এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পর্বে পর্বে কবিতা - ২

    pharida
    অন্যান্য | ২১ নভেম্বর ২০০৯ | ৩০৩৪৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Sayantan Goswami | 202.78.233.159 | ১৪ নভেম্বর ২০১০ ০৪:১৬429004
  • প্রেম হয় জঙ্গলে

    প্রেম হয় জঙ্গলে সাবেকী সবুজের চেয়ে
    সবুজতর ছায়াতে ;

    বৃষ্টি ও নিবিড় রাতের
    খাওয়ার পর , প্রেম হয় কটেজে
    ঝিঁঝির ডাকের মতো ।

  • tatin | 70.177.55.6 | ১৪ নভেম্বর ২০১০ ০৫:৩৭429005
  • ছিল, এই খানেই তো ছিল, খনির গর্ভে ছিল
    জৈবযৌগে একই অবয়ব
    তারপর সূর্যের খেলা-
    ইস্কুল, বেদপাঠ, স্মৃতি-শ্রুতি-ন্যায়
    দূরে সরে যাওয়া পাপড়িরা-
    ঝরে যায় জোয়ারে-কোটালে
    শুকিয়ে ধুলোয় ফিরে যাওয়া
    ঝুরোঝুরো কয়লা তুলে রেখে দেব মুর্শিদ
    হীরে করা শিখিয়ে দেবে কবে?
  • pharida | 122.163.98.207 | ২৪ নভেম্বর ২০১০ ২২:২৩429006
  • তাতেই বুঝি ঘুমের হাওয়াই চটি
    মুখ ফেরালে নিষিক্ত সিঁদকাঠি
    শিকেয় তোলা ইচ্ছে আচারটুকু
    না থাকলে কি এমন করে হাঁটি?

    তাতেই বুঝি জলছুপি চারধার
    রাতের যেসব একপেশে আবদার
    জানলা কিছু অর্ধেকটা খোলা
    বাকিটুকুর ঘুম ভাঙে বারবার।

  • pharida | 122.163.98.207 | ২৪ নভেম্বর ২০১০ ২৩:০৭429007
  • পালাই যখন, ফেলেই আসি
    পিছল সিঁড়ি, অন্ধকারে
    হাতড়ে ফেরা মোমবাতি সব
    পকেট থেকে যায় গড়িয়ে
    খুচরো কয়েক বছর নিজের।

    পালাই যখন, পিছন থেকে
    ডাকছ ভেবে ফিরে গিয়ে
    জিরৈ খানিক –
    অনেক নীচে জল সে কুয়োয়
    দড়ি নামাই ঘড়ঘড়িয়ে
    বালতি নীচে নামতে থাকে
    নামতে থাকে জলের কাছে
    পৌছলে তা সুস্নাত হই।
    তাতেই বুঝি ফের্ৎ আসা
    ফেলেই আসি-পালাই যখন।

  • tatin | 70.177.55.6 | ২৫ নভেম্বর ২০১০ ০৯:৪৯429008
  • শুধু জানে বিষমাখা শীতকাল
    বিষাদে আকাশ ভরা উত্তর
    সেদিন যা হারিয়েছি সব তোর
    মেখলায় ঢেকে গ্যাছে ধোঁয়াজাল

    সেদিনও ফেব্রুয়ারী অদ্ভূত
    মাঠে ধুলো, গাছে পাখি চোখে তুই
    নিভৃতে বললি শুধু বন্ধুই
    হবি, আর বাকি সব বুদ্বুদ

    সেই শীতে দিনশেষ প্রান্ত
    ফুরোয় নি, শুধু ঐ জন্যে
    ধুলোভরা একাকী অরণ্যে
    ডুবে গেছি, ঝরাপাতা জানতো?

    সেরকমই রোববার, মরালী
    ভোরের আলোর মত তোর মুখ
    দেখছি, সকালও দ্যাখ উৎসুক
    আর তুই, কার হাত জড়ালি-

    আজ জানি সত্যিই বাস্তব
    ঐ পথই তোর গন্তব্য
    জানি, তবু আজও তোকে ভাববো
    কান্না মোছানো কোনও উৎসব

    শুধু জানে হিমে কাঁপা গাছটা
    ঘরে ফেরা জোনাকির কাতারে
    শুধু তোর চোখ ভেবে, পাথারে
    সে রাতে হারিয়ে গ্যাছে রাস্তা

    যার ভয় ঘুমৈনি, সেইদিন
    এইতো এখন ঠিক সামনেই
    বাস্তব সত্যি-ই ত্রাণ নেই
    ঝরাপাতা ঝ'রে যায়, ঝরে হিম
  • brishti | 117.194.7.135 | ২৮ নভেম্বর ২০১০ ২১:০৩429009
  • pharida | 122.163.99.237 | ২৮ নভেম্বর ২০১০ ২১:৪০429010
  • বৃষ্টি এসেও আসেনি তার
    খবর দেখে কোন ফাঁকে
    হয়তো আবার আসবে কি সে
    মেঘ ডাকে আর মেঘ ডাকে।।

    লিখে ফ্যাল দিকি পরেরটুকু, হ্যাঁ, তোকেই বলছি :))
  • Tim | 173.163.204.9 | ২৯ নভেম্বর ২০১০ ০২:২৪429011
  • বিষধোঁয়া রেখে আসি, দোয়াতে
    কালি ও কলমদান, রোদ্দুর
    ভিক্ষের অবকাশে ধোঁয়াটে
    অবকাশ এলোমেলো, একলা।

    পায়ের ছাপের রং, দেখিনি
    রঙের অনেক ফের, ধরতাই
    সময় বয়েই গেছে, কবেকার
    এ পাড়ায় উঠে আসা, সঙ্কোচ।

    এই নিয়ে কাঁদুনিও, অবিরাম
    লেখালেখি, ধর্মে ও জিরাফে
    এই পটভূমিকায়, ফ্যাকাসে
    চাঁদের আলো, ভৌতিক।

  • Tim | 173.163.204.9 | ২৯ নভেম্বর ২০১০ ০২:৪৬429012
  • পালাই যখন, ঠেকেই শিখি
    অন্ধকারে চোখ সয়েছে
    সময় চেয়েও পাচ্ছেনা, হায়
    মনেও বড়ো দুর্ভাবনা
    আলগোছে পাক দিচ্ছে মরণ।

    ঠেকেও শিখে, অনেক খুঁজে
    দিচ্ছি-দেবো, দিন চলে যায়
    দেনার দায়ে ঢাকের কাঠি
    মিটমিটে ধূপ, সঙ্গী ধুনো
    খিড়কি দোরে হুড়কো টানা।

    খিড়কি পুকুর, নিঝুম দুপুর
    বৈশালী আর নির্ঝরিণী
    নৃত্যপরা, অস্থিশরীর
    ভয়ঙ্করী, রক্তকপাল
    দেখেই শিখি, পালাই তখন।

    বিভঙ্গে তার, মৃত্যু হাসে
    আকাশ কালো, জালের কোটর
    আঁকড়ে ধরে, মৃত্যুপাশে
    বিবর্ণ চোখ, শঙ্কা নাচে
    সংজ্ঞা হারায় পরম আশে।

    কিন্তু তবু ঘুম ভাঙেনা
    রাত্রী একা, রাত্রী গভীর
    কণ্ঠনালী, পাকসাটে তার
    ঢেউ ভেঙেছে, বেয়াক্কেলে
    পালিয়ে আসি, ফেলেই তখন।
  • tatin | 70.177.55.6 | ৩০ নভেম্বর ২০১০ ০৭:৪৩429014
  • কলকাতা, আগস্টে

    স্বাধীনতা দিবসেও ফুটপাথে ল্যাংটো ছেলেটা
    মৌলালি মসজিদ জামা খুলে বিছানা পেতেছে
    এখানে আজান হয় প্রতিদিন সন্ধে-সকালে
    রাত গাঢ় হ’লে রোজ সত্যিই নবী নেমে আসে
    তখন তো শহরের সভ্যেরা ঘরে, ঘুমঘোরে
    রিক্ত রাস্তা ধ’রে একা একা হাঁটে সমকাল
    উপচানো ভ্যাট ঘেঁটে সে বুঝেছে খিদেটাও ক্ষত
    দূরপাল্লার বাস এই সব ছেড়ে চলে যায়
    আমরা কাগজ পড়ি, বস্তুত লজ্জাবশত:

    রয়েড স্ট্রীটের থেকে বাঁক ঘুরে এয়াংলোপাড়া-টা
    প্রথম ট্রামের মতো সংগতি মোড় ছেড়ে গ্যাছে
    এখন একলা দিন ঘরে ঘরে পর্দার ফাঁকে
    বিষণ্ন মন জানে এ রাস্তা একাই হাঁটার
    পায়ের তীব্র ক্ষোভে ভাঙা ইঁটে শট মেরে চলা
    আচমকা পোষ্টারে খুঁজে দেখা রোগ নিরাময়
    কলেজের সারি ধরে ভর্তির নোটিশ টানানো
    ভালোবাসা ভুল ভেবে যে ছেলেটা রাস্তায় একা
    শহর দেখলো তার মুখটাকে, আয়নার মতো

    রাস্তা পিচের ফাঁকে জল পেলো আবার বাঁচার
    গলি ভ’রে ছাতা ওড়ে লুকিয়েছি আমরা এখানে
    তেতলার টবে ফোটে দোপাটির প্রথম কুঁড়িটি
    আজকে চাষের দিন, বন্ধুরা বাইপাসে চলো
    সবাই সবুজ মাখি আলপথে, জল ছপছপে

    তবুও আসেনা কেউ, পড়ে থাকে কাদা মাখা রাখি
    কলকাতা কেঁদে ফেলে, মুখ গুঁজে আমার কাঁধেতে
    ডিস্কোর ঠেক ছেড়ে তুমি নেমে আসোনি এবং
    মহানাগরিকও তাকে ফেলে রেখে চলে গ্যাছে দূরে।
  • Souva | 122.248.183.1 | ৩০ নভেম্বর ২০১০ ১৪:১৮429015
  • মোহ-৪ : মুনিয়া মধ্যরাতে উঠে আসে
    -------------------------

    ভাষার গুণ
    অপার হয়ে ওঠে।
    ছায়াসমেত
    মুনিয়া, তার মুখ
    নিয়নে ভেসে যায়

    যখন আমি কার্যত স্বেচ্ছাবন্দী। জল থেকে উঠে আসছে রহস্যময় তৈজসপত্র, বিষাক্ত পাথর, এমন কী ফুলে ওঠা পুরুষশরীর, যার ডানহাতে জড়ুল প্রভৃতি রয়েছে। লক্ষ্যণীয় ঐ আভা, ঐ অপার পণ্যের ঘ্রাণ। শব্দের গা থেকে মুছে নিই স্বেদচিহ্ন, ঋতুদাগ। ক্রমশ, মায়া বাড়ে।

    এখন আর
    বৃষ্টি পড়ছে না।
    দেয়ালময়
    জলের ছায়া পড়ে,
    গ্রন্থ ভিজে যায়।

    ঐ প্রাচ্য অনুষঙ্গ, ঐ অক্ষরপ্রপাত। প্রাচীন বিন্যাসগুলি খুলে দেখি। নেশা ঈষ্‌ৎ হয়েছে। বাইরে চম্‌ৎকার হাওয়া। ও আমি ঝুঁকে আছি মুনিয়ার দিকে।

  • Souva | 122.248.183.1 | ৩০ নভেম্বর ২০১০ ১৪:২৩429016
  • মোহ-৫ : মুনিয়া ত্‌ৎসম হয়ে ওঠে
    -----------------------------------

    সরল ও বাস্তবিক সীমা, নৃশংস অবতারণায়
    বেঁকে যাচ্ছে। ক্রমশ যেভাবে
    তোমার মুখে শিলা ফোটে। ও ভেঙে যায়
    কাচের বাসন। এ লেখা কি ততদূর যাবে,
    যখন অক্ষরের গায়ে
    জড়ুল ও শ্বাসাঘাত ফুটে উঠবে! নরম দ্যাখাবে
    ঐ অতর্কিত বুরু, ঐ ত্‌ৎসম শব্দের পাশে
    যে ব্যাধি স্তব্ধ হয়ে আছে!

  • kahiptasha | 203.99.212.54 | ৩০ নভেম্বর ২০১০ ১৬:৫৯429017
  • শিশুটির নরম বিছানা তার গোলাপী আদর
    বালিশে বালিশ দিয়ে গড়েছি চতুর্দিকে গড়
    দুরে যেন থাকে তার পতঙ্গ, অন্ধকার, শীত
    ভোরবেলা রোদ যেন দেখে, জানালায় বন্ধু শালিখ

    শিশুটি সকলই খায়, থালাবাটি, চাদরের কানি
    পত্র বই ফিডিং বোতল, চেটে দেয়
    কাব্য আর তিক্ত বিষাদ, পদাবলী খবর কাগজ।
    হেসে কুটিপাটি, আবার ভেজালো নাকি ন্যাপী

    শিশুটি তাকিয়ে থাকে ভোর হলে পৃথিবীর দিকে
    ভোরের চাদরে মোড়া ঘুম, ইতিউতি ঘুঘুর নিঝুম পায়চারী
    দেখে, চেয়ে থাকে সকালের দিকে,
    চেটে খায় ফিডিং বোতল, কাব্য আর শীতের সকাল

    এখনো চেনেনি শিশু পতঙ্গ, অন্ধকার, শীত
    এখনো অতীত তার নরম সকাল আর
    ডায়াপারে মোড়া; এখনো শিশুটি শুধু
    স্পর্শ করে, চেটে দেখে জীবন কেমন।

    বালিশে বালিশ দিয়ে আপাতত বানিয়েছি গড়
    আপাতত শিশু দেখে, মধুর পৃথিবী, ভোর,
    গোলাপী আদর।
  • d | 14.96.128.170 | ০১ ডিসেম্বর ২০১০ ১০:৫০429018
  • আচ্ছা কহিপ্তাশার শিশুটি তাহলে আজকাল সবকিছু চেটে দিচ্ছে। বেশ বেশ।
    :)
  • hu | 12.34.246.72 | ০১ ডিসেম্বর ২০১০ ১৯:২৬429019
  • বাহ! আরো আসুক।
  • Shibanshu | 117.195.130.143 | ০১ ডিসেম্বর ২০১০ ২২:৪১429020
  • এই পাতাটি রোজ দেখিনা, মাঝে মাঝে দেখি। প্রকৃত মৌতাতের জন্য সঙ্গত সময়ের প্রয়োজন থাকে।
  • pharida | 122.163.99.6 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১০ ১১:০৪429021
  • এই গেলাসে ভাসতে দেখে
    কুঁচি কুঁচি ইচ্ছেদেরও
    আলতো করে দি সরিয়ে।
    যেমন করে ঠুলি দুটো চেপে ধরি,
    যাতে ঠিক এই
    রাস্তা ছাড়া অন্য কোথাও চোখ না পড়ে।

  • tatin | 70.177.55.6 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১০ ১২:০৭429022
  • কুঁচি না কুচি?
  • nagda | 69.141.147.183 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১০ ১৩:০৭429023
  • অরূপরতন আর্তি জানায়
    অরণ্যপ্রভা কে,
    orkut-এ add করো সোনা...
    মোলায়েম অঙ্গুলিচালনে
    রিমোট ডেস্কটপ থেকে ভেসে আসে,
    "ভাগ সালা!"
    অরূপ কে দেখা যায়নি আর...
    নায়দার কেষ্টপুর খালে,
    নর অন্তর্জালে!
  • S M Tahmidur Rahman | 119.30.39.74 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১০ ১৩:৩০429025
  • পরাজিত প্রেমিক

    মুখর হৃদয়ে অবিরাম খেলা করা আনন্দ স্রোতের মাঝে
    বেদীর উপর অলৌকিক সন্ধ্যার আবির্ভাব ঘটেছে আজ
    যেন মহিমান্বিত কোন বিশেষ রংগের আয়োজন;
    পুরাতন প্রেমিকা আজ বিবাহিতা,
    দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখে এক পরাজিত প্রেমিক
    স্তব্ধ আজ ব্যাথা-আকাংক্ষার অনুভূতি আবেগ।
    তারপর-
    স্মৃতি ধুয়ে নিয়ে গেছে অনেক শ্রাবণ
    প্রতিশ্রুতি আজও ডুকরে কাঁদে মধ্যরাতে
    বাতাসে বাসি ফুলের গন্ধ ভাসে
    স্পষ্টতই বুঝতে পারি, বুকের মধ্যে হাহাকার
    কোথাও কেউ নেই, খাঁ খাঁ করে বিস্তীর্ণ বালুপথ;
    সাথে আকাশে মেঘেদের অবিরাম ছোটাছুটি
    বহুদিন জল পড়েনি অভাগা গাছের শেকড়ে;
    শ্রুতিকে বধির করে শান্তি খোঁজে সেই পরাজিত প্রেমিক।
  • nagda | 69.141.147.183 | ০৪ ডিসেম্বর ২০১০ ১৩:৪১429026
  • মাইথন-এ মৈথুন করে বাঞ্চোতে,
    বরষে বীর্য তার...বাঁধ-হীন স্রোতে|
    মীনাক্ষী মুখ খুলে শুষে নেয় সব,
    অলস আরামে বসে নিই ব্লো-জব!
  • Sardar Faruque | 117.18.231.23 | ০৫ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:৫৬429027
  • পুরুষ
    ------
    যদি হই অমলিন শিল্পবোধে সুখী
    আমার নামেতো এই কালিমা থাকেনা !
    রিপুর দহন রোধে আশ্চর্য ভেষজ
    আমি যদি লতাগুল্মে খুঁজে
    হয়ে উঠি চরক শুশ্রূত ;
    তবু কি আমাকে প্রশ্নবিদ্ধ
    হতে হবে সুশীল সমাজে-
    ‘পুরুষ ছিলাম আমি ’-শুধু এই পাপে ?
  • tatin | 70.177.55.6 | ০৫ ডিসেম্বর ২০১০ ০৩:০১429028
  • তন্ত্রসার-

    রৌপ্যজল স্বর্ণরেণু পদ্মকোরক দিয়া।
    শূন্যে আসীন কন্যা ত্রিভুজ উপজিয়া।অ।
    ভোজনে অগ্নিহাস্য রহে উপস্থিত।
    শুক্রতেজ ব্রহ্মে ক্ষয় বিষাদে শোণিত।অ।
    করতালে জন্মছিন্ন উপবীত লোপ।
    বর্গভিতে তিন ডুবে তিনেরই প্রকোপ।অ।
    বলি যাচে অক্ষিপীঠে দেবদেহমূল।
    সিদ্ধিকোণে স্বর্গ স্বাহা মৃত্যু সমতুল।অ।
  • tatin | 70.177.55.6 | ০৫ ডিসেম্বর ২০১০ ০৩:০২429029
  • তন্ত্রসার-

    রৌপ্যজল স্বর্ণরেণু পদ্মকোরক দিয়া।
    শূন্যে আসীন কন্যা ত্রিভুজ উপজিয়া।অ।
    ভোজনে অগ্নিহাস্য রহে উপস্থিত।
    শুক্রতেজ ব্রহ্মে ক্ষয় বিষাদে শোণিত।অ।
    করতালে জন্মছিন্ন উপবীত লোপ।
    বর্গভিতে তিন ডুবে তিনেরই প্রকোপ।অ।
    বলি যাচে অক্ষিপীঠে দেবদেহমূল।
    সিদ্ধিকোণে স্বর্গ স্বাহা মৃত্যু সমতুল।অ।
  • tatin | 70.177.55.6 | ০৫ ডিসেম্বর ২০১০ ০৩:০৩429030
  • ধুস, এই অ গুলো যে কোদ্দিয়ে আসছে
  • pharida | 122.163.99.120 | ০৫ ডিসেম্বর ২০১০ ১০:২৭429031
  • এই রাস্তায় খানিক গেলেই পৌছে যেতাম
    তার বদলে ছন্নছাড়া রাস্তা দেখো কেমন আমায়
    দেয় ঘুরিয়ে।
    আমিও তেমন, আর একটা যে পা ফেলব কপাল ঠুকে-
    যাই ঘুমিয়ে।

    রাস্তাটুকুর ভরসাতেই এই এদ্দুর ভরদুপুরে
    জল-বাতাসা ফুরিয়ে গেছে কোন সকালে
    আঁতিপাতি পোষাক আশাক তন্ন তন্ন খামছে খুঁজি
    কোথায় টিকিট রাখা ছিল তাপ্পি মারা জামাজুতোয়।

    ইতিহাসের শীর্ণ কোনো আধ্যায়ে আজ
    একলা আমি হামলে পড়ে, ঘুরতে থাকি
    মন্ত্রমুগ্‌ধ –
    সুযোগ বুঝে রাস্তা আমায় যায় ঘুরিয়ে
    তোমার কাছের অন্য কোনো কক্ষপথে।

  • Tim | 173.163.204.9 | ০৫ ডিসেম্বর ২০১০ ১২:৪২429032
  • তোমার কাছে? তোমার অন্য ভাবনাগুলোর,
    নিয়মগুলোর, বেআইনি আর ফাঁকফোকরে
    জমিয়ে রাখা চিহ্নগুলো, দাগিয়ে রাখা ক্যালেন্ডারে?

    এই তো অবুঝ ইচ্ছে চাওয়া, ঝিঁঝির মতন
    রূক্ষতা আর একঘেয়েমি, তাড়িয়ে বেড়ায়
    রিক্ত সে সুর কাঁটার মত, তোমার কথায়।

    এই বিষন্ন উষ্ণতা আর সঙ্গযাপন
    ঐতিহাসিক আপশোষে আর তক্তপোষে
    ধুলোয় রোদের চোখ জ্বলে যায়, রূদ্ধ রোষে।

    তোমার কাছে, তাই পেতেছি ভিক্ষাঝুলি
    উপুর করা পাপবোধে আর বিপন্নতায়
    আড়াল করি পাঁচিল তুলে, দিন চলে যায়।
  • omicron | 151.141.84.194 | ০৬ ডিসেম্বর ২০১০ ০৩:২৮429033
  • এইসব জালজন্ম, সেও হয়ে গেলো কতকাল-
    এইসব ঝড়েজলে ধরা হাল কখনো বেহাল।
    কেজানে কোথায় যাবে সাজানো বহর
    উল আর কাঁটা বুনে কাটছে প্রহর-
    মাঝে মাঝে উলে উলে লেগে যায় প্যাঁচ
    কখনো লাইনগুলো কেটে হয় ঘ্যাঁচ।
    নদীটা তো দোলে ঠিকই নিজেরই ছন্দে
    মোহনায় যাওয়া নিয়ে তবু থাকি দ্বন্দ্বে।
    এইসব জালজন্ম, সেও হয়ে গেলো কতকাল-
    অলীক জগত সব, কালের রাখাল ....
  • tatin | 70.177.55.6 | ০৮ ডিসেম্বর ২০১০ ০৭:২৬429034
  • এই সব ভালবাসা সোনার আকরে মুড়ে রাখা
    মাঝপথে ক্ষুধাতৃষ্ণা কিছুই ছোঁবেনা তাকে জানি
    এই সব আকাশে এখন যে গোপন উড়ে যাওয়া
    গতজন্মের কোনও খোঁজ আর সেখানে রাখিনি?
    নোঙরের স্মৃতি নেই, ডানা জুড়ে নেই পৃথিবীও
    ভিতরে আলোর নেশা চালিয়ে আনছে তাকে আজ
    এ পথে অনেক বাঁক, বাঁকে আরও স্পষ্ট হয় দ্যাখা
    পথিক মুগ্‌ধ তাকে নিয়ে হাঁটে গতির বিরাজ
    এই সব ভালবাসা বাধা ভেঙে নিয়ে স্রোতে আসে
    মনের মানুষ সেও যে ভেসেছে তারই সাথে ভাসে

    (একটা বিখ্যাত কবিতা ভাবানুবাদের অ্যাটেম্পট নিলাম)
  • tatin | 70.177.55.6 | ১০ ডিসেম্বর ২০১০ ১২:২৪429036
  • আগেরটার অরিজিন্যাল টা:
    সোনে ভরিতী করুণা নাবী।
    রূপা থৈ নাহিক ঠাবী
    বাহতু কামলি গাণ উবেঁসে।
    গেলী জাম বহু উই কইসেঁ
    খুণ্টি উপাড়ী মেলিলি কাচ্ছি।
    বাহতু কামলি সদগুরু পুচ্ছি
    মাঙ্গত চড়হিলে চউদিস চাহা।
    কেড়ুআল নাহি কেঁ কি বাহবকে পারা
    বাম দাহিণ চাপী মিলি মিলি মাঙ্গা।
    বাটত মিলিল মহাসুহসাঙ্গা
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন