এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  সিনেমা

  • তৃ-প-বু-ভু-একাদশ

    raaxas
    সিনেমা | ০৫ আগস্ট ২০১০ | ৩৩২২৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 144.160.226.53 | ১১ আগস্ট ২০১০ ০৭:৫১462500
  • কিচ্ছু বারোটা বাজান নি রঞ্জন-দা, খুব ভাল লাগছে উৎপল দত্তের ওপর আপনার লেখাগুলো, কোন টই-তে সেটা ম্যাটার করে না (অবিশ্যি উৎপল দত্তের ওপর সব লেখা আলাদা একটা টই-তে একজায়গায় থাকলে ভালই হত)।
    আজিজুল হক 'কারাগারে আঠারো বছর'-এ উৎপল দত্তের নকশাল পন্থাকে সমর্থন এবং পরে সিপিএমে ফিরে যাওয়া সম্বন্ধে মোটামুটি একই কথা বলেছেন, যা আপনি লিখেছেন। 'কারাগারে আঠারো বছর' শারদীয়া আজকালে প্রথম বেরোয় বোধহয়, ১৯৮৯-তে। তখনও আজকাল সিপিম-এর কাগজ হয় নি, আজিজুলের মুক্তির জন্য অশোক ঘোষ নিয়মিত ভাবে লিখছিলেন আজকালে, জেল থেকে লুকিয়ে আনা আজিজুলের নিজের লেখাও ছাপছিল আজকাল।
  • nyara | 203.110.238.16 | ১১ আগস্ট ২০১০ ০৮:৩৩462501
  • উৎপল দত্তর স্টেজক্রাফট বলতে আমি যা বুঝি তার সঙ্গে তাপস সেন বা সুরেশ দত্তর কাজের খুব সম্পর্ক নেই। উৎপল দত্ত সম্বন্ধে বলা হয়, স্টেজে লোক দাঁড় করানোয় বাংলা নাটকে ওনার থেকে ভাল কোন লোক আসেনি। শুধু যে স্টেজের দ্বিমাত্রিক জায়গাটা অসম্ভব ভাল ব্যবহার করতেন তাই নয় - দ্বি, ত্রি থেকে শুরু করে বহুস্তরের ব্যবহার করে স্টেজকে থ্রি-ডাইমেনশনালি ব্যবহার করতেন অসম্ভব দক্ষতায়। এ কাজে সুরেশ দত্তর কম্পিটেন্সি ছাড়া করা অসম্ভব হত, সে কথা মানলেও উৎপল দত্তর স্টেজক্রাফটের ভাবনা উৎপল দত্তরই।
  • kallol | 124.124.93.205 | ১১ আগস্ট ২০১০ ১১:০৬462502
  • ন্যাড়াকে দুহাত তুলে।
    স্টেজক্রাফট মানে আলো আর সেট নয়। ওদুটো স্টেজক্রাফটের অংশমাত্র। স্টেজক্রাফট মনে স্টেজ কে কিভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে নাটকে। ঐ যে কল্লোলে স্টেজ ঢুকে আসে প্রেক্ষাগৃহে দর্শকদের মধ্যে। বা অন্য আরও নানান নাটকে অজস্র মানুষ একই দৃশ্যে এতো দক্ষতার সাথে পরিচালনা করা, যে কখনো মনে হয় না বানানো কিছু হচ্ছে।
    তাপস সেন বা সুরেশ দত্তের অবদানকে এতোটুকু ছোট না করেও এটা বলাই যায়।
  • de | 203.199.33.2 | ১১ আগস্ট ২০১০ ১৪:১৩462503
  • কি আপসোস! আমি এসবের কিছুই দেখি নাই! তাই পড়তে খুব ভাল লাগছে।
  • PT | 203.110.247.221 | ১১ আগস্ট ২০১০ ১৪:৩১462504
  • "দাঁড়াও পথিকবর"- কারও পছন্দের নাটক নয় বলে মনে হচ্ছে!
  • PT | 203.110.247.221 | ১১ আগস্ট ২০১০ ১৭:১০462505
  • এটি নিরাপত্তা প্রসঙ্গে:

    বিখ্যাত লোকেদের নিরাপত্তা চাইতে হয়না। উটি সরকারকে নিজের থেকেই করতে হয়। লেংটি পরা আদিবাসী মরলে ""কিছু আসে যায় না"" কিন্তু বিখ্যাত লোকরা মরলে সরকারের বেইজ্জতি হয়। ইহা কথিত আছে যে নিরাপত্তার কারণে গান্ধীজীর জন্য একটি রেলের ""তৃতীয়"" শ্রেণীর কামরা বানানো থাকত যেটাতে পুলিশ-গোয়েন্দারা ধুতি-গামছা পরে সাধারণ যাত্রী হিসেবে ভ্রমণ করত। এর লিংক দিতে পারব না কিন্তু এর খানিকটা কাছাকাছি যায় সরোজিনি নাইডুর একটি কথা: “To keep Mahatma Gandhi poor, we have to destroy treasures. His poverty is very costly.”

    কিছু প্রশ্ন করা যেমন মানা আছে -- যেমন ""বুদ্ধবাবু নিপাত যাক"" বলতে প: বঙ্গে উড়ে আসা মেধা পাটকারের বিমান ভাড়া কে বহন করে? স্বামী অগ্নিবেশ উড়ে থাকলেও একই প্রশ্ন প্রযোজ্য।

  • ranjan roy | 122.168.207.175 | ১১ আগস্ট ২০১০ ২২:৩৭462506
  • অ্যাই, যেটা বলতে চাইছিলাম সেটা ন্যাড়া বাবু ও কল্লোল ভাল করে বলেছেন।
    খালিস্তানী স্টেজক্র্যাফট কে ন্যারো অর্থে মঞ্চসজ্জা ধরে আলোচনা করেছেন। আমি ম্যাক্রো অর্থে। অর্থাৎ একজন পরিচালক এই কম্পোজিট ফর্ম টিকে কিভাবে ব্যবহার করছেন।
    পরিচালকই ঠিক করবেন তাঁর কি ধরণের স্পেস চাই ফলে মঞ্চ কেমন হবে। মঞ্চসজ্জার ভদ্রলোক বা সংগীত বা আলোকসম্পাতের ভদ্রলোক ঠিক করেন সেটা কেমন করে হবে।
    মানে কেমন করে তাঁরা পরিচালকের অভীষ্ট এফেক্ট এনে দেবেন।
    সেটা করতে গিয়ে তাঁরা পরিচালককে সাজেশন দিতে পারেন বা তাঁদের প্রতিভা
    এমন ক্রিয়েটিভ কম্বিনেশন দিতে পারে যা হয়তো পরিচালক নিজে ভাবেন নি।
    আর পরিচালকের মূল ব্যাপারটা হল মঞ্চের ওপর অভিনেতাদের কম্পোজিশন, স্পেসের ব্যবহার, ভল্যুম ইত্যাদি। আসলে লাইট বলুন স্টেজ বলুন-- সেগুলো সহায়ক মাত্র। অভিনেতাদের এফেক্টিভ করতে। যেমন ভালো গায়কের তানপুরা, হার্মোনিয়ম বা তবলা সংগতের ভূমিকা।
    সেখানে উৎপল দত্ত স্বরাট। রোমিও-জুলিয়েট এর রাস্তায় মন্টেগু-কাপুলেট দৃশ্য, তিতাস একটি নদীর নাম এ মেলার দৃশ্য গুলি ভাবুন। গোটা চল্লিশেক অভিনেতাকে একসাথে মঞ্চে তোলা আর!!
    আবার আধুনিক টেকনোলজির ব্যবহার নিয়ে গোঁড়ামি ছিল না।
    অজেয় ভিয়েৎনাম নাটকে সিনেমার প্রোজেক্টর দিয়ে পশ্চাৎপটে প্লেন থেকে বোমা ফেলার দৃশ্য মনে করুন।
    আর স্ক্রিপ্ট বাজে হলেও নাট্যঘন মুহূর্ত তৈরি করতে সুপার্ব। দর্শক সেন্টিমেন্ট ভাল বুঝতেন। প্রোডাক্‌শন আঁটোসাঁটো হত। কতবার কোথায় কোথায় হাততালি পড়বে প্রায় গুণে বলতে পারতেন।
    ষাটের দশকে একবার মুরলীধর কলেজের স্মার্ট দেখতে প্রীতিপিসিকে একটি নাটকের অভিনয়ের পর উৎপল জিগ্যেস করেছিলেন-- কেমন লেগেছে?
    --- দূর! আপনি বড় চেঁচান।
    উৎপল হেসে ফেলে " বুড় শালিকের ঘাড়ে রোঁ'' নাটকের কমপ্লিমেন্টারি টিকেট দিলেন।
    -- উঁহু, দুটো চাই, আমার বন্ধু মনীষাও যাবে।
    তাই হল। ভক্তপ্রসাদের ভূমিকায় ওনার অভিনয় দেখে দুই সখী গ্রীনরুমে গিয়ে ধন্যবাদ দিয়ে এল।
    সত্তরের দশকে "দু:স্বপ্নের নগরী'', "" ব্যারিকেড'' ও ""এবার রাজার পালা''র মধ্যে দিয়ে ওনার ক্রমশ:ক্ষীয়মাণ নক্‌শাল শিবির ছেড়ে সিপিএম শিবিরে প্রত্যাবর্তন ঘটল।
    একসময় সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমির পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। ক্রমশ: ভুবন সোমের ভুমিকার জন্যে ভরত পুরস্কার এসব নেয়া শুরু হল। ""অমানুষ'' সিনেমার মাধ্যমে মুম্বাইয়া ফিলিমে এϾট্র হল। আর ইন্দিরা গান্ধীর সামনে লালকেল্লায় "" টোটা'' নাটক করলেন, সিপাহী বিদ্রোহ নিয়ে।
    জিগাইলে বললেন-- ভারতীয় ফৌজের সামনে রাজনীতি পৌঁছে দেয়ার এমন সুবর্ণ সুযোগ ছাড়া যায় না।
    ততদিনে আমরাও বড় মানুষের বড় মাপের ঢপগুলো চিনতে শিখেছি।
  • kc | 89.203.49.18 | ১১ আগস্ট ২০১০ ২২:৫১462507
  • রঞ্জনদা, সুপার্ব। অ্যানেকডোট্‌গুলো নিয়ে কোনও কথা হবেনা। খুব ভাল লাগছে।
    পিটিবাবু, মেধা পাটেকরের এনজিও আছে। তাদের নানারকম ফান্ডিং আছে, এনজিওদের যেমন হয়।
  • PT | 203.110.246.230 | ১১ আগস্ট ২০১০ ২৩:০৪462508
  • একটা উৎকন্ঠা প্রকাশ করি: এই বড় মাপের মানুষেরা যেমন উৎপল দত্ত বা শম্ভু মিত্র- যাদেরকে মহীরূহ বললে কম বলা হয়, আর যাদের তুলনায় আমরা সৃষ্টিশীলতার দিক থেকে ছারপোকারও অধম তাদের সম্পর্কে কত সহজেই না ""ঢপ"" ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছে -- কেমন যেন লাগছে পড়তে। মানে আমি বলতে চাইছি যে আমরা কি তাদের ""ঢপ"" দেওয়ার সমালোচনা করার যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছি?
  • PT | 203.110.246.230 | ১১ আগস্ট ২০১০ ২৩:০৯462511
  • এনজিও-র ফান্ডিং-এ কি কাউকে উড়ানের খরচা দিয়ে নিয়ে এসে মমতার (অ?)রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে ""বুদ্ধবাবু নিপাত যাক"" বলার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে? সে কেমন এনজিও?
  • nyara | 122.172.44.61 | ১১ আগস্ট ২০১০ ২৩:০৯462510
  • কোন বড় মানুষের ঢপকেই ঢপ বলা যাবে না, নাকি শুধু সৃষ্টিশীল মানুষের ক্ষেত্রেই এই নিয়মটা প্রযোজ্য?

    মানে ধরুন, রাজনৈতিক সংগঠক হিসেবে আমি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের তুলনায় 'ছারপোকারও অধম'। তো আমি কি মমতা বন্দোর ঢপের সমালোচনা করার যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছি?
  • PT | 203.110.246.230 | ১১ আগস্ট ২০১০ ২৩:১৮462512
  • মমতা ভোটে নির্বাচিত হন। এবং ভোট নেওয়ার আগে তিনি কিছু দেবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেন বা আশ্বাস দেন -- যেমন কলকাতা লন্ডন হবে ইত্যাদি। কিংবা অন্যের মগজে মরূভুমি আর আমার মগজে ব্রেন আছে বলে রেলের দায়িত্ব নিয়ে তার নিরাপত্তার দেখভাল করতে পারেন না। তখন যিনি মমতাকে ভোট দেন তিনি বলে্‌তই পারেন যে মমতা ""ঢপ"" দিয়েছিলেন।

    উৎপল যদি নিয়মনিষ্ঠ কম্যুনিস্ট-ই হবেন তাহলে তিনি তো আর গণনাট্য ছাড়তেন না।
  • nyara | 122.172.44.61 | ১১ আগস্ট ২০১০ ২৩:২৮462513
  • শম্ভু মিত্র, উৎপল দত্ত, অজিতেশ বন্দোপাধ্যায় - এনারা বোধহয় বাংলা স্টেজের তিন দিকপাল। অন্য দিকপালদের থেকেও মাথা ছাড়িয়ে কয়েক হাত। দু:খের কথা আমি শম্ভু মিত্র বা অজিতেশ বন্দোপাধ্যায়ের মঞ্চ-অভিনয় দেখার সুযোগ পাইনি। উৎপল দত্তকেও দেখেছি জীবনের শেষ দিকে।

    শম্ভু মিত্রর প্রভাব উনি বহুরূপী ছাড়ার (রাদার বহিষ্কৃত হবার) পনেরো-কুড়ি বছর পরেও বহুরূপীর অভিনেতাদের ওপর জ্বলজ্যান্ত ছিল। উচ্চারণ। ডিকশন। বহুরূপীর ট্রেনিং-এ খারাপ উচ্চারণ, অস্পষ্ট ডিকশনের অভিনেতা প্রায় দেখাই যেত না। এমনকি বিট-অ্যাক্টররাও এদিক দিয়ে অন্য যে কোন দলের তুলনায় অনেকটা এগিয়ে থাকতেন। নাটক যে মূলত: বাচিক শিল্প তা' অনেকেই মনে করেন।

    উৎপল দত্ত মনে করতেন না। এমনকি শম্ভু মিত্রর অভিনয় ও নাটক সম্বন্ধে ওনার অভিযোগ ছিল, 'বড় বেশি বাচিক।' তার ফলেও হয়তো পি-এল-টি-র কিছু অভিজ্ঞ ও ভাল অভিনেতারও মুখে হরিবল উচ্চারণ শুনেছি। বিশেষত: র-ড়। কিন্তু পি-এল-টি-র অভিনেতাদের দেখে/শুনে ছোট উৎপল মনে হত না, যেটা বহুরূপীতে অধিকাংশ অভিনেতাকে দেখে মনে হত। সব এক ছাঁচ। কয়েকজন বাদ দিয়ে - যেমন তারাপদ মুখোপাধ্যায়।

    শম্ভু-উৎপল পরবর্তী বাংলা নাটকে বোধহয় অজিতেশের প্রভাব সবথেকে বেশি। আজকের অধিকাংশ ডাকসাইটে অভিনেতার রুটে সম্ভবত কোথাও-না-কোথাও নান্দীকার আছে। মূল নন্দীকার ভেঙে ভেঙে যত ভায়াবল নাটকের দল তৈরী হয়েছে, তা' বোধহয় আর কোন নাটকের দল ভেঙে হয়নি।

    [ থ্রেড হাইজ্যাক পোস্ট ]
  • nyara | 122.172.44.61 | ১১ আগস্ট ২০১০ ২৩:৩০462514
  • সৃষ্টিশীল মানুষরা পয়সা নিয়ে যাদের কিছু সময়ের অখন্ড মনোযোগ দাবী করেন, তারা সেই সৃষ্টি ও সেই সংশ্লিষ্ট বাতেলা ভাল না লাগলে 'ঢপ' বলতেই পারেন।
  • PT | 203.110.246.230 | ১১ আগস্ট ২০১০ ২৩:৪২462515
  • সেই বঙ্কিমচন্দ্রের বহুশ্রুত একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল: এক ভদ্রলোক বঙ্কিমচন্দ্রের সাহিত্যকর্ম নিয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করতে এসেছিলেন। বঙ্কিমচন্দ্র সেই ছারপোকার লেভেল বুঝে নিয়ে বজারের আলু-পটলের দাম নিয়ে গপ্প করে সময় কাটিয়ে দিলেন!!
  • kc | 89.203.49.18 | ১১ আগস্ট ২০১০ ২৩:৪৩462516
  • উৎপল দত্তদের সৃষ্টিশীলতা কে 'ঢপ' কেউ বলেনা, বলে তাঁদের নিজের বড় পরিচয় ভাঙিয়ে সাধারণ লোককে নতুন পথের দীশা দেখানোর চেষ্টাকে, সেইজন্যই ব্র্যাত্য বসুও 'ঢপবাজ'। 'নচিকেতা' ঢপবাজ। ঢপবাজ আরও অনেকেই, দুতরফেই।
  • kc | 89.203.49.18 | ১১ আগস্ট ২০১০ ২৩:৪৪462517
  • *বানাম ভুল।
  • PT | 203.110.246.230 | ১১ আগস্ট ২০১০ ২৩:৪৯462518
  • আমি উৎপলের মৃত্যুর পরে কল্লোল দেখেছি আর তার জীবৎকালে ব্যারিকেড আর দাঁড়াও পথিকবর দেখেছি। কখনও মনে হয়নি যে তিনি কোন দিশা দেখানোর চেষ্টা করেছেন -- তিনি একটি সময় বা কোন ঘটনাকে নিজের মত করে interpret করার চেষ্টা করেছেন। আমার ইচ্ছে না হলে সেটা মানলাম না-- মিটে গেল।
  • nyara | 122.172.44.61 | ১১ আগস্ট ২০১০ ২৩:৫০462519
  • সে ঠিক আছে। ভদ্রলোক আলু-পটল দাম নিয়ে অলোচনা করে বেরিয়ে বঙ্কিমচন্দের সাহিত্যকর্মকে ঢপ বলতেই পারেন। বা বঙ্কিমচন্দ্রের উঁচকপালিপনাকে।
  • nyara | 122.172.44.61 | ১১ আগস্ট ২০১০ ২৩:৫৫462521
  • আমারও উৎপল দত্ত সম্বন্ধে একটা শ্রুত গল্প মনে পড়ে গেল। উৎপল দত্ত নকশাল আমলে জ্বালাময়ী দিয়ে বলেছিলেন, "আজকের যুবকদের সামনে দুটোমাত্র রাস্তা খোলা - হয় নক্সালবাড়ি নয়তো বেশ্যাবাড়ি।'

    মুচলেকার পরে কেউ জিগেস করেছিলেন, "তো উনি কোন রাস্তায় গেলেন?' জবাব এসেছিল, 'উনি সৃষ্টিশীল মানুষ তো ...'।

    All men are equal. Some are more equal than others.
  • PT | 203.110.246.230 | ১১ আগস্ট ২০১০ ২৩:৫৭462522
  • যেমন দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রবীন্দ্রনাথের চিত্রাঙ্গদাকে অশ্লীল বলেছিলেন ....
  • PT | 203.110.246.230 | ১১ আগস্ট ২০১০ ২৩:৫৮462523
  • এই টইটা কি এখন উৎপল দত্তকে টেনে নামনোর টইতে পরিবর্তিত হয়েছে?
  • nyara | 122.172.44.61 | ১২ আগস্ট ২০১০ ০০:১০462524
  • না, উৎপল দত্তর রাজনীতিকে অহেতুক মহান প্রমাণ করার চাপান-উতোরের টই।
  • kc | 89.203.49.18 | ১২ আগস্ট ২০১০ ০০:১৮462525
  • বঙ্কিমচন্দ্রের নাকউঁচুভাব নিয়ে আম্মো একটা গপ্পো বলি,
    গানের আসরে শুনতে এসেছেন বঙ্কিমবাবু, জলসার মধ্যমণি তিনিই, গান হবে যদু ভট্টের, তো যদুভট্ট ছিলেন খুব খুঁতখুঁতে, তানপুরার সুর কিছুতেই মনমত হচ্ছেনা, মন্‌কা নিয়ে কসরত করেই চলেছেন।
    বঙ্কিমচন্দ্র বলে উঠলেন '' ঐ লাউকুমড়ো বাঁধা কখন শেষ হবে?""
    শুনেই যদুর মেজাজ উঠে গেল সপ্তমে, দাঁড়িয়ে উঠে তানপুরাটাকে আছাড় মেরে ভেঙ্গে বললেন ''এই গোয়ালাদের আসরে আমি গান গাইনা "" বলে নেমে গেলেন। উপস্থিত লোকেরা নাকি অনেক কষ্টে যদুভট্টকে রাজি করাতে পেরেছিলন গান গাইতে।
  • | 59.93.243.127 | ১২ আগস্ট ২০১০ ০১:১৬462526
  • ১) এ আলোচনা নাটকের টইয়েই হতে হবে, এরকম শর্ত আরোপ করলে সব টইয়ের খেলাই ভণ্ডুল। এ শুরু হয়েছিল, উৎপলের ঘরে ফেরা প্রসঙ্গে আর জোর গলায় 'উনি নকশাল ছিলেন না' বা 'হলেন কবে' ধরণের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে। এ চলেছে উৎপলের নাটক দেখা রঞ্জনের আবেগভাসিত লেখায় বেশ কিছু 'না জানা' বা 'না দেখা' ঘটনাকে প্রত্যক্ষ করার দারুণ সুযোগকে হাতছাড়া হতে না দেবার সার্বিক প্রয়াসে। সেই অভিজ্ঞতার ক্রমপর্যায়ে স্বাভাবিকভাবে উৎপল নামে,তাঁকে টেনে নামানোর দরকার হয় না।

    ব্যক্তিগত মতামত -
    ২)'অজেয় ভিয়েৎনাম' খুবই খাজা আর সস্তা চমক লেগেছিলো। আড়ালে শোভা সেনকে অনেকে শোভাদা বলতো। ও নাটকে শোভা সেন মাদাম বিনের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন এবং বেশ খাজা অভিনয়ই করেছিলেন। সেই ষাটের দশক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে সারা পৃথিবীতে সর্ব অর্থেই অন্য মাত্রার ছিলো। সেই ভাবপ্রবণতাকে ধরতে উৎপল অনেক নাটক নামিয়েছিলেন, যার বেশীর ভাগই পোস্টারধর্মী, নাটকের মূল জায়গা যাতে উপেক্ষিত। অভিনয়ও সেই কার্ভালো সুলভ যাত্রাধর্মী, চড়া দাগের। লোকে খেয়েছে কিছুটা কি সেই যুগের জন্য নয়? উৎপলের চড়া দাগের, যাত্রাধর্মী পরিচালনার রেশ তাঁর পরিচালিত সিনেমাতেও কি পাই নি? 'ঘুম ভাঙ্গার গান'(যাতে কল্লোলের বাজারের রেশ ধরে রাখতে শার্দুল সিং-এর ভূমিকায় অভিনয় করা শেখর চ্যাটার্জীকে নায়ক করা হয়েছিলো এবং পুরোনো রীতি মেনে সেখানেও তাকে শহীদ করা হোলো) আর পরবর্তী কালে 'ঝড়'... কিছু বলার অপেক্ষা রাখে না।
    ৩) ন্যাড়াবাবুর বহু বিদগ্‌ধ মতামতকে শ্রদ্ধা জানিয়েই বলছি এই একটি জায়গায় একটু কিন্তু কিন্তু ঠেকলো। শম্ভু মিত্রর পাশে উৎপলের নাম এবং হ্যাঁ অজিতেশের পাশেও উৎপলের নাম। নাট্যাভিনয়ে ঐ দুজন অন্য স্তরের মানুষ ছিলেন, এবং তাঁদের নাটক ও তার কুশীলবও যে কোন দিন যে কোন ভাবেই অনেক উঁচু স্তরের সমৃদ্ধিসম্পন্ন ছিলো। অজিতেশের সিনেমার অভিনয়ও খুব কম দেখেছি আমরা, কিন্তু ওই তাতেই অতিথি বা হাটে বাজারে, ইত্যাদির অভিনয়কে কখনই ফরিয়াদ, অমানুষ, দো আনজানে, গোলমাল-এর লাউড অভিনয়ের পর্যায়ে নামানো যাবে না।
    অজিতেশের পরিচালনায় 'নাট্যকারের সন্ধানে ছটি চরিত্র', 'তিন পয়সার পালা', 'মঞ্জরী আমের মঞ্জরী' যে কোন অর্থেই পি এল টি-র যে কোন নাটককে পিছনে ফেলতে পারতো। শুধুমাত্র নাট্যগুনেই।
    আর শম্ভু মিত্র... ওঁর 'চাঁদ বণিকের পালা' তো সিডিতে পাওয়া যায়। না দেখা গেলেও।
    এবং রাজ কাপুরের 'একদিন রাত্রে' যা পরে হিন্দিতে 'জাগতে রহো' হিসেবে প্রকাশ পায় তার পরিচালক ছিলেন শম্বু মিত্র এবং অমিত মৈত্র। শেষ দৃশ্যে অহেতুক নার্গিসকে ইয়ে পরিয়ে এনে 'জাগো, মোহন প্রীতম' গাওয়াতে বাধ্য হওয়া বাদ দিয়ে শুধু ছবি বিশ্বাস বা পাহাড়ী সান্যাল, রানীবালার অভিনয়.., সলিলের সুর, মান্নার গান(এই দুনিয়ায় ভাই সবই হয়, সব সত্যি) কোনটা ছেড়ে কোনটা ধরি।
    হ্যাঁ, শম্ভু মিত্রর(পরিচালানা কিনা মনে নেই) 'অ্যাড্‌ভেঞ্চার্স্‌ অফ টম সয়্যার' অবলম্বনে তৈরী 'পান্না' চূড়ান্ত ব্যর্থ।

    ৪) সুরেশ দত্তর নাম কোন 'ন্যারো' বা 'ব্রড' কোন অর্থেই নয়। ওই কল্লোল, ইত্যাদি বাদ দিলেও সুরেশ দত্তর ক্যাল্‌কাটা পাপেট থিয়েটারের অবদান ভোলা কি যায়। ওনামটা উচ্চারিত হয় নি বলেই কথাটা বলা।

    'পথের পাঁচালী' নিয়ে কথা চলবে, শুধু সত্যজিৎ, সত্যজিৎ করবো..., কানু, করুণা, উমা, সুবীর বলবো হয়তো, কিন্তু সুব্রত মিত্রর নামোচ্চারণ করবো না, সেটা কিরকম ঠ্যাকে, অন্তত: আমার কাছে।
  • PT | 203.110.246.230 | ১২ আগস্ট ২০১০ ০৭:১৯462527
  • সত্যজিৎ রায়ের অভিনেতা বাছাইয়ে লিচ্চয় গোলমাল ছিল - নইলে উৎপল দত্তর মত ""লাউড"" অভিনেতাকে দিয়ে অভিনয় করান তার সিনেমাতে? কেউ যদি বাংলা সাহেব সিনেমাটি দেখে থাকেন তাহলে সেই ছবিতে ""লাউড"" উৎপল দত্তকে আতস কাঁচ দিয়ে খুঁজতে হবে।
  • kallol | 115.184.83.254 | ১২ আগস্ট ২০১০ ০৮:০৩462528
  • উৎপল দত্ত, অজিতেশ, শম্ভূ মিত্র তিজনেই অসাধারন অভিনেতা ছিলেন - এ নিয়ে কথা হবে না। তিন জনের অভিনয়ধারা একেবারে আলাদা - এটা বলার জন্য নাট্যবিশেষজ্ঞ হতে হয় না।
    শম্ভূ মিত্র ছাড়া আর দুজনেই প্রচুর সিনেমায় অভিনয় করেছেন। উৎপল দত্ত আর অজিতেশ বেশীরভাগ সিনেমাতেই একই ধরনের চরিত্রে একই ধরনের অভিনয় করেছেন। উৎপল - রাগী বয়ষ্ক মানুষ যিনি শেষ পর্যন্ত ভালো,ঘিনঘিনে খলনায়ক বা চড়া দাগের কৌতুকভিনেতা। ভালো পরিচালকএর হাতে অসাধারণ অভিনয় - আগন্তুক, ভুবন সোম, গুড্ডি, শ্রীমান পৃত্থিরাজ, কোরাস, হীরক রাজার দেশে, পাড়.......
    অজিতেশ - সেই হা-হা-হা-হা হাসি আর চোখ গোল গোল করে চিবিয়ে সংলাপ বলা। কিন্তু সাগিনা মাহাতোয় অসাধারণ।
    শম্ভূ মিত্রের সিনেমা অভিনয় আমি দেখিনি। নাটকে অভিনয় বেশ যাকে বলে স্টাইলাইজড। কিন্তু তাতেই মন্ত্রমুগ্‌ধ করে দিতেন।
    রাজনীতি - শম্ভু মিত্র চিরকাল কংগ্রেস, অজিতেশ ধরা ছোঁয়ার মধ্যে থাকতেন না। নাটক দেখলে বামপন্থীই মনে হয়। উৎপল দত্ত - সুবিধাবাদী মার্ক্সিস্ট। সময় মতো নকশাল, সময় মতো সিপিএম, সময় মতো মুচলেকা দিয়ে জেল থেকে ছাড়া পাওয়া। সময় মতো রাষ্ট্রীয় পুরষ্কার প্রত্যাখ্যান, সময় মতো রাষ্ট্রীয় পুরষ্কার গ্রহন, সময় মতো ইন্দিরার নিমন্ত্রন উপেক্ষা, সময় মতো সেই ইন্দিরাকেই নাটক দেখানো।
  • PT | 203.110.246.230 | ১২ আগস্ট ২০১০ ০৮:২৩462529
  • উৎপল সিনেমার পরিচালক হিসেবে সম্পুর্ণ ব্যর্থ ছিলেন। শম্ভু মিত্র সিনেমার অভিনয়ে সম্পুর্ণ ব্যর্থ। তিনি কখনই তাঁর অসাধারণ এবং অনবদ্য মঞ্চাভিনয়ের স্টাইল থেকে বেরোতে পারেননি। তাঁর ""মাণিক"" ছবিটি আমি দেখেছি -- এবং তাতে মনে হয়েছে যে তিনি তার সিনেমার সহ-অভিনেতাদের সঙ্গে সম্পুর্ণ "মিসফিট""। অজিতেশও প্রায় সেই পর্যায়ে পড়েন -- তবে দুর্ভাগ্য আমাদের যে তিনি বড্ড তাড়াতাড়ি চলে গেলেন। একমাত্র ঊৎপলই নিজেকে পরিচালকের প্রয়োজন অনুসারে বদলে ফেলতে পারতেন। যেকারণে অমানুষ থেকে আগন্তুক সর্বত্র তাঁর স্বচ্ছন্দ যাতায়াত ছিল।
  • nyara | 203.110.238.16 | ১২ আগস্ট ২০১০ ০৯:১৯462530
  • অজিতেশ ছবির অভিনয়ে যথেষ্ট ভাল ছিলেন। তবে অজিতেশ এবং উৎপল দুজনকেই কমর্শিয়াল সিনেমা টাইপ করে ফেলেছিলেন। উৎপলও কমার্শিয়াল সিনেমার জন্যে নিজের ম্যানারিজম তৈরি করে অভিনয়ের কম্ফর্ট জোনে খেললেন।

    তা সত্বেও বলব উৎপল দত্ত অভিনেতা হিসেবে অসামান্য। 'আগন্তুক' ছবির বিবেকের ভূমিকায় অভিনয় ছেড়ে দিলেও জন-অরণ্য, জয়-বাব-ফেলুনাথ আর হীরক-রাজার-দেশেতে একদম তিনরকম অভিনয় করে নিজের অভিনয়ের রেঞ্জ দেখিয়ে দিয়েছেন। এ তো গেল শুধু সত্যজিৎ। ভুবন সোমের আমলা থেকে গোলমালের বাবা - উৎপল ছবির অভিনয়ে লা জবাব। অন্তত: যেখানে মনের আনন্দে কাজ করেছেন। উৎপল তো যাত্রাদলও তৈরী করেছিলেন। সেখানে নিশ্চয়ই অভিনয়কে উঁচু তারেই বাঁধতে হত।

    উৎপল দত্তর আরেকটা জায়গা নাট্য প্রযোজক/সংগঠক হিসেবে। শম্ভু মিত্র, অজিতেশ এনারা দুজনেই অবশ্য সে জায়গাতে একই রকম দড়।

    উৎপল দত্ত যেখানে শম্ভু মিত্র বা অজিতেশকে ছাড়িয়ে গেছেন, তা হল নাট্যকার হিসেবে। অজিতেশ কিছু বিদেশী নাটকের অসামান্য বঙ্গীকরণ করেছিলেন (এবং অনেকে সেই কারণে অজিতেশের দিকে আঙুল তোলেন যে, এই লোকটার জন্যে বাংলায় মৌলিক নাটক চাহিদা কমে গিয়ে কোয়ালিটি পড়ে গেল), কিন্তু মৌলিক নাট্যকার হিসেবে উৎপল দত্ত অনেক এগিয়ে। এবং প্রলিফিক। আর এই কারণে নাট্য প্রযোজক হিসেবে উৎপল এক্সট্রা সুবিধে পেয়ে গেলেন। দলের লোক অনুযায়ী নাটক লিখতে পারতেন বলে।

    উৎপল দত্তর রাজনীতি বা সময়বিশেষে সুবিধাবাদ ইত্যাদিকে যতই খাটো চোখে দেখা হোক না কেন, নাট্য ব্যক্তিত্ব ও অভিনেতা হিসেবে উৎপল দত্তকে আমি একদম ওপরের সারিতে রাখব।
  • PT | 203.110.247.221 | ১২ আগস্ট ২০১০ ১০:৩০462532
  • এটি একটি সংযোজন -- রাখা থাক এখানে।

    নকশালপন্থী নেতৃত্বের নির্দেশে উৎপল দত্ত গুরু ছবি করার অজুহাতে বোম্বেতে গিয়েছিলে নাকি একটি "আর্মস ডিল" করতে। সেখানে পুলিশের ফাঁদে পা দেন ও গ্রেপ্তার হন। (টুওয়ারড্‌স আ রেভোলুশানরি থিয়েটার)। কোন নকশালপন্থী নেতা নাকি উৎপলের নিজের লেখা এই বক্তব্যের কোন বিরোধীতা করেননি।

    আর একটি প্রশ্ন:
    উৎপলের লেখা মুচলেখাটিতে কি লেখা ছিল তা কি কেউ জানেন? কোথাও কি সেই মুচলেখার প্রতিলিপি ছাপা হয়েছিল? কেননা এই মুচলেখা বৃত্তান্তের পরেই তিনি ""মানুষের অধিকারে"" নাটকটি লেখেন তাতে যতদূর মনে পড়ছে, সশস্ত্র বিপ্লব বিশেষত: ""রাইফেলের নলই ক্ষমতার উৎস"" -জাতীয় তত্বের পক্ষেই উৎপল সওয়াল করেছেন। তাহলে জেল থেকে ছাড়া পেলে তিনি কি কি বলবেন না/করবেন না বলে মুচলেখা দিয়েছিলেন?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন