এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  সিনেমা

  • তৃ-প-বু-ভু-একাদশ

    raaxas
    সিনেমা | ০৫ আগস্ট ২০১০ | ৩২৯৯৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kc | 89.203.49.18 | ১৩ আগস্ট ২০১০ ১৯:৪২462600
  • :)))
  • Sags | 114.143.7.146 | ১৩ আগস্ট ২০১০ ১৯:৫৩462601
  • কিম্বা একটা ফেরেশ লিস্টি তৈরী হবে: কে কে নকু, কে কে মাকু, কে কে তিনো, কে কে নকু থেকে মাকু, কে কে নকু থেকে তিনো, কে কে নকু গন্ধের তিনো, বা নকু গন্ধের মাকু।
  • nyara | 122.172.165.252 | ১৩ আগস্ট ২০১০ ২০:২১462602
  • মুচলেকা:

    "৩ জানুয়ারি ১৯৬৮ ইসমাইল মার্চেন্ট কলকাতায় এসে বহু কষ্টে উৎপলকে ছাড়িয়ে আনলেন। এর জন্যে উৎপলকে শুধু লিখে দিতে হল, এই শুটিং চলাকালীন উৎপল আর কলকাতায় আসতে পারবে না, কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়াবে না।"

    "... থিয়েটারে গিয়ে দেখি, সেখানেও সকলের অন্য মূর্তি। উৎপলকে না পেয়ে সকলেই গালাগাল আর ধিক্কার আমার উপরেই বর্ষণ করছে। ... পাশে কেউ নেই। সকলের থেকে আলাদা হয়ে গেছি।"

    "... আমি থিয়েটার থেকে ছুটি চাইলাম। সহকারী পরিচালক ইন্দ্রজিৎ সেন আমাকে ছুটি দিল না, দুর্ব্যবহার করল।"

    "... সবচেয়ে নির্দয় আঘাত করল সত্য বন্দোপাধ্যায়। সে আমাকে শাস্তি দিল, আমি অভিনয় করতে পারব না। আমকে গ্রুপ থেকে সাসপেন্ড করা হল। এত বড় অপমান এর আগে আমাকে কেউ করতে সাহস পায়নি।"

    গ্রেপ্তার:

    "এই নাটকের (কল্লোল) প্রতিক্রিয়া এতই প্রবল ও সুদূরপ্রসারী হল যে দিল্লির গদি পর্যন্ত নড়ে উঠল। ষড়যন্ত্রের খসড়া তৈরি হতে লাগল। পুজোর আগে মহালায়ার দিন ওরা হঠাৎ উৎপল দত্তকে গ্রেপ্তার করল। আগে তার আঁচ পেয়েছিলাম। উৎপলের একটি প্রবন্ধ নাকি প্রতিক্রিয়াশীল কংগ্রেস সরকারকে বড়ই বিপদে ফেলেছে। প্রবন্ধটির নাম 'সংগ্রামের আরেক দিক'। 'দেশহিতৈষী' পত্রিকার ঐ সংখ্যাটি সরকার বাজেয়াপ্ত করেছে। পাকিস্তানের সঙ্গে তখন ভারতের যুদ্ধ চলেছে। যেদিন যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হল তার পরের দিনই সকালে কালো অ্যামব্যাসেডার করে পুলিশ এসে হাজির। উৎপলকে ধরে নিয়ে গেল।'

    - শোভা সেন
  • nyara | 122.172.165.252 | ১৩ আগস্ট ২০১০ ২০:৫৫462603
  • এখানে বলে রাখা ভাল, উৎপল দত্তর মুচলেকা ইত্যাদি নিয়ে আমার বক্তব্য বিশেষ নেই। যেটুকু আছে তা হল একজন শিল্পী আর একজন রাজনৈতিক কর্মীর লক্ষ্য ও কমিটমেন্টের যে কনফ্লিক্ট - তার ভারসাম্য তিনি সবসময়ে রক্ষা করে চলতে পারেননি।

    তবে আমি ওপরের উদ্ধৃতি দিলাম এই কারণে, যে প্রগতির রেসিডেন্ট ঠিকাদাররা ধীরে ধীরে মুচলেকাকে অস্বীকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন ব্যাপারটা।
  • SC | 128.2.53.210 | ১৩ আগস্ট ২০১০ ২১:৫৩462604
  • আলোচনাটা থেকে অনেক জিনিসই জানতে পারছি। শুধু একটা প্যারালেল টানার লোভ সামলাতে পারলাম না।
    উৎপল কি তবে বাংলার এলিয়া কাজান?
    কাজানের মতৈ উৎপল বাবুও কি ওন দ্য ওয়াটারফ্রন্ট জাতীয় সিনেমাটিক ডিফেন্স দিয়েছেন?
  • ranjan roy | 122.168.201.218 | ১৪ আগস্ট ২০১০ ০৬:৪৪462605
  • SB এবং ন্যাড়া ও পিটি এবং বিবি!
    আমি ওই সময়ের ফসল।
    প্রথম কথা, শোভা সেনের লেখা থেকে দেখা যাচ্ছে-- এক, মুচলেকা নিয়ে হল্লা হওয়াটা ঠিক।
    দুই, আমি একটু আগে যেটা লিখেছি যে আমরা শুনেছিলাম এই ব্যাপারে বড় রোল ছিল শোভা সেনের।
    তাই থিয়েটারের বিশ্বস্ত সহকর্মীরা তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিলেন। সেটা শোভা সেনের লেখা থেকেই দেখা যাচ্ছে।
    তিন, উৎপল দত্তের মুচলেকা নিয়ে হল্লা আজকে হচ্ছে না, পিটিবাবু! হয়েছিল তখন পিটিবাবু। সোল্লাসে চিৎকার করেছিলেন সিপিএম বন্ধুরা, নক্‌শালরা নয়। নক্‌শালরা চিটেড্‌ ফিল করছিল।
    সিপিএম বন্ধুরা টুএন্টিয়েথ সেন্‌চুরি ফক্স মানেই সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার সাংস্কৃতিক
    মঞ্চ, আর স্পষ্টত: নক্‌শাল বুদ্ধিজীবি উৎপল দত্ত আমেরিকার দালাল বলে হাতে নাতে প্রমাণ করেছিলেন। ( যেমন আজকাল পিটি পকাবু বা প্রাক্তন নকশালরা আসলে কাদের দালাল তা কথায় কথায় সবাইকে প্রমান দেন)।
    ""তীর ছুঁড়বে, সে বেশ কথা কোথায় তোমার তীরন্দাজ? তোমার নেতা উৎপল দত্ত আমেরিকার গোলন্দাজ''।
    বাড়িতে আমার ছোটপিসি , কাকা সি পিএম এর পার্টি মেম্বার বলেছিলেন-- ওই ভন্ড লোকটার নাটক দেখার কোন দরকার নেই।
    চার,
    ফলে ধীরে ধীরে উৎপল সিপিএম শিবিরে আশ্রয় নিলে কোন নকুর কিছু জ্বলে নি। কারণ তখন উৎপল নকুদের বার্ডেন, অ্যাসেট নন।(এখন অশোক মিত্রের নাম নিলে পিটি যেমন চিড়বিড়িয়ে ওঠেন:)), বা সোমনাথের নাম নিলে সিপিএম এর যে প্রতিক্রিয়া অনেকটা সেই রকম।
    তখন বুদ্ধিজীবি বলতে নক্‌শালদের পুরোধা হয়ে দাঁড়ালেন কবি সমর সেন, ফ্রন্টিয়ার পত্রিকার মাধ্যমে।
    পাঁচ, এটাও দেখা যাচ্ছে (সত্য বন্দোপাধ্যায়ের জবানীতে) যে উৎপল সত্যিই গণনাট্য সংঘের প্যারালাল ""সংযুক্ত গণশিল্পী সংস্থা'' বলে ফোরাম গড়ে তুলেছিলেন, যেটা আমি এ ব্যাপারে আমার প্রথম পোস্ট থেকে বারবার বলে যাচ্ছি।
    ছয়,
    এটাও আমার বক্তব্যের সমর্থনে বেরিয়ে এল যে উৎপল নাটকের জন্যে গ্রেফতার হন নি, হয়েছিলেন ভারত রক্ষা আইনে, দেশহিতৈষী'র শারদীয়া সংখ্যায় ""সংগ্রামের একটি দিক'' বলে রাজনৈতিক প্রবন্ধ লিখে। আমি একটি পোস্টে প্রবন্ধটির নাম ও পত্রিকার নাম --দুটোরই উল্লেখ করেছি।
    সাত, আজও আমার কাছে ছায়ানট, রাতের অতিথি, দ্বীপ, ঘুম নেই, নীলকন্ঠ, মধুচক্র এসব নাটকের লেখক উৎপল বা অঙ্গার,কল্লোল, মানুষের অধিকারে, টিনের তলোয়ার, যুদ্ধং দেহি নাটকের পরিচালক উৎপল এক প্রডিজিয়াস ব্যক্তিত্ব, আজও আমি তাঁর মুগ্‌ধ ফ্যান। শম্ভুমিত্র বা অজিতেসে্‌জর বা বাদল সরকারের নই। যদিও আমি তাঁদের গুণগ্রাহী।
    কিন্তু ভালবাসা? মেরে তো গিরিধারী গোপাল দুসরোঁ না কোঈ।
    তবে রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে? আজকে সময়ের দুরত্বে দাঁড়িয়ে আমি শুধু ব্যক্তি মানুষের সীমাবদ্ধতায় বিষণ্ন হই। আমি নিজে কী?
    মায়াকোভস্কির একটা লাইন মনে পড়ে।
    I jump, jump, but cannot jump out of my existence!''
    আট, এখানে সবকিছু বলা সম্ভব নয়, উচিৎ ও নয়। উৎপল সেই পিরিয়ডে নিজেকে সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী বলেই পরিচয় দিতেন। আবার বলছি স্বদেশ মিত্রদের সঙ্গে " সূর্য সেন'' নামে সিপিএম এর ভেতর গোপনে গড়ে ওঠা প্রো-নকশাল উপদলের সদস্য ছিলেন। সেই পরিচয়েই নাকতলায় চ্যাংড়াদের সঙ্গে আলোচনায় এসেছিলেন।
    সত্যি আমার জ্বলে গিয়েছিল যখন ওনাদের ফেরার সময় স্বদেশবাবু বেকার ছোঁড়াদের থেকে ট্যাক্সিভাড়া দু'টাকা চাইলেন। ট্যাক্সিভাড়া? নাকতলা থেকে মুর অ্যাভিনিউ যেতে। কারণ, উৎপলের পেছনে গোয়েন্দা লেগে আছে, ওদের ধোঁকা দিতে ট্যাক্সিতে যাওয়া দরকার!
    হাসবেন না, বন্ধুরা। ১৯৬৮তে ২টকার দাম অনেক। আমি তখন একটা বাড়িতে দুটো ছাত্র পড়াতাম ৫০ টাকায়। ডিমের দাম ছিল ১২ প[অয়সা। ট্রামের ভাড়া ছিলো দশ পয়সা। শেয়াল্‌দা থেকে ঢাকুরিয়ায় লোক্যাল ট্রেনের টিকিট ১০ পয়সা। পানামা সিগ্রেট ৫ পয়সা, আর ঐ দামে দুটো চারমিনার।
    খালি আপনাদেরই দেয়া দস্তাবেজের ভিত্তিতে বলুন আমি কোথায় এসেনি্‌শয়ালি অনৃত ভাষণ করেছি। আর ইটিবাবু এই ব্যাপারে কিস্যু জানেন না বলে কি ভুল করেছি? এটা আদৌ নকু-মাকু খেউড় নয়, একটা ঐতিহাসিক সময়কে ধরার চেষ্টা।
  • PT | 203.110.246.230 | ১৪ আগস্ট ২০১০ ১৪:৫৭462607
  • RR
    ""ইটিবাবু"" আসলে পিটি বাবু ধরে নিয়ে এই পোস্টিংটা লিখছি।

    কোন সময়ের ঘটনা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গেলে যদি সেই সময়েই শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে হয় তাহলে ইতিহাস, আর্কিওলজি ইত্যাদি বিষয় গুলোর সৃষ্টি হত না।

    মুচলেকা সংক্রান্ত বিভিন্ন পোস্টিং থেকে যেটা বেরিয়ে এল সেটাকে ধোঁয়াশা আখ্যা দেওয়া যায়। সত্য ব্যানার্জীও কি নকশাল সমর্থক হয়ে গিয়েছিলেন নইলে তিনি শোভা সেনকে সাসপেন্ড করলেন কেন যখন তিনি নিজেই সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে মুচলেকার কোন প্রমাণ নেই?

    আর যদি ধরেই নিই যে মুচলেকাতে লেখা হল যে -- ""কলকাতাতে আসতে পারবে না, কিংবা রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়াবে না"" -- তাহলে কি সেই আদর্শচ্যুতি হল যা আজো ""গোলমেলে রাজনীতি"" বলে আখ্যা পাচ্ছে? রাজনীতি করার ঝোঁকে যাদের সঙ্গে ভিড়েছিলেন সেই তাঁরাই তো এখন স্বীকার করছেন যে নকশাল রাজনীতিটাই গোলমেলে ছিল!! তার সঙ্গে যুক্ত থাকলে ব্যক্তি মানুষের অবস্থান টাও তো গোলমেলে হতে বাধ্য।

    সে হিসেবে এক এক দিগ্গজ রাজনীতিবিদ আর বুদ্ধিজীবির ""চ্যুতি""-র তালিকা বানাতে গেলে তো লোম বাছতে কম্বল উধাও হয়ে যাবে।

    বহু আগে পুর্ণেন্দু পত্রী সত্যজিৎকে বিশ্বাসঘাতক (বা ঐ জাতীয় কিছু) আখ্যা দিয়েছিলেন কং-সরকারের টাকা নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরি করার জন্য। সত্যজিৎ নিজের ছেলের প্রথম সিনেমা ফটিকচাঁদ প্রমোট করার জন্য, নিজের আদ্যন্ত বড়দের ছবি পিকু-র সঙ্গে একই শোতে রিলিস করিয়েছিলেন জোর করে। সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিল সেই সময়। ঋত্বিক সুস্থ সংস্কৃতির ধারক হয়ে চরমতম অসুস্থ ব্যক্তি জীবন আর কনফিউস্‌ড রাজনীতির চাপে ক্যামেরার মুখে মদ ঢেলে দিয়েছেন। অনেকেই বলেন যে মূল রাজনৈতিক স্রোতের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতা ঋত্বিকের সর্বনাশের অন্যতম কারণ। এমনকি বালবিবাহ বিরোধী রবীন্দ্রনাথও তাঁর অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের বিবাহ দিয়েছিলেন।

    এবার কি তাহলে মহাশ্বেতা দেবীকে বিশ্বাসঘাতক বলার সময় এসেছে?- কেননা তিনি লালগড়ের সম্প্রতিক মিটিং-এ জরুরী অবস্থার অন্যতম ঘৃণ্য চরিত্র সুব্রত মুখার্জীর সঙ্গে একই মঞ্চে বসে সুব্রত তথা তৃণমূলের সঙ্গে প্রায় একই সুরে একই বক্তব্য রেখেছেন?

    কোন সময়ে উপস্থিত থাকলেই সেই সময়টাকে যদি বোঝা যেত তাহলে চারু মজুমদারের মত তীক্ষ্মধী ব্যক্তি বাম আন্দোলনের এহেন সর্বনাশ করতেন না। সেইজন্য পিটি যেমন "কিস্যু জানেন না"" আপনি বা আপনার মত অনেকেই সেই ঐতিহাসিক সময়কেও ""কিস্যু বুঝেছেন"" বলে মনে হচ্ছে না।
  • Souva | 122.177.180.15 | ১৪ আগস্ট ২০১০ ১৫:৫২462608
  • ওপরের পোস্ট থেকে জানা গ্যালো যে "সংস্কৃতি' দু-রকমের-- "সুস্থ সংস্কৃতি' আর "অসুস্থ সংস্কৃতি'। এগুলোর সংজ্ঞা জানতে পারলে কৃতার্থ হই। আর ঋত্বিকের সর্বনাশ বলতেই বা কী বোঝানো হচ্ছে, সেটাও জানা দরকার। "যুক্তি-তক্কো আর গপ্পো'-র মত ছবি যা শুধু একটি ব্যক্তিজীবনই নয়, একটা গোটা সময়ের কনফিউশন, দ্বিচারিতা ও স্ববিরোধকে ধারণ করে আছে, PT-বাবু কি সেটাকেই ঋত্বিকের সর্বনাশ বলে অভিহিত করলেন?
  • Souva | 122.177.180.15 | ১৪ আগস্ট ২০১০ ১৫:৫৪462610
  • আর নামহীন জনৈকেরও তো দেখছি পাত্তা নেই! শঙ্কু নিয়ে গুটি-কয়েক ফান্ডা কিলিয়ার করতে চাই! :-(
  • bb | 117.195.175.184 | ১৪ আগস্ট ২০১০ ১৮:১২462611
  • ন্যাড়া যদি আপনার সুত্রটা জানান , শোভা সেন কোথায় একথা লিখেছেন ,তাহলে এই মুচলেকার ব্যাপারটার অন্তত: ফয়সলা হয়।
    যদিও আমি আমার বক্তব্য অনড় যে পরিস্থিতি না বুঝে কারুর সমালোচনা অনুচিত।

  • nyara | 122.167.255.31 | ১৪ আগস্ট ২০১০ ১৯:১২462612
  • তা'লে আর জেনে কী করবেন? বিশ্বাসেই মিলায় বস্তু। এবং বস্তুমূলক দ্বন্দ্ববাদ। বিশ্বাস করুন মুচলেকা 'ভাট'। বিশ্বাস রাখুন যে মুচলেকার অস্তিত্ব নিয়ে যা লেখা হয়েছে সব ঢপ। এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিশ্বাসে ভরসা রাখুন।
  • nyara | 122.167.255.31 | ১৪ আগস্ট ২০১০ ১৯:২৪462613
  • পিটিবাবুর যুদ্ধের স্ট্র্যাটেজিটি বেশ। অ্যালগোটি এরকম -

    ১। প্রেক্ষিত বদলান। এলেবেলে কথা বলে আলোচনা ঘেঁটে দিন।
    ২। যদি ১ -এ কাজ না হয়, ঘটনা অস্বীকার করুন। 'মুচলেকার কোন প্রমাণ নেই। কেউ দেখেনি।'
    ৩। ২-এ যদি কাজ না হয়, বলুন এ চ্যুতি চ্যুতিই নয়। সব্বাই করে। রবীন্দ্রনাথ থেকে প্রাণকেষ্ট পাড়ুই-এর উদাহরণ দিন। উদাহরণ খাপ-খাপ না হলেও ক্ষতি নেই। ১-নম্বর নিয়ম খেটে যাবে।
  • ranjan roy | 122.168.105.202 | ১৪ আগস্ট ২০১০ ১৯:৩৫462614
  • পিটিবাবু,
    আমি মেনে নিলাম-- ওই সময়টাতে থেকেও আমি কিস্যু বুঝিনি, আপনি বুঝেছেন। হতেই পারে।
    কিন্তু আমার আগের পোস্টটা আবার পড়ুন।
    আমি কোথাও বলিনি আপনি ""বোঝেন'' নাই, আমি ""বুঝিয়াছি''।,

    আমি বলেছি আপনি ওই সময়টার কিস্যু ""জানেন'' না(অর্থাৎ ফ্যাক্ট জানেন না)।
    আমি ওই সময়টাতে ছিলাম বলেই ফ্যাক্ট জানি।
    ""জানা'' ও "বোঝা''র পার্থক্য আপনি জানেন বলেই আমার বিশ্বাস।
    আপনি যে জানতেন না, সেটা আবার প্রমান করলেন সত্য বন্দ্যোর ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে।
    হ্যাঁ, সেই সময় অন্তত:১৯৭৩ পর্য্যন্ত সত্য বন্দ্যো ও ইন্দ্রজিৎ সেন, শান্তনু, গণশিল্পী অজিত পান্ডে সবাই নকশাল সমর্থক ছিলেন। তাই শোভা সেনের সঙ্গে কথিত দুর্ব্যবহার।
    আমি আপনাদের কোট থেকেই তুলে যে গোটা সাতেক প্রশ্ন রাখলাম সেটা নিয়েই দেখান না যে আমি ভুল তথ্য দিয়েছি, আপনি দেন নি!
  • Ishan | 122.162.16.204 | ১৪ আগস্ট ২০১০ ২২:২২462615
  • উফ। কতকিছু মিস করে গেলাম। :)

    শুধু উৎপল দত্ত কেন, আজিজুল হকের রাজনীতিও হেবি গোলমেলে। তিনি "কারাগারে আঠারো বছর'এ সিপিএমকে যা গাল দিয়েছেন, তার তুলনায় মাওবাদীরা যা গাল দেয়, নস্যি। আজিজুল ঐ বইয়ে সিপিএমকে ফ্যাসিস্ত-ট্যাসিস্তও বলেছেন, যদ্দুর মনে করতে পারি। আর এখন তো পুরো উল্টোদিকে। ১৮০ ডিগ্রি উল্টো। এমনকি কর্পোরেশনের কর্মী ইউনিয়নের পক্ষেও লেখেন। :)

    তো, পয়েন যেটা, সেটা হল, মত পাল্টানো অপরাধ নয়। হতেই পারে, তখন সিপিএমকে পচা পাঁক মনে হছিল, এখন মনে হয় পদ্ম। হতেই পারে। কিন্তু তাহলে আগের অবস্থানটা যে "ভুল' ছিল সেটা স্বীকার করতে হবে। আজিজুল তা করেননি। বরং ব্যাপারটা নিয়ে একটা গোলগোল অবস্থান বজায় রেখেছেন। কারণ আজিজুল ক্যান ডু নো রং। এইটাই গোলমেলে। উৎপলও এই মাপকাঠিতে গোলমেলে।

    ভাববেন না, ফাঁকতালে শুধু সিপিএমকে গাল দিচ্ছি। এই মাপকাঠিতে কবীর সুমনের ধর্মসংক্রান্ত অবস্থানও গোলমেলে। হ্যাঁ, ধর্মপরিবর্তনের কথাই বলছি। এমনিতে ধর্ম ব্যক্তিগত ব্যাপার। কোনো প্রশ্ন থাকার কথা নয়। কিন্তু আসে, কারণ এ নিয়ে সুমনের প্রচুর বক্তব্য ছিল। প্রকাশ্যে। কখনও কোথাও লেখেননি, কিন্তু অনেক অনুষ্ঠানে সুমনকে নিজের কানে নাস্তিকতার পক্ষে, ধর্মবিরোধী বক্তয় রাখতে শুনেছি। সেই তিনি হঠাৎ ধার্মিক হয়ে গেলেন। আগের অবস্থানটা কি তাহলে ভুল ছিল? সুমন জানাননি কিন্তু। এমনিতে সুমনকে আমি প্রচন্ড পছন্ড করি। কিন্তু এই জায়গাটা যে গোলমেলে, সে নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। অবশ্য হতে পারে কোথাও ব্যাখ্যা দিয়েছেন, নজরে পড়েনি। তেমন হলে, পোচোন্ডো খুশি হব। :)

    যশোবন্ত সিনহার বইটা পড়ছি। খুব ভালো লাগছে। তার পরেও ভদ্রলোকের রাজনীতিটা গোলমেলে লাগছে। এখনই বলার সময় আসেনি অবশ্য। শেষ হোক। তারপর যশোবন্ত সিনহাকে নিয়ে লিখব।
  • PT | 203.110.246.230 | ১৪ আগস্ট ২০১০ ২২:৪০462616
  • ন্যাড়া বাবুদের যুদ্ধের স্ট্র্যাটেজিটিও বেশ! সিপিএমের সঙ্গে যাহাই জড়িত তাহাই ভুল এবং তাহারই নাড়িভুঁড়ুই টেনে বার করতে হবে।

    RR- আমার স্বীকার করতে কোনই দ্বিধা নেই যে সেই সময়ের অনেক ডিটেল আপনি আমার থেকে অনেক বেশী জানতেন। আমার বিশ্বাস চারু মজুমদার আপনার থেকেও বেশী জানতেন। কিন্তু ভেবে দেখুন এত এত ""জানা"" সত্বেও সম্পুর্ণ ভুল একটি রাজনৈতিক পথে হেঁটে চারু বাবু এবং আপনাদের মত তথাকথিত বিপল্বীরা বাম আন্দোলনের কতটা সর্বনাশ করেছেন। এই পন্ডিতেরা কত প্রতিভাবান ছাত্রদের সর্বনাশ করে ছেড়েছে। এই ভুল এবং সর্বনাশের সাম্প্রতিকতম উদাহরণ কানু সান্যালের আত্মহত্যা। এই ""সকল জানা"" এখন সিপিএম ব্যাশিং-এ কেন্দ্রীভূত হয়েছে!!

    সেই তুলনায় উৎপল দত্ত হাজার গুণে সৎ -- নিজের ভুল স্বীকার করে আবার নিজেকে একটি বাম দলের সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন। উৎপল দত্তের মত প্রতিভাধর মানুষের সিপিএম-এর সঙ্গে না থাকলেও বিশেষ কিছু আসত যেত না। দিব্যি করে-কম্মে খেতে পারতেন।

    এবার কি তাহলে মহাশ্বেতা দেবীকে বিশ্বাসঘাতক বলার সময় এসেছে? তিনি কেমন মহানন্দে জরুরী অবস্থার খলনায়ক এবং সরোজ দত্তের হত্যাকারীদের সঙ্গে এক ডায়াসে বসে বক্তৃতা দিচ্ছেন!!

    Souva- যুক্তি-তক্ক-গপ্প আমার রাজনৈতিক অনুভবের বাল্যকালে দেখা। সেই সময়ের চিত্র সমালোচনা ইত্যাদি যদি পড়ে থাকেন তাহলে দেখবেন যে ঋত্বিকের অসুস্থ (এবং unprofessional) জীবন যাপন তাঁর সৃষ্টির ওপরে ছাপ ফেলেছিল। তৃপ্তি মিত্র বিশেষ উদ্যোগ না নিলে ঐ ছবি বোধহয় কোনদিনই সম্পুর্ণ হত না। "কেন চেয়ে আছ গো মা" দুজনে মিলে গেয়েছেন। ছবির একটা বিরাট অংশ জুড়ে ডায়্‌লগের সঙ্গে অভিনেতাদের লিপ মেলেনি ইত্যাদি ইত্যাদি। এই ছবির প্রিমিয়ার নিয়ে নীললোহিতের একটি অসামান্য লেখা আছে -- যেখানে ছবি চলাকালীন অনুপস্থিত ঋত্বিক হঠাৎ মাঝপথে চুড়ান্ত মদ্যপ অবস্থায় উদয় হয়ে - "এই ছবিটা কিস্যু হয়নি"" - বলে চিৎকার করতে থাকেন। এই ছবিটি ঋত্বিকের অসামান্য প্রতিভার একটি নিকৃষ্টতম সৃষ্টি।
  • nyara | 122.167.255.31 | ১৪ আগস্ট ২০১০ ২২:৫২462617
  • BTW, শোভা সেনের উদ্ধৃতিগুলো ওনার আত্মজীবনী 'স্মরণে বিস্মরণে - নবান্ন থেকে লাল দুর্গ' থেকে নেওয়া।
  • nyara | 122.167.255.31 | ১৪ আগস্ট ২০১০ ২২:৫৩462618
  • 'কেন চেয়ে আছ গো মা' দুজন গেয়েছেন - এ দিয়ে ঠিক কী প্রমাণ হয়?
  • Ishan | 122.162.16.204 | ১৪ আগস্ট ২০১০ ২৩:০৬462619
  • পিটি কি বলতে চান? কানু সান্যাল সুইসাইড করেছেন বলে অসৎ? ঋত্বিক মাল খেতেন বলে বদ? আর উৎপল দত্ত "বাম' পাট্টি কত্তেন বলে সৎ?

    এ প্রসঙ্গে "সর্বভারতীয় প্রেক্ষিতে' বামরা কি করে দেখিয়েছেন যে তাঁদের মাথায় একটি তোড়ায় বাঁধা ঘোড়ার ডিমের মতো দিব্যজ্যোতি স্‌র্‌বক্ষণ সাঁটানো আছে বলে মানতে হবে, সেটাও জানতে ভালো হত।
  • PT | 203.110.246.230 | ১৪ আগস্ট ২০১০ ২৩:১০462621
  • এই কম্মটি কোন মহৎ শিল্পসৃষ্টির জন্য করা হয়নি। এতে প্রমাণ হয় যে সিনেমার টেকনিকালিটির দিকে পরিচালকের দৃষ্টি ছিল না। এতদিন বাদে যতদুর মনে পড়ছে দেবব্রতর আদ্দেক গাওয়া গানে লিপ দিয়ে শ্যুটিং বন্ধ হয়ে যায়। তারপর দেবব্রতকে পাওয়া না যাওয়ায় সুশীল মল্লিককে দিয়ে বাকি গান গাওয়ানো হয়।
  • PT | 203.110.246.230 | ১৪ আগস্ট ২০১০ ২৩:২১462622
  • ঈশান, আপনার কথা আমার মুখে বসাবেন না। এই উদাহরণগুলো দিচ্ছি এতা বোঝানোর জন্য যে গোটা নকশাল আমলের ""গোলমেলে রাজনীতি"" প্রায় সবাইকে প্রভাবিত করেছিল। এক একজন এক এক রকম ভাবে react করেছেন। উৎপল দত্ত তার ব্যতিক্রম নন যে তাঁকে আলাদা করে বেছে নিয়ে তাঁর ""আদর্শচ্যুতি"" নিয়ে ঢক্কানিনাদ করতে হবে। আমার মাপকাঠিতে কানু বাবু, অসীম চাটুজ্জের থেকে রাজনৈতিক ভাবে অনেক বেশী সৎ। আর ঋত্বিকের ছবি সতজিতের থেকে অনেক ভাল সেই নিয়ে কত অর্থহীন তক্ক করেছি সে একমাত্র আমার বন্ধুরাই জানে।
  • Ishan | 122.162.16.204 | ১৪ আগস্ট ২০১০ ২৩:২৮462623
  • পিটি। আপনার মুখে কোনো কথা বসাইনি। চাট্টি কোচ্চেন করেছি মাত্র। কোনটা আপনার মুখে বসিয়েছি একটু কাউন্ডলি দেখাবেন।

    পরের কোচ্চেন।

    ১। কি বলতে চান? নকশাল আমলের "গোলমেলে রাজনীতি'র কারণে ঋত্বিক মাল খেতেন? :)

    ২। কানুবাবু কেন অসীম চাটুজ্যের চেয়ে অনেক বেশি সৎ? তৃণমূল/কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেননি বলে? :)
  • nyara | 122.167.255.31 | ১৪ আগস্ট ২০১০ ২৩:২৯462624
  • "দেবব্রতকে দিয়ে গাওয়ানোর পরে শুটিং বন্ধ হয়ে যায়" - তথ্যসূত্রটি কী?
  • Ishan | 122.162.16.204 | ১৪ আগস্ট ২০১০ ২৩:৩৯462625
  • সত্যিই কি দিনকাল পড়ল। সুনীল গাঙ্গুলীর লেখা পড়ে মদ্যপ হবার কুফল সম্পর্কে জানতে হবে। কমুনিস্ট পার্টির লাইন অনুযায়ী "সুস্থ সংস্কৃতি'র বিধান রচিত হবে। আর বাকি কি রইল। বিপ্লবটাই খালি হলনা এই যা। :)
  • aka | 24.42.203.194 | ১৪ আগস্ট ২০১০ ২৩:৫১462626
  • দুর একদম বাজে কথা, মদ্যপ হবার কোন কূফলই নেই, সে সুনীল গাঙ্গুলি বলুন বা না। বরং টোবাকো অ্যাট এনি ফর্ম খুব খারাপ। হার্টের রোগ, ডায়াবিটিস, ক্যান্সার ইত্যাদি ইত্যাদি। সবথেকে খারাপ হল হার্টের রোগ যাতে পৃথিবীর সবথেকে বেশি লোক মারা যায়। শরীরকে অবজ্ঞা করিবেন না, সিপিএম বা তৃণমূল কেউই সে নিয়ে চিন্তা করবে না, নিজের হার্ট নিজের, সামলে রাখুন।
  • kallol | 115.184.12.245 | ১৪ আগস্ট ২০১০ ২৩:৫৭462627
  • উৎপল দত্ত মুচলেকা দিয়ে নিজের মুক্তি কিনেছিলেন, আইভরী মার্চেন্টের সিনেমা করতে যাবেন বলে। তার ব্যক্তিগত লাভের জন্য। তখনও তার অন্য সাথীরা ভারত রক্ষা আইনে বিনা বিচারে জেলে। তাই তিনি অসৎ ও তার রাজনীতি গোলমেলে।

    ব্যক্তি ঋত্বিক বোহেমিয়ান। অনেক সুযোগ পেয়েও নিজের দোষে (পড়ুন মাত্রাতিরিক্ত মদ খেয়ে) তা হারিয়েছেন। শুভানুধ্যায়ীরা অনেক চেষ্টা করেছিলেন। সবই তিনি হেলায় হারিয়েছেন। পুণা ফিল্ম ইনস্টিটিউটে শিক্ষকতা, বিশ্বজিতের (হ্যাঁ, প্রসেনজিতের বাবা) ব্ল্যাঙ্ক চেক, এরকম হাজার হাজার উদাহরণ আছে। পিটির সাথে যুতগ নিয়ে একমত - টেকনিকাল কাজ খুব খারাপ। কিন্তু আদ্যোপান্ত সৎ। ওঁর সম্পর্কে নকশালদের মনোভাব, নকশালদের নিয়ে ওঁর বক্তব্য, রাষ্ট্রের পায়ে নিজেকে বেচে দেওয়া শিল্পী-বুদ্ধিজীবিদের শাণিত ব্যাঙ্গ, নিজের 'কনফিউজড' অবস্থান - কোনটাই গোপন করেন নি। http://www.shapludu.com/udriti.php
    মানুষটার খামখেয়ালীপনা, চরম বিশৃঙ্খলতা, নিয়ে যা খুশী তাই বলুন, ওঁর সততা নিয়ে কথা বলবেন না।
    ঋত্বিক আর যাই হোন ধান্দাবাজ নন। এবং আপনার জ্ঞাতার্থে নকশালও ছিলেন না।

    কানুদার সততা নিয়েও প্রশ্ন নেই। একটা মানুষ ভুল রাজনীতি করতে পারে, কিন্তু ধান্দাবাজ, অসৎ নয়।

    যাকগে। যারা ধান্দাবাজী আর অসততাকেই প্রকৃত রাজনীতি বলে মনে করে, তাদের এসব বলে লাভও নেই।
  • ranjan roy | 122.168.105.202 | ১৫ আগস্ট ২০১০ ০১:১৫462628
  • একটা তথ্য ঠিক করে দিতে চাই।
    উৎপল প্রথমবার গ্রেফতার হয়েছিলেন ১৯৬৬তে ভারতরক্ষা আইনে, ""সংগ্রামের একটি দিক'' বলে রাজনৈতিক প্রবন্ধ লিখে। ছাড়া পান দেশজুড়ে বিশাল খাদ্য আন্দোলনের ফলে ১৯৬৭'র নির্বাচনের আগে সমস্ত রাজনৈতিক বন্দীদের সঙ্গে, কোন মুচলেকা দিয়ে নয়। তারপর "দিন বদলের পালা'' নামের নির্বাচনী নাটকটি নিয়ে এমন সাড়া জাগানো প্রচার করেন যে পিপলস্‌ ডেমোক্রাসিও সেটা নিয়ে প্রবন্ধ লেখে।
    এর পর ১৯৬৭তে জুন-জুলাইয়ের নকশালবাড়ির ঘটনার পর উনি সেখান থেকে ঘুরে এসে খোলাখুলি সিপিএম এর বিরুদ্ধে "" নকশালবাড়ি-- কৃষক সংগ্রাম সহায়ক কমিটি''র মঞ্চে বক্তব্য রাখেন।
    হরেকৃষঞ কোঙারের সঙ্গে দেখা করে এসে ওনার স্বভাবসুলভ নাটকীয়তার সঙ্গে বলেন-- "" উনি আমাকে জিগ্যেস করলেন, কি খাবেন? চা না কফি? আমার মনে হল বল্লেন-- শ্রমিকের রক্ত খাবেন, না কৃষকের রক্ত খাবেন?
    "" কি বৈষ্ণব নাম! হরে- কৃষ্ণ! অথচ সাত-সাতটা নারীশ্রমিকের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে গর্জন করছেন আর আলোচনার নামে ডাক বাংলোয় ডেকে এনে নেতাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছেন!''
    তারপর উনি নকশালদের সমর্থনে বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ্য ভাষণ ও লেখায় লেগে রইলেন।
    ১৯৬৮তে গ্রেফতার হলেন পিডি অ্যাক্টে। তখন মুচলেকার ব্যাপারটা ঘটে।
    নকশালদের নাক কাটা যায়। কোন ভাবেই ওরা এটাকে ডিফেন্ড করতে না পেরে উৎপলের ওপর ঝাল ঝাড়ে। এল টি জি ভেঙেপি এল টি তৈরি হয়।
    মজার কথা হল তখন উৎপল দত্তকে আমেরিকার দালাল বলেছিল -- সিপিএম।
    ওদের কাছে উৎপলের আমিরিকান ফিল্ম করার জন্যে মুচলেকার থেকেই প্রমাণ হয়ে যায় যে নকশালরা সি আই য়ের চর, আর তার পুরোধা উৎপল। :)) আজ উৎপলের ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট দিতে সিপিএম বন্ধুদের নাচানাচি দেখে আমোদ পাচ্ছি।
  • ranjan roy | 122.168.105.202 | ১৫ আগস্ট ২০১০ ০১:২৮462629
  • SB,
    ঠিক বলেছ। আমি পড়েছি ""নাট্যসংগ্রহ'', রচনা বলী নয়।
    আচ্ছা, তোমার চেনা কোন সাপ্লায়ার আছে? যদি আমি ড্রাফট পাঠিয়ে দিই তাহলে ডাকে প্রথম খন্ড পাঠাতে পারবে কি? ""চায়ের ধোঁয়া'' পড়তে বড় ইচ্ছে করছে।
    PT,
    রাগেন কেন? বাম রাজনীতিকে কে বা কাহারা দিগভ্রমিত করিয়াছে, কত ডিগ্রিতে, সে' বিচার মহাকাল বা জনগণের ওপর ছাড়িয়া দিন। কেরালা সামলান। টলমল করিতেছে। রাজনীতির ব্যাপারে আপনি আপনাকে ঠিক, আমি আমাকে ঠিক বলিব, ইহাই সততা। কাজেই ইহা লইয়া বাক্যব্যয় বৃথা।
    কথা হইতেছিল কিছু ফ্যাক্ট লইয়া।
    উৎপল সিপিএম আমলে গণনাট্য কর্মী ছিলেন কিনা, নক্সালদের সঙ্গে কদাপি যুক্ত ছিলেন কিনা, নাটকের জন্যে জেলে গিয়াছিলেন কিনা, মুচলেকা দিয়া বাহির হইয়া ছিলেন কিনা।
    কোন ভ্যালু জাজমেন্ট লইয়া বিতর্ক ছিল না। কারণ প্রত্যেকের নিজস্ব ভ্যালু সিস্টেম আছে।
    ইহাকে আপনি জাজমেন্টাল ডোমেইনে লইয়া গেলেন। কিন্তু একবারও স্বীকার করিলেন না যে আপনি উপরোক্ত বিন্দুগুলির ব্যাপারে জানিতেন না, বা ভুল জানিতেন। ইহা কি প্রকার রাজনৈতিক সততা?
  • PT | 203.110.246.230 | ১৫ আগস্ট ২০১০ ১০:০৮462630
  • RR
    কোনটা জানতাম না? আপনিও সততার সঙ্গে স্বীকার করে ফেলুন না যে উৎপল গণনাট্য সঙ্ঘের সঙ্গে ছিলেন সেটাও আপনি জানতেন না আর সিপিএমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন বলেই তার মুন্ডুপাত করছেন। এই দলটির সঙ্গে উৎপলের সংস্রব না থাকলে তার প্রসঙ্গে এক পয়সাও টাইপাতেন না।

    আর আপনি যা তথ্য দিচ্ছেন, কলেজ স্ট্রীট পাড়াতে একটু ঘুরলে এই সব প্রসঙ্গ নিয়ে লেখা অসংখ্য বই আর পত্র-পত্রিকা কিনতে পাওয়া যায়। আপনি যা জানাচ্ছেন ""তাহাই সত্য অতএব বিজ্ঞান"" এমন ভাবারও কোন কারণ নেই। আপনি নিরপেক্ষ ঐতিহাসিক নন -- আপনার রাজনৈতিক বায়াস অনুযায়ী তথ্য পেশ করেন সেটাও পরিষ্কার।

    কেরালা বা প:বঙ্গে সিপিএম থাক বা না থাক আমার তাতে কিস্যু আসে যায় না। ঐ যে লিখেছি আগে, প্রাক্তন পন্ডিত নকশালদের সব পান্ডিত্য এখন সিপিএম ব্যাশিং-এ কেন্দ্রীভুত হয়েছে। ওরা ক্ষমতায় না থাকলে আপনারা নিশ্চিন্ত -- কেননা তাতে প্রাক্তন নকশাল এবং বর্তমান মাওবাদিদের আকাঙ্খিত বিপ্লব সাধিত হয়ে যাবে। মাওবাদী-কংগ্রেস সম্পর্ক নিয়ে দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের সাম্প্রতিক মন্তব্যটি একবার দেখে নেবেন।

    আর নিজেদের দ্বিচারিতার দিকে তাকিয়ে দেখুন। জরুরী অবস্থার খলনায়ক, রবিঠাকুরের গান সেন্সর করত নিজের হাতে আর সরোজ দত্তকে নকল এনকাউন্টারে হত্যাকারি সরকারের প্রতিনিধি সুব্রত মুখার্জীর সঙ্গে একই প্ল্যাটফর্মে বসে মহাশ্বেতা সহ বেশ কিছু ""সব জানা পন্ডিতে"" ভর্তি নকশাল সংগঠন সিপিএমের মুন্ডুপাত করছেন কিংবা আজাদের নকল এনকাউন্টারে মৃত্যুর বিচার চাইছেন। গোলমেলে রাজনীতি মনে হচ্ছেনা? গুচ-তে (এবং আবাপ বা বর্তমানে) সবাই এই প্রসঙ্গে অখন্ড নীরবতা পালন করছেন কেননা করতেই হবে। আদর্শচ্যুতি-র কথা তুলছেন কেউ? যেন গোলমালের রাজনীতিতে উৎপল একাই জড়িয়ে পড়ে ছিলেন -- কোন প্রেক্ষিত ছাড়াই!!

    নকশাল আন্দোলনের ইতিহাসের বিচারের অপেক্ষা করার দরকার নেই। ৩০-৪০ বছর খুব একটা কম সময় নয়। নকশাল আন্দোলনের এইসব গর্ভস্রাব যারা বর্তমানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে চারপাশে তাদের দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় যে তারা নিজেরাও জানে না যে তারা কিসের জন্য exist করছে!!
  • bb | 117.195.168.245 | ১৫ আগস্ট ২০১০ ১১:০০462632
  • যারা উৎপল দত্ত মুচলেকা দিয়েছেন কি না, তাই নিয়ে পাতা ভরাচ্ছেন, তাদেরকে ভুপাল, বোফর্স (কোয়াত্তর্চি), বাবরি মসজিদ ভাঙ্গা আর হালফিলের কমনওঅয়েলথ এর টাকা নয়ছয় নিয়ে এক লাইনও লিখতে দেখিনি।
    এই তীব্র সিপিএম বিরোধিতা দেখলে অবাক লাগে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন