এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পর্বে পর্বে কবিতা - ২

    pharida
    অন্যান্য | ২১ নভেম্বর ২০০৯ | ৩০৩৪৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • tatin | 70.177.55.6 | ১০ ডিসেম্বর ২০১০ ১২:৩০429037
  • কাহ্নপার পদ থেকে
    ---------------
    প্রেমের মায়াবী বাড়ি সব হিসেবের থেকে দূরে
    জাতিভেদে বিত্তভেদে সবাই কখনও আসে ঘুরে
    এই বার, দ্যাখো প্রেম আমিও দেখতে যাব তোকে
    ঘৃণাজয়ী যোগী আমি, লজ্জা ছেড়েছি নির্মোকে-
    সৃষ্টির রহস্যমূলে রতিকলা কামনার ঘোর
    সেইখানে লীলাময়ী প্রেম তোর নাচের আসর
    আমিও মোহিত হই বিনম্রে রাখি জিজ্ঞাসা
    অজানার কোন পথে আশ্চর্য এই যাওয়া-আসা?
    যে সুতোয়ে বেঁধে দিস অদৃশ্য আলোর উজানে
    রঙের সে নেশাঘোরে ভুলে গেছি বাকি সব মানে
    সেই পথ ধরে আজ সব ছেড়ে আমি কাপালিক
    কামনাও হারিয়েছে এই শব, হাড়ের অধিক-
    শুকোয় করুণাধারা, খাস প্রেম জীবনের সার
    সেই প্রেম খাব আমি সৃষ্টিচক্র করে ছারখার।

    আসল্টা
    -------------

    নগর বাহিরি রে ডোম্বি তোহারি কুড়িআ।
    ছৈ ছৈ আসি বামহণ নাড়ি আ।অ।
    আলো ডোম্বি তোএ সম করিব মই সাঙ্গ।
    নিঘিণ কাহ্ন কাপালি জৈ লাঙ্গ।অ।
    এক সো পদমা চৌষট্টি পাখুড়ি
    তহিঁ চড়ি নাচই ডোম্বি বাপুড়ি।
    হালো ডোম্বি তো পূছনি সদভাবে।
    আইসসি জাসিন্ডোম্বি কাহেরি নাবে।অ।
    তান্তি বিকণহ ডোম্বি অবর মো চাঙ্গিড়া।
    তোহোর অন্তরে ছাড়ি নড়-পেড়া।অ।
    তু লো ডোম্বি হউ কাপালী।
    তোহোর অন্তরে মোএ ঘালিলি হাড়েরি মালী।অ।
    সরবর ভাঞ্জি অ ডোম্বী খাও মোলাণ।
    মারমী ডোম্বী লেমি পরাণ।অ।
  • pharida | 122.163.99.169 | ১০ ডিসেম্বর ২০১০ ২৩:০৯429038
  • স্তব কিছুটা ছিল, জানো, হাঁটুজলে বিশালতায়
    দেখতে দেখতে ঘোর লাগত ক্ষণে ক্ষণে।
    যেমন ভাবায় টিলার ওপার থেকে দেখা সূর্য ওঠা
    তেমন কিছু লিখতে গিয়ে, দেখতে গিয়ে ফিরে খানিক কলম চলে,
    অনেক দূরের মাটি যখন প্রায় কিছু ঘাস বুনতে চেয়ে
    সাদা আলো ভিক্ষে করে
    ততই জানো, জল আমাকে দেয় এগিয়ে তোমার পাশে।

    সেই ক্রমশ: হাবুডুবু, সেই ক্রমশ: এগিয়ে যাওয়া
    সেইখানেতেই টের পাওয়া এক ফিরে আসা দমকা হাওয়া।
    ডুব দিলে সেই জলের সবুজ গন্ধ আমার চুলে নেহাৎ বিলি কেটেই আঁকড়ে ধরে।
    হয়তো দেখি, হলদে ডুমের আলো ঘিরে ঘুমপাড়ানি নামতা পড়ে কেউ এখানে।
    কেউ এখানে পাত পেড়ে খায় রোজ অবেলায়
    কেউ এখানে বিনা কোনো কাজেই বোধ হয় বেশ কিছুটা একলা থাকে
    এতোলবেতোল কথার মধ্যে জলের আবেশ নিয়ে যখন
    সাঁতার লাগাই। জলও দেখি নিচ্ছে পিছু যেমন করে খেলা আসে।

    নেহাৎ আমি টইটম্বুর, জলও দেখি তথৈবচ
    মাঝপথে তাই ফিরতে গিয়েই রাস্তা হারাই।
    রাস্তা হারাই একলা বলে, রাস্তা হারাই সঙ্গে কিছু ছিলো বলেই?
    রাস্তা বুঝি বাতিল কাগজ ঠোঙায় রাখা পিঁপড়ে ধরা বিস্কুটে কি
    অবান্তরেই টোকা মারি?
    সেই অনন্ত প্রশ্ন আমার জল হয়ে যায়।
    সব কথা বেশ জল হয়ে যায়।
    বুঝতে পারি যেটা আমি, জল হয়ে যায়।
    আমার তোমার কাঙালপনাও জল হয়ে যায়।
    জল ছেড়ে জল যায় না কোথাও
    এসব জেনে আমায় ছেড়ে ফিরে আসাও
    জল হয়ে যায়।

  • Tim | 173.163.204.9 | ১১ ডিসেম্বর ২০১০ ১১:২২429039
  • এই গ্লানি, এই অসতর্ক খেলা
    কিছুটা নাটক, সং সেজে নটনটী
    স্টেজে নেমে স্থির।

    পর্দায়, বেখেয়ালে হাওয়া দেয়
    ফ্যাকাশে ওড়না ওড়ে, সে হাওয়ায়
    ফুলের গন্ধ ভাসে, শ্বাসরোধকারী।

    একরাশ হিসেবের খাতা, ছেঁড়াপাতা
    তার ঘরময় ছড়িয়েছে কেউ, অবিন্যস্ত
    হিসেবের পাতা দেখে
    ঘৃণা হয়।
    মেঝেতে পাতার স্তুপ, পুরোনো নতুন
    বিচিত্র বর্ণের যত গাণিতিক দোষ-
    পড়ে থাকে।
    দুপাশের দেওয়ালেও, সেইসব কাগজের দলা
    সেঁটে থাকে, জানলাটা বহুদিন ঘুচে গেছে।
    দরজার ফ্রেমেও ঐ, পচাগলা, জলে ভেজা,
    বিবর্ণ হয়ে আসা কাগজের স্তুপ
    ঘিরে আসে।

    এভাবেই একদিন, থকথকে কাগজের ভিজে চোরাবালি
    খাবে সব।
  • A | 128.103.93.236 | ১১ ডিসেম্বর ২০১০ ২২:৪৭429040
  • শরতে বিষণ্ন দিন ভেসে আসে যায়
    একান্ত আনমন চলে দহন আমার
    ফেলে আসা সস্তা দিন ফেলে রাখা জলে
    দামী হয়ে ওঠে ক্রমে ছোট্ট পারাপার

    ছুটি আসে ভুল হল এসেছিল তারা
    নিছক হারিয়ে গেছে ঘরে ফেরা টান
    কত নৌকা ভেসে আসে জল ভাঙ্গা চালে
    চেনা লাগে চিনি তারে কথা ছেঁড়া গান

    স্বপ্ন নয় ঘুম আসে সাধারণ চোখে
    বাকিটুকু হাতে থাকে গোনা গাঁথা শেষে
    দেহ বোঝে ক্লান্তি শুধু শারীরিক বড়
    এস জন বোস জন ব্যস্ত সমাবেশে

    কার কথা বলি বল অকথা কুকথা
    সেইসব দিন গেছে নিতান্ত অভাবে
    কতটুকু দিয়ে গেছি তুমি আমি জানি
    জরিমানা গোনা ঠিক বাকি থেকে যাবে

    তবু যদি বলে ফেলি ডাকি অবশেষে
    চিন্তা করি খুঁজে দেখি ভাঁড়ারে কি আছে
    ভেবে দেখো সেইসব আলো নেবে কিনা
    তারা সব ছোট্ট থেকে আঁধারে রয়েছে

    কিছু তারা কষ্টে ছিল কিছু ভালবেসে
    সুর্য থেকে সুর্যে গেছে পায়ে পায়ে হেঁটে
    যত চেষ্টা হয়েছিল কাঁটা ফেলে পথে
    পথ বেঁকে গেছে শুধু সেসব সঙ্কটে

    আমি চিনি সেই পথ তুমিও তো বোঝো
    এইমা নিষ্ঠা কারো সহজে মেলেনা
    ঈর্ষা করি এস দোহে নুড়ি ও পাথরে
    সেইসব কথাদের কাহিনী ছিল না

  • A | 128.103.93.236 | ১১ ডিসেম্বর ২০১০ ২২:৪৯429041
  • sorry, "সূর্য'।
  • omi | 151.141.84.194 | ১২ ডিসেম্বর ২০১০ ০২:২৯429042
  • পথেরা কেবলি ভাগ হয়ে যায় ক্রান্তিকালে-
    সব বাঁকে বাঁকে ভাগাভাগি হয়ে দু'দিকে চলে যাওয়া, জলজন্মঋণ-
    এক দুই চার আট ...
    শত শত সহস্র সহস্র দেয়াল---

  • achintyarup | 59.93.245.17 | ১২ ডিসেম্বর ২০১০ ০৪:২৩429043
  • দেয়াল জোড়া আয়না ছিল
    আরশিনগর
    অন্য কোথাও বন্ধ ছিল
    আরেকটা ঘর
    বন্ধ ঘরের সামনে টানা
    বারান্দাটায়
    মেঘলা দুপুর, আনমনা টব
    ফুল ফুটে যায়...
  • Tim | 173.163.204.9 | ১২ ডিসেম্বর ২০১০ ০৪:৪৯429044
  • তাতিনের ভাবানুবাদ বেশ ভালো হইসে। বলা হয়নি। আরো হোক।
  • ranjan roy | 122.168.212.133 | ১২ ডিসেম্বর ২০১০ ০৬:১৩429045
  • বা: তাতিন, বেড়ে হচ্ছে চর্যাপদের ভাবানুবাদ।
  • pharida | 115.240.247.206 | ১২ ডিসেম্বর ২০১০ ০৮:৪০429047
  • শাবাশ লেখা !!

    অচিন্ত্যরূপ - দারুণ লাগলো !
  • achintyarup | 121.241.214.34 | ১৩ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:৩৩429048
  • থ্যাঙ্কু ফরিদা।

    আচ্ছা তাতিন, চর্যাগীতির সবগুলো অনুবাদ করে ফেলার একটা প্রয়াস নিন না। খুব ভল হবে। ভারি সুন্দর হচ্ছে কিন্তু
  • omicron | 151.141.84.194 | ১৩ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:৩৫429049
  • খুব সুন্দর , অচিন্ত্যরূপ। আপনি আরো লিখুন।

  • achintyarup | 121.241.214.34 | ১৩ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:৪৫429050
  • থ্যাঙ্কু। কিন্তু কঠিন প্রস্তাব
  • I | 14.96.158.245 | ১৩ ডিসেম্বর ২০১০ ০০:৪৭429051
  • তাতিন ও অচিন্টিকে সাবাশ।
  • tatin | 130.39.149.89 | ১৩ ডিসেম্বর ২০১০ ০২:২৭429052
  • এইটা কবিতা নয়, গান ভেবে অনুবাদ করা-

    যারে যায় না বোঝা যায় না পাওয়া রে
    কি আক্কেলে মানবি রে তারে?
    আরে দেখ না চেয়ে তোর ঐ বিজ্ঞান
    দেয় শ্লেষ্মা-বায়ু-পিত্তে কি জানান?
    যার চিহ্ন-রূপ ও বর্ণ জানা নেই
    বল ভেদ-জ্ঞানে কি পড়বে ধরা সেই?
    প্রশ্ন আমার কোনটা কী তাই বল
    জলেতে চান্দেরই ছায়া, সত্য না কি ছল-
    তাই বলে যে লুই ভাবব কাকে আর!
    যা নিয়ে মেতেছি আমি নেই রে হদিশ তার-

    আসলটা:
    -------------
    - ভাব ন হৈ অভাব ণ জাই।
    অইস সংবোহেঁ কো পতিআই ।অ।
    লুই ভণই বঢ় দুলকুখ বিণাণা।
    তিঅ ধাএ বিলসই উহ লাগে ণা ।অ।
    জাহের বাঞ্চিহ্ন রূব ণ জাণী।
    সো কইসে আগম বীঁ বখাণী।অ।
    কাহেরে কিস ভণী মই দিবি পিরিচ্ছা।
    উদক চান্দ জিম সাচন মিচ্ছা।অ।
    লুই ভণই মই ভাবই কীস।
    জো লই অচ্ছম তাহের উহ ণ দিস।অ।

    আরও অনুবাদ করার ইচ্ছে আছে, তবে চর্যা নিয়ে বসলে খুব মানসিক চাপ হয়-

  • achintyarup | 59.93.255.80 | ১৩ ডিসেম্বর ২০১০ ০৪:৪৫429053
  • গ্রেট!
  • Shibanshu | 59.93.67.55 | ১৩ ডিসেম্বর ২০১০ ১০:২৯429054
  • চর্যাপদ, খুব ভালো প্রচেষ্টা। যেহেতু এই ভাষাতে দ্ব্যর্থবোধক, ত্র্যর্থবোধক নানা অভিঘাত থাকে, কবির সৃজনশীলতাকে ট্রিগার করার বহু রসদ আছে এতে। নি:সন্দেহে শ্রমসংকুল কাজ।
  • Souva | 122.248.183.1 | ১৩ ডিসেম্বর ২০১০ ১২:০৯429055
  • চর্যাপদের অনুবাদ-গুলো বা transcreation-গুলো গোলা হচ্ছে। আরো হোক।
  • Souva | 122.248.183.1 | ১৩ ডিসেম্বর ২০১০ ১২:১২429056
  • মোহ-২৪ : শীত এসে গ্যাছে, মুনিয়া
    --------------------
    প্রতিদিন অল্প মৃত্যু নিয়ে জেগে উঠি
    দেখি কে য্যানো আমার মধ্যে আলগা পায়ে
    ঢুকে পড়ছে এইভাবে শ্বাসকষ্ট নিয়ে
    ব্যাধি নিয়ে কুয়াশায় বেঁকে যাওয়া সেতু
    ধরে আমি চলে যাই তোমার আড়ালে
    বীজের কাঠিন্য ভেঙে শাঁসে হাত রাখি
    যখন ঝরেছে পাতা

    উঁচু বারান্দায়
    ক্রমশই তেতে উঠছে পশুলোম তুমি
    আমাকে জানালে শীত এসে গ্যাছে!

  • ranjan roy | 122.168.45.75 | ১৩ ডিসেম্বর ২০১০ ১৩:২৮429058
  • রোজই রোদ্দূরে দিই বালাপোষ-কম্বল,
    তবু দেখি হাড়ের ভিতরে,
    শীত ঢুকে পড়ে।
    সকালে দরজায় টোকা ব্যস্ত হয়ে খুলে দেখি
    ছটফটে চার-চারটে শীত,
    আঙিনায় খেলছে কিৎ-কিৎ।
    সন্ধ্যেয় এঁটেছি খিল, মাথাঢেকে শালমুড়ি,
    চেয়ে দেখি-- আগুনের পাশে,
    শীত বসে আছে।
    "" কি চাই"" বলার আগে মুচকি হেসে বলে ফেললো
    ---"" ধোঁয়াওঠা চাই এক কাপ'',
    না বলব ? ভ্যালা মোর বাপ।
    রাত্তিরে শোবার ঘরে বাতি যেই নিবিয়েছি
    আমার বুকের ঠিক কাছে,
    টের পাই শীত শুয়ে আছে।
  • Tim | 173.163.204.9 | ১৪ ডিসেম্বর ২০১০ ১১:২৫429059
  • স্তব্ধতা নয়, জেনেশুনেই বধির হয়ে
    লাগামছাড়া উচ্ছ্বসিত, হুকুমনামা
    একলা গড়ায়, বিকল্প মুখ
    নাম কিনেছে, এলেই যখন বসেই
    যেও, একলা কেন, সবাই খেও-
    মাংস আনো হে খানসামা।

    তোমার কথার দামটা মেটাই
    খিদের জ্বালায়, তেষ্টা সয়ে
    ঠা রোদে আর শান্ত ছায়ায়
    তোমায় ভেবে, মনখারাপের
    ডায়রি লিখি, ছবিও আছে-
    লুকিয়ে রাখি, সমাজ বলে অলপ্পেয়ে।

    মাংসটা আজ ঝালের দিকে, গন্ডা কড়ায়
    আদায় হয়েও লাভ হয়েছে, সে বকসিসে
    মাতাল কণ্ঠ উচ্চকিত, উচ্ছ্বসিত
    হে খানসামা, গেলাস আনো, পুণ্যতিথি
    বিফল না যায়, তুমিও এসো, মেলাও হাতে
    পাপের ঘড়া ভর্তি করো, পাশেই বোসো এ মজলিসে।

    তোমার চিঠি এই দেওয়ালেই
    জ্যান্ত পোঁতা, চুনসুরকি, পলেস্তারা
    খসলে ভালো, থাকেও যদি রক্তে মিশে
    তোমার কলম, তোমার কাগজ, কালির ছোপে
    দিব্যি সেসব ভুলবে যত ভুক্তভোগী, দীর্ঘশ্বাসে
    তোমার আঙুল ছুঁয়েই থাকি, মৃত্যু ঘুমোক আমার পাশে।
  • hu | 12.34.246.72 | ১৪ ডিসেম্বর ২০১০ ২২:৩৭429060
  • জ্জিও!
  • tatin | 70.177.55.6 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১০ ১৩:০৪429061
  • তন্ত্রসার (2)
    --------

    শঙ্কার মূলে যে ভয় রাখিও তাহারে।
    দ্বিধা যাহা হোক স্থিত স্মরণের ধারে।অ।
    প্রত্যেক চিন্তনে থাক নূতন বিন্যাস।
    প্রত্যেক বিন্যাসে এক ভবিষ্যবিলাস।অ।
    এইরূপে সৃষ্ট হোক নূতন অক্ষর।
    বিনাশবিজয়ী চিহ্ন মূলভেদী স্বর।অ।
    স্বরের অতীতে যাহা তোমারও অতীত।
    ধ্যানেতে আনিও সেই ক্ষণের সম্বিৎ।অ।
    দেবীর প্রকাশ বুঝো সম্মুখে ননে।
    মিলাইয়ো অনুভাবে হাস্যশোকেগানে।অ।
    খুঁজিও ক্রন্দন স্বরে আপন বিষাদ।
    হরষে হরষ লও বিবমিষে বাধ।অ।
    এই রূপে মর্মে মিলে দেবদেবীকথা।
    নাশত্রাসক্ষয় মুছে নাহিক অন্যথা।অ।
    সে মুহূর্তে শব্দ যাহা হইলো রচিত।
    স্বয়ং কহেন আত্মা তাহাতে নিশ্চিত।অ।

    (এটি একটি প্‌র্‌যাকটিস-মূলক তন্ত্র, অনেকেই অভ্যাস করে থাকেন; তবে সাধনসঙ্গিনী ব্যতীত এর প্রয়োগ নাই; দেবীর স্বয়ং প্রকাশ সাধনসঙ্গিনীতে)
  • tatin | 70.177.55.6 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১০ ১৩:০৭429062
  • 'দেবীর প্রকাশ বুঝ সম্মুখে নয়ানে' হৈবে

    ডাবল দাড়ির মধ্যে অ এসে গ্যাছে :(
  • Tim | 173.163.204.9 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১০ ১২:৫৮429063
  • এখানে জল, হিসেব নেই, ওখানে ঘাস, হালকা নীল
    আকাশ ফের, মেঘসবুজ, পাল্লা দেয়, একরোখা
    ঘুড়ির লেজ, মুখপোড়ার, সুতোর ছুট, একমুখী
    এখানে জল বুকসমান, এখানে জল মানানসই

    সেদিন তার ছুটির দিন, সেদিন তার কাজের খেই
    বানান ভুল, কানের দুল, ঐকতান, ঝঙ্কারে
    ফাজিল চোখ, ডুবসাঁতার, খেয়াল তার আনমনা
    সেদিন তার ছুটির দিন, সেদিন তার চোখ ফোটা

    হাঁটে রাখাল, একলা পায়, ধুলোট গায়, ভুল পথে
    চারচাকায়, দিক ভোলায়, ধুলোর ঝড়, আচমকাই
    কাচের ছাপ, জলছবি, পায়ের ছাপ, নক্‌শাটা
    আনুক ঘুম, আলতো সুর, হাসির রেশ, স্বপ্নময়

    এইতো বেশ, রাতকাড়া, এইতো বেশ, রাতের খোঁজ
    আলোছায়ায়, ধন্ধ যায়, মন্দ তোর, হেই কপাল
    সামলে চল, সামলা ঘর, সামলে নিস পালটাকে
    এইতো বেশ, চলার ছল, জলের ঢল, আলগা রেশ।
  • pharida | 122.163.95.94 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১০ ২১:২২429064
  • আমি লিখি নি টিম লেখলো :)

    টিকিট নেই একফালি লোডশেডিং
    শুক্লা রাত সন্ধেভর চাঁদ লুফে
    দিন কাবার তেল গরম ফোড়ণ দিন
    সব কথা সাজ করে চৌখুপে।

    গান শুনি হরিণ পা পৌছে যায়
    জোর ছুটে শেষ ট্রেনও থাকছে না
    ভুল কাগজ দেয় হাঁটা চা দোকান
    জুলফিতে ফাঁক পেয়ে ভোর গজায়।

  • pharida | 122.163.95.94 | ১৬ ডিসেম্বর ২০১০ ২১:২৪429065
  • * লেখালো
  • Tim | 173.163.204.9 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১০ ১১:০৫429066
  • :-)

    ভোর গজায়, কল্পনায়, রাত শেষে
    আজান তোর, থম মেরে, কার্নিশে
    অন্ধকার, জমাট খাম, দিগ্বিদিক
    দিন শুরু, হাঁটার দিন, মন পথিক।

    শিশির পথ, উল্টোরথ, কাগজসাজ
    ঘরকুনোর নিদ্রাসুখ, তাল তমাল
    ডাকছে কেউ, ভরদুপুর, প্রাচীন সুর
    ফাঁকতালে, ভুল চালে, কিস্তিমাৎ।
  • tatin | 70.177.55.6 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১০ ১১:১০429067
  • এগুলো কিন্তু ভালো গান হতে পারতো। মাঝে মাঝে এরকম ইন্টারেস্টিং লিরিক দেখলে গান বানাতে ও গাইতে পারিনা দেখে আফশোষ হয়
  • Samik | 155.136.80.174 | ১৭ ডিসেম্বর ২০১০ ১১:১৯429069
  • ঝট্‌ করে যে গানের কলিটা মাথায় এল, ওপরের কবিতাটা পড়ে ...

    আদ্যিকাল শ্যাওলা হল ঘাটের গায়ে
    ভূতের মত চার্ণকের নৌকো যায়
    নদীর ধারে বসবে বুঝি পাটের কল ...
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন