এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পর্বে পর্বে কবিতা - ২

    pharida
    অন্যান্য | ২১ নভেম্বর ২০০৯ | ৩১১৮৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • san | 219.64.67.181 | ২৪ মার্চ ২০১০ ২২:৩৩428804
  • বা:
  • dd | 122.166.83.11 | ০২ এপ্রিল ২০১০ ২৩:১৭428805
  • আসলে ক্ষি জানেন ? এই যে
    জীবন ভরে ঝুঁকি
    লাইফের লম্ফঝম্ফ,
    ট্র্যাপিজের দেখানো ডিগবাজী
    স্টেজে উঠে সাজানো ভোজবাজী

    এই যে দেওয়ালে আঁকি বুঁকি
    গ্রাফিত্তির ডা রা রা ডিম
    এক্স সিম্ফনীর বিষে হাড় হিম

    কফিনে অনন্তবাসে রাজী।
    খুব রাজী। ।
  • dd | 122.166.83.11 | ০৩ এপ্রিল ২০১০ ০০:১৪428806
  • নিশ্চিত কোথাও কোনো
    ওঁৎ পেতে আছে ব্ল্যাক হোল
    স্বধর্মে গিলবে,দেখো, টিকি থেকে নখ
    ধাতু,মুদ্রা,স্বত্তা ও বিস্মৃতি
    .....
    মুহুর্ত্তে বিলীন হবে, ডুবে যাবে
    ক্ষয়ে,হা হা , বেলুনের মতো
    উড়ে যাবে,জমানো জোক, রেসিপি ও
    কল্প বিপ্লবের ডায়েরী,ইস্তাহার
    বিবর্ন ডাকটিকিট
    খাম
    .....

    এইসব, .....
    ভাইসব,শোনো, বহুদিন আগেকার প্রীতি
    প্রণয়,বা ফাজলামো,পুরোনো গান
    বাসী জীবনের এস ও পি,ছবি,ফিল্ম
    নাটকের টুকরো, কিছু পদ্য বন্ধ
    হর্মনের পিছুটান।

    ......
    আর বাঁক নেই, কোনো চোরাপথ,সুরংগ
    নেই।

    ফেস টু ফেস
    এখন বিশুদ্ধ মুখোমুখী
  • dd | 122.166.130.130 | ০৩ এপ্রিল ২০১০ ২৩:৫৯428807
  • মুখোমুখী ?
    চোখে রেখে চোখ, রিয়ালি ?
    ভুবনের বারান্দায় হাঁটবে না
    কোনো মেহেরালি।

    "সব ইশে হ্যায়"।

    গর্ভগৃহে,সংগোপনে,জমাট আন্ধারে
    একাকী নিথর হয়ে থাকবে না
    পাষানের দেবীমুর্ত্তি।
    চতুর্ভুজা,সহাস্য,বরদা,
    থম থম।

    ঢল ঢল করবে পুর্ণশশী,
    গেলাসেতে,জ্যোৎস্না চমকাবে

    চাবুক জীবনে।
    গলায় পরো ঘুন্টিওলা বকলশ
    বগলেতে উদ্ভাসিত ছাতা।

  • ranjan roy | 122.168.170.230 | ০৫ এপ্রিল ২০১০ ২৩:২৩428808
  • চাঁদের জামবাটি
    -------------
    [ মূল হিন্দি কবিতা : কিশোর কুমার পান্ডে, বিলাসপুর]

    চাঁদের জামবাটি দু'হাতে ধরে আমি
    দাঁড়িয়ে আছি তোর প্রতীক্ষায়।
    আমাকে দেবে নাকি চোখের জল ওই
    দুই ফোঁটা?

    আরো যে চাই তোর
    বুকের যন্ত্রণা, ঠোঁটের চুপকথা
    বোবা সে ব্যথা।
    আবার চাইব ফিরে
    গলিত স্বপ্নমায়া
    অপমানের ক্ষত, বদনামের কালি।

    সবই উপুড় করে কখন দেবে ভরে
    আমার হাতেধরা চাঁদের জামবাটি?

    প্রভাত প্রার্থনা, সন্ধ্যাবন্দন,
    তুলসী তলে ওই জ্বলেছে সাঁঝবাতি।
    প্রণামী কিছু ভোগ, গীতার কিছু শ্লোক,
    তীর্থবারি আর ফুলের সাজি।
    --সবই তুমি নাও, আমাকে শুধু দাও
    প্রায়শ্চিত্তটুকু।
    --কখন থেকে তাই দাঁড়িয়ে আছি নিয়ে চাঁদের জামবাটি।

    শূন্য পুজাবেদী, কাতর পূজারিণী,
    শাপগ্রস্ত রাজা, খন্ডিত সব ঋক।
    ধ্বংসযজ্ঞ আর দলিত এঁটোফুল,
    --সব আমাকে দাও, জামবাটিতে ঢেলে।

    তপ্ত মরুপথ,অতৃপ্ত জীবন,
    সন্তপ্ত শ্বাস আর পদতলের ক্ষত,
    আগুনজ্বলা বন, দু:খের পারাবার।
    --সবই আমি নেব, বসন্ত দেব তোমায়।

    পুরনো সেই শহর,
    পুরনো সেই মেলা,
    রঙীন ইন্দ্রধনু স্বপ্ন বালিশে ঢাকা।
    স্বপ্নে গড়া নীড়, সেখানে পালক ঘসে
    আমার হলুদপাখি।
    আমাকে এইসব কখন এনে দেবে?
    দাঁড়িয়ে আছি নিয়ে চাঁদের জামবাটি।

    একটু হাতের ছোঁয়া,
    বুকের ধুকধুকি,
    এক টুকরো স্নেহ,
    একটুখানি আঁচ,
    গন্ধ একমুঠো।

    আবার সেই এক না বলা কাহিনী,
    সে এক বোবাভাষা, শব্দ অক্ষম,
    অশুদ্ধ ব্যাকরণ, অর্থশূন্যতা,
    ছড়িয়ে যাওয়া কালি।

    বেশতো, তবে তুমি নাহয় বিছিয়ে দাও
    তোমার মায়া আঁচল।
    অমি যে অভাজন, কবিতা লিখতে চই
    তোমার আঁচল জুড়ে।।
  • kahiptaashaa | 203.99.212.54 | ১৪ এপ্রিল ২০১০ ১৮:৫৭428809
  • কি আসে যায় কি লেখা আছে আর কতটুকু লেখা নেই সেইসব কূট তর্কে
    যে ভাবেই হোক, কদাকার রিংটোনে বেলা যাবে থমথমে ধুলোয় পাতায়
    আর হলুদ লাল আলোতে হবে খেলা, ওপারেতে, উপবনে বালকবেলা, গ্রীষ্মকাল খর
    হাসিগান এইসব খেলা, প্রাণভরা জীবনযাপন,ওপারেতে, উপবনে, বিকেলের শাঁখ
    কি আসে যায়, তুলোট কাগজে আঁকিবুকি, নীলাভ পাথরে কত দ্যুতি, অমোঘ তারারা ললাটে
    কি লিখেছে। আজ বাদে কাল, আবার জলের ধারে- ছায়া দেখে ফিরে যাবে সেইতো একলা বৈশাখ
  • Tim | 71.62.121.158 | ১৭ এপ্রিল ২০১০ ১২:০১428810
  • এখনও তো ধুলো ওড়ে, কর্কশ মাটির উপরে
    গভীরতা এঁকে যায়, ক্ষতবিক্ষত
    এখনও হাওয়ায় মেঘ, ছেঁড়া চিঠি ওড়ে

    যদিও সময় সরে, বেখেয়ালী ঘুড়ির মতন
    সময়ের গর্ভজাত, অন্য সময়।
    নতুনের বেশ ধ'রে, আলগোছে, একা
    পাশ ফিরে বসে থাকে। মৃদু আলো
    হিসহিসে স্বরে বলে, এই তো সে চেনা মুখ,
    সেই চোখ, অজান্তে চুপ করে থাকা।

    এভাবেই চাকা ঘোরে, এক ভুল থেকে আরো
    অন্যতর ভ্রান্তির সন্ধানে।
  • kahiptaashaa | 203.99.212.53 | ১৯ এপ্রিল ২০১০ ১২:৫৯428811
  • রাজার দেশে সবাই থাকে সুখে
    রৌদ্র ওঠে ঝলমলিয়ে রোজ
    প্রেমিক ভালোবাসছে সারাদিন
    বিয়ের পরে হ্যাপিলি চিরকাল
    আকুল করা দখিন হাওয়া বয়
    ছায়ায় মাখা পাড়ার গলিপথ
    লম্ফ জ্বেলে শিখছে লেখাপড়া
    ছোট্টো মেয়ে দুই বিনুনি বেঁধে
    বৃষ্টি হলে সেখানে ষড়ঋতু
    নীলাঞ্জনে পুঞ্জছায়া আসে
    পলাশ ফোঁটে পিয়াল তরুতলে
    মেয়েরা গাঁথে মালিকা একমনে

    রাজার দেশে কবির কল্পনা
    অশ্বক্ষুরে উড়িয়ে ধুলো ধায়
    মরোক্কান চামড়া দিয়ে ঢাকা
    দেশের নাম সোনার জলে লেখা
    আহা কেমন সবুজ সুশীতল
    আহা কেমন কবির কল্পনা
    আহা কেমন গোপন করোটীতে
    সাম্যবাদ, তিনশো টাকা দাম
  • de | 203.199.33.2 | ১৯ এপ্রিল ২০১০ ১৫:৩০428812
  • বা: !!
  • pharida | 122.163.95.72 | ২৫ এপ্রিল ২০১০ ০৮:৫০428814
  • রুখে ওঠা গল্প যখন
    বলতে গিয়ে শান্ত হতাম
    এঁফোড় ওঁফোড় শরীর জুড়ে
    নক্সীকাঁথা আরাম পেতাম
    বেড়ে দিলে কলার পাতায়
    শান্তি খানিক গলা ভাতে
    আঁচিয়ে নিতাম বেঁচে থাকা
    বোতাম এঁটে বেরিয়ে যেতাম।

    দূর দুরান্তে, মাস্তুলে সব
    কাটা ঘুড়ি আসতো যারা
    পড়তে কিম্বা কোচিং ক্লাসে
    ঠায় তাকিয়ে দেখতে পেতাম
    গানের ক্লাসের ছেঁড়া পাতায়
    যেই গানটা টুকে দিলে
    যত্ন করে গলায় আমার
    নিজের বলে ভাবতে গিয়ে
    রেখে দিলাম ফুলের টবে।

    রোজ একবার অপাঙ্গে তা
    দেখছি নতুন আসছে পাতা
    ভাঁজে ভাঁজে কাগজ নৌকো
    পুরোনো সব ফাটল ধরা
    বলছে শুধুই খুঁজে ফিরিস
    পারলে একটু জিরো তবে
    মলাট ছেড়ে মুখ ধুয়ে আয়
    বাসলে, বোধ হয় ভালৈ হবে।

  • ranjan roy | 122.168.170.230 | ২৫ এপ্রিল ২০১০ ১১:৫৫428815
  • আ গয়া ফরিদা,
    তবে এইবার চলে এসো টিম,
    ডিডির মাদলে বোল বেজে ওঠে
    -দ্রিদিম, দ্রিদিম।

    সায়ন্তন, শৌভ এস,
    অর্পণ,শিবাংশু, কহিপ্তাশা।
    তেকোণা-প্রত্যুষা লিখবে
    এখনও বেঁচে আছে আশা।
  • kahiptaashaa | 203.99.212.53 | ২৬ এপ্রিল ২০১০ ১৮:১৭428816
  • মানুষ মূলত: বড়ই সামাজিক, এবং হরেদরে তাকে মূর্খ বলা ভুল। তার শৈশবে নদীজলে কাগজের নৌকো ভাসে অবধারিত, মেঘ করে আসে গোমতী নদীর ঐপারে আর সেইসব তুমুল জনপদ, নিঝুম ছককষে, বড় হয়ে ওঠার, ভবিষ্যতের, অস্থির গোপনীয়তার শীতঘুমে। একটা দুটো পোষ্য তার চাই, নরম গালিচায় মোড়া, কোণায় দোলনচাঁপা আর দক্ষিণে মজা পাতকুয়ো। বাস্তুসাপ থাকলে ভালো না থাকলেও ক্ষতি নেই, তবে নেড়ি কুকুরের সাহচর্য সুমধুর, মানুষের বর্ণপরিচয়হীন শৈশবে। কেননা ঐ, বড় হয়ে কাম্য সামাজিকতার চাপে দমফাটা হয়ে গেলে সে ভেজা নাক ঘষে দিয়ে যাবে পায়ের পাতায়, আসলে যার আর্ধেক কবির সুন্দর কল্পনা। আর চাই ইঁটের পাঁজা, পুকুরধারেরের ভেজা অন্ধকার, উদাসীন ট্র্যক্টরের অবিশ্রাম ডাক।
    সেই জনপদে মাঝে মাঝে আগুন লাগে গৃহস্থের ঘরের চালায়, পাড়াপড়শি ছুটে যায়, দেওয়ালীর পরের ভোরে শোনা যায় কান্নার রোল।

    সেইসব তুফানি মুলুকে
    থমথমে ঘন কালো ছায়া
    আঁধারী নিকষ দলছুট
    কি গভীর কি অতল ঢেউ
    আহা কি কাতর শৈশব
    আহা কি নরম গালিচা
    একছুটে কতদুর পথে
    আঙিনায় মেলেছিল ডানা
    উঠোনে, ছাতের কিনারে
    নদীতীরে, বালিকার দলে
    ঝোড়ো দিনে, বাদলে কুসুমে
    হোলিখেলা, বিকেলের উলু
    টিয়া রং, অড়হর ক্ষেত
    নদীতীরে আলো ঝলোমল
    ভিজেছিলো রক্তে বিষাদে
    নদীতীরে জ্বলেছিল চিতা
    চাপ চাপ রক্তে লুটানো
    আহা কি মধুর শৈশবে
    শিখেছিল বালকেরা ভয়
    বীরগাথা, লালশালু, ছবি
    ছেপেছিল কাগজে কাগজে
    খেলা হতো দুর্গ প্রাকার
    অবোধ শিশুরা সেই দেশে
    দেখেছিল সবুজে সবুজে
    কিরকম ঘাসের ফড়িং
    কিরকম হরিনী চকিত
    কিরকম সুফলা পৃথিবী
    কিরকম ভোরবেলা মিঠে
    খোড়ো ঘরে জোছনা কাতর
    হাস্নুহানার ঝোপে আলো
    পোড়া বাঁশি কলরব গাঢ়
    হয়ে যায় বিকেলের মাঠে
    সেইসব আহা কি সুদিন
    চৌকাঠ, বেড়া ঘেরা পাপ
    লেবুফুল, উঠোনের ধারে
    বিকেলে লম্ফ পরিপাটি
    কালক্রমে দ্বিধা জড়োসরো
    হয়েছিল বালকেরা খুব
    আলো নিভে গেলে ধুয়ে মুছে
    বনপথে রেডিওতে ধূন
    রক্তে ভিজেছে নদীতীর
    মাঝি গেছে ভাটিয়ালি গেয়ে
    এইসব ঘটেছিল খুব
    যেরকম শীতকাল আসে
    ফলবতী লাউয়ের মাচায়
    প্রাণবান আনারস বনে
    সেসব দুপুরে ছিল বড়,
    জীবন, জীবন ফেনিল
    মহকুমা দাগ খতিয়ানে
    নদীতীর জেলা মহকুমা
    লেখা আছে কাগজে কলমে
    আহা সে ভয়ের রাতগুলি
    গুটি গুটি এসেছে শহুরে
    গড়েছে বাসারা আলুথালু
    নদীতীরে বালিকার দলে
    পদ্মকোরক, ধুলো বালি
  • anaamik | 59.164.101.158 | ৩০ এপ্রিল ২০১০ ১৮:১৩428817
  • সপ্তাহান্তের বিকেলে এখনো ঘন্টানির্ঘন্ট পাঠানো বাকী।
    কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে ডাকেন, "আয়, আয় রে আয়।"
    রাতভোর বৃষ্টি-র পরে প্রথম আলো, ফের রাঙাভাঙা চাঁদ - সব গেল ফাঁকি
    ধরার স্পর্ধা বিলুপ্ত হয়েইছে, ফেলে চলে গেলে তো যাওয়াই যায়।।
  • dd | 122.167.31.6 | ০৮ মে ২০১০ ০০:৫৩428818
  • ও: মাগো, আঙুলে ক্যানো এ ব্যাথা
    পর্যুদস্ত জীবনে, ছিটকে যাচ্ছে
    ব্যাংগমা না পক্ষীরাজ ঘোড়া,রুপকথা
    রাজা,রানী,রাক্ষসের ভয়াল নখ
    চোখ, উপড়ে আসছে,আয়নায়
    হা হা হাসছে প্রেত, ভাষার উজানে

    ভাসছে,ভাসছে,নখর রাত,ভয়াল
    সাপ,তীক্ষ্‌ন,টলটল করছে পুর্ণচন্দ্র

    বয়ে যাও নদী, সাগর সংগমে
    মুখোমুখী থাকো, ........

    স্তব্দ মহকাল।।
  • Anamika | 115.117.211.14 | ১৭ মে ২০১০ ২০:২৯428819
  • জবাবদিহি

    ওরা নয় তত যুক্তিনিষ্ঠ ...
    তাইতো পায়ের তলায় পিষ্ট!
    আদৌ মরতে হত কি ওদের,
    ট্রেনে না চাপত যদি?
    ছোট মুখে বড় করিস তর্ক।
    জনগণ কেন নয় সতর্ক?
    ট্রেন ছেড়ে যাবে ... যাকনা বাছারা ...
    মন্ত্রীর থাক গদী!

    মরে গেল যারা অকৃতজ্ঞ।
    পণ্ড করতে চাইছে যজ্ঞ।
    ট্রেন প্ল্যাটফর্ম পালটানো মানে ...
    "পরিবর্তন" সেটাও!
    যারা সোজা কথা বুঝতে চায়না,
    তারা সিপিএম, নোংরা হায়না,
    মৃত্যু ওদের সঠিক প্রাপ্য ...
    সেই পাওনাটি মেটাও।

    রেলের যাত্রী, তোদের জন্য
    কমিটির মাথা শুভাপ্রসন্ন!
    স্বর্গযাত্রা ভরপুর হোক ...
    সুখে আর স্বাচ্ছন্দে!
    অর্ধলক্ষ মাসের মাইনে,
    উঁহু ... কোনও কথা শুনতে চাইনে
    তোরাও তো পাবি ঐ টাকাটাই ...
    মরলে ... পরমানন্দে!

    পরিবর্তন চাইছি আমরা।
    রঙ পালটাল রেলের কামরা ...
    শেষ মুহূর্তে প্ল্যাটফর্মেরও
    বদল ঘটতে পারে।
    সবাই বলছে ... "প্রিয় মমতাজী
    তুমি চাইলেই প্রাণ দিতে রাজি"!
    একটা বা দুটো মৃত্যুতে তাই
    লজ্জা লাগছে না রে!
  • ranjan roy | 122.168.170.230 | ১৮ মে ২০১০ ০১:২৪428820
  • অনামিকার ছন্দের হাত চমৎকার।
    দিল্লির দুর্ঘটনা নিয়ে বেশ লিখলেন। তার আগে পার্কস্ট্রীটের বাড়িটিতে আগুন লেগে যে কজন মরলো তারা কি ছিল? মূর্খ, বা মেষশাবক!
    সে নিয়ে কোন পদ্য লিখবেন না?
  • pi | 72.83.210.50 | ১৮ মে ২০১০ ০১:২৮428821
  • কলকাতার বাস অ্যাকসিডেণ্ট গুলো ও বাদ ? :(
  • rabaahuta | 203.99.212.54 | ১৮ মে ২০১০ ১৩:৩৭428822
  • গত তিনবছর ঘন ঘন দিল্লী কলকাতা আসা যাওয়ার সময় এই শেষমূহুর্তে প্ল্যাটফর্ম বদলটা বারবার,নিয়মিত দেখেছি। যথারীতি, বেশ কিছু মৃত্যু না হলে ইস্যুগুলোকে ইস্যু বলে ভাবা হয়না।
    এই টইতে এসব লেখার ইচ্ছে ছিলনা- কিন্তু এই টইয়ের কবিতা প্রসংগে আর কোথায় লিখবো ভেবে পেলাম না। নিউদিল্লী স্টেশনে প্ল্যাটফর্ম বদলটা ঠিক পরিবর্তনের মধ্যে পড়েনা- ঐটুকুই আমার বক্তব্য।
    (ডি না দিলে লোকে মন্দ ওরফে তৃণমূল বলবে, তাই-
    ডি: রেলসংক্রান্ত দুর্ঘটনার দায় রেলমন্ত্রীরই বলে আমি বিশ্বাস করি। পরিবর্তন বা অপরিবর্তন যাই হোক )
  • Naamik | 125.20.3.146 | ১৮ মে ২০১০ ১৪:১৯428823
  • পলিটিক্স এর পেঁয়াজ-গন্ধ
    লেগে যেন এই কবিতায়
    কে সিপিয়েম কে তিনোমুল
    কবির কাছে পাত্তা পায়?
    সে তো শুধু মানুষ চেনে
    বর্ণান্ধ তাই লাল সবুজে
    মানুষ যখন ব্যথায় কাঁদে
    কলম নিয়ে যায় সে যুঝে
    দলাদলি বোঝে না তো
    কে সিপিয়েম কে তিনোমুল
    ঝান্ডা দুটো একই দ্যাখে
    লাল সবুজে সমতুল
  • . | 198.96.180.245 | ১৮ মে ২০১০ ১৪:২৩428825
  • ছন্দে প্রচুর গন্ডগোল আছে। ওমনাথ নেই বলে আমিই বলে দিলাম।
  • Rajdeep | 202.79.203.59 | ১৮ মে ২০১০ ১৪:৫২428826
  • অনামিকার কবিতার পর ঐরকম সব প্রতিক্রিয়া এক্সপেক্টেড :-) তো কথাটা হচ্ছে কবি কি নিয়ে কবতে লিখবেন বা কোনটা নিয়ে আগে লিখবেন সেই কাব্যিক স্বাধীনতাটুকু তাঁর থাক না ।

    এর আগেও গুচতে অনেক রাজনীতি-বিষয়ক কবিতা লেখা হয়েছে - কিন্তু "ওটা নিয়ে লিখুন বা ওটা নিয়ে কেন লেখেন নি "" এই ধরনের প্রতিক্রিয়া পেলুম না !
  • Anamika | 115.117.202.154 | ১৮ মে ২০১০ ২৩:৪৮428827
  • বিষ তাহার ... ইস্তাহার

    আমাকে জেতাবি! আমি জিতলেই কলকাতা হবে লন্ডন।
    করকোষ্ঠির বাম গ্রহরেখা সব হয়ে যাবে খণ্ডন।

    আমাকে জেতালে সাজিয়ে তুলব পচা নিমতলা ঘাট।
    তোদের মারব ... যত্নে পোড়াব ...। ফ্রি তে চন্দন কাঠ।

    জলকর? ছি! ছি! উথলে উঠবে রক্তজলের ফোয়ারা।
    আমাকে জেতালে কলকাতাটাকে করব দান্তেওয়ারা!

    সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধবে, আমাকে না যদি জেতাস।
    ন্যায় অন্যায়? দরকার হলে, এখুনি খেলব সে তাস!

    আমি উসকানি। আমি জাতপাত। কলকাতা মেরি জান!
    আমি ইফতার। আমিই মতুয়া। আমি প্রচণ্ড ভান।

    হবেই জিততে। কারুর চিত্তে শান্তি দেব না কোনও।
    আমি না জিতলে রাস্তা কাটব ... অবরোধ ঘন ঘন!

    আগুন লাগাবে দামাল ছেলেরা। কাউকে দেবনা রক্ষে!
    বড় সুখ প্রাণে। মাওবাদীরাও আছেন মিত্রপক্ষে।

    নগদ মূল্যে কিনেছি শাঁওলি ... ব্রাত্য ... মহাশ্বেতা!
    জিতব, কারণ "জিততে জানলে" তবেই তো যায় জেতা!
  • aka | 168.26.215.13 | ১৮ মে ২০১০ ২৩:৫৭428828
  • ছন্দে প্রচূর গন্ডগোল আছে কিনা সে ওমনাথ জানে। কিন্তু এক্কেরে আমার মতন হয়েছে এটা বলতেই পারে। কবি হিসেবে আমার বিশেষ সুখ্যাতির কথা তো সবাই জানে, নতুন করে বলার কিছু নেই।
  • . | 115.117.200.235 | ১৯ মে ২০১০ ০০:০১428829
  • ওই নামিক নামক লোকটি তুই? বোঝো!
  • aka | 168.26.215.13 | ১৯ মে ২০১০ ০০:০৪428830
  • এই যেমন

    লিখি পদ্য যত্র তত্র এই তো মোদের রাজ
    থাকুক তাকে এনরেগা কিবা একশ দিনের কাজ

    দুর ওটা আমি কেন? এইটা আমি।

  • aka | 168.26.215.13 | ১৯ মে ২০১০ ০১:২৪428831
  • আরও একটু

    মিলিয়ে চলেছি ফোরামে ফোরামে হরেক রকম ছন্দ
    দৃষ্টি আমার ফোকাসিত আজ, মনেতে নেইকো দন্দ্ব

    শ্রেণী নিবদ্ধ লেখালেখি মম, ব্যাকগ্রাউণ্ডে আজও ক্ষমতা
    এর সাথে মিল সবাই তো জানে, কিসে কিসে হয় সমতা

    সচৌ নেই কো, হয়েছে কি তাতে, রয়েছে মমতা-পদ্য
    রবসন থেকে হেনরি যে আমি, ব্যাংকরাপ্ট মোরা অদ্য

    দশমিকে আজ উন্নতি খুঁজি আর ত্রৈরাশিকে শিল্প
    সাম্য আনতে মেপে জুপে করি, সবই অল্প অল্প
  • pinaki | 128.61.134.131 | ১৯ মে ২০১০ ০১:৪৯428832
  • অনামিকার কবিতা অনেক দিন ধরে পড়ছি। প্রায় তিন বছর। রাজনীতির কথা বাদ দিচ্ছি। কারণ অনামিকার কবিতা পার্টিজান। আমার ধারণা অনামিকা নিজেও সেটা স্বীকার করেন। কাজেই তিনি একটা সাধারণ মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে লিখবেন - এটা এক্সপেক্টেড নয়। কাজেই সে নিয়ে আমার কোনও ক্ষোভ বিক্ষোভ অভিযোগ নেই। কিন্তু আমার যেন মনে হচ্ছে সাম্প্রতিক কালে অনামিকার কবিতায় বাঁধন খারাপ হচ্ছে। এক বছর আগেও অনেক কবিতা পড়েছি - যেখানে ছন্দের এত গন্ডগোল দেখা যেত না। আমার ধারণা জোর করে যেকোনও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে লেখার চেষ্টা করতে গিয়ে কেসটা ঘেঁটে যাচ্ছে। মানে স্বতস্ফূর্ততার থেকেও বেশী প্রাধান্য পাচ্ছে রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা। সেখানেই কেলোটা হচ্ছে। মান পড়ে যাচ্ছে। না হলে পার্টিজান কবিতা হিসেবেও অনামিকার কবিতার একটা লেভেলকে ছোঁয়ার পোটেনশিয়াল ছিল। অন্তত: আগে তাই মনে হয়েছিল।
  • Du | 65.124.26.7 | ১৯ মে ২০১০ ০২:১৬428833
  • সুমন, নচিকেতা,জয় সবার ক্ষেত্রেই তাই। কোল্যাটের‌্যাল ড্যামেজ।
  • Janaiko | 203.196.159.180 | ১৯ মে ২০১০ ১৩:৩৬428834
  • আমি এখানে নিয়মিত লিখি না, কিন্তু অন্যরা কি লিখছেন সে ব্যাপারে অবগত।

    ছন্দের ব্যাপারে একটা প্রশ্ন আছে। নামিকের লেখাটিতে ছন্দে গন্ডগোল আছে বলা হয়েছে, কোন লাইনটায় একটু specify করলে ভালো হয়। কারণ ৬ নং লাইন ছাড়া মোটামুটি তো ঠিকই লাগছে। মানে কানের বিচারে। ভুল হলে মার্জনা করবেন। আর এখনকার অনেক কবিতাতেই অন্ত্যমিল থাকলেও ঠিক সেই অর্থে ছড়ার ছন্দ মানা হয় না। সেগুলো কি কবিতা-পদবাচ্য নয়? 'বনলতা সেন'-এ অন্ত্যমিল থাকলেও তালভিত্তিক ছন্দ আছে কি? বা রবীন্দ্রনাথের 'ওরা কাজ করে'-এতেও একই প্রশ্ন। সেক্ষেত্রে ব্যাখ্যাটা কি? ছন্দ কি হিসেবে বিচার করা হয়? শুধু জানবার জন্যেই জিগেস করা।

  • Somnath | 85.154.255.42 | ১৯ মে ২০১০ ১৮:৩৪428836
  • "বনলতা সেন" অক্ষরবৃত্ত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত মতামত দিন