্যাম্পপোস্ট,
    শ্যামাপোকা জড়ো হয় হাজারখানেক
    বৈচিত্র্যহীন আলোর অভিসারে অভ্যাসমত,
    এইপারের জানালায় জাগে বৃষ্টিভেজা চোখ
    পঞ্চাশ গজের এ দূরত্বের ভেতর
    ঘাপটি মেরে লুকিয়ে আছে কোথায়
    পঞ্চাশ হাজার মাইলের অনাবিষ্কৃত এক
    অতলস্পর্শী অন্ধকারের জগদ্দল পাথর।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু প্রতিক্রিয়া দিন