এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পর্বে পর্বে কবিতা - ২

    pharida
    অন্যান্য | ২১ নভেম্বর ২০০৯ | ৩০৩৪৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • tatin | 70.177.55.6 | ১১ জানুয়ারি ২০১১ ১৩:১৯429103
  • আমার প্রেমের গান
    --------------------------

    ৯৬: সেই গল্পের অতদূর পারে
    হঠাৎ খেলার মাঝে বিদেশসফর উঁকি মারে
    লর্ডস নামের কোনও
    ভুলে যাওয়া জেলি জেলি শীতে আমার পড়ার ঘর
    ক্রিকেট এমনই রূপকথা

    মারাদোনা মুছে যায়
    মুছে যায় না-হওয়া সে গান
    প্রেমের আদলে যাকে খুঁজে ফিরি প্রথম শহরে

    তারপর বড়ো হওয়া, তারপর গলিপথে ঘুরে
    টিভির দোকান আর ভিড়-ঠেলে উঁকি মেরে স্কোর

    আমার প্রেমের গান, কলকাতা, লিখেছিল সেই
    নাগরিক কবিয়াল, জানেনি, জানিনা দুপুর কত চুপ

    সব পাল্টিয়ে যায়, কেবলের তার ঢোকে ঘরে
    ঘোরের মতই জ্বলে, সাহারার শিহরণগুলি
    আমার খেলার মাঠ, হারিয়েছে শহরের বুকে
    মাঠের সবুজ চিরে লালবল ছোটে- বাঁহাতিয়া

    নিজের সংগে আজও সেই খেলা
    আজও সে-দুপুরে, কেউ বুঝলোনা ভেবে
    খুঁজে ফিরি সাপুড়ের পাড়া-
    সাপুড়ের জামা নাচে,
    সাপুড়ে দোলায় ব্যাট তার
    বল সাপুড়ের হাতে
    মিলিটারি পেসে- উইকেট!

    সাপুড়ে সে ক্যাপ্টেন-ও
    ইডেনে শোয়েব একা হিরো-
    খেলা ভাঙে, ফিরে যাই। পাশে কার ক্লাসরুম পড়ে
    মনে পড়ে তেরো রান
    ভি আই পি রোডে কুহুকাল
    অমন ফুলের দিনে, আমিও সাপুড়ে-সম হই

    মুখ পাল্টায়, আর পাল্টায় ভবিষ্যরেখা
    সেদিন যা ভেবে ফেলি, আজ তা-ই
    আফশোষ শুধু; আফশোষ- সেদিন যা মাঠে ছিলো
    সেদিন যা ইডেনের পথে
    আজকেও ক্লাসরুম, আজকে সন্ধ্যে ভরা ঘরে
    আজকে দিনের শেষে,
    শেষ ওভারেই আমি বলি
    অমন শিহর আমি কোনও মুখে বসিয়ে দেখিনি

    দেখবোনা কোনওদিনও, কথা সেই ইডেনও কি জানে
    কিম্বা কেবল-ঘরে, যে রাত ফুরোয় আজ মদে --

    রাতের গভীর থেকে বারোটা বছর উঁকি মারে
    হেরে যাই, ফিরে আসে
    নতুন পাতার বাসরুট
    মাঠের শুকনোঘাসে বিষাদের উৎসব হয়
    এমন-ই প্রবাস আর সাপ খেলানোর পুজোপাড়া
    আচমকা উইকেটে হঠাৎই প্রবল কিছু পাই

    আমার ক্রিকেটম্যাচে ওভারের শেষ সেই বলে
    স্টেপ আউটে ছয় মারো,
    ফিল্ডিং চিরে যাক শট।

  • omi | 151.141.84.194 | ১২ জানুয়ারি ২০১১ ০১:৩২429104
  • দেকোচো! কালকে ভাবলুম তাতিনকে জিগাবো বজ্রযান কেন সে কইলো ব্যাপাট্টা কী। আজ দেখি থ্রেডটা উবে গেছে!
    ঝুড়ি দিয়ে জল সেঁচে মাছ ধরার মতন ধরলাম,এবারে তাতিন বলো।
  • omi | 151.141.84.194 | ১২ জানুয়ারি ২০১১ ০৩:০৮429105
  • আর তাতিন, ভালো কথা, সেই চর্যাপদের ব্যাপারগুলি কী হলো? একটা আলাদা টই খুলে চর্যার ভাবানুবাদ আর মূলগুলো রাখবে কি? তাহলে ভালো হয়।
  • tatin | 130.39.149.87 | ১২ জানুয়ারি ২০১১ ০৪:০৯429106
  • শূন্য নিয়ে এত কিছু, শূন্য এসে শূন্যে মিশে পূর্ণতায় পরিণত হচ্ছে- এইটা বজ্রযান না? অমাবস্যয় পূর্ণিমা হয়: মহাযোগ সে দিনে উদয়
  • tatin | 130.39.149.87 | ১২ জানুয়ারি ২০১১ ০৪:১১429107
  • দুলি দুহি পিটা ধরণ ন জাই-টা করার ইচ্ছে আছে- আসলে কি করলে খুব বৈরাগ্য আসে, সেইজন্য কাটিয়ে কাটিয়ে যাচ্ছি; আপনি কটা করে ফেলুন না
  • tatin | 130.39.149.87 | ১২ জানুয়ারি ২০১১ ০৪:১৯429108
  • omiদিদিরে একটা ভাল জিনিস দিই: http://www.keithdowman.net/books/mm.htm
  • omi | 151.141.84.194 | ১২ জানুয়ারি ২০১১ ২০:৪৯429109
  • থ্যাংকু তাতিন।
    লিংকটা ভালো।
  • omi | 151.141.84.194 | ১২ জানুয়ারি ২০১১ ২২:০১429110
  • তাতিন কও কী? শূন্য থেকেই পূর্ণ আসে, বজ্রযানে কয় নাকি তাই? তো এই শূন্যবাদে বজ্র কোথা?
    আমি শুনেছিলাম কিউ এফ টি তাই কয়, কোয়ান্টাম ফিল্ড তত্ব কয় শূন্য শুধু শূন্য নয়, ফল্‌স ভ্যাকুয়াম। যেখানে কিছু নাই, সেখানেও নাকি ক্রমাগত কণা-প্রতিকণা জোড় তৈরী হচ্ছে আর নিশ্চিহ্ন হচ্ছে। তাত্বিকদের মধ্যে একজন নিজেই বিরক্ত হয়ে কইলেন, ক্রিয়েশন অ্যানিহিলেশন ক্রিয়েশন অ্যানিহিলেশন-হোয়াট আ ওয়েস্ট অব টাইম!
    :-)

  • tatin | 70.177.55.6 | ১২ জানুয়ারি ২০১১ ২২:৩৭429111
  • আমি কিউ মেক বুঝিনা- আমাকে খাওয়াপরার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন নিউটন সাহেব, সেখানে অসহায় আত্মা গতির প্রথম সূত্র মেনে জন্ম হেকে জন্মান্তরে বাহিত হয়েন। কখনও গুরুবাক্য কখনও রিপুর প্রভাবে জন্মগতি এপার ওপার হয় আর কর্মফলে যেটা করি ঠিক সেইটেই ফিরে আসে। জ্ঞানীরা বলেন এই ভিসিয়াশ সাইকেল থেকে বেরোতে গেলে নিজেকে না করে ফেলতে হবে, মাস না থাকলে মোমেন্টাম ও আসবেনা- এই না করার প্রসেসটা আসে নামে, ভক্তিতে কিম্বা যোগরূপ অগ্নিদ্বারা আপন শরীর কে বজ্রে প্রঙ্কÄলিত করে। ভবের বন্ধন কেটে গেলে আর কর্মের জন্মচক্রে পড়তে হবেনা, তখন কিছুতেই কিছু করতে পারবেনা- আদি শূন্যর সঙ্গে সঙ্গমরত হয় পূর্ণতা পাবো।
  • tatin | 130.39.149.87 | ১৩ জানুয়ারি ২০১১ ০০:০৫429114
  • ঐটুকুই তো পারি
    উষ্ণীষে তোর ছুইয়ে আসব ঘেন্নার তরবারি
    সভ্য থাকার বীতরাগ ভুলে সমবেত পথচারী
    ভারি উল্লাসে জ্বালিয়ে ফেলবে মানুষের ঘরবাড়ি।
    রূপের চাঙারি, শস্যের গাড়ি
    প্রেমরত শুকসারি-
    ঐটুকু যেন পারি
  • omi | 151.141.84.194 | ১৩ জানুয়ারি ২০১১ ০৩:১৩429115
  • তাতিন, আহা আত্মায় আবার ম্যাস কী হে? সে তো অজ নিত্য শাশ্বত ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে-- আরো কিসব যেন। তার ভর নাই তো! মানে তাই তো বলে!
    কিউ মেক তো পুরানো গপ্পো, কইছিলাম কিউ এফ টি র কথা। তবে কিনা শেষে দেখা যাবে সবই এক, কেন্দ্রগতং নির্বিশেষং।
    :-)
    ত্রিগুণের অধিকারী জীবাত্মা ত্রিগুণাতীত পরমাত্মায় মিলে গিয়ে মোক্ষলাভ করে, এতো আমাদের পরাশর যাজ্ঞবল্ক্য এরাও কইলেন। বজ্রযান কি এদের থেকেই প্রভাবিত?
    না হে আলাদা টই খোলো, কবিতার একতারাটির একটি তারে এত বেদন ধরবে না হে। :-)
  • omicron | 151.141.84.194 | ১৪ জানুয়ারি ২০১১ ০০:৩৮429116
  • ফেরারী কথারা ফিরলো যখন ঘরে-
    টাপুরটুপুর নীল বৃষ্টিরা ঝরে।
    আনকথাদের সবুজ সবুজ জামায়
    মনখারাপের রঙগুলো কে নামায়?
    এখন তবে সুজ্জিপুকুর গাঁয়ে
    রোদটি উঠুক টিয়ারঙের নায়ে।

  • tatin | 130.39.149.48 | ১৪ জানুয়ারি ২০১১ ০৪:১৬429117
  • তন্ত্রটা আট্টু এগোক তার্প্র এটা নিয়ে হ্যাজানো যাবে খন
  • Nina | 64.56.33.254 | ১৪ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:১৪429118
  • বাহ! কি মিত্তি!
  • sayan | 59.164.96.211 | ২৮ জানুয়ারি ২০১১ ০০:৪৮429119
  • মাতাল
    ===

    ভুলে যাবার কথা নয় বলেই
    ভুলতে পারোনি আজও
    সাতটা বছরের দু:সহ অভিমান মুছতে দেয়নি
       আমাদের যতেক কথা
    এখন যখন নি:সাড়ে বৃষ্টি নামে
           নদী বড়ো হয়
    অবাক হয়ে দেখি কেমন করে
    নিজেকে নিজের বন্ধনদশা থেকে
        মুক্ত করে আনো তুমি
    আর ঝরঝর হাসো অনাবিল -
    আমি নিপলক দেখি
    তোমার ভ্রূ ভঙ্গীমায়
    হংসী গৃবায়
          আমার জীবন্ত স্বপ্নের দ্বিতীয় অধ্যায়
    তোমার মত পাগলী যদি ডাক পাঠায়
      দু'একটা তুচ্ছ জীবন নয়ছয় করাই যায়
      এই অরণ্যের প্রান্তবর্তী সীমারেখায়
        সাত সাতটা বছরের নীচ দিয়ে
          ভেসে যাচ্ছে কনে-দেখা আলো
    বৃষ্টি ছোঁড়ে ভাসানের ডাক
    তৃশাঙ্কুর বিঁধে রয় নগ্ন বুকে
    আর টালমাটাল হাঁটে আমার উন্মার্গগামী নিয়তি
  • Nina | 67.133.199.254 | ২৮ জানুয়ারি ২০১১ ২৩:০৯429120
  • বাহ! সায়নকবি, খুব সুন্দর!
  • ranjan roy | 122.168.19.36 | ২৯ জানুয়ারি ২০১১ ১২:২১429121
  • মরা মরা রোদ সাতসকালেই
    ধোঁয়া ধোঁয়া চায়ে ধূপের গন্ধ;
    একটু এদিকে তাকালেও পারো
    আমি কি এতই অগ্নিমান্দ্য!

    এফ এম, এফ এম! রেডিওর গানে
    তুমি নিবেদিত, আত্মমগ্ন;
    সঙ্গীত কই, এ যে চিৎকার,
    নাকি শীৎকারে ভ্রষ্টালগ্ন?

    বোদা বোদা জিভ, চিরতা চিরতা
    মুখ করে খুলি যত আখবার;
    পাতায় পাতায় খোলা খোলা ছুরি
    নিয়ে ধাবমান শত হানাদার।

    তোমাকে চিনি না, তুমি কি নেতাই?
    অথবা জগাই, কিংবা মাধাই?
    শোন হে সাঁইয়া, ছাঁইয়া-ছাঁইয়া,
    প্রাণপাখি বলে পালাই-পালাই।

    কেন ভয়ে-ভয়ে আছ রয়ে-রয়ে
    নিজের ছায়াকে করছ সন্দ?
    দেখে লাশ-লাশ, কর হাঁসফাঁস'
    আর কত চাই? কটা কবন্ধ!

    ছায়া-ছায়া মন, মেটে মেটে দিন,
    উপোসী হৃদয়, দিল বাঙ্গাল;
    পথে পথে ঘোরে, নিয়ে নিয়ে বাটি
    আই এস ও ছাপ খাঁটি কাঙ্গাল।

    এখনো এ ঘরে উঁকিঝুঁকি মারে
    মরা মরা রোদ, ঘামের গন্ধ;
    --এদিকে তাকাও, জিগাই তোমাকে,
    আমি কি এতই অগ্নিমান্দ্য!
  • tatin | 117.194.193.113 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ২৩:৫৩429122
  • এ দুহাতে এত শ্রম- ভরে দেবে শস্যের গোলা
    তবুও সৃজন সবই মুছে দ্যায় আমার কামনা
    নিজেরও কপাট খোলা, বন্ধনে যতই না থাকি
    আভরণ নিয়ে যায় সেই চোর, রাত্রির ফাঁকি
    পরিচয় মুছি তবু জেগে থাকে দেহের বিলাস
    কে নিল ভূষন আর কার কাছে করি হাহুতাশ
    সমাজ, সম্ভ্রমবোধ চেপে রাখাটাই সংস্কার
    তবুও ভিতরে গূঢ় চাহিদায় লালসা আমার
    হারিয়ে ফেলবে সবই বলে যান কুক্কুরীপাদ
    কোটিলোকে কজনইবা মন থেকে ঝেড়ে ফ্যালে খাদ!

    দুলি দুহি পিটা ধরণ ন জাই।
    রুখের তেন্তলি কুম্ভীরে খাঅ ।অ।
    আঙ্গণ ঘরপণ সুন ভো বিআতী।
    কানেট চৌরি নিল অধরাতী ।অ।
    সুসুরা নিদ গেল বহুড়ী জাগা।
    কানেট চোরে নিল কা গই মাগা ।অ।
    দিবসই বহুড়ী কাউই ডরে ভাঅ।
    রাতি ভইলে কামরু জাঅ ।অ।
    অইসন চর্যা কুক্কুরীপাএঁ গাইড়।
    কোড়ি মঝেঁ একু হিঅহিঁ সমাইড়।অ।
  • achintyarup | 59.93.195.221 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ০০:০২429123
  • দুর্দান্ত
  • tatin | 117.194.200.100 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১২:২১429125
  • মফস্বলের সরস্বতী পুজো
    ----------------

    ফুলের স্তবক রাখা পথজুড়ে
    পথ ঘুরে নির্জন, ঘুরপথ মাইকমুখর
    সেই পথে স্তবগান রিক্সায় ভেসে
    স্তবে ভাসে প্রথম আমেন
    স্তাবক সে সাইকেলে, দেবী তারে সুপথে রাখেন

    সুমতিরা স্কুলে যায়
    মহাখিচুড়ির ভোজ, চাটনিতে আচারের তার
    ধারের বেপাড়া জাগে প্রদর্শনীর রাত,
    ভাসানে জাগেন অবতার
    স্তাবক এখনও দ্যাখে, হে দেবি সারদে,
    হাওয়া ভেসে আসে ওড়নার
    ডোনোভান গেয়ে যান ইয়েলো ইজ দ্যা কালার-
  • kahiptasha | 203.132.214.11 | ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১১ ১৪:৩৩429126
  • এখানে আস্তে চলে ট্রাম বাস আগুনের আলো
    আস্তে নামতে পারি মোটরের পাদানীতে ঝুঁকে
    মাঝরাস্তায়। আস্তে লিখি, চারদিকে
    কেমন শব্দধুলি কম, অকলুষ স্থবির পৃথিবী।
    মন্থর ভালোবাসাবাসি তার অঢেল সময়
    যেন পৃথিবীতে সকল স্বাধীন।
    এখানে অস্তে যায় দিন, দিন শেষে প্রতিপল
    গুণে নিতে পারে, আলো অন্ধকার।
  • Tim | 198.82.20.5 | ০৩ মার্চ ২০১১ ০৩:০৫429127
  • বিকেল হলেই যে যার দু:খ, বুকেই চাপে
    বিষাক্ত দিন, যদিও একাই। মনের কাছে
    হার মানেনা, সময়টাকে তলিয়ে দেখে
    লোডশেডিঙের ছন্নছাড়া আলোর মত, অন্ধকারে।
    বিগত শোক, ফালতু, খোঁড়া কিস্যা যত
    জমেই থাকে, জমছে যেন আজন্মকাল
    জমতে জমতে টেলিগ্রাফের পোস্টে যখন
    লাট্টু খাওয়া নীল ঘুড়িটাও ছন্দ পাবে
    তখন গভীর রাত ঘনাবে, সঙ্গোপনে
    ঘুমের মত, ঘুম না আসার দু:খ যাবে-
    বিকেল থেকেই যেসব দু:খ বুকেই ছিলো।
  • Omegaa | 202.54.54.240 | ০৩ মার্চ ২০১১ ১৫:০০429128
  • দুরঙ্কÄগুলি অনিবয্য
    ছোত বড়ো হয় কিন্তু শুন্য হয় না
    এইটুকু শুনেই তুমি হেসে বল্লে এ তো তঙ্কÄকথা---
    অথচ দেখ এক্টি দুরত্ব যে ছোত হতে হতে হাইফেন কিম্বা এক্টি শ্বাসের মতৈ আসা-যাওয়া কে্‌র্‌ছ তোমার আমার মধ্যে
    আবার কখনও বড়ো হতে হতে শরৎ বসন্ত পেরিয়ে স্পর্শক বরাবর ওধাও
    এ ক্‌থা না মেনে উপায় আছে !
    পাশাপাশি হাঁতলে আমাদের দ্বি-মাত্রিক ছায়ারা এখনও মিলে যাই
    ত্রিতিয় মাত্রায় বসে দুরত্ব মুচি্‌ক হাসে
    কবিতার লাইন কিম্বা দিনলিপির পাতায় একে মেনে নিতে নিতে
    আমাদের দিন বদলায়
    আমরা অনিবার্য্য পা এলি
    এক আলো থেকে আর এক অন্ধকারের দিকে
    পায়ের নিচে দিন্রাত্তিরগুলি বাড়ে-কমে কিন্তু
    শুন্য হয় না
  • Omegaa | 202.54.54.240 | ০৩ মার্চ ২০১১ ১৫:১২429129
  • বঙ্গানুবাদের চেষ্টা :)

    দুরত্বগুলি অনিবার্য্য
    ছোট বড়ো হয় কিন্তু শুন্য হয় না
    এইটুকু শুনেই তুমি হেসে বল্লে এ তো তঙ্কÄকথা----
    অথচ দেখ একতি দুরত্ব যে ছোট হতে হতে হাইফেন
    কিম্বা
    একটি শ্বাসের মতৈ আসা-যাওয়া করছে তোমার আমারা মধ্যে
    আবার কখনও শরৎ বসন্ত পেরিয়ে স্পর্শক বরাবর উধাও
    এ কথা না মেনে উপায়া আছে !
    পাশাপাশি হাঁটলে আমাদের দ্বিমাত্রিক ছায়ারা এখনও মিলে যায়
    দুরত্বটি ত্রিতিয় মাত্রায়া বসে মুচকি হাসে
    কবিতারা লাইনে আর দিনলিপির পাতায় একে মেনে নিতে নিতে
    আমাদের দিন বদলায়া
    আমরা অনিবার্য্য পা ফেলি
    এক আলো থেকে আর এক অন্ধকারের দিকে
    পায়ের নিচে দিনরাত্তিরগুলি বাড়ে-কমে কিন্তু শুন্য হয় না !

  • Omegaa | 202.54.54.240 | ০৩ মার্চ ২০১১ ১৫:১৭429130
  • উ ! পারা যায় না।।।ডানকানা হলে যা হয়।

    তঙ্কÄকথা
    একটি
    মতই
    উপায়
    বদলায়

    ধ্যুস।।।
  • kahiptasha | 173.15.151.101 | ১০ মার্চ ২০১১ ২১:২০429131
  • যত্নে নিড়েন দেয় ছেঁটে ফেলে আগাছা গোড়ার
    জল দেয় ভুঁইমালি দুইবেলা তেজালো সবুজ তার
    পাতা। পাখি বসে তার চারদিকে সুদর্শন পোকা
    ঘুরে ঘুরে নিয়ে যায় কুশল খবর- বলে বৃষ্টিদিন
    এলো বলে খামোখা বসন্ত আর বেশীদিন নেই।
    বিশেষ গভীর নয় ধুলোমাটি সবকিছু ওপর ওপর
    শিকড়ের প্রোথিত আছে, চেনাশোনা জলের ভিতর
    তার কোন নিছক ভ্রমণ নেই উদবৃত্ত ক্লোরোফিল
    শর্করা জল, সবই ওপর ওপর।
    এমনই গাছেরা সব, আমাদের বাগানের কাছে,
    সাদা সিধে, গভীরতা নেই তত কিছু
    শুধু দুইবেলা জল চায়, যত্নে নিড়েন আর
    ভুঁইমালি দুইবেলা আসে।

  • dd | 122.167.7.58 | ১১ মার্চ ২০১১ ২২:১৭429132
  • বাগান ভরে বেলুন ফুটে আছে
    ছেলের মাথা মেয়ের মাথা। আকাশ জুড়ে
    টাটিয়ে আছে রোদ। কলেজ ফেরৎ বৃষ্টি হলো।
    কথাই ছিলো। শার্সি টাও তো ভাঙা।

    মুঠোর ভিতর অনন্ত কুয়াসা। শুধু
    পিছন ফিরে এক নিমেষের দেখা। আবার।

    ছেলের মাথা মেয়ের মাথা,

    ......যদ্দুর চোখ যায়।

  • dd | 122.167.7.58 | ১১ মার্চ ২০১১ ২৩:৫৫429133
  • একটা চাবি, একটা চাবি, কোথাও থাকে
    কোথাও থাকে আর অসংখ্য তালা
    তালা মানে পাঁচিল, মানে পাঁচিল,পাঁচিল
    এবং কাঁটাতার। কাঁটাতারে কোথাও থাকে
    লটকে কোনো লাশ। (লাশ মানে কোন দলের?
    আহা, তবেই না উল্লাস)।

    কুমীর আসে, আসতে থাকেই,
    (লাশ মানে কোন দলের? আহা, তবেই না উল্লাস)
    তো কুমীর আসে।

    কোঁচোড় ভরে কুড়াই শিউলি ফুল।
    পেলাস্টিকের, এবং বাসী।
    কিন্তু শিউলি ফুল।
    নিরুক্ত নিষ্পাপ।

    মন খুলে গাই, গেয়েই থাকি
    "ও গো হলুদ বনে বনে,
    নাকছাবিটি হাড়িয়ে গেছে,
    সুখ নেই কো মনে
    ওগো "
  • dd | 122.167.7.58 | ১২ মার্চ ২০১১ ০০:৫৭429134
  • হা:।
    এই তো বেশ ছিলে ,ছিপটি নিলো চিলে
    ভুতেরা ঢিলে মারে ,দুক্কুরে
    খামোখা ক্ষি যে হোলো
    টই কে নিজে তোলো
    রাম কে ব্যাস করো শুক্কুরে

    বা:
    মানে,এই তো বেশ ছিলে, মেয়ে ও ছেলে পিলে
    নকু ও মাকু, খোকা খুক্কুরে
    আপোষে ঢুঁশাঢুঁশি
    আহ্লাদে খুসো খুসী
    চেঁচালে ক্যানে? বাইটালো কুক্কুরে ?

    না:
    পদ্দো নড়োবরো
    এক্ষুনি স্টপ করো।
    দড়ি ও কলসি নে' ঝাঁপাও পুক্কুরে।

    ** কবি এখন রামাক্লান্ত,প্লাস আর মিল খুঁজে পাওয়াউ মুশকিল।
  • Tim | 98.226.193.54 | ১৩ মার্চ ২০১১ ০০:২৯429136
  • দেওয়ালজোড়া ম্যাপ বিছানো, নদী সমুদ্দুরে
    স্বপ্নভাঙা চোখের কোটর, আলস্যময় দুপুর
    ঢেউ এর মতন অন্ধকারে, থকথকে লাল আঁধার
    মাঝদরিয়ায় তুফান উঠে নৌকো টলোমলো

    ছুটির জন্য হাপিত্যেস, ছুটির কড়ানাড়া
    অলক্ষ্যে ঘুম ছুটছে কারো, কারুর ভীষণ তাড়া
    ঘুমিয়ে পড়ার, ঘুম পাড়ানোর, পাড়াও ঘুমে বিভোর
    আজকে মেঘে আকাশ কালো, আজকে আলোর ছুটি

    এমন সন্ধ্যা, এমন সকাল, এমন দুপুর এলেই
    গা-ছমছমে পদক্ষেপে হেঁটেই ফিরো ঘরে
    দেওয়াল জোড়া কান পেতেছি, নদীনালার দেয়াল
    বিকেল হলেই মনখারাপের বৃষ্টিছাঁটের ধুলো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন